এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • যেতে হবে, এবং কেন যাব

    Atreyee Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৯১২ বার পঠিত
  • ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষাকাল। অথচ কলকাতা শহর জুড়ে যেন বসন্তের কৃষ্ণচূড়ার রং! রাস্তায় পা রাখলেই চোখে পড়ছে অসংখ্য লাল পতাকা। পোস্টার ব্যানার দেয়াল-লেখায় সেজে উঠছে শহর। এখানে ওখানে চোখে পড়ছে পথসভা। শুনলাম নানা জায়গায় ঘরোয়া বৈঠকও চলছে। এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) ৫ আগস্ট ডাক দিয়েছে ব্রিগেড সমাবেশের। এই দিন এসইউসিআই(সি)-র প্রতিষ্ঠাতা মার্কসবাদী দার্শনিক শিবদাস ঘোষের জন্মশতবর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই আয়োজন করেছে তারা।

    দুনিয়া জুড়ে বামপন্থীদের মধ্যে যখন হতাশা, তখন এই কলকাতায় একটা বামপন্থী দল একা ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে দেখে যেমন বিস্মিত হচ্ছি,আবার ভালোও লাগছে। কিন্তু ব্রিগেড নিয়ে এখনও কি মানুষের উৎসাহ আছে? একদিন পাকড়াও করলাম এসইউসিআই(সি)-র এক কর্মীকে। জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, লোকে ব্রিগেডে যাবে কেন বল তো?এর আগে ব্রিগেড সমাবেশ তো কম হয়নি বড় বড় সব দলের ডাকে! মানুষ কী শুনেছে,  কী দেখেছে? দেখেছে দেদার টাকা খরচ করে উৎসবের মতো সমাবেশ থেকে নেতা-নেত্রীদের আত্মগর্বী হুঙ্কার। কখনও বা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে আস্ফালন কিংবা ভোটে জিতে মানুষের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার ঢালাও ফাঁপা প্রতিশ্রুতি। ঘরে ফিরতে ফিরতে সে সব কথা ভুলেও গেছে মানুষ। পরদিন থেকে আবার জীবনযুদ্ধে ঘাম ঝরাতে ঝরাতে ভেবেছে, এ দেশে কিচ্ছু হওয়ার নয়। তা হলে ৫ আগস্ট কেন আবার ব্রিগেড সমাবেশ করছো তোমরা? মানুষ কি সেখানে যাবে? কেন যাবে?

    উত্তরে তরুণী কর্মীটি একটু হাসলেন। বললেন, অবশ্যই যাবে। এমনকি আপনিও যাবেন। যেতে আপনাকে হবেই। কারণ এই সমাবেশের ডাক তো দিয়েছে এসইউসিআই(সি)! আর আপনি জানেন, একমাত্র এই দলটাই দেশের কোটি কোটি খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে তাদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলো নিয়ে একের পর এক আন্দোলন করছে। পুলিশের হামলা মোকাবিলা করে রক্ত ঝরাচ্ছে। দাবি আদায় করছে। আবার অনেক সময় হয়তো পারছে না, কিন্তু তাই বলে হতাশ হয়ে বসে থাকছে না।

    তরুণী বললেন, আপনি তো জানেন, যে সব দলের নাম আপনি করলেন, এসইউসিআই(সি) তাদের মতো ভোটসর্বস্ব রাজনীতির স্রোতে ভাসা দল নয়। সংগ্রামী বামপন্থার পতাকা উঁচু করে ধরে এই দলটা হেঁটে চলেছে গণআন্দোলনের পথে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে, আপনাদেরই কাছ থেকে আন্দোলনের যাবতীয় খরচ হাত পেতে সংগ্রহ করে। এ দলটাই তো আপনার- আমার মতো দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ খেটে-খাওয়া শোষিত নির্যাতিত মানুষের নিজের দল। তাই ৫ আগস্ট অবশ্যই সমাবেশে যাবে মানুষ, আপনিও যাবেন। --- থামল মেয়েটি। আত্মবিশ্বাসের উজ্জ্বলতা তার চোখেমুখে।

    শুনে ভাবলাম, আমি তো যাবই। একা একটা বামপন্থী দলের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ কতখানি সফল হল, একজন বামপন্থী মানুষ হিসেবে তা দেখার আগ্রহ তো আমার থাকবেই।

    কিন্তু আরও কিছু জানার রয়েছে আমার। তাই বললাম, শুনছি ২৪ টা রাজ্য থেকে গোটা ট্রেন ভাড়া করে কিংবা কামরা রিজার্ভ করে, শয়ে শয়ে বাস ভাড়া করে প্রচুর মানুষ ব্রিগেডে আসবেন ওই দিন। দলটা তার মানে যথেষ্ট বড় হয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও তার সংগঠনের যথেষ্ট বিস্তার হয়েছে নিশ্চয়ই। কিন্তু আজকের দিনে শাসক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটাই তো দেখছি ভোট রাজনীতির আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। ভোটসর্বস্বতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সরকারি ক্ষমতার একটু ভাগ পেতে, একটা দুটো এমএলএ কিংবা এমপি সিটের লোভে সমস্ত নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে যে কোনও রঙের জোটে গিয়ে জুটতে, এমনকি বামপন্থী দল বলে নিজেদের পরিচয় দেয় যারা, তাদেরও বিন্দুমাত্র লজ্জা হচ্ছে না! এই জায়গায় এসইউসিআই(সি) কোথা থেকে পাচ্ছে ক্ষমতার বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াবার জোর? কোথা থেকে সে পাচ্ছে সমস্ত সুবিধাবাদকে পরাস্ত করার শক্তি? একজনও এমএলএ-এমপি না থাকা সত্ত্বেও কিসের জোরে সে মানুষের শিক্ষার দাবি নিয়ে, স্বাস্থ্যের দাবি নিয়ে কিংবা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনস্বার্থবিরোধী অন্যায় নীতি ও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একের পর এক গণআন্দোলন গড়ে তুলছে?

    কর্মীটি উত্তর দিলেন, এসইউসিআই(সি)-র এই শক্তির উৎস এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মার্কসবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষের শিক্ষা। মার্কসবাদী বিজ্ঞানকে এদেশের উপযোগী করে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। দলের কর্মী তরুণীটি বলে চলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের আপসহীন ধারার সৈনিক ছিলেন শিবদাস ঘোষ। মার্কসবাদী বিজ্ঞানের সঠিক উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে তিনি বুঝেছিলেন, ব্রিটিশের হাত থেকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেলেও ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা শাসক পুঁজিপতি শ্রেণির হাতে চলে যাওয়ায় এদেশের সাধারণ মানুষের শোষণমুক্তি ঘটেনি। সত্যিকারের স্বাধীনতা তাদের জন্য আসেনি। তিনি বুঝেছিলেন, শোষণমূলক এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে হাজার বার সরকার পাল্টালেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ রেহাই পাবে না বেকারি-গরিবির জ্বালা থেকে। শ্রেণিবিভক্ত এই সমাজে জনজীবনের দুর্দশা দূর করতে চাইলে বিপ্লবের আঘাতে উচ্ছেদ করতে হবে কায়েমি এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থাটাকে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে যথার্থই জনগণের শাসন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা। কিন্তু সেই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে যে দল, দেশে সেই কমিউনিস্ট পার্টি কোথায়!

    মার্কসবাদ-এর শিক্ষার আলোয় কমরেড শিবদাস ঘোষ বুঝেছিলেন, কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী যে দলগুলি ভারতে রয়েছে, তারা কেউই যথার্থ মার্কসবাদী নয়। বিপ্লবের শক্তি তারা নয়। তারা হল আদতে শ্রম ও পুঁজির মধ্যে আপসকামী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক শক্তি। শাসক পুঁজিপতি শ্রেণির রাজনৈতিক ম্যানেজার হিসেবে সরকারে বসে এরাও অন্য দলগুলোর মতোই খেটে-খাওয়া মানুষকে আরও নিংড়ে নেওয়ার ব্যবস্থাই করে যাবে।

    এ কথা বুঝে ভারতে একটা সত্যিকারের মার্কসবাদী পার্টি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন কমরেড ঘোষ। প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে অল্প কয়েকজন সহযোদ্ধাকে নিয়ে কঠোর সংগ্রাম করে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন তিনি। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ অন্য জাতের একটি দল গড়ে তুলেছিলেন। সেই দলটি হল ভারতের বুকে একমাত্র যথার্থ সাম্যবাদী দল এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)।

    কর্মীটি বলে চলেন, কমরেড ঘোষের কথার সত্যতা প্রমাণ করে আজও দেখুন দেশের কোটি কোটি মানুষ দু'বেলা পেট ভরে খেতে পায় না। বেকারি আজ ঘরে ঘরে। শিক্ষা নেই, চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। কোনও রকমে রাস্তায় ঝুপড়ি বানিয়ে মাথা গুঁজে রয়েছে কত অসংখ্য মানুষ। অথচ এরা সবাই একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক!

    কর্মীটি বললেন, শুধু কি তাই? আর্থিকভাবে যারা একটু ভালোও আছেন তাদেরও ঘরগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন একবার। কোথাও শান্তি নেই। বিশ্বাস নেই। সমমর্মিতা নেই। একের প্রতি অপরের ভালোবাসা নেই। কেউ যেন কাউকে আজ বোঝে না। সমাজ জুড়ে যেন বয়ে চলেছে স্বার্থপরতা আর আত্মকেন্দ্রিকতার স্রোত। কেন এমন হচ্ছে? আসলে যে কোনও মূল্যে সর্বোচ্চ লাভের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে যে পুঁজিবাদী অর্থনীতি, তার আজ মৃতপ্রায় দশা। দেখছেন না, বিশ্ব জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা কোনও মতেই কাটানো যাচ্ছে না! মরতে বসা এই ব্যবস্থারই উপরিকাঠামো হিসেবে সমাজ-মানসিকতা আজ এই বীভৎস চেহারা নিয়েছে। এই সমাজ আজ আর কাউকে মহৎ কিছু, সুন্দর কিছু দিতে পারে না। তরুণীটি বললেন, দিদি, সমাজটাকে আজ আর না পাল্টালেই নয়। আর সেই পরিবর্তনের জন্যে একটি বিপ্লবী দলকেই এগিয়ে যেতে হবে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উচ্ছেদের বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ- মাও সে তুং ও শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারা হবে তার হাতিয়ার, যার প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে উন্নত নৈতিকতা, উচ্চতর হৃদয়বৃত্তির ছোঁয়া।

    কর্মীটি বললেন, কমরেড শিবদাস ঘোষের এই শিক্ষা বুকে নিয়েই জন্মলগ্ন থেকে কোনও এমএলএ-এমপি- সরকারি ক্ষমতার বদান্যতায় নয়, গণআন্দোলনের শক্তিতে বলীয়ান এসইউসিআই(সি) পথ হেঁটে আজ এত দূর পৌঁছেছে। এই মহান নেতার মূল্যবান শিক্ষাকে গভীরভাবে জানতে বুঝতে, নিজের মুক্তির দিশা খুঁজে পেতে এই সমাবেশে তাই আসতেই হবে দেশের খেটে-খাওয়া মানুষকে। কারণ ৫ আগস্টের ব্রিগেড দেবে সংগ্রামের সেই সঠিক পথের সন্ধান। আপনিও আসুন দিদি।

    বললাম, অবশ্যই যাব ভাই। বিপ্লবের স্বপ্ন দেখা একজন বামপন্থী মানুষ হিসেবে এটা আমার কর্তব্য।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সঞ্জয় দাস | 223.237.65.233 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৯:২০521843
  • আমিও যাচ্ছি, আপনিও চলুন
  • Indra Mitra | 2409:4060:2d19:3b5b::a2c9:2606 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১০:০০521846
  • মেতে পারি নয়, যাব
  • | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১১:৩৫521849
  • এই এসইউসিয়াই ই প্রচন্ড হোমোফোবিক না? গুরুতেই কোথাও কৃশানুর একটা পোস্ট ছিল এদের  কোন প্রতিনিধির সাথে কথোপকথন নিয়ে। 
  • &/ | 151.141.84.146 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ২২:২৩522072
  • এই তো! সেই এসইউসিআই! মাঝে মাঝে নাম শুনি কিন্তু তারপরে কী হয় তার কিছুই বোঝা যায় না।
  • Sandipan Majumder | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৬522074
  • বিজ্ঞানবিরোধিতা আর বামপন্থার মধ্যে যদি কোনো  বিরোধ  না থাকে তবে এস ইউ সি বামপন্থী। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৫ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৫৬522112
  • অনেক আলোচনা ও বিতর্ক হওয়া উচিত এখানে। যাতে করে পক্ষে আর বিপক্ষে কী কী ব্যাপার আছে তার কিছুটা জানা যায়। কোটি কোটি লোক আসছেন এদিকে আমরা এই আমপাঠকেরা অনেকেই প্রায় কিছুই জানি না দলটার সম্পর্কে এসইউসিআই নামটুকু ছাড়া, এটা তো ভালো কথা নয়। আলোচনা করুন, বিতর্ক হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন