এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাণিজ্যসম্ভাবনা

    বর্গীয় জ লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ মার্চ ২০২২ | ১৪৮১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৫ জন)
  • উফ আমার মাথা আউলে গেছে পুরো।

    দগ্ধ বইটি বের করার সময় বাড়তি উত্তেজনা ও আবেগ ছিল অবশ্যই, কারণ এর সঙ্গে নানান রকমের রিস্ক জুড়ে আছে বলে মনে হচ্ছিল, সেসব বাস্তব না প্যারানৈয়া তা নিয়ে দ্বিধা ছিল, তবু ছিল। তাছাড়া টিমের অনেকের কাছেই জয় আজকের বাংলা কবিতার বর্তমান পিতামহ কিংবা ঈশ্বরতুল্য, আমার কাছে তো বটেই, আমার কবিতা পড়ার শুরু গোঁসাইবাবুর হাত ধরেই। সেই উত্তেজনা ও মুগ্ধতা ছিল। আমি ওস্তাদ বিসমিল্লা খান সাহেবের একমাত্র সামনাসামনি পার্ফরম্যান্স দেখেছি যখন, একটা ছোট ঘরোয়া আয়োজনে, তিনি অতিবৃদ্ধ, চোখের দৃষ্টি ঘোলা, হাঁটা চলা করতে পারেন না। তা বলে কি আর মুগ্ধতা কমে? তো, সেইসব ছিল। কিন্তু এর বাইরে, বই নিয়ে কাজকর্ম, আমরা সাধারণত যে লেভেলের চাপ নিই, তার থেকে বেশি কিছুই হয়নি। প্রথমে প্ল্যান হচ্ছিল কলেজ স্কোয়্যার মেলায় বই রাখা হবে, সেটাই আনুষ্ঠানিক প্রকাশ – মনে ছিল না, মেলা একদিন আগে শেষ। সেটা জানার পর হাতে বই তুলে দেওয়ার প্রশ্ন এল। এ ছাড়া, এই বই তো অনুষ্ঠান করার মত না। আর বিজ্ঞাপন, কবির নাম বই না বেরোনো পর্যন্ত প্রকাশ না করা, সেসব ঐ ঝুঁকির কথা ভেবেই, কোনো চমক না। বরং আগে রাষ্ট্র করতে পারলে ডিস্ট্রিবিউশনে সুবিধে হত।

    সে সব যাক। কিন্তু বই বেরোনোর পর দেখছি চারদিকে দাউদাউ।

    এমনিতে গুরু গালাগাল খায়, সে কিছু না। অন্যদের ভিন্নমত হতে পারে, তবে আমি অধুনা গোমাংস খেলেও আসলে বোষ্টমবাড়িজাত, নিন্দাকেও চন্দনপঙ্ক ভেবে গ্রহণ করতে হয় এমন শিখেছি। কিন্তু ঐ নিষিদ্ধ মাংসের প্রভাবেই বোধয়, আজকাল দেখি গুরুকে গাল দিলে একটু খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করি, কেন এত গালাগালি? তার ওপর কাল থেকে আবার এই গালাগালির সঙ্গে জয় গোঁসাই জড়ালে তো আরেকটু উশখুশ।কাল সন্ধ্যে থেকেই চলছে। সে এক হুড়ুমতাল কাণ্ড। প্রথমেই একটা অনলাইন খবরের কাগজ পুরো বইয়ের প্রতিটি পাতার ছবি ছেপে দিল। সে তো নামানো হল, কিন্তু ততক্ষণে লোকজন অলরেডি নামিয়ে নিয়ে শেয়ার শুরু করে দিয়েছে। তা দিক, কারণ এমনিতেই আর্থিক ব্যাপার দেখতে গেলে এ বই লোকসানেই যাবে। রঙিন প্রচ্ছদের দাম পনেরো টাকা আর সাদা কালো দশ। অন্তত ছাপার খরচের সমান না হলে নিজেদেরও দেখতে খারাপ লাগে, তাই। তার সঙ্গে ট্র‌্যানস্পোর্ট দোকানের কমিশন এইসব চুলোয় যাক, এই ছিল (এবং আছে) মনে। তাই লোকে ছবি তুলে বিলি করলে যদি বেশি লোকের হাতে পোঁছয় তবে স্টকে জায়গা ব্লক হওয়া ছাড়া বই বিক্রি না হলে তেমন সমস্যা নেই। সে যাই হোক, ঝটপট ভালো মিডিয়া কভারেজও হল, পাঁচ সাতটা ডিজিটাল কাগজে তো বেরিয়েছে দেখলাম।

    তো, তারপর শুরু হল ট্রোল, খিস্তি, গালাগাল। ওরেব্বাস রে, সে যেন অনন্ত স্রোত। গালাগাল এবং খিস্তির বক্তব্য বহুবিধ। কেউ বলছেন এ ব্যবসাবুদ্ধি, কেউ বলছেন কবিতাগুলো রসোত্তীর্ণ হয়নি, কারো বক্তব্যের সার – কবির ফরেন্সিক, সিট ও সিবিআইয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে লেখা উচিত হয়নি, তথ্যপ্রমাদ আছে। কেউ বলছেন কবি তো কারো নাম নেননি। ভাগ্যিস রবিঠাকুরের সময় ফেসবুক ছিল না, না হলে ডায়ার টেগার্ট কার্জনকে নিয়ে পাঁচালি না বাঁধলে তাঁর দাড়ি, আলখাল্লা সবই যেত।
    কেউ বলছেন নর্ম্যাল প্রতিবাদ না করে কবিতা কেন লিখলেন (হায়রে আমার পোড়া কপাল), কেউ বলছেন জয়ের বই ছাপা হল, আমি লিখলে কি হত? কী আজব, কেন হবে, নিশ্চয়ই হত না। মানে অন্য কোনো প্রকাশনা থেকে হতেই পারত, তবে গুরু থেকে নিশ্চয়ই হত না। একজন আবার পোস্ট দিলেন, জয়ের বাড়ির সামনে গিয়ে বইগুলি পোড়ানো উচিত। সেসব একরকম, ধরে নিলাম পাঁচপেঁচি লোক, অত বোঝেন টোঝেন না।

    একজন চিত্র নির্মাতা – স্ক্রিপ্ট লেখক, খুবই উঁচু দরের, বাংলা বুদ্ধিজীবি মহলে খুবই নাম আছে, খুবই ভালো কবি। তাঁর তৈরি যৌন সুড়সুড়িমূলক কিছু ওয়েব সিরিজ খুব জনপ্রিয়। দেখি বিশাল হ্যাজ নামিয়েছেন, ব্রজদার গল্প দিয়ে, ঐ যে লোক পড়ছেন ওপরতলা থেকে আর পড়তে পড়তে বীমার চেক রেডি, খুবই উইটি বুদ্ধিদীপ্ত; অস্যার্থ, এত তাড়াতাড়ি বই হওয়া অসম্ভব। তা দেখে তো অবাক হয়ে ধড়াম, মানে একদিনে পুরো টিম দিনরাত কাজ করলে একটা পাৎলা বইয়ে প্রোডাকশন নামে না? এটা কি সিরিয়াস, নাকি ইচ্ছাকৃত মিথ্যা, না আমি যেমন আপিসের সময় ফাঁকি দি’ তেমনি এঁরা সৃষ্টিশীল কাজেও ফাঁকি দেন এবং রাউন্ড দ্য ক্লক কাজের মানে জানেন না?

    সবচে বেশি স্লার দেখি ঐ লাইনেই, এত তাড়াতাড়ি? সেই দেখে আমরা হুব্বা। কত ধীরে?
    এবার নিন্দুক (ট্রোল বা খিস্তিবাজ বললাম না, নিজ নিজ চণ্ডীমণ্ডপে বসে তামুক জ্বালিয়ে গালাগাল দিচ্ছেন, আমার বাড়িতে তো আর আসেননি)-দের সিংহভাগই দেখি বাম হিসেবে পরিচিত। কিছু দেশভক্ত আছেন, যাঁরা ক্যা ক্যা ছি ছি-র কবি বলে গাল দিচ্ছেন, তবে বামই সংখ্যাগুরু। সে কী রাগ তাদের। কী, না এবারের কবিতাগুলো নরমপাক, নন্দীগ্রামের কবিতাগুলো কড়াপাকের ছিল। কবি আর হালুইকরের মধ্যে একটু তফাত আছ, কিন্তু সেও না হয় ছেড়ে দেওয়া গেল।

    আরো একরকম পরাবাস্তব নিন্দে দেখলাম। আরো দুয়েকটা বই বেরিয়েছে, সঙ্কলন, কবিতা, ছবি। খুবই স্বাভাবিক, এমন ভীতিপ্রদ ঘটনায় সৃষ্টিশীল মানুষ তাঁদের একমাত্র অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন - সৃষ্টিশীলতা। এটাই কাম্য, এটাই হওয়ার কথা। মানবতার পক্ষে, জীবনের পক্ষে যেসব মানুষ, যারা সবচে' বেশি ঘৃণা করে ঘৃণাকে, মুছে দিতে চায় ধ্বংসকে, আর হতচ্ছাড়া বলে দাঙ্গামুখোদের, সৃষ্টির থেকে বড় হাতিয়ার তাদের আর কী?
    সেসব সঙ্কলনের একটির উদ্যোক্তা, গুরুর কাছের লোকই, অন্তত একদা, জয়ের এই বইয়ের ওপর খড়গহস্ত। নাকি এটা সহি প্রতিবাদ হয়নি। নন্দীগ্রামের সময় তো নাম ছিল, এখন কেন নাম নেই? তাঁদের সঙ্কলন বিশুদ্ধতর কারণ তাতে কোন সরকারি অনুগ্রহপুষ্ট নেই। যে অনুগ্রহপুষ্ট তার যে অনুগ্রহটা হারানোর আছে, সেটা কে বোঝায় এই সহি সঙ্কলকদের। একজন নিজের যোগ্যতায়, চর্চায় পদস্থ হলেও যে তাকে অনুগ্রহপুষ্ট বলে চিহ্নিত হতে হয়, তার মধ্যে যে যৌথ গ্লানি আছে বিষম, তাই বা এই সহিস্রষ্টাদের কে বোঝায়?
    ওদিকে হয়েছে কি, ঐ সঙ্কলনে একটা বুজিব্যাশিং কার্টুন আছে। একজন বুজিকে একজন উত্যক্ত করে বলছে নির্জীব, বুদ্ধিজীবি। কারো হীনস্বাস্থ্য নিয়ে ব্যঙ্গ করাটা কার্টুনের বিষয়বস্তু হিসেবে কতটা সহি সে আলোচনায় না যাই, তবে কার্টুনের সেই বুজীর সঙ্গে যে কবির চেহারার মিল, সঙ্কলন প্রকাশের আগেই সেই কবির বই ছেপে বেরিয়ে গেল, এটা একটু, চৌদিকের পরাবাস্তব মজার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, তা স্বীকার করতেই হয়।

    এমনিতে, নানান কারনে সঙ্কলন উদ্যোক্তাদের নানান কারনে খারাপ লাগছে, তাদের পবিত্র ঘৃণার সূচীমুখে যে ছিলেন, তিনি নিজেই প্রতিক্রিয়া দিয়ে বসলেন, এটা একটা ইয়ে হয়ে গেল (এ আরেক সার্কাস, হলো হত্যাকাণ্ড, বিপ্লবীরা রাগ করলেন এক কবির ওপর, যে আবার তাঁদের নিজেদেরই মতে নির্জীব)। 

    ওদিকে ধ্রুপদী বামেদের এক ভোকাল ও সক্রিয় কর্মী-সমর্থক জয়ের কবিতার সংশোধনী বানিয়েছেন, কবিতা কেমন স্পষ্ট করে লিখতে হয় সে বিষয়ে পাঠ দিয়ে। তা তিনি দিতে পারেন, স্পষ্টভাষণে তিনি দ্বিধাহীন, এ পরিচয় আমি পেয়েছি। কিছু বছর আগে এক ফেসবুক তর্কে তিনি ভারত বাংলাদেশ সীমানার তারকাঁটার বেড়ায় ঝুলে থাকা ফেলানির মৃতদেহকে বলেছিলেন প্রফেশনাল হ্যাজার্ড। ঐ স্ক্রিনশটটা আমি চোখের মনির মত রক্ষা করেছি, পরে সেঁটে দেবো।

    তবে আশ্চর্য যেটা, সেটা হল গুরুর প্রাক্তন এবং এমনকি বর্তমানেও ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রতিক্রিয়া। টাকাপয়সার জালি, দিদির ভাতা, হত্যার কবিতা নিয়ে ব্যবসা, সেসবে হাহা লাভ রিঅ্যাক্ট, শ্রীজাত’র লেখা অবিচুয়ারির থেকেও দ্রুত বগটুই নিয়ে বই বেরুনো নিয়ে ব্যঙ্গ কবিতা।

    তাতে অসুবিধে কিছু নেই। প্রশ্ন হল, গুরু কেমনভাবে চলে, কী মোডে চলে, কেমনভাবে এবং কে টাকাকড়ির হিসেব রাখে – তার সবই তুমি বা তোমরা জানো, প্রতিটি অনুপুঙ্খ। এমনও সময় গেছে, যখন গুরুর বই কম বিক্রি হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচা যেত, কারণ তাতে লোকসান কম। কেমনভাবে টাকাকড়ি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে কবে কী হয়েছে সব জানো। এই বইমেলায় পনেরোটা বই কেমনভাবে, ক’দিনের প্রস্তুতিতে নেমেছে তা-ও জানো। এমনকী যাদের সঙ্গে গুরুর আর তেমন (সু)সম্পর্ক নেই কিন্তু একদা ছিল, তারাও সেসব জানে। আদর্শগত, নীতিগত দূরত্ব তৈরী হয়েছে, কিন্তু এইসব জিনিস তাদেরও জানা।
    তীব্র মোটিভেশন থাকলে আটটা কবিতা কত সামান্য সময়ে লেখা যায়, তাও সাহিত্যবোদ্ধাদের, সিরিয়াস পড়াশুনো করা লোকেদের পক্ষে অনুমান করা অসম্ভব তো না-ই, কঠিনও না।

    তাহলে এই লাইনে খেলা কেন? এইসব অনুযোগ যে মিথ্যে, সেটা তো তোমার বা তোমাদের থেকে ভালো কেউ জানে না! তার কারণ গুরুকে নিয়ে বা গুরুর প্রকাশনাকে নিয়ে অভিযোগ করার সত্যি কিছু নেই? থাকলে তো এই মিথ্যের আশ্রয় নিতে হত না।

    জনগণ ভালো বন্ধু, দশকাধিক কালের আলাপ। আমি বুঝি পার্টিজান অবস্থানের অবলিগেশন থাকে। কিন্তু তার জন্যে জেনেবুঝে মিথ্যেকে প্রশ্রয় দিতে হলে, প্রশ্ন জাগে না, যে, সামনে যেটা, সেটা আসলে লক্ষ্য, না অভিসন্ধি?

    এই সব আর কি। তো সে যাক, আপাতত আমি ফেসবুক আনইনস্টল করেছি। অত আজাইরা নষ্ট করার মত সময় আমার নেই, এরপর ডিডিপুরাণের ছবি ধরতে হবে। ওতে বিপুল বাণিজ্যসম্ভাবনা।

    (বানান টানান ধীরে সুস্থে ঠিক করবো’খন। লগিন করেই লিখলাম, বিশেষ পরিস্থিতিতে মর্মপীড় কোমলমতি।)

    এতবড় লেখা লিখলাম, একটা ছবি ছাড়া ভালো লাগে না। কিন্তু তার্জন্যে বসে থাকলে আরো পঁচিশ্টা কথা মনে হবে। এমনিতেই আজকাল বেশি বকছি।

    তবে যা দেখলাম এত লোকের নিন্দে করলাম, কারো নাম তো নিলাম না। তাহলে কি সহি নিন্দে হলো না? 
    তা হোক। জয়ও আমার সাঁই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:38be:932e:73d9:1d3d | ২৮ মার্চ ২০২২ ২৩:৪১505726
  • 'শ্রীজাত’র অবিচুয়ারির থেকেও দ্রুত বগটুই নিয়ে বই বেরুনো নিয়ে ব্যঙ্গ কবিতা'
    - এটা কী ব্যাপার - শ্রীজাত বই বেরুনো নিয়ে ব্যঙ্গ কবিতা লিখেছেন? 
  • π | ২৮ মার্চ ২০২২ ২৩:৫০505729
  • আরে, এতো,  যা যা বলতে কখনো কখনো ইচ্ছা করছিল, কখনো সময় পেলে লিখবখন ভেবে ( যা অবশ্যই আর লেখা হতনা), তার অনেক কিছুই এখানে লেখা! 
     
    যে ঝড় বয়ে গেল কদিন ধরে!  আপিস + বইমেলা সাধারণ ঝড়ঝাপ্টা হলে তারা গিয়ে অন্য মেলা আসতে আসতে মৃদুমন্দ নিম্নচাপ, তো, তারই মধ্যে এই বই নিয়ে হঠাত করে সাইক্লোন ( তবে সবাই মিলে এই কাজটা করতে গিয়ে... তা সেতো এমনিতে এভাবেই করেই থাকি আমরা, মানে অন্যরাই করে,  আর আমি খালি, কী যে করি, পরে ভেবে দেখলে সেও আর বিশেষ বুঝে পাইনা,  বেসিকালি কিছুই না করে হেব্বি কাজ করলুম ভাবটা আসা ছাড়া আর কিছু করিনা,  কিন্তু এবারেও সেরকমটা করলেও এই কাজটা করার অনুভূতি আমার জন্য কিছুটা আলাদাই হয়ে থেকে যাবে, নানা কারণেই, সে যা হোক) ,  তবে তারপর যা হল,  বা যা চলছে, অন্যত্র এবং আমার নানা পোস্টের তলায়, তাকে আইলা না আম্পফান না জশ বলব, ভাবতে হবে।
    যা আসতে চলেছে, ভাবতে তিড়িতঙ্ক+ হৃদকম্পই হচ্ছে। 
  • r2h | 134.238.18.211 | ২৮ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৫505730
  • ন না, অরণ্যদা বড়ই পিছিয়ে, ফোনে বলবো 'খনঃ)
  • r2h | 134.238.18.211 | ২৮ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৯505731
    • π | ২৮ মার্চ ২০২২ ২৩:৫০505729
    • আর আমি খালি, কী যে করি, পরে ভেবে দেখলে সেও আর বিশেষ বুঝে পাইনা
    থাক, ওটা আর না বুঝলেও চলবে, ও অন্যরা বোঝেঃ/
    এমন ভয়াবহ মাল্টিটাস্কিং দেখে দেখে মাথা ঘোরে, আমার বংশানুক্রমিক ভার্টিগো বেড়ে গেলে, আর কার কী হলো জানি না। 
  • r2h | 134.238.18.211 | ২৯ মার্চ ২০২২ ০০:০০505732
  • বংশানুক্রমিক না, বংশগত।

    (তাই তো?)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:38be:932e:73d9:1d3d | ২৯ মার্চ ২০২২ ০০:১২505733
  • সাধে কী আর বিদ্যাসাগর শেষজীবন কার্মাটাঁড়ে (তাই তো ? ) কাটান। নিন্দা, গাল, কটাক্ষ ইঃ  প্লাবনে দমবন্ধ অবোস্তায় পৌঁছেছিলেন নিশ্চয়ই 
    আমি কলেজের বাঙালী বন্ধুদের কাছে গুরু সম্বন্ধে ভাল ফিডব্যাক পেলাম। 
    এমন নৃশংস একটা হত্যাকান্ড - যত ফর্মে, যত ফোরামে, যত ভাবে সম্ভব এর প্রতিবাদ দরকার
     
  • | ২৯ মার্চ ২০২২ ০০:৩৭505735
  • "তাহলে এই লাইনে খেলা কেন? এইসব অনুযোগ যে মিথ্যে, সেটা তো তোমার বা তোমাদের থেকে ভালো কেউ জানে না!" -- এটার কারণ হল এক্ষেত্রে মিথ্যেটা সত্যি বলে চালানো সহজ হএ।  ধর আমি পেটের পিলে  কি পিঠের আবের ডাকতার। আমি যদি বলি অমুকয়ের পেটে পিলে কি পিঠে আব আছে লোকে চট কিরে বিশ্বাস করবে।  ভাববে ডাক্তার যখন আমার কাছে এসেছিল পিলে কি আব্এর চিকিৎসা করাতে। সেজন্যই নাম জেকে ইনসাইডার এবং ওয়েল ইনফর্মড প্রমাণ করতেই মিথ্যে বলে।  
  • | ২৯ মার্চ ২০২২ ০০:৩৮505736
  • *সেইজন্যই নিজেকে 
  • বাবু | 203.110.242.24 | ২৯ মার্চ ২০২২ ০৬:৪৮505743
  • বাণিজ্যবুদ্ধি,দায়হীন
  • প্রতিবাদের প্রেসক্রিপশন - কী করিতে হইবে | 2405:201:8005:9947:ed3b:7e73:2f3f:7cf | ২৯ মার্চ ২০২২ ১০:৪৩505753
  • খুব ভালো কবিতা। কিন্তু, কী সর্বনাশ, নাম নেই যে!
  • r2h | 2405:201:8005:9947:598e:ebf6:505c:eab7 | ৩১ মার্চ ২০২২ ০০:৩৪505803
  • আজ আবার ফেসবুকসূত্রে জানা গেছে যে সরকার থেকে গুরু কোটি কোটি টাকা পেয়েছে। তাতে প্রাক্তন গুরু ঘনিষ্ঠদের সম্মতি আছে, সুতরাং বিশ্বস্তসূত্রে বলা ছাড়া উপায় কী!

    তাতে নানান রকম ব্যাপার হচ্ছে। কেউ নিজেকে সাহেবুলের থেকে সামাজিক ভাবে বেশি ওজনদার বলে দাবী করছেন, যদিও আমি যদ্দূর জানতাম সাহেবুল নিজের লেখালিখি ইত্যাদি দিয়ে ভালোই ওজনদার, গুরুতেও অতীতে তাঁর লেখা ছাপা হয়েছে, কে জানে, সামাজিক ওজন হিসেবে মন্তব্যদাতার উচ্চমন্যতা তাঁকে অন্যরকম ধারনা দিয়েছে হয়তো।

    কেউ আবার বলছে আমি এত গালি দিই, সাহেবুলকে নিয়ে লেখা হলো (সাহেবুল ঐ জয়ের প্রতি কবিতা লেখার পাঠটা শেয়ার করেছিলেন, শিল্পী বা কবির নাম না দিয়ে, তাই বলা হয়েছিল ওটা সম্ভবত সাহেবুলের সৃষ্টি), আমাকে কেন পাল্টা গালি দেয় না, এও আশ্চর্য, মানুষের অবদমিত ঈর্ষা ও গ্রহণযোগ্যতার বাসনা যে কতরকম হয়।

    তবে এইসব অভিযোগ, গালমন্দ এঁরা সব স্বনামে করেছেন, সুতরাং সেসব তুলনামূলক ভাবে জায়েজ।
  • r2h | 2405:201:8005:9947:598e:ebf6:505c:eab7 | ৩১ মার্চ ২০২২ ০০:৩৭505804
  • এদিকে হয়েছে কী, ঐ কবিতা লেখার পোস্টটা এঁর লেখা। সেটা পরে জানা গেছে। তিনি ডিউ ক্রেডিট না পেয়ে একটু মুষড়েছেন, এবং প্রগতিশীল বামেরা এর মধ্যে ধর্মীয় বৈষম্যের দৃষ্টিকোণ খুঁজে পেয়েছেন। 
    (প্রসঙ্গ ফেলানি)
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::79:b5a8 | ৩১ মার্চ ২০২২ ০১:৩৬505811
  • আমি ভাগ পাবোনা ঐ কোটি টাকার? আমি কিন্তু ইঁট পেতে রাখলাম।
  • | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৬505832
  • আচ্ছা তাহলে আমার বেশী লোভ টোভ নেই, শুধু একটা ট্রান্স হিমালয় আর একটা ওল্ড সিল্করুট ট্রিপ স্পনসর করলেই হবে।  ভ্রমণ কাহিনীটাও  নাহয় গুরুতেই লিখে দেব হ্যাঁ। 
  • r2h | 2405:201:8005:9947:89ac:ca49:253d:8ea9 | ০১ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৫505906
  • ওদিকে ফেবু সিপিয়েমরা প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন যে জয়কে লেখা শেখানোর চোথাটা নিয়ে 'সম্ভবত' সাহেবুলের সৃষ্টি বলা হয়েছে কারন সাহেবুল মুসলমান।

    মুশকিল হলো, যেকোন ইস্যুকে কম্যুনাল রং দেওয়া আরএসএসের কাজ বলে জানতাম। তো, ঐ আরকি।
  • r2h | 2405:201:8005:9947:89ac:ca49:253d:8ea9 | ০১ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪২505908
  • এদিকে,
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন