এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • চাঁদে জমি 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ জুলাই ২০২৩ | ২৩৪২ বার পঠিত
  • চাঁদে কি আপনি কখনও জমি কিনবেন? না। সোনা-রুপো-তামা-প্লাটিনাম তুলে এনে আপনার ব্যাঙ্কের লকারে জমা করা হবে? না। চন্দ্রাভিযানে বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে? না। অন্যের মহাকাশযান আকাশে পাঠিয়ে কিছু রোজগার নিশ্চয়ই হয়, কিন্তু সে তো চন্দ্রযান না পাঠিয়েও হয়। এতে নতুন যা হবে, তা হল গুচ্ছের টাকা খরচা হবে, কে জানে ঠিকাদারিতে কার কপাল খুলবে। যারই খুলুক, আপনার না। কিন্তু তাতে কি, আপনার কাজ হাততালি দেওয়া, দেবেন, ব্যস।

    আপনি কি পাকিস্তানে গিয়ে, নিদেনপক্ষে কাশ্মীরে, কখনও জমি কিনবেন? না। ঘোড়াড্ডিমের একটা সীমান্তে দুই দেশের প্রচুর সৈন্য জড়ো করে, এদিক সেদিক সার্জিকাল-স্ট্রাইক করলে বাজার-দোকান-দেশ-বিদেশ কোথাও কি আপনাকে কেউ একটাও সেলাম ঠুকবে? না। গুচ্ছের তাজা প্রাণ অকাতরে যাবে, খরচাও প্রচুর, অস্ত্রের ব্যবসায় কে জানে কার কপাল খুলবে। যারই খুলুক, আপনার না। কিন্তু তাতে কী, আপনার কাজ 'বর্ডার'এর টিউবওয়েল ঘোরানো দেখে উঠে দাঁড়িয়ে রক্তগরম করা হাততালি দেওয়া, দেবেন, ব্যস।

    পাঠান বা আদিপুরুষ দেখে কি আপনার আদৌ সিনেমা মনে হয়েছে? না। এরা দশ দিনে দশ-হাজার-কোটি উপার্জন করলে তার থেকে পনেরো লাখ করে কি আপনি পাবেন? না। ভারত-পাকিস্তানের বা রাম-রাবনের যুদ্ধের বলিউডি উন্মাদনা ছড়িয়ে দেওয়া ঠিক জিনিস মনে করেন? না। এতে করে হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তানের প্রকল্প অবশ্য দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে পড়বে, অন্য কারো কপাল খুলবে। কিন্তু যারই খুলুক, আপনার না, আপনি তো বাংলাদেশী বলে লাথিই খাবেন। কিন্তু তাতে কি, আপনার কাজ 'ক্কী দ্দিলে গ্গুরু' বলে হাততালি দেওয়া, দেবেন, ব্যস।

    যদি এই সবকটাই কারো ক্ষেত্রে সত্য হয়, তো নিশ্চিত করে জানবেন, তাঁর ঘোড়ারোগ হয়েছে। নিজের পিছনে বাঁশ এলে তিনি আনন্দ পাচ্ছেন। দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নাম নেই | 2601:205:c280:2890:65e7:cca6:cad4:e96c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ১০:২৭521245
  • না বলে পারলাম না। এই সব আদ্যন্ত বোকা বোকা লেখা গুলো নাই বা লিখলেন। ভালো লেখেন - সে ঠিক আছে। কিন্তু একটু অবজেকটিভ না হলে তো মুস্কিল আছে। 
     
    সে না হলে আবার স্যান হ্যানিটির দোষে দুষ্ট হবেন। কি দরকার। এরপরে বলবেন - সব অবসারভেটরিকে ধ্বংস করে দাও। কুনো লাভ নাই।
     
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:5c83:9b13:748b:6505 | ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:০০521249
  • প্রথম প্যারার দুয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি :-)
     
    "চাঁদে কি আপনি কখনও জমি কিনবেন? না"
     
    উত্তরটা সরাসরি "না" নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে মুন বেস বা মুন কলোনি তৈরি হলে আর কমার্শিয়াল এক্সপ্লয়েটেশান শুরু হলে চাঁদের জমি কেনাবেচা শুরু হতেই পারে। আমি না কিনলেও আমার নাতনি বা তার মেয়ে হয়তো কিনবে। হ্যাঁ, এখন কয়েকটা ইন্টারন্যাশনাল ট্রিটি আছে যার ফলে চাঁদে জমি কেনাবেচা করা যাবে না, তবে ভবিষ্যতেও যে চাঁদে প্রাইভেট প্রপার্টি বানানো যাবেনা এমন কোন গ্যারান্টি নেই। লোকজনেরর যাতায়াত বাড়লে জমি কেনাবেচার সম্ভাবনাও বাড়বে।  
     
    "সোনা-রুপো-তামা-প্লাটিনাম তুলে এনে আপনার ব্যাঙ্কের লকারে জমা করা হবে? না" 
     
    চাঁদে সোনা রুপো সেরকম পরিমাণে না থাকলেও, হিলিয়াম ৩ আর রেয়ার আর্থস পাওয়া যায়। আমি শিওর যে মুন কলোনি তৈরি হলে এগুলোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলে মাইনিং শুরু হবে। আর যেসব কোম্পানি এগুলো মাইন করবে সেগুলো অবশ্যই ভালো প্রফিট করবে। কাজেই চাঁদের রিসোর্স মাইন করে অনেকের ব্যাংকে যে টাকা জমা হবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমি যদি এরকম একটা কোম্পানি খুলতে পারতাম তো অবশ্যই খুলতাম, কিন্তু হায়, আমি বুড়ো হয়ে গেছি। আশা করি আমার নাতনির মেয়ে চাঁদে জমি কিনে মাইনিং ব্যবসা করবে আর অনেক টাকা কামাবে। 
     
    "চন্দ্রাভিযানে বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে? না"
     
    নিশ্চয়ই খুলবে। শুধু বিজ্ঞানের না, টেকনোলজির আর কলোনাইজেশানেরও নতুন দিগন্ত খুলবে। শুধু বিজ্ঞান যদি ধরেন, তো চাঁদে বেস বানিয়ে নানারকম লো গ্র‌্যাভিটি এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে যা পৃথিবীতে করা মুশকিল, ফলে মেটিরিয়াল সায়েন্সের উন্নতি হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা। টেকনোলজিকাল অ্যাপ্লিকেশান তো অবশ্যই হবে, স্পেস এক্সপ্লোরেশানের ক্ষেত্রেও অনেক কিছু নতুন টেকনোলজি বা টেকনিক ডেভেলপ করতে সুবিধে হবে। আর লুনার বেস কিন্তু প্রথম ধাপ। পৃথিবীর গ্র‌্যাভিটি ওয়েলের কিনারে যেতে যতোটা এনার্জি খরচ করতে হয়, তার থেকে অনেক কম এনার্জি খরচ করে চাঁদের গ্র‌্যাভিটি ওয়েল থেকে বেরনো সম্ভব। ফলে লুনার বেস থেকে মংগল গ্রহে মিশান পাঠানো সুবিধে হবে, তারপর আউটার প্ল্যানেটস গুলোতেও যাতায়াত সুবিধে হবে (য়ুরোপা বাদে, ওখানে নামা বারন)। 
     
    এইসব নানা কারনে চন্দ্রাভিযান, মঙ্গল অভিযান ইত্যাদি অবশ্যই দরকার। আরেকটাও কারন আছে - ক্লাইমেট ডিসাস্টার এর আর বেশী দেরি নেই, হয়তো আর মাত্র পঞ্চাশ কি একশো বছর বাকি। তার আগেই আমাদের এই গ্রহ ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। দ্য গ্যালাক্সি ইজ ওয়েটিং ফর আস :-)
  • &/ | 107.77.232.76 | ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩৯521256
  • অাহ্ ডিসি ,কল্যাণ হোক আপনার । কী ভালো কথা শোনালেন . গ্যালাক্সি ইজ ওয়েটিং ফর আস .
  • &/ | 107.77.232.76 | ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪০521257
  • দ্য 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২০:৩৫521259
  • চাঁদে একটা গরুর গাড়ি পাঠাতে এবারেই তো ছশো কোটি টাকা খরচ। ওদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের অভাবে হেঁটে ফিরতে হয় সঙ্কটকালে।  এরপর গ্রহান্তরে যাত্রা শুরু হবে, তাতে খরচা কমে ১০টাকায় নেমে আসবে, ভারতের দলে-দলে লোক চাঁদে গিয়ে সেখান থেকে মঙ্গলগ্রহে কিংবা ধরুন অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির উদ্দেশে রওনা হবে, এরকম ভাবার কী কারণ? ওরকম উদ্দেশ্য আছে বলেও কেউ জানেনা। এ তো টাকার নোটে চিপ বসানোর মতো হয়ে গেল। 
     
    আসলে 'বিজ্ঞান' শব্দটা উচ্চারণ করলেই একটা 'পবিত্র গরু' জাতীয় অনুভূতি তৈরি করা যায়। সেটাই হচ্ছে, ভারত সরকারের দিক থেকে।  যেখানে রোভার, মানুষ সব পাঠিয়ে ফেলেছে অন্য দেশ, তারপর বাজে-খচ্চা বলে কাটিয়ে দিয়েছে, আর চেষ্টাও করেনা, সেখানে একটা গরীব দেশ এইগুলো করে কী বিজ্ঞান করছে? কল্পবিজ্ঞান? 
     
    অবান্তর কথাই যখন হচ্ছে, একটা হাল আমলের বিখ্যাত সিনেমার কথাই বলি। লুক আপ। বিজ্ঞান, গ্রহান্তর যাত্রা, এইসব নিয়ে। দেখেছেন নিশ্চয়ই। না দেখলে দেখে নেবেন।    
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:9148:5a57:f14a:5d9c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২১:২২521263
  • ডোন্ট লুক আপ দেখেছি তো! দুর্দান্ত রকম অসাধারন সিনেমা। এমনিতেও আমার ব্ল্যাক কমেডি ভালো লাগে, কাজেই এরকম সিনেমা পেলে ছাড়ি না :-)
     
    আর দ্যাখেন, মোটে তো ছয়শো কোটি টাকার বাজেট। আমার মতে ইসরোর বাজেট আরও বাড়ানো উচিত (তিরুপতি যাওয়ার খরচ বাদ দিয়ে)। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ হওয়া উচিত নয় কি? ধরুন দেশের এক্সপেন্স বাজেট হলো ৪৫ লক্ষ কোটি, তার মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ হওয়া উচিত ১০%, হেল্থ এর জন্য ১০%, শ্রমিক এবং অন্যান্য ন্যুনতম আয়ের পরিবারদের জন্য ১০-১৫% বরাদ্দ করে সোশ্যাল সিকিউরিটি নেট বানানো উচিত। আর ধরুন ইসরো, বার্ক ইত্যাদি মিলিয়ে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি খাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত অন্তত ৭-৮%, অর্থাত কিনা অন্তত কুড়ি থেকে চল্লিশ হাজার কোটি। যাতে আরও বেশী করে স্পেস মিশন প্ল্যান করা যায়, লাইগো ডিটেক্টরের দুয়েকটা আর্ম আমাদের দেশেও বসানো যায়, নিউট্রিনো অবসার্ভেটরি বসানো যায়, ইত্যাদি। 
     
    বিটিডাব্লু, নাসার বাজেট যখন কাটা হয় তখনও আমার দুঃখ হয়। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা, আমেরিকাতে সুপারকন্ডাক্টিং সুপার কোলাইডার বা এসেসসি বানানোর পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গেছিল বাজেটের অভাবে। তাতে লাভটা কি হলো? ভাগ্যিস সার্নে এলএইচসি বানানো হলো, ফলে আমরা হিগস পার্টিকল আবিষ্কার করতে পারলাম। এখন আমরা এখন অন্তত এটুকু বলতে পারি যে হিগস ফিল্ড আমাদের মাস দেয়, তাই আমরা আছি। অনেক বিলিয়ন ডলার খরচ করে এলএইচসি যদি বানানো না হতো তাহলে তো সেটাও বলতে পারতাম না! 
     
    আর হ্যাঁ, গ্রহান্তরে যাতায়াত শুরু হলে খরচ কমে আসবে কিনা জানিনা। ভারতের লোক দলে দলে গিয়ে চাঁদ আর মঙ্গল, বা অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি কলোনাইজ করবে কি? কি জানি! তবে কিনা, প্রসেসটা অবশ্যই শুরু করা বা চালু রাখা উচিত। কলম্বাস যখন ইন্ডিয়া আবিষ্কার করতে বেরিয়ে আমেরিকা আবিষ্কার করে ফেলেছিল, তখন কি আর কেউ ভেবেছিল যে এক সময়ে য়ুরোপ থেকে দলে দলে লোক আমেরিকায় গিয়ে কলোনি বানাবে? কিন্তু রাজার থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে সমুদ্রে নৌকো ভাসিয়ে দেওয়ার যে প্রসেস, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদে বারবার করে গিয়ে আমরা যে নলেজ বেস বানাবো সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারন সেটার ওপর ভিত্তি করে আমরা ভবিষ্যতে আরও দূরে পাড়ি দেওয়ার প্ল্যান করতে পারবো। ডিপ স্পেসের হার্ড রেডিয়েশান এর মোকাবিলা কিভাবে করবো, বছরের পর বছর জিরো গ্র‌্যাভিটিতে যে মাসল আর বোন ডিকে হবে তার মোকাবিলা কিভাবে করবো, নানান সাইকোলজিকাল প্রব্লেম এর মোকাবিলা কিভাবে করবো যদি চাঁদে যাওয়ার বা মঙ্গলে যাওয়ার প্রথম ধাপগুলো না নিই? 
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:9148:5a57:f14a:5d9c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২১:২৯521264
  • "যেখানে রোভার, মানুষ সব পাঠিয়ে ফেলেছে অন্য দেশ, তারপর বাজে-খচ্চা বলে কাটিয়ে দিয়েছে, আর চেষ্টাও করেনা"
     
    এইখানটা বোধায় ঠিক বললেন না। চাঁদে রোভার পাঠিয়েছে আমেরিকা আর রাশিয়া, সম্প্রতি চীন। আর মানুষ পাঠিয়েছে আমেরিকা। অর্থাত কিনা এতোগুলো দেশের মধ্যে মোটে তিন চারটে দেশ। আরও বেশী বেশী দেশের থেকে পাঠানো উচিত। 
     
    বাজে খরচ বলে কাটিয়ে দিয়েছে কি? বোধায় না। মানে জেনারাল সায়েন্টিফিক কমিউনিটি বোধায় বাজে খরচ মনে করে না। 
     
    আবার চেষ্টা করছে তো! নাসা তো আগের বছরই আর্টেমিস রোভার পাঠালো, এবার অ্যাস্ট্রোনট পাঠানোর প্ল্যান করছে। আর মঙ্গল গ্রহেও তো আমেরিকা রাশিয়া চীন রেগুলার রোভার ইত্যাদি পাঠাচ্ছে বা প্ল্যান করছে। আশা করি ভারতও আবার মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠাবে বা চেষ্টা করবে। 
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:9148:5a57:f14a:5d9c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৫521265
  • এই যে নাসার আর্টেমিস মিশান পেজঃ 
     
    We’re going back to the Moon for scientific discovery, economic benefits, and inspiration for a new generation of explorers: the Artemis Generation. While maintaining American leadership in exploration, we will build a global alliance and explore deep space for the benefit of all.
     
    অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে আবার ম্যানড মিশান শুরু হবে। ভারত থেকেও যদি ম্যানড মিশান পরিকল্পনা করা হয় তাহলে তো খুবই ভালো হয়, কারন আগের পোস্টে লিখলাম, প্রতিটা স্পেস এজেন্সি এভাবেই ধাপে ধাপে নলেজ বিল্ডাপ করে পরের মিশনের জন্য তৈরি হয়। 
     
    ভেবে দেখুন, সেই কবে উনিশশো পঞ্চাশের দশকে আর্থার সি ক্লার্ক লিখেছিলেন আর্থলাইট গল্পটা, আর এখনও আমরা স্রেফ চাঁদে যাওয়ারই প্ল্যান করে চলেছি। এদ্দিনে অন্তত ইনার প্ল্যানেটগুলো আমাদের কলোনাইজ করে ফেলা উচিত ছিলো তো! উই আর সো লেট :-)
  • lcm | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২১:৫৭521266
  • স্পেস রিসার্চে ফান্ডিং জাস্টিফাই করা টাফ, কারণ এতে প্রচুর চাকরি তৈরি হয় না। যার জন্য নাসা থেকে আরম্ভ করে সব দেশেই এই ধরনের সংস্থাগুলো অর্থ্সংকটে ভোগে।
    তো এখন অনেক প্রাইভেট কোম্পানি এতে ঢুকছে, এই যেমন ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস - যাদের প্রচুর এক্সট্রা টাকা তারা এতে টাকা ঢালছেন।
    ভারতেও তাই করা উচিত। প্রাইভেট ইকুইটি আসা উচিত।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২২:০৩521267
  • ডিসিকে অজস্র ধন্যবাদ এমন গুছিয়ে আমার মনের কথাগুলো বলে দেওয়ার জন্য।
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:9148:5a57:f14a:5d9c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২২:০৬521268
  • একমত, স্পেস রিসার্চে আর এক্সপ্লোরেশানে প্রাইভেট ইকুইটি আসা দরকার। এই যে ইন্টারপ্ল্যানেটারি ট্রেড রুট তৈরি হবে, সে তো প্রাইভেট কোম্পানিগুলোই করবে! প্রাইভেট কোম্পানিগুলোই তো অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং করবে, জুপিটারে হিলিয়াম মাইনিং করবে, আজ থেকে পঞ্চাশ কি ষাট বছর থেকে একেকটা মেগা প্ল্যানেটারি কর্পোরেট তৈরি হবে! কাজেই প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট এখন থেকেই শুরু হওয়া উচিত। আর নানান দেশের সরকারের উচিত বাজেটের অন্তত ৫% অ্যালোকেট করে আরও বেশী করে মুন বা মার্স মিশান প্ল্যান করা। 
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:9148:5a57:f14a:5d9c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২২:০৭521269
  • অমিতাভদা :-)
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 2603:8000:a403:4186:3db9:1fbc:891d:113 | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২২:২৩521271
  • ডিসি দা , এই চাঁদে বা মঙ্গলে মানুষে বাস্ করবে সে এখনো বেশ কষ্টকল্পনা। শুধু জল অক্সিজেন বা খাবার দাবার নয়  গ্রাভিটেশন আর রেডিয়েশন সংক্রান্ত সমস্যাও আছে। আর যাতায়াতের সময় তো বাদ ই দিলাম। এলোন বাবু যাই বলে থাকুন সেসব এক্সট্রাভাগ্যান্ট।  আর চাঁদ বা মঙ্গল কে টেরাফর্ম করার চেয়ে পৃথিবীকেই ঠিক থাকে মেন্টেন করা সহজ এবং কম খরচের।  
     
    হ্যা মাইনিং  হয়তো হবে সুদূর ভবিষ্যতে। সে দিক থেকে ভাবলে ভারতের লাভবান হবার সম্ভাবনা হয়তো আছে  ( আমি বলতে  পারবো না। ) যদি তিরুপতির উপর নির্ভরতা কমে। তবে সে সব প্রযুক্তিগত, মৌলিক বিজ্ঞান এর কিছু না। আর ম্যানড মিশন অনেক ঝামেলার। শারীরবৃত্তীয় ভাবে সে খুব সুখকর নয় আরও একগাদা হ্যাজার্ড আছে। তো ভবিষ্যতে তার জায়গা হয়তো রোবট নেবে। 
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:9148:5a57:f14a:5d9c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২২:৩১521272
  • সে তো ঠিকই। চাঁদে বা মঙ্গলে মানুষ বাস করার আগে অনেকগুলো বাধা পেরোতে হবে। আমার মনে হয় মানুষ এখন যে ফর্মে আছে, সেই ফর্মে হয়তো কখনোই বাস করতে পারবে না। খানিকটা অ্যানড্রয়েড ফর্ম হতে পারে, বা বায়োমেকানিকাল এক্সোস্কেলিটন বানাতে হবে। রোবট মাইনিং হয়তো তার আগেই শুরু হবে। তবে এখন যেসব চন্দ্রযান পাঠানো হচ্ছে বা ম্যানড মিশান প্ল্যান করা হচ্ছে, এগুলো হলো নলেজ বিল্ডিং এক্সারসাইজ। এগুলো করা জরুরি, নাহলে আমরা পরের ধাপগুলোতে যেতে পারবো না। 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২২:৪২521273
  • মহাবিশ্বের কর্পোরেটকরণ? হ্যাঁ, সে নিয়েও চমৎকার সিনেমা আছে, সবাই দেখেওছেন। অবতার। :-) 
     
    যখন ডোন্ট-লুক-আপ বা অবতার দেখা হয়, তখন আমরা সবাই বুঝতে পারি। বা ধরুন, কলম্বাসের আমেরিকা 'আবিষ্কার'।  সেটা কার প্রেক্ষিত থেকে দেখছেন, তার উপরে নির্ভর করছে, ওটাকে 'অগ্রগতি' বলব, না গণহত্যার-প্রথম-ধাপ, এইটাও বুঝতে পারি। কিন্তু ঘাড়ের কাছে চলে এলেই, অন্যান্য নানা রেটরিকে দৃষ্টিভঙ্গী অস্বচ্ছ হয়ে যায়। তখন, কারগিলকেও মহান যুদ্ধ মনে হয়, নোট-বাতিলের ক্ষেত্রে চিপ-বসানোর গপ্পোকেও বিশ্বাসযোগ্য লাগে। আর চাঁদে রোভার পাঠানোকেও 'জাতীয় গর্ব' , বা আমেরিকা-চিনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া মনে হয়। 
     
    এই নানা মনে হওয়ার কতটা যুক্তিযুক্ত, সে তো সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ। এই ধরুননা, এই চন্দ্রাভিযান থেকে সোজা মহাবিশ্বের কর্পোরেটকরণ হওয়া উচিত কিনায় চলে গেলাম। সে তো সম্পূর্ণ কল্পলোকের গল্প। কল্পলোক যদি নাও হয়, কী উচিত, কী অনুচিত, সে নিয়ে আলোচনা। বাজেটে কী করা উচিত, ইত্যাদি। সে খুবই ভালো বিষয়, কিন্তু আমরা তো কথা বলছি, কী হচ্ছে, এবং কী আছে, সেই নিয়ে। যা আছে, তা হল, ভারত একট গরীব দেশ, সোশাল সিকিউরিটি বলে কিছু নেই। মৌলিক গবেষণায় ফান্ডিং ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার অবস্থা শোচনীয়। পানীয় জলের সুবন্দোবস্তো দেশের অর্ধেক লোকের নেই,  এবং চাঁদে রোভার পাঠানো হচ্ছে দক্ষিণ মেরুকে জল আছে কিনা দেখার জন্য। একবারে হয়নি, এবার আরেকবার। এবারও নামবে কিনা কেউ জানেনা। এই তো ব্যাপার।   
     
      
  • dc | 2401:4900:3604:cc7c:9148:5a57:f14a:5d9c | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২৩:০১521274
  • মহাবিশ্বের কর্পোরেটকরন নিয়ে অবতার এর আগেও অনেক সিনেমা বা গল্প লেখা হয়েছে তো। এখনই যেমন মনে পড়ছে পিটার হ্যামিলটনের নাইটস ডন ট্রিলজি, বা জাপানি মাংগা ঘোস্ট ইন দ্য শেল (মাসামুনে শিরোর লেখা)। আর কেন জানি সেই ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ এর কোকো কোলা ডিসপেন্সারের সিনটা মনে পড়ে গেলো। 
     
    কিন্তু হ্যাঁ, এই কারগিলের যুদ্ধ মনে হলেই আমার হাসি পেতে শুরু করে। সিয়াচেনে সৈন্যরা কেন যে দাঁড়িয়ে থাকে, তাতে আমার কিই বা এসে যায়, সেসব মনে হলেই হাসতে থাকি laugh (তার ওপর সার্জেনরা কোথায় গিয়ে যেন কয়েকটা গাছ আর কাক মেরে এসেছিল, সে আরেক খোরাক)। 
     
    ভারতে কি হচ্ছে আর কি আছে সে নিয়ে কথা হওয়া উচিত - এ ব্যাপারে একমত। আমার মনে হয় চাঁদে গোরুর গাড়ি পাঠানো, মাত্র ছশো কোটি টাকা খরচ করে, সেটা খুব ভালো ব্যপার। আর সিয়াচেনে সৈন্য দাঁড়িয়ে থাকে, সেটা খারাপ (ওদের ছুটি দিয়ে দিলে ভালো হয়)। আর পরিযায়ী শ্রমিক দের জন্য সরকার কিছু করেনি সেটাও খুব খারাপ। এটা ভালো, ওটা খারাপ, সেটা খারাপ, এই আর কি। কারুর মনে হয় এটা ভালো, কারুর মনে হয় ওটা খারাপ। নানা মতামত থাকাও ভালো (কারুর কারুর মতে খারাপ)। 
  • হ্যাজ | 78.142.18.219 | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৪521275
  • অপার বাড়ি থেকে পঞ্চাশ কোটি পাওয়া গেছিল। ইলেকটোরাল বন্ড থেকে তৃণমূল একাই ৭৬৭ কোটি তুলেছে। বিজেপি তুলেছে ৫২০০ কোটি। এই তুলনায় ইসরো ছশো কোটি টাকায় চাঁদে যন্ত্র পাঠালে সস্তাই হচ্ছে। 

    https://www.thehindu.com/news/national/electoral-bonds-chief-source-of-donations-for-political-parties-report/article67068053.ece
  • Aranya | 2601:84:4600:5410:15de:e06a:8b93:aef1 | ১৫ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৪521276
  • ৩০০০ কোটি দিয়ে প্যাটেলের মূর্তি বানানো  হয়েছে।  
    ডিসি  রকস। একমত। 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০০:৪১521280
  • ছশো কোটি টাকা না তো। এ তো অনেকবছর ধরে ব্যর্থ চেষ্টা চলছে। কোনোটায় ছশো, কোনোটায় নশো, কোনোটায় তিনশো... যোগ করলে অনেক হবে। :-) 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3550:e818:3bd9:f19d | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৬:৫৮521287
  • দেখ, স্পেস রিসার্চে টাকা না ঢাললে এই বালের সরকার যে  মৌলিক বিজ্ঞান বা পরিযায়ী শ্রমিক দের জন্য টাকা খরচ করবে, তেমন কিন্তু নয় । মূর্তি, রাম মন্দির, পার্লামেন্ট ভবন, প্রধান মন্ত্রী আর রাষ্ট্রপতির জন্য বিমান - এই সবে টাকা ঢালবে। 
    আমার এক বন্ধু আছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মেম্বার। ত্রিবেণী কে নাকি স্মার্ট ধর্ম নগরী হিসাবে তৈরী করা হবে - ১০০-র ওপর নতুন মন্দির হবে, আরও কি কি সব হবে, তার সাথে আমায় যুক্ত হতে বলেছিল, নিউট্রাল, বুদ্ধিজীবি দরকার :-)
    এই প্রজেক্টে নাকি ৪০০ কোটি বরাদ্দ। ভারত সরকারের টাকার কোন অভাব নেই। সদিচ্ছার অভাব 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3550:e818:3bd9:f19d | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৭:০৩521288
  • ত্রিবেণী আমার বাড়ির কাছে বলে, ভেবেছিল স্থানীয় লোক হিসাবেও আগ্রহ থাকবে। বুদ্ধিজীবি হিসাবে পরিগণিত হয়ে আনন্দ - ই পেয়েছিলাম, স্বীকার করতে হয়। গুরুতে কল্কে না পেলেও, চাড্ডিরা অন্ততঃ পাত্তা দিচ্ছে, তারা বোধায় এখনও যথেষ্ট বাঙালী বুদ্ধিজীবি জোগাড় করে উঠতে পারে নি :-)
     
  • dc | 106.198.19.129 | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৭:২৭521290
  • অনেকবছর ধরে ব্যর্থ হয়ে তবেই তো সাফল্য আসবে! নাসা, ইএসএ, রসকসমস, চীন, জাপান, ইসরায়েল ইত্যাদি দেশগুলোর স্পেস এজেন্সিগুলোও বহু দশক ধরে গোরুর গাড়ি ওড়ানোর চেষ্টা করছে, অনেকবার ব্যর্থ হচ্ছে, কয়েকবার সফল হচ্ছে। আমরা ভুল করতে করতে শিখি, কি আর করা যাবে!  
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫৮521293
  • এটা অবশ্য খাঁটি কথা, যে কার্গিল যুদ্ধের চেয়ে রকেট ওড়ানো ভাল। অন্তত কেউ মরেনা। অরণ্যদা যেমন বলল। 
     
    কিন্তু বাকি চন্দ্রযান, মিসাইল ছোঁড়া, টাকাবন্ধ, সার্জিকাল স্ট্রাইক - সব কিছুর মতো এটাও একটা মার্কেটিং-গিমিক , মনে রাখাই ভাল। ডিসির কথা শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছি। এটার সঙ্গে ২০৫০ এর স্পেস ওডিসি জুড়ে একটা ফিলগুড ফিকশন বানানোর জন্য। এক কিছু ওঁরাও এমনকি বলে উঠতে পারেননি। চাঁদে জল-টল খুঁজবেন বলেছেন মাত্র। 
     
    আর স্পেস প্রোগ্রামে পয়সা জোগাড় করতে আমেরিকার মতো ধনী দেশও জাস্টিফাই করে উঠতে পারছেনা। সেখানে গরীবের হাতি পোষার ব্যামো? ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বজয়ের হুজুগের মতো লাগছে।
  • dc | 106.198.19.129 | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৯:১৭521294
  • ওরা মানে কারা? আমি কোন অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট ফলো করিনি, কাজেই ওরা কি বলছে জানিনা। আমি ইন জেনারাল বললাম, এই যে নানান দেশ থেকে চন্দ্রযান, মঙ্গলযান ইত্যাদি পাঠানো হচ্ছে বা প্ল্যান করা হচ্ছে, সেটা একটা কন্টিনুইং প্রসেস। একশো বছর পর যখন প্ল্যানেটারি স্পেস ট্রাভেল জলভাত হয়ে যাবে, তখন সেই সময়ের অ্যানড্রয়েডরা এখনকার এই প্রোগ্রামগুলোকেই প্রথম বেবি স্টেপ হিসেবে দেখবে। ধরুন আমরা যখন প্লেনে চড়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাই তখন দুয়েক সময়ে রাইট ভাইদের কথা মনে করি, সেরকম। 
     
    "আর স্পেস প্রোগ্রামে পয়সা জোগাড় করতে আমেরিকার মতো ধনী দেশও জাস্টিফাই করে উঠতে পারছেনা"
     
    আবারও বোধায় ভুল বললেন। নাসা তো বেশ সুন্দর একটার পর আরেকটা স্পেস প্রোগ্রাম প্ল্যান করে চলেছে! ওপরে দেখুন, মিশান মুন এর লিংক দিয়েছি। চাঁদে আবার অ্যাস্ট্রোনট পাঠানোর জন্য রেডি হচ্ছে। অবশ্যই, নাসার বাজেট আরও অনেক বাড়ানো উচিত। 
     
    ভারত কি গরীব দেশ? মানে ছশো + নশো + তিনশো + ইত্যাদি = আঠেরশো কোটি বা তার বেশী যোগাড় করতে পারবে না? অতোটা গরীব কিন্তু মনে হয়না। সরকারের বাজেট দেখুন, নানা খাতে দশ বিশ হাজার, চল্লিশ পঞ্চাশ হাজার কোটি অ্যালোকেট করা হচ্ছে। স্পেস প্রোগ্রামে সেই তুলনায় খুব কমই হচ্ছে বলা যায়। 
  • dc | 106.198.19.129 | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৯:২৬521295
  • "কিন্তু বাকি চন্দ্রযান, মিসাইল ছোঁড়া, টাকাবন্ধ, সার্জিকাল স্ট্রাইক - সব কিছুর মতো এটাও একটা মার্কেটিং-গিমিক"
     
    তা হতে পারে। বিজেপি সব কিছুই মার্কেটিং গিমিক হিসেবে দেখে। সেজন্য আমি চন্দ্রযানের অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট ইত্যাদি কোনকিছুই ফলো করিনা। তবে বিজেপি যে দৃষ্টিতেই গোরুর গাড়ি চাঁদে পাঠানো দেখুক না কেন, আমি মনে করি যে দিনের শেষে ইট বেনিফিটস হিউম্যানকাইন্ড। গোরুর গাড়ি জল খুঁজে পাক না পাক, নলেজবেস বা এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করাটাই আসল। 
     
    আর চুপি চুপি আরেকটা কথা বলি, যে দেশই স্পেস মিশান করুক না কেন, আমার ভালো লাগে। আমার ইন্ডিয়া নিয়ে কোন আলাদা ফিলিং নেই, দেশপ্রেম যে কাকে বলে তাও বুঝিনা (বিজেপি জানতে পারলেই কেস খেয়ে যাবো laugh)। কিন্তু ভারত যে নিয়মিত চাঁদে বা মঙ্গলে গোরুর গাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করে চলেছে, সেটা আমার কাছে একটা ভালো দিক। ভারত না হয়ে পাকিস্তান বা হনুলুলু হলেও আমার ভালো লাগবে। 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩০521296
  • ১। হ্যাঁ, বলেছে তো কী করবে। চাঁদে নানা জিনিস খুঁজবে। একটা গরুর গাড়ি দিয়ে আর কীইবা করবে। :-)
     
    ২। নাসা বাজেট কাট করেছে প্রচুর তো। মঙ্গলে যাওয়া কতবার যে পিছোলো। স্পেস রেসের হুজুগ এসেছিল বহুবছর আগে, সেও ওই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। বিজ্ঞান সাধনা-টাধনা না। এখন তো যেকোনো মিশনকেই প্রচুর জাস্টিফাই করতে হয়।
     
    ৩। আমার কাছে কয়েকশো কোটি টাকা অনেকই লাগে। সকলেরই লাগে। নিঃসন্দেহে প্রতিরক্ষায় এই অনেক গুণ বাজে খরচ হয়। আবার একশ দিনের কাজে এর চেয়ে কম টাকাও পাওয়া যায়না। 
  • dc | 106.198.19.129 | ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪৭521297
  • খোঁজাখুঁজি করুক না, জল খুঁজতে গিয়ে দেখুন হয়তো হিলিয়াম ৩ পেয়ে যাবে। তাছাড়া মুনবেস বানাতে হলে জলও তো লাগবে! ক্যাপ্টেন হ্যাডক এর মতো আস্ত একটা বরফের লেয়ার ওপরেই গিয়ে পড়বে হয়তো :-)
     
    হ্যাঁ, নাসার বাজেটে অনেক কাট হয়েছে, কোল্ড ওয়ার শেষ হওয়ার পর থেকেই :-( তবে ওদেশে অনেক বিজ্ঞানী নাসার বাজেট বাড়ানোর জন্যও অ্যাডভোকেসি করেন। আশা করি একটা মধ্যপন্থা চলবে, আর প্রাইভেট ইকুইটিও আস্তে আস্তে ঢুকবে। 
     
    ইন্ডিয়াতেও তাই, ব্যালেন্স দরকার। প্রতিরক্ষা খাতে কমানো উচিত, মনরেগায় বাড়ানো উচিত (এখন আছে ষাট হাজার কোটি, অনেকটাই বাড়ানো উচিত), সোশ্যাল সিকিউরিটি নেট বাড়ানো উচিত। এসবের মাঝে গোরুর গাড়ি প্রোগ্রাম চলছে, সে ভালো। আমি দুয়েকবার শ্রীহরিকোটায় বেড়াতে গেছি (মেয়েকে কাছ থেকে দেখাবো বলে), জায়গাটা বেশ সুন্দর করে বানিয়েছে। তবে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি, পাবলিক অ্যাক্সেস দেওয়া উচিত মনে হয়েছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন