এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মিতিন (পুস্তকালোচনা)

    Arpita Kundu লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ মার্চ ২০২১ | ১৭৭৮ বার পঠিত
  • গোয়েন্দা গল্প পড়েন?
    প্রিয় গোয়েন্দা কে?
    বাঙালি গোয়েন্দা বেশি পছন্দ নাকি বিদেশী?
    ফেলুদা নাকি ব্যোমকেশ?
    সত্যসন্ধানী কাকাবাবু নাকি অর্জুন?
    নাকি এখনও মুগ্ধতা আটকে আছে তিন গোয়েন্দার সাথেই?
    কার সাথে অ্যাডভেঞ্চারে ছুটতে বেশি ভালো লাগে?

    এদের সাথে তো কমবেশি আমরা সবাইই ছুটে বেড়িয়েছি। আজ বরং এক নতুন মুখের গল্প শোনাই। অবশ্য অনেকের কাছেই এই মুখও পুরোনো হতে পারে। তাদের কাছে আমার লেখার ভুলত্রুটির জন্য আগেই ক্ষমাপ্রার্থী।

    প্রজ্ঞাপারমিতা মুখোপাধ্যায়। নামটা পরিচিত ঠেকে কি?

    না? আচ্ছা, তবে মিতিন? মিতিনমাসি?

    বাংলা সাহিত্যে সম্পূর্ণ মৌলিক গোয়েন্দাদের সংখ্যা অল্প। মহিলা গোয়েন্দাদের সংখ্যা সম্ভবত একেবারেই হাতেগোণা। সেখানে মিতিন আর দয়মন্তী সম্ভবত নিজেদের সময়ের পরে এসেও কিছুটা জায়গা করতে পেরেছে। এছাড়া গার্গীকে নিয়েও কমবেশি আলোচনা হয়ে থাকে।

    আমাদের আজকের আলোচনা অবশ্য মিতিনেই সীমাবদ্ধ।

    প্রথমেই উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি দিয়ে দেই। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কলমে মিতিনের আবির্ভাব প্রথম 'পালাবার পথ নেই' উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে। এরপর একের পর এক আরও ৪টি উপন্যাস ও বড়গল্পে স্বমহিমায় মিতিনকে নিয়ে আসেন সুচিত্রাদেবী। 'পালাবার পথ নেই' এর পরে, 'বিষ', 'মারণ বাতাস', 'তৃষ্ণা মারা গেছে' এবং 'মেঘের পরে মেঘ' সবগুলোই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। অপরাধ, অপরাধের মোটিভ, সংঘটনের বিশদবিবরণী, সবেতেই তার কিছুটা ছাপ স্পষ্ট।

    প্রজ্ঞাপারমিতার মিতিন থেকে মিতিনমাসি হয়ে ওঠার গল্প অবশ্য শুরু হয়েছে কিছুটা দেরিতে, ২০০২ সালে, 'আনন্দমেলা' পূজোবার্ষিকীতে। এরপর ২০১৫ পর্যন্ত প্রতিবারেই 'আনন্দমেলা'র পূজোসংখ্যাতে একেকটি করে কিশোর উপন্যাসে-গল্পে আবির্ভাব ঘটেছে মিতিনমাসির। শুধু, ২০১১ তে, 'কুড়িয়ে পাওয়া পেনড্রাইভ' প্রকাশিত হয় 'পত্রভারতী' থেকে। ২০০২ সালে প্রথম প্রকাশিত কিশোর উপন্যাসটি 'সারাণ্ডায় শয়তান'। মোট ১৪ টি কিশোর উপন্যাস-গল্প নিয়ে 'আনন্দ' প্রকাশনের 'মিতিনমাসি সমগ্র' দুই খণ্ডে প্রকাশিত (১ম খণ্ডে ৬টি, ২য় খণ্ডে ৮টি)। প্রকাশনার ক্রমানুসারেই, সমগ্রতেও সংকলিত 'সারাণ্ডায় শয়তান', 'জোনাথনের বাড়ির ভূত', 'কেরালায় কিস্তিমাত', 'সর্প – রহস্য সুন্দরবনে', 'ঝাও ঝিয়েন হত্যা রহস্য', 'ছকটা সুডোকুর', 'আরাকিয়েলের হিরে', 'গুপ্তধনের গুজব', 'হাতে মাত্র তিনটে দিন', 'কুড়িয়ে পাওয়া পেন ড্রাইভ', 'মারকুইস স্ট্রিতে মৃত্যু ফাঁদ', 'টিকরপাড়ার ঘড়িয়াল', 'দুঃস্বপ্ন বারবার', 'স্যান্ডার সাহেবের পুঁথি'
    উইকিপিডিয়ার খবর শেষ। এবার চরিত্রগুলোর কিছু বর্ণনা দেই।

    মিতিন নামের ৩২ বছর বয়সী এই তরুণীর মধ্যে দিয়ে সুচিত্রাদেবী যেন অনেক দিনের লালিত একটা চরিত্রকে এঁকেছেন, সুনিপুণ তুলিতে। মিতিনের প্রকাশকালের তুলনায় তো বটেই, এখনকার দিনের অনেক মেয়ের তুলনায়ও মিতিনকে বেশ আধুনিকা করে গড়েছেন লেখিকা। অহেতুক এবং তথাকথিত আধুনিকতার আতিশয্য ছাড়াই যে কতটা আকর্ষকভাবে একটা চরিত্র তৈরি করা যায়, সেটা বোঝার জন্য হলেও মিতিন পড়া উচিত। মিতিনকে সাধারণ শাড়ি-সালোয়ারে যেমন দেখা গেছে, তেমনই বাইরে বেড়াতে গিয়ে জিন্স জ্যাকেটেও দেখা গেছে। যেমন মিতিনকে দেখা গেছে রিভলবার বা ক্যারাতের প্যাঁচে অপরাধীকে ধরাশায়ী করতে, তেমনই দেখা গেছে ছেলে বুমবুমকে হোমওয়ার্ক করাতে, সুনিপুণ হাতে রান্না করে স্বামী পার্থ, বোনঝি টুপুরকে খাওয়াতে। শুধু জন্মসূত্রে পাওয়া মগজ নয়, অন্যান্য বিষয়ের উপরেও যে জোর দেওয়া জরুরি, সেটা বোঝানোর জন্যই সম্ভবত সুচিত্রাদেবী মিতিনকে পড়ুয়া বানিয়েছেন, শরীরচর্চা করিয়েছেন, ড্রাইভিং এও দক্ষ বানিয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র আর ক্যারাতের ব্যাপারে তো আগেই বললাম। অর্থাৎ, গোয়েন্দারা যে জন্মসূত্রে দিব্যচক্ষু বা দিব্য মগজ নিয়ে আসে, তা যে সত্যি নয়, বরং সমগ্রটাই যে ধীরে ধীরে গড়ে তোলা একটা প্রসেস, তা বেশ সুন্দর করে চিত্রিত এই লেখাগুলোর মধ্যে।

    এবারে পার্থ। পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়, সহজ সরল আর দশজন আটপৌরে বাঙালীই। যে খেতে ভালোবাসে, গল্প করতে ভালোবাসে, ছুটিতে বেড়াতে ভালোবাসে, কখনও সখনও কাজে ডুব মেরে বাড়িতে বসে আরাম করতে ভালোবাসে। তবে শব্দজব্দ বা সুডোকু মেলানোর বেলায় তার মাথা বেশ চটপট কাজ করে। পার্থর চরিত্রে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাপার উঠে এসেছে গোটা 'মিতিন' জুড়েই। সময়ের তুলনায় পার্থ বেশ আধুনিক স্বামীই। যে কিনা স্ত্রী ড্রাইভিং করলেও বেড়াতে বের হতে স্বাচ্ছন্দ্য, সংসার খরচে গোয়েন্দা গিন্নির অর্ধেক কন্ট্রিবিউশনে বরং খুশিই, দিনরাত ছোটাছুটি করে বাড়ি ফেরা ক্লান্ত মিতিনকে খাবার পরিবেশন করা, কালেভদ্রে রান্না করা _ সদা সর্বদাই মিতিনকে যতদূর সম্ভব সাহায্য করতে সে বেশ আগ্রহী। এই চরিত্রটির এরূপ উপস্থিতি সম্ভবত একটি আদর্শ পরিবারের বা একটি আদর্শ সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। কিশোর উপন্যাসগুলোতে অবশ্য পার্থমেসোকে আরও একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যায়। সেটি হলো ভ্রাম্যমাণ উইকিপিডিয়া। সময়, সুযোগ এবং বিষয় বুঝে নিজের পড়াশুনা এবং জ্ঞানের ভাণ্ডার খুলে বসতে পার্থর জুড়ি মেলা ভার। তবে মাঝেসাঝে এর মধ্যে খানিক গুলগপ্পোও মিশে যায়, যেগুলো মিতিন সূক্ষ্ম খোঁচা দিয়ে শুধরেও দেয়। তবে নিঃসন্দেহে কিশোর উপন্যাসগুলোতে কলকাতার প্রাচীন ইতিহাস, ভারতীয় চিনা বা ইহুদিদের ইতিহাস ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক ব্যাপারে অনেক তথ্যাদি পার্থর মুখ দিয়ে সুচিত্রা দেবী বলেছেন। যা একদিকে তার জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে ধারণা দেয়। আবার অন্যদিকে একজন সাধারণ প্রেস ব্যবসায়ী যে শুধু জানার আগ্রহ থেকেই এত বিষয়ে জানতে পারেন এবং জানার কোনো সীমা-বয়স-উপলক্ষ্য প্রয়োজন নেই, এই বার্তাও দেয়।

    এবারে ফেলুদার তোপসে, ব্যোমকেশের অজিত আর কাকাবাবুর সন্তু - মিতিনমাসির টুপুর। স্কুলপড়ুয়া এই কিশোরীর সূত্র ধরেই প্রজ্ঞাপারমিতার মিতিন থেকে মিতিনমাসি হওয়া। টুপুরের ভালো নাম ঐন্দ্রিলা। সে মিতিনের বড় দিদির মেয়ে এবং মিতিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট। প্রথম পাঁচটি প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য লেখায় টুপুর নেই। তার আবির্ভাব 'সারাণ্ডায় শয়তান' এর মধ্যে দিয়ে। বছর ১৪-১৫ এর এই মেয়েটি মিতিনকে ভালোভাবে লক্ষ্য করে, তার মতো পর্যবেক্ষণ শক্তি অর্জন করতে চায়। মিতিনমাসি কোনো দায়িত্ব দিলে বা কেসের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সূত্র তার সাথে আলোচনা করলে সে বেজায় খুশি হয় এই ভেবে যে মাসি তবে আসলেই তাকে নিজের সহকারী ভাবছে। এমনকি 'ঝাও ঝিয়েন হত্যারহস্য' এ তো টুপুরই প্রাথমিক ভাবে কেসটা নেয়, এরপর মিতিন বাকিটা টেকওভার করে। এই কিশোরীমেয়েটির মধ্যে যে কেউ তার কিশোরীবেলা খুঁজে পাবে। যে পার্থমেসোর মতোই খেতে ভালোবাসে, মিতিনমাসি কেসের ডিটেইল তার কাছ থেকে লুকোলে অভিমান করে, বুমবুমের সাথে খুনসুটি করে, কোথাও একটু নিজের গুরুত্বের আভাস পেলে অজান্তেই খুশি হয়ে যায়, অপরাধীদের ধরার পরেও এই সুন্দর পৃথিবীতে অপরাধ কেন যে হয় এটা ভেবে যার কষ্ট হয়। সাধারণ ছকে বাধা চরিত্র টুপুর যে কারোর ভালো লেগে যাবে।

    এর বাইরের চরিত্রগুলো বুমবুম, মিতিনের বছর ছয়েকের ছেলে। যার প্রিয় খাবার চিপস, প্রিয় কাজ কার্টুন দেখা এবং ভিডিও গেমস খেলা। সহেলি, মিতিনের দিদি এবং টুপুরের মা। যে একদমই সাদামাটা বাঙালি গৃহিণী, কেনাকাটা এবং আমোদপ্রিয়। আর অবনী, টুপুরের বাবা, যিনি কলেজের প্রফেসর। কিশোর উপন্যাসে অবনীর মুখ দিয়েও অজস্র জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ অফিসার অনিশ্চয় মজুমদার বিভিন্ন সময় বেশ প্রাসঙ্গিক ভাবে গল্পে এসেছেন। এবং ভারতীকে সর্বদাই পাওয়া গেছে, যার জিম্মায় সংসার ও বুমবুমকে ফেলে মিতিন ছুটতে পেরেছে কেসের কাজে।

    ব্যক্তিগত ভাবে মিতিনকে নিয়ে লেখাগুলোর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া আমার ক্ষেত্রে দুই ধরণের গল্পের জন্য আলাদা। প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য লেখা 'পাঁচ মিতিন' এবং পরের ১৪টি কিশোর উপন্যাস। আমি পড়া শুরু করেছি কিশোর উপন্যাসসমগ্রের প্রথম খণ্ড থেকে। এরপর 'পাঁচ মিতিন' এর ৪টি পড়েছি। এরপর কিশোর উপন্যাসসমগ্রের দ্বিতীয় খণ্ডের ৬টি পড়েছি। আমার কমবেশি বাংলা গোয়েন্দাকাহিনীগুলো পড়া হয়েছে। সেখান থেকেই আমার কাছে মনে হয় গোয়েন্দা গল্পের সবথেকে সার্থকতা হলো একটা জমজমাট কাহিনী, যেখানে পাঠকেরা চুড়ান্ত রকম ধন্দে পড়ে যাবে অপরাধীকে শনাক্ত করতে। আর এখানেই গোয়েন্দার কারসাজি। এখানেও আবার দুইটি ঘটনাপ্রবাহ চালানো যায়। একটি হলো যেমনটি আমরা ফেলুদায় দেখি। যে নিজের মগজের ভেতরে সব হিসাব করে। অনেক ঘটনা, ক্লু, তথ্যসূত্র সব ক্লাইমেক্সে এসে উন্মোচিত হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো যেমনটি আমরা ব্যোমকেশে দেখি। যে কিনা চোখের সামনে থাকা ঘটনাগুলোকেই জোড়া লাগিয়ে রহস্যটা উন্মোচন করে ফেলে। ফেলুদা পড়ার পর মনে হয়, অনেক ঘটনাইতো পাঠকের অজানা। তবে ব্যোমকেশ পড়ার পর মনে হয়, এ ঘটনাগুলো তো সামনেই ছিল, বুঝলাম না! মিতিন পড়তে গিয়ে দুই রকমের ঘটনাই চোখে পড়বে। তবে অপেক্ষাকৃতভাবে 'পাঁচ মিতিন' এর গল্প গুলো বেশি জমজমাট। প্রতিটি গল্পেই একটি উপন্যাসের সাথে ধীরে ধীরে রহস্যকে প্রবেশ করানো হয়েছে। এই ব্যাপারটা কিশোর উপন্যাসগুলোতে খুঁজলে নিরাশ হতে হবে। সেখানের গল্পগুলো অপেক্ষাকৃত সরল। তুলনামূলকভাবে রহস্য দানা বাঁধার গভীরতাও তেমন বেশি নয়। তবে সামগ্রিকভাবে মিতিন এবং মিতিনমাসি আলাদা আলাদাভাবে আলাদা আলাদা বার্তা দিতে বেশ উপযুক্ত।

    সময় সুযোগ করে পড়ে ফেলতে পারেন 'মিতিন'। চেনা গোয়েন্দাদের ভীড়ে কিছুটা ভিন্ন স্বাদ, মন্দ লাগবে না।

    (মার্চ, ২০২১। খুলনা)

    তথ্যসূত্র এবং সহযোগী আর্টিকেল লিঙ্কঃ

    https://bn.wikipedia.org/.../%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4...
    https://www.magiclamp.net.in/2015/09/blog-post_29.html?m=1
    https://bn.quora.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন