এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিস্মৃত শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়?

    তাপস
    অন্যান্য | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ১১১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তাপস | 52.110.151.255 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১২:১০375249
  • আজ শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। তথ্যটা পেলাম প্রতিদিন পত্রিকায়। ব্রাত্য বসু শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন। কিন্তু তথ্য যাচাই করতে গিয়ে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কিত কোন উইকিপিডিয়ার পেজ খুঁজে পেলাম না। মৃত্যুর পর ১৫ ১৬ বছর হয়ে গেছে। শ্যামল ভয়াবহ জনপ্রিয় ছিলেন না। কিন্তু একেবারে ব্যবসা দিতেন না প্রকাশকদের এমনও নয়। কয়েক বছর আগেও তাঁর বইয়ের নতুন সংস্করণ হয়েছে। শ্যামল...

    এই অবধি লেখার পর হঠাৎ সন্দেহ হল। গুগলে বাংলায় টাইপ করলাম, লেখকের নাম। এবং সন্দেহ সত্যি প্রমাণ করে একটা উইকিপিডিয়া পেজ খুলল, বাংলায়। বাংলাদেশ থেকে পেজটা তৈরি করা হয়েছে বা বাংলাদেশের কেউ করেছেন। সে উইকিতে, জন্ম ২৫ মার্চ, ১৯৩৩ এই তথ্যটুকু দেয়া আছে। দেয়া আছে গ্রন্থতালিকা। আর কিছু নেই।

    শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় কি এতটা বিস্মৃত হওয়ার যোগ্য? একজন মধ্যবিত্ত মানুষ, বাঙালি মধ্যবিত্ত মানুষ, যার জীবন, ব্রাত্য বসু যেমন বলেন, যথার্থই, "শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখায় আশপাশের উদভ্রান্ত ছুটোছুটি আর তত্ত্ব কচকচি এড়িয়ে লুকিয়ে আছে কৌম, আটপৌরে, নিস্তরঙ্গ এক বাঙালি জীবন। সে জীবন পরম রহস্যময়। অমোঘ। অনতিক্রম্য।"... তেমন এক রূপকার, আমি শাহজাদা দারাশুকো বাদ দিয়েই বলছি, এতটা উপেক্ষিত থেকে যান ঠিক কোন হিসেব নিকেশে?
  • i | 134.169.155.213 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১৪:০৪375260
  • শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বিস্মৃত লেখক কিনা আমি জানি না। ওঁর বই বিক্রি, পুনর্মুদ্রন ইত্যাদি কোনো তথ্যই অবগত নেই আমার।

    তবে, গল্পসরণি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ সংখ্যা বের করে ২০০৯ এ আর ২০১৮য়। ২০১৮র সংখ্যাটিতে সম্পাদক অমর দে লেখেন, '....২০০৯ সনের গল্পসরণি চতুর্দশ বর্ষ বার্ষিক সংকলনটি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়ক বিশেষ সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। বহু বছর হল সেই সংখ্যা নিঃশেষিত হয়েছে। অথচ অনেক পাঠক ও পুস্তক বিক্রেতা এখনও যে ঐ সংখ্যার খোঁজ করেন, এটা কোনও কম কথা নয়। শ্যামল সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ ও তাঁর বইএর বিক্রি যে উত্তরোত্তর বাড়ছে এটা ভেবে ভালো লাগে। বেঁচে থাকলে এটা দেখে শ্যামলদা সুখী হতেন। আমাকে আর হয়ত জিজ্ঞাসা করতেন না,'হ্যাঁরে , লোকে আমার বই পড়ে তো?'
  • i | 134.169.155.213 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১৪:২৯375264
  • ঐ ২০১৮র সংখ্যাটিতে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা ললিতা চট্টোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে। তাতে একটি প্রশ্ন ছিল এইঃ
    'বাবার লেখা পড়েছেন ধরে নিয়ে জিজ্ঞেস করছি। আজ থেকে একশো বছর পরের যে পৃথিবী, তার আমূল বদলে যাওয়া চেতনা, তখনও কি পাঠক শ্যামলবাবু পড়বে?প্রাসঙ্গিক, জরুরী থাকবেন? অবশ্য যদি তদ্দিন বাংলা ভাষা টিঁকে থাকে।'

    ললিতা উত্তর দিলেন, "আপনার এই প্রশ্নটার আমি শেষ থেকে উত্তর দেব।...
    প্রথম, বাংলা ভাষা টিঁকে থাকবে কি না-১০০ বছর। কোন বাংলা? কলকাতার, বীরভূমের, বাঁকুড়ার, উত্তরবঙ্গের, মেদিনীপুরের, নদীয়ার, ঢাকার, চাঁটগাঁয়ের, কুমিল্লার? কোথাকার?....
    বাংলা ভাষার সাহিত্য-প্রশংসা বা রিভিউ-যোগ্য কিনা তা ঠিক হয় অগ্রজদের বৈঠকখানায়, পদতলে। সেই ছবি সামাজিক ড্জিটাল মাধ্যমে দেখে মনে প্রশ্ন জাগে, এই অগ্রজ কি বিচারকও? আর ভালো লিখে বেশি সুখ না পদতলে বসে-আমার জানা সম্ভব নয়।
    ... একজন সাহসী প্রকাশক, কয়েকজন দক্ষ সাহিত্য -ভালোবাসা অনুবাদক আর ফাটকা খেলতে পারা আন্ত্রপেনর(বানান ভুল হতে পারে-শব্দটি ব্রাত্যর নাটক থেকে নিলাম) বোধ হয় ছবিটা পাল্টানোর চেষ্টা করতে পারে....
    দশ বছর বয়সেও সাহিত্যের আড্ডায় এই এক প্রশ্ন শুনতাম। একশো বছর বাদে কি হবে। পরিবর্তনের সঙ্গে সাযুজ্য থাকলে টিঁকবে। চল্লিশ বছর তো চলে গেল। ঢোঁড়াই, অনুবর্তন, হাঁসুলীবাঁক-সেই যুগ তো নেই। বইগুলো ফেলে দিতে বা বেচে দিতে পেরেছেন?
    মানুষের সর্বকালীন অনুভূতি, দ্বন্দ্ব, সম্পর্ক, সংকট কয়েক হাজার বছরের বেশি টিঁকে আছে। রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়াড, ওডিসি, শেকসপীয়ার এগুলো তার উদাহরণ। সবার কাছে পৌঁছন চাই। বাংলা সাহিত্য টিঁকলে, বহমান হলে শ্যামলের নাম থাকবে। প্রশ্নটা হল, বাংলা সাহিত্য কারা পড়বে? আপনি তাকে মাল্টিকুইজিন রেস্তোঁরায় পরিবেশন করবেন না ছুঁতমার্গিতা দেখিয়ে, বিশুদ্ধ বাংলার অভিমান দেখিয়ে শুধু বাংলায় ৩০০ কপি বই ছ্হাপবেন। ভারতের অন্য প্রদেশই জানে না বাংলায় কি লেখা হয়। ভারতের বাইরেও জানতে দিন। তারপর দেখা যাক।'
  • i | 134.169.155.213 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১৫:২৬375265
  • '... শৈশব যার পকেটে নেই, তার পক্ষে প্রতিভার নদীতে সাঁতরাতে যাওয়া অর্থহীন। আবার এই শৈশবই যদি শুধু নস্ট্যালজিয়া হয়ে ওঠে তবে তা সাহিত্যের পক্ষে বিড়ম্বনা।...পাড়ার দিদিদের সঙ্গে কালীপুজোর আগের দিন কোঁচড় ভরে চৌদ্দ শাক সংগ্রহ করেছি। ভোররাতে তাদের সঙ্গে বকুলফুল কুড়িয়ে বুনোলতায় মালা গেঁথেছি। বর-বৌ খেলার সঙ্গিনীরা একদিন বড় হয়ে শাড়ি ধরল। তাদের কিন্তু ভীষণ একটা রহস্যময়ী মনে হয় নি কোনওদিন। তাদের নিয়ে শরীরের রহস্য-মাখানো কোনও কাহিনীও আমার কলমে আসে নি। তার কারণ তাদের চেয়ে রহস্যের জিনিস আরো ছিল। যেমন বিশাল স্তব্ধ দীঘি, মাঠ-ছাপানো বৃষ্টি, নদীতে ডুবসাঁতার দিয়ে উঠতে গিয়ে দেখেছি-ঘাটে দাঁড়ানো নৌকাগুলোর তলায় গিয়ে মাথা ঠেকে যাচ্ছে, ভেসে ওঠার জায়গা পাচ্ছি না-অথচ দম ফুরিয়ে যাচ্ছে।
    ......
    আমাদের সময় কয়েকজন বিশিষ্ট সম্পাদকে আলোকিত যেমন সাগরময় ঘোষ, যেমন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের সাহস, এঁদের সুবিচার সুবিদিত। তবে এ কথাও ঠিক, সময়ের জিনিস সময়ে না হলে আর হয় না। পরে তার কোনও সংশোধনও নেই। এমন অনেক লেখাই ভালো ছাত্রের মতো ভালো স্কুলে পড়াতে পারি নি বলে স্বল্প প্রচারের খুদে স্কুলে পড়ে সেই ছাত্র বা লেখা বিস্মৃতিতে তলিয়ে গেছে। এক জীবন দিয়ে তার দাম দিতে হচ্ছে। আর ফিরে আসার নয়। এখন চেষ্টা করলেও সেরকম লেখা আর বেরোবে না। অবহেলা অনেক ক্ষতি করে। কোনও সম্পাদকের সুবিচার যদি কারও প্রতি ওজন করে দেখা যায় ওজনে দেড় মণ, সেই সম্পাদকের অবিচারের ওজন আমার বেলায় ঠিক ততখানিই, দেড় মণ। এর নাম প্রতিবন্ধকতা না বলে আমি বলব ভবিতব্য। এটাই কপালে ছিল।
    প্রতিবন্ধক আরেকটি জিনিস আছে। আমি যাতে হাত দি তা শেষ পর্যন্ত টাকা দিতে থাকে। অন্তত আমার ক্ষেত্রে। তাই বাহুল্য বর্জন করে কী করে টাকা আয় না- করা যায়-সে পথ আলস্য এবং অন্যন্য দিয়ে আমি গত ১৪- অ৫ বছর খুঁজে আসছি। প্রায় পেয়ে গেছি। জীবনটাকে চুরুট করে পোড়ালে আগুনের মাথায় দেড় ইঞ্চি লম্বা ছাই লেখার অনুপান করা যায় কি? জানি না। তবে আন্দাজে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
    মানুষকে ভালোভাবে দেখতে জানলে-কঠিন দুঃখেও হাসি পায়।... সে হাসির ভিতর দুঃখের কণা ছেটানো থাকে। আলো পড়লে তা ঝকঝক করে ওঠে। তাই আমার অনেক গুরুগম্ভীর লেখাতেও হাসি এসে গেছে। আমি এমন একটি লেখা লিখতে চাই-যা কি না তিরিশ বছর পরেও পড়তে গিয়ে নতুন মনে হবে।
    ...
    একবার একটি গরু পুষেছিলাম। আন্দাজে কেনা গাই। ... চার বছর আমার কাছে ছিল। বড় গম্ভীর ও অহংকারী গরু। .. আমি যখন পথ দিয়ে যেতাম, তখন গলা বাড়িয়ে খালের ওপার থেকে ডাকত। হাম্বা। আমি শুনতাম, শ্যামলবাবু, বাড়ি ফিরছ? ছায়া দিয়ে হাঁটো। বড় রোদ্দুর। এ কথা নৃপেনের বাড়ি গল্পে এসেছে।...জগৎ বেঁধে রেক্গেছে গরু। ওর হাড় একদিন গুঁড়ো হয়ে সার হবে। ওর মাংস দিয়ে দামি ওষুধ হবে মানুষের। ওর চামড়া দিয়ে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। ওর দুধ আর গোবরের কথা নাই তুললাম। এসব আমাকে ভাবায়।
    একবার একটা ইঁটখোলা করেছিলাম।.. পাঁজা বসালাম। হাজারে ছয় মণ কয়লা। মাসখানেক পরে পাঁজা ভেঙে ঝামা, চাই, এক নম্বর ইঁট। নীরেস ইঁট বেরোল। গাছি দিলাম। ছাই ছেঁকে বস্তাবন্দি করলাম। তাই দিয়ে বাড়ি গেঁথে তুললাম। দেখলাম ইঁটখোলার কিছু ফেলা যায় না।... পৃথিবীর খানিকটা কেটে নিয়ে তাই দিয়ে পৃথিবীর গায়ে বাড়ি। গরুর মতো।

    কত মায়া এর মধ্যে। কিছুই ফেলার নেই। এসব আমাকে ভাবায়। বড় বড় ইঁটখোলার গর্ত আমায় অন্ধকারে ডাকে।'

    আমার লেখা। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। দেশ, সাহিত্য সংখ্যা, ১৯৭৬
  • i | 134.169.155.213 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১৫:৪৪375267
  • ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রবিবারোয়ারি তে প্রকাশিত কমল চক্রবর্তী র ওপরের লেখাখানি গল্পসরণি-শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ সংখ্যা ২০১৮ তেও সংকলিত।
  • i | 134.169.155.213 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১৬:৩১375268
  • বিপুল দাসের গল্প 'ভ্রমণ' থেকে শেষটুকু, সঙ্গে লেখকের পাদটীকার কিয়দাংশ -

    '... নিশি ডাকা মানুষটা এখন মস্তিষ্কের দর্শনকেন্দ্রে সেই অলৌকিক ছবি আবার দেখে। সেই জলছবি। একা একটা মানুষ বুকজলে দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেলুলয়েডে হঠাৎ একসারি হাঁস দেখা যায়। খুব লৌকিক ঠাকুরপুকুরের এই দল। বিকেলের নরম রোদ্দুরে কেমন হেলেদুলে যায়। শেষের হাঁসটা একটু খুঁড়িয়ে হাঁটে, তবু কী অবহেলায় পনেরো হাত জল পেরিয়ে পাড়ে ওঠে। ওদের ধবধবে শাদা পালকে সূর্যের শাদা আলো সবটাই ফিরে আসে। এই দুনিয়ার সুখ-দুঃখের, ঘৃণা-ভালোবাসার, পাপ-পুণ্যের সাত রং জাপটাজাপটি করে ওদের পালকে চেপে বসেছে। মিলেমিশে কেমন সুন্দর টলটলে সাদা হয়েছে।
    সেই সুন্দর জাগতিক দৃশ্য দেখবে বলে লোকটা তখন একটা টানেলের ভেতর ঢুকে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে জাগতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এক দ্বিতীয় ভুবনে সাধকের যাত্রা শুরু হ'ল। গত জন্মের রাস্তায় চলে যাচ্ছেন একজন মানুষ। সিঁথির মোড় হঠাৎ কাশফুলে ছেয়ে যায়। নবীন গল্পকার টের পায়-উনি যাচ্ছেন। টালিগঞ্জ ফাঁড়ির সামনের সেলুনে গোবিন্দ দেখল আকাশে মেঘ নেই। তবু ট্রাফিক পুলিশের সামনে গরম পিচের ওপর কয়েক ফোঁটা জল পড়ল। বুঝল উনি চলে যাচ্ছেন। বেড়াচাঁপায় বুলু সামন্ত রেডিও শুনছিল-শরৎ আলোর কমলবনে.. আজি সে তার চোখের চাওয়া ছড়িয়ে দিল নীল গগনে-বুলু বুঝল কেউ চলে যাচ্ছে।'
    ***********************************************************
    প্রয়াত শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এই গল্প। শ্যামলদা তখন ঠাকুরপুকুরে। রে দেওয়া চলছে। এক বিকেলে দেখতে গেছি। ....
    কটেজের পাশে পুকুর। বিকেল শেষ হয়ে আসছিল। পুকুর থেকে একদল হাঁস উঠে এসে পাশের রাস্তা দিয়ে হেলেদুলে চলছে। লাইনের শেষ হাঁসটা খোঁড়াচ্ছে। শ্যামলদা আমার হাতে চাপ দিয়ে বললেন-ঐ হাঁসটা নিয়ে একটা গল্প লিখতে পারবি?........
    আমি পারিনি। আমি শ্যামলদাকে নিয়ে গল্প লিখেছি .....
    ***********************************************************
    নির্বাচিত গল্প। বিপুল দাস। বইওয়ালা। ২০০৫
  • তাপিস | 52.110.147.216 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ২০:৩১375269
  • একটা দারুণ ঘটনা ঘটেছে। এই পোস্টটা গুরুচণ্ডালী ফেসবুক গ্রুপেও দিয়েছিলাম। সেখানে উইকি তে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এর পেজ এবং উইকি সম্পর্কিত আরো কিছু কথা হয়। এর সুবাদেই আজ, আজই, Pinak Biswas শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের উইকিপিডিয়া পেজ বানিয়ে ফেলেছেন।
  • i | 147.157.8.253 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:১৫375250
  • খুব কিছু উৎসাহিত হলাম না। দারুণ কিছু মনে হ'ল না।
    যাক্‌।
  • h | 213.99.211.132 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১৫:৫৭375251
  • http://epaper.sangbadpratidin.in/epaper/edition/1572/sangbad-pratidin-25-03-18/11/chhuti

    একটা কথা র বিষয়ে কিসু বলো গুরু, ডিভাইন কমেডি নিয়ে ভাষা বন্ধনে বেরোনো লেখাটা সেটা কি অর্থে 'কৌম পরম্পরা' , ওটা যদি তত্ত্ব চর্চা না হয়, তাহলে সাহিত্যে তত্ত্ব চর্চা বলে কিসু নাই। মানে একজন লেখক কে কোন নিয়মে সত্যিকারের মহান হতে গেলে সহজ সরল গোলগাল হতে হবে মিটি মিটি হাসি সহ এটা বোঝা বেশ কঠিন হয়ে গেলঃ-)))
  • h | 213.99.211.132 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১৫:৫৯375252
  • নাকি আমি কিছু সিরিয়াস ভুল করছি? ওটা অন্য কারো লেখা। আমি সম্পূর্ণ গুলিয়ে ফেলছি কি, হতে পারে, আমি ভুল ভাল করেই থাকি।
  • Saikat | 233.191.15.210 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১৬:১২375253
  • দান্তের অনুবাদ অন্য শ্যামল। ঊনি শ্যামলকুমার।
  • h | 213.99.211.132 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ১৬:৩৩375254
  • রাইট তাই বলো, এ বাবা আমি সম্পূর্ণ ছড়ু।
  • কল্লোল | 37.63.156.208 | ২৮ মার্চ ২০১৮ ১৬:২৩375255
  • শ্যমলবাবুর সম্পুর্ন বাজার সফর আজকাল থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
  • রুকু | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:০৬375257
  • "আশাবরী ঠাটে জৌনপুরী ধরার সময় কমল পুরকায়েতের আঙুল মেজরাফে চেপে বসে যায়। সুর মেড়ে মেড়ে তোলার সময় তিনি স্পষ্ট দেখতে পান আলোর ভেতর, বাতাসের ভেতর, আনন্দ চর্বি হয়ে থকথক করছে। তাতে জৌনপুরী পড়ে পিছলে যাচ্ছে। এই সময়টায়- কমল পুরকায়েতের বিশ্বাস- গাছে ফলের বোঁটা আসে, ইলিশে ডিম হয়।" ( গল্প- পুরকায়েতের আনন্দ ও বিষাদ। লেখক- শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। )
  • b | 24.139.196.6 | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ২২:২৯375258
  • রিভিউ না হাতি।

    "কারণ, আজ আরেকটি নতুন দিন। আরেকটি নতুন বাজার। একটি নতুন আকাঙ্খাও বটে। ফলে, অন্ধকারে ইঁদুরের প্রখর জ্বলজ্বলে চোখ থেকে খুবলে তুলে আনা যায় জলপ্রপাতের গমগমে শব্দ"।

    গুগল ট্রান্সলেটও এতো ভয়াবহ বাঙলা লেখে না।
  • b | 24.139.196.6 | ০১ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:১০375259
  • এটা আরো সরেশ
    "পড়তে পড়তে মনে হয়, ঝুড়ি থেকে মাথাটা বার করে হাওয়ায় দুলতে থাকা একটি সজনে ডাঁটার আত্মার মধ্যে ..."ইত্যাদি
  • anag | 208.182.52.26 | ০২ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:২৫375261
  • রিভিউএর আজকাল এইটা স্টাইল চলছে -- বেশির ভাগটাই বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া। একান্ত নিজের কিছু লিখতে হলে এইরকম প্রতিভার ছাপ রেখে দেওয়া।

    বাজার সফর বইটা পড়ার মত বই। খুব পছন্দ হয়েছে।
  • de | 69.185.236.53 | ০২ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:৪৬375262
  • আমি খালি দারাশুকোই পড়েছি ওনার - এই বাজার সফর টা পড়বো যদি পাই -
  • শঙ্খ | 126.206.220.245 | ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০০:২১375263
  • ছোটবেলায় সাধু কালাচাঁদ সংক্রান্ত একদুটি গল্প পড়ে শ্যামলবাবুর আর কোন লেখা পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। শুকতারাতেও গুটি কতক লেখা পড়েছিলুম বলেই মনে হচ্ছে। সামহাও সেগুলিও তলিয়েই গেছল। পরে শাহজাদা দারাশুকো পড়েছি। হয়ত এখন আবার শ্যামলবাবুর লেখা পড়লে ভালো লাগবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন