এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অনির্বাণ দত্ত চৌধুরী | 891212.185.5678.71 | ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৫০380816
  • 'শাহজাহান রিজেন্সি' সিনেমার 'ট্রেলারের রিভিউ'। কষ্টার্জিত পয়সা খরচা করে টিকেট কেটে সৃজিতবাবুর সিনেমা দেখা স্বাস্থ্যের (মানসিক) পক্ষে ক্ষতিকর, অতএব ট্রেলারের রিভিউ।

    অনির্বাণ দত্ত চৌধুরী
    #ShahJahanRegency
    -----------------

    বয়েস বেশী তো কি হয়েছে সঙ্গিনীকে তৃপ্ত রাখুন। বছরখানেক আগে খবরের কাগজের নিচের দিকে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবিসহ এইরকম একটি বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। এই ধরনের বিজ্ঞাপনের মধ্যে একটা শক ফ্যাক্টর থাকে। মানে আপনি একবার পড়বেন, দুবার দেখবেন। আবার পড়বেন, এরকম আর কি। মানে এই বিজ্ঞাপনে যদি টোটার ছবি থাকত, তাহলে তো মানাত না। টোটার তো দারুণ চেহারা, ওর ওষুধ লাগবে না। আবার অপরিচিত কোন বয়স্ক মানুষের ছবি দিলে তো আপনি দেখবেন’ই না। ধুস , অচেনা বুড়ো। তাকে আবার দেখবার কি আছে। সৌমিত্রের ছবি দিলে তবেই না আপনার মন বসবে। কপি রাইটার বাংলা ভালো লিখতে পারে না। সৃজিত’বাবুকে লিখতে দিলে এরকম হতে পারত - সঙ্গিনীকে তৃপ্ত-টৃপ্ত না লিখে হয়ত লিখতেন - খিদ্দারও খিদে পায়।

    নায়ক, সন্ন্যাসী রাজা, এবার চৌরঙ্গী।

    সৃজিতবাবু যখন স্কুলে পড়তেন, সুমন-অঞ্জন-নচিকেতা ছাড়া আর কেউ নিজের লেখা গান গাইতে পারতেন না। সেগুলিকে বলা হত জীবনমুখী গান। নিজে গান লিখতে না পেরে তরুণ ইন্দ্রনীল সেন এক নতুন মরণমুখী গানের সূচনা করলেন - নাম দিলেন রিমেক গান - আসলে মৃত মানুষের কণ্ঠে সৃষ্ট অমৃত গান। নব্বুই দশকে মোড়ে মোড়ে ইন্দ্রনীলের ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা’ এখনও তাড়া করে। মাইক্রোফোনটাকে মর্তমান কলার মত হাতে ধরে সারা স্টেজ ধরে নেচে গেয়ে সে এক অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড। সৃজিতবাবু স্কুলে পড়তেই ব্যাপারটা শিখে রেখেছিলেন। কিন্তু কপাল খারাপ, সৃজিতবাবু বাংলা সিনেমাকে আলোকিত করার আগেই রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে বাংলায় দক্ষিণী রিমেকের উত্থান ঘটল। অপমানিত ব্যথিত সৃজিত ঠিক করলেন, না, তাই বলে লাইন তিনি পালটাবেন না। বাংলা থেকেই বাংলায় চোথা করবেন। একটু আধটু থিম পালটে দেবেন, ব্যস। সিনেমা হলগুলো তো মাফিয়াদের হাতের মুঠোয়। তাদের হাত এড়িয়ে সেখানে রেনবো জেলি এক সপ্তাহের বেশী চলতে পারে না। মাফিয়াদের পকেটে রাখলেই সিনেমাহলে শুধুই তাঁরই সিনেমা থাকবে। লোকে গিলতে বাধ্য।

    ট্রেলার সিনেমার খুব পরিচিত অংশ। আগে ফিল্মের রিলের যা দাম ছিল। সত্যজিৎ, মৃণাল, তরুণ সম্ভবত ট্রেলার বানানোর বানানোর বিলাসিতা ভাবতেও পারেন নি। ভাগ্যিস। তাই মাথা খাটিয়ে দুর্দান্ত সব পোস্টার ডিজাইন করতে পেরেছেন। এখন দামী দামী মলের আরো দামী রঙের দেওয়ালে সেগুলোর সস্তা কপি সাজানো থাকে। ভাগ্যিস।

    সৃজিতবাবু খুব আলাদা। তিনি বাংলা সিনেমায় সম্ভবত প্রথম যিনি নিয়মিত তাঁর সিনেমার প্রচারের জন্য বাজারে ট্রেলার ছাড়ার প্রচলন শুরু করেন। ছাড়েন না বলে ছোঁড়েন বলা উচিত। ব্যাঙ লাফ মার্কা ছোঁড়া, যাতে ড্রপ খেতে খেতে অনেক দূর যায়। ট্রেলারে চমক থাকে, যাতে উত্তেজনা বজায় থাকে। সিনেমার হল অব্দি আপনাকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। সৃজিতবাবু শাহজাহান রিজেন্সিতে সেইরকম চমক নিয়ে এসেছেন - শুরুতেই মহামান্য অঞ্জন দত্ত মহাশয়ের একটি মনোলগ। অঞ্জন দত্ত প্রিয় বন্ধু শ্রুতিনাটক করে নিজের কন্ঠস্বর’কে সম্ভবত অমর করে ফেলেছেন। সেই জন্যেই তাঁর ভাগ্যে এখন এইসব মনোলগের শিকে ছেঁড়ে। সেদিক দিয়ে দেখলে এটাও এক ধরনের রিমেক। দু’ মিনিটের ট্রেলারের মধ্যে কুড়ি সেকেন্ড মনোলগ। এডিটর কাটতে ভুলেই গেছে। এডিটরের দোষ না। সৃজিতবাবু যে এডিটর ভাড়া করেছিলেন, সে একটু অল্পতেই টেনশন খায়। শুরুতে ওই সময়টুকু চেপে রাখতে পারে নি, হিসি টিসি করে এসে যখন মনিটরে চোখ রেখেছে, তখন কাটার সময় চলে গেছে। নাম দেখলাম - প্রণয় দাশগুপ্ত। 'প্রণয়' - হিসি না হয়ে কেসটা অন্য কিছুও হতে পারে। সে যাই হোক, সিনেমা থুড়ি ট্রেলার তো এগোচ্ছে। এবার মেহতা, সোনি (নর্দে নয়, মহেন্দ্র) আর মুখার্জী মিলে নিবেদন করলেন। এটাও চমক। মানে আগে মুখার্জী একা নিবেদন করতেন। কিন্তু এখন মনে হয় একসাথে নিবেদন না করলে সিনেমা মাফিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসবে - মুখার্জীবাবু, এর বদলা হামি জরুর লিবে।

    এডিটর কিন্তু এরপর অ্যালার্ট - ফটাফট একের পর এক কুশীলবের ছবি ভেসে উঠছে। আবীর, রুদ্রনীল, পরমব্রত - হোলসেল ডিসকাউন্ট। মধ্যে এক পৃথুলা মাঝবয়েস পেরোনো ভদ্রমহিলা হ্যান্ডসাম জিম করা পঁচিশের জন্য নাইটি খুলছেন ইত্যাদি। অচেনা থেকে আবার চেনা মুখ - স্বস্তিকার বুকের এবং কাঞ্চনের কপালের খাঁজ। মাঝে ঋতুপর্ণাও আছেন বাদ্যযন্ত্র হাতে। বঙ্গ অভিনয়ে নতুন জ্যোতিষ্ক অনির্বাণও এলেন। ইংরাজী মনোলগ ও এক গাদা ক্যাচলাইন ভেসে ওঠার পরে এইবারে একটা সম্পূর্ণ বাংলা বাক্য শোনা গেল। তোয়ালে ঢাকা নগ্ন স্বস্তিকার (এবং খাঁজের) সামনে পরমব্রত নিরম্বু উপবাস মুখ করে দাঁড়িয়ে। স্বস্তিকা বলছেন, “আচ্ছা আপনি কি জেনেরালি মহিলাদের দেখে এরকম টেনশন করেন না কি আমি হোস্টেস বলে আপনার মধ্যবিত্ত রুচিশীল বড় হয়ে ওঠা আপনাকে তোতলাতে বাধ্য করছে” - এটা কিন্তু চিত্রনাট্য বা নাটক যেভাবে লেখা হয় সেই ভাবেই লিখলাম। মানে ডায়লগ’টা এভাবেই লেখা ও বলা। যতি চিহ্নের কোন বালাই নেই। একটানা। অনিচ্ছুক এবং অপারগ ছেলে মেয়েদের আবৃত্তি করতে বাবামা জোর করে স্টেজে তুলে দিলে যে বিপত্তি হয়, একদম তাই। ট্রেলার বা সিনেমা তো বহু দূরের ব্যাপার, এই জিনিস রিহার্সালেও হজম করা মুশকিল। এর পরের দৃশ্যেই ঋতুপর্ণা বড় বড় আগুনে নখ দিয়ে টিপে টিপে সাবলীলভাবে সেতার বাজাচ্ছেন। ট্রেলার শেষ হল, পরমব্রতের কণ্ঠস্বরে টের পাওয়া গেল, শঙ্করের রোল’টা তিনিই করছেন। কথায় বলে না, কাকে দিয়েছে রাজার পার্ট।

    কিন্তু এরপরে মনটা খচখচ করছিল - ওই পৃথুলা মাঝবয়েস পেরোনো ভদ্রমহিলা কে? যিনি জিম করা ছোকরার জন্য নাইটি খুলছিলেন। পিছিয়ে গিয়ে দেখা গেল - মমতাশঙ্কর। ওই যে লিখছিলাম অপরিচিত কোন বয়স্ক মহিলার ছবি দিলে তো আপনি দেখবেন’ই না। সৃজিতবাবু জানেন - খিদ্দারও খিদে পায়।
  • pi | 4512.139.122323.129 | ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৭380818
  • অনেক কিছুই বড্ড আরোপিত লেগেছে।
  • | 230123.142.34900.132 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১৫380819
  • মৃণাল সেনের সিনেমার থেকে ভালো মনে হচ্ছে, দেখি উন্নত বিশ্ব কি বলে
  • অদচৌ | 5645.249.9001223.13 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:২৪380820
  • আসলে ব্যাপারটা দাঁড়িয়ে গেছে এরকম - সৃজিত খুব ভালো পয়সা চেনেন। সে ভালো কথা, বাঙ্গালী পরিচালক পয়সা চিনলে ভালোই। কেনই বা, সব সময় ছেঁড়া পাঞ্জাবি পড়ে ধুলো খেতে খেতে সিনেমা বানাতে হবে?

    কিন্তু, কি--ন--তু, কতাটা কি জানেন কর্তা, সৃজিত মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা তুলছেন। পাঞ্জাবি ছেঁড়া হোক বা গোটা, দিনের দিনে পর দিন মিথ্যে দাবিদাওয়া কেন?
    ১) এই সিনেমায় কিছুটা সফট্‌ পর্ণোগ্রাফি দেখিয়ে যে দর্শকরা বিদেশী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উত্তেজক পোস্টার দেখে হলে ভিড় করে, তাদের টানলেন। নাহ্‌, একটু পারিবারিক টান না থাকলে তো সব বয়েসের দর্শক আসবে না, লাভ বাড়বে না, সুতরাং সেটা উনি করবেন না। স্বস্তিকাকে যতটা নগ্ন দেখার সেটা ট্রেলারে আপনি দেখে ফেলেছেন, আর নতুন কিছু আশা করবেন না। সিনেমার জন্য তুলে রেখে তো লাভ নেই। আপনি এই ট্রেলার দেখে টিকেট কাটলেই সৃজিত বাবু খুশী। তারপর আপনি দশ মিনিট পরে ঘুমিয়ে পড়ুন, কি বাথরুমে গিয়ে খারাপ খারাপ কাজ করুন। কিসসু আসে যায় না, টাকা যেখানে ঢোকার ঢুকে গেছে।
    ২) উত্তমকুমারের একের পর এক সিনেমার থিম পরিবর্তন করে স্মৃতি উসকে উত্তম-মুগ্ধ আপামর বাঙ্গালীকে টানা যায় - সেই গাজরও ঝুলিয়ে রেখেছেন। মানে উত্তম খারাপ না ভালো অভিনেতা, সেটার কথা হচ্ছে না। চৌরঙ্গী সিনেমার ম্যাজিকের কথা হচ্ছে। নাহ্‌, এটাও কথা দিচ্ছি উত্তম-সুপ্রিয়া-বিশ্বজিৎ ম্যাজিক উনি ছুঁতে পারবেন না। কেন?আবির'কে দিয়ে হবে না বলে? নাহ্‌, তা নয়। আবীরকে দিয়ে হয়তো হবে, কিন্তু তার জন্য সময় দিতে হবে। ওই পনেরো-কুড়ি দিনে শুটিং শেষ করে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করার ধান্দা থাকলে হবে না। আরে, কম্পিউটরের/ ক্যামেরার স্পীড বেড়েছে, মানুষের ভাবনার স্পীড আগেও অসীম ছিল, এখনও তাই আছে। একটু সময় দিন।
    ৩) একসাথে চারটে সিনেমার নাকি কাজ করছেন। কোনটা শুটিং, কোনটা ডাবিং, কোনটা মার্কেটিং, কোনটা চিত্র্যনাট্য রচনা। তা ভালো কথা। তা বলে দিন না কেন, আমি ইংরাজি এবং ইকনমিক্স জানা হরনাথ। সেই পরিচয়টা লুকোতে এত সচেতনতা কেন?
    ৪) কিচ্ছু চাই না আমি - গান, এই চমকটা খেটে গেছে। কিন্তু গানটা কি কালজয়ী হবে? মানে কাল-টাল ছেড়ে দিন, এই দশ বছর পরেই ধরুন না কেন, কেউ ওই বেসুরো ভার্সনটা শুনবে? শুনবে নিশ্চয়ই, কারণ আসল গানটা, বা সুরে গাওয়া গান ভার্সনগুলো তো আর পয়সা দিয়ে কেনা লাইক এবং ইনঅর্গ্যানিক রিচ (সৌজন্যে, ফেসবুক ইত্যাদি), পয়সা দিয়ে কেনা এফ এম, কলকাতা জুড়ে পোস্টার পায় নি। সুতরাং আসল গানটা পাওয়া যাবে না। তাহলে এই বেসুরো ব্যাপারটাই থাকবে, বলা যায় না যদি আরও কিছু টাকা ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পাওয়া যায়। দুধ যদি আর দোওয়া না যায়, গানটাই থাকবে না।
    ৫) প্রতিটি সিনেমা করার আগে ওনার ঘোষণা-এটাই নাকি ওনার বেস্ট। এটাই নাকি ওই অভিনেতা বা অভিনেত্রীর বেস্ট। কি মুশকিল। এটা কি কোন ফিল্ম পরিচালকের কেরিয়র না এভারেস্ট। উঠে যাচ্ছে তো উঠেই যাচ্ছে - এরকম হওয়া সম্ভব?

    আমি ২০১৬ তে একটি ভুল করেছিলাম। শেক্সপীয়রের দুটি ট্র্যাজেডির মিশেলে নির্মিত কালজয়ী বাংলা সিনেমা জুলফিকরের ট্রেলার দেখে ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। তাই গাঁটের পয়সা খরচা করে হলে গেছিলাম। গিয়ে দেখলাম ট্র্যাজেডি দুটো আছে বটে, কিন্তু শেক্সপীয়রের নয়। পরিচালকের এবং দর্শকের।

    আমার বদলে অদ্রীশ বর্ধন এ লেখা লিখলে শিরোনাম হত - সৃজিতবাবু সব জানেন।
  • dc | 232312.164.780112.213 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:১৭380821
  • ট্রেলারটা দেখে মনে হলো পুরো সিনেমাটা দেখা যায়। তবে কিনা আমি তো হলে গিয়ে সিনেমা দেখিনা, ডাউনলোড করে দেখি। টরেন্ট বেরনোর অপেক্ষায় থাকলাম।
  • সুকি | 348912.82.2323.227 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:২৭380822
  • আচ্ছা সৃজিতকে নিয়ে এতো রাগের কারণ কি?
  • S | 781212.201.451212.85 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:৪২380823
  • একটা কথা বলে যাই। অনেকেই চটবে, সেইজন্য আরো বলে যাই। চৌরঙ্গী একটি অতি ঝুল সিনেমা।
  • de | 90056.185.673423.57 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:২০380824
  • মোটেও না - ওই শুভেন্দুকে দেখার জন্য আমি বারবার চৌরঙ্গী দেখতে রাজী আছি -

    তবে সিনেমার থেকে মূল বইটা পড়তে বেশী ভালো -

    সৃজিত কি সব পুরনো সিনেমারই রিমেক করবেন নাকি? নতুন গল্প কি আর নেই?
  • রিভু | 450112.191.564523.191 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৪৬380825
  • জুলফিকার নিয়ে সহমত। কালজয়ী খারাপ সিনেমা।
  • S | 781212.201.672312.243 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:১৩380817
  • সে শুধু শ্যারন স্টোনকে দেখতে অনেকেই বারবার বেসিক ইন্সটিন্ক্ট দেখতে রাজী আছে। তাতে সিনেমাটির ঝুলপনা কমে না। ঃ))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন