গল্প নাম্বার :- ৬
শ্মশান যাত্রা-মৃত্যুর মিছিল। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা।
◆ রচনার শ্রেণী :- মদ্যপানের পরিণতি ভয়ংকর বাস্তব শিক্ষামূলক ছোট গল্প।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
◆ পাড়ার মধ্যে হঠাৎ করে একটি বাড়িতে মহিলাদের সমবেত কণ্ঠে কান্নার রোল ওঠে। বাড়ির পুরুষেরা ও প্রতিবেশী মানুষেরা ছুটে আসে।
শাশুড়ি মা আর ইহজগতে নেই, ঘরের মধ্য থেকে আওয়াজ ভেসে আসে।
◆ বাড়ির বধূরা চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ির পুরুষদের প্রতি বলে :- মায়ের লাশ তাড়াতাড়ি ঘর থেকে উঠানের তুলসী তলায় নিয়ে যাও। আর ঘরের মধ্যে থাকার কোন অধিকার নেই। যতক্ষণ মৃতদেহ ঘরের মধ্যে থাকবে ততক্ষন তোমাদের অমঙ্গল হবে।
◆ বাড়ির বধূরা মৃতদেহের গাঁয়ের সোনার গয়না গুলো খোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যে যেমন ভাবে পারে সব খুলে নিতে থাকে। মৃত দেহের তো আর কষ্ট বোধ নেই, হয়তো দেহের কোন অংশ ছিঁড়ে গেল তবুও গয়না কিন্তু হাত ছাড়া করা যাবে না।
◆ সংবাদ শুনে মৃতের দুই মেয়ে কান্নাকাটি করতে করতে চোখের জলে বুক ভিজিয়ে তাড়াহুড়ো করে মায়ের পাশে এসে হা হুতাশ করে আক্ষেপ করে বলে :- মা; মরতে না মরতেই মায়ের গয়না গুলো কোথায় গেল?
◆ বাড়ির বড় বধু বলে :- মায়ের গয়না গুলো সব বাক্সে আছে কিন্তু ননদী ভাগ নিতে হলে আমার দল ভারী করো।
◆ ছোট মেয়ে মায়ের মৃতদেহের কাছে গিয়ে কান্না করতে করতে বলে :- "মা, তুমি চলে গেলে কিন্তু আমার ছেলে-মেয়ের জন্য কিছু দিয়ে গেলে না, দাদা-বৌদিরা আমাদের কি আর নগদ টাকা ও গয়নার ভাগ দেবে?
◆ লোকে বলতে থাকে, সুমনের মা রোগে শোকে ভোগের চেয়ে চলে গিয়ে ভালোই হয়েছে। এখন লোকজন দেখে মৃতের দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করতে হবে।
◆ একজন বয়স্ক প্রতিবেশী এসে বলে :- আরো সুমন, তোর মাকে কোন শ্মশানে নিয়ে যাবে।
◆ বাড়ির বড় বউ কান্না করতে করতে বলে :- মা; মরার আগে নবদ্বীপ গঙ্গার ঘাটে তার দেহ সৎকাজ করার কথা বলে গিয়েছেন।
◆ বয়স্ক প্রতিবেশী বলেন :- তাহলে তোমার মাকে নবদ্বীপ গঙ্গা ঘাটে নিয়ে গিয়ে মৃত মায়ের আত্মার শান্তি দান করো। তার আগে প্রতিবেশীদের নবদ্বীপ যাওয়ার জন্য নেমন্তন্ন করে আসো।
◆ বাড়ি মেজো ছেলে স্বপন আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের নবদ্বীপ যাওয়ার জন্য আহ্বান করতে থাকে। বাড়ির বড় ছেলে এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করে একটি লরি নিয়ে সন্ধ্যার সময় উপস্থিত হয়।
◆ মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার আগেই কিছু সংখ্যক মানুষ ও লরি চালক মৃতের বাড়ির পাশের বনের মধ্যে গিয়ে বিভিন্ন গাছপালা ঘেরা বনের অন্ধকারের মধ্যে পরিষ্কার জায়গা দেখে মদ পানের আসর শুরু করে। শ্মশান যাত্রীদের মদ্যপান করা, সমাজের মানুষের কাছে প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মদ্যপান নাকি দুঃখ ভুলে এক আনন্দ উৎসব।
◆ একজন মদপানকারী চালকের উদ্দেশ্য বলে:- এই তুই বেশি খাস না কিন্তু গাড়ি চালাতে হবে।
◆ অন্য আরেকজন শ্মশান যাত্রী প্লাস্টিক গ্লাসের মদ পান করে বলে :- মৃতের বাড়ি থেকে দামি মদ দিয়েছে কিন্তু চাট (খাবার) ভালো হয়নি, বাদাম ছোলা দিয়ে এই মাল খাওয়া যায়। সুমনের টাকার অভাব নেই কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর বড় ছেলে হিসেবে সুমন বাড়ির অভিভাবক।
◆ চালক বলে :- আরে এইটুকু মদ পান করে কি হয় ? এর থেকে কত বেশি বেশি মদ পান করে কলকাতার রাস্তায় গাড়ি চালায় ।
◆ আশুতোষ নামে একজন শ্মশান যাত্রী পকেট থেকে দুশত টাকা বের করে মদনের হাতে দিয়ে বলে :- মদনা; পাশের বাজার থেকে ঘুগনি, চপ ও সিগারেট নিয়ে আয়। আর টাকা বাঁচলে তোর যা মন চায় নিয়ে আসবে।
◆ মৃতের বাড়ির টাকায় মদ পেয়ে বিভিন্ন ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তাদের বাড়ির আশপাশ সহ বিভিন্ন জায়গায় মদের আসর বসে। বাড়িতে কিছু লোকজন ঘরের মধ্যে আড়ালে গিয়ে শোক কে ভোলার জন্য হালকা করে পান করে নেয়। মৃতের বাড়িতে আশপাশ দেখে মনে হচ্ছে শোকের বদলে পুরুষদের মধ্যে মদ্যপানের আনন্দ চলছে।
◆ ব্যতিক্রম শুধু মেয়েরা তাদের নাকি এইসব ছোঁয়া একদম বারণ, শুধু কান্নাকাটি করে যেতে হবে । বাড়ির বৌ সহ মেয়েরা যত বেশি কান্নাকাটি করবে, মৃতের আত্মা নাকি বেশি শান্তি পাবে।
◆ শ্মশান যাত্রীদের পরিচালক পাড়ার শৈলেন বিশ্বাস চারদিকে ঘোরাঘুরি করে দেখার পর আরেক প্রতিবেশীর উদ্দেশ্য করে বলেন :- আধুনিক সভ্যতায় শিক্ষিত নারীদের মধ্যে সীমিত সংখ্যায় হলো লুকিয়ে লুকিয়ে ঘরের মধ্যে মদ্যপান করতে দেখা গিয়েছে কিন্তু এটা নাকি নারী স্বাধীনতা ভোগের আধুনিকতার ছোঁয়া।
◆ শৈলেন বিশ্বাসের তৎপরতায় অবশেষে শ্মশান যাত্রীগণ মদ পান করা শেষ করে, বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দিক থেকে মৃতের বাড়িতে আসতে থাকে।
◆ পুরুষেরা মদ্যপানে উত্তেজিত হয়ে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলে উঠে, বলো হরিবোল বলো হরিবোল বলতে বলতে মৃতদেহের যথাযথ গ্রামের আচার ও মেয়েলি আচরণ পালন করার পর উঠানের থেকে মৃতদেহ লরিতে তোলার ব্যবস্থা করতে থাকে। আর মৃতের পিছনে থাকা বাড়ির বউ গুলো গোবর জলের ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিতে থাকে। অর্থাৎ মৃত দেহকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেওয়া।
◆ একটা ম্যাটাডোরের মধ্যে মরদেহ তোলার পর আর একটা লরি ও কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি সহ জীবিত মানুষগুলো রওনা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বলো হরিবোল বলো হরিবোল চিৎকার করতে থাকে।
◆ ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার সিন্দ্রানি পঞ্চায়েতের অধীনে নলডুগারি এলাকা পার মদন ফরেস্ট (অর্থাৎ বিভূতিভূষণ অরণ্য) নামক গ্রামের বৃদ্ধা শিবানী মুহুরী ২৭ শে নভেম্বর ২০২১ সালের শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ মারা যান। আর রাতে তার দেহ দাহ করার জন্য শিশু, মহিলা ও পুরুষদের নিয়ে প্রায় ৪৭ জন শ্মশান যাত্রী নবদ্বীপ শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
◆ মৃত শিবানী মুহুরীর প্রতিবেশী গ্রামের ছেলে প্রসেনজিৎ দাস একুশ বছরের যুবক চালকের আসনে বসে। শ্মশান যাত্রীগণ কে নিয়ে দ্রুত লড়ি চলতে থাকে, পার মদন ফরেস্ট গ্রাম থেকে বেরিয়ে নলডুগারি, সিন্দ্রানি ও নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দত্তপুলিয়া হয়ে বগুলা এলাকার একটি বারের (অর্থাৎ মদের কাউন্টার) সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে খাওয়া-দাওয়া সাথে মদ্যপানের আসর চলতে থাকে।
◆ বগুলা থেকে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিন্তু ঊর্ধ্বে গতিতে গাড়ি চলতে থাকে। কেবিনের মধ্যে থাকা মানুষেরা চালককে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও কিন্তু গাড়ি গতিবেগ কমাতে রাজি হয়নি।
◆ চালক প্রসেনজিৎ দাস বলে :- গাড়ির গতিবেগ এমন কিছু নেই, চিন্তা করবেন না। আপনারা ঘুমিয়ে পড়ুন আর নবদ্বীপ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে ডেকে দেবো। গাড়ি চালানোর সময়ে কিন্তু একদম আমাকে বিরক্ত করবেন না।
◆ অতিরিক্ত মদ পানের কারণে চালক প্রসেনজিৎ দাস ঝিমাতে ঝিমাতে গাড়ি চালাতে থাকে। গাড়ি দ্রুত গতিতে চলতে চলতে হাঁসখালি পেরিয়ে ফুলবাড়ী গ্রামের একটি মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে কেবিনের মধ্যে থাকা লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই, বিকট আওয়াজ হয়ে রাত একটা নাগাদ ভয়াবহ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ২৮ শে নভেম্বর ২০২১ সালের রবিবার।
◆ রাস্তার পাশে বসবাসকারি পরিতোষ বিশ্বাস টোটো চালক আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায়। প্রধান সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাথরের লরির সঙ্গে মৃত লাশের ম্যাটাডোর ভয়াবহ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
◆ ম্যাটাডোরের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষেরা দলা পাকিয়ে আছে। রক্তে রাস্তা ভেসে যাচ্ছে। মৃতের লাশের সাথে জীবিত মানুষ গুলো পড়ে আছে। লাশের ও মানুষের চাপা পড়ে আতঙ্কে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ম্যাটাডোর দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে গিয়েছে। অসংখ্য মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং সাথে সাথে কয়েক জনের মৃত্যু ঘটে।
◆ চালক গাড়ির স্টারিং এর মধ্যে মাথা ঢুকে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা অর্ধ মৃত মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি করতে ভুলে গেছে। চারদিকে লাশ আর লাশ। পরিতোষ বিশ্বাস তৎপরতার সাথে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে।
◆ পরিতোষ বিশ্বাস বলেন :- বাথরুম করার জন্য উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দ্রুত বেগে গাড়িটি বেড়িয়ে যায় এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিকট আওয়াজ ভেসে আসে।
◆ দুর্ঘটনাস্থল থেকে তিন জন মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছি। চিৎকার চেঁচামেচি করে লোকজন উপস্থিত হলেও, শীতের রাতে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজে কোন সহযোগিতা করেনি।
◆ হয়তো পুলিশের ঝামেলার ভয়ে বা মরার গাড়ি বলে। স্থানীয় লোকজন যদি সহযোগিতা করতেন, তাহলে ৪৫ মিনিটে আরো অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারতাম।
◆ রাত ১:৪৫ নাগাদ হাঁসখালি থানার পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এরপর রাত দুটো ৫ মিনিট নাগাদ আহতদের নিয়ে প্রথম গাড়ি কৃষ্ণনগর শহরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ঢুকে পড়ে।
◆ উদ্ধারের কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারাদেশে খবরের শীর্ষে চলে আসে।
◆ স্বজন হারানো ব্যক্তির অভিযোগ :- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ও ডাক্তারদের গাফিলতি এবং সহযোগিতা না করার জন্য অনেক রোগী মারা গিয়েছে, প্রায় চার ঘণ্টা পর চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।
◆ স্বজন হারানো আরেক ব্যক্তি বলেন :- পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে কিন্তু আহত মানুষের চিকিৎসা তৎপরতা শুরু হয়।
◆ সাধারণ মানুষের কথার কোন মূল্য নেই। নির্দেশ যখন দিতে হবে, তখন রাতে কেন দেয়নি।
◆ দেশের রাজনৈতিক নেতাদের তৎপরতায় কিন্তু মৃতের সংখ্যা কমানো যায়নি।
◆ মোট ২১ জন মৃত ব্যক্তির মধ্যে কিন্তু একই পরিবারের ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
◆ রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী আসে কিন্তু তবুও লাশের সংখ্যা বেড়ে যায়।
"সময়ের অবহেলায় সাধারণ মানুষের, অকারণে জীবন চলে যায়।"
◆ রাজনৈতিক নেতারা ও সরকারি আমলা গণ মানুষের মৃত্যুর পরে লোক দেখানো, নানা রকম আয়োজনের মাধ্যমে ঘটা করে বক্তৃতা ও অনুষ্ঠান চলতে থাকে ।
◆ দেশে মদ পান করার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না করে কিন্তু দেশের কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজনৈতিক নেতারা টিভির পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে বড় বড় বক্তৃতা আর গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলছে । আসল কাজের বেলায় সব ফাঁকা কিন্তু আজকের যুব সমাজ মদের জন্য একদম শেষ।
◆ সাধারণ মানুষ বলছে :- মদের দাম কমানোর জন্য কিন্তু মদ্যপায়ীরা বেশি বেশি করে মদ পান করা শুরু করেছে। মদ বিক্রি করে নাকি সরকারের সবচেয়ে বেশি রাজকোষে টাকা আসে।
◆ এর জন্য মাস্টার পদ্ধতিতে মদের দাম কমিয়ে দিয়েছে। বেশি বিক্রি হলে বেশি লাভের আশায়।
◆ একটি মানুষের জীবনের দাম মাত্র দু লাখ টাকা নির্ধারণ করেছেন।
◆ স্থানীয় রাজনীতি এক নেতার কথা :- মদ বেশি করে বিক্রি না হলে মাসে মাসে জনগণকে খয়রাতের টাকা দেবে কি করে ? লক্ষ্মী ভান্ডার সহ আরো যে কত ভান্ডারের টাকা দিতে হয়।
◆ স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ :- রাস্তায় মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই।
◆ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে হাত পেতে টাকা নেওয়ার জন্য পুলিশ ও সিভিক আছে কিন্তু মদ পান করে গাড়ি চালকের নিয়ন্ত্রণ করার সময় পুলিশ বা সিভিক নেই কেন?
◆ রাতে হাঁসখালি বাসস্ট্যান্ড পুলিশ পাহারা থাকে কিন্তু সেই রাতে কোথায় ছিল ?
◆ প্রতক্ষদর্শী মানুষ গুলো বলেন :- হাঁসখালির রাস্তা দিয়ে ম্যাটাডোর দ্রুত বেগে ছুটে চলেছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করার মতো সেই সময়ে কোন পুলিশ পাহারায় ছিল না।
◆ সরকারের প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা খরচ করে, এই সব দায়িত্বহীন পুলিশের রেখে লাভ কি?
◆ মানুষের বাঁচার কি কোনো পথ নেই?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~-----------------------------------
◆ রচনাকাল :- ২৯ শে নভেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দে। স্থান :- দত্তপুলিয়া যুব গোষ্ঠী ক্লাবের, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
◆ সংশোধনের তারিখ :- ৬ আগস্ট ২০২৩ সালে। কবি বিপুল ঘোষ মহাশয়ের বাড়ি,মাজদিয়া, নদীয়া।
----------------------------------------------------------~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।