এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  উপন্যাস  শনিবারবেলা

  • কালো রামধনু - ১১

    অভিজিত মজুমদার
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৬২০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (৪ জন)
  • মূল ছবি - cottonbro

    পর্ব এগারো



    সৌম্যদের ফ্ল্যাট আজ জমজমাট। কেস সলভের উদযাপনে জড়ো হয়েছে সবাই। সবাই বলতে সাতজন। সৌম্য, রজত, মানস, পৃথা, মহেশ, দিব্যেন্দুবাবু, এবং সোহিনীদেবী। ওদের দু’-কামরার ফ্ল্যাটের পক্ষে অনেক লোক।

    সোহিনীদেবী চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দিব্যেন্দুবাবুকে বললেন, “আপনার সাহস আছে মশাই। সরকারি চাকরি করে মন্ত্রীকে জেলে পুরলেন?”
    দিব্যেন্দুবাবু বললেন, “আমিও যে একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম না এমন কিন্তু ভাববেন না। তবে ইনহেলারের গায়ে তুষারবাবুর আঙুলের ছাপটা পেয়ে যাওয়ায় অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া গেছিল। ওই পলিটিক্যাল পার্টির লোকজন বলে না, কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও – শেষমেশ ওই কালো হাতই বাঁচাল। তবে কদ্দিন ভেতরে থাকবেন কে জানে? হয়তো দু’দিন বাদেই জামিনে বাইরে এসে আমায় বদলি করে দেবেন কোনো উল্টোপাল্টা জায়গায়। তবে পার্টি মোটামুটি দায় ঝেড়ে ফেলেছে। তাই আশা করছি খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারবেন না।”

    পৃথা, হঠাৎ কিছু মনে পড়ে গেছে এমনভাবে বলল, “মানে ওই ইনহেলারটা যেটা রজতবাবু আমাকে দিলেন ট্যাক্সিতে ওঠার সময়। বললেন হাত না লাগাতে? ওইটায় তুষারবাবুর হাতের ছাপ আছে?”
    রজত লক্ষ্য করলো যে পৃথা তুষারবাবুকে “বাবা” বলে সম্বোধন করা ছেড়ে দিয়েছে। রজত মনে মনে ভাবল, এরকম একটা ঘটনার পর নিজের বাবাকেই বাবা বলে ডাকার প্রবৃত্তি হবে না, ইনি তো শ্বশুর। পৃথা তবু ভাল, এখনো নামের শেষে “বাবু” লাগাচ্ছে। রজত নিজে হলে সম্ভবত অন্য কিছু লাগাত।

    তারপর একটু হেসে পৃথার প্রশ্নের উত্তরে বলল, “আপনার কি মনে হয়, যে ওরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ এভিডেন্স আমরা বা পুলিশ এ’রকমভাবে লোকজনের হাতে তুলে দেবে? আসলে এই কেসটার অনেকটাই দাঁড়িয়ে ছিল আপনার অবস্থানের ওপর। তুহিন যে ইনহেলারে মেশানো বিষ থেকেই মারা গেছিল, সে তো ঋকের বাড়ি থেকে ইনহেলারটা উদ্ধার করে তার অ্যানালিসিস করেই বোঝা গেল। কিন্তু প্রশ্নটা থেকে গেল – ওকে ইনহেলারটা দিল কে? তুহিনের কাজের দিন সৌম্য আপনাকে ইনহেলার নিতে দেখেছিল। তাই সবথেকে বেশি সম্ভাবনাটা আপনার দিকেই ছিল। ঋকের বাড়িতে পাওয়া ইনহেলারের গায়ে অবভিয়াসলি আপনার হাতের ছাপও পাওয়া গেল। সুতরাং আমরা ধরেই নিলাম যে ওই ইনহেলারটা তুহিনকে আপনিই দিয়েছিলেন। তাহলে প্রশ্নটা গিয়ে দাঁড়ালো যে আপনি কি জেনেশুনে ওকে বিষ মেশানো ইনহেলারটা দিয়েছিলেন, নাকি নিজের অজান্তে? যদি আপনি নিজের অজান্তে দিযে থাকেন, তাহলে খুনির লক্ষ্য তুহিন ছিল না, ছিলেন আপনি। তাই এই প্রশ্নটার উত্তর জানাটা খুব প্রয়োজন ছিল। সেই জন্য সেইদিন ইনহেলারটা হঠাৎ করে আপনাকে দেওয়া হল যখন আপনি তাড়াহুড়োর মধ্যে আছেন। আপনি হাতে নিয়েই স্বাভাবিক প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় বললেন, যে এটা আপনিই তুহিনকে দিয়েছিলেন। যদি ওই ইনহেলারে আপনিই বিষ মিশিয়ে রাখতেন, তাহলে কি সেটা নিজে থেকেই স্বতস্ফূর্তভাবে আমাদের বলে দিতেন?”

    পৃথা জিজ্ঞেস করল, “আর আমি যদি জেনেশুনে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য ওটা বলে থাকি?”
    সৌম্য হা হা করে হেসে বলল, “রজতের অবজারভেশন লাই ডিটেক্টরের ওপর দিয়ে যায়। মিথ্যে বলে ওর হাত থেকে বাঁচা মুশকিল। তাই আমিও কোনো গণ্ডগোল করলে সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করে নিই। কক্ষনো লুকোই না।”
    রজত সৌম্যর কথায় একটু লজ্জা পেয়ে বলল, “না, তেমন কিছু নয়। কিন্তু অত কিছু ভেবে উত্তর দেওয়ার জন্য আপনার তো একটু সময় চাই। আপনি কিন্তু সেদিন কোনো সময় নেননি। তাছাড়া আপনার মুখ চোখের অভিব্যক্তিরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। এতটা করতে হলে আপনাকে পেশাদার অপরাধী হতে হবে।”

    পৃথা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “আপনারা তো খুব খারাপ লোক মশাই। ওই দিন ও’রকম দুম করে আমাকে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে গেলেন, কী ভয়ানক টেনশনে ছিলাম, সে আর আপনারা কী বুঝবেন?”
    রজত খানিকটা কৈফিয়ত দেওয়ার মত করে বলল, “না না, আপনাকে হেনস্থা করার কোনো অভিপ্রায় আমাদের ছিল না। কিন্তু ওই বাড়িতে আপনাকে রাখতে আমরা সাহস পাচ্ছিলাম না। যতই হোক, সাপ যে আবার ছোবল মারবে না – তার গ্যারান্টি কী?”
    মানস একটু ফিক করে হেসে বলল, “হোমো সাপ”। তারপর বলল, “কিন্তু আমাকে একটা জিনিস বল, লোকটা যখন নিজেই গে, তখন ছেলেকে এত হেনস্থা করতো কেন?”

    সৌম্য বলল, “এটাকে আসলে বলে ইন্টার্নালাইজড হোমোফোবিয়া। অনেক হোমোফোবিক মানুষ আসলে নিজেরাই গে বা লেসবিয়ান। নিজেদের ওরিয়েন্টেশনকে ঢাকতে এরা ওভার কম্পেনসেশন করে আরো বেশি বেশি হোমোফোবিক হয়ে যায়। এরা সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে, যে যদি এরা কুইয়ার মানুষজনকে সাপোর্ট করে, তবে লোকে এদের কুইয়ার ভাববে। তুষারবাবুও তাদের মধ্যে একজন। তার সাথেই ছিল কনজারভেটিভ ভোটব্যাংক হারানোর ভয়। সব মিলিয়ে উনি ওই রকম হোমোফোবিক হয়ে উঠেছিলেন। তবে শুধু তুষারবাবু নন, মনে রাখিস আমাদের পলিটিশিয়ানদের অনেকেই এর শিকার। আমি ধরে ধরে এরকম বেশ কয়েকজন পলিটিশিয়ানের নাম বলে দিতে পারি। বিশেষত দিল্লি আর ব্যাঙ্গালোরের। আর আনন্দের মত এরকম অল্পবয়সী, আকর্ষক ছেলেরা এইসব হাই এন্ড ক্লায়েন্টদের গোপনে সার্ভিস দেয়, ফর সাম ক্যুইক ক্যাশ। অল গোজ ওয়েল যতক্ষণ না কোনও গোপন ক্যামেরায় কিছু রেকর্ড হয়ে যায়।”

    “কিন্তু তুহিনটাই বা এমন বাপের জন্য এতটা রিস্ক কেন নিতে গেল বল তো?” মানস আবার জিজ্ঞেস করল।
    সৌম্য একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, “সেটাই তো আমাদের চরিত্রের বৈশিষ্ট। কাছের লোক, বিশেষত বাবা-মায়ের থেকে approval পাওয়ার জন্য আমরা সারা জীবন অপেক্ষা করে থাকি। তুহিনও সম্ভবত সেটাই ভেবেছিল, যে তুষারবাবুকে এই বিপদ থেকে বাঁচালে হয়তো উনি ওকে মেনে নেবেন। ও বুঝতে পারেনি, যে মেনে নেওয়া আর না নেওয়া – সেটা তুই কী করলি আর না করলি তার ওপর ডিপেন্ড করে না। এটা তো ঠিক ট্রান্সাকশনের ব্যাপার নয়। আসলে তুহিনের প্রতি তুষারবাবুর যে ব্যবহারটা ছিল, সেটা ছিল নিজের প্রতি ঘৃণার রিফ্লেকশন। তার সঙ্গে তুহিন কী করল, না করল – তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।”

    “সত্যি বাবা” হঠাৎ একটা স্বগতোক্তি বার হয়ে এল সোহিনীদেবীর মুখ থেকে। “ঘাটের মড়া বুড়ো বউটাকে মারতে গিয়ে ছেলেকে মারল আর শেষে নিজেই কিনা… ছিঃ।”
    রজত বুঝতে পারল না, সোহিনীদেবী ঠিক কোনটাকে ছিঃ বললেন। তুষারবাবুর আচরণকে, না সমকামিতাকে। ও একটু ক্ষুব্ধ স্বরেই বলল, “স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকে জোর করে ঢাকাচাপা দিয়ে রাখলে তা পচে উঠে গন্ধ বেরোবেই।”
    সেহিনীদেবী বললেন, “তা ঢাকাচাপা দিয়ে রাখাই বা কেন বাপু?”
    রজত গোমড়ামুখে বলল, “ঢাকা চাপা না দিয়ে রাখার জো আছে? সত্যি কথা শোনার সাহস কজনের আছে?”
    সোহিনীদেবী একটু তীক্ষ্ণ স্বরেই বললেন, “বলার সাহসই বা ক’জনের আছে?”

    তারপর সোজা সৌম্যর দিকে ফিরে বললেন, “তোমাদের বাসায় দুটো শোওয়ার ঘর। আমি না থাকলে রজত নাকি এই গেস্টরুমটায় শোয়। তা আমাকে একটা কথা একটু বুঝিয়ে বলবি, যে ছেলে গরমে দিনে তিনবার চান না করে থাকতে পারে না, সে ওই ঢিকিস ঢিকিস ফ্যানের তলায় কী করে এই কলকাতার গরমে রাত কাটায়? আর কেনই বা পুরো গরমকালে পাখাটাকে সারিয়ে নেয় না?”
    তারপর রজতের দিকে ফিরে বললেন, “আর তুমি বাপু নাকি কাজের জন্য এই বাড়িতে থাকলে ওই গেস্টরুমেই শোও। তা এই বাথরুমে রাখা টুথপেস্টটার গায়ে এত ধুলো জমে কোত্থেকে বলতে পার? প্রতি দু’-তিন মাস পরপর এসে দেখি ওই বাথরুমের পেস্ট-সাবান পাল্টে যায়, এই বাথরুমে পেস্টের টিউবের গায়ে আমি যেমনটি দাগ কেটে রেখে যাই, তেমনটিই থাকে। এতটুকুনি খরচ হয় না। অথচ ফোনে প্রায়ই শুনি, তুমি নাকি রাত্রে কাজের প্রয়োজনে এখানে ছিল। তা বাপু, মুখটুখ ধোও না নাকি? নাকি রাত্রে এই ঘরে শুয়ে সকালে উঠে ওই বাথরুমে যাও মুখ ধুতে?”

    সোহিনীদেবীর কথা বলার ধরণ শুনে সবাই হো হো করে হাসতে শুরু করে দিল। পৃথা বলল, “কাকিমার তো সাংঘাতিক নজর!”
    সোহিনীদেবী বললেন, “সাংঘাতিক নজরের আর কী দরকার বল তো? তিরিশ পেরুনো দুটো ছেলে বিয়ে-থা না করে একসাথে থাকছে, একজনের বাড়ির তেল-নুন-মশলা মায় ঘর মোছার ন্যাকড়াটা কোথায় থাকে সেটা অন্যজন জানে, আর অন্যজনের কোন খাবারে কতটা নুন লাগে সেটা প্রথমজন জানে। তার ওপর আবার একজনের বিয়ের কথা বললে অন্যের মুখ গোমড়া হয়ে যায়। আরে বাবা, আমিও তো ইস্কুলে পড়িয়েছি, নাকি? এতদিনে কম ছেলেপুলে তো দেখলাম না। কোনটা বন্ধুত্ব আর কোনটা তার থেকে বেশি কিছু, তা ক্লাসে বসে ফিসফিস করার রকম দেখেই বুঝতে পারি।”
    সৌম্য একটু অনুযোগের গলায় বলল, “তাহলে এতদিন বিয়ে বিয়ে করতে কেন?”
    সোহিনী দেবী বললেন, “বিয়ে করে থিতু হতে বলেছি। কিন্তু মেয়ে বিয়ে করতে হবে এমন কখনো বলেছি? এখনো তো বলছি, বিয়ে করবি তো করে নে। আমি দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেব।”

    মানস হাঁ হয়ে বলল, “বাপ রে, কাকিমা তো পুরো অ্যাক্টিভিস্ট! লোকজনের কথারও কোনো টেনশন নেই দেখছি।”
    সোহিনীদেবী একটু গাঢ় গলায় বললেন, “লোকজন? সৌম্যর বাবা মারা যাওয়ার পর ঝড় ঝাপ্টা সামলে এই যে ছেলেকে বড় করলাম, ক’টা লোকজন এসে সাহায্য করেছে যে আজ কিছু বলতে আসবে?”
    তারপর মানসকে একটু হালকা গলায় বললেন, “তুমিও যদি কাউকে পাও তো নিয়ে এস। এক লগ্নেই বিয়ে দিয়ে দিই। কেউ আছে তো বল, লুকিয়ে রেখ না।”

    মানস হাতজোড় করে বলল, “পেলেই সোজা আপনার কাছে নিয়ে আসব কাকিমা। নো ঢাকাচাপা। আপনার কাছে লুকিয়ে লাভ নেই বুঝে গেছি। আপনি শার্লকহোমসের বাবা!”
    সোহিনীদেবী বললেন, “ধুর মুখপোড়া। ওই সাদা চামড়ার বাপ কেন হতে যাব? কেন সৌম্য-রজতের মা বুঝি গোয়েন্দা হতে পারে না? ওই যে ঋতুপর্ণর সিনেমাটায় রাখির মত।”
    রজত হঠাৎ স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে চেঁচিয়ে উঠল, “থ্রি চিয়ার্স ফর কাকিমা ডিটেক্টিভ, হিপ হিপ হুররে।”
    সৌম্য উঠে গিয়ে সোহিনীদেবীর কাঁধে মাথা রাখল।
    ঘরে তখন সবার মুখে হাসি, চোখে জল।


    (শেষ)

    এই লেখাটা উৎসর্গ করলাম বন্ধু জয়দীপের স্বর্গগতা মা এবং আমাদের কাকিমা মমতা জানা এবং তাঁদের মত বাকি অনেক মায়েদেরকে যাঁরা শুধু সমাজের নয়, নিজেদেরও অনেকদিনের জানাবোঝার বাইরে বেরিয়ে তাঁদের সমকামী সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মত মানুষদের জন্যই ভারতের প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের ওপর থেকে ৩৭৭-এর অভিশাপ সরে গেছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৬২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Champa | 2601:2c3:8781:410:d492:4a2d:32ce:b256 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪০511801
  • Bah bhalo hoyechhe. Tobe Tushar babu ke gay na bole bi bolle character gulo besi khulto. Tushar babur to chhele achhe. Tuhin er ma er sathe ghor songsar korechhe but for a pleasure olpo boyosi chheler sathe somporko Kore. Normally jemon straight politician ra Kore olpo boyosi meye der sathe.
    Tuhin er case ta onno rokom .Pritha r sathe ghor korte pareni. They were just good friend. So Tushar babu ar Tuhin er obosthan ke ek jayga te rakha jay na.
  • Ahana Majumder | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪১511802
  • দুর্দান্ত সমাপ্তি 
  • Neiladri | 2401:4900:1d52:aaed:9c47:5a35:73e:9d9f | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪৪511803
  • খুব ভালো লাগলো উপন্যাশটা ! এই জুটির আরো কাহিনি পড়ার আশা রাখলাম |
  • অভিজিৎ | 103.21.127.60 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:০৮511807
  • এমন বহু গে রয়েছেন যাঁরা বিবাহিত, রীতিমত সংসারী, ছেলেপুলে রয়েছে। তুহিনেরও তো মেয়ে রয়েছে গল্পে। তুষারবাবুর সারাজীবন ঘোর সংসার করার কারণ ওনার বাই হওয়া নয়, ওনাদের সময়, নিজেকে মেনে নিতে না পারা, এবং তৎকালীন স্ত্রীদের অসহায়তা।
     
    বিয়িং সেড দ্যাট, হি কুড বি বাই টু। এমনকি রীতিমত স্ট্রেটও হতে পারেন। বহু স্ট্রেট মানুষ সমকামি যৌনতায় অংশগ্রহণ করেন, জাস্ট ফর ফান। 
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:2107:955d:4c73:bd0a | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৪৯511818
  • হ্যাটস অফ টু সোহিনী দেবী! এইরকম মানুষের খুব দরকার এই সমাজে। ভালো লেগেছে এই উপন্যাস। রজত ও সৌম্যর আরো গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
  • অন্তরা ব্যানার্জী | 2402:3a80:1964:48bc:378:5634:1232:5476 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৪৭511845
  • রজত আর সৌম্যর আরো কাহিনি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
  • Mahua Banerjee | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৪৫511848
  • শুরু থেকে শেষ অবধি আগ্রহ নিয়ে পড়লাম, দারুন লাগলো। চমৎকার টানটান কাহিনী। তবে প্রচুর চরিত্র ও তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক আরেকটু সময় নিয়ে প্রতিষ্ঠা করলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো। শেষ পর্বটি দারুন, সপাটে ছক্কা। মা গোয়েন্দা জিন্দাবাদ, সৎ সম্পর্কের উদযাপন জিন্দাবাদ।
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৪৩511850
  • জয়দীপের মা অসম্ভব সাহসী মানুষ। দিদাও। এ গল্প শুধু গোয়েন্দা গল্প নয়, পুরো বর্ণ ফ্রি!
  • Krishna Ray | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৪৯511868
  • Unique style of writing, enjoyed the whole story with suspense, a wonderful detective story told by a successful scientist in a simple lucid amazingly enjoyable style.
  • Nirmalya Nag | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:২১511878
  • শেষ পর্বে তো আরও এক গোয়েন্দার আবির্ভাব হল। খুব ভাল।
  • Swati Ray | 117.194.32.116 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৫০511932
  • অপুর্ব! শেষটা জমে ক্ষীর! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন