এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জি এম ফসল

    shyamal
    অন্যান্য | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ | ১৪০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ ০৪:৩৬419255
  • জি এম (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড) তুলোর চাষ তো বোধ হয় ভারতে শুরু হয়ে গেছে।
    গত সপ্তাহে নানা পরীক্ষার পর ভারত সরকার বি টি বেগুন , যা কিনা জি এম সব্জি, তা চাষের অনুমতি দিয়েছেন। এর প্রয়োজন কেন?
    ভারতে তথা প:বঙ্গে বেগুন একটি গুরুত্বপুর্ণ তরকারি। মূলত: দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে চাষ হয়। কিন্তু বেগুন চাষের জন্য অত্যধিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করতে হয়। তা সত্বেও চাষীর মোট উৎপাদনের প্রয় ৬০% নষ্ট হয় পোকার জন্য।
    বিটি বেগুনের জিনে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে যে প্রধান পোকাগুলো ঐ বেগুন খেলে মরে যাবে। কিন্তু মানুষের কোন ক্ষতি হবেনা।
    খাদ্য মন্ত্রী অশোক ঘোষ (ফ ব)বলেছেন তিনি বিটি বেগুনের চাষ প: বঙ্গে করতে দেবেন না। কারন এটি সাম্রাজ্যবাদী বেগুন ও চুক্তি চাষের প্রথম পদক্ষেপ। তাঁর ওপর ডায়াবেটিস থকয় তিনি রোজ একটি বেগুন খান। অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এত তরকারি থাকতে বেছে বেছে বেগুনকেই এরা জি এম করল।
    http://www.anandabazar.com/25bus1a.htm
    একটি গবেষণাপত্রে পড়লাম যে বিটি বেগুন ব্যবহার করলে পূর্ব ভারতে চাষির নেট আয় একর প্রতি তিনগুণ হতে পারে। তবে বীজের দাম বাড়বে।

    আপনারা কি কন ?
  • nyara | 98.210.141.72 | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ ০৬:৫৭419266
  • মানুষের ক্ষতি হবে না সেটা কে কয়, কীভাবে কয়? কত গবেষণা হয়েছে এই নিয়ে? ইউরোপ কেন জিএম ফুড অ্যাপ্রুভ করছে না?
  • d | 117.195.34.88 | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ ০৭:২৯419275
  • পোকা মরে যাবে, কিন্তু মানুষের ক্ষতি হবে না--- এটা কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে? এমনিতে তো যেকোন কীটনাশকই মানুষের পক্ষে বিভিন্নমাত্রায় ক্ষতিকারক। অবশ্য মানুষ মরণশীল, সে এমনিতেও মরবে, অমনিতেও মরবে। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এতে কোন ক্ষতি হয় না, এটা কীভাবে?
  • pi | 98.225.191.11 | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ ১৮:১৬419276
  • সেফটি নিয়ে ডাটা যা আছে, মানে, 'নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা' যা হয়েছে, তা কেবল ঐ কোম্পানীর নিজস্ব স্টাডি। আপত্তিটা মূলত সেটা নিয়ে উঠেছে। কিছু ছোটোখাটো ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টাডি কিন্তু ক্ষতির সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করেছে। মতন পুষ্পা ভার্গভের মতন যেসব বৈজ্ঞানিক এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা তো বলছেন সেইদ্ধান্ত নেওয়া হোক আরো ডাটা আসার পর। খুব অযৌক্তিক দাবী তো নয়।
    বিশেষ সময় নাই এখন লেখার। নেচারের এই নিউজটা দেখতে পারেন।
    http://www.nature.com/news/2009/091021/pdf/4611041a.pdf
  • Basab | 59.160.212.102 | ০৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:০০419277
  • এর দীর্ঘমেয়দি রেসাল্ট কি হতে চলেছে তা বলা যায় না
  • dri | 117.194.226.76 | ১৮ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৩৫419278
  • একটা রিজনেব্‌লি নতুন পেপার মনে হচ্ছে। এটা অবশ্য জি টি ভুট্টা নিয়ে ইঁদুরের ওপর স্টাডি। কিড্‌নি এবং লিভারে খারাপ এফেক্ট রিপোর্ট করা হয়েছে। http://www.biolsci.org/v05p0706
  • kallol | 124.124.93.202 | ১৯ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:১৭419280
  • চাষী আয় তিনগুণ করার জন্য কোংরা গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে বিটি বেগুন বানিয়েছে - এটা নিশ্চই পুরো গল্পটা নয়। বীজের বাজার তৈরী কারাটাই মুখ্য - এবং মুনাফা। চাষী যখন পুরোপুরি বিটি বেগুনে বা জিএম সব্জিতে চলে যাবে, তখন ঘাড় ধরে দাম নেবে কোংরা।
    স্বাস্থ্যের প্রশ্নতো আছেই।

  • 0 | 194.167.84.67 | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ১১:৩২419281
  • হায়দ্রাবাদের এক বাঙ্গালি বিজ্ঞানী ও তার দুই সহকারী মিলে তৈরী করলো জিএম মুর্গি। ভারতে তৈরী প্রথম জিএম লাইভস্টক।
    http://online.wsj.com/article/SB10001424052702303828304575179812834664070.html
  • dipu | 61.12.12.83 | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ১১:৩৪419256
  • এইবারে কেউ জিএম মানুষও বের করে ফেলবে। দুচোখ দিয়ে দু'দিকে তাকাবে। যেই করুক, মাথার পিছনেও যেন দুটো চোখ রাখে।
  • bitoshok | 74.120.15.150 | ১৭ মে ২০১১ ২২:০৫419257
  • বুঝ লোক যে জান হে সন্ধান।

    "ToxinfromGMcropsfoundinhumanblood:Study"

    http://bit.ly/m0jpkZ

  • dri | 117.194.230.64 | ১৭ মে ২০১১ ২২:৫৯419259
  • নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি স্মিতা নারুলা ডেমোক্রেসি নাও তে ইন্টারভিউ দিলেন। তিনি বললেন ভারতে গত ১৬ বছরে আড়াই লাখ চাষীভাই সুইসাইড করেছে। ওনার মতে মূল কালপ্রিট জি এম ক্রপ।

    The agricultural sector in India has become more vulnerable to global markets as a result of economic liberalization. Reforms in the country have included the removal of agricultural subsidies and the opening of Indian agriculture to the global market. These reforms have led to increased costs, while reducing yields and profits for many farmers.

    As a result, small farmers are often trapped in a cycle of insurmountable debt, leading many to take their lives out of sheer desperation. The rate of suicide is highest among cotton farmers. Like other cash crops in India, the cotton industry is increasingly dominated by foreign multinational corporations that tend to promote genetically modified cottonseed and often control the cost, quality and availability of agricultural inputs.


    http://www.democracynow.org/seo/2011/5/11/every_30_minutes_crushed_by_debt

    যে রিপোর্টের ভিত্তিতে উনি একথা বলছেন সেটা হল http://www.chrgj.org/publications/docs/every30min.pdf

    (কিন্তু এর আগে একবার রঞ্জনদা দেখিয়েছিলেন না, যে চাষেভাইদের আত্মহত্যার অন্য অনেক কারণ আছে, ঋণটাই মূল কারণ নয়?)
  • partha | 155.41.248.48 | ১৮ মে ২০১১ ০০:১০419260
  • জি এম ফসল নিয়ে বিতর্কে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হয়।
    ১। যাঁরা কয়েক হাজার বছর ধরে চাষ করে আসছেন, তাঁদের বক্তব্যটাও শুনলে ভালো হয়। শুধু বিজ্ঞানী আর আমলাদের কথা দিয়ে মাটিতে ফসল ফলানো মুশকিল।
    ২। জি এম ফসল যে বৈজ্ঞানিক ধারণাকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে তার পারিভাষিক নাম- geneticdeterminism. এই মতবাদটি বিজ্ঞানের অন্দরেও অনেক প্রশ্নের সামনে (কেই চাইলে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে)। একটি গাছকে তার চারপাস থেকে আলাদা করে শুধু জিন দিয়ে তাকে বুঝে ফেলার মধ্যে একটা আত্মম্ভরী চালাকি আছে।
    ৩। অবশ্যই তৃতীয় বিশ্বের কৃষকের কষ্টে উদ্বেলিত হয়ে লিমিটেড কোং-রা জি এম বানাবার কথা বলছেন না। কৃষিকে তারা একটি বিজনেস প্রোজেক্ট হিসেবেই দেখে, উৎপাদনের excelsheet-এর মধ্যে দেখে। আমরাও কৃষিকে শুধুমাত্র উৎপাদনের নিরিখে দেখতে শুরু করলে এই ভাবনারই সরিক হবো।
    ৪। জি এম আলোচনাটা যেন anthropocentric হয়ে না যায়, সেটাও খেয়াল রাখা জরুরি। মানুষের অসুখ করবে কি না, কতটা অসুখ করবে এই আলোচনাটা নিরর্থক যদি না আমরা তাকে intellectualpropertyofecology-র সাথে জুড়তে না পারি। এই দার্শনিক প্রশ্নটি করা প্রয়োজন যে গাছেদের তৈরি করে দেওয়া পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে আমরা (মানুষ পৃথিবীতে নবাগত)তাদের বীজ তৈরি করার অধিকার নিয়ে নিতে পারি কি না।
  • pi | 72.83.97.171 | ১৮ মে ২০১১ ০০:১৬419261
  • genetic determinism নিয়ে আলোচনা চাই।
  • dri | 117.194.230.64 | ১৮ মে ২০১১ ০০:২২419262
  • হ্যাঁ, আমারও চাই। এটা সেই ক্লাসিকাল জিন আর এনভায়রনমেন্টের ডিবেট নয় তো?
  • dri | 117.194.230.64 | ১৮ মে ২০১১ ০০:৩৩419263
  • আয় বাড়ানো সোজা নয়। আম্রিকা তো পারছে না। বরং আয় কমছে।

    আয় বাড়ানোর একটা উপায় হল নানা রকম ট্যাক্স বসানো/বাড়ানো। (আম্রিকায় যেটা ডেমোক্র্যাটরা প্রোপোজ করছে, আর রিপাবলিকানরা অপোজ করছে)। কিন্তু বেশী ট্যাক্স বসালে মানুষ স্কুইজ্‌ড হয়ে যাবে। সেভিংস কমবে। এবং তার ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। মানুষ কেনাকাটা করবে কম। ব্যবসা মার খাবে। এটসেট্রা।

    একটা কমিউনিটির আয় বাড়তে পারে। ধীরে ধীরে। যদি সে নতুন নতুন প্রোডাকশান করে। যেমন ধরুন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আগে ইলেক্ট্রনিক চিপ বানাতো না। বানানো শুরু করল। দেশে বিদেশে এক্সপোর্ট করল। বিদেশী মুদ্রা কামালো। তারা ট্যাক্স দিল। সরকারের ঘরে পয়সা এল। বা ইভেন ধরুন, চাষে এক্সেস সাপ্লায় পচে যাচ্ছিল, সেটা বিদেশে সাপ্লাই করে প্রফিট আনলেও আয় বাড়তে পারে। কিন্তু এসব করতে সময় লাগে। জিনিষটার একটা ল্যাগ টাইম আছে। হুট বলতেই হবে না। অনেক প্ল্যানিং, ক্লায়েন্ট ধরা। ডাব্লু টি ও তে লবি করা। ইজি না।
  • partha | 155.41.248.48 | ১৮ মে ২০১১ ০০:৪৩419264
  • পাই ও দ্রী-এর কথার প্রেক্ষিতে আপাতত এইটুকু বলতে পারি যে ব্যাপারটা অবশ্যই ক্লাসিকাল। নিও-ক্লাসিকাল আলোচনা আমার নিজের বিশেষ জানা নেই। সমস্যাটা জিন এর এনভিরনমেন্ট এই ডুয়ালিজমকে ধরে যা আবার দার্শনিক টেক্সট অনুযায়ী nature/culture ডুয়ালিজমের সাথে যুক্ত। প্রশ্নটা থাকে এইভাবে- জিন এর এনভিরনমেন্ট কে কাকে নির্ধারণ করে? কার দিকে পাল্লাটা বেশি ঝুঁকে? জেনেটিক নির্ধারণবাদীরা অবশ্যই জিনের প্রভাবের দিকে ঝুঁকে থাকবেন। তাই এইদিকটা প্রথমে সামলানো যাক।
    একটা ক্লাসিকাল গল্প বলি, আপানারাও হয়তো জানেন। কিন্তু গল্পটা ডিবেটটাকে ইনিসিয়েট করতে পারে।

    প্রথমে একটু ক্লোনিং বিষয়টা বলে নিই। প্রথাগত কৃষিতে কৃষকরা অনেকদিন ধরেই গাছের কলম চাষ করে এসেছেন, গাছের একটি ডাল কেটে মাটিতে রোপণ করে অবিকল একই জিন বিশিষ্ট কিন্তু নতুন গাছ সৃষ্টি করেছেন। গাছের কলম তৈরি সম্ভবত মানুষের ইতিহাসের প্রথম ক্লোনিং (organismcloning) (কেউ অবশ্য একে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি করেননি)।

    এবার একটা এক্সপেরিমেন্ট-এর গল্প (টুকেছি রিচার্ড লিয়নটিন থেকে) - এক্সপেরিমেন্টটিতে প্রথমে কলম পদ্ধতিতে Achillea গাছের ডাল কেটে একটি পাহাড়ের বিভিন্ন উচ্চতায় রোপণ করা হয়। দেখা যায়, বিভিন্ন Achillea গাছ বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত। যেমন, একটি কলম হয়তো নিম্ন উচ্চতায় ফুল-ফল তৈরি করছে না, কিন্তু পাহাড়ের উচ্চতায় তা ফুল-ফলে ভরে উঠছে। অন্যদিকে অপর একটি গাছের কলম সম্পূর্ণ অন্য ফিনোটাইপ তৈরি করছে। অর্থাৎ, পাহাড়ের উচ্চতার সাথে Achillea গছের কলমগুলির ফিনোটাইপের কোনো নির্দিষ্ট প্যাটার্ণ নেই। তাই জীবের শুধুমাত্র বহি:স্থ প্রকৃতির পরিবর্তন তার ফিনোটাইপের বিপুল পরিবর্তন ঘটাতে পারে। জীবের বৃদ্ধি (development) শুধুমাত্র তার অন্ত:স্থ পূর্বপরিকল্পিত নিয়ম দিয়ে নির্ধারিত হয় না, অর্থাৎ তা শুধুমাত্র জিন দ্বারা নির্ধারিত হয় না। লিয়নটিন বলবেন -‘Developmentisnotsimplytherealizationofaninternalprogram;itisnotanunfolding.Theoutsidematters…Thereisno“best”or“largest”genetictype’
  • dri | 117.194.227.162 | ১৮ মে ২০১১ ০০:৫৬419265
  • যাত্তেরি!
  • pi | 72.83.97.171 | ১৮ মে ২০১১ ০১:০১419267
  • দ্রি, আপনার পোস্টের ক্লোনকে স্বস্থানে পৌঁছে দিয়েছি :)

    পার্থদা, চলুক।
  • dri | 117.194.227.162 | ১৮ মে ২০১১ ০১:০৬419268
  • যাইহোক, বুঝলাম। হ্যাঁ, আজকাল যেন বড্ড জিনের দামামা বাজছে। এক ধরণের জেনেটিক ফান্ডামেন্টালিজ্‌ম। মনে হয় জিন নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে বলেই। কিন্তু পাল্লা দিয়ে যেন জিনের নাম করে যথেষ্ট পাবলিক অ্যাওয়্যারনেস এবং ডিবেট ছাড়াই এইসব জেনেটিক সলিউশান পাবলিকের গলায় পুশ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। গোটা ব্যাপারটা খুব অস্বস্তিকর।
  • dri | 117.194.227.128 | ১৮ মে ২০১১ ০১:৫০419269
  • আমি দেখেছি মোটামুটিভাবে যারা বংশমর্য্যাদায় গর্বিত, তারা বায় অ্যান্ড লার্জ জিনের সাপোর্টার। আর পৃথিবীর এলিটরা তো বটেই। ইউজেনিক্স মুভমেন্টটার ভিত্তিও মোটামুটি এই। গুড জিন আর ব্যাড জিন। কিন্তু শুধু গুড জিনের বাঁচার অধিকার রিপ্রোডাক্টিভ রাইটের বিরুদ্ধে যায়। শুধু গাছ আর গাছের ক্ষেত্রে নয়, মানুষ আর মানুষের ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে, এনভায়রনমেন্ট সব রকমের জিনকেই একটা 'ফাইটিং চান্স' দেয়। বামপন্থীরা সাধারণভাবে তাতে একটু আশার আলো দেখেন।

    কিন্তু সত্যিকারের তথ্যভিত্তিক ডিবেটটা আপনি এগিয়ে নিয়ে যান। আপনি তো মনে হচ্ছে ডোমেইন এক্সপার্ট।
  • partha | 209.6.138.100 | ১৮ মে ২০১১ ০৩:০৮419270
  • আপনার সাথে য়ামি একমত দ্রী। ইউজেনিক্সের ভূত জি এম-কে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আর আমি কোনো এক্সপার্ট নই একেবারেই। বিষয়টি নিয়ে উৎসাহী শুধু। তবে, আমি এর যে যে পয়েন্ট গুলো উল্লেখ করেছি, তা নিয়েও আলোচনা হোক।

    এবার ফেরা যাক জেনেটিক নির্ধারণবাদ নিয়ে। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড কথাটির মানে দাঁড়ায় যে কোনো প্রজাতির একটি শুদ্ধ জেনেটিক গঠন আছে আর তাকে মডিফাই করা হচ্ছে। অনেকেই যাঁরা জি এম-এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, তাঁরা এই শুদ্ধ প্রজাতির তঙ্কেÄ বিশ্বাস করেন। আমি আগে কিছু লিখেছিলুম। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু কথা আছহে। তার থেকে একটু কোট করছি--
    ১। জিএমও-র জন্মের ইতিহাসকে জৈবদূষণের রূপকে ভাবার প্রবণতা জীবের এক শুদ্ধসত্তার ধারণা থেকে উঠে আসে। ভাবনার এই কাঠামোয় প্রতিটি জীব মেন্ডেলিয় জিনগতভাবে বিশুদ্ধ প্রজাতি। প্রযুকি্‌ত্‌বজ্ঞান যেন জিনোমের মধ্যে নতুন জিন প্রবিষ্ট করিয়ে তাকে অশুদ্ধ করছে, দূষিত করছে; প্রজাতিদের মধ্যে যে প্রাকৃতিক বিভাজন আছে তাকে লঙ্ঘন করছে৬। জিএমও সংক্রান্ত প্রযুকি্‌ত্‌বজ্ঞানের বিরোধিতায় তাই দাবি ওঠে জীবের ‘শুদ্ধ’ জিনোমে ফিরে যাওয়ার। প্রজাতির বিশুদ্ধতা রক্ষার আন্দোলন শুধু অনেকান্ত বিজ্ঞানের ভাষ্যকে নাকচ করে তাই নয়, তা আবার এক অত্যন্ত সমস্যাসংকুল রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করে; ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণ্যবাদ বা ইউরোপে ‘অ্যান্টি সেমিটিক’ রাজনীতির শুদ্ধ জাতি, জাতিসত্তা গঠনের এবং জেনেটিক শুদ্ধতার ইউজেনিক্সের ভাবনাকে পুষ্ট করে।
    ২। জীব ও পরিবেশের সংলগ্নতার বিশ্লেষণে সমস্যায়িত হয়ে পড়ে জিন/এনভিরনমেন্ট বিভাজনটি। ভারতবর্ষে আলু আমদানিকৃত হয়েছে মধ্য আমেরিকা থেকে কলোনি প্রভুদের হাত ধরে। আজকের ভারতে আলু রান্নাঘরের অবশ্যপ্রয়োজনীয় উপাদান। একইসাথে আলু ল্যাবরেটরিতে সালোকসংশ্লেষের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান তৈরি করে চলেছে, বীজ সংরক্ষণের জ্ঞান তৈরি করে চলেছে, বিভিন্ন সংকর তৈরি করে চলেছে। তাহলে আলু সামজিক না প্রাকৃতিক? ‘আলু’ নামক বর্গটি তাই সালোকসংশ্লেষ-স্টার্চ-উপনিবেশ-কৃষি-বাজার-অর্থনীতি-শারীরবৃত্ত ইত্যাদি ধারণার এক জটিল সমাহার। ‘আলু’র ধারণা প্রেক্ষিত (context) নির্ভর। অসংখ্য সম্পর্কের নিসর্গনৈতিক আদানপ্রদানে ‘আলু’ আমাদের সামনে মূর্ত হয়।
    ৩। বিবর্তনের তঙ্কেÄ ডারউইনিয় প্রাকৃতিক নির্বাচনের তঙ্কÄ বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রায় সর্বজনগ্রাহ্য। এই তঙ্কÄ প্রধানত বৃহ্‌ৎ জীবকূলের বিভিন্নতার আর বিবর্তনের কথা বললেও অণুজীবের বিবর্তনকে ব্যাখ্যা করতে পারে না, যদিও অণুজীব থেকেই বৃহ্‌ৎ জীবের উদবর্তন ডারউইনিয় ভাবনার এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। তাই ক্ষুদ্র প্রাণের, ব্যাকটেরিয়ার বিবর্তনকে, জীবনশৈলীকে বুঝতে দরকার হয় অন্যতর কোনো কল্পনা। একশ বছর আগে রাশিয়ার বিজ্ঞানী কন্সটানটিন মেরেশকোস্কি (ConstantinMereschkowsky) বললেন যে নতুন কোষের উদ্ভব হয় দুটি বিভিন্ন কোষের একীভবনের ফলে। যেমন তিনি বললেন গাছের সবুজ রঙের প্লাসটিড আদতে এক সবুজ ব্যাকটেরিয়া যা বিবর্তনে উদ্ভিদকোষে অন্তর্লীন হয়ে আছে। সেই ভাবেই সমস্ত কোষের এবং জীবের বেঁচে থাকার আবশ্যিক অঙ্গ মাইটোকন্ড্রিয়া আসলে একটি অক্সিজেন ব্যবহারকারী ব্যাকটেরিয়া। এইভাবে দুটি বা ততোধিক কোষের পরস্পরের সাথে মিলে যাওয়া, মিশে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে নতুন নতুন জীবের সৃষ্টি হয়। একটি নতুন জীব একইসাথে বিশিষ্ট এবং একাধিক জীবের সম্মেলন; একটি জীব একইসাথে এক এবং একাধিক। সম্মীলনী সৃষ্টির সাথে সাথে একাধিক ভিন্ন জীবের সম-বিবর্তনও নিশ্চিত হয়ে যায়। তাই প্রতিটি একক জীবের শরীরে একাধিক জীবেরও বিবর্তন হয়ে চলে। আজকের পৃথিবীতে প্লাসটিড ব্যতীত কোনো বৃহ্‌ৎ উদ্ভিদ বা মাইটোকন্ড্রিয়া ব্যতীত কোনো বৃহ্‌ৎ জীবের অস্তিত্ব অসম্ভব। বিবর্তনের কোনো আদি মুহূর্তে বিভিন্ন কোষের মিলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়ার তিনি নাম দেন অন্ত:মিথোজীবিত্ব (Endosymbiosis)।
    পরবর্তীকালে বিবর্তনের মিথোজীবিয় তঙ্কÄকে আধুনিক জীববিজ্ঞানের জিনতঙ্কেÄর প্রেক্ষিত থেকে আরো জোরদার করেন লিন মারগুলিস (২০০২)। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অজস্র উদ্ভিদ, প্রাণির জিনোম বিশ্লেষণ করে তিনি দেখান অন্ত:মিথোজীবিত্ব আজও সক্রিয়। তিনি দেখান কীভাবে একটি প্রজাতির জিন অন্য প্রজাতির জিনোমে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে মিশে যায় আর তা সেই প্রজাতিকে দেয় নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য। এই অর্থে পৃথিবীর প্রতিটি জীবই ‘জেনেটিক্যালি মডিফায়েড’। প্রতিটি জীবই জিনগতভাবে অশুদ্ধ। এই যুক্তিকেই আমরা উলটে দিয়ে বলতে পারি যে পৃথিবীতে আদতে শুদ্ধ জিনোমের কোন অস্তিত্ব নেই। প্রতিটি জীব তার শরীরে যে জিনোম বহন করে চলেছে তা যেমন ঐতিহাসিকভাবে অসমসঙ্কÄ, তেমনই তা প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন অসমসঙ্কÄতার জন্ম দিয়ে চলেছে। আমরা মানুষেরাও এই প্রক্রিয়ার বাইরে অবস্থিত নই। আমাদের জিনোমে, আমাদের দেহে বয়ে নিয়ে চলেছি লক্ষ কোটি বছরে আত্তীকৃত অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের অস্তিত্ব। মানুষের ইতিহাস তাই একভাবে অসংখ্য না-মানুষের সাথে এক সম-বিবর্তনের ইতিহাস।
    মানুষের অস্তিত্ব আবার শুধুমাত্র মিশ্রিত হয়ে থাকা জৈব-ইতিহাসটুকুই নয়, আমরা আক্ষরিক অর্থে আমাদের শরীরের ভূগোলেও বহন করে চলেছি লক্ষ কোটি অণুজীব যাদের সংখ্যা আমাদের দেহকোষের চেয়েও বেশি। অন্ত্রে আর চামড়ার অলিগলিতে নিযুত-কোটি অদৃশ্য ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাস আমাদের শরীরকে প্রতিমুহূর্তে নির্মাণ করে চলেছে। অথবা বলা যেতে পারে যে অণুজীবের বাস্তুতন্ত্রে আমাদের শরীর তার ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে। এই বাস্তুতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে আমরা অন্তত জৈবিকভাবে মৃত। অবশ্যই মিথোজীবীয় সৃষ্টিতঙ্কÄ নিয়ে জীববিজ্ঞানে কোন ঐকমত্য নেই; কিন্তু নানাবিধ বিতর্ক এবং সীমাবদ্ধতা থাকা সঙ্কেÄও জীববিজ্ঞানের সন্দর্ভে এটি একটি বৈপ্লবিক চিন্তা। আমরা দেখি ধারণার এই পরিসরে সমস্যায়িত হয়ে পড়ে জীবকূলের অনন্যতার ধারণা, বর্গীকরণের ধারণা, পৃথগীকরণের ধারণা; অপরদিকে তা একইসাথে এক জৈব সমারোহ, সংযোগের ভাবনাও যেন চারিয়ে দেয়।

  • partha | 209.6.138.100 | ২০ মে ২০১১ ০৩:০৮419271
  • আগের পোস্টগুলোতে জেনেটিক নির্ধারণবাদের লিমিট দেখানোর চেষ্টা করেছি। এনভিরনমেন্ট যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আমাদের সকলের alwaysalready জেনেটিক্যলি মডিফায়েড জিনোমটিও গুরুত্বপূর্ণ। এবার জি এম তৈরি করার পদ্ধতির দিকে ফিরে দেখা যাক। জি এম-এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে প্রথাগত কৃষি পদ্ধতির। প্রথাগত কৃষিপদ্ধতিতে জলাজঙ্গল সরিয়ে বিশেষ কিছু গাছপালাকে নির্বাচন করা হয়, তাদের চাষ করা হয়। যেমন অন্যান্য সব ঘাসের বৃদ্ধি বিনষ্ট করে পরিবেশের তারতম্য অনুযায়ী শুধুমাত্র ধান বা গমের মতো শস্যবীজ বা তাদের একই প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মধ্যে তৈরি করা অসংখ্য সংকরের চাষ করা হয়। যদিও এই নির্বাচন মানবিক, কিন্তু তা সবসময়ই আংশিক, কারণ নির্বাচনের প্রতিটি মুহূর্তে এবং সংকর সৃষ্টির মুহূর্তগুলিতে না-মানবিক প্রকৃতিও সক্রিয় থাকে। অপরদিকে জি এম-এর সৃষ্টি ল্যাবরেটরিতে ‘শুদ্ধ’ জীবের ‘শুদ্ধ’ জিনের পরিবর্তনের মধ্যে, সম্পূর্ণ মানবিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। ল্যাবরেটরিতে পরিবর্তিত জি এম জীবটিকে এবারে নিয়ে আসা হয় ল্যাবরেটরির বাইরে প্রথাগত কৃষির সংস্কৃতিতে। শিথিল মানবিক নিয়ন্ত্রণের এই পরিসরে জি এম-এর ভবিষ্‌য়্‌ৎ পরিবর্তনগুলি হয়ে পড়ে অনিশ্চিত, কারণ এখানে প্রকৃতির অংশগ্রহণ অবশ্যম্ভাবী। যাঁরা ল্যাবরেটরিতে কাজ করেছেন, তাঁরা ভাল করেই জানেন, ল্যাবরেটরির মধ্যে এমন সব phenomena তৈরি করা যায়, যা ল্যাবরেটরির বাইরের পৃথিবীতে কোনোদিন observe করা সম্ভব নয়। ল্যাবরেটরির টেস্ট টিউবে জি এম যে যে বৈশিষ্ট্য দেখায়, ল্যাবরেটরির বাইরে তা অনেক সময়ই observe করা সম্ভবপর হবে না। পরিবেশবাদীরা জি এম সংক্রান্ত তর্কে মূলত আপত্তি তোলেন এই অনিশ্চিতির সম্ভাবনার কারণেই।

  • partha | 209.6.138.100 | ২০ মে ২০১১ ০৩:১৭419272
  • তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে আমার অবস্থান কী? আমি এখানে একটি হাইপোথিসিস দেওয়ার চেষ্টা করছি। কোনো ফাইনাল থিওরি নয়। আমি এখানে anthopocentric অবস্থানটির একটি ক্রিটিক রাখছি।
    জি এম সম্পূর্ণরূপে একটি নৃকেন্দ্রিক প্রকল্প যেখানে মানুষের ‘হস্তক্ষেপ’ চূড়ান্তভাবে একমুখী, যেখানে না-মানুষ প্রকৃতির সাথে করমর্দনের কোন জ্ঞানতাঙ্কিÄক অবস্থান নেই। GMOishuman, alltoohuman। জি এম-র জন্ম, বিস্তার, মৃত্যু, ব্যবসা সবকিছুই মানুষের নির্ধারিত, নিয়ন্ত্রিত, দমিত। জি এম না-মানুষ প্রকৃতির অংশগ্রহণের সম্ভাবনার বাইরে অবস্থিত। বিটি তুলো কিংবা বিটি বেগুন আদতে কৃষিসংস্কৃতিকে আরো বেশি করে মানবিক, নৃকেন্দ্রিক করে তোলার প্রকল্প। সেই কারণেই জিএম ল্যাবরেটরির বাইরে চাষ করলে সমস্যা হয়, কারণ সে আরো অন্য অন্য গাছপালার সাথে নানাবিধ বিনিময়ের সম্পর্কে (যেমন, জিনের বিনিময়) জড়িয়ে পড়ে। জড়িয়ে পড়ার মুহূর্তটিতে তার নৃকেন্দ্রিক তঙ্কÄভূমিটির ভিতও নড়বড়ে হয়ে যায়। তাই সবসময় জি এম চাষের সাফল্য নির্ভর করে অন্য সকল প্রথাগত চাষের বিনাশের ওপরে। জি এম আবার একইসাথে বিশ্বায়িত পুঁজির তৃতীয় বিশ্বের ভূগোলে প্রসারিত হওয়ার একটি প্রকল্প। পুঁজিও জি এম-র মতো সহজে জড়িয়ে পড়তে চায় না আর সকল অ-পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক সম্পর্কের সাথে। জিনগত বিশুদ্ধতা আর পুঁজির শুদ্ধতা এখানে যেন হাত ধরাধরি করে আছে। তাই জি এম-এর আলোচনায় অর্থনীতি, অর্থের নীতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই কৃষিকে সংস্কৃতি, ইকলজি ইত্যাদি থেকে সরিয়ে এনে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কাজ হিসেবে reduce করাটা অনৈতিক।
  • debu | 72.130.151.116 | ২০ মে ২০১১ ১০:৩৭419273
  • পার্থ তো মনে হচ্চে জিনের সাবজেক্টে গুরু
    চালিয়ে যাও
  • . | 59.93.213.173 | ২০ মে ২০১১ ২১:২২419274
  • .
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন