এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ঠকানো, দেখা, শোনা ও জ্বলা

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ মার্চ ২০২৪ | ৩৩৮ বার পঠিত
  • অনেকভাবে মানুষকে ঠকানো যায়। এই লেখায় আমি জিনিসপত্র কেনাকিনি সংক্রান্ত ঠকানো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।

    বাবা একটা ঘটনা নিজের চোখে দেখেছিল। এরকম নাকি শেয়ালদা স্টেশনে হামেশাই হ'ত। যাই হোক, বাবা যা দেখেছিল- একটা লোকাল ট্রেন ইন করল। শত শত যাত্রী নামল। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্ল্যাটফর্ম থেকে না বেরিয়ে এটা ওটা দেখছিল। একজন যাত্রী ব্যাগবিক্রেতা এক হকারের সামনে একটু দাঁড়িয়ে পড়েছিল। তারপর চলে যাচ্ছিল। অমনি সেই হকার তাকে চেপে ধরল। না কিনে চলে যাওয়া চলবে না। সহজসরল গ্রাম্য লোকটা অনুনয়-বিনয় করে বলছিল যে তার কাছে টাকা নেই। কিন্তু হকারগুলো দল বেঁধে জবরদস্তি করে গরীব মানুষটাকে ব্যাগটা নিতে বাধ্য করল। এইভাবে তাকে কৌতূহলের দাম দিতে হয়েছিল।

    এক নিরক্ষর মহিলা লোকজনের বাড়িতে ঠিকে কাজ করে খেটে খেত। ধরা যাক, তার নাম চপলা। বিবাহিতা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অজ্ঞতার দরুণ পাঁচ সন্তানের মা৷ খুবই গরীব, স্বামী ঠেলাচালক দিনমজুর। উনিশশো পঁচাশি কী ছিয়াশি সালের ঘটনা বলছি। তারা অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে পঁয়তিরিশ হাজার টাকা দিয়ে একটা সোনার বালা কিনেছিল। মুশ্কিল হল, নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে নেয়নি। বরানগরের ঝুলনতলা এলাকার একটা সোনারূপোর দোকান থেকে নিয়েছিল। পরে বিপদের সময় অন্য কোন্ দোকানে সেটা বিক্রি করতে নিয়ে গিয়েছিল। সে দোকানের স্যাকরা দেখেশুনে রায় দিল- এতো ওপরে একটু সোনার জল, নিচে পুরো তামা।

    গরীব পরিবারটি ঝুলনতলার সেই দোকানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। চপলা জানত, প্রভাবশালী দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ টিকবে না। সেই স্যাকরাও নিশ্চয় জানত যে দরিদ্র ও নিরক্ষর একটা মহিলাকে ঠকানো খুব সোজা। পরে কিছু বলতে এলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া যাবে। তবে তার দরকারও হ'বে না কারণ এই স্তরের লোকজন মুখ খুলতে জানে না। চপলা মাঝেমাঝে আমাদের কাছে আফসোস করত, "কত কাঁচ দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে অথচ সেই দোকান এই রকম ঠকাল। অামি খালি বলি- ওই দোকানে কবে ডাকাত পড়বে, কবে আগুন লাগবে!" এখানেই তার প্রতিরোধ শুরু এবং শেষ।

    নিজেও জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে অনেকবার ঠকেছি। অাজ থেকে কম করে কুড়ি বছর আগে একবার শ্যামবাজারের একটা দোকান থেকে দশ টাকা দামের স্যুপের প্যাকেট কিনতে গিয়েছি, দোকানদার একটা প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল- এটা নিয়ে যান। আমিও না দেখে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম। বাড়ি এসে দেখি, প্যাকেটটার একটা কোণা অনেকটা কাটা। বাতিল জিনিস বুঝেই গছিয়েছে।

    আরেক বিকেলে শ্যামবাজার এলাকায় গিয়েছি। কতগুলো সাঁওতাল কামিন অামার সামনে হাঁটছিল। ঘরোয়া করে শাড়ি পরা, কথাবার্তা শুনে বোঝা যাচ্ছে মাটি কেটে সে দিনই বেশ কিছু টাকা পেয়েছে। শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো লাগোয়া তখন বেশ কয়েকটা শাড়ির দোকান ছিল। পাকাপোক্ত দোকান নয় তবে ভালোই চলত। সেই রকম একটা দোকানের শাড়িগুলোর দিকে ওরা তাকাচ্ছিল এবং নিজেদের মধ্যে কিছু বলছিল। দোকান মালিকের চতুর চোখে লোভ চকচক করছে তখন। সে কামিনগুলোকে ডাকল। "ওখানে দাঁড়িয়ে দেখলে হবে? এ দিকে এসো।" ব্যাস, কতকগুলো সহজসরল মহিলা নিজেদের কষ্টের রোজগার দিয়ে ঠকবার জন্য এগিয়ে গেল....
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অসিতবরণ বিশ্বাস | 2409:4061:2c47:75cf::d309:e00b | ১০ মার্চ ২০২৪ ১০:০৯529191
  • দারুণ লেখা। কত ভাবেই প্রতিনিয়ত ঠকে যাই ! চাষিরা ঠকেছিল জমি ফেরত পাওয়ার আশায়। সে গুড়ে বালি। 'এই ফ্যাসিস্টের পতন হোক'--- এখানেই তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ শেষ। হায় আল্লা !
  • সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় | 103.77.138.92 | ১০ মার্চ ২০২৪ ২৩:০২529222
  • এখানেই তার প্রতিরোধের শুরু এবং শেষ। অসাধারণ এই লাইনটি বুঝিয়ে দেয় আমাদের বিপন্নতা কোথা থেকে শুরু এবং কোথায় এসে আমাদের দাঁড় করায়। এটা শুধু রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিষয় নয়। মানুষের নৈতিকতা তৈরি হয় সামাজিক আচরণ বা রাজনৈতিক ক্ষমতার বন্টনে নয়। মানুষ হিসেবে বাঁচার সংস্কৃতি শেখানোটা খুব জরুরী হয় ছোটবেলা থেকে। সব সমাজে সব ব্যবস্থাতেই সেটা জরুরী। পুঁজিবাদী হোক আর সমাজতান্ত্রিক হোক। নইলে ঠকানো ছিল..
     ঠকানো থাকবে। ঠকানোর আনন্দ উপভোগ করবে,  মানুষ মানুষকে ক্ষতি করে যেভাবে আখের গোছানোর আনন্দ পায়।
  • মো:হক | 37.111.212.119 | ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৫530982
  • বাস্তব চিত্র! এরকম ঠকবাজ,প্রতারক,হারাম খোর দের বিরুদ্ধে অসহায়গুলো কিছু করতে না পারলেও কোন না কোনভাবে তার উচিৎ শিক্ষা তারা পেয়েই যায়...
  • অরিন | 119.224.61.73 | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:২৯530985
  • কতগুলো গরীব মানুষ শুধু বেঁচে থাকার কারণে ঠকাচ্ছে, তাদের নিয়ে সাতকাহন লিখেছেন, বেশ কথা। তবে এটাও লেখা থাক যে, এদের থেকে ঢের বেশী বদমাইশ ঠগ জোচ্চোর প্রতিদিন আপনার দেশের আইনসভা আর বড় বড় ব্যবসা, আর অফিসকাছারীতে বসে আরো বড় অঙ্কে রোজ রোজ প্রতারণা করে চলেছে। 
  • চিত্তরঞ্জন হীরা। | 2409:4060:218c:21a6:dc67:507a:11b3:e16d | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৩530999
  • এই ঘটনাগুলো আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কম বেশি ঘটে থাকে। জীবন এমনই। খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
  • Suvasri Roy | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৯531010
  • @অরিন
    মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এবার বলি, ঠকানো ও ঠকে যাওয়ার মতো একটা ব্যাপক ও বহুমাত্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলার পরিসর আমার ছোট লেখাটায় ছিল না। সত্যিই তো আরো অনেকে দেশবাসীকে ঠকাচ্ছে এবং ঠকিয়েই চলেছে। সব কিছু নিয়ে সব নিবন্ধে কথা বলা যায় না। এখানে আমি মূলত নিজের দেখা ও শোনা লিপিবদ্ধ করেছি। 
     আপনার কথা শুনে মনে কয়েকটা প্রশ্ন জাগল- বেঁচে থাকার জন্য অন্যকে ঠকানো কী অপরিহার্য? লাভ রাখা এক ব্যাপার কিন্তু ঠকানো অন্য ব্যাপার। ক্রেতাকে না ঠকিয়ে ব্যবসা হয় না বুঝি?
     অারেকটা কথা। কর দেওয়ার সময় যে সব নাগরিক নানা কারচুপি ও রাজকর্মচারীদের সাহায্য নিয়ে রাষ্ট্রকে ঠকায়, তারাও অপরাধী কম নয়।
     গরীব বা বড়লোক যে কারোরই বেঁচে থাকার জন্য কাউকে ঠকানো অপরাধ। 
    নিজের অনেক অর্থ থাকা সত্বেও রাষ্ট্রকে ঠকানো অপরাধ।
    গরীব হয়ে ঠকানো অপরাধ। গরীব মানুষকে ঠকানো অপরাধ। আচ্ছা, ধনীকে ঠকানো অপরাধ নয়?!
    আরো অনেক কথা বলা যায়। কিন্তু মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাবে।
  • অরিন | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৪531013
  • আহা, যে কাউকে ঠকানোই অনুচিত। 
    তাই জন্য তো লিখলাম 'বেশ কথা', আপত্তি কি করেছি?
    সে কথা হচ্ছে না।
     
    গরীব মানুষ কারে পড়ে ঠকায়, দুটো পয়সার জন্য, সে এক রকম। 
    জানি ঠকছি, জেনে ঠকছি, জেনেও অনেক সময় আমরা কিছু বলি না। 
    মুচকি হাসি।
    গরীব দুধওয়ালা, দুধে জল (নাকি জলে দুধ?) মেশাচ্ছে |
    রাস্তার ট্র্যাফিকে যে ছেলেটি বাক্স করে স্ট্রবেরী বেচছে গাড়ির মালিকদের, :-) (কলকাতায় থাকতে কতবার যে এরকম ইচ্ছে করে ঠকেছি)
    জানি ঠকছি, জেনে শুনে ঠকছি |
    এমন ঠকা, যাতে কারো কোন মস্ত ক্ষতি হয়ে যায় না।
    কিন্তু সব ঠকা তো এক নয়।
    যেখানে ভাবছি ঠকছি না, কিন্তু আসলে মস্ত ঠকে যাচ্ছি।
    ঝাঁ চকচকে সুপারমার্কেট থেকে সবজি বাজার করছি, ভাবছি ঠকছি না, রাস্তার গরীব সবজিঅলা বুঝি বেশী ঠকাবে, আসলে ঠকছি সুপারামার্কেটের চাকচিক্যে |
    আসলে কোথায় যে ঠকি আর কোথায় যে ঠকি না, কে জানে?
    সবই মায়ার খেলা @শুভশ্রী |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন