এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান আর চিউয়িং গাম - ১৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ জুলাই ২০২৩ | ২১২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • একটা পুরোণ অ্যাম্বাসাডার গাড়িতে রতন আর সমর সওয়ার হল অশেষের পিছু করার জন্য । সমর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরল । এ কাজটা তারা আগেও অনেকবার করেছে ।
    মারুতি সুজুকি নিউ আলিপুর দিয়ে বেরিয়ে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে চলতে লাগল । বেহালা তারাতলা পেরিয়ে এক জায়গায় এসে একটা বহুতল বাড়ির সামনে এসে পৌঁছল ।  গাড়িটা খানিকটা আগে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাল । অশেষ তারপর পিছনে একটু হেঁটে এসে বিল্ডিংয়ের ভিতর ঢুকে সিকিউরিটি গার্ডদের ছোট টেবিলটার সামনে দাঁড়াল।  দুজন সিকিউরিটি গার্ড বসে আছে সেখানে । এখানে বোধহয় অশেষের নিয়মিত যাতায়াত আছে । সিকিউরিটিদের সঙ্গে তাকে একটু হাসিঠাট্টা করতে দেখা গেল । নিয়মিত যাতায়াতের সূত্রে নিশ্চয়ই পরিচয় ঘনিষ্ঠ হয়েছে ।  আবাসনের নাম ' প্রমা ' । সমর বলল, ' ছবিটা তুলে ফেল ' । রতন নানা দিক দিয়ে 'প্রমা' -র
    গোটা চারেক ছবি তুলে ফেলল ।
    অশেষ কিন্তু রেজিস্টার খাতায় নিয়মমাফিক লেখালেখি করল । তারপর  লিফটের দিকে এগিয়ে গেল ।
    রতন বলল, ' এর বেশি জানতে গেলে অপারেশানটা ঘেঁটে যেতে পারে । কি করা যায় ? '
    সমর বলল, ' থানায় একটা ফোন করব নাকি ? '
    ----- ' করে দেখ ... কি বলে ... '
    সমর বালীগঞ্জ থানায় গৌতম রক্ষিতকে ফোন লাগাল । 
    ------ ' হ্যাঁ বল সমর .... '
    ----- ' ও বেহালায় একটা হাইরাইজারে এসেছে । ওপরে উঠেছে । আমাদের আইডেন্টিটি চেপে আর ফলো করা যাবে না । কারণ সিকিউরিটিদের খাতায় কার ফ্ল্যাটে যাব লিখতে হবে । তাহলে পুলিশের লোক বলে অশেষ কোন ফ্ল্যাটে গেল বার করে নেব ? '
    ------ ' এক মিনিট ধর ... বলছি । '
    ওসি সাহেব নীচুস্বরে কলতানকে ব্যাপারটা বলে জিজ্ঞাসা করল, ' কি করা যায় বলুন তো ? '
    কলতান বলল, ' আচ্ছা আমাকে ফোনটা দিন ...'
    গৌতমবাবু ফোন হস্তান্তর করলেন ।
    ----- ' হ্যাঁ .... সমরবাবু ... '
    ----- ' বলুন স্যার .... '
    ----- ' আপনারা পরিচয় গোপন রাখুন । এখন আর পার্সু করার দরকার নেই ।  কিন্তু চলে যাবেন না ।
    ওয়াচ রাখুন , অশেষ কখন বেরোয় । ওর ঢোকার এবং বেরোবার টাইম নোট করবেন । ও বেরোবার পর আবার ফলো করে যাবেন যতক্ষণ না ও লাস্ট ডেস্টিনেশনে পৌঁছচ্ছে । '
    ------ ' ঠিক আছে স্যার... '
    ----- ' অ্যাপার্টমেন্টের নাম কি ? '
    ----- ' প্রমা । তারাতলার দু স্টপ পরে । ফিফটি ওয়ান ডি বাই ওয়ান , ডায়মন্ড হারবার রোড ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে । অল দা বেস্ট ... রাখছি ... '
    ----- ' থ্যাঙ্ক ইউ স্যার  ... '
    কলতান মোবাইল ফেরত দিল গৌতম রক্ষিতকে ।
         এবার নিজের ফোন থেকে অশেষকে একটা মিসকল দিল । এক মিনিটের মধ্যে অশেষের ফিরতি কল এল ----- ' হ্যাঁ বলুন স্যার ....'
    কলতান বলল, ' ওঃ ..... সরি সরি .... ভুল করে হয়ে গেছে ... ডোন্ট মাইন্ড ... '
    ------ ' ঠিক আছে স্যার,  কোন ব্যাপার না ... '
      

         হরিপ্রসাদজি সকাল সকাল গঙ্গাস্নান সেরে কুমোরটুলির দিক থেকে রবীন্দ্রসরণির দিকে আপনমনে গোবিন্দ নাম জপ করতে করতে জোর পায়ে হাঁটছিলেন । প্রায় ছুটছিলেন বলা যায় । ব্রিটিশ আমলের দুটো বিশাল বুড়ো বিল্ডিং-এর ফাঁক দিয়ে ট্রামলাইনের দিকে আসছিলেন ।
    ওপরের বেওয়ারিশ কিছু ঘরে অন্তত দশটা ফ্যামিলির আস্তানা প্রায় তিন দশক ধরে । দুদিন  ধরে কর্পোরেশনের ময়লা তোলার গাড়ি আসছে না ।  সকাল সকাল গলতা এখন ফাঁকা ফাঁকা ।   আগের দিনের জমিয়ে রাখা জঞ্জাল এই সুযোগ বুঝে ফাঁকা গলিতে ওপর থেকে ঢেলে দিল ওপরতলায় থাকা কোন গেরস্থ।  রাস্তা তো কারো বাবার না .... সরকারি । যা ... ভোলা বাড়ি যা ... । হবি তো হ ঠিক সেই সময়ে হরিপ্রসাদজি মন্ত্র বিড়বিড় চালু রেখে প্রাতকালিন জগিং-এ ছেদ না ঘটিয়ে ঠিক সেই বিপত্তিজনক স্পটে এসে হাজির হলেন ।
    মাথায় এসে পড়ল গুচ্চের এঁটোকাঁটা, গতকালের চিবোনো ডাঁটার ছিবড়ে। 'আরে ... ছ্যাঃ ... ' বলে ছুটন্ত অবস্থাতেই হাত দিয়ে মাথায় ঝাড়া দিলেন । মাথা মোটামুটি সাফ হলেও , হরিপ্রসাদজি খেয়াল করলেন না তার মাথার পিছন দিকের চুলে একটা সজনে ডাঁটার ছিবড়ে লটকে রইল ।
         চায়ের দোকানের বিমল কুন্ডু দাঁত মাজছিল ট্রাম রাস্তার ধারে সরকারি কলের পাশে দাঁড়িয়ে ।
    হরিপ্রসাদ যদিও কোন বাঙালীর মতোই হিন্দী জানেন তবু বিমল তার হিন্দী ভাষার পারদর্শীতা ঝালিয়ে নেবার ইচ্ছেয় বলল, ' হরিবাবু হরিবাবু আপকা পিছনকা বালমে, কি বলে... ডাঁটাকা ছিবড়া  .... '
    হরিজি কোন ভ্রুক্ষেপ করলেন না । তিনি চলন্ত অবস্থাতেই হাত নেড়ে ব্যাপারটা উড়িয়ে দিয়ে বললেন , ' রহেন দো .... রহেন দো ... '
    তিনি মদনমোহনতলার দিকে চলে গেলেন ।

        লোহার গেট খুলে বাড়িতে ঢুকে দোতলায় নিজের ঘরে ঢুকে গেলেন । তার গিন্নী বোধহয় ঠাকুরঘরে পুজোয় বসেছেন । তিনি প্রায় অষ্টপ্রহর পুজো আচ্চা নিয়েই থাকেন । মানিকতলার  কালোয়ারপট্টিতে হরিপ্রসাদের চার পুরুষের লোহালক্কড়ের ব্যবসা ।
    তিনি মাথার ডাঁটা টাঁটা পরিস্কার করে খাটের ওপর দু পা তুলে গুছিয়ে বসলেন । টেবিলের স্টিলের প্লেট থেকে তুলে দুটো প্রসাদী নকুলদানা মুখে দিলেন ।
    ডান পায়ের পাতায় হাত বোলাতে বোলাতে কি যেন  চিন্তা করতে লাগলেন । তাকে বেশ চিন্তাকূল মনে হচ্ছে । তিনি উঠে গিয়ে আর একটা নকুলদানা মুখে দিলেন । একঢোক জল খেলেন ।  এই সময়ে তার মোবাইল বাজতে লাগল । হরিপ্রসাদ বোধহয় আগেই আন্দাজ করেছিলেন । মানে, ফোনটা আসার অপেক্ষা করছিলেন । ফোনটা রোজ নিয়মিত দুবার করে আসছে । একবার এই সময়ে ,আর একবার রাত নটা নাগাদ। হরিপ্রসাদ তখন মোবাইল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যান । বাড়িতে থাকতে সাহস হয় না ।
    হরিপ্রসাদ ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে চিন্তিত মনে ফোন তুললেন ।
    ------ ' হ্যা..লো ... '
    ----- ' কি হল ... কোন খবর হল ? '
    ----- ' না , মানে ... তেমন কাউকে তো পাচ্ছি না ...'
    ----- ' পেতে তো হবেই ... নাহলে কি হবে বুঝতে পারছ ?  তোমার ছেলে দিল্লীতে থাকে । তার কোন অ্যাক্সিডেন্ট ট্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেলে তার জিমেদার কিন্তু তুমি হবে ... '
    ----- ' না না ...প্লিজ ... মুঝে অওর থোড়া ওয়াক্ত দিজিয়ে .... '
    ওদিকের ব্যক্তি বোধহয় স্থানীয় এজেন্ট । পরিস্কার বাংলায় কথা বলতে লাগল ।
    ----- ' ওয়াক্ত তো অনেক দেওয়া হল তোমায় । কিছুই তো করছ না .... '
    ----- ' না না ... ইয়াকিন কিজিয়ে ... ম্যায় কিসিকো তালাশমে হুঁ ... '
    ----- ' ওসব ফালতু কথা ছাড় । আজ বুধবার ।  তোমাকে শনিবার রাত নটা পর্যন্ত টাইম দিলাম । তার মধ্যেই তালাশ টালাশ যত পার কর ।  কিছু করতে না পারলে আমরা কতটা খতরনাক বুঝতে পারবে ...'
    লোকটা বোধহয় ফোন কেটে দিল । হরিপ্রসাদ আগরওয়াল চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলেন ।
    এই সময়ে তার সহধর্মিনী সাধনাদেবী বাইরে থেকে
    ডাকাডাকি শুরু করলেন ---- ' দরওয়াজা খুলো....
    ক্যা.... ঘর বন্ধ্ করকে ব্যয়ঠতে হো ... খুলো খুলো ... জলদি । তিনি পুজাপাঠ সেরে স্বামীর মঙ্গলকামনার্থে পুজোর ফুল নিয়ে তিনতলার ঠাকুরঘর থেকে নীচে নেমেছেন ।

       তিতির রাত্তিরবেলা বিছানায় শুয়ে প্রেরককে বলল, ' পিএনআর স্যারের মতো ট্যালেন্টেড মানুষ খুব কম আছে । ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার । শুধু টেক্সট কনস্ট্রাকশান বা থিম ফরম্যাটিংই নয় । ভিসুয়ালের সাজেশান যেভাবে দেন সেটাও অসাধারণ । ভিসুয়াল ফটোগ্রাফিক হলেও উনি আউটলাইন স্কেচ করে বুঝিয়ে দেন প্রেজেন্টেশানটা ঠিক কি হবে ।  এক্সট্রাঅর্ডিনারি ! আমি তো স্যারের ডাই হার্ড  ফ্যান হয়ে গেছি । ' 
    ------ ' তা'লে তো তুমি রিয়্যালি লাকি .... '
    ----- '  ইয়ে, আই থিঙ্ক আই অ্যাম । চিরশ্রীর জন্যই তো ব্যাপারটা হল । উই শুড রিমেন গ্রেটফুল টু হার । '
    ----- ' হ্যাঁ... নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই ... ' প্রেরক একমত হয় ।
    ------ ' কিন্তু জান .... আমার মনে হচ্ছে পিএনআর স্যার একটা বড়সড় বিপদে পড়েছেন । চিরশ্রীও মনে হচ্ছে একটা মানসিক চাপের মধ্যে আছে । '
    ----- ' তাই নাকি ? ' প্রেরক বিছানায় উঠে বসে ।
    ----- ' হ্যাঁ গো ... '
    ----- ' কিন্তু কেন ? '
    ----- ' সেটা জানলে তো সমস্যা ছিল না । সিচুয়েশানটা এমন, যে কিছু জিজ্ঞেসও করতে পারছি না । '
    ------ ' তাই তো ... চিন্তার ব্যাপার । যাকগে, তুমি এই নিয়ে চিন্তা কোর না । শুধু কাজটা নিয়েই মাথা ঘামাও । আমাদের তো আবার ডক্টর দেবাশিস দত্তর কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে । শরীর মোটেই ভাল নেই। নেক্সট থেরাপিটা নেওয়ার সময় হয়েছে । আমাদের দুজনেরই।  আমাদের তো কেউ নেই।  একজন চলে গেলে আর একজন একেবারে একা । আর কতদিন বাঁচব কে জানে .... '
    তিতির এসব কথার কোন উত্তর দিল না । ঘরের সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে  চুপচাপ শুয়ে নানা কথা ভাবতে লাগল । এক সময়ে তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল । বোধহয় তার বাবা মা বা অন্য কারো কথা মনে পড়তে লাগল । বেঁচে থাকতে থাকতে আর কি কখনও তাদের সঙ্গে দেখা হবে  ! '
    তিতির এক সপ্তাহের মধ্যে ডেবোনেয়ারের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে গেছে ।  পিএনআর স্যার তার বস হলেও তিতির তাকে বাবার মতো ভালবাসতে আরম্ভ করেছে । তিনি তাকে এক নতুন পৃথিবীর সন্ধান দিয়েছেন ।  তার যদি কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে তা সমাধানের দায়িত্ব অবশ্যই তার ওপরও বর্তায় । সব দায় জোর করে ঝেড়ে ফেলা যায় না । তিতির চিন্তা করল, চিরশ্রী নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে কিছু জানে । অন্তত তার সেরকমই ধারণা হয়েছে । একটু অন্যরকমভাবে ওর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে । পিএনআর স্যারকে সে তার  সাধ্যমত সাহায্য করবে এটা মনে মনে ঠিক করে ফেলেছে ।
    পরদিন লাঞ্চ টাইমে তিতির চিরশ্রীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করল, ' পিএনআর স্যারকে কেমন যেন কনসার্নড লাগছে না অফ লেট ? কেমন একটা টেনশন.... মাঝে মাঝেই অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড হয়ে যাচ্ছেন ... নোটিশ করেছিস ? '
    শুনে চিরশ্রী কেমন গুম মেরে গেল । একটু চিন্তা করে তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ' কি জানি ... কার যে কি সমস্যা .... ' ব্যাপারটা এড়িয়ে যেতে চাইল ।
    তিতির বলল, ' তা বললে হয় ! আমাদেরও দায়িত্ব আছে ... মানবিকতার ব্যাপার ... '
    চিরশ্রী একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল তিতিরের মুখের দিকে । তারপর বলল, ' হুঁ.... ঠিকই তো .... ঠিকই তো .... ' । তারপর আবার বলল, ' সমস্যা কার নেই ? আমারও আছে , তোরও আছে । আমরা সকলেই সমস্যা নিয়েই বেঁচে থাকি । আমাদের কারো কারো সমস্যার সারা জীবনেও কোন সমাধান বেরোয় না ।  '
    ------ ' কাম অন চিরু ...  আমি কোন দার্শনিক থিয়োরির মধ্যে যেতে চাইছি না এই মোমেন্টে ... আমি শুধু পিএনআর স্যারের সোর্স অফ কনসার্নটা বুঝতে চাইছি ... '
    চিরু বলল, ' এখন কিছু কোয়্যারি করতে যাস না । দেখ ফাইনালি হয়ত এমনিই সব জানতে পারবি ।  ... জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ ... '
    ------ ' হমম্ ... দেখা যাক ... '
    চিরশ্রী ভাবল , আবার কবে কলতান গুপ্ত কিছু খবর দেবে .....
       ( চলবে)
    ********************************************


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন