এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জোয়ারের ঢেউ

    Jahar Kanungo লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ মার্চ ২০২২ | ৭৬৫ বার পঠিত
  •  
    জোয়ারে নাকি সব নতুন ঢেউরা আসে। প্রথমে আসে ‘মা’ ঢেউ। হটাত করে হুরমুর করে উপরে উঠে এসে পারের বালি ভিজিয়ে ফিরে চলে যায়। তারপর ছোট ছোট ঢেউগুলি আসে। একটা, দুটো, তিনটে আসতেই থাকে ওরা। অতটা উপরে উঠে আসতে পারে না। ফিরে যায়। মিলিয়ে যায়। আবার একটা বড় ঢেউ আসে।
     
     সন্ধ্যা নামতে চলেছে। ঐ দিগন্তের জলের সীমানা ছুঁতে না ছুঁতেই সূর্যটা অদৃশ্য। তবে আকাশে এখনো অনেক আলো। আমাদের আরো কিছুক্ষণ নাকি অপেক্ষা করতে হবে। মেয়েটা আমাকে ঢেউগুলি নিয়ে আরো অনেক তত্ত্ব দিল। ভাঁটার সাথে সাথে নাকি পুরনো ঢেউ গুলো ফেরত চলে যায়।
     
    কোথায় যায় ওরা?
     
    কোথায় আবার। বাড়ি। ওরা সবাই নীচে নেমে যায় - ঐ আর একটু দূরে সমুদ্র যেখানে গভীর। ওরা ঘুমোতে যায়।
     
    তাই?
     
    তা নয় তো কি? ওদের তো আবার জোয়ারের ঢেউ হয়ে ফির আসতে হবে।
     
    আর এরা?
     
    এরা আবার ভাঁটা হয়ে ফিরে যাবে।
     
    আরো একটা মা ঢেউ পারের অনেকটা অব্দি ছুটে এল। ও ফিরে যাবার পর ছোট ঢেউ আসে একটার পর একটা। মেয়েটি আমায় গুনে গুনে দেখিয়েছে – বারোটা, চোদ্দটা, আরো বেশি।
     
      
     
    পারের সমুদ্রের দিকে চেয়ে আছি আমরা। রঙ খেলছে জলে, পারের ভেজা বালিতে। লাল আর কিসের যেন কালো ছায়া সাথে সাথে। না দিন, না রাত। কি এক অদ্ভুত বিভ্রম।
     
    মেয়েটির দৃষ্টি হটাত সতর্ক হয়ে উঠলো। কি দেখে সে? আমি ওর দৃষ্টি অনুসরন করি। মেয়েটি ফিস ফিস করে বলে, ঐ দেখো, মা ঢেউটার পেছন পেছন আসছে ও। আমি মনোযোগ দিয়ে দেখি। আকাশের লাল আভা ঢেউগুলির মাথায়, ঢেউগুলির সাথে সাথে ভাঙ্গে, চমকায় ক্ষনিকের তরে। ব্যাস, আর তো কিছু দেখি না কিছু। জিজ্ঞেস করি, কোথায়?
     
    মেয়েটি চাপা কণ্ঠে বলে, ও দেখছে আমাদের। একটা ছোট ঢেউয়ের পেছন পেছন আসছিল ও। আমাদের দেখে ডুব দিল। আবার আসবে সে। মেয়েটির স্বরে এক সতর্কতার সংকেত।
     
     
    আকাশে এখনো আলো আছে। সন্ধ্যা তারা ফুটেছে। এদিকটার সমুদ্রে জেলেরা আসে না। মাছ নেই? নাকি পাথর চারপাশে তাই? জানিনা। তবে কেউ আসে না। আসা বারন। তবুও দুরন্ত ছেলের দল মাঝে মাঝে আসতো। বারন বলেই আসতো। গত বছর কোন এক বিকেলে জোয়ার লেগেছিল। ওরা খেলছিল বালির উপর। বল পরেছিল জলে। বল তুলতে গেছিল কেউ। কোন চিৎকার চ্যাঁচামেচি নয়, হাঁটুজলেই একটা ঢেউ ওকে নিয়ে হটাত অদৃশ্য। ঢেউয়ে বলটা নাচানাচি করছিল। গ্রামের লোকেরা এল। পুলিশ এল। একটা খাম্বা গেড়ে নোটিস লাগিয়ে দেওয়া হল, জলে নামা বারন।
     
     
    বর্ষার জল ঝরে নোটিস বোর্ডটির এখন নাম নিশানা নেই। বর্ষা শেষ হওয়ার পর দুরন্ত ছেলের দল আবার আসতে আরম্ভ করল। কতবারই তো জলে পড়ে যায় ওদের বল, ঢেউ ফিরিয়ে দেয়। হাঁটুজলে বল ভাসে। টলমল টলমল করে। পারের দিকে আসে, আবার দুই পা পিছিয়ে যায়। এক সন্ধ্যায় গ্রামের আর একটি পরিবার তাদের ছেলে হারালো। তারপর থেকে আর কেউ আসে না। এলেও, হয়তো হতভাগ্য ছেলেটির প্রানের বন্ধুরা, দূরে কোন পাথরের উপর বসে বা কখনও এই আখরোট গাছটির নিচে ওরা সমুদ্রের দিকে চেয়ে বসে থাকে। সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় চলে যায়।
     
    তোমার ভয় করে না একা একা আসতে?  
     
    না তো। ও এতটা উপরে উঠে আসতে পারবেই না। ও পারে পারেই থাকে। কিন্তু সব দেখে ও। ও সন্ধ্যার একটু আগে আগেই আসে। সব দিন না, যখন জোয়ার লাগে সন্ধ্যায়। আমি তো জানি। ওরা খেলছিল ঐ বালিতে, সন্ধ্যার একটু আগে আগেই। সেদিন ছিল জোয়ার। বলটা তূলতে ভুমা নামলো জলে। ও তো অপেক্ষায় ছিল। ব্যাস, ওকে নিয়ে চলে গেল।
     
    কেউ জানতে পারলো না?
     
    কি করে জানবে? ও তো ......ঐ দেখো দেখো! ওই তো, ঢেউয়ের আড়ালে আড়ালে আসছে সে।   
     
    কোথায়?
     
    শশশ.........। ভালো করে দেখো।
     
    ঢেউএর পেছনে আর একটা ঢেউ। তার পেছন পেছন . .হটাত খেয়াল হল একটা কালো ঢেউ। না কালো তো নয়, স্লেটের রঙ; পেছন পেছন আসছে। পার অব্দি এল। তার সামনের ঢেউটির মত ভাঙ্গল না। ফেনা ঝরাল না। ফিরে যাচ্ছে এখন। যেতে যেতে একটা ডুব দিল। আর দেখা যাচ্ছে না।  
     
     
    দেখেছ? ফিসফিস করে বলে মেয়েটি।
     
    আমি মাথা নাড়লাম।
     
    ও কিন্তু দেখেছে আমায়।
     
    তুমি ঠিক জানো ঐ কালো ঢেউ টাই..?
     
    ঢেউ কেন হবে? ঢেউএর মত দেখতে এই যা। 
     
    ও ঢেউয়ের মত বাড়তে পারে, কমতে পারে। জেলিফিসগুলির মত ওর শরীর। শরীরটাকে যা ইচ্ছা করতে পারে।    
     
    তুমি কত কাছে গিয়ে দেখেছো? 
     
    নিরব মেয়েটি। কিছু বলে না। আমি আবার জিজ্ঞাসা করি, তুমি কি ওকে কাছ থেকে দেখেছো?
     
    হ্যাঁ। আমার সামনেই তো, আমার লায়লিকে নিয়ে চলে গেল।
     
    ও দেখালো দূরে ডানদিকটায় পাহাড়ি জায়গাটা যেখানে বড় বড় গাছগুলিকে জংলী লতাপাতা গুলো ঢেকে ফেলেছে প্রায় ওখানে সে লায়লিকে নিয়ে যেত। লায়লির পছন্দের লতা পাতা ছিল যে জঙ্গলটাতে।
     
    জিজ্ঞাসা করলাম সমুদ্র পারে নেমেছিল কেন ওরা?
     
    এমনিই। জোয়ার লেগেছিল। কোন এক অজানা গাছের ডাল পড়েছিল চড়ায়। আগের জোয়ারেই বোধহয় সমুদ্র কোথাও থেকে নিয়ে এসে পারে ফেলে চলে গেছিল। হাঁটছিলাম আমরা – আমি আর লায়লা। ঢেউ উঠে এসে ডালটাকে ডুবিয়ে দিয়ে চলে যায়। লায়লা ওই ডালের পাতার গন্ধ শুঁকছিল। আমি দাঁড়িয়েছিলাম ওই খানটায় – ঐ বড় পাথরটার কাছে। হটাত দেখি একটা কালো ঢেউ উঠে আসছে। ফেরত ঢেউগুলির মাথার উপর দিয়ে কেমন বিনা বাধায় উঠে আসছে আমাদের দিকে। তখনই আমার মনে হল ও ঢেউ না। আমি অজান্তেই বেশ কয়েক পা পিছিয়ে গেলাম। লায়লা তখনও ডালটিকে নিয়ে রয়েছে। আর সে, অন্য ঢেউগুলির মত উঠে এসে লায়লার পাগুলিকে ডুবিয়ে, তারপর তার পুরো শরীরটাকে তালগোল পাকিয়ে জড়িয়ে ধরল। কি করে হটাত এতটা উপরে উঠে এল বুঝতে পারলাম না। ফিরে গেল। তারপরেই খেয়াল হল লায়লা নেই। একটা ছোট্ট ব্যা অব্দি করতে পারেনি সে। নিঃশব্দে ঘটে গেল পুরো ব্যাপারটা। আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। খুব। আমার গলা থেকে লায়লা ডাকটাও বেরোয়নি। ভয় পেয়ে দৌড়ে আমি উপরে উঠে এসেছিলাম – ঠিক এই জায়গাটায়।
     
     
    আরো কিছুক্ষন বসে ছিলাম আমরা। ইতিমধ্যে সমুদ্র আরো উপরে উঠে এসেছে। অন্ধকার নেমে গেছে। পাথরগুলির গায়ে ঢেউগুলির আছড়ে পরার আওয়াজ কানে আসছিল।
     
     
    টর্চের আলোয় পথ করে করে পাহাড়ি এলাকাটা ছেড়ে আমরা চলে এলাম। ঝুপসি কাঁঠাল গাছটির তলায় আমার জীপটি অন্ধকারে দাঁড়িয়ে।
     
    জানালার কাঁচটি নামিয়ে অন্ধকারের দিকে চেয়ে ছিল মেয়েটি। ভাবছিলাম সেই বিকেলে বেরিয়েছি আমরা। ওর খিদে পেয়েছে নিশ্চয়। ওর বাড়ির দিকে ফেরার পথে মহালক্ষি মিঠায় থেকে আধ কেজির মত বরফি কিনে নিলাম।   
     
     
    ওর মা বারান্দায় বসে ছিল আমাদের অপেক্ষাতেই। মেয়েটি বরফির প্যাকেটটা নিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে গেল। আমি বললাম মেয়েটির মাকে, ওকে একলা একলা সন্ধ্যায় বেরোতে দেন কেন উনি?
     
    মা বললে, কথা শোনে না। মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পরে।
     
    “আমি একা মেয়ে মানুষ, কোনদিকে সামলাবো? আপনি বকে দিন স্যার।”
     
    আচ্ছা, আমি একদিন এসে বোঝাবো ওকে।
     
    কোয়াটারে ফিরবার আগে থানায় গেলাম। জ্যাকব চেয়ার থেকে উঠে সেলাম দিল। আমি আমার কেবিনের দিকে যেতে যেতে ওকে ডেকে নিলাম।
     
    জ্যাকব, একটা রিপোর্ট লিখতে হবে। 
     
     
    ----------
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Gautam Bhattacherjee | 2409:4072:394:d2c4:71f3:a238:2790:fb37 | ২২ মার্চ ২০২২ ১৪:৪৮505179
  • Jahar Kananguo 's existential style of writing is enthralling 
  • বর্ণনা মুখার্জী | 42.110.170.95 | ২২ মার্চ ২০২২ ১৪:৫৮505181
  • গা ছমছমে একটা অনুভূতি গ্রাস করলো...তার মানে নিশ্চিত রূপে আচ্ছন্ন হলাম এই লেখার মাধুর্য্যে।
  • মানস | 2600:387:6:807::b1 | ২২ মার্চ ২০২২ ১৫:৩৮505187
  • জহরের কলম প্রায়শই সীমানা অতিক্রম করে, বা নতুন মাত্রার সৃষ্টি করে. বিভিন্ন মাত্রায় অনায়াস যাতায়াত তার. জড় প্রাণ পায় সীমানার ওপারে, বা প্রাণ নয় অন্য কিছু, অন্য মাত্রার. আসা যাওয়ার গল্প চলতে চলতে শেষ হয়. ফিরে আসি পরিচিত পরিবেশে. তবু যেন আসিনা, একটা রেশ থেকে যায়. 
  • Mitali Goswami | 2401:4900:b81:4514:0:6e:935e:ed01 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:৩৫505302
  • জহর দা আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ ,লেখক ও পরিচালক,ওনার লেখা র একটা অন্য মাত্রা আছে ,এই লেখাটি তার মধ্যে যেনো আরো একটি অন্য মাত্রা যোগ করলো ,পড়তে পড়তে হারিয়ে যাচ্ছিলাম ,মা ঢেউ এ র কাছে ,শেষে এক অন্য মাত্রতে নিয়ে গেলেন ।অসামান্য লেখা।
     
  • Mitali Goswami | 2401:4900:b81:4514:0:6e:935e:ed01 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:৩৫505303
  • জহর দা আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ ,লেখক ও পরিচালক,ওনার লেখা র একটা অন্য মাত্রা আছে ,এই লেখাটি তার মধ্যে যেনো আরো একটি অন্য মাত্রা যোগ করলো ,পড়তে পড়তে হারিয়ে যাচ্ছিলাম ,মা ঢেউ এ র কাছে ,শেষে এক অন্য মাত্রতে নিয়ে গেলেন ।অসামান্য লেখা।
     
  • Debasish Guha Neogi | 223.190.84.215 | ২৪ মার্চ ২০২২ ১০:১৬505401
  • একদম ভিন্ন স্বাদের লেখা। একটা অদ্ভুত মাদকতা আছে এই লেখায়। 
  • দিলীপ কুমার বসু | 2401:4900:3d3a:2947:14ba:a60a:2ca0:927d | ২৪ মার্চ ২০২২ ১১:৩০505406
  • জহর কানুনগোর গল্পটা আমার চিত্তাকর্ষক
    মনে হল।
  • Jahar Kanungo | ২৪ মার্চ ২০২২ ১৩:৪৩505419
  • গৌতম , মানস, মিতালী, বর্ণনা, দেবাশিস, দিলীপ, আপনাদের  উদার মন্তব্যে আমি অভিভূত।
     
    আমার মত একজন নতুন লেখককে যে কতটা উৎসাহিত করে প্রকাশ করা কঠিন! গুরুচন্ডালী কে স্যালুট এরকম একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য । Seriously.
  • গৌতম চ্যাটার্জি | 122.161.77.219 | ২৪ মার্চ ২০২২ ২২:০১505439
  • জহরদা ,
    তুমি যে এত ভালো লিখেছ  যে আমি স্তব্ধ হয়ে শুধু পড়েই গেলাম। পৃথিবীর অনেক সমুদ্রের পাড়ে হয়ত এই ধরনের ঘটনার কত কিছুই লুকিয়ে আছে। খুব মর্মান্তিক। ভালো থেকো ও আরও ভালো ভালো লেখার অপেক্ষায় রইলাম। 
  • Mrinal Ray Chaudhuri | 27.58.25.171 | ২৬ মার্চ ২০২২ ১৯:০৫505590
  • The great quality of Jahor’s stories and vignettes is that they are never preachy or trying to shove some pretentious philosophy into the minds of his readers.  This brief evocative narration of an episode in the life of a Police Officer is much in the same vein.  It subtly makes the point that nature – in this specific case the Sea- holds many mysteries and we still exercise little control over it. In fact, Jahor skilfully creates an atmosphere of mystery through his narration which is heightened by his usual fluent style in which he never seems to be searching for words- they just flow naturally. As I have said earlier on this site, Jahor is always eminently readable. I’ll surely be waiting for the next one.   
     
  • Mrinal Ray Chaudhuri | 27.58.25.171 | ২৮ মার্চ ২০২২ ১৩:২৭505704
  • After having offered my comments on ‘Joarer Dheu’ I read it again. In addition to the views already expressed, I found a hint of magical realism in the narration.  Why I feel so is because of the blending together (in the narrative) of a fantastic element – that of the identification (by the young girl) of one particular wave having an almost organic life of its own – with the real elements of the story. I hope Jahar continues to stimulate us with his renderings on Guruchandali and elsewhere.   
     
  • Nabaroon Bhattacharjee | 183.83.212.87 | ২৯ মার্চ ২০২২ ১৩:২৮505764
  • Jahar's  writing takes me to wonderful and mystic world of sea" . Somehow I am able to relate to  the feeling and expressions. Being a music lover also it takes me to the mystic feeling of rag " Malhar".  Please do keep up the writing which helps us to feel and realize unknown moods and aspects of life! 
  • Jahar Kanungo | ২৯ মার্চ ২০২২ ১৫:২৫505767
  • মৃনাল , নবারুণ  গৌতম , আপনাদের মন্তব্য আমাকে কি যে খুশি করেছে ।. .smiley
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন