নির্বাচনী রাজনীতির জটিলতা, অংক বুঝি না বলে ওসবে কোনো আগ্ৰহ নেই। তবে Greek politician Pericles (495 – 429 BC) এর একটি কথা খুব মনে ধরেছিল - “Just because you do not take an interest in politics doesn't mean politics won't take an interest in you.”
রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তিত, সচেতন গুরুসদস্যরা গুরুর পাতায় এই সব নিয়ে নিয়মিত নানা সুচিন্তিত মতামত দেন। কখনো সেসব দেখে বুঝতে চেষ্টা করি। সেদিন লাল্লনটপ চ্যানেলে সৌরভ দ্বিবেদীর সাথে প্রশান্ত কিশোরের দীর্ঘ (96 min) সাক্ষাৎকার দেখলাম। বেশ ভাবালো। তার কিছু মনে দাগ কাটা অংশ এখানে রাখছি। তা নিয়ে এখানে কোনো মতবিনিময় হলে দেখবো। নজর থাকবে ভবিষ্যতে পিকের স্বপ্ন “জন সূ্রাজ” বিহারের রাজনীতিতে কোন দিশায় যায়।
{দ্বিতীয় বন্ধনীর মধ্যে ইটালিকস অংশগুলো পিকের কথা যেভাবে বুঝেছি লিখেছি বা আমার কিছু সংযোজন}
১. পিকে বলেন - বিহারের জনতা {বীতশ্রদ্ধ হয়ে} বর্তমানে JDU, RJD & BJP এই তিন দলের থেকেই ছুটকারা চেয়ে আলাদা কোনো বিকল্প চাইছে।
{পব তেও মনে হয় যাদের ভেস্টেড ইন্টারেস্ট নেই তারা বাম, তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্ৰেস এই চারটি দলের ওপরেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে কোনো বিকল্প ভাবছে। তা না পেলে যে মানসিকতায় তারা দীর্ঘ বামজমানার শেষদিকে অপশাসনের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে নেগেটিভ ভোটিং বা anti incumbency sentiment থেকে তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছিল, বর্তমান তৃণমূল জমানায় অত্যধিক minority appeasement এ উত্যক্ত হয়ে তাদের অনেকে বিজেপিকে ভোট দিতে পারে। তাতে বিজেপি ক্ষমতায় না এলেও তৃণমূলের ভোট শেয়ার কমতে পারে। কিন্তু এখনো অবধি পব’র জনতার কাছে কোনো গ্ৰহণযোগ্য বিকল্প নেই}
২. জন সুরাজ তাড়াহুড়ো করে একটি রাজনৈতিক দল খুলে নির্বাচনে নামতে চায়না। জসূ সমগ্ৰ বিহারে গ্ৰাসরুট লেভেলে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে চায় যার মূল উদ্দেশ্য হবে জনতা যেন তার মূল্যবান ভোট কোনো remotely connected issue (পুলওয়ামা, article 370 ইত্যাদি), ধর্মীয় ইস্যু (রাম মন্দির) বা সামান্য খয়রাতি সুবিধা (সস্তায় চাল) ইত্যাদির জন্য বিলিয়ে না দেয়। কাকে ভোট দিচ্ছে সেটা না দেখে তার ভাবা উচিত কোন ইস্যুতে ভোট দেবে বা দেবে না। ভোট দেওয়ার আগে সে যেন তার জ্বলন্ত সমস্যাগুলোর কথা ভাবে - শিক্ষা, তার এবং সন্তানের রোজগার, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি। যে রাজনৈতিক দল মন্দির মসজিদ, হিন্দু মুসলমান, জাতপাত ছেড়ে এইসব বিষয়ে কিছু করতে চায় বলে জানাবে এবং তাদের পূর্ব প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবে কাজের থেকে মনে হবে যে তারা এসব সত্যিই করতে চায় - ভোট তাদেরই দেওয়া উচিত। সে দল জন সুরাজ না হয়ে অন্য কোন দল হলেও ক্ষতি নেই।
৩. যারা বলছে পিকে একদা পয়সার বিনিময়ে কনসালট্যান্ট হিসেবে অন্য রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিল সে কী করে নিজে একটা রাজনৈতিক দল খুলতে চায়? তার উত্তরে পিকে বলেন, যদি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, অল্প বা অশিক্ষিত লোক নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে তাহলে পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে প্রফেশনালি কাজ করে, বিভিন্ন রাজ্যে, লোকসভায় কয়েকটি নির্বাচনে ক্লায়েন্টকে জিতিয়ে আমার তো কিছু রাজনৈতিক বোধ তৈরী হয়েছে। আমি তো কিছুটা হলেও জনতার মনোভাব বুঝতে পেরেছি। তাহলে আমিই বা একটা দল কেন খুলতে পারিনা? তাছাড়া প্রফেশনাল ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে আমি কোনো দলের হয়ে ফি নিয়ে কাজ করেছি। আর্থিক ঘোটালা বা চাকরি চুরি করিনি। এ তো কোনো অনৈতিক কাজ নয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করে আমি ২রা মে ২০২১ পাবলিকলি ঘোষণা করে জানিয়েছি, এতোদিন যা করছি, তা আর করতে চাই না। যে সংস্থার হয়ে ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করেছি তা আমারই তিন সহযোগীর সাথে তৈরি, তা আছে এবং থাকবে কিন্তু আমি আর তাতে বা ঐ কাজে নেই। তাই এখন আমি আমার রাজ্য বিহারের জন্য জন সুরাজের মাধ্যমে গ্ৰাসরুট লেভেল থেকে কাজ করতে চাই। এতে দোষের তো কিছু দেখি না। লোকের কাজ বলার, তারা বলবে, আমার কিছু এসে যায় না।
{প্রতীক জৈন, ঋষিরাজ সিং এবং বিনেশ চন্দেল - এই তিন সহযোগীকে নিয়ে পিকে ২০১৩তে শুরু করেন CAG (Citizens for Accountable Governance). সেটাই পরে হয় (I-PAC Indian Political Action Committee)}
{পিকে বলেন - বেস্ট সেলার না হলেও তার খুব পছন্দের বই - ২০০৪ এ প্রকাশিত James Surowiecki লিখিত The Wisdom of Crowds: Why the Many Are Smarter Than the Few and How Collective Wisdom Shapes Business, Economies, Societies and Nations. পিকেও বিশ্বাস করেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে নেওয়া সিদ্ধান্ত সচরাচর একজনের নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সমাজের, দেশের পক্ষে ভালো হয়}
৪. পিকে বলেন, ২০১৮ তে যখন আমি JDU তে এসেছিলাম তখন একটা চর্চা চলছিল হয়তো আমি রাজ্যসভায় যেতে পারি। তখন আমি বিহারের জনগণকে বলেছি, আগামী দশ বছর আমার সংসদে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। পিকে পুনরায় অন ক্যামেরা সৌরভকে বলেন - নোট কর লিজিয়ে - with all due respect to parliamentarians - ২০২৮ অবধি আমার লোকসভায় বা রাজ্যসভায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। জন সুরাজ দল যেদিন নির্বাচনী লড়াইতে নামবে, আঞ্চলিক দল হিসেবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনেই লড়বে। তাতে আমি লড়বো কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় তবে দল চাইলে নির্বাচনে দাঁড়াবো।
৫. যদি জন সুরাজ রাজনৈতিক দল হিসেবে নথিভুক্ত করে নির্বাচনে দাঁড়ায় তাহলে বিহার বিধানসভার ২৪৩টা সীটেই লড়বে - ২৪২এও নয় এবং কোনো দলের সাথে গোঠবন্ধনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
{অর্থাৎ No pre or post poll alliance. যখন রাজ্যস্তরে তৃণমূল ও কংগ্ৰেস এবং দেশীয় স্তরে আরো অনেক দল মিলে কোনো Constructive Agenda তে নয় কেবল বিজেপির বিরূদ্ধে ফাইট দেওয়ার জন্য নিজ নিজ স্বার্থ ও অবস্থানে অনড় থেকে নাগাড়ে হাস্যকর এলাটিং বেলাটিং খেলে চলেছে তখন পিকের এই ঘোষণা বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্ধিত মনে হোলো। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়}
৬. সৌরভ জানতে চান - জন সুরাজের সাথে আম আদমি পার্টির তফাৎ কোথায়। পিকে বলেন - AAP একটি {ভ্রষ্টাচার বিরোধী} আন্দোলন থেকে জন্ম নিয়ে নির্বাচন লড়ে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনা কেবল ক্রান্তিকারী আন্দোলনের {উগ্ৰ, সন্ত্রাসবাদী, রাষ্ট্রবিরোধী} মাধ্যমে দেশে কোনো বিকাশ হওয়া সম্ভব। বৈপ্লবিক আন্দোলন একটি তেজ হাতিয়ার যা দিয়ে একটি মহীরুহ কেটে ফেলা যায়, শাসককে ক্ষমতাচ্যূত করা যায় কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো ‘নতুন ব্যবস্থা’ {System} বানানো সম্ভব নয় {যার দ্বারা দেশে, সমাজে দীর্ঘমেয়াদী পজিটিভ আউটকাম আসতে পারে}।
তাই AAP এর আঁতুরঘর Anti Corruption Movement UPA সরকারকে হঠাতে সফল - কিন্তু তারপর? JP’র আন্দোলন ইন্দিরাকে হঠাতে সফল কিন্তু তাতে বিহারের কোনো নবনির্মাণ হয়নি। দীর্ঘমেয়াদী বিকাশ ও পজিটিভ পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন লাগাতর স্থির লক্ষ্যে অভিযান, যা জন সুরাজ তৃণমূল স্তরে গিয়ে মানুষকে বুঝিয়ে করতে চাইছে।
অনেকে বলছে জন সুরাজ যা করতে চাইছে তাতে তেমন আলোড়ন দেখা যাচ্ছে না। তার কারণ ক্ষেতে তৈরী ফসল জ্বালিয়ে দিলে তা নিয়ে বাস্তবে হৈচৈ, মিডিয়াতে শনশনি খবর হয় - কিন্তু বীজ বপনের কাজ হয় হৈ হল্লা ছাড়াই, নীরবে। বীজ বপনের পর ফলন হতে সময় লাগে, মাঝে মাঝে দেখরেখ করতে হয়, জমিতে জল সার দিতে হয়, পোকা লাগছে কিনা খেয়াল রাখতে হয়। এসব পরিশ্রমের কাজ এবং এতে কোনো গ্ল্যামার নেই।
জন সুরাজের লোগো এবং নিশানে আছে গান্ধীজীর ছবি। উনিও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসে তড়িঘড়ি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেননি। দেশের মধ্যে প্রভূত ঘুরেছেন, জনসংযোগ তৈরী করেছেন, মানুষকে বিদেশী জিনিসের প্রতি মোহ ত্যাগ করে স্বাবলম্বী হতে বলেছেন। চরকা, খাদি তার প্রতীক। অতঃপর লবন আইনের বিরোধীতা, অসহযোগ, আইন অমান্য, ভারত ছাড়ো, করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ইত্যাদি আন্দোলনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এগিয়েছেন।
{অর্থাৎ পিকে হয়তো বলতে চাইছেন জন লোকপাল বিল, ভ্রষ্টাচার বিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি নিয়ে রামলীলা ময়দানে আন্না হাজারের অনশনকে ভর করে AAP এর উত্থান এবং তারপর নিজেদের মধ্যে মতের অমিলে প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদবের দল ছেড়ে চলে যাওয়া - এসব মানুষ ভুলে যায়নি। স্বাধীনতার পর AAP এর ওপর, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর মানুষ অনেক ভরসা করেছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল AAPও নিছক আর একটি রাজনৈতিক দল। AAP দিল্লিতে শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে। তবু মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। মনে হয় RSS যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে গ্ৰাসরুট লেভেলে কাজ করেছে পিকে জন সুরাজের মাধ্যমে তেমনকিছু করতে চাইছেন। এ জিনিস খুব পরিশ্রম, ধৈর্য্য ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। Advertising thru mouth এর মতো এতে বাঞ্ছিত অভিঘাত হতে সময় লাগে কিন্তু হলে সে অভিঘাত সচরাচর ঠুনকো হয় না}
৭. সৌরভ জানতে চান - জন সুরাজ কী এই মডেলে বিহারের বাইরেও পা রাখতে চায়? পিকে সুপষ্টভাবে বলেন - এখনো জন সুরাজ বা Good Governance by the People একটা হাইপোথিসিস। এটা কাজ করবে কিনা বা করতে কতো সময় লাগবে জানা নেই। তাই যতক্ষণ না জন সুরাজের ধারণা বিহারের মাটিতে সফল হচ্ছে - এই ব্র্যান্ড ভাঙিয়ে অন্য রাজ্যে পা রাখার পরিকল্পনা নেই।
৮. সৌরভ জানতে চান - এই ধারণা কাজে পরিণত করতে পিকে যে সারা বিহার জুড়ে “ইয়ুথ ক্লাব” খুলছেন, তেমন ক্লাব তো পশ্চিমবঙ্গেও আছে। তার সাথে এর তফাৎ কোথায়?
{পিকের বক্তব্য অনুযায়ী বেঙ্গলে ক্লাব কালচারের ঐতিহ্য পুরোনো। তার চরিত্র মুলতঃ সোস্যাল - কালচারাল - রিলিজিয়াস। তাই রবীন্দ্র, নজরুল জয়ন্তী, নববর্ষ পালন, কালী, স্বরস্বতী, দুর্গাপুজো এসব হয়। অন্য সময় ক্লাবে বসে তাস, ক্যারাম পেটা, মাঠে ফুট টেনিস ম্যাচ হয়। আবার রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, আর্থিক অনুদান পাওয়ার ফলে ভোটের সময় এই সব ক্লাবের সদস্যরাই শাসকদলের হয়ে মাঠে নেমে পড়ে। তাদের নিজস্ব কোনো আদর্শ নেই। তারা ভাড়াটে সৈন্য। কিন্তু পিকে চাইছেন গ্ৰাসরুট লেভেল থেকে তৈরি করা পিওরলি রাজনৈতিক ইয়ুথ ক্লাব। তাতে সেই সব তরুণরাই আসবে যাদের সক্রিয় রাজনীতিতে আগ্ৰহ আছে। ফলে তারা ওয়ার্ড, ব্লক, লোকাল কমিটি, পঞ্চায়েত লেভেল হয়ে যোগ্যতা থাকলে বিধায়ক পদের জন্য নির্বাচনে দাঁড়াবে। এভাবে ক্লাস নিয়ে, আলোচনা করে এ জিনিস একদা কমিউনস্টরাও করেছিল যা পরে উগ্ৰ ক্যাডারবাহিনীতে রূপান্তরিত হয়।
জন সুরাজ পদযাত্রায় পিকে বলছেন যে ডাটা এ্যানালিসিস করে দেখা যাচ্ছে, বিহারের আন্দাজ সাড়ে তিন কোটি পরিবারের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে বিহারে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন সমস্ত বিধায়ক এসেছে ১২৫০ টি পরিবার থেকে। অর্থাৎ তারা ইচ্ছামতো দল বদল করে ক্ষমতায় রয়ে গেছে। বিহারে (ভারতেও) রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসতে ও থাকতে হলে ক্ষমতাসীন দল, পারিবারিক আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব নয়। পিকে এই অবস্থার বদল চান। তাই পদযাত্রায় গিয়ে বলছেন, যখন জন সুরাজ রাজনৈতিক দল হিসেবে আসবে তখন তাতে বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দিতে কারা আসবে তা স্থানীয় মানুষই বিচার বিবেচনা করে ঠিক করুক। দল থেকে কাউকে জনতার ওপর চাপিয়ে দিয়ে ভোট চাওয়া হবে না। এটা একটা ইন্টারেস্টিং কনসেপ্ট মনে হোলো।}
থাকলো সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।