এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জাহানারার সঙ্গে ঔরঙ্গজেবের গোপন সাক্ষাৎকার

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২৫০ বার পঠিত
  • কখন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব শাহাজাদী জাহানারার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন সে নিয়ে তোড়জোড় পড়ে গেল আগ্রার শাহী মহলে। এরকমই একটা কিছু হওয়ায় কথা। কিন্তু দাক্ষিণাত্যের সুবেদারী হারিয়ে শাহেনশাহের রোষানলে পড়ে হতমান শাহাজাদা যাচ্ছেন। তাঁর মহলের নেহাতই নিমক খাওয়া খাস লোক জনা কয়েক ছাড়া আর কেউই জানত না এই দেখাসাক্ষাতের ব্যাপারটা। হয়ত খুবই গোপনীয়তা রাখছেন শাহজাদীও। এ বড় একটা ঝামেলার কাজ তাঁকে করতে হচ্ছে প্রায়শই। চুপিচুপির কারণ ক্ষমতাবৃত্তের, শাজাহান - দারা শুকোহর, কাছে থেকেও অত্যন্ত গোপনে কিছু শলাও তাঁকে করতে হয়, বিশেষ করে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে।

    কিছু রুবাইয়ের সুর যেন ভরিয়ে দিচ্ছে মহলের বিশাল ছাদের কোন এক কোণে বেগম সাহেবের আরামের জায়গার বাহারি ছত্রিগুলো। এইসময় খাস বাঁদী এসে খবর দিচ্ছে, শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবের পৌঁছনোর খবর। জাহানারা বললেন, "শাহজাদাকে বল হাওয়ার মধ্যে কথা হবে, খালি ছাদের ওপর। হাওয়া দেবে। আমরা কথা বলব আদাব মেনে। মন খুলে বলব। নানা, মন খোলার কথাটা বলবে না শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকে, ওটা আমার কথা, আমিই বলব। তুমি সেলাম জানাবে আর আমার হুকুম জানাবে আর কিছু করবে না। যাও।''

    শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছেন। তিনি যখন ওঠেন হাওয়ারা কেটে কেটে যেতে থাকে দুদিকে সমানভাবে। সিনা টানকে উঠছিলেন তিনি এটা একটা অভ্যাস তাঁর, ঘোড়ায় চড়ে চড়ে এই অভ্যাস অর্জন করতে হয়। ভালো করে দেখলে কারো যন্ত্রের মতো মনে হবে কিন্তু শরীরের ভারসাম্য সবসময় একদম ঠিকঠাক থাকে শাহজাদার। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে উঠছিল কিছু দেহরক্ষী যাদেরও সিনা টান করার অভ্যাস হয়ে গেছে আর অভ্যাস হয়ে গেছে অষ্টপ্রহর ঔরঙ্গজেবকে অনুসরণ করার। কিছুক্ষণ পরেই শাহজাদার খেয়াল হল, তিনি ঘাড় ঘুরিয়ে ওদের বলেন,
    "তোমরা এখানেই থেমে যাবে। বেগম সাহেবের সঙ্গে আমি একাই যাব দেখা করতে। হ্যাঁ, একাই। " রক্ষীর দল বলামাত্র নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে গেল পরবর্তী হুকুমের অপেক্ষায়, তারা নড়েও না চড়েও না।

    ছাদে উঠে ঔরঙ্গজেব জাহানারাকে দেখতে পেলেন। এক ঝলক তাঁর বুরহানপুর কেল্লার কথা মনে পড়ে গেল। অলিগলি গোলকধাঁধা এক কেল্লা ছুটতে ছুটতে যাচ্ছেন তিনি। শেষে যখন আম্মিজানের মহলে পৌঁছলেন দেখলেন আম্মিজান হুমড়ি খেয়ে পেদারবজর্গ - ঠাকুর্দা খান ই খানান আব্দুল রহিমের পায়ে পড়ে আছেন। তাঁর ফোঁপানির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, অস্ফুটে বলছেন, "শাহজাদাকে মাফ করে দিন খান ই খানান। আপনি শাহেনশাহ জাহাঙ্গীরকে বলুন। উনি প্রচণ্ড অসুখে পড়ে আছেন অসিরগড় কেল্লায় হুজুর। মহবত খানকে বলুন ঘেরাবন্দি তুলতে।'' আব্বুজান শাহাজাদা শাজাহানের বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দিনে এরকমই দাঁড়িয়ে ছিল ব্যাপারটা। মুমতাজ মহলকে কাতর আবেদন করতে হয় অভিভাবকতুল্য প্রবীণ সেপাইসালারের পায়ে, মাফি মাঙতে হয় যাতে বার্তা যায় শাহেনশাহ জাহাঙ্গীরের কাছে। সে সংক্ষুব্ধ শৈশবে, বিদ্রোহ, যুদ্ধের দিনে, অনবরত তাড়া খেয়ে পালানোর দিনে, শাহাজাদী জাহানারাই ছিলেন তাঁর সব ভোলানোর আপা। ঔরঙ্গজেব কুর্নিশ করে শুধিয়েছিলেন, "কেমন বোধ হচ্ছে এখন বেগম সাহেব।'’ আস্তে আস্তে হাসি খেলে গেল জাহানারার মুখে তাঁরও কি সেসব, এখানে ওখানে পালানোর দিনগুলোর কথা মনে পড়েছে ?
    -------- এতদিন আসনি কেন মহিউদ্দিন ?
    -------- হেকিম সাহেবের কাছে খবর নিচ্ছিলাম বেগম সাহেবা। আপনার সুই মিজাজ মুফরাদ সাদা -সরল মেজাজ ঘন ঘন বিগড়োচ্ছে। মাঝে মাঝে নাকি সেরে যাওয়া ঘায়ের কথা বলছেন।
    -------- বলছি শুধু নয়।
    -------- জি।
    -------- রীতিমত যন্ত্রণা হয় সেরে ওঠা ঘায়ের জায়গায়।
    -------- জি।
    -------- এমন যন্ত্ৰণা যে তোমায় বলে বোঝাতে পারব না মহিউদ্দিন !
    -------- জি।
    -------- ঘা যখন সত্যিই ছিল, দগদগে কাঁচা -পুঁজ বেরোচ্ছে যখন তখন, সেই আসল যন্ত্রণার সময়ও এতটা হয়নি। যে ফিরিঙ্গি ডাক্তারের ওষুধে ইলাজ হল তাতেই কিছু গোলমাল ছিল কি ?
    -------- জি। মনে হয় না।
    -------- কেন বলছ এ কথা ?
    -------- জি। হেকিম সাহেব বলছিলেন, সু -ই মিজাজ মুরাক্কাব সাদা - সরল হয়েও যথেষ্ট জটিল হয়েছে।
    -------- কোনটা জটিল হয়েছে বলছ তুমি ?
    -------- জি। আমি নয় বেগম সাহেব।হেকিম সাহেব বললেন।
    -------- কী বললেন ?
    -------- জি। বললেন আপনার কল্পনা। ভাবনা। হজরতের জন্যই সব -এইরূপ মেজাজ -একাধারে সরল হয়েও যথেষ্ট জটিল।
    -------- আমাকেও বলেছেন হেকিম সাহেব। বলেছেন খোশ মেজাজে থাকতে। তাই যতটা পারি এই আশমানের তলায় থাকি। খোলা আকাশের নীচে। মাশাল্লাহ।
    -------- আমিও এভাবেই কাটিয়ে দিতে চাই বেগম সাহেব। আমারো আর কিছু চাই না।
    -------- এতদিন আসনি কেন মহিউদ্দিন ?
    -------- জি।
    --------- কী তোমার তকলিফ ? কিসে ভোগা খেলে ?
    --------- জি। ছেড়ে দিন।
    --------- কেন ছেড়ে দেব মহিউদ্দিন ? বল ?
    --------- শাহেনশাহ আমার ওপর রেগে গেলেন হুজুর বেগম সাহেব। সুবেদারি চলে গেল।
    --------- কেন ? তুমি অনুমতি না নিয়ে উঠে গেলে, সারাক্ষণ মেজেতে, দরজার বাইরে বেকুবের মতো বসে রইলে, শাহেনশাহ ডাকলেও উঠলে না। কেন, কেন ?
    --------- জি। বলার চেষ্টা করেছিলাম বেগম সাহেব।
    --------- কী বলতে শুনি ?
    --------- মাটির তলার ওই ঘর। শাহাজাদা দারা শিকোহর ঘর। যমুনার কাছে। গরমে খুবই ঠাণ্ডা লাগে এতে কোন সন্দেহ নেই।
    --------- তবে ?
    --------- একটাই দরজা। সেটা দিয়ে ঢুকে সেটা দিয়েই বেরোতে হয়। বাইরে বেশ কয়েকজন খোজা দাঁড়িয়ে, তাদের ঠেলে ঘরের বাইরে বেরোতে হাতির জোর লাগে।
    --------- কী বলতে চাও ?
    -------- জি। বলতে চাইছি শাহাজাদা দারা যদি শাহেনশাহ, শাহাজাদা সুজা, আমাকে আর শাহাজাদা মুরাদকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে নিজে বেরিয়ে আসেন আর খোজারা যদি এগিয়ে এসে দরজায় দাঁড়ায় তাহলে কী হয় ?
    --------- কী হয় ?
    --------- তারপর দরজা যদি চিরতরে বন্ধ হয় বাইরে থেকে, তাহলে ?
    --------- তাহলে ?
    --------- ভেতরে থেকে যাচ্ছেন শাহেনশাহ আর দুই শাহাজাদা। চিরতরে। কেউ জানতে পারবে কি ?
    --------- আর তুমি ?
    --------- আমি শাহেনশাহের বান্দা এটা হতে দিতে পারিনা। তাই আমি বসে গেলাম মেঝেতে দরজার পাশে, দরজাকে পাহারা দিলাম। কেউ যাতে। এমনকি শাহাজাদা দারাও যাতে দরজার দখল না নিতে পারেন, সেজন্য জুলফিকার হাতে দরজার দখল নিয়েছিল এই বান্দা হুজুর বেগম সাহেব। আর এটা শাহেনশাহকে বলতে চেয়েও বলার সুযোগ পাইনি। আপনিও অসুস্থ, ঘোরের মধ্যে ছিলেন বহুদিন।

    জাহানারা কপালে হাত দিলেন, কপাল থেকে হাত উঠল মাথায় যেন দীর্ঘ চুলে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে কিছু বুঝতে চাইছেন। হেকিমের দাওয়াই মেনে সবরকমের সু–ই–মিজাজ – মেজাজের বেয়াড়া চলন তাঁকে বাগে রাখতে হবে, রাখতেই হবে বাগে। হাসি ফুটে ওঠে তাঁর মুখে, ঔরঙ্গজেব তখনো দাঁড়িয়ে। আস্তে আস্তে বললেন শাজাহানের দরবারের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান এই শাহাজাদি, "ও, এই তোমার তকলিফ। তবে আমিও বলছি তুমি আজ থেকে তলোয়ার তুলে নেবে কোমরে। ফিরদৌস মাকানির রক্ত - শাহেনশাহ বাবরের রক্ত তোমার শরীরে, একথা, তোমার বাহাদুরির কথা, আমি পেশ করতে চললুম শাহেনশাহর কাছে।’’ এই বলে শাহাজাদী জাহানারা তাঁর দুর্ধর্ষ দেহরক্ষীদের নিয়ে শাজাহানের কাছে চললেন গটগট করে সিঁড়ি বেয়ে নেমে।কিছুক্ষণ বাদে শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকেও সেই সিঁড়ি বেয়েই নেমে আসতে দেখা যাচ্ছে তবে তিনি নামছেন ধীর পায়ে সিনা টানকে। শুধু তফাত একটাই উঠার সময় তাঁর কোমরে তলোয়ার ছিল না, এখন আছে। আবার মোঘল রাজশক্তির তিমুরিদ তলোয়ার তুলে নিয়েছেন তিনি এ নিশ্চিত। শাহাজাদী জাহানারার সঙ্গে বাতচিতের পর তাঁর তকলিফ দূর হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে দেখা গেল শাহেনশাহ শাজাহান আবার আগের মতোই দরবারে জায়গা দিয়েছেন ঔরঙ্গজেবকে আর গুজরাটের সুবেদারির দায়িত্ব পাচ্ছেন শাহাজাদা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন