এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জল দাও

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ০৮।০১. ২০২০ কর্ণাটকের মনিপাল থেকে বেরিয়ে‌ছিলাম ৬৪ রাতের একাকী ভ্রমণে। সে ভ্রমণের শুরু হয়েছিল ঝাঁসি থেকে। ২৭শে ফেব্রুয়ারী মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর থেকে গেছি সাতারা। ওখানে কৃষ্ণা নদীর তীরে হাইওয়ে থেকে দু কিমি ভেতরে অরণ‍্যময় সুন্দর পরিবেশে তিন  রাত ছিলুম এক আশ্রমে। সুন্দর সে অভিজ্ঞতা। সেসব কখনো আসতে‌ও পারে “একা বেড়ানোর আনন্দে” - সিরিজে। এখানে অন‍্য প্রসঙ্গ।


     
    ২৯.২ সেই আশ্রম থেকে ১৬ কিমি দুরে  চলেছি এই পাহাড়ের মাথায় এক হনুমান মন্দিরে - এক বেলার ডে আউট। আশ্রম থেকে ২ কিমি জঙ্গলে‌র পায়ে চলা পথে হেঁটে উঠলাম হাই‌ওয়েতে। সেখান থেকে সাতারা কোরেগাঁ‌ও বাসে গেলাম ৮ কিমি। বাস থেকে নেমে বাইকে হিচহাইক করে গেলাম আরো ৩ কিমি। অতঃপর সমূদ্রতল থেকে তিন হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের মাথায় গেলাম ৩ কিমি পদব্রজে। 


    হাই‌ওয়ে থেকে দুরে দেখা যায় সেই পাহাড়

    বাইক যেখানে ছেড়ে দিল সেখান থেকে পিচরাস্তায় দেড় কিমি হেঁটে গেলে শুরু হবে পাহাড়ে ওঠার পথ।


    পাহাড়ের ওপর থেকে নীচের দৃশ‍্য মনোরম


    কিন্তু পাহাড়ে ওঠার পথে যা দেখলাম মন ভরে গেল। সাতারা বনদপ্তর মাঝে মাঝে গাছ থেকে ঝুলিয়ে রেখেছে এমন মবিলের কাটা ডাব্বা। সাথে লেখা মারাঠি ভাষায় কাব‍্যিক আবেদন - 
    এক‌ই বাতাস 
    (যাতে আমরা সবাই শ্বাস নি‌ই)
    পারলে এতে একটু জল রাখুন 
    (পাখিদের জন‍্য)


     চলার পথে এমন অনেকগুলো দেখেছিলাম। কোনোটায় হিন্দি‌তে লেখা:
    চিড়িয়া করে এক হী পুকার
    মুঝে বাঁচাও, না করো
    মেরা সংহার



    কোথাও শুধু লেখা হনুমান‌জীর বন্দনা
    মহারুদ্র হনুমান‌কী জয়

    এসবের উদ্দ‍্যেশ‍্য একটা‌ই - সাতারা রুক্ষ এলাকা - রোজ বনকর্মীদের পক্ষে  উঁচু পাহাড়ে উঠে সব ডাব্বায় জল।দিয়ে আসা সম্ভব নয়, তাই এই সব বাণী, আবেদন দেখে যদি ভক্ত যাত্রী‌রা ডাব্বায় জল দেয় তো ভালো হয়। আমি প্রতিটা‌র কাছে গিয়ে দেখেছি - সবেতে কিছু না কিছু জল আছে। মনে হয় মন্দিরে যাওয়া আসার পথে অনেকেই তাতে জল দেয়। দেখে ভালো লেগেছিল বেশ‌।
    এই নাভিশ্বাস ওঠা গরমে কলকাতা‌য় আমাদের ফ্ল‍্যাটে‌ বারান্দা‌র কোনেও একটা বাটিতে জল রেখেছি পাখিদের জন‍্য। 


    আমাদের আটতলার ব‍্যালকনির কোনে কাপড় শোকানোর তারে ফিট করে দিয়েছি বাটিটা। চড়াই এখানে দেখাই যায় না। তবে আছে অনেক পারাবত‍। তারা‌ই আসে জলপান করতে। কয়েকটি ছবির ফ্রেমে‌ও উড়ছে।

    ওদের ক'জন বেলা ২ টো নাগাদ ডাইনিং রুমের জানলার বাইরে সিলে এসে বসে গুঁকর কোঁ - গুঁকর কোঁ করে ডাকে।  বক্তব্য - কী হোলো ভাত টাত যা দেবার দাও - লাঞ্চের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে তো? বৌ রোজ সিলে ভাত দিয়ে দিয়ে ওদের এমন অব‍্যেস করেছে। 

    কথায় বলে - ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না। তবে এখানে কাকাবাবুদের বিশেষ দেখা যায় না। তারা থাকেন কালীঘাটে।

    তবে এখানে আছে অনেক পায়রা। গৃহস্থ যখন খর দুপুরে এসি চালায় - ওরা আউটডোর ইউনিটের তলায় ছায়ায় এসে বসে। এভাবেই চলে Mutual Coexistence. 

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:২৭531113
  •  মারাঠি ভাষায় কাব‍্যিক আবেদন - আইডিয়া এবং তার প্রয়োগ - দুইই ভালো লাগল। বারান্দার একপ্রান্তে জলের ব‍্যবস্থাও চমৎকার হয়েছে। 
  • অরিন | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:০৮531117
  • সমরেশবাবু, আপনার বারান্দার লিনটেনের নীচে পাখীদের জল খাবার পাত্র রাখার ছবিটি দেখে গ্যারি স্নাইডারের একটি ইনটারভিউ'র কথা মনে পড়ল, পুরো ইনটারভিউটা এখানে রাখা: https://inquiringmind.com/article/2802_5_snyder/
     
    তা সে সাক্ষাৎকারের এক জায়গায় ভদ্রলোক বলেছিলেন (দাগানো জায়গাগুলো আমার করা),
     
    "IM: In a number of your writings you ask people whether they know what birds are in their yard, or what time is high tide. You ask people to become “nature literate” about where they live.
     
    GS: I consider it a form of good manners. It’s a kind of etiquette. It’s not just that you should get to know your human neighbors, but you should get to know all your other neighbors as well. Etiquette involves being able to say hello in an intelligent way to a tree, to greet a bird. And that means you ought to at least know its name.
    Another way to expand sangha is to hold ceremonies that pay tribute to the earth, other creatures, ancestors. There are seasonal ceremonies, like equinoxes and the solstices. In Chinese and Japanese Buddhism they do ceremonies that welcome the spirits of the dead, with everybody putting out lanterns, or maybe a little candy or a little sake. It’s like the Mexican Day of the Dead, a combination of Halloween and honoring the ancestors. Instead of inventing new things with our twenty-first-century educated minds, we probably want to check out what’s been going on in the pagan world and in the Buddhist world all through the last 5,000 years."
     
    এগুলো ভুলে যেতে নেই | আপনার কমপ্লেকসের তোলা ছবির ২৭ টা বারান্দার মধ্যে মাত্র একটাতেই সত্যিকারের মানুষ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেল, :-)
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১০:১৮531121
  • @ অরিন লান,

    আপনার দুটো ব‍্যাপার আমায় বেশ অবাক করে:

    ১. Resourcefulness - নানা প্রসঙ্গে অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে আপনি বিভিন্ন অথেন্টিক রেফারেন্স দেন। এতো কিছু পড়তে পারা, মনে রেখে নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে, দ্রুত সঠিক রেফারেন্স দেওয়া - আমার কাছে বেশ কঠিন কাজ মনে হয়।

    ২. Tenacity - বিভিন্ন লেখার ওপর মন্তব্য করায়, ভাটে নানা আলোচনা‌য় আপনি প্রখরভাবে, প্রবলভাবে উপস্থিত। অথচ আপনি ডাক্তার, আছে রিসার্চের কাজ। অবশ‍্য ভাটে dc, অরিত্র, r2h, দময়ন্তী, রমিত, kk, &\, অরণ‍্য, পলিটিশিয়ান প্রমুখরাও বেশ Actively participate করে। এদের জন‍্য‌ই ভাট-হাট গমগম করে।

    একটা কথা আমার বারবার মনে হয় কিছু মানুষের TMS (Time Management Skill) জাস্ট অন‍্য লেভেলের। অবশ‍্য বহু ক্ষেত্রে বিখ্যাত, সফল, ব‍্যস্ত মানুষের নানা গুণাবলী‌র মধ‍্যে TMS একটি অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ বলে মনে হয় আমার।

    বুঝতে পারছি জল দাও আপনাকে ছুঁয়ে গেছে। একটা ভিডিও পোষ্ট করছি - Avian Affairs. বিভিন্ন সময়ে, নানা জায়গায় আমার তোলা কিছু ভিডিও ক্লিপ দিয়ে আমাদের পুত্র ওটা বানিয়ে‌ছিল যখন ও বছর তেরো। কিছু ফাজিল ক‍্যাপশন আমার সাজেশন। বাকি ক‍্যাপশন, মিউজিক দিয়ে সাজিয়ে পুত্রদেব‌ই বানিয়ে‌ছিল ভিডিও‌টা। 
     
    ওতে পাখির ছবিগুলো তোলা চকৌরি, নৈনিতাল High Altitude Zoo, ইন্দ্রোদা নেচার পার্ক গান্ধী‌নগর, নর্মদাতীরে নারেশ্বর‌ধাম এই সব জায়গায়। মনে আছে বড় পারিবারিক দলে উত্তরাখণ্ড ভ্রমণে সবাই যখন হোটেলে ঘুমোচ্ছে - আমি ভোরে ক‍্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি‌লাম। তখনই তোলা পাখিদের প্রাতরাশের ভিডিও।  অর্থাৎ দলে বেড়াতে গিয়েও বহুদিন ধরে কিছু সময়ের জন‍্য একাকী হয়ে যাওয়া আমার স্বভাবেই ছিল। এখন সেটা বেড়ে দুমাসের একাকী ভ্রমণে।দাঁড়িয়ে‌ছে laugh

    পরিযায়ী পাখিগুলো জামনগরে সুবিশাল লাখোটো লেকে তোলা। ওখানে প্রথম দফায় তিন ও  দ্বিতীয় দফায় আটবছর ছিলাম। তখন বিভিন্ন ঋতুতে সময় পেলে‌ই ঐ লেকে ক‍্যামেরা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ছিল আমার মোস্ট ফেভারিট পাস্টাইম। বড় সুন্দর জায়গা জামনগর। বদরি পাখি গুলো‌ও ঐ লেকের ধারে পাখি‌রালয়ে তোলা। এক রবিবার সকালে ওখানে গিয়ে ওদের মিষ্টি, মজার রকমসকমের ছবিগুলো তুলেছিলাম সময় নিয়ে একটা ভালো Sony HD vdo ক‍্যামেরা‌য়। 

    এখন ফটো তোলার সেই শখ মিটে গেছে। বয়সের সাথে কিছু ব‍্যাগেজ ত‍্যাগ করে ভালো‌ই লাগে। তাই দুম্বো Nikon D750 Full Frame DSLR কিনে‌ও বেচে দিয়েছি দু বছর বাদে। Sony VDO ক‍্যামেরা খারাপ হয়ে গেছে। এখন বেড়াতে যাই হালকা হয়ে। ছবি তুলি মোবাইলে - শুধু কিছু স্মৃতি ধরে রাখতে।

    @ অমিতাভ

    আমার‌ও বনদপ্তরের ঐ কাব‍্যিক আঙ্গিকে আবেদন বেশ ভালো লেগেছিল। নিছক শুষ্ক দায়িত্ব‌পালন নয় - ওতে পেয়েছি‌লাম নিখাদ আন্তরিক‌তার ছোঁয়া। 
  • অরিন | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪২531140
  • সমরেশবাবু, "আমি" রিসোর্সফুল টুল কিছু নই (এমনি "fool" অবশ্য বলতে পারেন)।
    "আমি", বা ধরুন স্বতন্ত্র আমি ব্যাপারটারই, অন্তত আমার কাছে, অস্তিত্বহীন (YMMV)। 
     সত্যের খাতিরে আসল কৃতিত্ব আপনার। আপনি লেখাটা না লিখলে, বা জলপাত্রের ছবি না দিলে আর গ্যারি স্নাইডারের লেখার কথাটাই বা আসে কি করে, :-)
    আপনাদের পাখীর ভিডিও অসাধারণ। 
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:9d29:cb86:e5e7:f2e1 | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩০531146
  • পাখির ভিডিওটা খুব ভালো লাগলো, মেয়ের সাথেও শেয়ার করলাম। 
     
    এ প্রসঙ্গে একটা গল্প বলি - আমরা কিছুদিন শহরতলির ফ্ল্যাটে আছি একটা কারনে, তো মেয়ে ঠিক করেছে এখানেও একটা বার্ডবাথ বানাবে। সেই মতো বানানো হলো, এবার সেটা কোথায় রাখা হবে সে নিয়ে বিস্তর গবেষণা হলো। শেষে মেয়ে আর বৌ মিলে সেটা তার দিয়ে বেঁধে একটা ফ্রেমমতো বানিয়ে সেই ব্যালকনিতে এসির স্ট্যান্ড থেকে ঝুলিয়ে দিলো। কিন্তু পাখি আর আসে না। দুজনেরই মন খারাপ, দোকান খুলে বসে আছে এদিকে খদ্দের নেই। তখন মা বললো এ কি তোদের শহরের বাড়ি পেয়েছিস? এখানে চারিদিকে পুকুর, গাছ, সেসব ছেড়ে তোদের ঝুলন্ত টবে কে আসবে জল খেতে? তখন সেই বাটিটা খুলে বারান্দাতেই নামিয়ে রাখা হলো, পাশে একটা বাটিতে কিছু দানা রাখা হলো। তার পরদিন প্রথমে একটা শালিক এসে বসে খানিকক্ষন দেখে, একটা দানা নিয়ে উড়ে গেল। তারপর সেটা নিশ্চয়ই অন্যদের বলেছে, দেখা গেলো আস্তে আস্তে অনেক পাখি আসতে শুরু করেছে, তারা এখন চান করছে, দানা খাচ্ছে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে।  
  • যদুবাবু | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৮531149
  • খুব সুন্দর! মন ভালো হয়ে গেলো! থ্যাংক ইউ! 
     
    পাখিদের জন্য বারান্দায় একটা বার্ড ফিডার আর জল রাখি আমি, গরম বাড়লে, আমাদের এখানে অবশ্য গ্রামস্য গ্রাম, বাড়ির পেছনে ঘন জঙ্গল আর কাছেই টলটলে পুকুর! তাও রাখি, সারাদিন পাখি আর কাঠবিড়ালী আসে! আমার কুকুরছানা কাঠবেড়ালীদের বকে কিন্তু উহাদের ভ্রুক্ষেপ নেই! আমি রোজি ভাবি, এই যে পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে উঠছি এ নির্ঘাত অনেক পূণ্যের ফল! 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৭531150
  • ধীরে ধীরে সেই বার্তা 
    রটি গেল বনে
    দানা জল রাখা আছে
    বারান্দার কোনে।।
     
    একে একে এসে তারা
    করে কাড়াকাড়ি
    তাই দেখে দোকানীরা
    খুশী হোলো ভারি !!
     
    heart laugh
     
    সাধু! সাধু!! 
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:9d29:cb86:e5e7:f2e1 | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৮531151
  • laugh
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২১531157
  • "আমি রোজি ভাবি, এই যে পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে উঠছি এ নির্ঘাত অনেক পূণ্যের ফল!"
     
    একদম সহমত।
  • kk | 172.58.241.244 | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৫531159
  • এই লেখাটা খুব ভালো লাগলো। ভিডিওটাও। আমি পাখিদের খুব ভালোবাসি। তাই তাদের জন্য কেউ কিছু করছে জানলে খুব ভালো লাগে। পাখিজুখিদের নিয়েই আমার সংসার। ভাটে বোধহয় লিখেছিলাম একবার, অনেক বছর আগে।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৬531162
  • kk লান 
     
    আপনার মন ভালো করে দেওয়ার মতো একটি খবর শেয়ার করছি। একযুগ আগে TOI তে প্রকাশিত ঐ খবরের প্রোটাগনিস্ট গুজরাটের হিঙ্গোলগড় নেচার এডুকেশন স‍্যাংকুচিয়ারির রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার V.D.Bala সাহেবের সাথে আমার‌ একবার দেখা হয়েছিল। 
    তখন আমরা থাকি জামনগরে। (সম্ভবতঃ) ২০১০ এর মার্চের এক সকালে বৌ, ছেলেকে নিয়ে আমার পুঁচকে মারুতি আটশোতে বেরিয়ে‌ছি বেড়াতে। রাজকোটে প্রদ‍্যুম্ন জু গার্ডেনে খানিক চক্কর মেরে চললুম আমরেলির দিশায়। জাসদাঁ হতে বাঁয়ে বেঁকে হিঙ্গোলগড় অভয়ারণ‍্যের ভেতরে যখন পৌঁছলাম তখন গোধূলি।
     
    তখন গুগল ম‍্যাপ, মোবাইল ইন্টারনেট নেই। জামনগর থেকে হিঙ্গোলগড় ১৭৫ কিমি পথ জানতাম না। তাহলে রাজকোট জুতে ঘুরে সময় নষ্ট করতাম না। বুঝতে পারিনি এতো দেরী হয়ে যাবে।

    আর এক অমায়িক মানুষ DFO প‍্যাটেল সাহেব RFO বালা সাহেব‌কে আমাদের আসার কথা বলে রেখেছিলেন। আমাদের দেরী দেখে উনি চৌকিদার‌কে বলে চলে যেতে‌ই পারতেন। তবু আমাদের জন‍্য অপেক্ষা করে, একটু সৌজন্য বিনিময় করে ঘর দেখিয়ে ছটা নাগাদ বাইক নিয়ে চললেন ৮০ কিমি দুরে রাজকোট!

    জীবনের পথে এমন সব আশ্চর্য সুন্দর মানুষের দেখা পাওয়া - (ঐ যদুবাবু যেমন বললেন, রোজ সকালে পাখির ডাক শুনে ঘুম ভাঙার মতো) -  হয়তো অজান্তেই কৃত কিছু পূণ‍্যের ফল। সেই সব অভিজ্ঞতা লিখে - অচেনা হলেও সমমানসিকতার মানুষের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পড়ার মতো আমার লেখা‌র গতি‌ও ধীর। তাই থেকে যাবে অনেক না বলা কথা।

    নাঃ, আর কিছু বলছি না। খবরটি পড়লে হয়তো বালা সাহেবের মতো মানুষদের সংকল্প, সদ্ভাবনা, উদ‍্যম জেনে ভালো লাগবে আপনার, যদুবাবু‌র, dc, অরিন লান, অমিতাভ‌র মতো মানুষের।
  • kk | 172.58.241.244 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৫৮531164
  • সমরেশ লান,
    ঠিকই বলেছেন। মন ভালো করা খবর। খুব ভালো লাগলো এই উদ্যোগ। চড়াইয়ের কিচমিচ দিয়ে সকাল শুরু হওয়া, এগুলোই জীবনের আসল ভালোলাগা বলে মনে হয় আমার। আমাদের এখানেও অনেক রকম চড়াই আছে। আর চড়াইয়ের কাছাকাছি দেখতে কিন্তু একটু অন্যরকম ফিঞ্চ আছে। সেও নানা রকম। সিসকিন পাখিও অনেকটা চড়াইয়ের মত দেখতে। আমার আগের বাড়ির জানলার সামনে ঝোপের মধ্যে এক সিসকিন থাকতো। সে দুপুর বেলা কী যে সুন্দর মিষ্টি শিস দিতো বলার নয়। ওর নাম দেওয়া হয়েছিলো 'বুশকিন'। এই বসন্তে আমার ডেকের নীচে এক কোণায় ব্লু-বার্ড ছোট্ট একটা বাসা করেছে। একবার উঁকি দিয়ে দেখেছিলাম ছোট্ট ছোট্ট নীল রঙের ডিম। কিন্তু আর বেশি কাছে যাইনা, হয়তো ভয় পাবে।

     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d03b:aa6f:ea16:e04 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫৫531180
  • আজ সকালে এই ফটোটা তুললাম। এটা আমার মেয়ের ঘর, বাইরে ব্যালকনিতে রাখা জলের টব আর খাওয়ার বাটি। বাঁদিকে একটা শালিক পাখি দেখতে পাবেন রেলিং এর ওপর, আর একদম নীচে একটা ছাতারে পাখি। বাঁদিকে বাইরে, মানে দেওয়ালের ওদিকে, আরও তিন চারটে ছাতারে, আর দুটো শালিক মিলে ওদের সাথে ঝগড়া করছে। কিন্তু কাছ থেকে ফটো তোলা যায় না, কাছে গেলেই সব কটা উড়ে পালায়। 
     
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d03b:aa6f:ea16:e04 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫৭531181
  • ইমেজ আপলোড হচ্ছে না। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০৪531184
  • “ও মশাই dc লান - ছবি কেন দেওয়া গেল না? তাহলে আমি কী করে সেকথা এখানে পুছ ছি আপনাকে? অবশ‍্য ভাটেও (২৭.৫/১৩:০৫) সুদীপ্ত বললো হপাতে ছবি দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু স‍্যাম লান তো দিচ্ছে! ব‍্যাপারটা হচ্ছে কি - একবার শুধিয়ে দেখুন গুরুর টেকটিম কে।”

    না, না, এসব আমি বলছি না, বলছে ঐ টার্কি লান laugh 
     
    ২০১৫তে বড়দিনের ছুটিতে ছেলে এলো মনিপাল ক‍্যাম্পাস থেকে আমাদের সাময়িক বাসা - হুবলীতে। কদিনের জন‍্য বৌ ছেলেকে নিয়ে পুঁচকে মারুতি‌তে বেড়াতে গেছি। হাম্পী বেড়িয়ে হোসাপেট এ তুঙ্গভদ্রা ড‍্যাম দেখে নীচে এক বড় জলাশয় সংলগ্ন উদ‍্যানে গিয়ে বসেছি। তখনই এলেন ইনি ঝলমলে নেকটাই পরে - চোখে নিরীহ কৌতূহল মাখা



     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d03b:aa6f:ea16:e04 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৬531185
  • নাঃ আবার ট্রাই করলাম কিন্তু আপলোড হচ্ছে না। জেপিজি আর পিএনজি, দুটোই ট্রাই করলাম। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d03b:aa6f:ea16:e04 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৭531186
  • লগ ইন না করলে বোধায় আপলোড হচ্ছে না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d03b:aa6f:ea16:e04 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩৯531188
  • র২্হ এর পরামর্শমতো ইমগুরে আপলোড করে এখানে লিংক দিয়ে দিলাম 
     
    https://imgur.com/a/ktpF1d5
  • r2h | 134.238.18.211 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪০531189
  • এইটা ( দিতে হবে

  • r2h | 134.238.18.211 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪১531191
  • স্যরি, এইটা আরকি - হটটপসঃ//i.imgur.com/FzFEdUj ডট জেপেগ
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d03b:aa6f:ea16:e04 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪১531192
  • ওঃ ডট জেপিজি দিতে ভুলে গেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪৮531193
  • কম্পুউতে আমি নিতান্তই গোলা - ফলে ইমগুর ইত‍্যাদি শুনলে পেট গুড়গুড় করে - কিছুই তো জানা নেই। তাই হয়তো আমার কেস - গুরুসদয় - মানে সদয় গুরুর কৃপায় অজ্ঞাত কারণে আমি খেরোর - হপার লেখায় এবং মন্তব‍্যে ছবি আপলোগ করতে পারছি। laugh
     
    দেখি ভাটেও নেয় কিনা। 
     
     
     
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৬531194


  • ওমা, ভাটেও নিয়ে নিলো তো!!

    তবে এটা গুরুর লোগো নয় - বছর পাঁচেক আগে কার্জন পার্কে হিসিখানার পাশে দে‌ওয়ালে আঁকা দেখেছি‌লাম - সৌন্দর্য‍্যায়ন প্রয়াস হবে হয়তো। laugh
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১১531195
  • "স্যরি, এইটা আরকি - হটটপসঃ//i.imgur.com/FzFEdUj ডট জেপেগ"
     
    কিছু abbreviations বাংলা‌য় দেখে কখনো মজারু লাগে, যেমন এইটা -  হট টপস laugh
     
    তবে একটু স্পেস না দিলে এসব মজা উপলব্ধি করা যায় না wink
     
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:২৭531202
  • পক্ষীপ্রেমীদের জন‍্য আর একটু টুকরো খাবার:
     
    ২০১১ - জানুয়ারি - জামনগর থেকে কোয়েম্বাতুর গেছি GET ক‍্যাম্পাস সিলেকশনে। কাজ মিটতে HR/ অফিস কলিগ‌রা চলে গেল। চেনা সূত্রে একটো হিরো স্পেলন্ডার বাইক যোগাড় করে আমি চললুম দু রাতের জন‍্য বেড়াতে - কুন্নুর - কোটাগিরি - কোদনাদু‌। কর্মজীবনে সে সব ছিল চুনকি সোলো ট্রিপ - for my soul treat - ভবিষ্যতে Hobo শৈলী‌তে লম্বা সোলোতে যাওয়ার পায়েখড়ি মকসো। 

    সেদিন গেছি Sims Park. থমকে থমকে  ঈলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে পার্কে জনগণ কম। একটু জনবিরল কোনে চলে গেছি। দেখি বড় বড় পাতা‌র ছাতার তলায় এটা


     
    এমন জায়গা বেছেছে যে বৃষ্টির ছাঁট লাগবে না। ভাবছি এটা কোন পাখির ডিম হতে পারে। যদিও আমি পাখিপুকুলি বিশেষ চিনি না। আমায় ছবি নিতে দেখে ডিমের মালকিন ফুরুৎ করে বসে পড়লেন তাতে - তা দিতে। মনে হোলো একটি মহিলা সিপাহী বুলবুল।


     
    এইসব ক্ষেত্রে আমি কিছু বেসিক এটিকেট পালন করি। ছবি তোলার জন‍্য কাছে গিয়ে, হুমড়ি খেয়ে এমন কিছু করি না যাতে সে ভয় পেয়ে উড়ে যায়। আমি একটু পিছিয়ে এলাম। তিনি বুঝলেন আমার থেকে বিপদের আশাংকা নেই। গুছিয়ে বসলেন বাসায়। তখন আমার কাজে 12X জুম লেন্সের Sony ক‍্যামেরা। বহু মন ভালো করা, মনে রাখার মতো ছবি তুলেছি ওতে। 

    একটু দুর থেকেও Zoom in করে বেশ এলো তার ছবি। চোখে যেন কাতর আকুতি - কেটে পড়ো কাকু তাড়াতাড়ি - নয়তো তোমায় দেখে আর কিছু আদেখলা এসে হাজির হবে। laugh
     
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৬531221
  • টইটা চলছে চমৎকার।
    ভিডিও, TOI ছবিগুলো, মন্তব্যরা ভালো উপভোগ করছি।
    চীনে পৃথিবী একদফা চড়ুই নিশ্চিহ্ন করার ভয়ংকর পরিণতির শিক্ষা পেয়েছে। তার ফলে বাস্ততন্ত্রের সংরক্ষণের গুরুত্ব বেড়েছে।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:405a:101c:6b0c:7bd4 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩০531222
  • বুলবুল পাখির ছবি দারুন ভাল্লাগলো (আমিও পাখি একেবারেই চিনিনা)। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০০:০৩531230
  • অমিতাভ 
     
    একদা চীনের চড়াই নিকেশ প্রকল্প - এটা আমি‌ও একবার আগে কোথাও পড়েছি‌লাম। খুব মন খারাপ হয়ে গেছিল। অবাক‌ও লেগেছিল এমন অদূরদর্শী‌তা দেখে।
     
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২০531232
  • No বর্ণবৈষম্য
     
    বন‍্য পাখি‌দের ছবি তুলতে প্রচুর ধৈর্য্য লাগে। পরিচিত পায়রা‌দের ক্ষেত্রে অত  নয়। সকালে বাটিতে জল দিলাম। বিল্ডিং‌য়ে এপাশ ওপাশে বসা কিছু পায়রা টেরি‌য়ে দেখলো। ব‍্যালকনির দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকে অল্প জানলা ফাঁক করে মোবাইল বাগিয়ে বসলুম। একটু পরেই এলেন অসিতদা। 

    ইনি এক পুরুষপুঙ্গব। এই গরমে রাজস্থান থেকে বঙ্গ অবধি সিংহবিক্রমে দাপিয়ে বেড়ানো দাপুটের মতো দৃষ্টি এনার খর। একটু পরেই এলেন শ্বেতাদি। নরম দৃষ্টি। পেলব শরীর। এমনি‌তে পায়রা, কাক, চড়াই এদের আলাদা করে চেনা মুশকিল। সব এক‌ই রকম লাগে। 
    কিন্তু শ্বেতাদি‌কে আমরা চিনি। কারণ এনার বেদানা রঙের পায়ে কিছু অসুবিধে আছে। 
     
    দুপুরে জানলার সিলে বৌয়ের দেওয়া ভাতু খেতে ইনি‌ও আসেন। ওদের মধ‍্যে সাদা কালোর শ্রেণী‌বিদ্বেষ দেখিনি। মিলেমিশে‌ই থাকে। কালো‌ই বেশী। সাদা কম। কিন্তু তার জন‍্য শ্বেতাদি বা শুভ্রদাকে কোনো বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় বলে মনে হয়নি। একদিন তো অসিতদাকে দেখলুম শ্বেতাদি‌র সাথে কার্নিশে ইয়ে … মানে … 


     
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন