এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • ভারতীয় অর্থনীতি কোনদিকে এগোচ্ছে: রঘুরাম রাজনের বক্তব্য আদৌ সঠিক?

    Economist
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৭৭ বার পঠিত
  • জিডিপির বিচারে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম। হয়তো জার্মানি ও জাপানকে খুব শিগগিরই পেরিয়ে যাবে। কিন্তু ভারতের প্রেক্ষিতে জিডিপি আলোচনা করা হাস্যকর। ভারত আসলে একটা দেশ নয়, এখানে আপনি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্বের সবরকম জীবনধারা দেখতে পাবেন। নিচের ছবিটি দেখুন। লক্ষ্য করুন ভারতের অধিকাংশ জনতা সাব সাহারান আফ্রিকার সমতুল দারিদ্র্যে বাস করেন।
     
    রঘুরাম রাজন বেশ কয়েকবছর যাবৎ বলে আসছেন ভারতের ফোকাস হওয়া উচিত সার্ভিস ইকোনমি। এর পিছনে যুক্তি হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন একটি আইফোনের এক-তৃতীয়াংশ ভ্যালু আসে ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশ আসে সার্ভিস থেকে। যেকারণে উন্নত দেশগুলির অর্থনীতি সার্ভিস-বেসড। তিনি টেলিমেডিসিনের কথা বলেছেন যা নিকট ভবিষ্যতে বড়সড় ইন্ডাস্ট্রি হতে চলেছে। তিনি বলছেন আমাদের দেশে প্রতি বছর যত ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বেরোয়, এদের উপযুক্ত কাজ দিতে গেলে আমাদের দরকার সার্ভিস ইকোনোমি। এইখানে পাঠকের অভিজিৎ ব্যানার্জির বক্তব্য মনে পড়া উচিত। ডক্টর ব্যানার্জি দেখিয়েছেন, ভারতের বছর পঁচিশের তরুণ-তরুণী বেশিরভাগ যারা বেকার, তিরিশের কোঠায় তারা সকলেই কিছু না কিছু কাজ করছে। অর্থাৎ ডিগ্রি পাওয়ার পর এরা যোগ্যতা অনুসারে কাজ খুঁজছে, কিন্তু ভাল চাকরি না পেলে হাতের নাগালে যা পাচ্ছে তাই নিয়ে নিচ্ছে। ফলে তরুণ জনসংখ্যার ফায়দা ভারত মোটেই তুলতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে রঘুরাম সঠিক পথনির্দেশ করেছেন।
     
    কিন্তু সার্ভিস ইকোনমির কথা ভাবলে প্রথমেই আমাদের তাকাতে হবে শিক্ষার দিকে। ভারতে নেহরুর আমল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। আইআইটি ও ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটগুলো তৈরী হয়েছে। উল্টোদিকে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায় একটা বড়সড় ফাঁক থেকে গেছে। আমাদের প্রতিবেশী চীন কিন্তু প্রথম থেকেই জোর দিয়েছে নিচুস্তরের শিক্ষায়। তারা আজকে এর সুফল পাচ্ছে। আমরা তা করিনি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা মান্ধ্যাতা আমলের। আমাদের পাশ করে বেরোনো ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের অধিকাংশটাই আনএমপ্লয়েবল। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সার্ভিস ইকোনমির বাসটি ধরার স্বপ্ন দেখা বাতুলতা মাত্র। যতদিনে তা আমাদের কাছে এসে পৌঁছবে, আমরা ততদিনে ফৌত হয়ে যাব।
     
    এই কথার অর্থ এমন নয় যে আমরা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে গেলেই ভাল হয়। এটা ঠিক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে অনেক লো-স্কিল জব আছে। কিন্তু ভারতে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের অবস্থা করুণ। চীন অলরেডি প্রথম বিশ্বের ছুঁড়ে দেওয়া ম্যানুফ্যাকচারিং জব দখল করে ফেলেছে এবং তাদের চাহিদা মেটাচ্ছে। একটা পুঁচকে দেশ তাইওয়ান গোটা সেমিকন্ডাক্টার প্রোডাকশন ধরে রেখেছে। আমরা পারিনি। আমরা আর পারব না। ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের বাস মিস হয়ে গিয়েছে।
     
    অনেকে ভাবেন চীনের মতো অথরেটরিয়ান সরকার পেলে ভারতের উপকার হত। ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার এটা একটা কারণ। মনে করে দেখুন মোদির ক্যাম্পেন ছিল ডেভলপমেন্ট এন্টি-করাপশন ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া নির্ভর। অবশেষে আমরা পেয়েছি গোমূত্র সরকার। এটাই আমাদের ভবিতব্য। আমরা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে লো-স্কিল জবগুলোয় আটকে থাকব এবং সার্ভিসে গুগল ও এমাজনের টেক সাপোর্ট চালাব। আমাদের তরুণ জনসংখ্যা জাত ও ধর্মের রাজনীতি নিয়ে তর্ক করতে করতে বুড়ো হয়ে যাবে।
     
    গোল্ডম্যান স্যাক্স একটি রিপোর্টে প্রেডিক্ট করেছে ২০৭৫ সালে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোনোমি হবে। ভারতের জিডিপি দাঁড়াবে পঞ্চাশ ট্রিলিয়নের। আমাদের উচ্চাকাঙ্খী মধ্যবিত্ত এধরনের অবান্তর ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লসিত হয়ে থাকেন। তাঁদের বলব পশ্চিমের ঝোলানো মুলোর দিকে না তাকিয়ে নিজেদের দেশের দিকে তাকান। ক্লাইমেট চেঞ্জের কথা ভাবুন আর ভাবুন এক বিলিয়নের ওপর লোকের অসম্ভব দারিদ্র্যের কথা। নাইপল সায়েবের India: An Area of Darkness বইটি মনে পড়বে।
     
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • guru | 103.135.229.70 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৩740879
  • অনেক ধন্যবাদ।
     
    "এই কথার অর্থ এমন নয় যে আমরা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে গেলেই ভাল হয়। এটা ঠিক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে অনেক লো-স্কিল জব আছে। কিন্তু ভারতে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের অবস্থা করুণ। চীন অলরেডি প্রথম বিশ্বের ছুঁড়ে দেওয়া ম্যানুফ্যাকচারিং জব দখল করে ফেলেছে এবং তাদের চাহিদা মেটাচ্ছে। একটা পুঁচকে দেশ তাইওয়ান গোটা সেমিকন্ডাক্টার প্রোডাকশন ধরে রেখেছে। আমরা পারিনি। আমরা আর পারব না। ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের বাস মিস হয়ে গিয়েছে।"
     
    এতটা নিরাশাবাদী কেন দাদা ? চীন আম্রিকা এখন যে কোল্ড ওয়ার চলবে তাতে অনেক কোম্পানি তার সাপ্লাই চেন গুটিয়ে চীন থেকে এখানে আসবেনা কি ? 
     
    "আমরা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে লো-স্কিল জবগুলোয় আটকে থাকব এবং সার্ভিসে গুগল ও এমাজনের টেক সাপোর্ট চালাব। আমাদের তরুণ জনসংখ্যা জাত ও ধর্মের রাজনীতি নিয়ে তর্ক করতে করতে বুড়ো হয়ে যাবে।"
     
    কি বলতে চাইছেন দাদা? রাহুল গান্ধীকে আবার গদিতে বসালে সব ঠিক হয়ে যাবে?
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪০740880
  • একটা ভালো আলোচনার বিষয় উসকে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
     
    কিছু কিছু বিষয়ে যা মনে হয়, ভাগ করে নিই। 

    এটা guru একদম ঠিক বলেছেন যে, চায়না থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প সরে আসছে। কিন্তু সেই শিল্প লুফে নেওয়ার জন্য ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স সবাই সারি দিয়ে বসে আছে। আবার কিছু কিছু ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প রোবটিক্সের সাহায্যে উন্নত বিশ্বেই ফিরে যাচ্ছে, যেখানে শ্রমিক প্রায় লাগছেই না আর পরিবেশ দূষণও কম। এবার প্রশ্ন হলো পরিবেশ দূষণ যেসব ক্ষেত্রে বেশি সেইসব উৎপাদন শিল্পও কি ভারতে টেনে খুব বেশি কিছু লাভ হবে ? চীন তো এতদিন নিজের দেশ কে কম দূষিত করেনি। আজ চীন জিডিপি তে খুব এগিয়েছে ঠিকই কিন্তু মাথা পিছু গড় আয়ে খুব উন্নতি হয়েছে কি। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে পয়সা এসেছে, বিশাল সংখ্যক গরিব এখনো আঁধারে। কাজের প্রেশার এতই বেশি 996 সিস্টেমের ফলে যা যুব সমাজকে বার্ন আউট করে দিচ্ছে। আর পরিবেশের যা অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে সে আর নতুন করে বলার নেই।
     
    দ্বিতীয়ত, আমরা যদি সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের দিকে আলোচনায় আসি তাহলে দেখব তাইওয়ান কে ছোট্ট দেশ বলার কোনো কারণ নেই, কারণ সে অনেক দিন ধরেই গ্লোবাল লিডার এই ইন্ডাস্ট্রির। আমেরিকাও এই শিল্পে এদের সাথে পেরে ওঠে না কারণ এই কারখানা বানাতে বিপুল খরচ হয় আর প্রত্যেক জেনারেশনের চিপ তৈরির জন্য ( 7nm, 6nm, 5nm, 4nm, 3nm) লাফিয়ে বাড়ে উৎপাদন খরচ ও কারখানা তৈরির খরচ। আজ যদি কেউ কারখানা তৈরি শুরু করে লেটেস্ট মডেলের চিপ বানানোর জন্য , সেটা শেষ হতে হতে ততদিনে তাইওয়ানের TSMC পরের জেনারেশনের চিপ বানানো শুরু করে দেবে বা কারখানা সেটআপ করে ফেলবে। আমেরিকা tsmc কেই নিজের দেশে এসে কারখানা বানাতে বলছে কারণ সেমিকন্ডাক্টর এতই জরুরি জিনিস যে চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলেও এর যোগান অব্যাহত রাখা দরকার। তেমন জারমানিও চিপ ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের দেশে ডাকছে। এইসব কারখানা মূলত 5 থেকে 3 nm চিপের ওপর কাজ করবে। তার থেকে নতুন চিপ তাইওয়ানেই তৈরি হবে।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০০740881
  • এইসব 6,5,4,3 nm চিপ গুলোই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন ল্যাপটপ, ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন, আইপ্যাড জাতীয় ট্যাবলেট এইসবের জন্য জরুরি। 
     
    ভারত যেসব চিপ বানাবে বলে ঠিক করেছে সেগুলো 40 nm , 65 nm ও 28 nm সাইজের চিপ। এগুলো অনেক অনেক পুরোনো প্রযুক্তির চিপ। বিভিন্ন iot যন্ত্রপাতি ও ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু এইসব চিপ আরো ভালো ভাবে ও 28 nm এর নিচের চিপ ইতিমধ্যেই জাপান ও চিন প্রচুর পরিমাণে বানায়। চিপ এমনই জিনিস কারখানায় যদি 90% এর ওপর উৎপাদন না হয় তাহলে চিপের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। তাই প্রচুর অর্ডার পাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ ভারতের পক্ষে চীন ও জাপানকে টপকে। তাই কম দামও হচ্ছে না আবার পুরোনো প্রযুক্তি তাই কম্পানিরা নিতে চাইবে না।
     
    যেসব জিনিসের ভারতে ভালো ডিমান্ড রয়েছে যেমন ইলেকট্রিক স্কুটার, স্মার্ট ওয়াচ, ব্লুটুথ হেডফোন ভারত সেই সবের উৎপাদনেও মন দিচ্ছে না বরং চীন থেকে আমদানি করছে ভারতীয় ব্রান্ডের ছাপ্পা লাগিয়ে। কিছু কিছু কোম্পানি ইদানিং ইলেকট্রিক স্কুটার ভারতেই বানানো শুরু করছে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তবুও 90% এর বেশি বাইরে থেকেই আসছে। এই কারণেই লাভা, মাইক্রোম্যাক্স এইসব ভারতীয় স্মার্ট ফোন কম্পানীকে শাওমি, অপ্পো এরা এসে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিতে পেরেছিল। কারণ এর চীনের জিনিসই নিজের নামে বেচছিল। নিজের কোনো রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ছিলনা, শুধুই ছিল মার্কেটিং। উল্টো দিকে চীন ক্রমাগত গবেষণা চালিয়ে নিজের পণ্যকে উন্নততর করেছে। তাই চিপও আজ চীন ভারতের থেকে অনেক অনেক ভালো বানায় 5nm চিপও আজ সে বানাতে সক্ষম। এর বেশি বানাতে পারছেনা কারণ হলো আমেরিকার চাপানো বিধি নিষেধ।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০৫740882
  • ভারতকে জি ডি পি গ্রোথ বাড়ানোর দিক থেকে সরে সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট এর দিকে তাকাতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা আসে। ইন্ডিয়া 1 কে ছেড়ে ইন্ডিয়া 2 ও বিশেষ করে ইন্ডিয়া 3 যাতে ভালো ভাবে বেঁচে বর্তে থাকে, শিক্ষা স্বাস্থ্য জল ইন্টারনেট বিদ্যুৎ এই পরিষেবা গুলো যাতে ঠিক মতো পায় সেই দিকে তাকাতে হবে আগে। মধ্যবিত্তকে বীমা ও বাজারের হাতে ছেড়ে না দিয়ে সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:1786:4d43:9fad:98b5 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:১০740883
  • কিন্তু জিডিপি না বাড়লে সোশ্যাল সেফটি নেট বানানোর টাকা আসবে কোদ্দিয়ে?
  • Economist | 185.213.21.111 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৪740884
  • পপুলিস্ট রাজনীতি দিয়ে সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট জাস্ট হয় না। আর ভারতের জিডিপি গ্রোথ জনসংখ্যার জন্য। যে কারণে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন না হলেও ভারতের ইকোনমির সাইজ বেড়েছে।
     
    ভারত কোনদিনই চীন হতে পারবে না, ভারতের ভবিষ্যৎ মোটামুটি ব্রাজিলের মত মিডল ইনকাম দেশের মত হতে চলেছে।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৭740885
  • যা জি ডি পি আছে সেটাই যথেষ্ট। অতি ধনীর ওপর সঠিক কর বসাতে হবে আর টাকা সঠিক খাতে পরিকল্পনা মাফিক ব্যবহার করতে হবে।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৮740886
  • Economist ঠিকই বলেছেন, পপুলিস্ট রাজনীতি থেকে আগে সরে আসতে হবে।
  • lcm | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০৭740887
  • ব্রেজিলের সঙ্গে তুলনা করলে... ভারতের জনসংখ্যা ব্রেজিলের প্রায় ৬.৫ গুন... জিডিপি প্রায় ডাবল... পার ক্যাপিটা ইনকাম এক তৃতীয়াংশ ...কয়েকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার... জনসংখ্যায় সাড়ে ছয় গুণ বেশি এবং জিডিপি প্রায় ডবল হলেও...

    - স্বাস্থ্যখাতে ভারতের সরকারি খরচ ব্রেজিলের তিন ভাগের কম (জনসংখ্যা ৬.৫ গুন বেশি হওয়া সত্ত্বেও)
    - শিক্ষাখাতে ভারতের সরকারি খরচ মোটামুটি ব্রেজিলের সমান (জনসংখ্যা ৬.৫ গুন বেশি হওয়া সত্ত্বেও)
    - ডিফেন্সে ভারতের সরকারি ব্যয় ব্রেজিলের থেকে ৪ গুন বেশি
  • Economist | 151.11.52.171 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৯740888
  • আরও একটা ব্যাপার হল ভারতের ফিস্কাল ফেডারালিজমে ত্রুটি। বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাক্স বেশিরভাগটাই চলে যায় কেন্দ্রের হাতে। এর ফলে গোটা সিস্টেমে ইনেফিশিয়েন্সি তৈরী হয়। যেমন ধরুন সাউথের রাজ্যগুলো প্রতি টাকা ট্যাক্স পিছু ৩০-৪০ পয়সা ফেরত পায়। অন্যদিকে বিহার প্রতি টাকা ট্যাক্স পিছু কেন্দ্র থেকে সাত-আট টাকা ফেরত পায়। এটা মূলত বিহার অনুন্নত এলাকা বলে হয়। কিন্তু ওই সাত-আট টাকা বিহারে করাপশন খেয়ে যায়। ফলে ডেভেলপমেন্ট শ্লথ গতিতে ঘটছে।
     
    এইখানে একটা প্রশ্ন হচ্ছে কেন্দ্রের হাতে টাকা না দিয়ে কেন্দ্রের মধ্যস্থতায় রাজ্যগুলি মিউচুয়াল ডেভেলপমেন্ট করতে পারে কিনা। ফেডারালিজম নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
  • guru | 103.135.229.70 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৪740889
  • @Economist 
     
    আপনি ফিস্কাল ফেডারালিজমে নিয়ে খুব প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখেছেন।| কিন্তু কেন্দ্র আপনি যেটা চাইছেন মানবে কেন? তামিলনাড়ু কেরল বাংলা পাঞ্জাব ওড়িশা আপনি যা চাইছেন হয়তো মেনে নেবে, কিন্তু কাউবেল্টের রাজ্যগুলো কি মানবে? ৭৬ বছর ধরে যা চলছে কেন কেন্দ্র ছেড়ে দেবে? কেন্দ্র সবসময়ে প্রতিরক্ষা খাত দেখিয়ে বেশি করে রাজ্যের ভাগ নিতে চাইবে যেমনটা এতগুলো দশক ধরে হয়ে চলছে ।
     
    তাহলে তামিল নাড়ু কেরল বাংলা পাঞ্জাব ওড়িশা এসব রাজ্যগুলোর উপায় কি ? 
     
    @লসাগুদা 
     
    "ডিফেন্সে ভারতের সরকারি ব্যয় ব্রেজিলের থেকে ৪ গুন বেশি"
     
    কেন্দ্র বলবে ব্রাজিলের প্রতিবেশী আর্জেন্টিনা আর ভারতের প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তান।
  • xor | 182.69.177.101 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৭740890
  • ভারতের মত নগদ নির্ভর অর্থনীতিতে সঠিক জিডিপি ক্যালকুলেট করা মুশকিল। পাঞ্জাব হরিয়ানা কর্নাটকে অনেক কোটিপতি কৃষক আছে যারা এক টাকাও ইনকাম ট্যাক্স দেয় না কারণ সরকারের খাতায় তাদের আয়ের কোনো হিসেব নেই। এদের জি ডি পি কিভাবে মাপা হবে?
  • তথ্য | 2402:3a80:1cd0:8232:178:5634:1232:5476 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৫740892
  • @Economist , সাউথের রাজ্য গুলো ট্যাক্স এর ৩০ -৪০ শতাংশ  ফেরত  পায়  আর  বিহার  বা অনুন্নত  রাজ্য  গুলো ৭-৮  শতাংশ  ফেরত  পায় ;এর লিঙ্ক দিতে পারেন ?
    পব  কতটুকু  রাজস্ব  দেয় আর  কতো  ফেরত  পায় তার  ডেটা  দিলেও  ভালো হয় । ধন্যবাদ ।
  • Economist | 185.213.21.111 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৭740893
  • ৭-৮ শতাংশ নয়, ৭০০-৮০০ শতাংশ।
     
    এই ফিগারটা পেলুম।
     
    আর এই আলোচনাটা দেখুন।
  • Economist | 91.193.5.182 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৪740894
  • ফিস্কাল ইয়ার ২০২২-২৩
  • xor | 182.69.177.101 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১১740896
  • এখানে বিশদে আছে -
     
  • guru | 115.187.51.211 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:০০740898
  • @Economist
                         যা বুঝতে পারছি সেটা হচ্ছে যে তামিল নাড়ু মহারাষ্ট্র এসব রাজ্যগুলো ট্যাক্স দিচ্ছে বেশি করে করে আর বিহার ইউপি ভোগ করছে | ঠিক বললাম কি ?
                         
  • guru | 2409:4060:291:f58e:1df5:c6cd:709b:1659 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৪740899
  • ? | 2405:8100:8000:5ca1::1e0:acc0 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৭740900
  • Breaking India 2.0 মানে Snakes in the Ganga বইটা?
  • π | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩০740902
  • এটর মানে কী?  ডাক্তারদের চাকরি নেই?  একটু বিশদে বলবেন? 
     
    'আমাদের দেশে প্রতি বছর যত ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বেরোয়, এদের উপযুক্ত কাজ দিতে গেলে আমাদের দরকার সার্ভিস ইকোনোমি। '
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন