ভ্রমি তালুকদার স্লিম ফিগার বয়সে বত্রিশ, পরিচয়ে আমার প্রিয় বন্ধু প্রানের বউ। প্রানের বয়সে পঞ্চান্ন। রিটেয়ার হতে এখনও পাঁচ বছর বাকি। পঞ্চাশ বছরে বিয়ে করেছে সাতাশ বছরের গরীব ঘরের ভ্রমিকে, প্রথম পক্ষের পঁয়তাল্লিশের বৃদ্ধার অকাল প্রয়ানের পরই অল্প বয়সী অভাগী ভ্রমিকে দেখে আর লোভ সামলাতে না পেরে গরীব ভ্রমিকে অহল্যা উদ্বার করেছিল বুড়ো প্রান।
সেই ভ্রমি' ই আমাকে চোখ মারলো আজ। আমি প্রানের বন্ধু বয়স সাতান্ন। তবে ও কেন আমায় চোখ মারলো? - ঠিক মালুম হলো না।
মনটা চনমনে হলো বেশ। কিন্তু কেন বলুনতো ও আমায় চোখ মারলো? আমি তো প্রানের থেকেও বয়সে বড়। পয়সায় প্রানই শ্রেষ্ঠ। ওর অনেক পয়সা , আর রাজমহল আছে। তাতেও কি ভ্রমির মন উঠছে না?
আমি পরের দিনই বাজারে থলি হাতে বেগার ঘুরতে লাগলাম ভ্রমির সাথে মুলাকাতের সু্যোগে। জানতেম এই সময়ে ভ্রমি বাজারে আসে।
হ্যাঁ ওইতো ও আসছে। আমার শরীর সরসর করে উঠলো ওকে দেখেই।
ভ্রমি হেসে একেবারে আমার গায়ের কাছে চলে এল। কি মিষ্টি গন্ধ ওর গায়ে,
-- আরে আপনি যে একেবারে বাজারে চলে এসেছেন দেখছি ?
-- হ্যাঁ হ্যাঁ ওই একটু!
-- শুনুন না আপনার সঙ্গে আমার একটু গোপন কথা আছে। চলুন না একটু কোথাও বসে গল্প করি।
-- হ্যাঁ হ্যাঁ চলুন না ।
নিকুচি করেছে ধপের বাজারের। আমিতো পুরো ধপ মেরে ঘুরছি।
-- চলুন না পাশের চায়ের দোকানে গিয়ে বসি?
-- না না আমি যাবো না --
হঠাৎই ভ্রমির মুখে লজ্জা এসে হাজির। পাতলা কাপড় বারবার শরীরকে ছেড়ে পড়ে যাচ্ছে আর ভ্রমি ততবারই কাপড় সরিয়ে ওর বুক দেখাচ্ছিল আমায়।
-- কেন আবার কি হল?
-- আমায় তুমি বলে না ডাকলে আমি কিন্তু আর খেলবো না।
-- না না তা কেন আমি তোমায় তুমি ই বলবো - খেলতে চাই যে।
চা খেতে খেতে ও আমার গা তে ওর গায়ের ঘষা লাগাচ্ছিলো। আমি গরম হয়ে উঠছিলাম এমন সময় ও হঠাৎ বলে উঠলো,
-- একটা কথা বলবো?
-- হ্যাঁ হ্যাঁ বলে ফেলো। আমি অধীর হয়ে শ্রবনের অপেক্ষমান।
-- বলতে লজ্জা করছে। খুবই। বলবো? দেবেন তো?
বলেই রিমি কাপড়ের ভিতর উন্নত অংশ বিশেষ বাহিরে আনতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো -
-- বলো বলো আমি দেওয়ার জন্যই তৈরি হয়েই বসে আছি।
-- হাজার পাঁচেক ধার দেবেন দাদা। খুবই দরকার আমার যে …
গরম দাঁড়িয়ে থাকা শরীর আমার যে নেতিয়ে পড়ল নিমেষেই! -- দাদা?
ভ্রমি আমায় আকর্ষণ করছে - পারলে আমায় জাপটে ধরে। আমি সরে আসতে চাইছি। তাড়াতাড়ি ওকে ছাড়তে চাইছি।কিন্তু চাইলেই কি সব মেলে?
সেদিন অনেক কষ্টে পালিয়ে এস হাঁফ ছেড়েছিলাম -- বুঝিবা আমি এযাত্রায় বেঁচে গেলাম।
কিন্তু অদৃষ্টে কি আছে আমি জানতাম না।
ভ্রমি একেবারে বাড়িতে এসে হানা দিল। গিন্নির কাছে ধরা পড়ে যাই-যাই আর কি!
শেষে ভ্রমিকে হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে এলাম বাড়ির পিছনের আগাছার জংগলে। ভ্রমি আবার ভুল ভেবে আমাকে জড়িয়ে ধরে নিল -আর মোবাইলে ছবি তুলতে লাগলো।
ব্যাপারখানা সুবিধার নয় বুঝেই আমি ওকে ওখানেই দাঁড়াতে বলে ছিটকে বেরিয়ে গেলাম। বাড়িতে এসে অতি সন্তর্পণে আলমারি খুলে পাঁচ হাজার টাকা বার করলাম বউয়ের অজান্তেই।
ভ্রমি দাঁড়িয়ে ছিল মোবাইলে ছবি দেখানোর জন্যই। সত্যিই আমি ভয় পেয়ে গেছি। তাড়াতাড়ি ওর হাতে নগদ কড়কড়ে পাঁচ হাজার তুলে দিলাম।
আর বললাম, ---
-- না না, তোমায় আর ফেরত দিতে হবে না।
ভ্রমির মুখে রঙিন আলোর ঝলকানি, --
না না, আপনারা ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আপনার বন্ধু প্রান সব জানে!
প্রান আমার প্রানের বন্ধু সব জানে?
আর আমি শালা এমনই বোকা যে আমি কিছুই জানিনা?
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।