এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অঞ্জন মজুমদার | 57.11.11.235 | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ২২:৫৩364844
  • আমার ই-ন-ট্রো

    ১৯৭২ নাগাদ পড়াশুনা পর্বের সমাপ্তি হলো। বেশ কিছুদিন এদিক ওদিক হাতড়ে শেষ পর্যন্ত মজার এক বৃত্তিতে যুক্ত হয়ে গেলাম। আমার নিজের শহরের নিজের স্কুলে শিক্ষকতার কাজ। এগারো বারো ক্লাসের প্রাণবন্ত ছেলেগুলিকে ছাত্রের চেয়ে বন্ধু মনে হতো বেশি। আর শিক্ষক হিসেবে শাসনের অবাধ অধিকার আয়ত্ব করে নিয়ে বন্ধুত্বটা যে একতরফা অত্যাচারের রূপ নিতো সেটা বুঝে উঠতে অবশ্য বেশ সময় লেগেছে। ভালোছেলেরা বোধহয় একটু এড়িয়েই চলতো। দুরন্তদের মধ্যে বেশ কিছু বন্ধু হয়ে উঠলো। কেমিস্ট্রি ক্লাসে বিষয়ের চেয়ে অবিষয় হয়ে উঠতো বেশি প্রিয়। প্রচলিত পড়াশুনার চেয়ে সংস্কার কুসংস্কার এসব চর্চা হয়ে উঠলো বেশি আকর্ষণীয়। বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠা করার মধ্যে শিক্ষক জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেতাম। এইসময় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের আহবানে সংগঠনটির সাথে যুক্ত হয়ে পড়লাম। অবসর জীবনে সমাজের আঙিনায় নৈমিত্তিক ঘটনার সাথে যুক্ত প্রকৃতিবিজ্ঞান নিয়ে সময় কাটাই। দু' একটি ঘটনাকে লিপিবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে নিজের লেখালিখির শখ মেটাই। পছন্দসই ইংরেজি লেখা পেলে অনুবাদ করি।
    অনেক লেখাই অনুবাদ করতে ইচ্ছে হয়। অনেক সময়ে নিজের মতামত প্রকাশের ইচ্ছেটাও জাগে। তার মধ্যে রোহিত ভেমুলা বিশেষ দাবি নিয়ে যেন হাজির হলো। একজন শিক্ষকের কাছে ছাত্রদের দাবিটা হয়তো এমনি করেই সামনে এসে যায়। এসবের মধ্যে দিয়ে যেটা হলো, তা হচ্ছে রোহিতকে নিয়ে একটা ছোটো লেখা। আর ‘আরেকরকম’ পত্রিকায় সেটা ছাপা-ও হলো ( ১- ১৫ ফেব্রুয়ারি সংখ্যা, ২০১৭)। এবার, টইপত্তরে প্রকাশ করে ভালো খারাপ মন্তব্য শুনে দেখি কেমন লাগে।

    https://drive.google.com/open?id=0B4wagh2Ea5jeTE5MRzYzWjl1Q1k
  • Swapan Das | 57.15.15.217 | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ২২:২২364845
  • অঞ্জন মজুমদারের লেখা ‘রোহিত ভেমুলা : একবিংশ শতাব্দীর একলব্য’ প্রবন্ধটি খুবই প্রাসঙ্গিক। রোহিতের শেষ চিঠির অনুবাদ প্রাঞ্জল। চিঠির অতিরিক্ত অংশ, যা রোহিত কেটে দিয়েছিলেন, সেটি আলাদা ভাবে অন্তর্ভূক্ত করার ফলে আমরা একটা পূর্ণ চিত্র দেখতে পেলাম। রোহিতের মহাবিশ্ব চেতনাকে তুলে ধরা – একটি অপূর্ব বিশ্লেষণ :

    আম্বেদকর এবং অন্যদের উদ্বেগের মধ্যে একধরনের চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। দলিত মানুষদের হয়ে রোহিতের চেতনার মান যেন নেহাতই অন্যতর। এ প্রসঙ্গে রোহিত ভেমূলার অন্তিম সময়ে লেখা চিঠি থেকে দুটি লাইন তুলে দিচ্ছি :

    ‘কোনও একজন ব্যক্তির মূল্যাযন, তার জাতপাতের পরিচিতির মধ্যে বিলীন হচ্ছে অথবা তার ‘হয়ে ওঠা’ নিকটতম সম্ভাবনার মধ্যেই হ্রস্বীভূত হচ্ছে,,,,,, এভাবে একজন মানুষকে কখনোই বিচার করা হয়না যে, সে নিজেই এক মহত্তর চেতনার প্রকাশ। এভাবে কখনোই ভাবা হয়না যে, প্রতিটি মানুষই নক্ষত্র কণিকা থেকে সৃষ্টি হওয়া অস্তিত্ব। অথচ, শিক্ষাঙ্গনেই হোক অথবা পথেঘাটে, রাজনীতির ময়দানে, জীবনে-মরণে সর্বক্ষেত্রে বিচারের ধারা সেই একইরকম হ্রস্বীভূত থেকে যায়।’

    নক্ষত্র – বস্তু কণা থেকে নিজের দেহ মন সৃষ্টি – এমনই এক চেতনার কথা একজন মানুষ প্রকাশ করছে। তার এই যে উপলব্ধি তা, তার দলিত চেতনাবোধকে অতিক্রম করে দেশাত্মবোধ – জাতীয়তাবোধ – আন্তর্জাতিকতাবোধ – সবকিছু ছাড়িয়ে এক মহাজাগতিকবোধে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বোধ হয়। আধ্যাত্মিকতার সর্বগ্রাসী আবহকে অতিক্রম করে এক মহত্তর বস্তুচেতনায় উত্তীর্ণ হয়েছিল তার মন। কেবল একজন দলিত মানুষ বলে নয় – বিজ্ঞানচেতনার প্রেক্ষিতে রোহিতের এই যে দার্শনিক প্রত্যয়, তা পৃথিবীর সেরা কসমোলজিস্টদের মধ্যেও সহজে মিলবে বলে আমার মনে হয়না।
  • Bimal Pal | 57.15.6.80 | ১৪ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৫৭364846
  • রোহিত ভেমুলার পরাজয় এ দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের পরাজয়। তার শেষ চিঠি পড়ে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। জানতে ইচ্ছা করে তার জীবনের আরও বিভিন্ন কাহিনী। তার জীবনের ছোট ছোট পাওয়া না পাওয়ার গল্প - তার পরিবারের গল্প- তার ভাই, বোন, মা, বাবা - এদের সম্বন্ধে কৌতুহল মেটাবার মত লেখা পেলে খুশি হব।
  • সুভাষ চন্দ্র গাঙ্গুলী | 137.0.0.1 | ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ১৩:৪৪364847
  • ‘আরেক রকম’-এ প্রকাশিত অঞ্জনবাবুর লেখায় রোহিত ভারমুলাকে ‘একবিংশতাব্দী’র একলব্য’ হিসেবে অভিহিত করাটা সব দিক থেকেই খুবই মর্মস্পর্শী ও যথাযথ মনে হয়েছে । এতে তাঁর একাধারে সংবেদনশীলতা এবং আলো-আঁধারে মেশান যে ঐতিহ্য-সচেতনতা প্রতিফলিত হয়েছে তা স্বাগত জানান’র মত ।

    কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জাত-পাতের নিকৃষ্ট, ধিক্কারজনক ও বমনোদ্রেককারী এক অতীতকে আবার পুনরিজ্জীবীত করাটা একটি নির্ভেজাল ও অতি স্থুল স্তরের অপরাধমূলক কর্ম । এবং সেই কর্মই যে রোহিতকে এই আত্মহননের দিকে নিয়ে গেছে রোহিতের চিঠিই দ্ব্যর্থহীন স্বাক্ষস্বরূপ এক আদালতগ্রাহ্য জীবন্ত দলিল । কাজেই বিভিন্ন গবেষ্ণা সংস্থা থেকে সাম্প্রতিক তদন্তলব্ধ ঘটনাপরম্পরা (A Fact-Finding Report on the Events at the
    University of Hyderabad) ও এই চিঠিকে ভিত্তি করে মানবিক অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিবেদিত কোন না কোন সংগঠন যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী (যা দেশের ফৌজদারী আইন আনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ) হিসেবে আদালতে মামলা দায়ের করতে এগিয়ে আসতে পারেন তো সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের শাস্তি পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । রোহিত যে তাঁর এই স্মরণযোগ্য চিঠিতে কাউকে দায়ী করেন নি তাতে তাঁর প্রতিহিংসামূলক মনোভাবমুক্ত এক বিরল ও মহৎ চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে । কিন্তু সে কারণে গোটা চিঠি জুড়ে বেদনাময় পরিস্থিতি ও ঘটনাগত যেসব ইঙ্গিত রয়েছে তা এই চিঠিকে উদ্দিষ্ট অপরাধীদের অপরাধ প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যতম এক দলিল হিসেবে ব্যবহার করার পথে বাধা হবার কোন কারণ নেই ।

    রোহিতের চিঠির অনুবাদ করে অঞ্জনবাবু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাজ করেছেন । এবং স্ব-অনুবাদিত চিঠির প্রাসঙ্গিক অংশবিশেষের উদ্ধৃতিকে কেন্দ্র করে রোহিতের “আত্মোপলব্ধী”-কে যে “মহাজাগতিক স্তরে উত্তীর্ণ” চেতনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তা আমার কাছে অত্যন্ত যথাযথ বলে মনে হয়েছে। পাঠককে তা রোহিতকে বুঝতে খুবই সাহায্য করবে ।

    তবে এরই সাথে হঠাৎ “আধ্মাতিকতা”-কে “সর্বগ্রাসী” আখ্যা দিয়ে তাকে “মহাজাগতিক” চেতনার বিপরীত মেরু হিসেবে তিনি যেভাবে উপস্থিত করেছেন সেটা থেকে মনে হচ্ছে জনতাকে ‘বিজ্ঞান-চেতনায়’ উদ্বুদ্ধ করার আদর্শে নিবেদিত আরও অনেক স্ব-ঘোষিত ও সরল বিশ্বাসী ‘বিজ্ঞানপ্রেমী’
    বা ‘বিজ্ঞানপূজারী’র মতই (অজ্ঞতা বশতঃ বর্তমান রচনার রচনাকারীও একদা তাঁদেরই অংশ ছিল) তিনিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত ঠিকমত অবগত নন যে “মহাজাগতিক” স্তরে/পথে সত্যসন্ধানী যে পথিকদের (নিউটন, শ্রোয়েডিঙ্গার, বোর, আইনষ্টাইন,হাইসেনবার্গ, এডিংটন ইত্যাদি) “মহাজাগতিক” অন্তর্দৃষ্টি আধুনিক ‘বিজ্ঞানের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে, ব্যতীক্রমহীন ও দ্ব্যর্থহীনভাবে ভাবে তাঁরা সবাই “মহাজাগতিক” ও “আধ্যাত্মিক” চেতনা বা বোধকে তাঁদের নিজ নিজ মনোজগতে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে অনুভব ও প্রকাশ করেছেন ― পরস্পর-বিরোধী হিসেবে নয় ।
    উদাহণ হিসেবে এই সব পথিকদের অনুভবের দু’টি টুকরোঃ
    •For a parallel to the lesson of atomic theory.. .. we must turn to those kinds of epistemological problems with which already thinkers like the Buddha and Lao Tzu have been confronted, when trying to harmonize our position as spectators and actors in the great drama of existence. — Niels_Bohr. Address at the Physical and Biological Congress in memory of Luigi Galvani, Bologna, October 1937. (BIOLOGY AND ATOMIC PHYSICS ,, ATOMIC PHYSICS & HUMAN
    KNOWLEDGE,P.20,, - JOHN WILEY & SONS, INC.,1958),
    •It is a great pleasure to contemplate the universe, beyond man, to contemplate what it would be like without man, as it was in a great part of its long history ….. …. To view life as part of this universal mystery of greatest depth is to sense an experience which is very rare and very exciting …. Well, these scientific views end in awe and mystery, lost at the edge in uncertainty…… Some will tell me that I have just described a religious experience. Very well, you may call it what you will

    —T RichardTH P. Feynman, The Meaning of It All: Thoughts of a Citizen-Scientist
    [সমধর্মী এমন সব অনুভবের আরও অনেক উদাহরণকেন্দ্রিক আলোচনা এই রচনাটিতে গেলে পাওয়া যেতে পারেঃ A NOTE ON SOME PICKED UP FRAGMENTS OF PERCEPTION ─From Authentic Records Of Journeys, Into Mysterious Regions, By Some Wonder-Struck Pioneer Travellers Following The Rules-Book Of 'Scientific Method' ― https://independent.academia.edu/SUBHASCHANDRAGANGULY ]

    আর আমাদের ‘বিজ্ঞানপ্রেমীদের’ মধ্যে যাদের সেই “মহাজাগতিক” গভীরতায় যাত্রার কোন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নেই তাঁদের (যেমন বর্তমান রচনাকারী) পক্ষে এই প্রসঙ্গে উপরোক্ত পথিকদের অনুভবের সাথে সঙ্গতি রেখেই নিজেদের চেতনার জগতকে/ধারণাকে নির্মান বা পুননির্মান করে তোলাটাই বোধ হয় কাম্য । এখানে এটা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য যে উপরোল্লিখিত অনবগতির প্রধান উৎস আনু্ষ্ঠানিক বিজ্ঞান-শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে অনুসৃত শিক্ষাক্রম । সেখানে বাঁধা কিছু তথ্য-সূত্রাদি গলাধঃকরণের বাইরে সেই তথ্য-সূত্রাদি’র আবিষ্কর্তা, মহাজাগতিক পথের পথিকদের সামগ্রিক অনুভবকে উপস্থিত করার কোন রকম প্রচেষ্টা নেই । এই ব্যাপারে এই পথিকদের এক জনের নিজের শিক্ষার্থী জীবনের অভিজ্ঞতাঃ
    •….one had to cram all this stuff into one’s mind for the examinations, whether one liked it or not. This coercion had such a deterring effect [upon me] that, after I had passed the final examination, I found the consideration of any scientific problems distasteful to me for an entire year. In justice I must add, moreover, that in Switzerland we had to suffer far less under such coercion, which smothers every truly scientific impulse, than is the case in many another locality.
    —Albert Einstein , ‘AUTOBIOGRAPHICAL NOTES’ as included in ‘A STUBBORNLY PERSISTENT ILLUSION THE ESSENTIAL SCIENTIFIC WRITINGS OF ALBERT EINSTEIN’, with an introduction from Stephen Hawkins( RUNNING PRESS, PHILADELPHIA • LONDON 2007 P. 345-346)

    এখানে এটা খেয়াল রাখাটা অবশ্য প্রয়োজনীয় যে এই পথিকদের রচনাবলীতে বারে বারে উল্লিখিত এই “আধ্যাত্মিকতা’র সাথে নানা নামে (‘হিন্দু’, ‘ইসলাম’, ‘খ্রীষ্টান’, ‘ঈহুদী’ ইত্যাদী) স্ব-নামাংকিত আনুষ্ঠানিক ও সম্প্রদায়-ভিত্তিক কোন ‘ধর্মের’ সাথে দূরতম কোন সম্পর্ক নেই । আনুষ্ঠানিক/গোষ্ঠি-ভিত্তিক ‘ধর্মবিশ্বাস’ ও ‘আধ্যাত্মিক’ অভিজ্ঞতা/অনুভূতি’র মধ্যে কোন আবশ্যিক সম্পর্ক যে নেই সে ব্যাপারে অসেচতনতা ‘আধ্যাত্মিকতা’ -বিরোধী ‘বিজ্ঞানপ্রেমী’ ও ‘বিজ্ঞান’-বিরোধী-তথা-গোষ্ঠি-ভিত্তিক ‘ধর্মপ্রেমী” এই উভয় শিবিরেই (যারা অনেক সময়েই পারস্পরিক বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন) যে খুবই ব্যপক তা স্ব স্ব শিবিরের প্রবক্তাদের পারস্পরিক বাকযুদ্ধকালীন উচ্চারিত উগ্র বাক্যাবলী থেকে মনে হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে ।
    — সুভাষ চন্দ্র গাঙ্গুলী,
    [email protected]
    https://sites.google.com/site/subhascganguly/writings
    https://sites.google.com/site/writingsofsganguly/
  • — সুভাষ চন্দ্র গাঙ্গুলী, | 127.194.71.113 | ০৮ মে ২০১৭ ১৩:১৮364848
  • 02 Apr 2017 তারিখে প্রকাশিত শ্রী অঞ্জন মজুমদার –এর লেখা প্রসঙ্গে, 25 Apr 2017 তারিখে প্রকাশিত আমার লেখার প্রথম লাইনে ‘রোহিত ভেমুলা’ এই নামে'র দ্বিতীয় অংশটি আমার অসাবধানতায় ‘ভারমুলা’ হয়ে গেছে । এই ভুলের জন্য আমি পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী । লেখাটি পড়ার সময় তাঁরা অনুগ্রহ করে যেন ‘ভারমুলা-র জায়গায় 'ভেমুলা’ পড়ে নেন । আমার বয়োঃকনিষ্ঠ যে বন্ধু (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)
    এই ভুলের দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।
    — সুভাষ চন্দ্র গাঙ্গুলী,
    [email protected]
    https://sites.google.com/site/subhascganguly/writings
    https://sites.google.com/site/writingsofsganguly/
  • অঞ্জন মজুমদার | 57.11.15.184 | ১০ মে ২০১৭ ১২:৫৭364849
  • একটি খোলা চিঠি ও একটি রিপোর্ট :
    বিজ্ঞানীদের সামাজিক ভূমিকা কী হতে পারতো

    আধুনিক সমাজের রূপায়ণে বিজ্ঞানীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । বিজ্ঞানীরা তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে থাকেন । বিজ্ঞান তথা বিজ্ঞানীদের কীর্তি কাহিনীর অজস্র নমুনা চোখের সামনে যেভাবে সাজানো রয়েছে, তা থেকে কোনটা আমার ব্যবহারের আর কোনটা নয়, সেটা বুঝে নিতেই ধাঁধায় পড়ি । পণ্য তথা সামগ্রীর উপযোগিতা — এসব নিয়ে তামাশা নিশ্চয়ই করা যায় । তবে বিজ্ঞানের প্রচুর আশীর্বাদ আমাদের জীবনে যে পরিবর্তন এনেছে — যে উন্নত স্তরে তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে — সেটা অস্বীকার করার স্পর্ধা বা ইচ্ছে কোনোটাই আমার নেই ।

    কথা যেটা হচ্ছিল সেটা বিজ্ঞানীদের নিয়ে । বিজ্ঞানীরা সাধারণত ল্যাবরেটরি পালিত নিতান্ত শান্তশিষ্ট অস্তিত্ব । বিশেষ করে বিজ্ঞানের আসরে বিজ্ঞানীবৃত্তিতে যারা নিয়ত অসাধারণ সব কাজে ব্যস্ত থাকেন, ল্যাবরেটরির বাইরে বেরোলেই তাঁরা যে কোনও একজন সাধারণ মানুষের চেয়েও নিতান্ত সাধারণ হয়ে যান । সুকুমার রায় বোধহয় এমনই এক ভাবনাকে রূপ দিয়েছিলেন তাঁর “বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই” কবিতায় । আমার স্মৃতিতে প্রফুল্লচন্দ্র রায়, আব্দুল কালাম, মেঘনাদ সাহা, পুষ্প মিত্র ভার্গব প্রমুখ হাতেগোনা কয়েকটি নাম (আরও কিছু নাম নিশ্চয়ই স্মরণ করা উচিত ছিল) বাদ দিলে সুপরিচিত ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে সমাজভাবনার পরিচয় খুঁজে ফেরা অনেকটা সেই ‘খ্যাপা খুঁজে ফেরে পরশপাথর’-এর মতো দাঁড়িয়ে যায় ।

    ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মুম্বই শহরে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের আসরে জালিয়াতি নির্ভর একটি পুরোনো পুঁথিকে আশ্রয় করে এক তামাশাকে গবেষণাপত্রের নামে পরিবেশন করা হয়েছিল । ভারতের পেশাদার বিজ্ঞানীরা প্রায় সকলেই মৌনব্রত নিয়েছিলেন । বিশেষ করে বাংলার অবস্থা ছিল নিতান্ত শোচনীয় । পুষ্প মিত্র ভার্গব সেদিন ‘একা কুম্ভ’ হয়ে ‘নকলবুঁদি’ রক্ষার চেষ্টা করে দুর্বল জীবসত্তা বিজ্ঞানীদের মান বাঁচিয়েছিলেন । এ বিষয়ে আগ্রহী পাঠক “বিজ্ঞানীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা” নামে আমার নিজের খোলা একটা ‘টই’ নীচের লিংকে পড়ে দেখতে পারেন:
    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1493564742730

    বিজ্ঞানীদেরও যে মেরুদণ্ড থাকে তার পরিচয় নতুনভাবে নজরে এলো একটা চিঠির সূত্রে । সেই চিঠি সকলে পড়ুন — এই আকাংক্ষা থেকেই চিঠিটি তুলে ধরার কথা আমার মাথায় আসে । রোহিত ভেমুলার নিদারুণ মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে তিনজন ভারতীয় বিজ্ঞানীর তৈরি করা একটা রিপোর্ট নিয়ে লেখা সেই আশা জাগানো চিঠি অনুবাদ করে সকলের সামনে তুলে ধরাটা আমার একধরনের পাপস্খলনও বলা যায় । ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটা অতিক্ষুদ্র অংশের এই অভিনন্দনযোগ্য প্রচেষ্টার খবর ভারতের বৃহত্তর বিজ্ঞানীসমাজ ও মিডিয়া দু:খজনক এবং তীব্র নিন্দাজনকভাবে চেপে গিয়েছে । এই চেপে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তারা দ্বর্থ্যহীনভাবে তাদের স্বরূপ প্রকাশ করেছে ।

    ছাত্র রোহিতের মর্মান্তিক পরিণতি বিজ্ঞানের একজন শিক্ষক হিসেবে আমাকে স্পর্শ করে — চিন্তিত করে । বাংলা ভাষায় এবিষয়ে আরও কিছু পড়বার মতো লেখার খোঁজ করছিলাম । সেটা না পাওয়াতে অপটু হাতে নিজেই কিছুটা লেখার চেষ্টা করি । রোহিতের লেখা শেষ চিঠিরও অনুবাদ করেছি । রোহিতের জীবন নিয়ে সাংবাদিক সুদীপ্ত মন্ডলের একটি মর্মস্পর্শী অনুসন্ধানী লেখার অনুবাদ করেছি । কিছু প্রকাশিত হয়েছে । পাঠকদের দু-একটি প্রশ্ন বেশ চিন্তায় ফেলেছিলো । প্রশ্নগুলো এধরনের : এক, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়কে “ঘাতক বিশ্ববিদ্যালয়” কেন বলা হচ্ছে ? দুই, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে “হত্যাকারী উপাচার্য” বলতে কী বোঝানো হচ্ছে ? এসবের কোনো সদুত্তর আমার সত্যিই জানা ছিলনা । ভারতীয় বিজ্ঞানীমহলের একটা একেবারে ছোট অংশ যে এ নিয়ে একটা বড়সড় কাজে নেমেছেন, তা আমার ভাবনার অতীত ছিল । বিভিন্ন গবেষণা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত চোদ্দজন ভারতীয় বিজ্ঞানী “India Resists” নামে একটা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে “স্বাধীনচেতা বিজ্ঞানীদের লেখা রোহিত ভেমুলার প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকান্ড প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতিপর্বের ঘটনাবলির রিপোর্ট পড়ে দেখুন” শিরোনামে একটা খোলা চিঠি ২০১৭-এর ২রা জানুয়ারি প্রকাশ করেছেন ।
    (দেখুন: http://www.indiaresists.com/read-independent-scientists-report-events-leading-upto-rohith-vemulas-institutional-murder/) । “India Resists”-এর ওয়েবসাইটে মূল চিঠির নিচেই “স্বাধীন বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট”টিও রয়েছে।

    চোদ্দো জন ভারতীয় বিজ্ঞানীর লেখা সেই খোলা চিঠির আমার করা অনুবাদ :
    স্বাধীনচেতা বিজ্ঞানীদের লেখা রোহিত ভেমুলার প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকান্ড প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতিপর্বের ঘটনাবলির রিপোর্ট পড়ে দেখুন
    আজ থেকে প্রায় একবছর আগে, ২০১৬ সালের ১৭ই জানুয়ারি হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের PhD-র ছাত্র রোহিত ভেমুলা তার শেষ চিঠিতে “আমার জন্মটাই আমার জীবনের মরণান্তক দুর্ঘটনা” কথাগুলি লিখে, তারপর আত্মহননে জীবন আহুতি দেন । তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্রুদ্ধ সংঘর্ষের আখড়া হয়ে উঠলো । শিক্ষাজগতের অংশ হিসেবে আমরা অনেকেই এসব সংঘর্ষের খবর পেয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি । দেশের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনার পরে, কয়েকমাস আগে আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসি । অনেকে মিলে ভেবে আমরা ঠিক করি যে কয়েকজন বিজ্ঞানীর একটি দল হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে সত্যানুসন্ধান করে আসতে পারে । আর সেটা করলে একটা কাজের কাজই হবে । পরবর্তী সময়ে শিক্ষানুরাগী সমাজকে জানানোর জন্য একটা রিপোর্ট তৈরি করা যাবে । সেভাবেই জুলাই মাস নাগাদ সুব্রত রাজু, প্রোজ্বল শাস্ত্রী এবং রবিন্দর বানিয়াল, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান । তাঁরা একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেন । এই ই-মেলের সাথে সেই রিপোর্টের সূত্রটা যুক্ত করা আছে ।

    রিপোর্টটি তৈরি করার সময়ে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচুর ছাত্র এবং শিক্ষকদের সাথে তাঁরা কথা বলেছিলেন । এছাড়াও নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র দেখবার সুযোগ পেয়েছিলেন সত্যসন্ধানী দলটি । বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরকার খবরাখবর ছাড়াও, আমাদের সকলের জন্য প্রাসঙ্গিক দুটি বিষয়ের দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাটা জরুরী বলে মনে হয়েছে । রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে শুরুর দিকে আম্বেদকর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মধ্যে ছোটখাটো একটা বিতণ্ডা হয়েছিল ঠিকই । কিন্তু ঠিক এরপরেই আশ্চর্যজনকভাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর পাঁচটি চিঠি আসে, যেগুলি অবস্থাকে রীতিমতো ঘোরালো করে তোলে । কেন্দ্রীয় সরকার ছাত্র রাজনীতিতে দলীয় অনুপ্রবেশকে মদত দিতে কীভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করছে — এটা তার একটা দিক । অন্যদিকে, রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে, যদিও হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় একটি সার্বজনীক প্রতিষ্ঠান, তথাপি ক্যাম্পাসের ভেতরে ‘মেরিট’-এর নামে বিভেদমূলক মানসিকতা ভয়াবহ মহামারীর চেহারা নিচ্ছে । আরও বড়ো সমস্যার ব্যাপার হলো: সংরক্ষণব্যবস্থায় ‘কোটা’র বিষয়টিই তো আর সবকিছু নয় । শিক্ষাজগতের আনাচে কানাচে বিভেদের যে সব অভিশাপ লুকিয়ে রয়েছে, লড়াই করে তাদের নির্মূল করাটা নিতান্ত প্রযোজন । আর তাছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ ছাত্রছাত্রীসমাজের শিক্ষা সম্পর্কিত চাহিদাগুলির প্রতি নজর রাখাটাও জরুরী ।

    এ সব কিছুই প্রাসঙ্গিক কারণ এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোনমির প্রশ্নটি জড়িয়ে রয়েছে । জড়িয়ে রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা এবং ভেদাভেদের প্রসঙ্গ, যেগুলি দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । রিপোর্টে বেশ কিছু পরামর্শ রাখা হয়েছে যদিও সেসব বিবিধ বৃহত্তর সমস্যা শিক্ষাবিদ মহলে দীর্ঘ আলোচনার অপেক্ষা রাখে । এখানে কিন্তু আমরা বিশেষ করে জানতে উত্‍সাহী যে, বিজ্ঞানসংস্থাগুলিতে এ নিয়ে কী ধরনের আলোচনা চলছে । গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যাগুলি সম্পর্কে এইসব সংস্থার সদস্যদের সাধারণত: কোনও কথা বলতে শোনা যায় না ।

    এমতাবস্থায়, আমাদের অনুরোধ এই যে, আপনাদের সংস্থার ছাত্র শিক্ষক সকলের সঙ্গে এই রিপোর্টটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করুন । আমাদের বিশ্বাস যে এই রিপোর্ট এমন একটি বিশিষ্ট দলিল যা কিনা প্রাসঙ্গিক বৃহত্তর সামাজিক প্রশ্নগুলি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা নেবে । আমরা এটাও আশা করি যে, তথ্য সন্ধানের এই যে প্রয়াস, সেটি একটি উদাহরণ হিসেবে থেকে যাবে — আর আগামী দিনে যখন যেখানে প্রযোজন শিক্ষাব্রতী মানুষেরা দল বেঁধে একই ধরনের অনুসন্ধানে নেমে পড়বেন ।

    আন্তরিকতাসহ :
    (আমাদের সনাক্ত করতে যাতে অসুবিধে না হয় — একমাত্র সে কারণেই সকলের প্রতিষ্ঠান-সংযোগের উল্লেখ করা হয়েছে । আমাদের প্রতিষ্ঠানের হয়ে আমরা এই কাজ করিনি । এই লেখাটির ব্যাপারে আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত অধিকারবলে কাজটি করেছি ।)
    দিলীপ জাটকর:হরিশ-চন্দ্র রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এলাহাবাদ)
    শ্রীকান্ত শাস্ত্রী:জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সাযেন্টিফিক রিসার্চ (বেঙ্গালুরু)
    প্রোজ্বল শাস্ত্রী:ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (বেঙ্গালুরু)
    এন. রাঘবেন্দ্র:হরিশ-চন্দ্র রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এলাহাবাদ)
    রবিন্দর বানিয়াল:ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (বেঙ্গালুরু)
    রাহুল সিদ্ধার্থন:ইন্সটিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেস (চেন্নাই)
    সৈকত ঘোষ:ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (কানপুর)
    সমৃদ্ধি শংকর রায়:ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টার ফর থিয়োরিটিক্যাল সায়েন্সেস, টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (বেঙ্গালুরু)
    সন্দীপ কৃষ্ণ:ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস, টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (বেঙ্গালুরু)
    আল্লাদি সীতারাম:পূর্বতন: ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউট (বেঙ্গালুরু)
    ভানু দাস:টোকিও ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, পূর্বতন: ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (বেঙ্গালুরু)
    সুগত রায়:ইন্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েশন ফর দি কালটিভেশন অব সায়েন্স (কোলকাতা)
    সুমতি রাও:হরিশ-চন্দ্র রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এলাহাবাদ)
    সুব্রত রাজু:ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টার ফর থিয়োরিটিক্যাল সায়েন্সেস, টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (বেঙ্গালুরু)
    মূল রিপোর্টটি দেখুন নিচের লিঙ্ক-এ :
    http://www.indiaresists.com/read-independent-scientists-report-events-leading-upto-rohith-vemulas-institutional-murder/

    Copyright of the commentary and Bengali translation (c) 2017 by Anjan Majumder. This is an open access article distributed under the terms of the Creative Commons Attribution-Non commercial-No Derivative License (see http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/us/), which permits anyone (if he/she so wishes) to share this article, provided (1) the distribution is only for non commercial purposes, (2) the original author and the source are attributed, and (3) no derivative works including any alterations are made. For any distribution, this copyright statement should also accompany the article without any alteration and in its entirety.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন