এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আমার না-মানুষী সহবাসীরা --৪

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৭০৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৬ জন)

  • মাননীয় পাঠক, আপনি কি শহরতলির বাসিন্দা? আপনার বাড়িতে কি এক চিলতে জমি বা বাগান আছে? সেখানে আপনার যত্নে বা অযত্নে ডালপালা মেলে বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড় আর গাছগাছালিও নিশ্চয়ই আছে? তাহলে আপনি অশেষ ভাগ্যবান। ভাবছেন, কেন বলছি এমন কথা, তাইতো? এমনটা যদি সত্যি হয়, জানবেন আপনি জীববিজ্ঞানের এক আশ্চর্য প্রয়োগশালার কর্মমুখর পর্যবেক্ষক তথা গবেষক। একখণ্ড জমি, গুটিকয়েক গাছ, একটু ভালোবাসা আর প্রবল অনুসন্ধিৎসা থাকলে আপনি খুব সহজেই এক অকল্পনীয় প্রাণময় জগতের খোঁজ পেয়ে যাবেন। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবর্ধনের জন্য।

    এতো আলোচনা, এতো বিধিনিয়ম জারি করার হয়তো কোন প্রয়োজনই হয়না যদি আমরা সবাই আমাদের একান্ত প্রতিবেশ সম্পর্কে আরও একটু আন্তরিক হ‌ই। আমার বাড়ির লাগোয়া বাগানে প্রতিদিনের নানান কাজের ফাঁকে যে সব না-মানুষী সহবাসীদের আনন্দময় সঙ্গ, সাহচর্য লাভ করি নিয়মিতভাবে তাদের কথা তুলে ধরার জন্য‌ই এই ধারাবাহিক নিবন্ধ -- আমার না-মানুষী সহবাসীরা। আজ তার চতুর্থ কিস্তি।

    ** এই পর্যায়ের আগের তিন কিস্তি
    —-------------------------------------------
    ১. মিস্টার নকুলের সঙ্গে কিছুক্ষণ

    ২. রাত অতিথি গন্ধগোকুল

    ৩. আবর্জনার আঁজনাইরা

    *** গুরুচন্ডালির পাতায় পাতায় ছড়িয়ে থাকা আশ্চর্য না-মানুষী সহবাসীদের কথা। পড়ুন ও পড়ান।


    ( ১ )

    আমার শয়নকক্ষটি পুব খোলা, ফলে প্রতিদিনই তপনালোকের প্রথম পরশ আমার মুদিত নয়নযুগলকে উন্মিলিত করে। পাশ ফিরে শুলেও সমস্যা মেটেনা। খানিকটা সময় গড়িমসি করে উঠে পড়তে হয়। কাঁচের সার্সিগুলোকে আড়াল করে রাখা ভারি পর্দাগুলোকে টেনে সরিয়ে দিতে গিয়েই আমার এক অতি তৎপর সহবাসীর সঙ্গে সকালের প্রথম আলাপচারিতার পর্বটি সেরে ফেলি। ইনি শ্রীযুক্ত ঊর্ণনাভ মাকড়।

    ছয়ছোট্ট চেহারার এই সহবাসীটি তখন লাফিয়ে লাফিয়ে শিকার ধরতে ব্যস্ত। পর্দার কাপড়ের ওপর থেকে প্রায় তিন সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা লাফ দিয়ে দিয়ে তিনি তখন একেরপর এক উড়ন্ত মশককে ধরে ধরে নিকেশ করছেন। এক আশ্চর্য প্রাতরাশ পর্ব চলতে থাকে আমার বিস্মিত চোখের সামনে। ঘুম জড়ানো চোখে আমি নিবিষ্ট নয়নে এই দৃশ্যটা উপভোগ করতে থাকি। এমন ঘটনা একদিনের নয়, প্রায় প্রতিদিনের। এমন উল্লম্ফনের দৃশ্য আমাকে মনে মনে বেশ চাগিয়ে দেয়।ভেতরে ভেতরে অন্য এক অনুভবের ঢেউ খেলে যায়। আমি ঝটপট রাত শয্যা গুছিয়ে নিয়ে নিত্যদিনের কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

    মাকড়শার কথা বললেই মনে হয় ফিনফিনে লালারসের সুতোয় তৈরি জালের কথা। এমন নিখুঁত ভাবে তৈরি জাল আসলে মাকড়শার বাসস্থানের সাথে সাথে শিকার ধরার ফাঁদ। তবে সব জালের গড়ন পিটন কখনোই এক নয়। মাকড়শা সাধারণত পরিবেশ ও তার একান্ত প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে নানান ধরনের জাল বুনে থাকে। এই জাল প্রসঙ্গে আমার এক আঁখো দেখা অভিজ্ঞতার কথা এই অবসরে আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। বছর কয়েক আগের কথা। আমরা একটা ছোট্ট দল নিয়ে গিয়েছি গঙ্গাসাগর। না না, তীর্থ করতে মেলার সময় নয়। অন্য এক নিভৃত অবসরে। ইউথ হোটেলের ডর্মিটারিতে সারি দিয়ে সাজানো খাটে রাত শয়নের ব্যবস্থা। জেনারেটরের আলোয় (তখনও সাগরে ইলেকট্রিক আলো পৌঁছয়নি) একটু তাড়াতাড়ি রাত খাবারের পর্ব মিটিয়ে সবাই শুয়ে পড়েছি আটটা বাজতেই। পরেরদিন অনেক ব্যস্ততায় কাটাতে হবে। ক্লান্ত শরীর সকলকেই দ্রুত নিদ্ পুরীর আবাসিক করে তোলে।

    বিস্ময়ে অভিভূত হ‌ওয়া পরদিন ভোর বেলায়। আমাদের দলনেতা সাতসকালে ভোরসফরে বেরোতে গিয়ে লক্ষ করেন ঘরের এক কোণে কে যেন একটা সাদা কাপড় ঝুলিয়ে রেখেছে একেবারে ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত অনেকটা চোঙ বা ত্রিভূজের মতো করে। কাছে যেতেই অবশ্য ভুল ভাঙে। যাকে ঝোলানো কাপড় বলে ভেবেছিলেন সেটি আসলে মাকড়শার এক ঘন বুনটের জাল। আমরা সবাই মিলে ঐ আশ্চর্য জাল দেখে হতবাক!

    কীভাবে ঘরের ভেতরে এলো তারা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যখন আমরা জল্পনায় মশগুল, তখনই সবার নজরে পড়লো একটা শুকনো গাছের ডালের ওপর। ওটা দেখে আমাদের দলপতি বলে উঠলেন – আরে ! ঐ শুকনো ডালটাতো আমিই কালকে হাতে করে তুলে নিয়ে এসেছিলাম। ওটার গায়ে কতগুলো শুকনো ছত্রাক দেখেছিলাম। কোন্ ধরনের ছত্রাক তা জানার আগ্রহ থেকেই এমনটা করা। মাকড়শাগুলো নির্ঘাত ওটার ফাঁপা অংশের ভেতরে ঘাপটি মেরে ছিল। এখন সুযোগ বুঝে জাল বুনে আমাদের তাদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। এমন বিচিত্র সব জাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমার বাগানের বিভিন্ন জায়গাতেও।

    ( ২ )

    আমার বাগানের আনাচেকানাচে গাছ গাছড়ার আড়াল আবডাল জুড়ে কত বিচিত্র সংখ্যক মাকড়শা জাল বিছিয়ে ঘাপটি মেরে আছে তার হদিস আমার কাছে নেই। তবে তাদের কথা বলার আগে মাকড়শা ও পতঙ্গের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে সেই বিষয়ে কয়েকটি দরকারি কথা সেরে নিই। বাঙলায় আমরা খুব সচেতনভাবে দুটি শব্দবন্ধের প্রয়োগ করি,এই দুই শ্রেণির না- মানুষীদের মধ্যের ফারাকটা বোঝাতে। এই শব্দদুটো হলো পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ। আমাদের সবচেয়ে চেনা পতঙ্গ হলো প্রজাপতি। বৈজ্ঞানিকভাবে একটি পতঙ্গের দেহ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত – মাথা, বুক আর উদর। পতঙ্গরা ষটপদী অর্থাৎ এদের ছটি করে পা থাকে যেগুলো দেহের মধ্যভাগ অর্থাৎ বুক থেকে জোড়ায় জোড়ায় বিস্তৃত।বলা বাহুল্য প্রতিটা পা কতগুলো খণ্ড অংশ বা টুকরো নিয়ে গঠিত। তাই এরা হলো সন্ধিপদ প্রাণি।

    অন্যদিকে মাকড়শার দেহ দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত – সেফালোথোরাক্স ও উদর। এক নজর দেখলে মনে হয় দেহের ওপরের অংশটা যেন চেপে বসে গিয়েছে উদর বা পেটের মধ্যে। আমরা যাকে বলি ঘাড়ে গর্দানে। পায়ের সংখ্যায় মাকড়শা ছাপিয়ে গেছে পতঙ্গদের। মাকড়শা হলো অষ্টপদী অর্থাৎ আটপেয়ে। এছাড়াও রয়েছে আরও কিছু বিজ্ঞানসম্মত পার্থক্য। তবে সেইসব খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা খুব জরুরি নয় বলে, ইচ্ছেটাকে আপাতত বাতিল করছি ; কেননা আমার বাগানের না-মানুষী সহবাসীদের কথা আলোচনা করাটাই হলো আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।

    ( ৩ )

    না - মানুষী সহবাসী হিসেবে আমাদের ঘরের নানান পরিসরে এবং ঘর লাগোয়া বন- বাদাড়ের প্রায় সর্বত্রই মাকড়শাদের দেখা পাওয়া গেলেও এরা কিন্তু বহুদিন ধরে এই পৃথিবীর বুকে দাপাদাপি করে চলেছে। আ্যাম্বার বা বৃক্ষরস নির্যাসে আটকে পড়া মাকড়শা দেহ থেকে বা শিলীভূত জীবাশ্ম পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে আজ থেকে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে আদি মাকড়শা জাতীয় স্হলচর প্রাণিদের আবির্ভাব ঘটেছে। তাঁরা মনে করেন মাকড়শা হলো পৃথিবীর প্রথম একশো শতাংশ স্থলবাসী প্রাণি যারা তাদের পূর্বজ মোটা কোমর বিশিষ্ট আরাকনিড গোষ্ঠির প্রাণিদের থেকে বিবর্তিত হয়ে উদ্ভূত হয়েছে।

    জীববিজ্ঞানীদের অনুমান বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আরাকনিডের কোমর সরু হয়ে আসা ও উদরের শেষাংশে রেশম উৎপাদনকারী অঙ্গ স্পিনারেট এর উদ্ভব পূর্ববর্তীদের থেকে মাকড়শাকে আলাদা শ্রেণির প্রাণির স্বীকৃতি দেয়। বিবর্তনের পথ বেয়ে মাকড়শাদের স্বভাব চরিত্র‌ও বদলেছে অনেকটাই। পৃথিবীর আদিতম মাকড়শা কোনটি ? – তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য থাকলেও আ্যাটারকোপাস ফিমব্রিয়াঙ্গাস ই হলো সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো মাকড়শা। আজ থেকে ৩৮০ মিলিয়ন বছর আগেও এরা ধরিত্রীর বুকে বহাল তবিয়তে টিকে ছিল।

    আজ যখন আমার বাগানের কোনো নতুন মাকড়শার সাথে পরিচয় হয় তখন এই কথাগুলো আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে যায়। এতোদিন ধরে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর বুকে অথচ আমরা তাদের সম্পর্কে কতটুকু জানি !

    ( ৪ )

    সেদিন সকালে উঠে বাগানে পায়চারি করছি, হঠাৎ বাগানের দুই গোল করে ছেঁটে রাখা টগর গাছের মাঝখানের ফাঁকা জায়গাটার দিকে নজর পড়তেই দেখি বেশ বড়সড় চেহারার এক জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করছে এক মাকড়শা। ভালো করে নজর করতেই মালুম হলো, এতো আমার এতোদিনের দেখা চেনা চেহারার জাল নয় ! এর গড়ন যে আলাদা! জালের মধ্যমণি হয়ে যিনি অপেক্ষা করছেন তার চেহারাও যে বেশ রঙচঙে, বাহারী। নবীন উৎসাহে বাবাজীবন মাকড় সম্পর্কে তত্ত্বতলাশ শুরু করলাম। খোঁজ মিলল অচিরেই। ইনি হচ্ছেন আর্জিওপ আনসুজা, মাকড় মহলে যার সাধারণ পরিচিতি সিগনেচার স্পাইডার বা স্বাক্ষর মাকড়শা হিসেবে। কেন এমন নাম? বিছানো জালের দিকে তাকাতেই বেশ মালুম হলো। মনে হচ্ছে কেউ যেন আঁকাবাঁকা করে একটু মোটা রেশমি সুতোয় ঢেউ তুলে নিজের নাম স‌ই করে দিয়েছে। হাল আমলে বিজ্ঞানীরা এই স‌ইয়ের মর্মার্থ জানার জন্য বেজায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

    এই প্রজাতির মাকড়শাদের স্ত্রীরা পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই বড়সড় চেহারার হয়ে থাকে।জাল আগলে থাকা স্ত্রী মাকড়শা তৎপর হয়ে থাকে কখন পোকারা বিভ্রান্ত হয়ে জালে ধরা দেয়। এই সময় মাকড় গিন্নি জোড়া পাগুলোকে এক জায়গায় জড়ো করে রাখে যাতে শিকারেরা খানিকটা ভুল করে ফেলে, জালে এসে ধরা দেয়। মাঝে মাঝে আমিও একটু মজা করি। এক টুকরো পাতা বা কাগজ আলতো করে ছুড়ে দিই জালের ভেতরে। জালে মৃদু কম্পন হতেই তুড়ন্ত গতিতে এগিয়ে আসে মাকড়শা গিন্নি। ভালো করে পরখ করে নেয় প্রথমে। পাতা বা কাগজের টুকরোটাকে ঘিরে ঘুরে ফিরে চলে এই পর্যবেক্ষণের পর্ব। যখন মালুম হয় ঐটি বিজাতীয় তখনই ব্যস্ত হয়ে মুখে তুলে নিয়ে বাইরে ফেলে দেয় পাতা বা কাগজের টুকরোটাকে। জাল অপরিচ্ছন্ন রাখা চলবে না। স্বাক্ষরিত রেখাংশ গুলো ছাড়া জালের বাকিটা সহজে চোখে পড়েনা ফলে অন্যান্য পোকারা সহজেই ভুল করে ফেলে। রঙচঙে এই মাকড়শা সত্যিই দেখনদার।

    এবার আমাকেও কথার জাল গুটিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যতে হয়তো আবার আপনাদের সঙ্গে মাকড়শা নিয়ে কথা বলবো। এই স্বল্প পরিসরে সব কথা বলা সম্ভব নয়। শেষ করবো এক অনির্বচনীয় প্রভাতী অভিজ্ঞতার কথা বলে। আমার না-মানুষী সহচরদের কল্যাণে এখন অনেক আগেই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ি, কেননা আলো ফুটতে না ফুটতেই তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পাখপাখালি, কীটপতঙ্গ, সরীসৃপ, উভচর – সব মিলেমিশে এক আনন্দবাসরের আয়োজন। এই আসরে আমি এক বিমুগ্ধ দর্শক। আমার উপস্থিতির বিষয়টিকে উপেক্ষা করেই চলে তাদের বিচিত্র লীলাখেলা।

    যাইহোক, সেদিন‌ও বেশ সকালে উঠে বাগানে পায়চারি করছি। হঠাৎ দেখি বাগানের এক কোণে কে যেন হাজার মাণিকের এক জাল বিছিয়ে রেখেছে। এক অপরূপ সৌন্দর্যের উদ্ভাস !! ভোরের আলোআঁধারিতে জ্বলজ্বল করছে সেই মায়াজাল। যত দেখি ততই মন ভরে ওঠে অবর্ণনীয় মুগ্ধতায়। ভোরের শবনম ঊর্ণনাভ জালে বাঁধা পড়ে এমন অপরূপ সাজে সেজে উঠেছে। নিজেকে নতুন করে বাঁচিয়ে রাখতে প্রবল প্রেষণা অনুভব করি।

    এবার সত্যিই ইতি টানবো। তবে যাবার আগে আর একটা পুঁটলি আপনাদের দেখাই। শিকেয় ঝোলানো এই ঝুলন্ত বস্তুটি হলো মাকড়শার ডিম। এভাবেই রেশমি সুতোয় জড়িয়ে মূল জালের সঙ্গে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। মা মাকড়শা সতর্ক নজর রাখে এই মহার্ঘ্য সম্পদের ওপর।
    এইসব পুঁটলি সামলাতে সামলাতেই আমার‌ও অবসরকালীন দিনগুলো আনন্দেই কেটে যায়। এই অনুভব একান্ত‌ই আমার। আমার না-মানুষী সহবাসীদের ধন্যবাদ। তারাই যে আমাকে এই রূপসাগরে অবগাহনের সুযোগ করে দিয়েছে। এখন অরূপরতনের অনুসন্ধান করে চলার পর্ব।

    ***
    এই নিবন্ধে সংযোজিত ছবিগুলোর জন্য গুগল ফটোর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞ।
    **
    আপনাদের মতামত পেলে ভালো লাগবে। মনখুলে আপনাদের মনকথা জানান।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Poly Mukherjee | 2409:4060:93:ebcb:8c49:b194:e738:bbc9 | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৩২525679
  • অসাধারণ আলোচনা। এমন অনুভবের শরিক হয়ে খুব ভালো লাগছে। ছবির কি হলো ?
  • Amiya Kumar Panda | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৪২525684
  • আমার শৈশবের দিনগুলিতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন।
    কিন্তু সত্যিই, ছবি গুলি কোথায়! 
  • Sumanta | 223.191.35.31 | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:১৫525696
  • চৈতালি দত্ত | 2405:201:8000:b1a1:e8f0:6f0d:3d2c:5727 | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:২৬525700
  • সাতসকালেই লেখাটা পড়ে ফেললাম কেবল বিষয়ের প্রেরণায়। আগের তিনটি কিস্তির মতো এটিও সমান আকর্ষণীয়। ছোট লেখা কিন্তু অত্যন্ত তথ্যবহুল। সংগ্রহ করে রাখার মতো। ছবিগুলো থাকলে আরও ভালো লাগতো।
  • ritabrata gupta | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৮525701
  • মাকড়শা নিয়ে এতো অদ্ভুত সুন্দর লেখা আমি আগে কখনো পড়িনি। গোপালচন্দ্র  ভট্টাচার্য লিখতেন সম্পূর্ণ বিজ্ঞান মনোষ্ককতার সাথে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে এতো সহজবোধ্য ও প্রাঞ্জল লেখা আর কারো দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিনা। অদ্ভুত লেখা। কম বয়সী ও পরিণত বয়স্ক সবার জন্য। বড় তৃপ্ত হলাম পড়ে ! ধন্য সোমনাথবাবু। কলম চলতে থাকুক আপনার !
  • dc | 2401:4900:1cd0:4b61:ccef:d05c:f587:c69c | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২৮525702
  • ভালো লাগলো পড়তে। আর তাকিয়ে দেখলাম, আমার কম্পিউটার টেবিলের পাশেই যে জানলা, সেটার একপাশে একটা মাকড়শার জাল হাওয়ায় কাঁপছে আর সকালবেলার রোদ্দুরে চিকমিক করছে :-) তবে মাকড়শা দেখতে পেলাম না, সে ব্যাটা হয়তো ব্রেকফাস্ট করতে গেছে। 
  • মালবিকা মিত্র | 2402:3a80:1978:510b:8f45:25af:2edf:ba9f | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১১525719
  • রাতের শিশির ধরে গাছে মাকড়ের জাল
    যেমন জমিয়ে রাখে আশ্চর্য বিস্ময় সকাল.... 
    স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা প্রসঙ্গে রূপক এনেছিলেন কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র। আটকে গেছিলাম। অসাধারণ লেগেছিল সে লেখা। সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সরস কলমে বোনা জালে আজ আবার আটকে গেলাম। লেখা চলুক। ভালো থাকবেন। 
  • ছবি | 2601:c6:d200:2600:e14c:a6a8:85b5:66ea | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৬525730
  • সোমনাথবাবু, আপনি কি ডক থেকে কপি পেস্ট করলেন? তাহলে ছবি আসবে না। 
    সম্পাদনায় গিয়ে এই আইকনে ক্লিক/ ট্যাপ করে কম্পুতে সেভ করা ছবি আপলোড করতে পারেন - তাহলে চলে আসবে।
  • Somnath mukhopadhyay | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৩৮525731
  • পরামর্শের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। মোবাইল ফোনে তর্জনী চালিয়ে গোটা লেখাটা লেখা অনেক ধৈর্য্য আর শ্রমের ফসল। এই সব বিষয়ে একেবারেই অনভিজ্ঞ। যাইহোক একবার প্রয়াসী হয়ে দেখি।yes
  • | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ২১:১৫525735
  • এই সিরিজটা খুব ভালোলাগে। বলা হয় নি আগে।
  • চৈতালি দত্ত | 2409:4060:9e:4aa4:e731:4092:74bf:60f5 | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ২১:১৮525736
  • ছবির সঙ্গে তালমিলিয়ে পড়তে অসাধারণ লাগছে। সকালে যখন পড়লাম তখন কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো যদিও তখন লিখেছিলাম সংগ্রহ করে রাখার মতো লেখাটা। এখন যারা পড়বেন তাঁরা পুরোপুরি রস পাবেন।
  • dc | 2401:4900:1cd0:4b61:ccef:d05c:f587:c69c | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৭525740
  • বাঃ এখন ছবিগুলোও এসেছে। শিশির ভেজা জালের ছবিগুলো দারুন হয়েছে। 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:2b:fc73:8000:: | ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০১525776
  • অসাধারণ পর্যবেক্ষণ। ছবি সংগ্রহ করেছেন অনেকদিন ধরে। লাফিয়ে মশা খাওয়ার ব্যাপারটা জানা ছিল না। ধন্যবাদ। জানালার জালে রোদ পড়লে খুব সুন্দর লাগে।
  • তপন কুমার | 2405:201:8000:b1a1:64b7:68d7:1d7a:2fc0 | ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩১525798
  • গুরুর পাতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা। বিষয়ের বৈচিত্র্য ও বৈভব দুইই আকর্ষণীয়। লেখাটা পড়ে ছেলে বুড়ো সবাই আনন্দ পাবে। আরও আরও লেখা চাই লেখকের কাছ থেকে।
  • Poulami | 2405:201:8000:b1a1:64b7:68d7:1d7a:2fc0 | ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৪525831
  • ঘরের ঝুল ঝাড়ার সময় মাকড়শার কথা কখনও মনে হয়নি। এই লেখাটা পড়তে পড়তে কিছু অনুতাপ, কিছু অনুসন্ধানের ইচ্ছে জাগলো। ধন্যবাদ লেখককে।
  • অভ্রদীপ | 2405:204:303:d5a9:ec9d:37ae:709a:35af | ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ২১:১৪525840
  • অসাধারণ লাগলো। মাকড়সার জালের এই বৈচিত্র্য কোনোদিন সেভাবে খেয়ালই করিনি। বেশ কিছু জিনিস জানলাম। সবথেকে বড়ো কথা, এই বিষয়ে কৌতূহল বাড়লো।
  • Arko | 2405:201:8000:b1a1:64b7:68d7:1d7a:2fc0 | ১০ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩৭525898
  • কী বলবো ! Just fantastic.
  • soumya | ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২০526063
  • জাল নিয়ে এরকম লেখা! সত্যি ভাবলেই কেমন আশ্চর্য লাগে 
  • অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2405:201:8000:b1a1:cd31:fc37:70ce:f294 | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫১526219
  • অনেকদিন পর লেখকের লেখা পড়তে গিয়ে বিষয়ভাবনা  ও উপস্থাপনা শৈলীর অনন্যতার জালে অজান্তেই জড়িয়ে গেলাম।
  • অভিজিৎ চক্রবর্তী | 202.78.236.129 | ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৩526469
  • বাড়ির আনাচে কানাচে, চোখের সামনে কতো কি ঘটে, কিন্তু সেই সব অনেক কিছুই উপেক্ষা করি। তাদের মধ্যে অন্যতম হোলো মাকড়সা এবং তাদের জাল।
     
    অসাধারণ একটি লেখা। সোমনাথদা গল্পকারে বিষয়টিকে এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যে পুরো ব্যাপারটা বেশ আনন্দে পড়েছি, এবং সব কিছুই বেশ সহজেই বোধগম্য হয়েছে।
     
    এমনই লেখা আরও অনেক পড়তে চাই। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন