এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বচ্ছন্দে ছন্দ শিখুন: আনন্দ পুরস্কার গ্যারান্টেড

    `'
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৮২৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:১৯391333
  • সোমনাথ এখানে ছন্দ শেখাবে। ৫ দিনের মধ্যে যদি গোঁসাই এর মত লিখতে না পারেন, সবাই মিলে ক্যালাবেন।
  • omnath | 61.14.13.7 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৪:১০391444
  • কাকে ক্যালাবে? সোমনাথকে না তোমাকে? না গোঁসাই কে? না আনন্দ পুরস্কার যারা দেয় তাদের? না মামুকে, তোমায় এই খোরাক করার স্পেস দোয়ার জন্যে?

    অবিশ্যি এই থ্রেডটা আমার খোলার কথা অনেকদিন আগে। অরিজিৎ দার স্পেশাল রিকোয়েস্ট ছিল।

    ভিকিদা হেব্বি ছন্দ জানে, কিন্তু এখনো আনন্দ পুরস্কার পায় নাই। তাই তোমার তত্ব প্রথমেই বাতিল। এসো। হ্যাজানোর জন্যে হাততালি।
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৪:১৫391555
  • যার যাকে ক্যালানোর ইচ্ছে হবে তাকেই ক্যালাবে, ইচ্ছেটাই বড় কথা, ইচ্ছেপূরণ নয়। কিন্তু আমি আবার তঙ্কÄ আমদানি করলুম কোথায়? কি মুস্কিল।
  • Arijit | 128.240.233.197 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৪:৪৪391666
  • রিকোয়েস্ট ছিলো যখন মনে আছে - তখন লেগে পড়ো না বাপু।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৪:৫১391683
  • ওমনাথ খেরে গেল কেন? আজকাল বাজারে দাহ্যপদাত্থো বড় সুলভ। আর সবাই হাসার জন্য লাফিং কেলাবে যায়।

    নাও ক্লাস নেওয়া শুরু করে দাও।
  • dd | 122.167.12.156 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৫:৩৩391694
  • ছন্দকার সোমনাথ জানে মাত্রাবৃত্ত
    ইত্যকার যত সমাধান। তার চিত্ত
    নৃত্যপর, ব্যাকরনে যদি নাহি ভ্রান্তি
    থাকে । তবেই মংগলময় শান্তি
    সর্বস্থানে। অত:পর কোনো উচ্চবিত্ত
    গোলাপিত মারুতিরে করেনা বর্জিত
    তাহারে মার্জনা কভু করেনা অর্জিত।
    কেবা হারে? কার জিৎ? ভুলেও কেঁদোনা
    অতিরিক্ত বাড়ী ক্রয়ে হৃদয়ে বেদনা
    জাগালে তবে কারে দাও দোষ? আক্রোশ
    কিসের? সনেটের বম্বাস্টিক আইন
    এতোক্ষনে ল্যাখা হলো দ্বাদশ লাইন।
    এট্টু পরে বাড়ী যাবো। ধান্দা শেষ। গদী
    পাতবো।যা চুলোয় চতুর দশপদী।
  • Arijit | 128.240.233.197 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৫:৫৬391705
  • মারুতি নয় - হাইয়ুন্ডাই। নাকি ডিডি ন্যাজওয়ালা মারুতির কথা বলেন?
  • Arpan | 193.134.170.35 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৬:০৫391716
  • আরে এটার অন্য অর্থও হয়।

    মারুতি অর্থ বায়ু। গোলাপিত মারুতি অর্থ এয়ার ফ্রেশনার লাগিয়ে বাতাসে গোলাপের খুশবু বেরোচ্ছে। উচ্চবিত্তের বাড়ীতে। এবং অর্জিত তাহাদিগকে কভু মার্জনা করে না এই উচ্চবিত্ত বিলাসের জন্য। ;-)
  • Arijit | 128.240.233.197 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৬:০৭391727
  • ধেৎ - মরুৎ মানে বায়ু। মারুতি হল পবননন্দন - অপ্‌প্‌ন ফের ভুল বকছে।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৬:১২391334
  • ফের মানে কী হে? আর ঐটুকু পোয়েটিক লাইসেন্স।
  • sahana | 59.93.240.144 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২৩:৪২391345
  • ছন্দের ভিতরে এত অন্ধ কার বুঝিনি তো আগে!
  • Samik | 195.212.29.171 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:২৬391356
  • অপ্পন ছড়িয়ে এবার গোটাচ্ছে। বলে কিনা পোয়েটিক জাস্টিস? আর্ষপ্রয়োগে বাপ বেটা একাকার?
  • m_s | 202.78.233.36 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১০:১৪391367
  • কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা, "কবিতার ক্লাস' বইটিতে দেখলুম, "অক্ষরবৃত্ত' ছন্দের কিছু উদাহরণ সহ ব্যাখা আছে।

    চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির.....এই পঙ্‌ক্তিটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রয়েছে।
    এখানে সাধারণ ও যুক্তাক্ষর মিলিয়ে মোট ১৪ টি অক্ষর আছে। নীরেন্দ্রনাথ লিখেছেন যে, "মাত্রা'ও আছে ১৪টি।
    কিন্তু দেখুন, যুক্তাক্ষরগুলিকে ভেঙ্গে আলাদা ক'রে গুণলে (চিত্‌ত যেথা ভয়শূন্‌য় উচ্‌চ যেথা শির), ১৭ টি হচ্ছে। আবার যদি হসন্ত ( ্‌ ) উচ্চারণগুলিকে আর্দ্ধেক মাত্রা ধরি { (চি(ত্‌)ত যেথা ভ(য়্‌)শূ(ন্‌)য় উ(চ্‌)চ যেথা শি(র্‌) }, তবে সাড়ে-১৪ হচ্ছে।

    তবে কি মাত্রা গুণবার সময়, হসন্ত উচ্চারণগুলিকে অর্দ্ধ(১/২)-মাত্রা গুণতে হবে ?
  • Somnath | 59.93.160.121 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:৩০391378
  • ৮৫ পাতা পড়ে নে। "সব ছন্দই কি সিলেবিক্‌"। অক্ষরবৃত্তে কখন রুদ্ধ সিলেবল্‌ (হসন্ত স্বর) এক মাত্রা হবে, আর কখন দু মাত্রা।

    যুক্তাক্ষর থাকলে হসন্ত স্বর টা পরের মুক্ত স্বরের উপর যদি দাঁড়াতে পারে তবেই সেটা এক মাত্রা।

    যেমন মনে কর একটা লাইন -

    রক্ত মাখা হাত নিয়ে দাঁড়িয়েছি মৃত্যুসীমানায় .....

    এখানে "রক্ত"-এর রক্‌ = ১ মাত্রা। কারন এটা "ত" -এর উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
    কিন্তু হাত দুই মাত্রা। কারণ হসন্ত স্বর হয়েও এটা ভর দেওয়ার মত কোনো মুক্ত স্বর (যেটা হতে পারতো "নি") পায় নি।
    তেমনি মৃত্যু -র মৃৎ ১ মাত্রা, কারণ এটা "তু" -এই মুক্ত স্বর টার উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছে।

    আবার ধর -

    ভাত বেড়েছি খেয়ে যাও পড়ে থাকলে ঠাণ্ডা হয়ে যাবে ....

    এটা যেহেতু উচ্চারণের সময় আমরা বলে থাকি

    ভাদ্বেড়েছি খেয়ে যাও / পড়ে থাক্লে / ঠান্ডা হয়ে যাবে

    ভাত ১ মাত্রা, কারণ "বে" -এর উপর দাঁড়িয়ে আছে
    থাক ১ মাত্রা, কারণ "লে" -এর উপর দাঁড়িয়ে আছে
    ঠান ১ মাত্রা, কারণ "ডা" -এর উপর দাঁড়িয়ে আছে

    কিন্তু যাও ২ মাত্রা কারণ এটাকে কোনো ভাবেই "প" এর উপর দাঁড় করানো যাচ্ছে না।

    অথচ ভাত্‌, থাক্‌ ঠান্‌ যাও এই চারটেই এক একটা হসন্ত স্বর।
  • m_s | 202.78.233.36 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৩:১৭391400
  • সোমু'দা,
    এইবার দেখুন, ঐ লাইনটিকে মুক্ত আর রুদ্ধ সিলেব্‌ল্‌ অনুযায়ী ভেঙ্গে লিখলে , ১৪ টি মাত্রা বেশ সুন্দর বোঝা যাচ্ছে।

    (চিত্‌) = ১ মাত্রা;
    ত = ১ মাত্রা;
    যে = ১ মাত্রা ;
    থা = ১ মাত্রা;
    ভ = ১ মাত্রা;
    য় (উচ্চারণ- এ/য়ে) = ১ মাত্রা;
    শূন্‌ = ১ মাত্রা;
    য-ফলা (উচ্চারণ- ন) = ১ মাত্রা;
    উচ্‌ = ১ মাত্রা;
    চ = ১ মাত্রা;
    যে = ১ মাত্রা;
    থা = ১ মাত্রা;
    শি = ১ মাত্রা;
    র = ১ মাত্রা

    এই মোট ১৪ টি মাত্রা। এতক্ষণে বুঝলুম। থ্যাঙ্কিউ :-)
  • Somnath | 59.93.200.153 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৩:১৭391389
  • আমি এখানে লিখতাম না। টপিক এর "আনন্দ পুরস্কার গ্যারান্টেড" আর প্রথম পোস্ট এর "৫ দিনের মধ্যে যদি গোঁসাই এর মত লিখতে না পারেন" ক্লজ দুটোর জন্যে। ছিটেফোঁটা টিকিকোটের এ দুইটি বাক্যের জন্যে কিছু পাওনা রইল।

    সমস্যা হল বেশিদিন খার ধরে রাখার ধারাবাহিকতার অভাব, আর ব্যক্তিগত সম্পর্ক সচেতনতা।

    রেফারেন্স পড়াশুনো র লিস্টি দিয়ে দিই। সব পড়া হয়ে গেলে ক্লাস শুরু হতেও পারে।
    ১) সবার প্রথমে আগাগোড়া পড়ে ফেলতে হবে "কবিতার ক্লাস" - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (অরুণা প্রকাশনী) - ত্রিশ টাকা (১৯৯৮)
    ২) তারপর পড়বে "ছন্দের বারান্দা" - শঙ্খ ঘোষ (অরুণা প্রকাশনী) - পঞ্চাশ টাকা

    স্বাক্ষরতা হয়ে গেল। এবার আরো পড়বে কিনা ইন্টারেস্টের ব্যপার। থিয়োরিভরা বোরিং কিন্তু ভিত্তিস্তম্ভ টেক্সট বইগুলো ও লেখা থাক

    ৩) বাংলা ছন্দের মূলসূত্র - অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) - ৮০ টাকা (১৯৯৭)
    ৪) নূতন ছন্দ পরিক্রমা - প্রবোধচন্দ্র সেন (আনন্দ) ৮০ টাকা (২০০৪)
    ৫) ছন্দোগুরু রবীন্দ্রনাথ - প্রবোধচন্দ্র সেন (আনন্দ) ১০০ টাকা (২০০৩)

    ৬) ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ) ১১৫ টাকা (১৯৯৭) (রবীন্দ্র রচনাবলী একাদশ খণ্ড)

    প্রবোধচন্দ্রের আরো গুচ্ছ বই আছে, যত পড়বে তত কনফিউজ হবে। রবীন্দ্রনাথের লেখাটা আমি সাজেস্ট করব সবার শেষে, কারণ পুরো ব্যাপার টা ভালোভাবে আগে না বুঝে নিলে ওঁর নিজের যা যা প্রশ্ন আর কনফিউশন সব সংক্রমিত হবে। মনে রাখা দরকার তখন ও বাংলা ছন্দের কোনো পষ্ট নিয়ম কানুন লিপিবদ্ধ নেই। দাদু যাই লিখছেন তাই ছন্দ, লোকে সেটাই ব্যাখ্যা করছে। এবং, অথচ, শেষে পড়লে লোকটাকে পাতি ভালোবেসে ফেলতে হবে। খেলায় লিখছে, হেলায় লিখছে।

    ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকার সুবিধেয় আর শ্রদ্ধায় কেউ ঠাকুর বাবুর লেখাটা আগে পড়ে নিলে তার সমস্যা সমাধান করতে আমি অপারক।
    ৭) আর একটা দারুণ বই ছিল ছন্দের ঝুমঝুমি - সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত । বইটা আমার কাছে নেই। কেউ পেলে অবশ্যই কিনে নিও। পড়তে (পড়ে) ভালো না লাগলে আমায় দিয়ে দিও।
  • Somnath | 59.93.197.51 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৪:৫৯391411
  • ঠিক। এইজন্যেই "অ-য় অজগর আসছে তেড়ে" -এর সুরে
    "ড-য় শূন্য ড় / ডিগবাজি খায়
    ঢ-য় শূন্য ঢ় / দৌড়ে পালায়" এসব ছড়া লিখলে (হাসিখুশি তে কি ছিল ভুলে গেছি) সেক্ষেত্রে "ড-য় শূন্য" আর "ঢ-য় শূন্য" উচ্চারণগুলো ঠাকুরবাবুর "ভয়শূন্য" উচ্চারণের চেয়ে একটু কম সময়, (অর্থাৎ কম মাত্রা) নেবে।

    সেখানে কিন্তু "ডয়্‌" বা "ঢয়্‌" "শূ" এর উপরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। পারছে। :-))

    আবার ধর -

    ভয়শূন্য এ রাত কেটে গেলে
    ফিরে আসবে উদ্বিগ্ন সকাল।

    এই "ভয়শূন্য" ও তিনমাত্রার বেশি চায় না, কিন্তু "চিত্ত যেথা" -র "ভয়শূন্য" চার মাত্রা চায়। তো, "ভয়শূন্য"তা কে দীর্ঘ করে দিয়ে লাইনটায় যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস এসে গেল, সেই ম্যাজিকের নাম রবীন্দ্রনাথ।
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৩:৩৮391422
  • ওক্কে, বুঝতে পেরেছি সোমনাথ রেগে গেছে। ইয়ার্কিটা বেশি হয়ে গেছে, তার উপর অচেনা লোকের থেকে ইয়ার্কি পোষায়নি। ঠিক আছে সোমনাথ, আমাকে মাফ করে দাও, আর লেখার সময় না হয় ধরেই নাও, ঐ দুটো ক্লজ নেই, ছিলোনা।

    চন্দ্রিল cult টই তে তুমি ঘোষণা করলে কিনা,ছন্দ নিয়ে ভুলভাল বল্লে ক্যালাবে, তাই তার কন্টিনিউয়েশন এ এই টইটা শুরু করেছিলাম আরকি।
  • pra | 131.95.121.132 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৯:১০391433
  • ছন্দ বিষয়ে জানতে ইচ্ছে করছে।
    তাই এই কবিতাটার ছন্দ মাত্রা ইত্যাদি একটু যদি কেউ ধরিয়ে দেন.....

    হেমন্ত-রাতে বেগুনী অন্ধকারে
    ছন্দ-না-মানা রক্তকরবী দল,
    চোখ-আঁকা ঘটে অভ্র আবীর কুচি
    ঝিনুকের নায়ে টল্‌মলে স্বাতীজল।

    দীপাবলী রাত খোঁপা ভরে জ্বলে ওঠে
    সহস্র-চোখ মোমবাতি-কাঁপা চুল,
    আগুন আঁচলে ভেজা দুর্বার গুছি
    শঙ্খকাঁকনে মুক্তোদানার ফুল।

    ওকেই ডেকেছে রণদুর্মদ দেশে
    ওকেই মন্ত্রে বলেছে স্বাহা স্বধা,
    ওকেই আবার ডুবিয়েছে কালো জলে
    ওকেই বলেছে মোহভ্রান্তি ও বাধা।

    ওকেই আবার এনেছে সঙ্গোপণে
    ওরই কাছে ভিক্ষা চেয়েছে বোধি,
    অমেয় রাত্রি ওরই অশেষ ঘরে
    প্রার্থনা করে ধ্রুবতারকার জ্যোতি।
  • vikram | 134.226.1.234 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৯:২৬391445
  • এইরকম ছন্দ তিন লাইনে থাকলে আমাঅর খুব পছন্দ হয়। যথা:

    'শীত দুপুরের দূর উড়ন্ত চিল
    মানুষ নিবাসে হঠাৎ দেখালে পাখা,
    শুকনো ঝোপের লৌহমরিচামাখা?'

    বিক্রম
  • ranjan roy | 122.168.68.141 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২০:১৮391456
  • "কবিতার ক্লাস' শুরুতে আ-বা-প তে ধারাবাহিক বেরিয়েছিল। তাতে নীরেন্দ্রনাথ "কবিকংকণ' নাম দিয়ে লিখছিলেন।
    শুরুর দিকে উনি শুধু ছন্দ মিললেই যে কবিতা হবে এমন নয় সেটা বোঝাতে গিয়ে এক মোক্ষম উদাহরন দিয়েছিলেন।
    "" সূর্য ব্যাটা বুর্জোয়া যে
    দুর্যোধনের ভাই।
    গর্জনে তার তূর্য বাজে
    তর্জনে ভয় পাই।''
    তখন আমার মনে হল তালে আর কষ্ট করে অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত আর স্বরবৃত্ত বুঝে কি হবে? নেসফিল্ডের গ্রামার থেকে "কজিটিভ ভার্ব, কগনেট অবজেক্ট' এসব বুঝে কি ইংরেজি শেখা যাবে? -"" যেনাহংমৃতস্যাং তেনাহং কিম কূর্য্যাম?''
    সমাধান পেলাম কয়েক সংখ্যা পরের ওনারই কিস্তিতে।
    "" ছন্দের গুঁতো খেয়ে পোড়োদের হায়,
    চোখ থেকে অবিরল অশ্রু গড়ায়।
    কহে কবিকঙ্কণ -কান্না থামাও,
    ক্লাস থেকে মানে মানে চম্পট দাও।''

    সেই যে চম্পট দিলাম আর পেছনে ফিরে তাকাইনি।
  • Ishan | 130.36.62.139 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২১:১১391467
  • "সূর্য ব্যাটা বুর্জোয়া...' কিন্তু ব্যাপক, ভালো নয় বললে খেলবনা :-)
  • omnath | 59.93.202.155 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০০:২৯391478
  • মস্‌মস্‌ মাত্রাবৃত্তের চ্যাপ্টার পড়া শেষ করে তনাই কে ওর পদ্যের ছন্দ বুঝিয়ে দেবে। শেষের দিক থেকে তিন নম্বর লাইনে কেন প্রায় কেটে গেছে তাও বলে দেবে।

    এটা মাত্রাবৃত্ত চ্যাপ্টারের অনুশীলনী, মস্‌মস্‌-এর জন্যে।
  • bikram | 134.226.1.234 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৯:৩৭391489
  • এই কবিতাটা ফরোয়ার্ডে পেলাম, নাকি উনিশ কুড়ি বলে পত্রিকায় বেরিয়েছে ১৯ এপ্রিল ২০০৫ এ। এর কবিকী টুপি খোলা আর আনন্দ উভয় দেওয়া উচিত।

    রামের বিলাপ
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    বিলাপ করেন রাম লক্ষ্মণের আগে।
    কোথা গেলো সীতা মোর খেলো নাকি বাঘে।।
    কি করিব কোথা যাব লক্ষ্মণ ভাই।
    এখনই পুলিশ ডাকো ডাকো সিবিআই।।
    সকালে সীতার মুড ভালো ছিলো বেশ।
    চেয়েছিলো একখানি দামী নেকলেস।।
    কিন্তু আমি কিনে দিতে ভুলে গেছি হায়।
    তাই কি লুকালো সীতা খাটের তলায়।।
    সীতারে ভাবিয়া তাঁর যাদুর জিনিস।
    পিসি সরকার বুঝি করেন ভ্যানিশ।।
    কলিকাতা নগরেতে আছে নলবন।
    ডার্লিং সেখানে কি করেন ভ্রমণ।।
    সেরেনা উইলিয়ামস হইয়া জেলাস।
    সীতারে সানিয়া ভাবি করিলো কি গ্রাস।।
    নাকি কোনো বদমাস ডাকাতের গ্যাং।
    সীতারে কিডন্যাপিল বেঁধে দুই ঠ্যাং।।
    রাজ্য হারায়ে আমি হলাম ফতুর।
    তবু মোর সীতা ছিলো করিনা কাপুর।।
    আমার সে করিনাও হারাইলো কোথা।
    কাল থেকে কে বলিবে কুছ কুছ হোতা।।
    যেমন সিঁধেল চোর সোনাদানা ঝাড়ে।
    তেমনি ঝাড়িলো কেহ আমার সীতারে।
    আমার জানকীসোনা বনেতে হারায়।
    সকলি হারায় বুঝি নোবেলের প্রায়।।
    কবিরাজ ডাক্তার এম বি বি এস।
    দিবানিশি সারাচ্ছে জন্ডিস কেস।।
    তারা না সারাতে পারে আমার অসুখ।
    যেদিকে তাকাই শুধু জানকীর মুখ।।
    দশদিক সীতা বিনা হইলো আঁধাঅর।
    বলো কোথা সীতা পাবো অনুজ ব্রাদার।।
    সীতা ধ্যান সীতা প্ল্যান সীতা ফিলোজফি।
    সীতা বিনা আমি যেন চিনি ছাড়া কফি।।
  • ranjan roy | 122.168.68.41 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২২:৩২391500
  • ভিকিভাই,
    ব্যাপক, এটা বোধহয় ""অক্ষরবৃত্ত''। ভুল বকলে সোমু শুধরে দেবে, ক্যালাবে না। প্রথম ভুল তো!

    Ishaan,
    আমারও ব্যাপক লেগেছে। তাই প্রায় চল্লিশ বছর পরেও মনে আছে।( যেমন, লীলা মজুমদারের-""অনুতাপে দগ্‌ধ হবি, ড্যাঁও দুদু চেটে খাবি'')।
    কিন্তু, নীরেনবাবু বলেছেন যে " সূর্য ব্যাটা বুর্জোয়া - -' ছন্দমিল থাকলেও কবিতা হয় নি। কাজেই আমি তো পোড়ো মাত্র, তাও ব্যাকবেন্‌চার!
    যাকগে, সোমনাথের এত চমৎকার সুতোটাকে ভাটপাতা বানিয়ে ফেলছি, সরি। এসব বুড়ো হওয়ার ফল। "বুড়োদের পাতা'তে যাই।
  • :-((( | 59.93.210.211 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২৩:২৬391511
  • এটা সোমনাথের সুতো নয়। এমনকি ওমনাথের ও নয়। :-(

    (ছিটেফোঁটা টিকিকোটকে একবার হাতে পাই, একা ছাতে পাই ...........)
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২০ মে ২০১০ ০৯:৩৯391522
  • এই লিংকটা দেখে একটা পোস্নো মাথায় এলো।

    গদ্যকবিতার ক্ষেত্রে ছন্দের কোনো বিশেষ নিয়ম আছে কি? একটু জানার জন্যে আর কি। জানি অনেকে হাসবেন শুনে। ক্ষি আর ক্ষরি, অজ্ঞতার তো কোনো লিমিট নেই।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২০ মে ২০১০ ১৬:৫১391533
  • ...
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২১ মে ২০১০ ০৯:৪৭391544
  • ও মাস্টারমশাইরা, কোন সত্যযুগে পোস্নো দিয়ে রেখেছি, উত্তর দিচ্ছেন না কেন? দেবো ভুলভাল ছন্দে কবিতার বারোটা বাজিয়ে। তখন তো আবার ফুট কাটবেন।
  • vikram | 68.60.28.28 | ২২ মে ২০১০ ০৬:৪৩391556
  • কার্তুজ, বাংলা ছন্দের কিছু মূল নিয়ম আছে। অক্ষরবৃত্ত, স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত এইসব। এবং ভ্যারিয়েশান। এগুলি ইংরিজি ছন্দের মতো নয়, যেমন আয়াম্বিক ইত্যাদি। এর কারণ নানান ভাষায় শব্দকে ছন্দের জন্য কিভাবে ভাঙা হচ্ছে, মানে ভেঙে পড়া হচ্ছে তার ওপর নির্ভরশীল। সেই একক এ বাংলা শব্দের মাত্রা ও ইংরিজির মাত্রা আলাদা। ইংরাজিতে যেমন সিলাব্ল এ ভাগ করা যায় বাংলা ঠিক তেমনটি নয়। এর একটা কারণ, একই শব্দকে, স্পেশালি দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ পাশাপাশি থাকলে আমরা যুক্তাক্ষর হিসাবে পড়তে পারি। আবার অনেক সময় দুটি স্বরবর্ণকে টেনে ছোট করতে পারি।

    গদ্য হোক, পদ্য হোক, তার চাল (মানে মেজাজ - তার শব্দসজ্জার খেলা যা আমাদের আকৃষ্ট করে) এই বেসিক কিছু ছন্দের ওপরেই তৈরি।তারপরে এদিক ওদিক ভাঙা গড়া। কাঠাঅমোটা মূলত: ব্যকরণসম্মত। তা না হলে শুনতে খারাপ লাগে। মন্দলোকে বলবেন, কেন, বহু বিখ্যাত কবির কবিতায় ছন্দ কেন, কিসুই নাই - কিন্তু দেখবেন , সেগুলোর এস্থেটিক্সের এর চেয়ে তাতে মূলত: পলিটিক্স বা সোসাল মেসেজ এসব বেশি। বলছি না, তাতে করে তার কাব্যিক রস হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে।

    এগুলির ডিটেল উদাহরণ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতার ক্লাশ বইতে পাবেন, দোকানে গেলেই দিয়ে দেবে। অনুরূপ, ইংরাজির জন্য বি এ ক্লাশে পড়ে এমন কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর কাছে চাইলেই সে রেটরিক্স অ্যান্ড প্রসোডির বই এনে দেবে।

    ধরুন , ইংরাজিতে, টু বি অর নট টু বি দ্যাট ইজ দা কোয়েশচেন এটা পুরোটাই আয়াম্বিক পেন্টামিটারে লেখা। টি টাম/ টি টাম/ টি টাম/ টি টাম এইভাবে এটি চলে। হৃৎপিন্ডের শব্দের মতো - যে কারণে একে ব্লাড মিটারও বলা হয়। আবার আব্দুল মাঝি। ছুঁচলো তার দাড়ি। গোঁফ তার কামানো। মাথা তার নেড়া। ছন্দ ছাড় পড়তেই পারবেন না। কিংবা, নদীর ঘাটের কাছে, নৌকা বাঁধা আছে, নাইতে যখন যাই দেখি সে জলের ঢেউয়ে নাচে। একেও এছাড়া পড়া যাবে না।

    তবে গাদা উদা না দিয়ে বই পড়ে ফেলাই ভালো। এবারে ওমনাথ যা ল্যাখার লিখুক।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন