এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সোনার কেল্লার সেই উট এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল 

    debasis chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ মে ২০২৩ | ৪১৯ বার পঠিত
  • আসলে প্রথমেই বলি কথামুখের সঙ্গে যে বন্ধুরা পথ হাঁটলেন, আমরা একসঙ্গে এগলাম। প্রবল বিতর্ক করলাম। আবার পথ হাঁটা শুরু হল। আর এভাবেই আজ দশ হাজারেরও বেশি শুধু সাবস্ক্রাইবার নয় বন্ধুর সাথেও কথামুখের পরিচয় তৈরি হল। এর জন্য আপনাদের সবাইকে আমার অনিঃশেষ, অনন্ত কৃতজ্ঞতা। আমাদের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী  হোক। আরও নতুন, নতুন বন্ধুর সঙ্গে সৌজন্যে কথামুখ প্রতি সেকেন্ডে সম্পর্ক তৈরি হোক। 

    এই কথাটাকে প্রবল ভাবে উচ্চারণ করার পর, চলুন সেই আশ্চর্য্য দৃশ্যটার সামনে একটু দাঁড়ানো যাক। রাজস্থানের মরুভূমির ধুলো উড়িয়ে কিছু উট ছুটছে- সামনেই প্রবল গতিতে ছুটছে একটা ট্রেন। কি এবার মনে পড়ছে ? সোনার কেল্লা ছাযাছবির সেই মন মাতানো কয়েক পিস দৃশ্য। উটের ওপর বশে ফেলুদা, তোপসেরা মুকুলকে রক্ষা করার জন্য থামাতে চাইছে ওই ট্রেন। কিন্তু রেল গাড়ি ঝমাঝম করেই ছুটছে। একদমই থামানো যাচ্ছে না সেই ট্রেন। 

    যাই হোক ছোটবেলায় মনে হত যে লোকটা জীবনে কোনও পরীক্ষাতেই ডাব্বা মারেনি মানে ফেল করেনি- তার নাম পটাং করে ফেলুদা হয় কী করে ? আর মনে হত ইস রাজস্থানে মরুভূমির পাশেই যদি এক পিস মিনি সমুদ্রও থাকতো , তাহলে কী মজাটাই না হত! জাস্ট সারা গায়ে বালি মেখে দিব্যি সেরে নেওয়া যেত স্নান। 

    ফলে যেটা হওয়ার নয়। সেটা ন্যাচারালি হয়ও না। ট্রেনকে উট রুখতে পারে না। আর এটাই মনেহয় চিরকালীন ভাবে প্রকৃত সংবাদিকতা, যুগে যুগে চূড়ান্ত ক্ষমতাবাণদের তীব্র গতির রেল গাড়ির সামনে কখনও কলম, কখনও ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাংবাদিকরা, শল্পীরা। মানবতার স্বার্থেই তারা থামাতে চেয়েছেন সেই দম্ভের রেল গাড়িকে। 

    আর আজ সাম্প্রদায়িকতা যখন ক্রমশ সাংবাদিকতার ভাষা হয়ে উঠছে, নানা দল ও চরম ক্ষমতাবাণদের লেজুর বৃত্তিই যখন সাংবাদিকতার মূল কাঠামো হয়ে উঠছে, সে সময় কথামুখের মত একদম ইন্ডিপেনডেন্ট চ্যানেলদের লড়াই হয়ে উঠছে অনেকটা ভাঙ্গা নৌকো নিয়ে মাঝ সমুদ্রের ঢেউএর সামনে বুকচিতিয়ে দাঁড়ানোর মতই একটা বিষয়।  বহু এরকম চ্যানেল আছে যারা একটা মোবাইল নিয়েই হয়তো লড়ছেন চূড়ান্ত সব ক্ষমতার বিরুদ্ধে ভয়ংকর অসম এক লড়াই। 

    তবে এখানে পরিষ্কার বলি আমার বোন মুনমুনের অন্তরিক সাপোর্ট না পেলে কথামুখ চ্যানেল কোনও দিন হয়তো তৈরিই হত না। ভাবনা মুখ চ্যানেলের নরেশ জৈন। এই নরেশ দা প্রবল ভাবে সাংবাদিকতার নতুন এক ভাষা নতুন মিডিয়া গড়ার চেষ্টা করেন। নরেশ দা আমায় দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল নতুন ভাবে শুরু করার বিষয়ে। আমার বন্ধুদের কাছে দারুণ ভাবে অনুরোধ  থাকবে নরেশদার চ্যানেলটিকে দেখার বিষয়ে। তাহলে আমরা হয়তো সংবাদের নতুন এক কারেন্টকেও খুঁজে পাব। 

    উর্দু সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সাংবাদিক ও ইউটিউবার শামীম হুসেন  ছারা কথামুখ এটুকুও এগতে পারতো না। ফলে কথামুখের একটা মুখ অবশ্যই শামীম ভাই। ভাই অনুরাগের বানানো কিছু থাম্বনেলই শুধু নয়। ওর ইনভল্ভমেন্ট ছারা কথামুখ হয়তো বর্ণময় হত না। এছাড়া এক সময় ইন্দ্রজিৎ। ট্রেভেল টেকার্সের তন্ময়। বন্ধু ইউটিউবার রবীন নস্কর। সঙ্গে তন্ময়ের তন্ময়। 

    বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনিয়র সাংবাদিক গৌতমদা, লেখক উপলদা, পাপানদা, ভাই গায়ক বিল্টু বা দেবজ্যোতি নানা ভাবে এদের সহচার্য ছারাও কথামুখ হয়তো এগতো না। 

    পরিশেষে বলি আমাদের বন্ধুত্বের এই সফরমালা বা যাত্রায় আজ আরও, আরও, আরও, অগনন বন্ধুর ভালবাসা চাই। আর সেটা না পেলে আমরা হয়তো আর এক পাও এগতে পারবো না। ফলে কথামুখ সহ প্রতিটা প্রকৃত ইন্ডিপেনডেন্ট মিডিয়ার পাশে দাঁড়ান। আমাদের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হোক। কেন না বন্ধু ছারা আর আছে কী ? সুতরাং এ দোস্তি হাম নেহি ছোরঙ্গে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন