এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  পুজো ২০০৬

  • এ পরবাসে

    পারমিতা দাস
    ইস্পেশাল | পুজো ২০০৬ | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ৫০২ বার পঠিত
  • সকাল থেকে এই নিয়ে সতেরোবার রিং। এবারও নিঘ্‌ঘাত হসপিটাল থেকে। তিনমাস আগে থেকে বলে রেখেছি এই উইকেণ্ডের অন কলে আমি আর কোনমতেই নেই - তবু কারুর না কারুর বদহজম, কারুর ফলস লেবার আর ওয়াটার ব্রেক করলে তো কথাই নেই - হসপিটালে ছোটো রে তক্ষুনি। অন্য কাউকে পাঠিয়ে লাভ নেই, এক বছরের রুগি-ডাক্তারের সম্পক্ক।

    গেল, প্রচন্ড দেরী হয়ে গেল। কিসের দেরী, অবশ্য বুঝিয়ে বলতে পারবো না। একাশি সাল থেকে আজ অবধি ক্যালিফোর্নিয়ার এই পাড়ায় প্রায় পঁচিশটা পুজো দেখা হয়ে গেল। জানপ্রাণ দিয়ে শশা কাটা থেকে শুরু করে তিরিশজন আর্টিস্টকে বাড়িতে পঞ্চব্যঞ্জন রান্না করে আতিথেয়তা - সবই একসময় করেছি। এখন আর অতো পারিনা, ভালোও লাগেনা। একটু দূরেই দাঁড়িয়ে থাকি। দেখি আমেরিকার এই পুরোনো দুগ্গাপুজোকে, মানে যতোটা পুরোনো হওয়া যায় আর কি। সিলভার জুবিলি দুগ্গাপুজো।

    তাও ওরা প্রতিবারই ফোন করে। কমিটির লোকজন। তনিমাদি, ফিনান্সটা দেখবে নাকি। তনিমাদি, শ্যামায় সঞ্চালিকা তুমি না হলে আর কেউ তো নেই। হেসে বাঁচি না। ওরে আমি সবই বুঝি! তনিমাদি কিনা পয়সাওলা ডাক্তার, তায় সিংগল, পাহাড়ের ওপর বড় বাড়ি - তাই এখনো তার ভারি কদর! এসব হই টই না, কিন্তু ডোনেশান দিয়েই দি, মোটামতই। বচ্ছরকার দিন।

    গাড়ি পার্ক করে শাড়ীর আঁচল জড়িয়ে মণ্ডপের দিকে এগোই, মাইকে শুনতে পাচ্ছি অঞ্জলির নিমন্ত্রণ। প্রতিবারই ইহাই অষ্টমীর শেষ অঞ্জলি বলে অ্যানাউন্সমেণ্ট শোনা যায় পুরোহিতমশাই অবিনাশদার বীরকন্ঠে, কিন্তু জানি, একজন লোক বাকী থাকলেও অবিনাশদা (উকিল অন্যত্র) অঞ্জলি দিইয়েই যাবেন। ফেরাবেন না কাউকে। আমি অঞ্জলিও দিই না। বড্ড ভীড়। দু-চারটে ভীড়ের ছবি তুলি।

    আরে কমলেশ যে! এই তরুণ তূর্কী কদিন আগেও না বলতো, তনিমাদি এই পুজোর ভীড়, বলিউডি নাচাগানা আর শ্যামা-শাপমোচনের অশ্রুমোচন - ন্যাস্টি! বাঙালী যে কবে এর থেকে বেরোবে? তা সেই ন্যাস্টি পুজোয় আসা যার একেবারেই পোষাতো না, সে এখানে বনলতা সেন পাঞ্জাবি পরে কি করছে? কাছে যেতে একটা শর্মিলি মৌরীহাসি দিয়ে জানালো, ৩-৭ বছরের ট্যালেন্ট শোতে তার শিশুকন্যাটির গৌরবময় যোগদান, অতএব বাবা এস্টাব্লিশমেন্ট পুজোর দারস্থ, অগত্যা। ভাঙে তবু মচকায় না, বলে চলে, ফোক কিনা, তাই অ্যালাও করলাম। মেয়েকে তো ঋতুরঙ্গে শরতের আকাশও সাজতে বলেছিলো, কিন্তু ওসব ক্লিশেড প্রোগ্রামে আমি নেই, হ্যাঁহ!

    ছাউনি করে ডোনারদের লাঞ্চের আয়োজন। পীযুষ নামের অল্পবয়সী ছেলেটি সঙ্গ নেয়, কথা বলতে বলতে তাঁবু অবধি এসে ঢুকতে যায়, তারপর আধহাত জিভ কেটে, এইরে এটাতে তো শুধু তোমরা - এমন শ্রেণীবিভাগে লজ্জাই করে। কিন্তু পেট চোঁচোঁ, তাই বিজনেস ক্লাসের ঘেরাটোপে নির্লজ্জভাবে ঢুকে যাই।

    ভি আই পি তাঁবুতে ঢুকেই শক - একপাশে একটি গুণগুণ গুঞ্জন করা মৌমাছির ভীড় - উঁকি মেরে দেখি গীটার হাতে ও ফাঁপানো চুল মাথে ব্যাণ্ডগায়ক আর তার চারপাশে ছেলে-ছোকরা-ছুকরি এমনকি বঙ্গ প্রেসিডেন্ট। অন্য একদিকে চুপ করে বসে আছেন বর্ষীয়ান লোকসঙ্গীত গায়ক অমর পাল। কেউ বোধহয় চিনতেও পারেনি ওনাকে। স্লটটিও পেয়েছেন তেমনি, শুক্কুরবারের সন্ধের ফাঁকা মাঠ। কি আর করা! জনতা জনার্দন যেদিকে, পয়সাও সেদিকে। তবু তো এবার দুজন বাঙালী গায়ক বাংলা গান গাইতে এসেছেন, অন্যবার তো তিরিশ হাজারি মুম্বাই আর্টিস্টের কমে এখানকার দর্শকের মন ওঠে না। স্টেজের সামনের খানিকটা জায়গা ফাঁকা তাধেই মাধেই নাচের জন্য। লেজারের খেলার মধ্যে আর্টিস্টের আগমন তথা আবির্ভাব। তারপর দু লাইন গাওয়া হলো কি হলো না, বাবারা ঘাড়ে শিশুকন্যাসহ, মায়েরা কোমরে আঁচলঁ জে মাঠে নেমে পড়ে - সে এক দৃশ্য! গান তখন মাথায় উঠেছে। আরে অতো নাচের শখ যখন তো মুম্বাই আর্টিস্ট ক্যানো? ডিজে কি কম পড়িয়াছে? মুম্বাই আর্টিস্টের খাঁই কি কম, সর্বদা এই চাই সেই চাই, অমুক হোটেল ছাড়া থাকবো না ইত্যাদি। এই মুম্বাই জমানা শুরু হবার পর থেকেই আমি বোর্ডে আর নেই।

    তবে মিথ্যে কেন বলবো, ঐ ত্রাহি রব গান মরমে এসে লাগলেও ছেলেবুড়োর উদ্দাম বল্গাহীন নাচের তালে দ্রিমি দ্রিমি মাদল কখনো কখনো বুকের মধ্যে বাজতে থাকে, মনে হয় যাই ছুটে আমিও নেমে পড়ি। যাহ, তাই পারি নাকি, ছোটবেলার গঙ্গার ঘাট হলে তবুও কথা ছিলো।

    মামাবাড়ির গঙ্গার ঘাট, চকোলেট বোম, একের পর এক ঠাকুর মাইকি আর প্রতিমার ঝপাং-এর পরেই এক এক করে পাড়ার ছেলেদেরও গঙ্গায় ঝাঁপ, শীত শীত ভর সন্ধেয় নেয়ে ওঠা। কি যেন নাম ছিলো ছেলেটার? মামাবাড়ি গেলে প্রতি পুজোতেই একমাত্র দেখা হতো, ম্যাট্রিকে আমার চেয়ে পাঁচ নম্বর কম পেয়েছিলো। কথা হয়নি কোনদিন।

    লাঞ্চ করে পেটের আগুন নিবলে মনে পড়লো, প্রতিমার মুখদর্শনই হয়নি! দ্যাখো কাণ্ড। অবশ্য এই প্রতিমাই তো গত আট বছর ধরে দেখে আসছি। অন্যসময় পাবলিক স্টোরেজের আট বাই দশ ঘরে বন্দী, শুধু এই একটিমাত্র উইকেণ্ডেই তিনি লাইমলাইটে। সাত-আট বছর গেলে অবশ্য প্রতিমার রিসাইকেলড হবার পালা। অন্য কোনো দুখিনী পুজোর পাড়া সস্তায় কিনে নেবে।

    বাহ, এবার শোলার সাজটি কে দিয়েছে গো? আর আলপনাটা? চোখ জুড়িয়ে গেলো। নতুন কটি উৎসাহী মুখ দেখতে পাই। এদের ভুলেও জিগেস করি না, তোমরা কে মা? কবে এসেছো এদেশে? কিছুদিন আগে ঠোঁটকাটা প্রকাশ জানিয়েছিল, আমেরিকার বুড়োহাবড়ারা নব্যদের প্রথম যে প্রশ্নটি করে থাকেন তা হলো, কদ্দিন এদেশে? এবং তাতে প্রকাশ ও তার বন্ধুসম যুবকের দল সম্পুর্ণ পিসড অফ হয়ে যায়। সেই থেকে আমিও খুব সচেতন হয়ে গেছি, ভুলেও ও পথ মাড়াই না।

    প্রতিমার পাশেই একটি ছোট মঞ্চ, এখানে কিছু লোকাল প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হয়। দুদুভাতু লোকাল প্রোগ্রাম। এই যেমন, এখন তপোবীর ঘোষ, হেমন্তকন্ঠী, গান গাইছেন। উনি ওনার সফটওয়ার কোম্পানি থেকে প্রতিবছর মোটারকম চাঁদা তুলে জমা দেন বাঙালী অ্যাসোসিয়েশন ফান্ডে। চার হাজারের কমে তপোকে হারমোনিয়াম ছুঁতে দিবি না - প্রেসিডেন্টের এমত নির্দেশবাণী আমার নিজের কানে শোনা। আহা, উনি গান গাইতে ভারী ভালোবাসেন। ওরা যে কেন এমন করে!

    প্রতিমার ঠিক সামনে এখন ভীড় পাতলা। আমি চেয়ার টেনে বসি আর ক্যারলবৌদির সঙ্গে গল্প জুড়ে দিই। ক্যারলবৌদি শাঁখে ফুঁ দেন, তা সুরে বেজে ওঠে। মা বেঁচে থাকতে আমার কাছে এখানে বেড়াতে এলেই সন্ধে দেওয়ানোর চেষ্টা করতেন আমায় দিয়ে। বারবার তিনবার শাঁখ বাজানোর সেই পরীক্ষায় আমি সসম্মানে ফেল করতাম - আর দ্যাখো এই বিদেশিনীর হাতে শাঁখ কেমন বাজলো! যার হয় তার অমনিতেই হয়।

    স্বর্ণাভ ক্যারলবৌদিকে সাধারণ করে পরা লালপাড় শাড়ি, বব চুল আর পিংক লিপস্টিকে একটু অদ্ভুত দেখায় আমার চোখে। শাড়ির আঁচল খসে পড়া যে ঠাকুরের সামনে নো নো, তা ওঁকে কেউ বলে দেয় নি। আমি ওঁর শাড়িটা পিন আপ করে দিই ভালো করে। ক্যারলবৌদি একটা সন্দেশ প্রসাদ আমার মুখে তুলে দেন। এই দেওয়া-নেওয়াতে আমাদের মধ্যে একটা বন্ডিং তৈরী হয়। আমার মনে একটা বেশ সুবাতাস বয়ে যায়।

    আমি অবশ্য একটা প্রোগ্রাম দেখবো এই পুজোয়। এখনই শুরু হবে। মহিষাসুরমর্দিনী। একটি মেয়ে আছে এখানে, নাম রুক্মিনী। মেয়েটির বাবা পাঞ্জাবী, মা বাঙালী, এখানেই বড়ো হয়েছে। মেয়েকে তাঁরা যত্ন করে গান শিখিয়েছেন, বাংলা শিখিয়েছেন। তারযন্ত্রের মতো সুরেলা রুক্মিনীর গলা। তার গান শুনে সলিল চৌধুরী, এখানে এসেছিলেন একবার, বলেছিলেন তোমায় দিয়ে আমি গান গাওয়াবো। তারপর অবশ্য নিজেই চলে গেলেন। তা সেই রুক্মিনী নিজে আর কয়েকজন মিলে করায় সম্পুর্ণ মহিষাসুরমর্দিনী, অসাধারণ। একটা পয়সাও পায় না। তবু প্রতিবার কি এক নেশায় যেন করিয়ে যায়। আর প্রতিবার কি এক টানে এই গান শুনতে আমি অন কল ডিউটি বাদ দিয়ে চলে আসি।

    জয় জয় জপ্যজয়ে জয়শব্দ পরস্তুতি তৎপর বিশ্বনুতে
    ঝনঝন ছিঞ্ঝিমি ঝিঙ্কৃত নূপুর শিঞ্জিত মোহিত ভুতপতে

    আধো ঘুমে আধো জাগরণে আমি এই শব্দসকল শুনি, সুর শুনি, শুনতেই থাকি। মা ডাকে, তনি, মহালয়া শুরু হয়ে গেছে, শুনছিস? অ্যাঁ? উঠে বড়ো রেডিও চালিয়ে দিই, দিয়েই ধপ করে বিছনায় ফেরত। মহালয়ার গানের সাথে পুজোর প্রথম পটকা আর রুক্মিনীর গলা মিশে যায়।

    অয়ি সুমন: সুমন: সুমন: সুমন: সুমনোহর কান্তিষুতে
    শ্রিত রজনী রজনী রজনী ..

    এখানে সবই উল্টো উল্টো। উইকেণ্ডের দুদিনে পুজোর ক্র্যাশ কোর্স। মহালয়ার গান দিয়ে পুজো শেষ। আর ঠাকুরভাসানের জায়গায় ইউহল-ট্রাকে বন্দী প্রতিমার স্টোরেজ যাত্রা। ছেলেলো আজ এখনও ঠাকুর তুলতে দেয়নি ট্রাকে। সুজিত নামক ছেলেটি পাগলের মতো ওপাশে ঢাক বাজিয়ে যাচ্ছে। ওর বোধহয় ভরটর হয়েছে। আর ছেলেরা মেয়েরা মাঠে জুড়েছে ভাসানের নাচ, উদ্দাম, শেষবারের মতো। বৌদের হাতে সিঁদুর, এর ওর গালে লাগাচ্ছে। ভারী সোনার গয়না, কোমরে রুপোর চাবি, মানানসই তাঁতের সাড়ী, সাজতে জানে এরা। এর ওর গালে লাগাচ্ছে, অমনিই হেসে চলে যাচ্ছে, সন্দেশ তুলে দিচ্ছে এর-ওর মুখে। ঢাকের বোলে যেন কথা ফুটছে। এরা কে কোথায় আর আমার মাথায় ঢুকছে না। প্রিয়া, সুমনা আর ঐ মেয়েটি কে যেন? কাকিমার মতো দেখতে? কাকিমা, মা, বড়মা গিয়ে ঠাকুরের মুখে মিষ্টি ছোঁয়াচ্ছে। ও কি রে মান্তু, তুই যে বড়ো ছেলেলোর সঙ্গে গিয়ে দোদমা ফাটাচ্ছিস? বাবা দেখলে ঠ্যাঙ ভেঙে দেবে। আবার ডাকছে আমায় - সাহস দ্যাখো। যাব নাকি? খুউব ইচ্ছে করছে কিন্তু।

    তনিমা দি ই ই, পেছনে ফিরে দেখি মণিমালা। গতবার পুজোয় এইখানে বিসর্জনের নাচে ওকে পুরোদমে অংশ নিতে দেখেছিলাম। আর বন্ধুদের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতামাতি করতেও। ওর কাছে পুজোটা একটু পাল্টে গেছে, জানি আমি। তিনমাস আগে ওর বিয়েটা ভেঙে গেছে। তাই এবার দূরে দাঁড়িয়ে সিঁদুরখেলা দেখছে। ওর দিকে এগোই, কি রে, যাবি নাকি একটা কফি নিতে? পাশের মলেই দোকান। খুব তেষ্টা পেয়েছে।

    পায়ে পায়ে আমি আর মণিমালা পার্কিং লটের দিকে এগোই। ঢাকের বাজনা, মাইকের গান, পুজোর হুল্লোড় ফেড আউট হতে থাকে পেছনে। ফিকে হতে হতে একসময় উইকেণ্ডের পুজো ফুরিয়ে যায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ৫০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন