এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মধুর ফাঁদ

    Amlan Sarkar লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ আগস্ট ২০২৩ | ২২০ বার পঠিত
  • মধুর ফাঁদ
    অম্লান সরকার

    উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের এক সুপ্রাচীন গ্রাম মালানা। কুল্লু উপত্যকার উত্তর পূর্বে পার্বতী উপত্যকা। তার ঠিক পাশেই বাকি পৃথিবীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অবস্থিত এই মালানা উপত্যকা। এই উপত্যকার প্রাচীন অধিবাসীরা নিজস্ব এক সুপ্রাচীন ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে থাকে। একসময় ১৯৬১ সালের সেনশাসের হিসাবে এই প্রাচীন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫৬৩ তে নেমে গেছিলো। পরে সেটা বেড়ে ১৭০০ মত হয়েছে। 

    মালানা গ্রামের একেবারে নিজস্ব কিছু চরিত্র আছে। এদের জীবন যাত্রা প্রণালী, রীতিনীতি, সামাজিক গঠন খুব সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত। এই গ্রামের সমাজ ও শাসন ব্যবস্থাকে পৃথিবীর সব থেকে সুপ্রাচীন গণতন্ত্রের দর্জা দেওয়া হয়েছে। এই উপত্যকার অধিবাসীরা বিশ্বাস করে যে তারা মহান সম্রাট আলেক্সান্ডারের সৈন্যদের বংশধর যাদের আহত অবস্থায় সম্রাটের সেনা বাহিনী এই গ্রামে ছেড়ে চলে যায়। 

    এই মালানা গ্রাম আরো একটি কারণে পৃথিবীর নেশার দুনিয়ায় একটা বিশেষ জায়গা অধিকার করে আছে। এখানে পৃথিবীর সর্বোত্তম গুণমানের নিষিদ্ধ মাদক চরস পাওয়া যায়। চরস গাঁজারই একটি আরো বিশুদ্ধ উন্নত রূপ। ৭০ দশকের হিপ্পিরা থেকে শুরু করে পৃথিবীর পর্যটন মানচিত্রে নেশাখোর ও মাদক চোরাচালানকারী দের জন্য তাই এই গ্রাম একটি আকর্ষক গন্তব্যস্থল। 

    পর্যটন মানচিত্রে হিমাচল প্রদেশ ভারত তথা বিশ্বে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এই রাজ্যের রাজধানী সিমলা এক সময়কার ব্রিটিশ রাজত্বের শীতকালীন রাজধানী হিসাবে ব্রিটিশ আমল থেকেই সুপরিচিত। এছাড়াও আছে সুপ্রসিদ্ধ কুল্লু উপত্যকা। পীরপঞ্জাল পর্বতমালার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উৎপন্ন বিপাশা নদী অববাহিকা কর্তৃক সৃষ্ট এই কুল্লু উপত্যকার একদিকে রয়েছে আরো একটি আকর্ষক পর্যটন কেন্দ্র মানালী আর অন্য প্রান্ত শেষ হয়েছে লার্জিতে গিয়ে। পাইন ও দেওদার গাছ সমৃদ্ধ এই উপত্যকায় চোখের আরাম দায়ক সবুজের সমারোহ যুক্ত উঁচু উঁচু পাহাড়, বিস্তীর্ণ আপেলের অর্চার্ড ও প্রচুর সংখ্যক মন্দির পর্যটকদের প্রলুব্ধ করার জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও এই রাজ্যের উত্তর দিকে বিরাজমান পশ্চিম হিমালয়ান পর্বত মালায় ধৌলাধর পাহাড়ের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে নীচে বিপাশা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে আছে অত্যন্ত সুন্দর কাংড়া উপত্যকা। কাংড়া এই রাজ্যের একটি প্রমুখ জেলা। অসংখ্য ছোট, বড়, মাঝারি ঝর্ণা তথা জলধারার মধ্যে অবস্থিত এই উপত্যকা তার জলসম্পদের জন্য কৃষিকার্যেও স্বয়ংভর। কাংড়া উপত্যকায় ধরমশালা শহর ধৌলাধর পর্বতের পাদদেশে একটি উল্লেখযোগ্য শহর। 

    সৈকত তার নবলব্ধ লিভ ইন পার্টনার শীতল জৈনের সঙ্গে সিমলা, কুল্লু মানালী ঘুরতে এসেছে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। তার নতুন এই বান্ধবীর নাম শীতল হলেও শীতলতার কোন ছিটেফোঁটাও এই ভদ্রমহিলার মধ্যে নেই। বরঞ্চ সব কিছুর মধ্যেই সব সময় একটা উষ্ণ ও উগ্র মানসিকতা সৈকতকে এই বান্ধবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ব্যাপারে অনেকটাই তটস্থ করে রেখেছে। আবার জৈন ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও শীতলের মধ্যে জৈন জৈন কোন ব্যাপার নেই। পাঠকদের মনে থাকতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে তার স্বভাবসিদ্ধ ভুলভাল বকার প্রবণতায় জৈন ধর্ম কে যৌন ধর্ম বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই উক্তিটি শীতল জৈনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রযুক্ত। উগ্র, আগ্রাসী যৌন জীবন কাটানোর ব্যাপারে শীতল একেবারে বিশেষ ভাবে অভিজ্ঞ। রাতে বিছানায় দুবারের জায়গায় চার বার হলে তবে তার কিছুটা সন্তুষ্টি হয়। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারেও সে নিরামিষের থেকে আমিষ খেতেই বেশি পছন্দ করে থাকে। 

    সৈকতের সঙ্গে শীতলের পরিচয় একই অফিসের সহকর্মী রূপে। সৈকতের কাজ হিসাব রক্ষা বিভাগে। আর শীতল মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের একজন কর্মী। কাজেই সৈকতের মত একজন হিসাবের খাতায় দিনরাত মুখ গুঁজে পরে থাকা মানবের কিভাবে উন্নয়ন ঘটানো যেতে পারে সেটা শীতল বেশ ভাল করেই জানে। তাছাড়া শিকার হিসাবে সৈকত বেশ লোভনীয় টার্গেট। কারণ মাস গেলে তার পে পাকেটটাও বেশ মোটাসোটা। 

    সৈকত একজন কস্ট একাউন্টেন্ট। ওদের কোম্পানি বিশেষ ধরণের কিছু রাডার তথা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার্য কিছু অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করে থাকে। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এই সমস্ত যন্ত্রপাতি তৈরি করার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। সৈকতের কোম্পানি সেই সব টেন্ডার গুলোতে অংশগ্রহণ করে এবং প্রতি বছর বেশ কিছু টেন্ডার সাফল্যের সঙ্গে জয় করে নেয়। এই টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার পেছনে সৈকতের একটা বিরাট ভূমিকা আছে। কস্ট একাউন্টেন্ট হিসাবে এই সব টেন্ডারের financial bid গুলো নির্ণয় করার ভার সৈকতের ওপরেই ন্যস্ত থাকে। কাজেই সৈকতকে অনেক হিসাব করে বুঝেশুনে এই সব bid গুলো তৈরি করতে হয়, যাতে করে টেন্ডারে সাফল্য লাভ করলে চুক্তি অনুযায়ী জিনিষ গুলো তৈরি করে সরবরাহ করতে কোম্পানিকে কোন আর্থিক লোকসান সহ্য করতে না হয় আবার সেই সঙ্গে অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাদের কোম্পানির bid এর মাত্রা যেন সর্ব নিম্ন থাকে। এই ব্যবসায়ে প্রতিযোগীর সংখ্যা খুব বেশি না হলেও অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটা কোম্পানিই সুপ্রতিষ্ঠিত এবং ক্ষমতাশালী। 

    এই ব্যবসায় সাফল্য লাভের একটা গোপন মন্ত্র হলো প্রতিযোগী কোম্পানির financial bid গুলো কত টাকার সেটা নিজেদের bid জমা করার আগেই জেনে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। অংশগ্রহণকারী কোম্পানি গুলোর জন্য এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রতিটা কোম্পানিই ছল, বল, কৌশল সব রকম অস্ত্রই প্রয়োগ করতে প্রস্তুত থাকে এবং এই কাজের জন্য কোন অন্যায় কাজ করতেও তারা পেছপা হয় না। 

    এই রকম এই ব্যবসায়ে জড়িত অন্য একটা প্রতিযোগী কোম্পানি সৈকতের কোম্পানির financial bid এর পরিমাণ জানার জন্য  ইংরেজীতে যাকে বলে honey trap, তার ব্যবস্থা করেছে। শীতল জৈন এই প্রতিযোগী কোম্পানির একজন খোঁচর এবং তাকে ওই কোম্পানি সৈকতের কোম্পানিতে চাকরিতে ঢুকিয়েছে এক মাত্র এই উদ্দেশ্যেই। 

    টেন্ডারের আর্থিক বিড এর ব্যাপারটা পুরোটা চূড়ান্ত করার ভার সম্পূর্ণ রূপে সৈকতের ওপরেই দেওয়া আছে। কাজেই শীতলের বর্তমান টার্গেট হলো যেন তেন প্রকারেণ সৈকতের পেট থেকে ভারত সরকারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডারের আর্থিক বিডের পরিমাণটা বার করা। 

    শীতল নিজের উগ্র যৌবন ও ছলাকলা দিয়ে সৈকতকে প্রলুব্ধ করে ওর লিভ ইন পার্টনার তো হয়ে গেছে। দুজনে এক সঙ্গে থাকছেও। কিন্তু অফিসের কাজকর্মের ব্যাপারে সৈকতের পেট থেকে সে এখনও পর্যন্ত কিছুই বার করতে পারেনি। 

    খোঁজখবর নিয়ে শীতল সৈকতের নেশা করার বস্তুর প্রতি একটা দূর্বলতার সন্ধান পেয়েছে। ছাত্র জীবনে সৈকতের ছাত্রাবাসে থাকার সময়ে চরসের প্রতি একটা গভীর আকর্ষণ জন্মেছিল। তবে ছাত্র জীবন থেকে কর্ম জীবনে পদার্পণ করার পর এই সব ছোটখাটো দূর্বলতাকে সে ঝেড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। 

    শীতলের সূত্র তাকে জানালো যে হিমাচল প্রদেশের মালানা নামক এক গ্রামে বিশ্বের সব থেকে উৎকৃষ্ট মানের চরস পাওয়া যায়। এই চরস সেবনের একটা গুণ হলো যে নেশা হওয়া ছাড়াও চরস সেবন করার পর লোকের পেট থেকে নাকি সব গুপ্ত কথা বেরিয়ে আসে অনেকটা truth serum ইনজেকশন দিলে যে রকম হয় সে রকম। 

    সৈকতের পেট থেকে গুপ্ত তথ্য বার করার জন্য মরিয়া শীতল সৈকতকে নিয়ে পৌঁছে গেল কুল্লু শহরের একটি হোটেলে। সেখানে আবার প্রতিযোগী কোম্পানি দ্বারা নিয়োজিত দুজন গুন্ডাও মজুত। সৈকতের পেট থেকে একবার প্রয়োজনীয় তথ্যটি বার করা গেলে তারপর পৃথিবী থেকে সৈকতের অস্তিত্ব মুছে দিতেও তারা কণা মাত্র দ্বিধা বোধ করবে না। 

    মালানা গ্রাম থেকে শীতল তার ওই দুই সহকারীর সাহায্যে প্রয়োজনীয় মাত্রার চরস ও সংগ্রহ করে নিয়েছিল। এবার সেই চরস সৈকতের ওপর প্রয়োগ করা শুধু বাকি।
     
    কুল্লুর হোটেল বাসের দ্বিতীয় রাত্রে শীতল তার সমস্ত ছলাকলা ও যৌন আবেদন দিয়ে সৈকতকে চরস পান করানোর চেষ্টা করতে ব্যাপৃত হয়ে পড়লো। এই কাজে সফলতা পাওয়ার জন্য সে নিজেও সৈকতকে চরস পানে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসলো। সৈকতের আগে থেকেই চরস পানের প্রচুর অভিজ্ঞতা ছিল ছাত্রাবাসে থাকাকালীন। তাই অনেক দিন পরে হলেও চরস পান করার পর সামান্য ধুনকি হওয়া ছাড়া তার আর বিশেষ কিছু অসুবিধা হলো না। কিন্তু অনভিজ্ঞ শীতল ওই অত উৎকৃষ্ট মানের চরস পান করে সহ্য করতে পারলো না এবং রীতিমত বেসামাল হয়ে অল্পক্ষনের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লো। বেসামাল অবস্থায় শীতলের মুখ থেকে এমন কিছু কথা বেরিয়ে এলো যে সৈকতের একটু সন্দেহের উদ্রেক ঘটলো। অচিরেই সৈকত দেখতে পেলো শীতলের মোবাইলে "অব কেয়া হাল হ্যায়" লেখা একটা মেসেজ ঢুকতে। কৌতুহলী সৈকত সঙ্গে সঙ্গে শীতলের মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে whatsapp এবং শীতলের মেল পড়ে পুরো ঘটনাটা বুঝে গেল। 

    রাত তখনও বেশী হয়নি। নিদ্রিত শীতলকে ওই অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে সৈকত অবিলম্বে চুপচাপ নিজের সামান্য কিছু মালপত্র নিয়ে কুল্লু শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এসে সেখান থেকে সিমলা যাওয়ার জন্য একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে নিলো। ট্যাক্সিতে বসে যেতে যেতে সৈকত প্রথমেই নিজের বসকে ফোন করে সমস্ত ব্যাপারটা খোলসা করে জানিয়ে দিল এবং সেই রাতের জন্য সিমলা শহরের এক হোটেলে আশ্রয় নিলো। পরের দিন সকালের ফ্লাইট ধরে সৈকতের দিল্লী হয়ে কলকাতা পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিকেল হয়ে গেল। 

    এদিকে সৈকতের তৎপর বস তার নিজের চেনাজানা কাজে লাগিয়ে ওপর মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে কুল্লুর সেই হোটেলে হানা দেওয়ার ব্যবস্থা করে প্রথমে শীতলকে ও পরে তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করে। 

    এরপর থেকে সৈকত যাকে তাকে আর মেয়ে বন্ধু বা লিভ ইন পার্টনার বানানো বন্ধ করে দিল এবং বাড়িতে বাবা মাকে তার নিজের জন্য পাত্রী দেখা আরম্ভ করতে বলে দিল। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন