এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এক বটগাছের কথা 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ৯২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৫ জন)

  • হেডমাস্টার মশাই
     
    কেমন আছেন আমাদের ছেড়ে এই একটা বছর?

    নিশ্চয়ই ভালো নেই। কি করে ভালো থাকবেন বলুন তো? ওখানে হেডমাস্টার মশাই বলে হাঁকডাক হৈ চৈ করার লোকজন কোথায়? যারা সেখানে আছেন তাঁরা হিমাদ্রী, অথবা মিহির নামেই আপনার খোঁজখবর করছেন। অন্য কিছু লোকজনের মুখে আপনি মিহির দা ডাক শুনছেন বটে যেমন নিশীথ দা, মৃদুল দা, সুকান্ত দা, শঙ্কর দা, অরিন্দম দা কিংবা গৌরী দি, মায়া দি, নিভা দি,সুলেখা দি, স্নিগ্ধা দি যারা আপনার আগেই দিকশূন্যপুরের পথে পা বাড়িয়েছেন বয়সের অনুক্রমের কথা না মেনেই। এখন এরা সবাই মিহির দাকে পেয়ে হয়তো বেজায় খুশি। আপনার দুই সহোদরা- দিদি আর রুবি দি নিশ্চয়ই ভালো মন্দ রেঁধে বেড়ে খাওয়াচ্ছেন, ব্যাগ হাতে দাদা বাজার ঘুরে নানান সবজি আর মাছ এনে হাজির করছেন। এতো সব পুরনো কমান্ডারদের একসাথে পেয়ে হয়তো আবার মাথায় চাগিয়ে উঠেছে সেই চিরন্তন চিন্তা আরো একটা স্কুল, আরো একটা কিশোরভারতী প্রতিষ্ঠার ভাবনা। তবে এঁরা কেউই কিন্তু হেডমাস্টার মশাই বলে আপনাকে সম্বোধন করছেন না, যে ডাক শুনতে শুনতে এতো এতো সন্তানসম ছাত্রদের বটগাছের ছায়ার মতো আগলে আপনার এতো দিনের পথ পাড়ি দেওয়া। আসলে ঐ হেডমাস্টার মশাই ডাকের মধ্যে যে আমাদের তরফে অনেক অনেক কিছু মিশে থাকে আপনার জন্য –  
    আছে সম্ভ্রম, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, নির্ভরতা, প্রেরণা, মন্ত্রণা, চিন্তন, ভাবন, রূপায়ণ – সব, সব। মিশে ছিলাম, আছি, থাকবো আমরাও - আপনার প্রিয় ছাত্রের দল। আমাদের নির্মিতি যে আপনার বিশ্বস্ত হাতে। আপনার গড়া প্রতিষ্ঠানেই যে আমাদের তিলতিল করে বেড়ে ওঠা গড়ে ওঠা। আপনি তো নিছক নম্বর পাওয়া ছাত্র গড়তে কখনও চান নি, আপনি মানুষ গড়তে চেয়েছিলেন, সত্যিকারের মানুষ যারা অন্যের কথা ভাববে, অন্যের বিপদে আপদে ছুটে যাবে নিজের কথা না ভেবে। 



    অবশ্য এতো সবের মাঝে একটু একটু ভয়‌ও ছিল বিলক্ষণ। আপনার কড়া শাসনের ভয়। যদিও শাসনের  কঠিন কঠোর খোলসের নিচেই বয়ে যেত অফুরান করুণার ধারা। 

    হেডমাস্টার মশাই, আপনার অরুণাভর কথা মনে পড়ে? ক্লাইভ হাউসে আপনার পুরনো বাড়ির লাগোয়াই ছিল ওর বাড়ি। ধবধবে ফর্সা রঙ। আর চোখ দুটো ছিল একদম বিড়াল কটা। আমরা ওকে বিড়ালাক্ষি বলেই আড়ালে ডাকাডাকি করতাম। অসম্ভব চঞ্চলতার জন্য প্রায় প্রতিদিনই ওর কপালে জুটতো শাস্তি। অবশ্য তার জন্য ওর মনে খুব একটা দুঃখ‌ও বোধহয় ছিল না।
     
    এমনি একদিন ও বেচারা ধরা পড়েছে আপনার থুড়ি হেডমাস্টার মশাইয়ের হাতে। ছোট টিফিনে ছোট বাইরে গেছে, এদিকে ঘন্টার আওয়াজ জানান দিয়েছে বিরতির মেয়াদ উত্তীর্ণ। আপনি আপনার ঘর ছেড়ে সবে বেরিয়েছেন রুটিন মাফিক টহলে। সব কিছুকে আবার অনুশাসনের শৃঙ্খলায় বেঁধে ফেলতে। আপনার হালকা শরীরে (!) বড় বড় পা ফেলে চলার ফলে মেঝেতে যে ভাইব্রেশন হতো তা থেকেই আমরা টের পেয়ে যেতাম সতর্ক হবার সময় সমাগত। ইঁদুরেরা এভাবেই টের পায় আসন্ন বিপদের। অত‌এব সবাই চুপচাপ জায়গায় বসে আছি মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়ামের মোমের পুতুল হয়ে। বাইরে বাঘ আর টয়লেটে অরুণাভ। সে এক রোমহর্ষক পরিস্থিতি। এর মধ্যে বেশ কিছুটা সময় কেটে গেছে। টিচার্স রুমের জটলা ভেঙে দাদা দিদিরাও একে একে চলেছেন ক্লাসঘরের পথে। অথচ শ্রীমান অরুণাভর দেখা নেই। শেষে টয়লেটের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে  আর আত্মগোপন করে থাকতে না পেরে অরুণাভ দরজার আড়াল থেকে মুখখানি বাড়াতে না বাড়াতেই আপনার নজরে বন্দী হয়ে গেল। একেবারে মেসমেরাইজড! সে এক রোমাঞ্চকর দৃশ্য। অমন দুরন্ত ছেলে ভয়ে কাঠ।
            
    অরুণাভ আপনার সামনে দাঁড়িয়ে। পা ঠকঠক। শুরু হলো জিজ্ঞাসাবাদের নিয়মমাফিক পর্ব।
    – এতক্ষণ লাগে ছোট বাইরে?
    – নাআআ, মআআআআনে বড় বাইরে পেয়েছিল… তাই‌‌
    – ছোট টিফিন ছোট বাইরের জন্য। তোমার বড় বাইরে পেল কেন? বাড়িতে জানাতে হবে।

     

    এরপর যা ঘটেছিল তার কোনো তুলনা হয়না। আর কোনো জারিজুরি কাজে আসবে না বুঝতে পেরে অরুণাভ ছুটে এসে কচি হাতে জাপটে জড়িয়ে ধরে আপনার কোমর, নাগাল কি পায় বটবৃক্ষের গুঁড়ির ! আর তারপর কান্না মেশানো কন্ঠে চিৎকার করে বলতে থাকে – আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম হেডমাস্টার মশাই, আমি এবারের মতো ক্ষমা করে দিলাম আপনাকে। অরুণাভর মুখে এমন কথা শুনে আপনি হাসবেন না রাগ করবেন তা ঠাওর করতে না পেরে এক সময় করুণাভরা শান্ত কন্ঠে বলে উঠলেন – বেশ, ক্লাসে যাও। ছাড়া পেয়েই অরুণাভ দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার হয়ে ক্লাসে ঢুকে পড়ে। আমরা হতবাক। এমন কতো ঘটনার স্মৃতি হাতড়ে হাতড়ে এখন দিন কাটে আমাদের, আমার। মনে হয় এইতো কালকের ঘটনা। এমন অসংখ্য টুকরো টুকরো ঘটনার কথাগুলোকে জুড়ে মালা গাঁথতে বসলে এক মহাকাব্য লেখা হয়ে যাবে।
     
    এখন অবসরকালীন শ্লথগতির জীবনে প্রতিদিন যে টেবিলে বসে সকালে চা বিস্কিট খেয়ে টুকটাক কাজে নেমে পড়ি ,তার ঠিক সামনেই একগাল হাসি, মুখে জড়িয়ে বসে থাকেন আপনি। একা একা সময় কাটাতে পারেন না বলে ধরে আনেন আপনার দুই প্রিয়জনকে – অ আর অ। অরিন্দম আর অনিরুদ্ধকে । আপনি যাবেন বলে ওঁরাও আগেই পাড়ি দিয়েছে অচিনপুরের ক্যাম্প সাইটে। রেইকি করে দেখতে, কেমন জায়গাটা।

    আপনাদের এই তিনজনের সঙ্গে আমিও পেয়ালা হাতে বসে পড়ি গরমাগরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে। কথা হয় কতো! যেসব কথা আগে বলে উঠতে পারিনি তেমন সব কথাও বলা হয়ে যায় কখনো সখনো। ওখানে এখন আমাদের বহুদিনের চায়ের ঠেকের বলাইদাকেও পেয়ে গেছেন নিশ্চয়‌ই। মিহির দা আর অরিন্দমকে চা খাওয়াতে পারলে তাঁর আনন্দ আর ধরতোনা । নারু দা এসে বোধহয় এখনো বলেন – মিহির দা, এই খানে গাছগাছালির দেখা নাই। এইবার বর্ষায় বৃক্ষ রোপনের একখান প্রোগ্রাম নিলে কেমন হয়? আপনি হয়তো ঘাড় নেড়ে তাতেও সম্মতি জানাবেন। ওখানেই নন্দনকাননে এবার পারিজাত বৃক্ষ রোপন করা হবে। শ্লোগানের জন্য চিন্তা করবেন না,ওটা বসের সাউন্ড সিস্টেম মারফত আমিই দিয়ে দেবো। গাছেই শ্বাস, গাছেই আশ ‌/ কাটলে গাছ সর্বনাশ কিংবা মিট্টান দারে, মিট্টান জীবি।কতো নতুন নতুন শ্লোগান তৈরি করেছি আপনার সঙ্গে পা মিলিয়ে মিছিলে পদযাত্রী হয়ে। যতবার শ্লোগান দিয়েছি, পাশে থাকলে আপনিই সবার আগে উচ্চকিত কন্ঠে গলা মিলিয়েছেন। কখনো কখনো সাবাসি জানাতে গিয়ে বলেছেন -তুই রাজনীতিতে এলে অনেক শাইন করতি। আমিও ঠাট্টা করে উত্তর দিয়ে বলেছি– তা হলে এইসময়ের অনেক পেশাদার রাজনীতিবিদদের অন্ন জুটতো না। তারপর আমরা গুরু আর চেলা দুজনেই হো হো করে হেসে উঠেছি। আপনার ভালোবাসার স্মারক ঝরে পড়েছে একটা ভারী হাতের চাপড় হয়ে, আমার পিঠের ওপর। এভাবেই বারবার আপনার অনন্ত ভালোবাসার আশ্চর্য রঙে, রসে মাখামাখি হয়েছে আমার শরীর আর মনের গহীন গোপন প্রকোষ্ঠগুলো। কখনোই উচ্চকিত হ‌ইনি তা নিয়ে। ‌আসলে সেই প্রাণবান পরশের জাদুকণার জোরেই যে আমার এইসময়ের পথচলা। জীবন পথের পথিক হয়ে অনেক অনেক পথ হেঁটেছেন আপনি। আপনার সূর্য দীঘল শরীরের ছায়াপথ ধরে হেঁটে হেঁটে আমরাও একটু একটু করে একসময় বড় হয়ে উঠলাম।



    অবশ্য শেষের দিকে আপনার মধ্যে বোধহয় একধরনের ক্লান্তি হয়তো এসে গিয়েছিল। খুব স্বাভাবিক সেটা। একজন পথিক পথ পাড়ি দিতে দিতে এক সময় শ্রান্ত, ক্লান্ত হয়ে যাবেন তাতো নতুন কিছু নয়। তাও বলতেন, শরীরটাকে নিয়েই যত সমস্যা। আগের মতো নড়েচড়ে বেরিয়ে বেড়াতে পারলে আরও কিছু কাজ করে যেতাম। আমরা, হিসেব করে পথ হাঁটতে অভ্যস্থ বেঁটে খাটো মানুষেরা, কপট বিস্ময়ে বলে উঠেছি, আরও কাজ ! 



    আসলে আপনি স্রষ্টা। তাই সৃষ্টির চালচলন অনেক সময় কষ্ট দিয়েছে আপনাকে। বুক ফাটে তাও মুখ ফোটে না – মেনে নিতে হয়েছে অনেক কিছু।এসব প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কমবেশি ঘটে। একবার খানিকটা অভিমান করে বলেছিলাম, প্রত্যেক মানুষকেই একসময় থামতে জানতে হয়। তারপর‌ই ভেবেছি সুজ্জিঠাকুর না উঠলে, দিগ্বলয়ে চলাচল না করলে  আমাদের আলোর পথ দেখাবে কে? আপনি তো আমাদের মিহির মাস্টারমশাই। আপনার পরিচয়েই যে আমাদের গৌরবী পরিচিতি -- মিহিরবাবুর ছাত্র। এই তকমা লাগিয়েই আমরা তরে গেলাম অনেকে। আপনি ব্যক্তিপুজোয় কখনোই বিশ্বাস করতেন না। তাই গদগদ হয়ে আপনার গুণকীর্তন নাই বা করলাম। আপনি এক জাগ্রত চেতনার প্রতীক হয়ে, এক বলিষ্ঠ ভাবনার ভাবুক হয়ে, এক স্বপ্নের দিশারী হয়ে, ঘনায়মান গভীর আঁধারের মধ্যে এক জ্যোতিস্মান প্রেরণার পিদিম হয়ে বেঁচে থাকুন আমাদের মধ্যে।

    আমরা সেই পথেই বিনম্র শ্রদ্ধায় মাথা নত করে আগামীর পথে পথ চলবো। ভালো থাকবেন হেডমাস্টার মশাই। ভালো থাকবেন। আপনাকে প্রণাম।
     
    ** হেডমাস্টার মশাই প্রয়াত শ্রী মিহির সেনগুপ্ত গতবছর ২০২৩ এর জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখে প্রয়াত হয়েছেন। আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনটিকে স্মরণ করেই আলোচ্য নিবন্ধ রচনা। মাত্র নয়জনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। আজকের কিশোরভারতী তাঁর অতুলনীয় সৃজনভাবনার ফসল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipankar Dasgupta | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৯527383
  • অপূর্ব এই শ্রদ্ধার্ঘ্য। এমন হেডমাস্টারমশাই, এমন শিক্ষকেরা ছিলেন সমাজের সম্পদ, জাগ্রত বিবেকবান অভিভাবক। এমন একজন মানুষকে প্রণাম জানাই। লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা এমন এক হেডস্যারের কাহিনী শুনিয়ে আমাদের মুগ্ধ করার জন্যে। 
  • অধমের নাম:তপন কুমার দাস। | 42.110.139.4 | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৮527390
  • এ তো অসামান্য শ্রদ্ধাঞ্জলি দাদা। আপনি আমাকে বললেন সামান্য। আপনিই পারেন এরকম লেখায় ফুল ফোটাতে। ব্যক্তি পুজোই করলাম। আপনার মাস্টারমশাই রাগ করলেও।
  • সুস্মিতা মন্ডল | 2409:4088:9e35:1f07::fc9:6a06 | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫৪527392
  • এমন বটবৃক্ষের সামান্য সান্নিধ্যটুকুও পেতে পারায় আমি গর্বিত ও ধন্য। আফশোষ আরো কাছে যদি যেতে পারতাম। আমার দেখা এক ঋষিরাজ। আমার অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম।
  • ritabrata gupta | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৫527395
  • অসাধারণ! আপনাদের মতো ব্যতিক্রমী ছাত্র আর ওঁর মতো শিক্ষক এখন এই দেশের খুব প্রয়োজন! আমার প্রণাম রইলো!
  • পলি মুখার্জি | 2409:4060:2d9b:86e3:49b9:8635:2c4b:8a42 | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৩২527397
  • সময় কি দ্রুত কেটে যায়! এই মানুষটির সান্নিধ্য যারা একবার অন্তত পেয়েছেন তারা কখনও তাঁকে ভুলতে পারবেন না। স্মৃতি তর্পণ করতে গিয়ে লেখক খুব সহজ করে এক আন্তরিক মানুষের কথা বলেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ।
  • শর্মিষ্ঠা লাহিড়ী | 2405:201:8016:d7:b4c8:d49c:74d0:43fc | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৫০527399
  • গুরু ও শিষ‍্যের মধ‍্যে যে হৃদয়ের নৈকট্য গড়ে ওঠে, সেই প্রগাঢ় অনুভূতি থেকেই এই ধরনের স্মৃতি তর্পন অর্পন করা সম্ভব। সফল শিক্ষক তখনই সার্থক হন যখন তিনি ছাত্রদের মনের ভিতরে নিজস্ব বিশ্বাসগুলোকে চিরকালের জন‍্য গেঁথে দিতে পারেন, হেডমাস্টারমশাই এই কাজের এক সফল রূপকার। তিনি তার ছাত্রদের অন্তরে চিরকাল এইভাবে বেঁচে থাকবেন।
  • Ranjan Roy | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:১৪527401
  • এই ছাত্রের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে। তাঁকে দেখেই চিনতে পারছি মানুষ গড়ার কারিগর মিহির হেডমাস্টার মশাই, আপনাকে প্রণাম।
  • অভিজিৎ চক্রবর্তী | 106.216.232.214 | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০৫527403
  • এই লেখার অনেক কথাই যেন আমারই কথা। সেগুলো অতি প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপনের জন্যে সোমনাথদা আপনাকে ধন্যবাদ এবং
  • অভিজিৎ চক্রবর্তী | 106.216.232.214 | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০৭527404
  • এই লেখার অনেক কথাই যেন আমারই কথা। সেগুলো অতি প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপনের জন্যে সোমনাথদা আপনাকে ধন্যবাদ। আমার তো আজও মনেই হয়না যে উনি নেই। ওঁনার থেকে শেখা সমাজসেবা মূলক কাজকর্মগুলো থেকে নিয়মিত ভাবে কিছুকিছু পালন করার মধ্যে দিয়েই ওঁনাকে স্মরণ করতে হবে।
  • সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় | 2409:40e0:104b:a54c:8000:: | ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৪527423
  • হেডমাস্টারমশাই কে  নিয়ে এক অনবদ্য স্মৃতিচারণা। উনি তার অগণিত ছাত্রদের মনের মণিকোঠায় অমর হয়ে আছেন,  থাকবেন। আমরা, যারা তার সান্নিধ্য লাভ করেছি, মানবতার যে মহান মন্ত্রে তিনি আমাদের দীক্ষিত করতে চেয়েছিলেন, আমরা তার কতটুকু মূল্য দিতে পেরেছি? আমাদের দৈনন্দিন যাপনের মধ্যে তার কতটুকু ধরে রাখতে পেরেছি ? সমাজের মূলস্রোতে থেকেও ওনার শেখানো আদর্শে মানুষের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি,  তা  ভেবে দেখার সময় হয়েছে।
  • রবীন্দ্রনাথ পাখিরা | 2409:4088:8004:3800:48b6:bc5e:ab0e:9c9e | ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৭527435
  • অসাধারণ স্মৃতিচারণা । আমার জীবনের গতিপথ বদলে দিয়েছেন এই মানুষটি। তবে আক্ষেপ এই মাস্টারমশাই এর আদর্শ ধরে রাখতে পারা যায় নি। মাস্টারমশাই এর গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান থেকে আদর্শের ইঁট গুলো খসে খসে পড়ছে।
  • Kaushik Guha | 2401:4900:7353:16a9:36fd:ce1a:91bd:f056 | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৩527456
  • Onek onek pronam apnake, apnar ei odhom chatrer. Onek kichui sikhte parini, tao majhe majhe chesta kori bhalo manush hote. Setuku hote parlei nijeke dhonnyo mone korbo. Apnar r amader dada didider shikhkhay amar moto oneker patheo. Bhalo thakben headmastermosai. Apnake kichu seba korte perechilam eta je koto boro shanti ta ami I jani. Somnathdake oshonkho dhonnyobad amader ei rochona upohar deoyar jonno.
  • আলোক গাংগুলি | 103.141.93.27 | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৫527736
  • অপুর্ব লেখা, আমি নিজেও ওনার ছাত্র ছিলাম
     
  • Somnath mukhopadhyay | ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪৪527901
  • কত সালের কিশোরভারতীয়? দু এক জন সহপাঠীদের নাম মনে পড়ে? ছড়িয়ে দেবার অনুরোধ রইলো।
  • অভীক পাল | 2409:4064:59d:fdd7::669:78a5 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১০528369
  • পড়ে খুব ভালো লাগলো। মন জুড়িয়ে গেলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন