এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ভাঙা প্রেম

    Paramita
    নাটক | ১৩ জুন ২০০৯ | ৩৬২৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ani | 122.169.215.155 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:০০417153
  • নতুন নতুন গুরুচন্ডালি আবিষ্কার করেছি আর "ভাঙা প্রেম" টইটা পড়ে প্রচুর বাড় খেয়ে গেছি | তাই ....

    -------

    সেই কেজি থেকেই পড়েছি বয়েজ ইস্কুলএ - ক্লাস ১০ অবধি সব বন্ধুই প্রায় ছেলে | নিজের বয়েসের মেয়ে বলতে আলাপ ছিল মাত্র দুটির সঙ্গে - পাড়ায় দুটো বাড়ি পরে থাকা নেড়ি আর বাবার বন্ধুর মেয়ে পিকু | তা এই পিকুর সাথে দেখা হত কয়েক মাস অন্তর আমরা ওদের বাড়ি বেড়াতে গেলে কিংবা ওরা আসলে, তাই ঠিক বন্ধু হয়তো বলা চলেনা | আর নেড়ি ছিল প্রচন্ড ঝগরুটে - আমার আগে সাইকেল চালাতে শিখেছিলো বলে কি আওয়াজই না দিত | এটাকে বন্ধু স্থানে ফেলা চলে | কিন্তু এই দুটির বাইরে আর তেমন কারুর সাথে আলাপও ছিল না |

    এহেন আমি ক্লাস ১১-এ এসে পড়লুম একটি কো-এড ইস্কুলএ | আই সি এস ই ছেড়ে এইচ এস-এ | এটি আবার কো-এড হয়েও ঠিক কো-এড নয় | মর্নিং সেশন মেয়েদের, ডে-তে ছেলেরা | নাই মামার চেয়ে কানা মামা ঢের ভালো! সকাল বিকেল পথে ঘাটে যে মেয়েদের ইস্কুলের নীল স্কার্ট গুলো কে হাঁ করে দেখতাম তেনারাও অনেকে এলেন সেইখানে | অনেকেই তার মধ্যে নাম জানা মুখ চেনা টাইপ | কেউ কেউ আবার আমাদের ক্লাসএরই ছেলেদের তত্‌কালীন প্রেমিকা | তেনাদের নাম মুখ ছাড়া আরও কিছু জানা | কিন্তু সবই জানা চেনাই থার্ড পারসনে |

    বাংলায় আমি চিরকালই বেশ কাঁচা - কোনমতে টুকে বানিয়ে আই সি এস ই-তে বাংলায় পাশ করেছি - তাই ক্লাস শুরু হবার আগেই বাবা নিয়ে গেলো ঐ ইস্কুল-এর বাংলা মিস-এর বাড়িতে, টিউশানএ ভর্তি করে দিতে | এই মিস-এর বর আবার বাবার আপিসের কলিগ - বোঝো ঠেলা | প্রথমদিন আসতে বললেন সকাল ছটার সময় |

    কোনমতে এলার্ম দিয়ে উঠে, বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া রবিন হুড সাইকেলে চেপে, গিয়ে পৌছালাম ছটা নাগাদ | গিয়ে দেখি বাইরের বাগানের গেট-এ তালা | কি আর করি, সাইকেলে রেখে গেট টপকে গিয়ে বেল বাজালুম | মিস বেরিয়ে এসে বললেন বারান্দায় বোস আমি আসছি | বসলুম | পরে বুঝতে পারলাম ইনি সকালে বারান্দাতেই পড়ান | এর আগে কোনো টিউশান পরিনি তাই সব ব্যাপারটাই কেমন নতুন নতুন ঠেকছিলো |
    কিছুক্ষণ পরে একটি মেয়ে এলো বি এস এ সাইকেলে চেপে | ব্রাউন রঙের স্কার্ট আর পিঙ্ক টিশার্ট | গেট-এ তালা দেখে ডাকাডাকি শুরু করলো | মিস গিয়ে তালা খুলে দিয়ে এসে - "তুই ঢুকলি কেমন করে ?" .... "কেন টপকে" .... "অ"

    জানা গেলো মেয়েটির নাম গার্গী | সেই নীল স্কার্ট ইস্কুলএরই | এই খবরে অতো সকালে ওঠার রাগ এক্কেবারে হাওয়া হয়ে গেলো :)

    নতুন খাতায় কিসব নোট নিতে লাগলাম | মাঝে মাঝে স্কার্ট টিশার্ট-এ পাশে বসা ভিন্ন গ্রহের জীবের দিকে দেখতে থাকলুম আড় চোখে | খাতায় লেখা পদবি দেখলাম মুখুজ্যে | হাথের লেখাটা আমার থেকেও বাজে |

    দেড় ঘন্টা বাদে ছুটি হলো | সাইকেলের স্ট্যান্ড নামাতে নামাতে বললাম -
    "কোন দিকে বাড়ি তোর?" "বি-জোন" |
    "তোর"? "এ-জোন" |
    "হেঁটে যাবি বড় রাস্তা অবধি"? "বেশ চল" |
    বড় রাস্তা এসে গেলো | দুটি পথ গেছে বেঁকে টাইপের জায়গা |
    গার্গী: "ঐ সামনের রোটারিটা অবধি হাঁটবি"? "চল" |

    সেই প্রথম দিন প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে গল্প করেছিলাম ঐ রোটারির পাশে | আজ এত বছর পরে ঠিক মনে পরেনা কি নিয়ে | কিন্তু ঐ এক ঘন্টাটা ঠিক মনে আছে | আর মনে আছে সেদিন বাড়ি ফেরার পথে হাত ছেড়ে খুব জোরে সাইকেল চালিয়েছিলাম |
  • Paramita | 63.82.71.141 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:০৩417154
  • আমার অনিবাবুর এই নিরাবেগ গপ্পোটা দিব্যি লাগলো।
  • pi | 128.231.22.89 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৩৩417155
  • আমারো :)
  • dipu | 59.164.98.30 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৩৭417156
  • অনিবাবুর লেখায় দাঁড়িগুলো বড়বড় হল কিকরে?
  • tkn | 122.161.165.96 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৫417157
  • আমারো।

    দীপু, এরেই কয় পূর্ণ যতি (জ্যোতি না) :-)
  • dipu | 59.164.98.30 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:২৯417158
  • হুম
  • ani | 122.169.168.138 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৫:৫৬417159
  • ঐ গুলো আদপে দাঁড়িই নয় .... আমি গুগুল transliteration ব্যবহার করি আর তাতে দাঁড়ি missing:)
  • ani | 122.169.179.167 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:১২417160
  • আসতে আসতে রবিবারের বাংলা টিউশানে জনসংখ্যা বাড়তে লাগলো আর সেই সঙ্গে ছুটির পরে সাইকেলে ঠেসান দিয়ে গল্পও | এহেন খবর তো আর বেশি দিন চাপা থাকেনা, তাই কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধু মহলেও রাষ্ট্র হয়ে গেলো যে আমি প্রেম করিতেছি | অথচ প্রেম করা বলতে তখন যা যা জানতাম - হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো, আমার তোকে ভালো লাগে বলা আর হয়তো চুমু খাওয়া - তার কোনটাই করিনা | নিজেদের মধ্যেও এই নিয়ে আলোচনা হত - "আচ্ছা আমরা কি প্রেম করছি?" "কই না তো" |
    তখন Statesman-এ প্রত্যেক বৃহস্পতিবার (?) করে একটা supplementary বেরোতো Voices বলে, বেশ ভালো লাগতো পড়তে ওটা | তাতে একবার একটা লেখা বেরিয়েছিল যার সারমর্ম হল গিয়া thedifferencebetweenagirlfriendandagirlwhoisafriend. খুব মনে ধরেছিলো বিশ্লেষণটা | তাই ঠিক করলাম গার্গী পরে দ্বিতীয় ক্যাটেগরীতে | কথা বলে দেখলাম অপর পক্ষেরও একই মত | অতি উত্তম এই সলিউশনে দুজনাই বেশ খুশি হলাম |
    ইতিমধ্যে ক্রম বর্ধমান জনসংখ্যায় যোগ হল সুতপা বলে একটি জীব - গার্গীর প্রতিবেশী, ক্লাসমেট এবং যারে-কয়-বেস্ট-ফ্রেন্ড | প্রথম দর্শনেই আমার ধারনা হল এ অত্যন্ত কুচুটে স্যাম্পেল, মতেই সুবিধার পাবলিক নয় | কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারলাম যে এহেন ধারনাটি পারস্পরিক | উটকো এই আগমনে নিয়মিত আড্ডায় খানিক ব্যাঘাত পড়তে শুরু করল, কিন্তু একেবারে উঠে গেল তা নয় |
    টিউশানে আরও কিছু স্কার্ট পরিহিতারা যোগ দিলেন ঠিকই কিন্তু বাংলা সাবজেকটির প্রতি আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ বৃদ্ধি পেলনা | কেবল মন ছুক ছুক কখন এই কর্ণ কুন্তি নিয়ে ভাটানো শেষ হবে | অতএব রোজই - "মিস আজকে আগে আগে ছেড়ে দেবেন, একটু কাজ আছে" | কাজটা যে কি টা তা মিসএরও অজানা নয়; রোজ ক্লাস-এর পরে বাজার করতে যান রোটারির পাশ দিয়ে আর তাকিয়ে মুচকি হাসেন | আমরাও হাসি |
    ইতিমধ্যে এই রবিবার সকালের রোটারি কাহিনী কারুর জানতে বাকি রইলোনা | একদিন ইস্কুলে দুটো সর্বঘটের কাঁঠালী মার্কা ছেলে গার্গীকে নিয়ে কিছু একটা বললো - এখন আর ঠিক মনে নেই কি - সন্ধ্যেবেলায় বন্ধুদের নিয়ে ঐ দুটোকে রাস্তায় পাকড়ে ঠেঙ্গালুম | শুনে:
    গার্গী: "তুই মারপিট করলি?"
    "করব না?! দুদিন নীল স্কার্ট-এর সাথে গল্প করে কি ১১ বছরের বয়েজ ইস্কুলের ঐতিহ্য ভুলে যাবো?"
    এহেন অকাট্য লজিকের পর এই নিয়ে কথোপকথন আর বিশেষ এগোলো না |
    কিন্তু ছোট শহরে তো আর ইস্কুল পড়ুয়েরাই থাকেনা, থাকেন তাদের বাবা মা-রাও | একদিন রাত্তিরে খাবার টেবিলে:
    বাবা: "আজ রায় বলছিলো, আপনার ছেলেকে প্রায়ই দেখি একটি মেয়ের সাথে দাড়িয়ে থাকতে"
    মা: "তুমি কি বললে?"
    বাবা: "একই মেয়ের সাথে দেখেন কি রোজ? তাহলে চিন্তার কিছু নেই"

    বাংলার সাথে যোগ হল ইংরেজি | মঙ্গলবার করে | তিনি পরবেন টিউশান আর আমি যাবো ক্লাস-এর পরে নোটএর খাতা নিতে | একটি ছোট অসুবিধা তাতে, একই সময়ে আমার কেমিস্ট্রি টিউশান | কই পরোয়া নেহি, মারতে লাগলুম ডুব | একটা টিউশান পার্মানেন্টলি কাটানোর উপরি সুবিধা আছে - মাইনেটা পকেটস্থ করা যাবে | আবার নোটএর খাতা ফেরত দেবার জন্যও দেখা হবে :)

    ১১-১২য় বেশ হাসি খুশি দিন কাটতেছে - বন্ধুদের ঠেক, অগুন্তি সিনেমা, মাঝে মাঝে আবার ঝুমুরএ কুমারী দুলহন এবং গার্গী | হঠাত একদিন দেখি বাড়িতে এসে উপস্থিত সোমনাথ | আমাদের ক্লাসে্‌সর ফার্স্ট বয়, বর্তমানে কলকাতার নামজাদা ইস্কুলের ছাত্র | বিশেষ বন্ধু কোনো কালেই ছিল না - ফার্স্ট বয়দের সাথে কে আবার বন্ধুত্ব করে! তা কি চাই বাপু তোমার?
    "শুনেছি তুই গার্গীর খুব ভালো বন্ধু, আমি ওকে খুব ভালবাসি তুই আমার চিঠি ওকে দিতে পারবি?"
    "আঁ?!"
  • dipu | 59.164.191.95 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:০২417161
  • হেবি চেনা চেনা লাগছে :-)
  • ranjan roy | 122.168.240.247 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:১৭417163
  • মামলা ফিট। জমে গেছে, ক্ল্যাসিক্যাল মডেল। আগে বাড়ো।
  • ani | 122.169.179.167 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৪০417164
  • গার্গীর সাথে কথা বলে জানা গেল যে সোমনাথ পূর্ব পরিচিত, ফ্যামিলি ফ্রেন্ডের ছেলে |
    "আমার ওকে বেশ লাগে" | ব্রেশ ব্রেশ |
    "একটা অগামুখো স্বার্থপরের সাথে প্রেম করতে চাস? কর গে, আমার কি"
    "ও স্বার্থপর হতে যাবে কেন? আর অগামুখো তোকে কে বললে?"
    "ওর সাথে এক ক্লাস-এ ১১ বছর কে পড়েছে? আমি না তুই?"
    "সব জেনে বসে আছিস তুই!"

    আসতে লাগলো চিঠি - খামের মধ্যে পোরা, আঠা দিয়ে খামের মুখ বন্ধ | দিয়ে দিলুম | কিন্তু বাড়িতে এই সব চিঠি নিয়ে যাওয়ায় নাকি রিস্ক আছে | অতএব রাস্তাতেই পড়তে হবে |
    "কিন্তু রোটারির পাশে বড় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়ছি, কেউ যদি দেখে ফেলে?"
    "একটু দুরেই পার্ক আছে, সেখানে ঢুকে পড় তাহলে"
    "টিউশানের পরে পার্কে ঢুকছি কেউ যদি দেখে ফেলে?"
    "প্রেমও করবে রিস্কও নেবেনা, তা কি হয় মামনি?"
    "হুমমম... বেশ তুই তাহলে চল আমার সাথে পার্কে"
    "তুই পড়বি প্রেমপত্র আমি দাঁড়িয়ে গার্ড দেব?!" .... করুণ চাহনি .... "আচ্ছা চল"

    চিঠি চাপাটি চলছে কয়েক মাস যাবত | নিয়মিত রুটিনে আমাদের দেখা সাক্ষাতও | প্রেমিক সম্মন্ধে তেনারও মত বদলায় না, আমারও না | শুনলাম সুতপাদেবিও নাকি সোমনাথ কে বিশেষ পছন্দ করেন না | সুতপা আর আমার কোন একটা টপিকে মতের মিল হওয়াতে যারপরনাই আশ্চর্য্য হলাম |

    কলকাতা থেকে চিঠিগুলো আসত মেনলি দেবর্ষির হাত মারফত | দেবু আমার বিশিষ্ট বন্ধু, এককালিন ক্লাসমেট এবং বর্তমানে সোমনাথ-এর সহপাঠি কলকাতার ঐ ইস্কুলে | একদিন দেবু এসে খবর দিলো যে সোমনাথ নাকি বলে বেড়াচ্ছে আমি গার্গীকে ওর কাছ থেকে ভাঙিয়ে নিচ্ছি | শুনে গাপত্তর জ্বলে গেল | দুই বন্ধু মিলে শুয়ার ইত্যাদি বলে উদুম খিস্তি খেউর করলাম | কিন্তু গার্গীকে কিছু বললাম না |

    আমার জন্মদিনে একটা কার্ড দিলো আমায় - "যেন ১০ বছর পরেও আমরা বন্ধু থাকি" লেখা |

    ইতিমধ্যে আমি মাঝে মাঝে গার্গীদের বাড়িতে যেতাম | ওর মা মিষ্টি খেতে দিত আর শেন্য দৃষ্টিতে লক্ষ্য রাখতো পর্দার ওপার থেকে | তাঁর ধারনা আমি একটি অত্যন্ত বখাটে ছেলে আর ওনার মেয়ে আমার সাথে প্রেম করে | গার্গীর বাবা বেশ লোক, দেখা হলেই "কি হে, খবর ভালো তো" বলতেন | ওর বাবার শুধু একটি দোষ ছিল ফোনে সবাই কে আপনি করে কথা বলতেন .... ফোন করে "কাকু গার্গী আছে" বললেই "আচ্ছা ধরুন" বলতেন | এহেন কনভারসেশানটা গার্গীকে বলেছিলাম, তারপর থেকে হঠাত করে "ও তুমি, আচ্ছা তুমি ধর, আমি ডেকে দিচ্ছি" হয়ে গেল :)

    দুগ্গাপুজো এলো | সেবার এইচ এস বলে আর কলকাতায় যাইনি | আমাদের ঠেক ছিল একটা পার্টিকুলার প্যান্ডেল | সব বয়সের ছেলে মেয়েরা দল বেঁধে আসত, যে যার নিজের গ্রুপের জটলা থেকে অন্যদের ঝারি মারতো | আমাদের বন্ধু গ্রুপে কেউই প্রেম ট্রেম করতো না .... তাই মেয়েদের সাথে ঠাকুর দেখা ইত্যাদি হ্যাপা ছিলনা | নিজেদের মতন থাকতাম, সাইকেল নিয়ে এই মন্ডপ থেকে ঐ মন্ডপ টোটো করে ঘুরে বেড়াতাম আর কোথাও মেয়ে দেখতে পেলেই হাঁ করে গিলতাম | সেবার অষ্টমীর দিন সন্ধ্যেবেলায় গার্গীর সাথে দেখা, বাবা মার সাথে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে | নীল রঙের একটা শাড়ি পরে | কেন জানিনা সেদিন ওর সাথে বেশি ভাটাতে কেমন বাধো বাধো ঠেকলো | দু-একটা কথা বলে পালিয়ে এলাম নিজেদের গ্রুপে | কে একটা বললো চল হোস্টেলের ঠাকুরটা দেখে আসি | খানিকক্ষণ টালবাহনা করে চলেও গেলাম | কিন্তু অন্য কোনো প্রতিমাই সেদিন আর ভালো লাগছেনা | কেবল ঐ নীল শাড়ি চোখের সামনে ভাসছে ... যা লাগছিলো না ..........

    যাই হোক, দুগ্গাপুজো ভাইফোঁটা শেষ আবার ইস্কুল শুরু | একদিন হঠাত করে:
    "শোন তুই আর আমাকে সোমনাথের চিঠি দিস না" .... যা কলা এ আবার কি!
    "কেন?"
    "না দিস না | ও দিতে চাইলে বলে দিবি আমি বারন করেছি"
    "আরে কেন বলবি তো রে বাবা"
    "বড্ড বেশি প্রশ্ন করিস তুই, যেটা বলছি করবি ... সব কিছু না জানলেও তোর চলবে"
    "যে আজ্ঞে দিদিমনি"

    সামনেই এইচ এস, তার উপরে আবার জয়েনটের খাঁড়া ঝুলছে | এতদিনের এতো ফাঁকি দেওয়া যাবে কোথায় .. পড়লুম অথৈ জলে | দেখা সাক্ষাত আর অতো হয়না, হলেও আড্ডার বহর অনেক কম | এরই মাঝে একদিন জিজ্ঞেস করলাম:
    "তুই বললি না তো কেন চিঠি নেওয়া বন্ধ করলি?"
    খানিক তাকিয়ে বললে ....
    "সোমনাথ তোর আমার মেলামেশা পছন্দ না | তুই নাকি সুবিধের ছেলে নস | যে নিজের প্রেমিকা আর বন্ধুকে এইটুকু বিশ্বাস করতে পারেনা, তার সঙ্গে কি আর প্রেম করা যায়"
    আমি তাকাতে ... "জানি তুই বলেছিলিশ আগেই, মনে করিয়ে দেবার কোনো প্রয়োজন নেই"
  • ani | 122.169.179.167 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৯417165
  • এইচ এস হয়ে গেলো | কেমিস্ট্রিতে হুলিয়ে টুকলাম | জয়েন্টও শেষ | রেসাল্টও বেরিয়ে গেলো এক এক করে | তেমন ভালো কিসুই হলো না | কোনো টাতেই | কোথায় ভর্তি হবো এই ভাবনায় মাথা খারাপ | নানান জায়গায় ঘুরে বেরাচ্ছি, ফর্ম তুলছি - কলকাতা, শান্তিনিকেতন, ধানবাদ যেখানে পারছি ফর্ম জমা দিচ্ছি |

    অবশেষে দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে ঢুকলাম | শুনলাম গার্গীও কলকাতায় পড়বে | কলেজ স্ট্রীট-এ |

    বাড়ি ছাড়ার আগে গেলাম ইস্কুলে বাংলা মিসএর সাথে দেখা করতে | স্টাফ রুমে সবার সামনে প্রশ্ন করলেন "কি রে তোর গার্গী কেমন আছে?" পরিচিত স্যারেরা মুচকি হাসলেন | কিন্তু বিনা বাক্যে চুপ করে থাকার পাত্র আমি নই: "কে বললো আপনাকে গার্গী আমার?"
  • dd | 122.167.26.0 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৩417166
  • অনি কিন্তু পোস্টিং শেষ করে একেবারে মোক্ষম যায়গায়।
    ব্রাভো।
  • ani | 122.169.179.167 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৭417167
  • থাঙ্কু থাঙ্কু ... যাতা বার খাচ্ছি এবারে :)
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৯417168
  • "একই মেয়ের সাথে দেখেন কি রোজ? তাহলে চিন্তার কিছু নেই' - জ্জিও। এখনো হেসে চলেছি। :)
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১১417169
  • আমিও। :))
  • dipu | 59.164.191.95 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১৩417170
  • আম্মো :-)
  • Tim | 71.62.121.158 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:২৮417171
  • বোঝো! আম্মো! :)
  • ranjan roy | 122.168.200.39 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৩৭417172
  • উ:, অনি'র বাবা কেন আমার বাবা হলেন না? তাহলে আমার জীবনটা একটু অন্যরকম হতে পারতো।
  • tkn | 122.173.176.52 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৫৬417174
  • আমার আর সে দু:খ নেই, কালে কালে আমিও এমন ডায়লগ দেব। শিখে নিলাম :-)
    এবং হ্যাঁ, হাসছি :-)
  • dd | 122.167.26.0 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:০২417175
  • কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে পাচ্ছে গালে টোল রিস্কাম্যানেজার সৌরভের লগে স্কার্ট পরা বাংলা পড়া গার্গীর বে দিয়ে দি।

    জমবে।
  • tkn | 122.173.176.52 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:০৪417176
  • ডিডিদাআআআআআ, নো ম্যাচ মেকিং :-(((
    সৌরভের কি হইল তাহা টিকেন ছাড়া এখোনো কেহই জানে না :-((
  • Samik | 122.162.236.234 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:২৯417177
  • হুঁ, তেকোনা বোধ হয় এখন ডোনা গাঙ্গুলি। এমন কল্লে খেলবে না।
  • tkn | 122.173.176.52 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩৬417178
  • না: তা নই, তবু খেলব না :-)))

    অত আঙুল বাঁকালে ঘি উঠবে কিন্তু আঙুল আটকাবে, বুঝবে তখন মজা :-))
  • ani | 122.169.179.167 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৪০417179
  • কিন্তু শমীকদা আপনি তো সেই যে দু মিনিট দাঁড়াতে বলে গেলেন তো গেলেনই ....
  • Samik | 122.162.236.234 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:১৯417180
  • সোমবারে বসতে পাবে। আপাতত দাঁড়িয়েই থাকুক কমলা সালোয়ার কামিজ, ঘিয়ে রঙের সোয়েটার।
  • ani | 122.169.179.167 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৫৭417181
  • কলেজ লাইফ শুরু হয়ে গেল | নতুন শহর, নতুন বন্ধু, নতুন সব সিনেমা হল ... প্রচুর মস্তি | দেখা আর হইনা প্রায় | আমি থাকতুম হাওড়ায় কাকার কাছে, সেখান থেকে দক্ষিণ কলকাতায় কলেজ করা ... গার্গী থাকতো হেদোর কাছে একটা হোস্টেল-এ | এক আধ দিন যেতাম কলেজের সামনে দেখা করতে .. কিন্তু বেসিকালি নিজেদের নতুন লাইফ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরছিলাম | ঐ পাঁচমিশালী হোস্টেল-এ ফোন করাও আরেক চাপের ব্যাপার!

    বেশ কয়েক মাস বাদে এক সোমবার হঠাত করে দেখা ... সকালবেলা স্টেশনে .... ট্রেন ধরে দুইজনেই বাড়ি থেকে কলকাতা আসবো | তখন কলেজে পড়ি, নতুন নতুন সিগারেট ধরেছি - প্রচুর কেতা | গেলাম মুখে একটা ধরিয়ে টিকিট কাউন্টারের সামনে (তখন তো আর এতো নো স্মোকিং-এর ঝনজোট ছিল না) | ট্রেন আসার সময় এগিয়ে আসছে বলে যে যার মতন প্লাটফর্ম-এ চলে গেলাম | গিয়ে দেখি গার্গীর সাথে ওর মা! আমায় দেখে বললেন - "তোমরা সব এখন বড় হয়ে গেছো"... পিছন থেকে কন্যা রত্নটি মিচকি মিচকি হেসে চলেছেন | আহাম্মক কোথাকার! বল একবার সাথে মা আছে মুখ থেকে সিগারেটটি ফেলো ... এই জন্যই মেয়েদের সাথে বেশি মিশতে নেই .. বেকার বেকার একটা কেস খেয়ে গেলুম :-/

    ট্রেন আসলো, মা মেয়েকে যত্ন সহকারে লেডিস কামরায় তুলে দিলেন | আমি আর কি করি, উঠলাম পাশের কামরায় | ভিড়ের মধ্যে একা একা দাঁড়িয়ে বোর হচ্ছি আর ভাবছি মা একবার দরজা পেরিয়ে আয় ইদিকে | ওমা দুটো স্টেশন পেরোতে না পেরোতেই তিনি হাজির | মনে মনে ভাবলাম একেই ফেলুদা বলেছিলো টেলিপ্যাথির জোড় :)

    কলকাতায় পৌঁছে ঠিক করলাম এই উইকেন্ডে একটা সিনেমা দেখতে যাবো দুজনে |NewEmpire-এ NeverBeenKissed. এর আগে NE-তে যত সিনেমাই দেখেছি সবই খাঁচায় | এই প্রথম ব্যালকনিতে | কোনার দিক দেখে সিট নিলাম | কেন ঠিক জানিনা ... কিন্তু ঐ তবুও | সিনেমা শেষ হয়ে গেল .. মন বেশ উত্‌ফুল্ল .. যদিও কোনো কারণ নাই ... যে কবার হাত থেকে গেসলো দুজনেই তত্‌পর হয়ে সরে বসেছিলাম |
    এর পরে বেশ ঘন ঘনই দেখা হতে লাগলো .... ধর্মতলা চত্তরে আরও কিছু সিনেমা, কিছু রেস্তঁরা আর মাঝে মাঝে কফি হাউস |

    কলেজে এর মধ্যে কয়েকটা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়েছে - তাদের মধ্যে দুজনকে বললাম ঘটনা সমূহ | উত্‌সাহ দেবার ব্যাপারে তারা কোনো কার্পন্য করলে না | কিন্তু নিজেই সিওর নই উত্‌সাহ দিয়ে কি করব :-( বার বার ভাবি তবে কি সত্যি করে প্রেমে পরে গেলাম? যদি গার্গীকে বললে এত ভালো একটা বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়? আমরা যে ঠিক করেছিলাম প্রেমে ট্রেমে পরবনা, বন্ধুত্বর বারোটা বাজাবো না?

    এই সব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে মাস দুয়েক কেটে গেল | কিন্তু ডিলেমা আর দূর হয় না | এর মধ্যে আর গার্গীর সাথে দেখা করার রিস্ক নিচ্ছি না | ফোনও করছি না | অদ্ভূত ব্যাপার ও করছেনা একটা ফোন | এর আগে তো দিব্যি দু তিন দিন বাদেই ফোন করতো, নয়তো দেখা করতে চাইতো! এটা কিরম হচ্ছে?
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:০০417182
  • হুম্‌ম্‌ম্‌। আমাদের সময়ে তো লোকে প্রেমে পড়লে ছল-ছুতো করে দেখা করত। আজকাল বুঝি অ্যাভয়েড করে ;)?
  • Tim | 71.62.121.158 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:২৮417183
  • ঐ সিনিমাটা এখন দেখাচ্চে টিভিতে। কি কোয়েন্সিডেন্স! :)
  • dipu | 59.164.191.95 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৬:১৯417185
  • হুঁ, বোঝাই যাচ্ছে এটা হাওড়ার গল্প। ওইজন্যি অ্যাত চেনা চেনা ঠেকছে :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন