এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভক্তের ভক্তি 

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮৮ বার পঠিত
  • স্বামীনারায়ণ মন্দির, দিল্লী বা কোলকাতা বা ভারতবর্ষ এবং বিশ্বের অনেক জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়। লেখাটি কিন্তু স্বামীনারায়ণ মন্দির নিয়ে নয়, এখানে উল্লেখ করলাম এই জন্যেই যে এইধরনের নামের সাথে আমরা বাঙালিরা খুব একটা পরিচিত ছিলাম না। এখন নিশ্চয়ই অনেকটাই পরিচিত হয়েছি। এবং এই কারণেই উল্লেখ করলাম, আমরা বাঙালিরা নিজেদের অতীত ভুলে গেছি। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সাথে আমরা অতি পরিচিত কিন্তু স্বামীনারায়নের সাথে শ্রীচৈতন্যের মিল খোঁজার চেষ্টা করিনা। কারণ কোথাও মিল থাকতে পারে এই চিন্তাটাই আসে না আমাদের মনে। আমরা যে আমাদের প্রাচীন ইতিহাস জানিনা।

    স্বামী আর নারায়ণ মিলেই স্বামীনারায়ণ বলা হয়ে থাকে। স্বামী অর্থে প্রভু (নরপতি, অর্থাৎ মানুষের প্রভু), আরাধ্য, ভক্তি ইত্যাদি। আর নারায়ণ বলতে "মানুষ (নর অর্থে মানুষ) যেখানে আশ্রয় গ্রহণ করে"। আবার নারায়ণ-সেবা বলতে বোঝায় মানুষের সেবা, সেই অর্থে নারায়ণ মানে মানুষ-ও হয়। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে, প্রভু-ভৃত্য, ভক্তি-ভক্ত, আরাধ্য-সাধক-এর সম্পর্ক হলো স্বামী আর নারায়নের মধ্যে। আবার যিনি স্বামী তিনিই নারায়ণ, কারণ আরাধ্যকে সেই নামেই ডাকছি। মানে "আমাতেই তুমি" আবার "তোমাতেই আমি", "ত্বমসি মম জীবনম"। আরাধ্য আর সাধক যেখানে মিলে মিশে একাকার, "তুমি যন্ত্র, আমি যন্ত্রী"। আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন যেখানে, সেখানেই ভক্তির উদ্ভব। ভাগবত পুরাণে নারায়ণকে বলা হয়েছে সর্বোচ্চ উপাস্য। এই পুরাণ মতে, তিনি অসংখ্য জগৎ সৃষ্টি করে প্রতিটি জগতে জগদীশ্বর রূপে প্রবেশ করেছেন। ব্রহ্মারূপে রজঃগুণ অবলম্বন করে তিনি চোদ্দটি জগৎ সৃষ্টি করেছেন। বিষ্ণুরূপে সত্ত্বগুণ অবলম্বন করে তিনি সেগুলি রক্ষা করেন এবং রুদ্ররূপে তমঃগুণ অবলম্বন করে তিনি তা ধ্বংস করেন। নারায়ণের অপর নাম "মুকুন্দ"। এই শব্দের অর্থ, যিনি জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি অর্থাৎ মোক্ষ প্রদান করেন। জাগতিক বিশ্বের বাইরে নারায়ণের সর্বোচ্চ ও চিরন্তন অধিষ্ঠান বৈকুণ্ঠে। বৈকুণ্ঠকে হিন্দুরা আনন্দময় স্থান মনে করেন। বৈকুণ্ঠ পরমধামও (অর্থাৎ, সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান যেখানে মুক্তাত্মারা পরমেশ্বেরের সান্নিধ্যে চিরকালের জন্য বাস করেন) বলা হয়। হিন্দুরা মনে করেন, বৈকুণ্ঠের ধারণা কোনো জাগতিক বিজ্ঞান বা যুক্তির সাহায্যে করা যায় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, ক্ষীরসাগর, যেখানে বিষ্ণু অনন্তনাগের উপর শয়ন করেন, তাকে জাগতিক বিশ্বের "স্থানীয় বৈকুণ্ঠ" বলা হয়। মহাভারত-এ কৃষ্ণকে একাধিকবার নারায়ণ ও অর্জুনকে নর বলা হয়েছে। এই মহাকাব্যে তাদের বোঝাতে বহুবচন "কৃষ্ণদ্বয়" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে বিষ্ণুর পূর্ববর্তী অবতার নর-নারায়ণের সঙ্গে তাদের একত্ব বোঝাতে। শক্তিসাধকরা নারায়ণকে আদ্যাশক্তি মহামায়ার পুরুষ-আকার রূপে আরাধনা করেন।

    হিন্দু ধর্মের বিষ্ণু, শিব ও শক্তি এই ত্রি-ঈশ্বর পূজাপদ্ধতির মধ্যেই কমবেশি ভক্তি উপাদান সন্নিহিত। তবে ভক্তিবাদ-উৎসারিত হয়েছে মূলত বিষ্ণু থেকে, প্রধানত বিষ্ণুর দুই পার্থিব অবতার রাম ও কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে। জনপ্রিয় দুই মহাকাব্য মহাভারত ও রামায়ণ এবং পুরাণ হিন্দু ধর্মে অসংখ্য মতবাদের সৃষ্টি করেছে। এর অন্যতম হল ভক্তিবাদ, যার কেন্দ্রবিন্দু রাম ও কৃষ্ণ। মনুষ্যরূপে এই দুই ভগবানকে ভালবাসা ও ভক্তির মাধ্যমে লাভ করাই ভগবৎ-ভক্তি বা ভক্তিবাদ। সপ্তম ও দশম খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দাক্ষিণাত্য থেকে ভক্তিবাদ আন্দোলন উত্তর ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। ভক্তিবাদকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় অসংখ্য চমৎকার সাহিত্য ও শিল্পকর্ম। এসব সাহিত্য ও শিল্পকর্মের প্রভাব পড়ে বিভিন্ন শ্রেণীর ধর্ম-চর্চায়। সাহিত্যে ভগবানের প্রতি বিমূর্ত ভক্তি-ভালবাসাকে মূর্তরূপ দেবার জন্য অনুরূপ বা সাদৃশ্যমূলক উপমা টানা হয়। যেমন, মনিবের প্রতি ভৃত্যের ভক্তি, বন্ধুর প্রতি বন্ধুর ভালবাসা, মা-বাবার প্রতি শিশুর ভালবাসা বা শিশুর প্রতি মা-বাবার ভালবাসা, প্রেমিক-প্রেমিকার ভালবাসা প্রভৃতি পার্থিব গুণ উন্নীত করে ভগবানের প্রতি ভক্তের অনুরূপ ভালবাসা চর্চা সম্পর্কে নানা মতবাদ গড়ে ওঠে। বাংলায় নরনারীর ভালবাসাকে অভিব্যক্তি করে ভক্তিবাদ প্রচার করেন চৈতন্য। বৈষ্ণববাদ প্রচারে চৈতন্য প্রেমিকের প্রতি প্রেমিকার প্রবল আবেগের অনুরূপ কৃষ্ণের প্রতি মানবের প্রেমভক্তি সঞ্চার করার চেষ্টা করেন। কৃষ্ণ-প্রেমে তন্ময় চৈতন্য কৃষ্ণলীলা সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত করেন নৃত্যকলা। হিন্দু ভক্তি মতবাদের সঙ্গে মুসলিম সুফি মতবাদের সমন্বয় ঘটাবার চেষ্টা করেন কবির। রাজনৈতিক কারণে ভক্তি ও সুফি উভয় মতবাদ সরকারের আনুকূল্য পায়। ফলে সুলতানি আমলে বাংলায় দুটি মতবাদ ভক্তিবাদ ও  সুফিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রীচৈতন্যদেব যে ভক্তিরসের, ভাবরসের আবাহন করেছিলেন এই বঙ্গে, আরাধ্য-সাধকের, ভক্তি-ভক্তের পার্থক্য মুছে দিয়েছিলেন তা আমরা ভুলে গিয়েছি। তাঁকে শুধু বৈষ্ণবধর্মের অবতার আখ্যায় ভূষিত করে রেখেছি। অথচ বাংলায় প্রথম ভক্তিবাদের প্রচার করেন শ্রীচৈতন্যদেব।

    সংস্কৃত ‘ভজ্’ ধাতু থেকে ভক্তি শব্দের ব্যুৎপত্তি। ভক্তির মূল কথা ঈশ্বরের প্রতি অশেষ অনুরাগ। বাউল কবি সেজন্য বলেন, ‘জ্ঞানের অগম্য তিনি প্রেমের ভিখারী।’ অপরদিকে ‘নিত্য তোমারে চিত্ত ভরিয়া স্মরণ করি’ সম্ভবত ভক্তির চরম কথা। হিন্দু ধর্মে ভক্ত কর্তৃক আপন দেবতাকে পুজা অর্চনার বদলে  বিনত-ভালবাসার মাধ্যমে দেবতার নিকট আত্মোৎসর্গই ভক্তি। ভগবৎ-ভক্তির মাধ্যমে মুক্তিলাভ মতবাদের প্রথম উদ্ভব দক্ষিণ ভারতে এবং এর মূল সুর অদ্বৈতবেদান্ত দর্শনের বিপরীত অর্থাৎ মুক্তি লাভের উপায় পূজা-অর্চনা নয়। এর উপায় আত্মোৎসর্গ ও ভগবৎ-ভক্তি। ভক্তিবাদমতে ভগবান ও ভক্তি অভিন্ন, ভক্ত ও ভগবান অভিন্ন সত্তা। ভক্তি-মার্গের অনুসারীরা মুক্তিলাভের অন্যান্য মার্গও স্বীকার করেন, যেমন জ্ঞান-মার্গ (জ্ঞানের মাধ্যমে মুক্তি), কর্ম-মার্গ (পুজা-অর্চনা ও ভাল কাজের মাধ্যমে মুক্তি) ও যোগসাধনার মাধ্যমে শরীরকে রিপুমুক্ত করার মাধ্যমে মুক্তি ইত্যাদি। ভক্তিবাদের অনুসারীরা মনে করেন সব মার্গের সেরা মার্গ ভক্তি-মার্গ। ভক্তিবাদে জাতি, শ্রেণি ও বর্ণভেদ নেই। সকল জাতি, শ্রেণি ও বর্ণ, সকল পুরুষ ও স্ত্রী ভক্তিবাদ মন্দিরে অবারিত।

    এই ভক্তিবাদেই সকল ধর্ম এসে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ঈশ্বরবাদী, নিরীশ্বরবাদী, হিন্দু-মুসলিম-শিখ-বৌদ্ধ-জৈন-খ্রিস্টান সবধর্মের অনুসারীরাই এক হয়ে যান। আরাধ্য ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু পথ এক, লক্ষ্য এক। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের কথায়, "যত মত, তত পথ"। সব পথেরই শেষে সেই মোক্ষ বা মোক্ষলাভ। আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন। মূল মন্ত্র আরাধ্যের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন, নিঃস্বার্থ ভক্তি। উদ্দ্যেশ্যে মোক্ষলাভ। বিভিন্ন কারণে পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে, মূল ধর্মের প্রতিপাদ্য থেকে সৃষ্ট ধর্ম অনেকটাই সরে গেছে নানা বিষয়ে, কিন্তু আরাধ্যের প্রতি ভক্তি রয়েই গেছে সব ধর্মে। আরাধ্য এবং সাধকের উৎকৃষ্ট উদাহরণ সব ধর্মেই রয়েছে শত শত। মন্ত্রে, গানে, কথায় - যে ভাবেই হোক আরাধ্যের প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মসমর্পণ প্রকাশ করি। এটাই ভক্তি। এইভাবেই আমরা "তাঁরে"-কে খুঁজে বেড়াই চিরজীবন ধরে, উদ্দেশ্য "মোক্ষলাভ", "মানব-জীবন" থেকে মুক্তি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন