এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হাঁটি হাঁটি পা পা...

    Rajat Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ নভেম্বর ২০২০ | ৮৬২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • পুজোর কটা দিন ওরা বাড়ি থাকে না। সারাটা বছর দুজনেই ব্যস্ত। ঈশান আর জিনা তাই প্রতি বছর পুজোয় কোথাও না কোথাও বেড়িয়ে যায়। ওদের বিয়ে এই বছরে পাঁচে পড়ল। এখনও ওরা ঝাড়া হাতপা। দুজনেই কর্পোরেটে চাকরি করে। নিখাদ নির্ঝঞ্ঝাট পরিবার বলতে যা বোঝায়, ওরা তাই। বিয়ের পর প্রথম বছর পুজোয় ওরা কাশ্মীর গিয়েছিল। জিনা সেবারের ট্যুরে কি মজা যে পেয়েছিল! তারপরের তিনবছরও লম্বা ট্যুরই করেছিল। এবারে তো দূরে কোথাও যাওয়াই যাবে না। তাই ওরা এবারে ঠিক করেছে নর্থ বেঙ্গলে জিনার বান্ধবী সুজাতার বাড়ি যাবে। ওখান থেকেই যা হয় ঘুরে দেখবে। প্ল্যানিং পুরো তৈরি। আর কদিন তো পুজোর বাকি! দুজনেরই ছুটিছাটা নেওয়া হয়ে গেছে। রোজ রাতে সুজাতা আর বরের সঙ্গে ফোনালাপে প্ল্যানিংয়ের প্লট সাজানো চলছে। জিনার বাবা ডাক্তার। ওদের দু দুটো গাড়ি। জিনার মা খুব জোরাজুরি করছিলেন, ওঁদের একটা গাড়ি নিয়েই এবারের ট্যুরটা করতে। জিনাও সেই শুনে লাফাচ্ছিল। নর্থ বেঙ্গল ওরা ভলভো বাসে যাবে, এটা ঈশানের মত। তাই ঈশানের গোয়ার্তুমির কাছে জিনা হার মেনে এখন চুপচাপ। আসলে জিনার মধ্যে এখনও ছেলেমানুষী যায়নি। সবে তো ত্রিশে পড়েছে। আর ঈশানের তেত্রিশ। ঈশানদের পাড়া থেকে বেরিয়ে বড় রাস্তা ধরে চার কিলোমিটার গেলেই একটা পেল্লায় হাউজিং কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। বিয়ের একবছর পরেই প্রথমদিকে আপত্তি থাকলেও পরে জিনার চাপে ওখানে একটা দু কামরার ফ্ল্যাট, ঈশান বুকিং করেছিল। সেই সাজানো গোছানো ফ্ল্যাটটিতেই এখন ওদের ছোট্ট সুখের সংসার।

    প্রশান্তবাবুর একটা গাড়ির ভীষণ শখ ছিল। পৈতৃক বাড়ি ছিল বলে সেই চিন্তা চাকরি জীবনে আর করতে হয়নি। ছেলেটা যখন চাকরি পেল, সংসারে তখন ডাবল রোজগার। সেই সময়েই প্রশান্তবাবুর সুপ্ত বাসনাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। একার রোজগারে হয়ত স্বপ্ন দেখা যায়। সেটা সার্থক করার ক্ষমতা আর কজনের থাকে? তারওপর অনেক প্রতিকূলতার সাথে প্রশান্তবাবুকে লড়াই করতে হয়েছে। একটি মাত্র মেয়ে শাওনি জন্ম থেকেই স্পেশাল চাইল্ড। তার পরিচর্যা ভীষণ খরচ বহুল। শাওনির থেকে দুবছর পরেই ঈশান জন্মেছিল। মেয়ের জন্য ছেলের পড়াশোনা বা অন্যান্য দিকে যাতে খামতি না থাকে সেই ব্যাপারে উনি বরাবর সজাগ ছিলেন। তাই ঈশানের পড়াশোনায় কোনো ত্রুটি রাখেন নি। ইংরেজি মাধ্যমে পড়িয়েছেন। এমবিএ করিয়েছেন। ঈশান এমবিএ পাশ করে কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই ভাল বেতনের চাকরি পেয়ে গিয়েছিল। প্রশান্তবাবুর জীবনে সেই সময়টাতে একটু সুখের বাতাস বয়ে ছিল যেন। সুইফট গাড়িটা সেই সময়েই ঝোঁকের মাথায় কিনে ফেলেছিলেন। নাহলে গাড়ি কেনার মত স্বচ্ছলতা তাঁর সংসারে কোনোদিনই ছিল না। এখন ভাবেন, ভাগ্যিস গাড়িটা কিনেছিলেন। চাকরি পাওয়ার চারবছর পর ঈশানকে বিয়ে দিয়েছিলেন। ততদিনে গাড়ির দেনা শোধ করে ফেলেছিলেন। গাড়ি চালানোটাও বেশ ভালই রপ্ত করে নিয়েছিলেন। গাড়িটা অবশ্য বেশি বের হত না। কারণ গাড়ি চালাতে তেল লাগে। তখন ভাবতেও পারেননি, ওই গাড়িটাই দিনে দশ ঘন্টা চলবে!

    জিনা বিয়ের আগে থেকেই চাকরি করত। সেখানেই ঈশানের সঙ্গে প্রেম। বিয়ের আগে ও শাওনিকে মানিয়ে নেবে ভেবেছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবে যে কতটা কঠিন তা বুঝতে পারল বিয়ের পরে সংসারে ঢুকে। বরের আইবুড়ো দিদি। তাও আবার অসুস্থ মস্তিষ্কের। জিনা বেশিদিন টিকতে পারল না। ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করেই দিয়েছিল। পরের দিকে সরাসরিই...। ফ্ল্যাট বুকিংয়ের কথাটা বাবাকে ঈশান সরাসরি জানায়নি। হঠাৎই একদিন জিনার রাগারাগির প্রত্যুত্তরে বাড়ি ছাড়ার কথাটা তুলেছিল। প্রশান্তবাবু কোনোরকম আপত্তি করেননি। সত্যিই তো পরের ঘরের মেয়ে, তাও আবার রোজগেরে। সে কেন আইবুড়ো ননদের সঙ্গে অশান্তি করে সংসার করবে! ব্যাপারটা প্রশান্তবাবু মেনে নিলেও অলকাদেবী পারেন নি। ছেলে বৌ বাড়ি ছাড়ার পরই তাঁর হার্টের অসুখ দেখা দিল। সেটা আরো বেড়ে গেল, যখন প্রশান্তবাবু চাকরিটা খোয়ালেন। একেই বেসরকারি সংস্থা, তায় অতিমারীর সুযোগ। কোম্পানি আর এই সুযোগ হাতছাড়া করল না। প্রশান্তবাবুর মত যাঁদের বয়েস পঞ্চান্ন ছাপ্পান্নর কোঠায়। তাঁদেরকে তিনমাসের বেতন হাতে ধরিয়ে বিদায় জানানো হল। অকূল পাথারে পড়লেন প্রশান্তবাবু। এই বয়েসে আর এই সময়ে কে আর তাঁকে চাকরি দেবে? এদিকে সংসারের বিপুল খরচ। কি করে সামলাবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না! বাড়িতে যখন থাকত ঈশান কিছু টাকা সংসারে দিত। চলে যাওয়ার পর আর কিছু দেয় না। বাবার তো এখনও চাকরি আছে, ভেবেই হয়ত...! প্রশান্তবাবুর হাতে আর মাত্র তিনমাস সময়। কিছু তো একটা করতেই হবে। নাহলে চলবে কি করে? মেয়েটার ওষুধের সাথে এখন স্ত্রীর ওষুধপত্রের খরচ যুক্ত হয়েছে। মাস গেলে সংসার চালানোর বিপুল ব্যয়। সঙ্গীন পরিস্থিতির কথা কাকে বলবেন? স্ত্রী এখন হার্টের রোগী। তাঁর সাথে টেনশনের কোনো কথাই বলা যায় না। আর রয়েছে হাবাগোবা মেয়ে। দু রাত্তিরে তাঁর চোখে ঘুম আসেন । ভাবনা চিন্তায় মনের ভিতর উথালপাথাল। দ্বিতীয় রাতে হঠাৎই মাথায় বুদ্ধিটা খেলে গেল। এটাই এখন বাঁচার একমাত্র উপায়। পরদিন সকাল থেকেই উঠেপড়ে লেগে গেলেন। সমস্ত ব্যবস্থা পাকা করে ফেলতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগল।

    লক ডাউনে অফিস না বেরোনোটা স্বাভাবিক ছিল। কাউকে জবাবদিহির ব্যাপার ছিল না বলে বাঁচোয়া। অপেক্ষা করছিলেন আনলক পর্বের। সবকিছু শুরু হতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। রোজ সকালে যেমন অফিস যেতেন, তেমনিই বেরিয়ে পড়তে শুরু করলেন। আগে পাড়ার মোড় থেকে অটোতে চাপতেন। এখন নিজের গাড়িতে চেপে বের হয়ে যান। তফাত শুধু এটুকুই। বাকি আর কিছুই কেউ বুঝতে পারে না। রাত নটা কি দশটায় গাড়ি চড়েই ফিরে আসেন।

    নর্থ বেঙ্গল যাওয়ার দিন ঈশানরা ঠিক করল, অ্যাপ ক্যাবে ধর্মতলা অবধি চলে যাবে। ওখান থেকে বাসে উঠবে। সিট রিজার্ভ করাই রয়েছে। একটা বড়ো ট্রলি আর দুটো ছোট ব্যাগে ওদের দুজনের সমস্ত জিনিসপত্র ধরে গেছে। জিনার ডজন দুয়েক পোশাক নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ঈশানের ধ্যাতানির চোটে পেরে ওঠে নি। ওরা লাগেজগুলো নিয়ে লিফটে চড়ে নেমে এসেছে। ঈশান এবার নিজের মোবাইলের আ্যপে ক্যাব বুক করে দিল। গাড়িটা সামনেই দেখাচ্ছে। তিন মিনিটের মধ্যে এসে যাবে। দুজনেই কমপ্লেক্সের গেটের দিকে এগিয়ে চলল। জিনার বাঁ হাতে একটি ছোট্ট মেয়েলি হাতব্যাগ। আর ডান হাত দিয়ে ট্রলি টেনে নিয়ে চলেছে। ঈশানের দুহাতে দুটি ব্যাগ।

    প্রশান্তবাবু আজ ফোনের ইন্টারনেট অন করতেই বুকিং ঢুকে গেল। তাও একেবারে সামনেই। ঈশানদের কমপ্লেক্সে দিকনির্দেশ করছে। প্রশান্তবাবু মাঝারি গতিতে গাড়ি চালিয়ে এগোচ্ছিলেন। দূর থেকে গাড়ির সামনের কাঁচ দিয়ে দেখতে পেলেন কমপ্লেক্সের গেটের সামনে একজোড়া দম্পতি লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে। একটু সামনে যেতেই বুঝতে পারলেন, নিজেরই ছেলে বৌ। এমনিতেই প্রশান্তবাবু এখন সারাক্ষণ টুপি পরে থাকেন। তার ওপর রয়েছে মুখে মাস্ক। প্রশান্তবাবু যতটা সম্ভব নিজেকে আড়াল করে রাখতে চেষ্টা করলেন। ঈশান বা জিনাও খেয়াল করেনি কার গাড়িতে ওরা চড়ে বসল! ওরা গাড়িতে বসে পড়তেই প্রশান্তবাবু স্টার্ট দিলেন। তার আগে উনি ভিতরে মাথার ওপরের আয়নাটিকে ঘুরিয়ে রাখলেন। যাতে পিছন থেকে গাড়ির চালকের মুখ না দেখা যায়। গাড়ির এফএমটা বাজছিল। সেটার নব ঘুরিয়ে সাউন্ডটা জোরে করে দিলেন। অদ্ভুতজনকভাবে মান্না দের গাওয়া সেই গানটা শুরু হল, "হাঁটি হাঁটি পা পা... খোকন হাঁটে দেখে যা..."॥

    _________________________রজত দাস।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন