এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • কৃষি আন্দোলন ও সংস্কার নিয়ে কিছু প্রশ্ন

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৭ জানুয়ারি ২০২১ | ১৭০৬ বার পঠিত
  • কৃষক আন্দোলন নিয়ে আরও কিছু প্রশ্নঃ সংস্কারের কি কোন প্রয়োজন নেই?

    জনৈক নীপা অম্লানবদনের প্রশ্নঃ

    এটা কি সমস্ত ভারতের কৃষকদের মিছিল? নাকি পাঞ্জাব/হরিয়ানা প্রদেশের কৃষকদের মিছিল? এতদিন ধরে প্রতিবাদ হতে চলল তবু অন্য রাজ্যের কৃষকরা নেই কেন? তারা কি দিল্লি থেকে দূরে থাকেন বলে? তাহলে তারা তাদের কাছাকাছি সরকারি দপ্তরে গিয়ে প্রতিবাদ করছেন না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির ফলে যদি রিলায়েন্স/আদানি-দের মতন বিগ কর্পোরেট লাভবান হয় এবং মিডলম্যানদের আধিপত্য কমে যায়, তাহলে দেশ জুড়ে মিডলম্যানদের প্রতিবাদ হবার কথা - সেটাই বা হচ্ছে না কেন? অন্য রাজ্যগুলোতে কি রাজ্য সরকার কৃষিপণ্য বিক্রির ব্যাপারে চাষীকে গ্যারান্টি দেয় তাই তারা এই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে না? পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের ওপর কি নতুন কৃষি বিল কোনো খারাপ প্রভাব ফেলে না?


    (১)

    আন্দোলনের ছবি মুখতঃ দিল্লির আশপাশে এবং পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

    - কোন সন্দেহ নেই যে সমর্থনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকরা খন্ড খন্ড ভাবে পথে নামলেও মূল আন্দোলনকারী কৃষকেরা পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছেন। এর কারণ শুধু অন্য রাজ্যের থেকে দিল্লির নৈকট্য নয়, আসল কথা হল নতুন তিনটি আইনে এরাই সবচেয়ে বিপরীত ভাবে প্রভাবিত।এদের ইকো সিস্টেমে টান পড়েছে, অন্যদের তেমনভাবে নয়।

    কেন? ধরুন, প্রথম আইন, যার সারমর্ম হল মন্ডীর বাইরে যে কেউ রাজ্য সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে যতটা ইচ্ছে (দ্বিতীয় আইন) ফসল কিনতে পারবে। তাই এই নতুন ক্রেতারা মন্ডীর চেয়ে বেশি দাম দিতে পারবে।

    স্পষ্টতঃ এর ফলে কেউ মন্ডীতে ধান কেনাবেচা করবে না। মন্ডী বন্ধ বা অচল হয়ে যাবে। সরকারও মন্ডীতে দাম পড়ে গেলে বাকি ধান মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (এমএসপি) দিয়ে কিনতে বাধ্য থাকবে না।

    তো এতে মাথায় কাদের? যে রাজ্যে মন্ডীর সংখ্যা বেশি এবং যেখানে অধিকাংশ লোক মন্ডীতে ফসল (মুখ্যতঃ ধান ও গম) বেচে।

    তারা কারা? হরিয়ানা ও পঞ্জাব;, এর পরে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ।

    -- সারা দেশে প্রায় ৭০০০ মন্ডী; যার ৪০০০ শুধু পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতে। বাকি ৩০০০ গোটা ভারতে ছড়িয়ে।

    সত্যি কথাটা হচ্ছে ঐ দুটো রাজ্যে গ্রীন রেভোলুশনের সময় থেকেই মন্ডীর জাল ভালভাবে বিছানো, গ্রাম থেকে মন্ডী যাওয়ার রাস্তা উন্নত। ফলে অধিকাংশ চাষী ওখানেই ফসল বেচে, এবং এমএসপির ছাতার তলায় থাকে।

    সরকার এটা ঠিক বলছে যে মাত্র ৭% কৃষক মন্ডী ও এমএসপি’র সুরক্ষা পায় , তাই এটা মূলতঃ ওদের আন্দোলন। কিন্তু যেটা লুকোচ্ছে—ওই ৭% হল উপরের তিনটে রাজ্যের ৯০%।এবং সরকারের পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের চাল ও গম (যা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গোডাউনে সংগৃহীত হয়)এর ৬০ থেকে ৭০% এই তিনটে জায়গা থেকেই আসে।বিহার রাজ্যে ২০০৫ সাল থেকে নীতিশ কুমার মন্ডী ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে –এটি রাজ্যের অধিকারে আসে। তাই গোটা দেশে মন্ডী তুলে দিলে ওদের কি খারাপ হবে? ধরুন, আমি চাকরি করি না। আজ যদি কারও চাকরি যায় আমার কি ফারাক পড়বে?

    কিন্তু বিহারের চাষিদের খোলাবাজারে ধান বেচে কোন উন্নতি হয়নি। এটাই বোঝায় যে নতুন আইনে খোলাবাজার ব্যবস্থায় চাষির কোন উন্নতি হবে না। ওদের মধ্যে যারা সম্পন্ন, তারা ফসল পাঞ্জাবে মন্ডীতে বেচতে নিয়ে যায়।

    কেরালায় মন্ডী আইন নেই। কিন্তু কেরালা একমাত্র রাজ্য যে স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে সঠিক ভাবে C2 cost এর দেড়গুণ (১৫০%) এম এস পিতে ধান কিনছে। ওখানকার চাষি কেন হরিয়ানা পাঞ্জাব নিয়ে মাথা ঘামাবে?

    বলে রাখা ভাল, গত কয়েক বছর ধরে কৃষক আন্দোলন হচ্ছে ভারত সরকার যাতে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে এম এসপি ঠিক করে সেই দাবিতে। সরকার এখানে সত্যি বলছে না।ওরা দিচ্ছে C1 cost এর ১৫০%। যা অনেক কম।এছাড়া মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ ইত্যাদি আগেই মন্ডী ব্যবস্থার আঁটাপত্তি অনেক ঢিলে করে দিয়েছে।

    বঙ্গে অনেক কম কৃষক মন্ডীতে কেনাবেচা করে। কারণ অধিকাংশ কৃষক (৯০%) ছোট বা গরীব চাষি।ওদের পক্ষে অল্প ফসল নিয়ে দূরের মন্ডীতে গিয়ে বিক্রী করে কখন সরকারের চেক আসবে তার জন্যে অপেক্ষা করা পোষায় না। তারা বাধ্য হয় অনেক কমদামে নগদে ঘরের দরজায় ধান বিক্রি করতে। তাদের বীজ ও সারের ধার শোধ করতে হবে। মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। বৃষ্টির আগে ছাত মেরাম্মত করতে হবে।ছেলেমেয়েকে স্কুল বা কলেজে ভর্তি করতে হবে।

    অর্থাৎ অপর্যাপ্ত এবং ঘুণধরা মন্ডী ব্যবস্থার জন্যে শুধু বঙ্গ নয় গোটা দেশের গরীব কৃষক( দেশের ৮৫%) মন্ডীতে নয়, খোলা বাজারে বা ঘরের দরজায় ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হয়। মানে এই মন্ডী ব্যবস্থা নেহেরুজী যে উদ্দেশ্যে করেছিলেন তা উদ্দেশ্যপূরণে ব্যর্থ। তাহলে অমন মন্ডী ব্যবস্থা বঙ্গে এবং বেশির ভাগ রাজ্যে থাকলে বা না থাকলে কৃষকের আপাততঃ কিস্যু আসে যায় না।

    (২)

    কিন্তু সত্যিই কি তাই? “পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের ওপর কি নতুন কৃষি বিল কোনো খারাপ প্রভাব ফেলে না”?

    ফেলে , সেটা বেশ দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব। কারণ আসলে মন্ডী ব্যবস্থা অকেজো করার আসল উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে সরকারের এমএসপিতে চাল-গম কেনা বন্ধ করা এবং পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম থেকে হাত গুটিয়ে নেয়া। তখন আর গরীবদের (বিপিএল কার্ডধারী) ২ টাকা ৩ টাকায় গম ও চাল এবং অন্যদের (এপিএল কার্ড) ১০টাকা কিলোয় চাল দেয়া বন্ধ হবে। কাজেই এই আন্দোলনের মূল দাবিঃ “এমএসপি’র চেয়ে কম দামে কেনা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা হোক” আসলে বঙ্গ সমেত গোটা ভারতের গরীবমানুষ ও চাষিদের স্বার্থরক্ষার দাবি। তাহলে বঙ্গের গরীব চাষিও ঘরের দরজায় বসে ফসল অপেক্ষাকৃত ভাল দামে বেচতে পারবে। এইরকম এমএসপি আইন হলে সেটা গোটা দেশের চাষিদের রক্ষা কবচ হবে। সে মন্ডীতেই বেচুক, কি কর্পোরেটকে অথবা গাঁয়ের ধনীকে।

    (৩)

    মিডলম্যান বা আড়তিয়াদের “দেশজুড়ে” প্রতিবাদ?

    মন্ডী ব্যবস্থার আড়তিয়াদের লোকসানটা চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে। এরা এই ইকোসিস্টেমের বহুমাত্রিক অঙ্গ, শুধু ফড়ে নয়।তাই হরিয়ানা-পাঞ্জাবের আড়তিয়ারা বড় ভাবে আন্দোলনে শামিল। এখানে এর মধ্যেই আদানী আলাদা এগ্রো লজিস্টিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি খুলে বড় বড় অত্যাধুনিক গোডাউন (এফসিআইয়ের সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপে) বানাচ্ছে। এসি, কনভেয়র বেল্ট সমন্বিত, যাকে বলে ‘সিলো’। হরিয়ানার এক গ্রামে ১০০ একর জমিতে তৈরি হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় অত্যাধুনিক ফসল গুদাম। এখানকার আড়তিয়ারা আতংকিত। কিন্তু এর ইম্প্যাক্ট এখনও দেশের বাকি রাজ্যের আড়তিয়াদের মধ্যে পড়েনি। কারণ সেখানে মন্ডী ব্যবস্থাই দুর্বল। সংগঠিত আড়তিয়া কোথায়?

    মজা দেখুন। একই আইন ইউপিএ ২ কংগ্রেস সরকার আনতে চেয়েছিল। তখন সংসদে আড়তিয়াদের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন বিজেপির নেতা প্রয়াত সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলি। জেটলি বলেছেন, আপনারা কৃষি ব্যবস্থার কিস্যু বোঝেননি। ছোট আড়তিয়াকে সরিয়ে কর্পোরেটের বাঘা আড়তিয়াকে আনছেন।

    আগ্রহীরা চাইলে দুজনের বিখ্যাত বক্তৃতা দুটি ( ০৬/১২/২০১২ এবং ০৭/১২/২০১২) ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন।এছাড়া কংগ্রেসের দু’বছর আগে ২০১৯সালের ইলেকশন ম্যানিফেস্টো দেখুন। ওরা কথা দিয়েছিল জিতলে ঠিক এই কৃষি সংস্কারই করবে যা মোদীজি করেছেন। এখন সিপিএম সেই কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে ওই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে।

    একই ভাবে কংগ্রেস যখন জিএসটি বিল এনেছিল তার সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী তার নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।

    (৪)

    অম্লানবদন বাবুর প্রশ্নের অতিরিক্ত কৃষি সংস্কার নিয়ে কিছু বক্তব্য।

    তাহলে আমাদের কোন কৃষি সংস্কার চাই কি চাইনা?

    -- অবশ্যই চাই। ষাটের দশকের শেষে সবুজ বিপ্লবের দিনে তৈরি মন্ডী ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। কিন্তু সরকার করছে মাথাব্যথা সারাতে গিয়ে মাথাটাই কেটে ফেলা গোছের সংস্কার।কিন্তু কি রকম সংস্কার দরকার?

    ফুড সিকিউরিটির খাতিরে এফসিআই বন্ধ না করে তাকে কর্পোরেটের নির্ভরতা মুক্ত করতে কৃষি ইনফ্রাস্ট্রাকচারে সরকারকে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

    হুকুমনারায়ণ সিং কমিশনের সাজেশন অনুযায়ী ৭০০০ মন্ডীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৪২০০০ করতে হবে।যাতে ছোট চাষিরা কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে মন্ডী পেয়ে ঘরের দরজায় যে আসে তাকে বেচতে বাধ্য না হয়।

    মন্ডীর আড়তিয়াদের সিকিউরিটির টাকার পরিমাণ (এখন কোথাও কোথাও এক কোটি টাকা) কমাতে হবে, যাতে অনেক বেশি লোক মন্ডীর লাইসেন্স প্রাপ্ত খরিদ্দার হতে পারে। তাহলে ওদের কার্টেল দুর্বল হয়ে প্রতিযোগিতা বাড়বে। কৃষকেরা ভালো দাম পাবে।

    এমএসপি বটমলাইন হিসেবে আইন করে বেঁধে দিতে হবে, এর নীচে ধান, চাল, গম কেনা আইনতঃ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।কেউ কেউ বলছেন—এতে বাজারের নিয়ম ভাঙা হবে। যদি এই দামে ক্রেতা না পাওয়া যায়? আমার বক্তব্য শ্রমিকদের শ্রমশক্তি বিক্রির জন্যে মিনিমাম ওয়েজ অ্যাক্ট আছে না? তখনকি আমরা যুক্তি দিই যে এই ওয়েজে যদি কেউ কাজে নিতে রাজি না হয়? তাহলে চাষির জন্যে বাধা কোথায়?

    এরা নিজেদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শান্তাকুমার কমিশনের সাজেশন মেনে মন্ডী, এফ সি আইয়ে চাল গম কিনে রাখা সব তুলে দিতে চাইছে।

    এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্টের সংশোধন বাতিল করে খাদ্যফসলের স্টক করার সীমা বেঁধে দিতে হবে যাতে পুরো বাজারটা বড় কর্পোরেট কব্জা না করতে পারে।

    আজকে বড় সমস্যা ধান ও গমের ওভার প্রোডাকশন, এফ সি আই গোডাউনে অতিরিক্ত স্টক এবং অপচয়। এছাড়া রয়েছে ধানচাষে জলের উপযোগ বেশি হয়ে জলস্তর নেমে যাওয়া।

    তাই এর প্রতিকার দুটো।

    o এক, অন্য ফসল চাষে উৎসাহ দেবার জন্যে গোড়ায় এমএসপি প্রটেকশন এবং অন্য ক্যাশ ইন্সেন্টিভ দিয়ে ফসলচক্র বদলে দেওয়া।

    o দুই, বিদেশের হাইব্রিড বীজ, কেমিক্যাল সার ও পেস্টিসাইড নির্ভর চাষের বদলে দেশি বীজ, প্রাকৃতিক সার, কম জলের ব্যবহার ভিত্তিক ফসলে ফিরে যাওয়া। এতে গড়পড়তা উৎপাদন কমবে, কিন্তু খুব কমবে না।

    এর ফলে কৃষকের ইনপুট কস্ট কমবে, এবং লো প্রাইসেও প্রফিট মার্জিন বাড়বে। এভাবে এমএসপির লেভেল নেমে যাবে। শহরের লোকের পক্সে খাদ্যদ্রব্য সুলভ দামে কেনা সম্ভব হবে।

    বিশেষ করে বলার হল কৃষির কর্পোরেটাইজেশন মডেলটি আমেরিকায় ও ইউরোপে চাষির অবস্থা ফেরাতে ব্যর্ংখ্যারচাষির সংখ্যা কমেছে। ওই হাই ইনপুট চাষ আর আর্থিক হিসেবে লাভপ্রদ নেই।আমেরিকাতে জনসংখ্যার মাত্র ১০% কৃষিতে নিযুক্ত। আমাদের ৫০%। ওদের আয়ের ৪০% আসে সরকারের সাবসিডি থেকে। ওদের জিডিপিতে কৃষির যা অবদান আমেরিকা তার ৯০% কৃষিতে ফিরিয়ে দেয়, বিনিয়োগ ও ইনকাম সাবসিডির মাধ্যমে। ইউরোপে এই অনুপাত ৮০%।

    ভারতের জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৭% , কিন্তু সরকার কৃষিতে ফিরিয়ে দেয় মাত্র ৭ থেকে ১০%।

    আমাদের কৃষি সংস্কার আমেরিকা বা ইউরোপের মডেলে হবে না, হবে নিজস্ব প্রেক্ষিতে, নিজস্ব পদ্ধতিতে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Hiren Singharay | ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ০০:০৭733589
  • সঠিক। অসাধারন পর্যালোচনা

  • Ranjan Roy | ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ১০:২৬733591
  • একটা বড় টাইপো:


    আমেরিকার মোট জনসংখ্যার  মাত্র 2% কৃষিতে নিযুক্ত, 10% নয়।


    কর্পোরেট কৃষিতে আমেরিকার উৎপাদন খুবই বেড়েছে, কৃষক তেমনই কমেছে। এই মডেল কৃষকদের হাল ফেরাতে ব্যর্থ। 

  • বাইরে দূরে | ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:০৬733600
  • সহমত।


    শুধু তুলো চাষে আমেরিকান সরকার   সাবসিডি দেয় ২ বিলিয়ন ডলার। মোট উৎপাদনের গডপডতা ৫০% 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন