এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নিম্ন বর্ণের ওপর অত্যাচার। গল্প নাম্বার ১২।

    লেখক শংকর হালদার লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯ বার পঠিত
  • গল্প নাম্বার :- ১২
     
    নিম্ন বর্ণের উপর অত্যাচার।
     (সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জিত।)
     
    গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা।
     
    ("মাতৃভূমির স্মৃতির টানে" গল্পের নাম পরিবর্তন করে " নিম্ন বর্ণের উপর অত্যাচার" রাখা হয়েছে।)
     
    ◆ রচনার শ্রেণী :- জাত পাতের অত্যাচারের এক বৈষ্ণব বাবাজির আত্মচরিত বাস্তব ছোট গল্প।
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    ◆ সত্যজিৎ দাস বাবাজি মহারাজ রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আশ্রমের মধ্যে তার ব্যক্তিগত রুমে শুয়ে শুয়ে ভাবে মনে। একুশ বছর ধরে সাধুর বেশ ধারণ করে আছি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন তীর্থ ক্ষেত্র গুলো ঘুরতে ঘুরতে মানুষের জীবনের বাস্তব ঘটনা গুলো ও বিভিন্ন সমস্যা দেখেছি। 
     
    ◆ ধনী ব্যক্তিদের দ্বারা গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হয়তো আর কোনদিন বন্ধ হবে না। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার সৃষ্টি থেকেই চলে আসছে। বৈদিক ধর্মের বৈষম্যতা আদিকালের সময় থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। 
     
    ◆ বৈদিক ধর্ম অর্থাৎ সনাতন বা হিন্দু ধর্মের আদি মানব পিতা স্বয়ম্ভু মনু ও মাতা শতরূপা। সমাজ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের জন্য আদি পিতা স্বয়ম্ভু মনু "মনুসংহিতা" নামক আইন গ্রন্থ সৃষ্টি করেন। 
     
    ◆ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি এই মনুসংহিতা থেকেই, অর্থাৎ উচ্চবর্ণ আর নিম্নবর্ণের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত মনুসংহিতার সূত্র ধরে উচ্চ বর্ণের হিন্দু গণ, আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় দাঁড়িয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে চলেছেন। মানুষের মানবতার ধর্ম বিলুপ্ত হয়েছে। 
     
    ◆ আধুনিক যুগের উচ্চবর্ণের হিন্দুরা কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর দাঁড়িয়ে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের এখনো অনেক মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও দিল্লি সহ হিন্দু প্রধান হিন্দিভাষী প্রদেশগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় এখনো দলিতদের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। 
     
    ◆ এই সব উচ্চ বর্ণের মানুষের এলাকায় বসবাস করতে গিয়ে কিন্তু আমি জন্মগতভাবে শূদ্র শ্রেণীর মানুষ হওয়ার সত্ত্বেও, আমার দেহে নয় গুন (৯টা সুতা) পৈতা ধারণ করতে বাধ্য হয়েছি। যা একমাত্র ব্রাহ্মণের জন্মগত ভাবে অধিকার ।
     
    ◆ ব্রাহ্মনের পৈতা ধারণ না করলে, কিন্তু এই এলাকার মানুষ মূল্যায়ন করে না। আমি পৈতা ধারণ করে উচ্চ বর্ণের সাধু বলে খ্যাতি অর্জন করেছি। সাধারণ মানুষের ধারণা একমাত্র উচ্চবর্ণের মানুষেরাই কিন্তু সাধুসন্ত হতে পারে। জন্মগত নিম্ন বর্ণের সাধুদের কে শাস্ত্র গ্রন্থ সহ অতীত ও বর্তমান যুগের মানুষেরা কোনদিন মূল্যায়ন করেনি আবার ভবিষ্যতে কখনোই করবে না।
     
    ◆ এই সব এলাকায় মাঝে মধ্যে জাত পাতের লড়াই সহ খুন খারাবি চলতে থাকে।
     
    ◆ সাধু সন্ন্যাসী তৃষ্ণায় মরে গেলেও কিন্তু নিম্ন বর্ণের মানুষগুলো এক গ্লাস জল দেওয়ার কোন অধিকার নেই। কোন কারনে জল দান করলে, উচ্চ বর্ণের মানুষেরা তাদের বিভিন্ন ভাবে শান্তি সহ অত্যাচার করতে থাকে। উচ্চবর্ণের মানুষের জলের কল বা কুয়া ছোঁয়া তো দূরের কথা। 
     
    ◆ বহুবার দেখেছি নিম্ন বর্ণের মানুষ তৃষ্ণার্ত হয়ে উচ্চবর্ণের জলের কুয়া স্পর্শ করার জন্য দলিত শ্রেণীর মানুষকে পিটিয়ে খুন করেছে।
     
    ◆১৯৫৬ সালে উত্তর প্রদেশের কোন এক গ্রামে দেখেছিলাম, উচ্চবর্ণের জলের কুয়া স্পর্শ করে জল পানের পরিণতি। নতুন জলের কুয়া তৈরি করার জন্য কয়েক লাখ টাকা জরিমানা, না দিতে পাড়ায় কিন্তু দলিত শ্রেণীর সমাজের মানুষদের উপর অমানবিক নির্যাতন দীর্ঘদিন চলতে দেখেছি। উচ্চ বর্ণের সমাজপতিদের দাদাগিরির দাপটে কিন্তু থানা পুলিশ উচ্চ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে থাকে।
     
    ◆ আমি সাধু বেশ ধারণ করে সাধারণ মানুষের ধর্মের পূর্ণতা ও স্বর্গ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে কিন্তু শিষ্য ও ভক্তদের দেওয়া টাকায়, আজ কোটিপতি ও বিশাল রাজপ্রাসাদের ন্যায় আশ্রমের মালিক হয়ে পড়েছি।
     
    ◆ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য শিষ্য মহল তৈরি হয়েছে। বৃন্দাবন ধামের সমগ্র সাধু সন্ন্যাসী গণের মধ্যে ও মোহন্তগণের উচ্চ পর্যায়ের ১০ জনের মধ্যে বর্তমানে আমি একজন বাঙালি সন্ন্যাসী।
     
    ◆ বর্তমান বিংশ শতাব্দীর সাধু সন্ন্যাসী গণ বাতানুকূল শীতাতাপ রুমে বসবাস করে আর যেখানেই যাক না কেন! এক কোটি টাকার উপর দামের গাড়িতে চড়ে।
     
    ◆ হাজার হাজার আশ্রমবাসী সাধু, সন্ন্যাসী, বাবাজি, মোহন্ত ও মন্ত্র বিক্রি গুরু ব্যবসায়ী গণ সমাজের মানুষের কাছে থেকে ছলে-বলে, কলে-কৌশলে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রতারনার ফাঁদে ফেলে টাকা নিয়ে কেউ লক্ষপতি আবার কেউ কোটিপতি।
     
    ◆ সাধারণ মানুষেরা ইহজগতে ও পরজগতের পূর্ণ লাভ আবার স্বর্গবাসের আশায় আশায় বিভিন্ন মন্দিরে করে দান। মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সাধু সন্ন্যাসী গুরু বর্গগণ শিষ্যের টাকায় অট্টালিকা বানিয়ে তাদের কোটি কোটি টাকার পাহাড় বানিয়ে চলেছে।
     
    ◆ সমাজের মানুষের উন্নয়ন, কর্মস্থান, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার কোন দায়বদ্ধতা নেই। 
     
    ◆ হাজার হাজার আশ্রমের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি আশ্রমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেখা যায়। 
     
    ◆ আবার প্রতিদিন বিনামূল্যে বিভিন্ন আশ্রম থেকে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার দেওয়া হয় কিন্তু এর পিছনে গোপন রহস্য এক শ্রেণীর সাধু মোহন্ত গণের ব্যবসায়ী পরিকল্পনা। 
     
    ◆ বড় বড় ব্যবসায়ী ও সমাজের দুই নম্বর কারবারি ব্যবসায়ী গণের দানের টাকায় কিন্তু এই সব দানছত্র চলে।
     
    ◆ দানের উপর ভিত্তি করে প্রতিদিনের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে কিন্তু বাজেটের শতকরা ৬০ টাকা খরচ করে আর বাদবাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দাতাগণ অতিরিক্ত ভাবে কয়েক জন কাজের শ্রমিকের টাকা দেয়। 
     
    ◆ কথায় আছে, যত বেশি কাজ করতে পারবে কিন্তু তত বেশি টাকা আত্মসাৎ করতে পারবে। 
    তীর্থ ক্ষেত্রে যত বেশি ভক্ত ও সাধু সন্ন্যাসীর খাওয়ানো যাবে, তত বেশি টাকা আত্মসাৎ করা সম্ভব।
        
     ◆ এত কিছুর মাঝেও কিন্তু মনের শান্তি খুঁজে পাচ্ছিনা। শিষ্য মহলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে করতে সাধন ভজন বন্ধ হয়েছে। 
     
    ◆ আশ্রম পরিচালনা করার জন্য একশোর উপরে বেতনভুক্ত কর্মচারী সহ একজন ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়েছে। আশ্রমে প্রতিদিন বিনামূল্যে শত শত নারী-পুরুষ আহার করছে কিন্তু একদিন আমি একমুঠো খাবারের জন্য কত কিছু না করেছিলাম।
     
    ◆ গরিব ও সমাজের নিম্ন বর্ণের মানুষ হওয়ার কারণে সাত পুরুষের ভিটা মাটি হারানোর ঘটনাগুলো স্মৃতির পাতায় বারবার মনে পড়ে।
     
    ◆ ১৯৩৮ সালে আমি তখন একুশ বছরের নব যুবক। পিতা-মাতা হারা হয়ে সাত পুরুষের কয়েক বিঘা ভিটেমাটি আঁকড়ে ধরে পড়ে ছিলাম। দারিদ্রতার সংসারের মাঝে দিন আনা দিন খাওয়া তবুও ভিটেমাটি বিক্রি করতে রাজি ছিলাম না।
     
    ◆ বাংলার অত্যাচারী জমিদার শিশির সামন্ত একদিন দলবল নিয়ে আমার ভাঙ্গা ঘরের উঠানে এসে দাঁড়িয়ে বলেন :- সত্যানন্দ; তোমার পাঁচ বিঘা জমি কিন্তু আমার চাই।
     
    ◆ আমি বিনয়ের সাথে হাত জোড় বলেছিলাম :- বাবু; সাত পুরুষের ভিটা মাটি আপনাকে দিতে পারবে না।
     
    ◆ জমিদার শিশির শান্ত গলায় বলেন :- তোমার জমি খানি পেলে কিন্তু আমার শখের বাগান আরে দিঘি সমান হবে। জমির জন্য অবশ্যই টাকা তুমি কিছু পাবে।
     
    ◆ আমি বলেছিলাম :- না বাবু; আমি জমি দিতে পারবে না।
     
    ◆ জমিদার শিশির ক্রোধিত হয়ে বলেন :- জমিদারের আজ্ঞা পালন না করে কিন্তু তার সঙ্গে বিবাদ করেছে, তোমার সাত পুরুষের ভিটা মাটি সহ পাঁচ বিঘা জমি কেড়ে নেবো। 
     
    ◆ আমি বলেছিলাম :- আপনি; আমাদের ভূস্বামী, এই জমি ছাড়া আমার আর কিছু নাই। বাবা-মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে কিন্তু ঋণের দায়ে সব গেছে চলে। এই প্রজা কে দয়া করুন।
     
     ◆ কয়েক মাস পরে জমিদারের নির্দেশে আমাকে জমিদারের লোকজন ধরে নিয়ে আম বাগানের মধ্যে একটি গাছের ডালে উল্টো করে অর্থাৎ পা দুটো গাছের ডালে বেঁধে দেয়। ঝুলন্ত অবস্থায় চাবুক মারতে থাকে।
     
    ◆ জমিদার শিশির বলেন :- তোমার মা ভিটেবাড়ি বন্ধক রেখে কয়েক হাজার টাকা আমার কাছ থেকে সুদে নিয়েছিল। সুদ আসলে টাকা দাও, না হয় জমি লিখে দাও।
     
    ◆ আমি চোখের জলে কপাল ভিজিয়ে বলেছিলাম :- বাবু; এই সব মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছেন কিন্তু জমি আমি দেবো না। যদি আমার মৃত্যু হয় হোক।
     
    ◆ জমিদারের লোকজন আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আর আমার আর্তনাদ চিৎকার আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে এবং অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বনের পাখিরা ভয়ে পালিয়ে যায়।
     
    ◆ জমিদার ক্রোধিত হয়ে আমার হাত চেপে ধরে জমির দলিলের উপর টিপসই নিয়ে নেয়।
     
    ◆ জমিদার অট্টহাসিতে হাসতে হাসতে বলেন :- সত্যানন্দ; তোমার সাত পুরুষের ভিটা মাটি, এখন আমার দখলে হা হা হা হা হা হা হা হা হা।
     
    ◆ মন্দিরে ভোরের শঙ্খধ্বনি বেজে ওঠে, মঙ্গল আরতি উপস্থিত হওয়ার জন্য মন্দিরের পূজারী গোপাল বাবাজী সবাইকে আহ্বান করছেন।
     
     ◆ আরো কয়েক বছর পর সন্ন্যাসী সত্যজিৎ মহাশয় মাতৃভূমির টানে শ্রী শ্রী বৃন্দাবন ধামের মন্দির কে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। একজন কাছের শিষ্য অবনী কান্ত দাস বাবাজি কে আশ্রমের মোহন্ত বানিয়ে তার কাছে আশ্রমের দায়-দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। তারপর হঠাৎ করে একদিন নিখোঁজ হয়ে হারানো সাত পুরুষের জন্মভূমিতে চলে আসেন।
     
    ◆ জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী। "মা (জননী) ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেয়।" 
     
    ◆ সন্ন্যাসী সত্যজিৎ মহাশয় জন্মভূমিকে প্রণাম করে বলেন, মা দীর্ঘ ২৮ বছর তোমার সাথে দেখা করতে পারিনি কিন্তু অধম সন্তান কে ক্ষমা করে।
     
    সাত পুরুষের ভিটেমাটি সহ বসতি পাড়া আজ পরিত্যক্ত জঙ্গলে রূপান্তর হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতবাসী মুক্তির স্বাধীনতা লাভের পর কিন্তু ধীরে ধীরে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়। অত্যাচারী জমিদার শিশির সামন্ত কে তার শত্রুগণ সবংশে ধ্বংস করেছে।  
     
    ◆ তারপর কিছু সময় ধরে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এক পরিত্যাক্ত জলের কুয়া দেখতে পায়, ভাবে এই তো আমার সাত পুরুষের ভিটা মাটি। গাছের শুকনো গুড়ির উপর বসে পড়ে মনের আনন্দে গান ধরে।
     
    মা গো মা আর ভিক্ষার ঝুলি চাই না,
    কর্মের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করবো।
     
    সাত পুরুষের ভিটা মাটিতে গড়ে তুলবো  
    "মাতৃভূমি মানব সেবা আশ্রয়স্থল "। 
     
    নদীমাতৃক বনাঞ্চল এলাকায় বসবাসকারী
    সকল শ্রেণীর মানুষকে স্বনির্ভর করে তুলব। 
     
    শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান, বিজ্ঞান আলোয়
    আলোকিত ও চিকিৎসা বাস্তবায়ন করবো। 
     
    তবেই তো জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে 
    মাতৃভূমির মানুষের সেবা করা হবে।
     
    মা গো মা আর ভিক্ষার ঝুলি চাই না।
    মা গো মা আর ভিক্ষার ঝুলি চাই না।
    মা গো মা আর ভিক্ষার ঝুলি চাই না।              
            -----------------------------------------
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    ◆ রচনাকাল :- ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। তীর্থ ভ্রমণ কালীন সময়ে উমরালা মণি কুন্ড আশ্রম অবস্থান, কোর্টবন, কোশী কলা, মথুরা, উত্তর প্রদেশ, ভারত।
     
    ◆ সংশোধনের তারিখ :- ১২ আগস্ট ২০২৩ সাল। বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য, পারমাদন, নলডুগারি, সিন্দ্রানি, উত্তর ২৪ পরগনা।   
    ----------------------------------------------------------

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন