এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সত‍্য বৈ... /১/

    কৌশিক ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ অক্টোবর ২০২১ | ১১১৪ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)
  • যাহা বলিব সত‍্য বলিব, সত‍্য বৈ মিথ্যা বলিব না
     
    সদ‍্য জয়েন করেছি স্কুলে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন। স্কুল থেকে তিন কিলোমিটার আগে এক ব‍্যাটা বেবুনপাজিহতচ্ছাড়া মুরগি আমার চলন্ত বাইকের সামনের চাকা আর পেছনের চাকার মাঝের ফাঁকটাতে ঝাঁপ দিলো। একদম ডেলিবারেটলি। উইদাউট এনি প্রোভোকেশন। ডিপ্রেশন এ্যান্ড ওয়ার্কপ্লেস স্ট্রেস ছিলো মনে হয়। দীর্ঘদিন ধরে কেউ ওকে রান্নার চেষ্টা করেনি। তাই হয়তো ঝাঁপ।
    পেটের ওপর দিয়ে চাকা গেলে কি আর মুরগি বাঁচে ? মুহূর্তে হৈ হৈ। দেড় মিনিটে ভিড়। সাড়ে চার মিনিটের মধ‍্যে আমি ঘেরাও।
    ড্রোন দিয়ে ভিডিও তুললে সে যে কি অসাধারণ হতো, লং শটে অজস্র কালো কালো মাথার ভিড় দিয়ে শুরু করে মুরগির শবদেহের ক্লোজআপে শেষ।
    ওতদঞ্চলে প্রচলিত ব‍্যবস্থা হলো কয়েক জেনারেশনের দাম নেওয়া ('এই এলাকা' এতদঞ্চল, 'ঐ এলাকা' তেমনি ওতদঞ্চল)।
    ওতদঞ্চলের প্রথা মেনে ততক্ষণে হিসেব শুরু হয়ে গেছে।
    এই একটা মুরগি পাঁচটা ডিম পাড়তো। যদিও মুরগিটাকে দেখে আমার স্পিনস্টার মনে হয়েছিলো, নেহাৎ বেপাড়া বলে মুখ খুললাম না। হিসেবের কড়ি ওদিকে বাড়ছে কমপ্ল‍্যান খাওয়া বাচ্চার মতো।
    এর ডিম ফুটে বাচ্চা হলে তার মধ‍্যে অন্তত দুটো ডিম্ববতী মুরগি পাওয়া যেতো। তারা ডিম দিতো, সেগুলো ফুটে বাচ্চা হলে... মোট উনিশটা মুরগির সবশুদ্ধ দাম দাঁড়ালো উনিশ ইনটু দেড়শো ইজিক‍্যাল্টু সাড়ে সাতাশ শো। বার্গেনিং টার্গেনিং করে শেষে "দ‍্যান তবে দু'হাজার।"
    ভিড়াক্রান্ত আমি তখন নার্ভাস। সদ‍্য জয়েন করেছি, সার্ভিসের এ্যাপ্রুভ‍্যাল হয়নি, এটিয়েম কার্ড ফার্ড নেই। মানে কার্ড আছে, কিন্তু সে বাবার কার্ড। স‍্যালারি হতে আরো দেড় মাস। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। তিল, কালোজিরে আর সর্ষে তিনটে ফুলই একসাথে দেখতে পাচ্ছি চোখে।
    যথাসময়ে ডেলিবারেশন শুরু হলো। কর্পোরেট দুনিয়ার ভাষায় ডিউ ডিলিজেন্স। মুরগির তিন পুরুষের দাম ভার্সেস মাস্টার কতো টাকা দেবে, দীর্ঘ আলোচনা।
    আমি ভয়ে ভয়ে বলার চেষ্টা করলাম, "না, ইয়ে মানে... দেখুন, ছাগল এত্তো বড় একটা প্রাণী, ছাগল হলে তো খুব বাজে ব‍্যাপার হতো। এ তো ছোট একটা মুরগি, মানে যদি কিছু কমসম করে..."
    ভাগ‍্যবানের বোঝা বলে কথা। ভগবান মনে হয় ফ্রি ছিলেন সেদিন, যথাযথ কনসেনট্রেট করলেন আমার কেসে।
    প্রকৃত ভক্ত হলে যা হয়, আমি ভগবানের কথা ভেবে একটু বিহ্বল হয়ে পড়েছিলাম। জ্ঞান ফিরলো চারপাশে গুণগুণ ধ্বনি কানে আসায়। ভিড়ের মধ্যে সবাই ঘুষ নিয়ে আলোচনা করছে।
    ঘুষের ট‍্যাকার কি হবে ? ঘুষের ট‍্যাকাটা পাওয়া যাবে না? 
    কথাগুলো কেমন যেন লাগলো, বারবার কেন ঘুষের টাকার কথা ? আমি এখন প্রাণীসম্পদ দপ্তরের অধীনে। অন‍্য অনেক দপ্তরে ঘুষ টুষ চলে শুনতে পাই। প্রাণীসম্পদ দপ্তরের এ বদনাম কখনো শুনিনি।
    তাহলে কি মুরগিটা সুইডেন থেকে আনা ? বোফর্স চিকেনস্ লিঃ ? ফোনওয়ালা সামসুঙ জাহাজ বানায়, কামানওয়ালা বোফর্সের মুরগি বেচতে অসুবিধা কোথায় ? আপাতত মুরগির সাথে ঘুষের এছাড়া আর কোনো সম্পর্ক মাথায় আসছে না।
    লোকজন এদিকে শিবে নামে কাকে যেন ডাকাডাকি করতে শুরু করেছে। চুড়িদার পরা বছর দশেকের একটা ছোট্ট মেয়ের হাত ধরে ভুঁড়িদার একজন প্রৌঢ় এসে মঞ্চে অবতীর্ণ হলেন।
    মুরগির সমব‍্যথীরা জানালেন ইনিই মুরগির মালিক, এঁর বাড়িতে চল্লিশটা মুরগির ঘোরাঘুরি ওড়াউড়ি নিত‍্য। তারই একটা কোনোভাবে ছিটকে এসে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে গেছে। এবং প্রৌঢ়ের নাম শিবনাথ ঘোষ।
    প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত লোকদের মনে যা-ই থাক, কাজে এবং কলমে, মুখেও, নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হয়। নৈহাটির ওদিকের এক ডেপুটি ম‍্যাজিস্ট্রেট সেই দেড়শো বছর আগে লিখে গেছেন "ঘোষকে ঘোষ না দেখিলে দেখিবে কে ?"
    মানে এটাই লিখতে চেয়েছিলেন আর কি। পোস্টিং ছিলো বহরমপুরে, আমিও বহরমপুরের ছেলে, তাই জানি ওনার লেখালিখির পেছনে আসল গল্পগুলো। স্রেফ প্রশানিক নিরপেক্ষতার দায়ে ওঁর পাব্লিশার "বাঙালিকে বাঙালি না দেখিলে..." করে দিয়েছিলো লাইনটাকে।
    শিবনাথ ঘোষের সাথে আমার ইন্ট্রো পর্ব মিটলো। মুরগিনাথের নাম শিবনাথ ঘোষ, আমিও ঘোষ। অতএব আমার ভাগ‍্যাকাশে নবারুণ একদম লালে লাল হয়ে উদিবে আবার, এ আশা করাই যায়।
    কিন্তু লোকটার মুখজুড়ে বিরক্তি, অকারণ বিরক্তি মুখে কেমন একটা ছাপ ফেলে রেখেছে। ইনি পদবীসূত্রে 'ঘুষ' হলেও মুরগির অকালপ্রয়াণের খবর পাব্লিকের কাছে শুনে নিশ্চয়ই ক্ষিপ্ত। হেলমেটটা খুলে ফেলে ভালো করিনি, প্রথম চোটটা শিওর মাথার ওপর দিয়ে যাবে।
    আর পাব্লিকের যা মুড দেখছি, প্রথমে এখানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে, "ঘুষের মুরগি আজ আর আমাদের মধ‍্যে নাই।" তার একঘন্টা পরে আমার স্কুলে নীরবতা পালন করা হবে, "কৌশিক স‍্যার আজ আর আমাদের মধ্যে নাই।" গণপ্রহারে হত ১, দিব‍্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি।
    হায় মূর্খ মানুষ, দিব‍্যদৃষ্টিতে যা দেখতে পাইনি তা হলো ভগবান ততক্ষণে আমার মাথার ওপরে ফাঁকা জায়গাটায় ফুট দুয়েকের দূরত্বে চলে এসেছেন এবং পুরো চেইন অভ্ ইভেন্টস্ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন।
    উত্তেজিত জনতা শিবনাথকে জানালো যে জিরো জিরো সেভেনের বাচ্চা এই নতুন মাস্টারটা সাউন্ড ব‍্যারিয়ার ভেঙে বাইক চালাচ্ছিলো আর স্রেফ সনিক বুমের ধাক্কায় মুরগিটা মারা গেছে।
    বৃদ্ধ শিবনাথ আধবোঁজা চোখে সব শুনে হাত তুললেন। চেঁচামেচি বন্ধ এক মুহূর্তে। একবার সবার মুখের উপরে চোখ বুলিয়ে নিয়ে শিবনাথ ঘুরে দাঁড়ালেন আমার দিকে।
    তারপর বললেন, "শুনো নতুন মাস্টার, ছাগল আর হাঁস উইত্তি পারে নাআআ। ইয়ারা পশু। ইয়াদের চাপা দিলিই ফাইন লাইগবে। কিন্তু মুরগিইই, উ তো উইত্তি পারে, উ পশু না, উ তো পাখিইই। চাপা পইল্লি কুনো ফাইন নাই, ট‍্যাকা লাইগবে না। যাও নতুন মাস্টার, যাও। ইশকুলে চইলি যাও।"
    আমি একবার একটু আমতা আমতা করে বলতে গেলাম... কি বলতে গেলাম কে জানে। শিবনাথ আবার বললেন, "তুমাকে তো বইল্লাম,নতুন মাস্টার, হাঁস হইচ্ছে পশু, উইত্তি পারে না। ফাইন লাইগবে। মুরগি উইত্তি পারে, মুরগি হইছে পাখিইই। চাপা পইল্লি ফাইন নাই।"
     
    পুনশ্চ :
    গুরুচন্ডালীতে অনেক ক'টা নাস্তিক আছে। তাদেরকে কিছু বিশ্বাস করানো  খুব  কঠিন। মুরগিবৃত্তান্ত পড়ে প্রথমেই বলবে সবই ঢপ, পুরো গ‍্যাস খাওয়ালাম। এদের মতো পাব্লিকই টীকো ব্রাহেকে পুড়িয়ে মেরেছিলো পৃথিবী ঘোরে বলার জন‍্য। টীকোর কাছে  আমি বাচ্চা ছেলে। কাজেই যতোই  সত‍্যি বলি না কেন... যাকগে। 
    ভয় একদম পাইনা, তা না অবশ্য।  শুভম একদিন বাড়ি ফেরার সময় চুড়িদার পরা একটা মেয়েকে চাঁদের উপরে পা তুলে বসে থাকতে দেখে এসে আমাদের  কাছে  গল্প করেছিলো। দময়ন্তী এসে  গল্প  শুনে  যা ঝাড় দিলো রে। বললো শুভম গাধামো করছে, মেয়েটার গায়ের, হ‍্যাঁ, গায়ের, পোষাকটার নাম নাকি চুড়িদার নয়। তা বাবু আমি কিন্তু শিবনাথের নাতনিকে গায়ে চুড়িদার পরেই আসতে দেখলুম। ও  পোষাকের  ঐ চুড়িদার নামটাই জানি। 
    তা এখন যদি গাধামো বলে তো বলবে। সত‍্যের পথ, হুঁ হুঁ বাবা, কোনোদিনই কি কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো ?
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 203.0.3.2 | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ০৫:০৭499238
  • হাঁস হইচ্ছে পশুউউউ আর মুরগি হইছে পাখিইই। এই ​​​​​​​এনালজিটা ​​​​​​​মাস্টারপিস। 
  • কৌশিক ঘোষ | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ০৯:২৪499249
  • আপনার পছন্দের যেকোনো লোক দ‍্যাখান, তার মাথায় হাত রেখে কিরা কেটে কসম খেয়ে বলতে রাজি আছি যে ঘটনাটা সত‍্যি। পরবর্তীতে অন‍্যত্রও এরকম আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থেকেছি।
    এ জন‍্যই শিরোনামে বলে দিয়েছি সত‍্য বৈ...।
  • বিপ্লব রহমান | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ১২:৩০499259
  • সেরাম সরেস হইছে মাস্টার! আরো  ল্যাখা দেন
  • Ranjan Roy | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ১৩:১৫499265
  • আমার কপাল খারাপ। আমার অফিসের জীপগাড়িতে ছাগল আহত হইয়াছিল, মরে নাই।
    উহারা ২০০০ টাকা চাহিল, ১২০০তে রফা হইল। কিন্তু মুমুর্ষু ছাগলটিকেও লইয়া গেল। 
    আমি ব্যাংক মার্কা তর্ক জুড়িলাম-- টাকা দিয়াছি , এই ছাগল আমার। বাজারে কেহ ছাগলের দাম দিলে সেকি ছাগল লইয়া যায় না?
    উহারা দশ সেকেন্ড চুপ থাকিয়া অকস্মাৎ সমবেত হারে রে রে রে করিয়া উঠিল।
    বলিল--ইহা বাজার নহে। মালিক স্বেচ্ছায় বিক্রয় করে নাই। আমি ঘাতক। ছাগলটি মরিবে। উহার শেষকৃত্য মায় শ্রাদ্ধশান্তি করিবার অধিকারী মালিক, আমি নহি।
    ড্রাইভার ইশারা করিতেছিল।
    উই গাঁ-টি বদনাম বস্তি। মাঝে মধ্যে গণ হাতের সুখ করিবার জইন্য  উয়াদের আঙুল নিশপিশ করে।
    অতএব-- "শূন্য হাতে মোরা ফিরি হে"!
     
    কৌশিক, আরও ছাড়ুন।
  • কৌশিক ঘোষ | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৩৪499273
  • @ Ranjan Roy
    আপনি রাজযোগের জাতক। বৃহস্পতি তুঙ্গে। তাই ঐ একটা ছাগলের দাম নিয়েছে। আমার কর্মক্ষেত্রের কাছাকাছি এলাকায় generations togetherএর দাম নেওয়া হয়। যেমনটা আমি লিখেছি।
    আরো অবশ্যই ছাড়বো। এবার মাস্টারমশাইদের গল্প।
  • | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ২০:২২499277
  • যতদূর মনে পড়ছে উক্ত গল্পে পালাজোর সাথে চুড়িদার পরার কথা লেখা ছিল। এবং মানাচ্ছে কি মানাচ্ছে না গোছের কিছু ছিল। এবার পালাজোর সাথে চুড়িদার কীভাবে পরা সম্ভব আমি জানি না। হয়ত পালাজোটা এক বা দুই সাইজ বড় নিলে পরাও যেতে পারে।  আর মেয়েদের পোষাক!? ও আবার কে খুঁটিয়ে অত জানতে যাবে? সায়িত্য কত্তে গেলে ওসব 'মেয়েলি ব্যপার'  নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকারই বা কি! তবে সম্পাদিত বিভাগের লেখায় এসব আশা করি নি আর কি। 
     
    বহুল ব্যবহৃত শপিং সাইট থেকে দুটো ছবি দিয়ে গেলাম।
     
     
     
     
  • | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ২০:২৩499278
  • কৌশিক ঘোষ | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ২৩:১১499290
  • @দ
    আমি কিন্তু শাড়ি পরে বাসে ট্রেনে  জার্নি করতে পারবো না, তার চেয়ে চুড়িদার পরে ঘোরাঘুরি করা আমার কাছে সহজ, আমি স্বাচ্ছন্দ‍্য বোধ  করি চুড়িদারেই।
    শিক্ষিকারা চুড়িদার পরে স্কুলে আসায় বিতর্ক, অভিভাবকদের দাবি চুড়িদারের বদলে শাড়ি পরে এলে তবেই তাঁরা শিক্ষিকাদের ঢুকতে দেবেন।
    আসুন ম‍্যাডাম, বলুন কি দেখাবো ? শাড়ি দেখবেন ? নাকি চুড়িদার ?
    কোনো পুরুষতন্ত্র, মেয়েদের পোষাক বেছে নেবার স্বাধীনতা ইত‍্যাদির কথা বলছি না। বলছি মুখের ভাষার কথা।
    আমার চারপাশে অজস্র মহিলাকে প্রথম অনুচ্ছেদের ভাষা ব‍্যবহার করতে শুনি। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের ভাষা পাই খবরের কাগজে। তৃতীয় উদাহরণ পোষাকের দোকান থেকে।
    শুনে, পড়ে এবং দেখে মনে হয় চুড়িদার একটা জেনারেল টার্ম যা দিয়ে ওপরের কামিজ/কুর্তা সহ পায়ের সালোয়ার/চুড়িদার বোঝানো হয়।
    নির্দিষ্টভাবে কোনো কোনো পরিমন্ডলে গেলে চুড়িদার শব্দটা নির্দিষ্ট অর্থে সঙ্কুচিত হয়ে যায়। যিনি মহিলাদের পোষাক বানান, তাঁর কাছে গেলে। বা যেখানে দুজন মহিলা কথা বলছেন : **আমার পালাজো ভালো লাগে না, চুড়িদারই বেশি পছন্দ করি।
    একদম প্রথম তিন অনুচ্ছেদে শাড়ি এবং চুড়িদার দুই-ই গলা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত একটা সম্পূর্ণ পোশাক। বর্তমান অনুচ্ছেদের ঠিক ওপরের অনুচ্ছেদে দুই মহিলার **যুক্ত বার্তালাপে চুড়িদার কিন্তু পালাজোর তুল‍্য, কোমর থেকে গোড়ালি একটা আবরণ।
    প্রথম ক্ষেত্রে চুড়িদার শব্দটা শাড়ির মতো জেনেরিক টার্ম। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে স্পেসিফিক টার্ম।
    ইংরেজিতে এর খুব কাছাকাছি উদাহরণ হবে : Moscow didn't quite agree but Delhi says  they will... blah blah. মস্কো এবং দিল্লি এখানে সামগ্রিক দেশ তথা সরকার বোঝাচ্ছে। মস্কো এবং দিল্লী এখানে ১০০% সমতুল‍্য।
    যদি বলি Moscow is much cleaner than Delhi, তাহলে স্পেসিফিক হয়ে গেলো, মস্কো আর দিল্লী সমতুল‍্য রইলো না।
    শুভমের গল্প পড়ার সময় আমি নিজে এইভাবেই পড়েছি। হোঁচট খাইনি পড়তে গিয়ে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন