এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অনন্যা নারী

    Sayanti Mandal লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩০৬ বার পঠিত
  • পর্ব ৪ 

    বিয়ের পর এই প্রথম কোথাও যাচ্ছে জয়িতা অর্ণবের সাথে। অনেকটা মধুচন্দ্রিমা যেন। বিয়ের পর কোথাও তাদের যাওয়া হয়নি তাদের। অর্ণবের নতুন চাকরি। সংসার করার চাপে অর্ণব একটা কলেজে পার্ট টাইম লেকচারারের কাজ নিয়েছে। জয়িতাও কয়েকটা জায়গায় অ্যাপ্লাই করেছে এখনও উত্তর আসেনি। জয়িতা দুবেলা বেশ কিছু ছাত্র পড়ায়। দুজনের সংসারে টানাটানি হলেও চলে যাচ্ছে। যেটুকু অভাব আছে সেটা ভালবাসা দিয়ে পূরণ করে তারা। দুটো মানুষের মধ্যে মনের মিল থাকলে বুঝি আর কিছুর দরকার হয় না। ছুটির দিনগুলো তারা গল্পে গানে ভরিয়ে রাখে। অর্ণব বেশ গাইতে পারে। জয়িতার গলা ভালো না। তবু সে গলা মেলায়। কোনো কোনো দিন  জয় আসে। আসর আরও জমে যায়। কোনোদিন তারা বেড়িয়ে পরে কলকাতার পথে। কোনোদিন ভিক্টোরিয়া, কোনোদিন প্রিন্সেপ ঘাট, কোনোদিন দক্ষিণেশ্বর, তবে কলকাতার বাইরে কোথাও যাওয়া হয়নি তাদের।

    অর্ণবই বলল, “চারদিন ছুটি পাওয়া গেছে, মার সাথে তো তোমার দেখাই হয়নি। চলো ঘুরে আসা যাক।” জয়িতা তো এক কথায় রাজি। শান্তিনিকেতন এমনিতেই তার খুব প্রিয়। ছোটবেলায় একবার গেছিল বাবা মার সাথে। কি সুন্দর শান্ত নিরিবিলি। কলকাতার বদ্ধ জীবন থেকে খোলা পরিবেশে যেন একটা পাখির মতো মনে হয়েছিল নিজেকে। বাবা মা কে সেসময় খুব কাছ থেকে পেয়েছিল। সেদিন রাত্রিবেলা যখন জয়িতা আর অর্ণব তাদের ভবানিপুরের বাড়িতে করা নাড়ল, রাত্রি তখন একটা। ভিতরে আলো জ্বলছিল। জয়িতা ভয়ে কুঁকড়ে ছিল।নিজেকে আড়াল করেছিল অর্ণবের পিছনে। দরজা খুলেছিল শান্তিপিসি। তাদের দেখেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠল, “কোথায় ছিলে গো তুলি দিদি, ও বউদিমনি দেখে যাও গো……।” শান্তিপিসিকে পাশ কাটিয়ে অর্ণব বাড়ির মধ্যে ঢুকেছিল, জয়িতার হাত তার মুঠোয় ধরা। বাবা মা নিচের হলেই বসে ছিল। মিহিরকাকুও ছিল, মিহিরকাকু বাবার বন্ধু, লালবাজারে পোস্টিং।তাদের দেখে প্রথম মিহিরকাকুই কথা বলে উঠল
    - আরে এই তো, এসে গেছে। করেছিস কি তুলি। এযে একেবারে জোড়ায় আগমন। বউদি আর কোন চিন্তা নেই তাহলে। উফফ যা টেনশনে  পড়েছিলাম।
    জয়িতা তখনও মাথা তুলে তাকাতে পারছে না। কিন্তু বুঝতে পারছে বাবা মা হতভম্ব হয়ে গেছে। অর্ণবই বলল
    - আমি অর্ণব। আমি জানি, আমরা আপনাদের কাছে ভীষণ অপরাধ করেছি। তবু যাতে সে অপরাধ আর না বাড়ে তাই ক্ষমা চাইতে এসেছি। আজ বিকেলে আমরা রেজিস্ট্রি বিবাহে আবদ্ধ হয়েছি। আপনাদের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। অর্ণব এগিয়ে গিয়ে প্রনাম করল, পিছু পিছু জয়িতা। বাবা অর্ণবকে থাক থাক বললেও, জয়িতাকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন। বাবাকে কখনো কাঁদতে দেখেনি জয়িতা। জয়িতাও কাঁদছিল। “আমি তো ভেবেছিলাম কোন অঘটন …। তোকে যে ফিরে পাবো।” বাবা আর শেষ করতে পারেনি কথা। মা প্রণাম নিয়ে উঠে যাচ্ছিল, যাবার আগে বলল
    - তোমরা বোসো আমি আসছি। তুলি তুই আমার সাথে আয়।
     
    তারপর মা ঘরে নিয়ে গিয়ে অনেক কথা বলেছিল। “তোর মতই একদিন আমারও বয়েস ছিলো তুলি। আমরা তোর বাবা আর আমি একই সাথে পড়তাম। একসাথে পড়তে পড়তে আমদের সম্পর্ক এরকম হয়ে যায়। আমরাও বিয়ে করেছিলাম। তবে বাবা মা কে জানিয়ে। আজ যদি তোর বাবা বা আমি তোর খোঁজ না পেয়ে কিছু হয়ে যেত তাহলে?”
    - আমাকে ক্ষমা করে দাও মা। আমি ভয়ে কিছু বলতে পারি নি। বলে তুলি মা র কোলে মুখ গুঁজে কেঁদে ফেলেছিল। তারপর মা মেয়ের কত কথা আর কান্না।  হটাৎ করেই মা যেন বন্ধু হয়ে গেছিল সেদিন।
    শান্তিনিকেতন পৌঁছোতে এখনও কিছু দেরি আছে। ট্রেনে বেশি ভিড় নেই। জয়িতা অর্ণবের একটা হাত ধরেই ছিল। এক অদ্ভুত ভালো লাগা আজ তাকে পেয়ে বসেছে। রোজকার নিয়ম থেকে এই ব্যাতিক্রম  বেশ লাগছিল। অর্ণবের মা কে সে এই প্রথম দেখবে। সেটাও এক উত্তেজনার কারন। ষ্টেশন থেকে একটা রিক্স নিল জয়িতারা। তারপর শান্তিনিকেতনের ছায়াভরা পথ পেড়িয়ে চলল গন্তব্যে।
    অর্ণবদের বাড়িটা যেন এক ছায়াঘন নীড়। একতলা বাড়ি। বাড়ির সামনেই মাধাবীলতার গাছ বারান্দাটাকে ঢেকে রয়েছে। লাল সুরকির ছোট পথ পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকতে হয়। অর্ণবের মা বাইরের বারান্দায় বেতের  চেয়ারে বসে ছিল। হাতে একটা বই। রবীন্দ্রনাথের। তাদের আস্তে দেখে বইটা সামনের টেবিলে রেখে উঠে দাঁড়াল। জয়িতা অর্ণব দুজনেই প্রনাম করল। উনি শুধু মাথায় হাত রাখলেন। তারপর চাকরকে ডেকে জয়িতার সব ব্যাবস্থা করতে বললেন। জয়িতা একটু অবাক হলেও কিছু বলল না। অর্ণব বলেছিল তাকে দেখে মা খুশিই হবেন। সেরকম কিছু তো জয়িতার মনে হল না। বরং উনি যেন অন্য কোন জগতে আছেন মনে হল। ঘরে এসে জয়িতা অর্ণবকে না জিজ্ঞেস করে পারল না
    - মা বোধহয় আমাকে দেখে খুশি হন নি।
    - কেন? সেরকম তো কিছু মনে হল না।
    - মা তো কিছুই বললেন না।
    অর্ণব কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, সেরকম কিছু নয়। মা একটু চুপচাপ মানুষ…আর, বলে অর্ণব চুপ করে গেলো।
    - আর কি?
    - কিছু না। তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। অর্ণব কথা বাড়াল না।
    যাইহোক খাওয়া দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিয়ে জয়িতারা বেড়িয়ে পড়ল। শান্তিনিকেতন আগে এলেও এবার যেন সব কিছু নতুন লাগছে, সেটা অর্ণব সাথে আছে বলেই কি? কে জানে।  
     
    অর্ণব তাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব আবার দেখাল। সাথে তার ছোটবেলার নানা গল্প। সকালে মা র সাথে আসত উপাসনাগৃহে। আম্রকুঞ্জে তাদের ক্লাস হতো। বন্ধুদের সাথে সাইকেল চড়ে চলে যেত খোয়াই এ।
    - জানো জয়িতা যখনই জীবনে আমি কোন কঠিন জিনিসের সম্মুখীন হই মনে মনে একবার এই স্মৃতিগুলো ঝালিয়ে নিই। সব কিছু যেন সহজ সরল হয়ে যায়।
    জয়িতারা তখন আম্রকুঞ্জে পাশাপাশি বসে। অর্ণবের কাঁধে জয়িতার মাথা আলতো করে রাখা। জয়িতা কিছুই বলতে পারছিল না। এক সুন্দর অনুভূতি তাকে বেষ্টন করে রেখেছিল। কিন্তু মা র কথাটা জয়িতার মন থেকে যাচ্ছিল না।
    - আচ্ছা মা কি অখুশি আমাদের দেখে? জয়িতা জিজ্ঞেস করে।
    - তা কেন। মা আসলে ওরকম। প্রকাশ কম ।
    জয়িতার তবু মন ভার হয়ে থাকে। অর্ণব সেটা বুঝে জয়িতাকে কাছে টেনে নেয়। এখন পড়ন্ত বেলা। আম্রকুঞ্জে কেউ নেই। দিনের শেষে জয়িতারা বাড়ি ফিরে আসে।
    রাত্রিবেলা খাবার টেবিলে জয়িতা আবার সেই সকালের মতো অস্বস্তির মধ্যে পড়ল। রাতের খাওয়া সবাই একসাথে বসেই খাওয়া হবে। খুব সুন্দর গন্ধ উঠেছে রান্নার। রান্না যদিও নিরামিষ। খিদেও পেয়েছিল সারাদিনের ঘোরাঘুরির পর। তবু জয়িতা খেতে পারছিল না। অর্ণব নির্বিকার ভাবে খেয়ে যাচ্ছিল। টুকটাক কথা বলছিল মা র সাথে। জয়িতা যে আছে সেটা যেন কারো মনে নেই। একটু অভিমান মনে গড়ে উঠছিল।
    - তুমি খাচ্ছ না ? কিছু সমস্যা হলে বোলো। তুমি খাও তো এসব? সারাদিনের পর এই প্রথম অর্ণবের মা জয়িতা কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেন।
    - হ্যাঁ খাই। জয়িতার মৃদু উত্তর। একটু থেমে উনি আবার বলেন
    - তোমাকে সেভাবে আমি হয়ত আপ্যায়ন করতে আজ পারলাম না, পরে যখন আসবে তখন হয়ত পারব। আসলে আজকের দিনটায় অর্ণবের বাবা আমাকে ছেড়ে চলে যান। তাই আজ একটু নিভৃতে থাকতে ইচ্ছে করে।
    জয়িতা অবাক হয়ে যায়। অর্ণব তো তাকে কিছু বলে নি। অদ্ভুত। এটা তাকে বললে তার সারাদিনের এই যে মনের দ্বন্দ এটা তো পরিষ্কার হয়ে যেত। অর্ণব তাকে একথা বলল না কেন? স্ত্রী হিসেবে এটুকু জানা তো তার অধিকার। যে অভিমানটা এতক্ষণ অর্ণবের মা র ওপর হচ্ছিল সেটা এখন অর্ণবের ওপর গিয়ে পড়ল। অর্ণব তখনও নির্বিকার ভাবে খেয়ে যাচ্ছে। জয়িতা কিছুক্ষণ চুপ করে তাকিয়ে আস্তে আস্তে মাথা নিচু করে খেতে শুরু করল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন