ইন্দ্রনীল ঘোষ দস্তিদারের সাম্প্রতিকতম লেখাটি
আমি ইন্দ্রনীলের লেখা নিয়ে অন্যত্র একটু উচ্ছাস প্রকাশ করেছি। সেটা আরেকটু এডিট করে জনস্বার্থে দেওয়া হল যাতে লোকে ওর লেখা খুঁজে পড়ে। এই উচ্ছাসের মূল কারণ লেখাটি, শঙ্খ ঘোষ মহাশয় কে যদি পড়তেই হয়, ঠিক পথপ্রদর্শকের হাতে নির্ভরযোগ্য লাঠিটি দেওয়াই ভালো। আরেকটি কারণ হল একটা ব্যক্তিগত রিলিফ। ইতিহাস বিষয়ের প্রবন্ধটিতে কিঞ্চিত তর্ক করেছিলাম, যেটা আমি যেসব লেখকের একনিষ্ঠ পাঠক তাদের অনেকের সঙ্গেই আগেও করেছি পরেও করব। কিন্তু অনেকে বলেছিলেন, আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাকে লেখায় অনুৎসাহিত করছি। এরকম কোন উদ্দেশ্য তখনো ছিল না, কোনদিন ই কারোর লেখা সম্পর্কেই থাকবে না। যাদের লেখাই মন দিয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের সঙ্গেই তর্ক হয়েছে। এবং তর্ক ও থামার কোন সুযোগ নেই। তার পরে অনেকদিন ইনি লেখেনও নি, আমারো নানা টেনসন গেছে। অবশেষে যে ভদ্রলোক আবার এখানেই লিখেছেন এতেই আমি খুব ই খুশি। প্রচুর বড় বড় নাম করা প্রতিষ্ঠিত লেখক প্রাবন্ধিক গুরুচন্ডালিতে লিখবেন লিখছেন, সেটাই আনন্দের এবং কাম্য। কিন্তু লেখা এবং পড়া জিনিসটার মধ্যে দুটোর মধ্যেই একট হৈ হৈ একটা যৌথতা রয়েছে, এইটে এই দুর্দিনে মনে পড়ার সুযোগ এলে একটা আলাদা ভালো লাগা থাকে।
---
সদ্য প্রয়াত এমন একজন বাঙালি কবি, যাঁকে নিয়ে লিখতে গেলে নিজের জীবনের কবিতার মুহূর্তগুলিই মনে পড়ে সবার আগে, তাঁকে নিয়ে , বিশেষ করে মুখচোরা দের পক্ষে লেখা সহজ না। শঙ্খবাবু সম্পর্কে লিখেছেন শিল্পী, চিকিৎসক, আলোকচিত্রে পারদর্শী, আমাদের প্রজন্মের অন্যতম সেরা ছাত্র এবং গদ্যকার ও অভাবনীয় মুখচোরা বন্ধু ইন্দ্রনীল ঘোষ দস্তিদার।
সেই সুন্দর বাংলাটি, এই বিজেপিতাড়িত দুর্দিনে, আবার অনেকদিন পরে লেখার জন্য, তাকে, তার অসহ্য লাজুক রোগা আঁতেল হওয়ার অপরাধ উপেক্ষা করে, বাংলা সাহিত্যে সেই বিরল ডাক্তার হ ওয়া সত্ত্বেও, যার কিনা মন আছে শরীর তেমন নাই, বাঙালি পাঠকপ্রবর কেঁদো বাঘ সমিতির পক্ষ থেকে চকাসিত চুমু দেওয়া হল। :-)))))
যারা গুরু চন্ডালির সবার প্রিয় ইন্দ্রনীলের গুটি কয় লেখা যা এখনো পাওয়া যায় পড়তে চান তারা নেট সার্চ রপ্ত করুন। অথবা বারাসতের দিকে একজন থাকেন তার স্মরণাপন্ন হোন। 'নিহত অশ্বের স্বরলিপি', 'ডাকিনীতন্ত্র ' এবং 'আমার উন্মন বাদ্যকর' এর লেখক আমাদের দুর্ভাগ্য আর কলম অন্তত ফিকশনের জন্য বিশেষ ধরেন না।
বাংলার দুর্ভিক্ষ , চারের দশকের বাংলার ভারতের রাজনীতি একটিি অসামান্য প্রবন্ধও এখানেই লিখেছেন, অপেক্ষাকৃত সম্প্রতি।
যুগের চাপে বন্ধুদের মধ্যেও পোলিটিকালি কারেক্ট হতে গিয়ে বা বলা যেতে পারে লেখালিখি র ব্যাপারে মেটাফোরিকালি শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কত্ব থেকে নেকুপুশু কল্যানমূলক রাষ্ট্রাদর্শে অবনমিত হয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিপথু ও ল্যাদ লোককে কানমলা দেওয়া বন্ধ করার পর থেকেই পৃথিবীতে নানা ধরনের সমস্যা উপস্থিত হয়েছে।প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও না লিখতে চাওয়াটা তার মধ্যে অন্যতম।
:-)
আমার উন্মন বাদ্যকর