এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জাপান ১০

    Rumjhum Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ মে ২০২২ | ৫৯২ বার পঠিত
  • ওসাকা থেকে জে আর রেল পাস দিয়ে ইয়ামাতোজি লাইনের ট্রেন ধরে আমরা ষোল’শো শতক থেকে সিধে পৌঁছে গেলাম অষ্টম শতকের ইতিহাসের শহর নারা তে। ওখান থেকে ট্যাক্সি করে সিধে কোফুকুজি মন্দিরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া গেল। নারা যুগ বলতে জাপানের ইতিহাসে ৭১০ থেকে ৭৯৪ সাল পর্যন্ত বোঝায়। জাপানের রাজতন্ত্রের শৈশব পর্বে ৭১০ সালে এখানে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন রানী গেমমেই। তখন সমাজ জীবন ছিল সরল, সাধারণ। চাষবাস ছিল সাধারণ মানুষের জীবিকা এবং তাদের জীবন ছিল গ্রাম কেন্দ্রিক। তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই শিন্তো ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। এমন একটা সময়ে জাপানে আস্তে আস্তে চৈনিক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং বুদ্ধ ধর্ম বিশেষ স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে জাপানের সংস্কৃতিতে। নারাতে উনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ‘হিস্টোরিক মনুমেন্টস অফ অ্যা্নসিয়েন্ট নারা’ বলে আটটা মন্দির ও স্রাইন, এবং কিছু ধ্বংসস্তূপকে চিহ্নিত করে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমাদের পক্ষে সব কটা দেখা সম্ভব হবে না তাই ঠিক করলাম সব থেকে বেশি পরিচিত ও পুরোণো দুটো দেখব আর দেখবো একটা পুরোণো বাগান। প্রথমে পৌঁছোলাম কোফুকুজি মন্দিরে। জাপান ভ্রমণে এসে কতো কি জানতে পারলাম তার ইয়ত্তা নেই। কোফুকুজি, শান্তির মন্দির (Temple of Happiness) নামে পরিচিত এই বৌদ্ধ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয় ৬১০ সালে। পরে ৭১০ সালে যখন জাপান সাম্রাজ্ঞী নারাতে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন তখন এই মন্দিরও স্থানান্তরিত হয়ে নারাতে প্রতিষ্ঠা পায়। পরবর্তীকালে হেইয়ান যুগে ক্ষমতাশালী ফুজিয়ারা গোষ্ঠীর পারিবারিক উপাসনা মন্দির হয়ে দাঁড়ায় কোফুকুজি মন্দির। হেইয়ান যুগে ফুজিয়ারা গোষ্ঠীর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সে গল্পতো আগেই বলেছি। ফলে এই মোনাস্ট্রী ফুজিয়ারা গোষ্ঠীর সৌজন্যে প্রচুর আর্থিক অনুদান পেতে থাকে, এবং জাপানের রাজনীতিতেও নাক গলাতে শুরু করে। প্রাচীন জাপানের অন্যান্য মোনাস্ট্রীর মতো, কোফুকুজি মোনাস্ট্রীও অর্থের জোরে সন্ন্যাসীদের অস্ত্র শিক্ষা দেওয়া ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখতে শুরু করে।  এই নিজস্ব সেনা বাহিনীর জোরেই তারা জাপানের রাজনীতিতে শক্তপোক্তভাবে নিজেদের অবস্থান জারি রাখে। ১০০৬ সালে পারতপক্ষে এই মন্দিরের সেনা সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৩০০০, আর ১০৮১ সালে কোফুকু সৈন্য সরাসরি অন্য মোনাস্ট্রী আক্রমণ করে। ভগবান বুদ্ধ সমগ্র পৃথিবীকে যে শান্তির খোঁজ দিয়েছিলেন তাঁরই অনুসরণকারীদের হাতে তার চরম অবমাননার সাক্ষী হয়ে থাকল ইতিহাস। পরবর্তীকালে ফুজিয়ারা বংশের ক্ষমতা হ্রাসের ফলে অন্য গোষ্ঠী এই মোনাস্ট্রী আক্রমণ করে ও অধিকাংশ স্থাপত্য ধ্বংস করে। এভাবেই বার বার আক্রান্ত হতে হতে অবশেষে ১৮৮১ সালে এই বৌদ্ধ মন্দিরের পুনর্বাসন শুরু হয়। এত যুদ্ধ, এত ধ্বংস, এত ক্ষমতায়ন সে সবের লেশমাত্র আজ নেই কোফুকুজি মন্দিরের চত্বরে। সময়ের ঢেউ সে সব সংঘাতের চিহ্ন ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে। এককালে নাকি এখানে তিনটি প্রধান হল ছিল, আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে একখানি মাত্র। নাম তার ইস্ট্রার্ন গোল্ডেন হল। ট্যাক্সি থেকে নেমে বেশ অনেকগুলো সিঁড়ি পেরিয়ে তবে মন্দির চত্বরে হাজির হলাম। যথারীতি শুদ্ধিকরণের টেমিযুয়া চোখে পড়ল। সামনে দেখলাম ভারি সুন্দর একটা অষ্টভুজাকৃতি মন্দির। ভিতরে প্রবেশের ব্যবস্থা নেই যদিও। এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম পাঁচ তলা উচ্চতার একটা প্যাগোডা। বারশো শতকের এই সুউচ্চ প্যাগোডা সত্যিই নজর কাড়তে বাধ্য। সমস্ত মন্দির চত্বর জুড়ে অখন্ড শান্তির পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই এখানেও এককালে অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করে যুদ্ধ ও হিংসার প্রস্তুতি চলত। ঘুরে দেখছি সব, আর মনের মণিকোঠায় জমা হচ্ছে ধনরতন। এখানে মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে বহু ঐতিহাসিক সামগ্রী। প্রধান হলে ইয়াকাসু ন্যুরাই মেডিসিন বুদ্ধ নামে যিনি পরিচিত তাঁর দুই সঙ্গী নিয়ে অবস্থান করেছেন সেই সৃষ্টির আদিম যুগ থেকে। রোগ যন্ত্রণামুক্ত দীর্ঘ জীবনের সন্ধান দিতে পারেন বুদ্ধ। বৌদ্ধ ধর্ম সম্বন্ধে অজ্ঞ আমরা দেখলাম বিরাট এক বুদ্ধ মুর্তি বিরাট বড় পদ্ম ফুলের ওপর অবস্থান করছেন। কিছু না বুঝেও সৌম্য সে মূর্তি দেখে আপনি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এল। সমর্পণের বোধ হয় কোন দেশ-কাল-পাত্র হয় না। আমরা দু বোন অসীম শ্রদ্ধায় মাথা নত করলাম।
    চরৈবতি এখন আমাদের জপমন্ত্র। কোফুকুজি দেখে বেরিয়ে পড়লাম নতুন গন্তব্যের দিকে। একটা ট্যাক্সি ডেকে উঠে পড়া গেল। জাপানে ঘোরার একটা সুবিধা হল এখানের মানুষ লোক ঠকানো কি সেটা যেন বোঝেই না। কেউ যে কারোকে অকারণে ঠকাতে পারে এমনটা তারা ভাবতেও পারে না। হয়তো সব কিছুর মূল্য আমাদের দেশের তুলনায় অনেকটা বেশি কিন্তু মানসিক শান্তি ও নিশ্চিন্তভাব এখানে অনেক বেশি। যেতে যেতে নজরে পড়ল মন্দির সংলগ্ন পার্কে অনেক হরিণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। টুরিষ্টের ভিড়ও আছে বেশ। আমরা চলেছি ইসুইএন গার্ডেন। যতক্ষণ না পৌঁছাই সেরে নি চা পান উৎসব সম্বন্ধে দু’চার কথা। 
    জাপানে চা পানের ইতিহাস শুরু নবম শতকে। এইচু নামের এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী চীন থেকে শিখে এসে সম্রাট সাগাকে নিজের হাতে জাপানী গ্রীণ টি বানিয়ে পান করান। সম্রাট তো ভীষণ খুশি। সেটা ৮১৫ সাল। স্বভাবতঃ রাজার শখ হল জাপানেও চা চাষ করা হোক। সেই মতো নির্দেশও জারি হলো। চীনে তখন চায়ের ঔষধী গুণ ও চা পানের আনন্দ দুই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এরপর চা পানের চল জাপানে কিছুটা থিতু হয়ে গেলেও বারশো শতকে আর এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী চীন থেকে আসার সময় খুব ভাল জাতের চায়ের বীজ সঙ্গে নিয়ে আসেন। সেই চা জাপানে চাষ করে উচ্চ মাণের চা উৎপাদন করা হয়। পরবর্তীকালে কামাকুরা যুগে ( ১৩ শো শতক) যোদ্ধা শ্রেণীর মধ্যে চা পান বেশ স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে দাঁড়ায়। এখানে ওখানে প্রায়ই চায়ের গুণমান নির্ধারণ করার পার্টি শুরু হয় জাপানীতে তাকে বলা হয় তোচা। কোন চায়ের গুণগত মান সব থেকে ভাল বলতে পারলেঅতিথিদের জন্য অনেক পুরস্কারের বন্দোবস্ত থাকত এই সব পার্টিতে।জাপানে চা পান শুধু আনন্দ ফুর্তির জন্য নয়, আত্মার রূপান্তরের জন্য আবশ্যিক বলে বিবেচনা করা হয়। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। চা পান সেখানে শুধু বিনোদন নয়, চা পানের মধ্যে দিয়ে আত্মোপলদ্ধির পথও খুঁজেছেন জাপানের মানুষ। অন্তরের শূন্যতাকে উপলব্ধি করে নিজের মধ্যে অসীম সম্ভাবনার যে উৎসস্থল আছে সেই আলোর সন্ধান পেতে অনেক যত্ন করে, ধাপে ধাপে চা পানের যে প্রচলন জাপানে আছে তা আমাদের মতো উড়নচন্ডী বাঙালির বোধের অগম্য। তোয়োতোমি হিদেয়োশির কালে সেন নো রিক্যু ছিলেন নাম করা টি মাস্টার। তিনি চা পানের ধাপগুলি কি কি হবে তা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন, ‘দ্য ওয়ে অফ টি’ মানে জাপানী চা উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। সে সময় রাজনীতি আর চা পান উৎসব যেন মিথোজীবী হিসাবে জাপানের সমাজ জীবনে দেখা দেয়। হায় নশ্বর এই মনুষ্য জীবন। রিক্যুকেও যেতে হয়েছিল এই পৃথিবী ছেড়ে, তার প্রিয় দেশ ছেড়ে। কিন্তু তাঁর প্রবর্তিত চা পানের ধারার মাধ্যমে সমতা, শ্রদ্ধা, পবিত্রতা আর প্রশান্তির যে ধারা আজও জাপানে অব্যাহত আছে তা মৃত্যুঞ্জয়ী। চা পান উৎসবকে ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন ধারা গড়ে উঠেছে। সে সব ধারার রীতিনীতি আলাদা, বছরের কোন সময়ে বা দিনের কোন সময়ে পালিত হবে, কোন জায়গায় হবে, কি ভাবে হবে সে সব আলাদা আলাদা নিয়মে চলে। মোদ্দা কথা আমি জাপানের চা পান উৎসব সম্বন্ধে যা বুঝেছি তা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি এই স্বল্পপরিসরে। চা পান উৎসবে বাসনপত্র অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন করতে হয়, রীতিনীতি মেনে খাবার রান্না করতে হয়, পরিধেয় বস্ত্র এবং প্রতিটি মুভমেন্ট নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হয়। ফুলের সজ্জা থেকে অতিথি আপ্যায়ন সবটাই খুব যত্ন সহকারে আর প্রোটোকল মেনে করা হয়। নিয়মের নিগোড়ে একে বিচার না করে এই নিষ্ঠার পিছনে আসল উদ্দেশ্যটাকে বোঝা বিশেষ প্রয়োজন। একটা সজ্জিত পরিবেশে গৃহকর্তার সঙ্গে চা পানের মাধ্যমে অতিথির যে আত্মিক যোগাযোগ গড়ে উঠতে পারে তার মূল্য অপরিসীম। অনুষঙ্গের ওপর এত জোর শুধু সেই  মূহুর্তে উত্তোরণের পথ সুগম করে তোলার জন্য। আমাদের ট্যাক্সি পৌঁছে গেল ইসুইএন গার্ডেনের সামনে। যদিও কোফুকুজি মন্দির থেকে খুব বেশি দূরে নয় এই বাগান তবু আমরা সময় বাঁচানোর জন্য ট্যাক্সি করে এলাম। টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকলাম। এককথায় চোখ জুড়নো সৌন্দর্য বাগানের। ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম বাগান। মাঝ বরাবর একটা বড় জলাশয় আছে। তার চারপাশ ঘিরে তৈরি করা হয়েছে বাগান। কালে কালে নারার কিছু ব্যবসাদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে এই বাগান। বেশ কয়েকটা সনাতনী চা ঘর চোখে পড়ল। ঘরগুলোর ভেতরে মেঝেতে বেতের চাটাই পাতা, চা পানের উপযুক্ত ছোট ছোট জাপানি আসবাব দিয়ে সাজানো। এই ধরণের সজ্জা জাপানের সনাতন গৃহসজ্জা। বেতের চাটাই পাতা নীচু ছাদের ঘরগুলোকে বলা হয় তাতামি রুম।
    এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জাপান-যাত্রী’ -তে  চা পানের যে অভিজ্ঞতা উনি লিখেছেন তা উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না। “ সেদিন একজন ধনী জাপানী তাঁর বাড়িতে চা-পান-অনুষ্ঠানে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছিলেন… সেদিন সে অনুষ্ঠান দেখে স্পষ্ট বুঝতে পারলুম, জাপানির পক্ষে এটা ধর্মানুষ্ঠানের তুল্য। এ ওদের একটা জাতীয় সাধনা (জাপান-যাত্রী, ১৯১৬)। কেমন ছিল ওনার সেই অভিজ্ঞতা? “একটা পাথরের মধ্যে স্বচ্ছ জল আছে, সেই জলে আমরা প্রত্যেকে হাত-মুখ ধুলুম। তার পরে, একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বেঞ্চির উপরে ছোটো ছোটো গোল গোল খড়ের আসন পেতে দিলে তার উপরে আমরা বসলুম। নিয়ম হচ্ছে এইখানে কিছুকাল নীরব হয়ে বসে থাকতে হয়। গৃহস্বামীর সঙ্গে যাবামাত্রই দেখা হয় না। মনকে শান্ত করে স্থির করবার জন্য ক্রমে ক্রমে নিমন্ত্রণ ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। আস্তে আস্তে দুটো তিনটে ঘরের ঘরের মধ্যে বিশ্রাম করতে করতে, শেষে আসল জায়গায় যাওয়া গেল। সমস্ত ঘরই নিস্তব্ধ, যেন চির প্রদোষের ছায়াবৃত; কারো মুখে কথা নেই …….ঘরগুলোতে আসবাব নেই বললেই হয়, অথচ মনে হয় যেন এ-সমস্ত ঘর কী একটাতে পূর্ণ, গমগম  করছে। একটিমাত্র ছবি কিংবা একটিমাত্র পাত্র কোথাও আছে। নিমন্ত্রিতেরা সেইটি বহুযত্নে দেখে দেখে নীরবে তৃপ্তি লাভ করেন। ……তারপর গৃহস্বামী এসে বললেন চা তৈরি এবং পরিবেশনের ভার তাঁর মেয়ের উপরে দিয়েছেন। তাঁর মেয়ে এসে নমস্কার করে চা তৈরিতে প্রবৃত্ত হলেন। তাঁর প্রবেশ থেকে আরম্ভ করে চা তৈরির প্রত্যেক অঙ্গ যেন কবিতার ছন্দের মতো। ধোয়া মোছা, আগুনজ্বালা, চা-দানির ঢাকা খোলা, গরম জলের পাত্র নামানো, পেয়ালায় চা ঢালা, অতিথির সম্মুখে এগিয়ে দেওয়া, সমস্ত এমন সংযম এবং সৌন্দর্যে মন্ডিত যে , সে না দেখলে বোঝা যায় না। এই চা-পানের প্রত্যেক আসবাবটি দুর্লভ এবং সুন্দর। অতিথির কর্তব্য হচ্ছে, এই পাত্রগুলিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একান্ত মনোযোগ দিয়ে দেখা। ……. সমস্ত ব্যাপারটা এই। শরীর মনকে একান্ত সংযত করে নিরাসক্ত প্রশান্ত মনে সৌন্দর্যকে নিজের প্রকৃতির মধ্যে গ্রহণ করা। ভোগীর ভোগোন্মাদ নয় ; কোথাও লেশমাত্র উচ্ছৃঙ্খলতা বা অমিতাচার নেই; মনের উপরতলায় সর্বদা যেখানে নানা স্বার্থের আঘাতে, নানা প্রয়োজনের হাওয়ায়, কেবলই ঢেউ উঠছে, তার থেকে দূরে সৌন্দর্যের গভীরতার মধ্যে নিজেকে সমাহিত করে দেওয়াই হচ্ছে এই চা-পান অনুষ্ঠানের তাৎপর্য।“ এর পরে আর চা-পান সম্বন্ধে কিছু লেখার দুঃসাহস আমার নেই। বাগান সংলগ্ন একটা মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে চা পানের বিভিন্ন সরঞ্জাম আছে তাছাড়া  বহু চৈনিক বাসনপত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সেখানে রাখা আছে। বেলা পড়ে আসছে দেখে আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। এবার যাব তোদাইজি মন্দির।
     
    ইসুইন গার্ডেন আর চা ঘর
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন