এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • লুটেরার সন্তানের রাজ্যাভিষেকের দিনের ভাবনা

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ মে ২০২৩ | ৯০৬ বার পঠিত
  • প্রাক উপনিবেশ মোঘল ভারত ছিল ধনী দেশ। বৃটিশ অর্থনীতির তুলনায় মোঘল অর্থনীতি ছিল প্রবল মুদ্রা সঞ্চালন নির্ভর উন্নত অর্থনীতি। শুধু সমৃদ্ধ কৃষি নির্ভর বাণিজ্যিক কার্যকলাপ নয় রপ্তানি নির্ভর শিল্প ভিত্তিক এই অর্থনীতিকে ঠিক পূজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা নির্ভর আর্থনীতির আগের পর্যায় অর্থাৎ প্রোটো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ের অর্থনীতি বলা যায়। বিশেষত সবচেয়ে সমৃদ্ধ  মোঘল সুবা বাংলা ছিল এই নানারকম অর্থনৈতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রে যার প্রাণ  ছিল ঢাকা শহর। মোঘল অর্থনীতিতে অগ্রামীণ ক্ষেত্র জাতীয় অর্থনীতির ৫২শতাংশ ছিল। এই হিসেব করদান পরবর্তীকালীন। ইংরেজরা ছেড়ে যাবার সময় এই অগ্রামীণ ক্ষেত্র দেখা যাচ্ছে ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে। মোদা কথা বৃটিশ আমলে ভারতের চূড়ান্ত বিশিল্পায়ন ঘটে। বলা হয় ইংরেজরা পশ্চাদপদ এসিয়াটিক মোড অফ প্রোডাকশনের অবসান ঘটিয়ে পুঁজিবাদী  ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল মোড অফ প্রোডাকশন চালু করে। কথাটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্যি হলেও এই তথ্য বলছে ভারতের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষিতে তা অত্যন্ত  নেতি বাচক হয়েছিল। গোটা শিল্প বিপ্লবটাই কলোনির লুটের টাকায় হয়। আর উন্নত কলোনী ভারতকে লুট করেছে অনুন্নত অর্থনীতিতে উন্নত পুঁজিবাদী ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল মোড অফ প্রোডাকশনের ধারক বাহক বৃটিশ শাসকরা। এই লুটের পরিমাণ করেছেন ভারত সরকার। বিদেশ দপ্তর থেকে সাম্প্রতিক কালে জানানো হয়েছে যে বৃটিশ শাসকরা ভারত থেকে ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার লুট করে নিয়ে গেছে। এর জন্য বর্তমান বৃটেনের শাসকদের বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই। এমনকি বৃটেনের মাধ্যমিক /উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কলোনী শাসনের ইতিহাসও পড়ানো হয় না অর্থাৎ বৃটিশ শাসকদের এই লুটপাটের অতীত সম্বন্ধে ডোন্টকেয়ার প্রতারকের ভূমিকা অব্যাহত।  

    এই লুটেরার বংশধর কোন একজনের রাজ্যাভিষেকের  দিনে এইসব ভাবনা মাথায় আসে। আমরা কি ব্রিটিশ  সরকারের কাছে কোন ক্ষতিপূরণ  চাইব না? তাহলে আর এই বিশাল লুটের টাকার হিসেব জেনে কী লাভ?

    তথ্য সূত্র ঃ এ্যাংগাস ম্যাডিসন- ওয়ার্ড ইকোনমি
    ইকোনমি অফ মোঘল এম্পায়ার - শিরিন মুসভি
    আইন ই আকবরি - আবুল ফজল
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | ০৬ মে ২০২৩ ১৩:২৭519478
  • হা হা, প্রবাসী ভারতীয়রা পারলে অভিষেকের আগেই ক্যাম্প খাটিয়ে ধর্ণা দেয়৷ ডায়নার সঙ্গে চার্লসের বিয়ের সময় কী মাতামাতি, অথবা রাণীর মৃত্যুতে কী শোক! 
  • Sara Man | ০৭ মে ২০২৩ ১১:৩৮519499
  • জনৈক ঋষিকে প্রধান মন্ত্রী মেনে নিতে হয়েছে। লন্ডনের কোন রাস্তা গড়িয়াহাটের মত হয়েছে। ক্ষতিপূরণ একেবারেই হয়নি বলছেন?
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৭ মে ২০২৩ ১২:৪৬519500
  • কোহিনুর এর হাতবদলের ইতিহাস: 
     
    কাকতীয় রাজ মন্দির --> আলাউদ্দিন খিলজি --> মুঘল -->  নাদির শাহ --> দুরানি --> রঞ্জিত সিংহ -->  ভিক্টোরিয়া। আরো কিছু নাম থাকতেও পারে। 
     
    তো এই তালিকায় ঠিক কে বা কারা চোর নয় ? সবাই তো এটা পেয়েছে লুটের বখরা হিসেবেই-অন্য কিছু নাকি ?  ব্রিটিশ দের ছাড়া বাই চান্স অন্য কারোর হাতে থাকলে সে আজকে সোনামুখ করে ফেরত দিয়ে দিতো নাকি ? 
     
     
  • Upal Mukhopadhyay | 116.193.136.205 | ০৭ মে ২০২৩ ২২:৩৪519510
  • মধ্য যুগে বা প্রাক আধুনিক যুগে ইন্দো-মুসলিম শাসকরা বা হিন্দু রাজারা বর্বরতা করেছে। সেই বর্বতার অঙ্গাঙ্গি ছিল লুটপাট । তবে বিজয়নগরের রাজারা বা দিল্লী সুলতান শাহী বা মোঘলরা বা বা মারাঠা ও শিখরা সেই আহরিত সম্পদ আভ্যন্তরীণ সম্পদ সৃষ্টির কাজে বিনিয়োগ করেছিল তার প্রমাণ আছে। আধুনিকতার ধ্বজাধারী ইংরেজদের লুটের সঙ্গে আক্রমণকারী তৈমুর বা নাদির শা বা আহমদ শা আব্দালির লুটপাটের কোন তুলনা হয় না। এটা আধুনিকতার প্রোজেক্টের আড়ালে অকল্পনীয় লুট যে লুটের টাকায় গ্রেট ব্রিটেন আর তার শখের কলোনি আমেরিকা তৈরি হয়েছে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৮ মে ২০২৩ ০৫:২৮519536
  • ঘোরী, খিলজী, পাঠান, মুঘল, ব্রিটিশ ---সবই সমান। সব ব্যাটা ঘো লুঠেরা। সাধারণ মানুষ সর্বদাই শোষিত, নিপীড়িত।
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৮ মে ২০২৩ ০৬:১৭519537
  • সেটাই। সবই ক্ষমতা আর সুযোগ এর কম্বিনেশন র। মানুষের ৮০-৯০ % ইতিহাসটাই তো একে অন্যকে মেরে শোষণ করে এগিয়ে চলার। যবে থেকে মানুষ টুলস বানাতে শিখেছে , তারপর থেকেই হোমো সাপিয়েন্স ​​​​​​​রা ​​​​​​​আরো ​​​​​​​গোটা ​​​​​​​পাঁচেক হোমো ​​​​​​​স্পেসিস ​​​​​​​কে ​​​​​​​মেরে ​​​​​​​সাবাড় ​​​​​​​করেই ​​​​​​​আজকে একা ​​​​​​​দুনিয়ার মালিক ​​​​​​​হয়েছে। 
     
    পাঠান মুঘল মারাঠা দের লোকাল প্রেমিক রবিন হুড বা রঘু ডাকাত টাইপ্স আর ব্রিটিশ দের এক্কেরে ডার্থ ভেদার্স বা ঠানোস টাইপ্স দেখানো হলো গিয়ে সেই ইতিহাসের অতি সরলীকরণ। তারা মাস স্কেলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল এম্পায়ার বানিয়ে শোষণ করতে পারেনি কারণ তারা সেই টেকনোলজি বা বিদ্যে আগে জোগাড় করে উঠতে পারেনি। 
     
    করতে ​​​​​​​পারলে যে কি ​​​​​​​কি হতো বা হতে পারতো সেটা ​​​​​​​তো স্তালিন মাও ​​​​​​​পল ​​​​​​​পট ​​​​​​​হিটলার সাদ্দাম তালিবান ​​​​​​​জাপানিরা সব্বাই নিজের নিজের পাড়ায় দেখিয়ে ​​​​​​​দিয়েছে। ​​​​​​​তফাৎ ​​​​​​​শুধু ​​​​​​​স্কেলের - যার ​​​​​​​যতটা ​​​​​​​দম। 
     
    অবশ্য সব কিছুর পেছনে ঘুরে ফিরে আম্রিগার ​​​​​​​কালো ​​​​​​​হাত ​​​​​​​দেখতে ​​​​​​​পারলে ​​​​​​​অনেকের জীবন ​​​​​​​​​​​​​​সহজ ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​যায়। 
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৮ মে ২০২৩ ০৭:০০519540
  • লুঠ এখনও চলছে। ডাকাতদের ফ্ল্যাটভর্তি লুঠের টাকা। সাধারণ মানুষ এখনও শোষিত, নিপীড়িত।
  • Upal Mukhopadhyay | 116.193.136.30 | ০৮ মে ২০২৩ ১৪:৪২519556
  • বাঙালি ভদ্দরলোকের নির্মাণটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সম্পত্তির অধিকার সংক্রান্ত আইন নির্ভর। এটা বিস্তারে বলতে গিয়ে রণজিৎ গুহ এ বাংলা থেকে নির্বাসিত হন। আর মধ্য যুগ বা প্রাক আধুনিকতার প্রেক্ষাপটে ফিরিঙ্গিদের লুটের সাম্রাজ্য নির্মাণের প্রকল্পটা বিচার করতে গেলে ‘সবববাই খারাপ’ ছিল বলে কিছু গেঁজে ওঠা কলোনির জমিদার ভূত পাঁক থেকে মাথা তোলে। তাদের সারাক্ষণ চোখ পিটপিট করছে কলোনির পিচুটির ভারে।ভালো একটাই সেটা যে পিচুটিই এখন মেজরিটি না হলেও বোঝে অনেকে। রণজিৎবাবুর ভূত ওদের চিরকাল তাড়া করবে।
     
  • Amit | 118.208.156.31 | ০৮ মে ২০২৩ ১৪:৫০519557
  • তা আর বলতে। চাদ্দিকে এমন পারা ভুতের নেত্য দেখেই তো পালাতে হলো। :) :) 
  • এলেবেলে | ০৮ মে ২০২৩ ১৫:০৪519560
  • বটেই তো! সব শালাই চোর, খামোখা বেছে বেছে ব্রিটিশকে চোর বলা কেন? ওরা তো হুজুর মাই বাপ!!
     
    রমেশ দত্তের হিসেবে ভারতবর্ষ যে ৬২০ মিলিয়ন পাউন্ড লুঠ হয়েছে, তাতে যদি মাত্র সরল ৫% সুদ প্রয়োগ করা যায়, তাহলে তার পরিমাণ হবে ২০১৬-য় ভারতের জিডিপির ২/৩ অংশ কিংবা ২০১৫-র যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির ৪৫%। 
     
     মন্টগোমারি মার্টিনের হিসেবটা কিঞ্চিৎ এইরকম ---
    “For half a century,” wrote Montgomery Martin in 1838, “we have gone on draining from two to three and sometimes four million pounds sterling a year from India, which has been remitted to Great Britain to meet the deficiencies of commercial speculations, to pay the interest of debts, to support the home establishment, and to invest on England’s soil the accumulated wealth of those whose lives have been spent in Hindustan. I do not think it possible for human ingenuity to avert entirely the evil effects of a continued drain of three or four million pounds a year from a distant country like India, and which is never returned to it in any shape.”
     
    উৎসা পট্টনায়ক তার ভিত্তিতে হিসেব করে জানিয়েছেন --- If we take the mid-point of Dutt's period, 1869, and compound the total drain of £620 million at a very low 5 per cent interest rate (the present interest rate is 8 per cent), the resulting sum comes to £848.025 billion.This amounts to two-thirds of India's entire GDP at factor cost for 2016, and to 45 per cent of United Kingdom value GDP in 2015. (A sympathetic observer, Montgomery Martin, had compounded the drain at 12 per cent, the prevalent Indian interest rate. This would give us £11,930.54 trillion as the present value of £620 million, over six thousand times the 2015 GDP of the United Kingdom!)
     
    যাহাই মুঘল, তাহাই ব্রিটিশ ইত্যাদি অ্যাপোলজি নামিয়ে যাঁরা মূল বিষয়টাকে ঘেঁটে দিতে পারঙ্গম, তাঁদের বিষয়ে উৎসা পট্টনায়ক চাঁচাছোলাভাবে বলেছেন --- What the Mughals did was exactly what the Rajasthan princes also did. They taxed the people, but in moderation, and spent all taxes within the country. They settled here and did not retain any permanent ties with their places of origin. Clearly, the Mughals can in no way be equated with the British because there was no export drive, no cheating of local producers, and no tax-financed annual drain out of the sub-continent.
     
    চাড্ডিরা আর কি এমনি এমনি মুঘল যুগের ইতিহাস ছাঁটতে মরিয়া!
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb91:8825:990e:8696:becb:accd:83b5 | ০৮ মে ২০২৩ ১৮:৩৩519565
  • এলেবেলের সাথে একমত। ব্রিটিশ প্রভু আর মোগলদের এক করে দেখাটা, খুব ভদ্রভাবে বললেও, ভালো দাস হবার লক্ষণ।
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb91:8825:990e:8696:becb:accd:83b5 | ০৮ মে ২০২৩ ১৮:৩৯519568
  • মোগলরা ভারতের শিল্প ধ্বংস করেনি। ব্রিটিশরা যেটা করেছিল। তাঁতিদের বুড়ো আঙুল কেটে নেবার কাহিনী আজও মানুষ ভোলেনি।
  • সিএস | 49.37.38.228 | ০৮ মে ২০২৩ ২২:৫০519578
  • K N Chaudhuri নামে একজন ১৯৬৮ তে রিসার্চ করে দেখান যে ন্যাশনালিস্ট ইতিহাসবিদরা লতের পরিমাণ যতখানি দেখান, টাকার অংক ততখানি নয়।

    ১৯৬৮ র ঐ রিসার্চ সম্বন্ধে কোন ধারণাই নেই, সুমিত সরকারের 'মডার্ণ টাইমস' বইতে উল্লেখ দেখেছিলাম, সে বইতে বিশদে বর্ণনা ছিল কীভাবে টাকা ভারত থেকে ইংলণ্ডে যেত, জটিল পদ্ধতি বিশেষ, কিছুই বুঝতে পারিনি।

    নীচের লেখাটা এক বাঙালী LSE র প্রফেসরের, উৎসা পটনায়কের ৪৫ ট্রিলিয়নের সমালোচনা, সেখানেও ঐ K N Chaudhuri র উল্লেখ আছে।

    https://historyreclaimed.co.uk/did-the-british-loot-india/

    তো, ব্যাপার হল, দাবী তুললেই তো হল না, ব্যাপারটা করা হবে কী করে ? তীর্থঙ্কর রায়ের মত লোকজন তো তাদের যুক্তি নিয়ে চলে আসবে।

    উৎসা পট্নায়ক বলেছেন সব ক্যাপিটালিস্ট দেশগুলিরই উচিত, উন্নতিশীল দেশগুলোর জন্য টাকার ব্যবস্থা করা। সে করা মানে তো তাদের বাজেট - অর্থনীতিতে টাকার ব্যবস্থা করা। সে হিসেবই বা হবে কী করে কে জানে।

    উৎসা এও বলেছেন যে ৪৩ - এর মন্বন্তরের জন্য যেহেতু বৃটিশ রাজই দায়ী, অতএব শুধু সেই ঘটনার জন্যই ইংলণ্ড নৈতিক ভাবে দায়বদ্ধ reparation এর ব্যবস্থা করার জন্য। তো সে টাকাই বা কে পাবে, পঃবঃ, বাংলাদেশ, ভারত সরকার ?

    (এও মনে হল সেই ঘটনা বাবদ কিছু টাকাও যদি মমতা পায়, তাহলে নিশ্চয় খুশী হবে, মোদীজীর ওপর আর টাকার জন্য নির্ভর করতে হবে না।) ***

    তবে উৎসা পটনায়কের ৪৫ ট্রিলিয়নের হিসেব বেশ কয়েক বছর আগেই বেরিয়েছিল মনে হল, ২০১৮ র লেখাপত্তর দেখলাম, ৫ বছর তো কেটে গেল, কিছুই তো এখনো হল না! চার্লসের মাথায় মুকুট দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংখ্যাটা এখন ঘুরছে।

    *** কিন্তু টাকা পাওয়ার পরিস্থিতি হলে হাইকোর্ট - সুপ্রীম কোর্ট কেসে কেসে ছয়লাপ হয়ে যাবে।
  • সিএস | 49.37.38.228 | ০৮ মে ২০২৩ ২২:৫২519579
  • ** ন্যাশনালিস্ট ইতিহাসবিদরা লুটের পরিমাণ
     
     
  • সিএস | 49.37.38.228 | ০৮ মে ২০২৩ ২৩:১০519580
  •  K N Chaudhuri দিয়ে সার্চ করলে Kirti Narayan Chaudhuri কে পাওয়া যাচ্ছে, যিনি নীরদ চৌধুরীর দ্বিতীয় পুত্র  ! ১৯৬৮ র লেখা এরই কীনা কে জানে, সে লেখার মুল্য এখনো বা কী, তাও বুঝিনা ।
     
     
     
     
  • এলেবেলে | ০৮ মে ২০২৩ ২৩:২৭519581
  • কীর্তিনারায়ণ চৌধুরীর অত্যন্ত ভালো কাজ The Trading World of Asia and the English East India Company 1660-1760 প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে। পরে ২০০৬ সালে সে বইয়ের পুনর্মুদ্রণ হয়। 
     
    তীর্থঙ্কর রায় এটাল কেম্ব্রিজওয়ালারা খাজাস্য খাজা। আনন্দ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওপর লেখা বইটা পড়লে সে ধারণা আরও পোক্ত হবে।
     
    উৎসা পট্টনায়ক হাওয়ায় হাত ঘুরিয়ে হিসেবটা পেশ করেননি। বহু যুগ আগে রমেশ দত্ত লুঠের যে অঙ্ক কষেছিলেন এবং মন্টগোমারি মার্টিন এ বাবদ যে হিসেব কষেছিলেন, সে দুটোকে মাথায় রেখেই হিসেব কষেছেন। 
     
    তবে পলিটিশিয়ান তাঁতিদের বুড়ো আঙুল কেটে নেওয়ার যে কথা বলেছেন, সেটা জনশ্রুতি। ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ ১ কোটি বাঙালিকে ভাতে মেরেছিল। তার ৪৫ বছরের মধ্যেই কেবল বস্ত্রশিল্পে আরও ১ কোটি বাঙালিকে হাতে মারে।
  • Upal Mukhopadhyay | 116.193.136.30 | ০৯ মে ২০২৩ ০২:০৬519592
  • আমি বৃটিশ শাসকদের ৪৫ ট্রিলিয়ন লুটের প্রসঙ্গক্রমে ভারত সরকারের গৃহীত অবস্থানের কথা বলেছিলাম। অবস্থান নেব আর তারপর বেমালুম ভুলে যাব এ কেমন কথা। তারপর দেখছি কেউ কেউ মানেনই না ব্রিটিশরা আলাদা কোন অপরাধ করেছে। কেউবা এই হিসেবের মেথডলজি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করছেন। তাতে কেউ কেউ আবার এই হিসেবের আসলি প্রণেতা অধ্যাপক উৎসা পট্টনায়েকের মতের সমালোচক কিছু লেখার কথাও আনছেন। সব মিলিয়ে হিংটিং ছট কেস। গোটা বৃটিশ শাসনটাই দূর্ভিক্ষ,মহামারী আর লুটপাটের ইতিহাস এটা নিয়ে সহমত হতে আমাদের কত বছর লাগবে ?
  • আধুনিকতার খোঁজে | 113.21.78.86 | ০৯ মে ২০২৩ ০২:২৩519594
  • সাদাদের নিয়ন্ত্রিত পৃথিবীতে সেই নিয়ন্ত্রণের সুবিধেভোগীরা আপনার সঙ্গে সহমত হবে এটা ভাবছেনই বা কেন? 
  • পলিটিশিয়ান | 12.151.47.154 | ০৯ মে ২০২৩ ০৭:৪৯519604
  • তাঁতিদের বুড়ো আঙ্গুল কেটে নেওয়াটা যে গল্প সেটা তো জানতাম না। আর একটু ডিটেলে বলুন পারলে। গল্পটা কখন তৈরী হল, কে বানাল ইত্যাদি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন