এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আলতুফালতু ২

    Sanchayita Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ অক্টোবর ২০২০ | ৭৮৩ বার পঠিত
  • মোহরের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে সম্ভবত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ বা মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে। মনে নেই সঠিক। একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড হয়ে গেলাম হঠাৎ। তার অ্যাডমিন ডিক্লেয়ার করলেন যে, তিনি মোহরদের ক্লাস টিচার। অমুক দিন থেকে ক্লাস নেবেন। মেসেজটা একবারে পড়ে বুঝি নি। কয়েকবার পড়তে হয়েছিল। হ্যাঁ, হতে পারে আমি ইংরেজীতে কাঁচা, কিন্তু প্রায় punctuation marks বিবর্জিত সে লেখা উদ্ধার করাও খুব সহজসাধ্য হয়নি আমার জন্য। এখনো ওনার নিজের লেখা পোস্টগুলো আমি ভেঙে ভেঙে, সম্ভাব্য স্থানগুলোতে সম্ভাব্য punctuation marks বসিয়ে পড়ে বুঝবার চেষ্টা করি।

    যাই হোক, ক্লাস টিচার বললেন চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে ক্লাসকে। প্রতি গ্রুপকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করা হবে। মোহরের গ্রুপ নম্বর D । ম্যাডাম বললেন, সকাল ন'টা থেকে প্রথম গ্রুপ শুরু হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে পরের গ্রুপগুলো। ন'টা বাজে। ন'টা পনেরো। সাড়ে ন'টা। সবাই চাল, চিঁড়ে আর বাচ্চা নিয়ে বসে আছে, "কখন তোমার আসবে টেলিফোন?" মায়েদের গ্রুপে একে ওকে জিগাচ্ছে, "এলো? ফোন এলো? কোন্ গ্রুপ চলছে?" অবশেষে দশটার ওপারে A গ্রুপ কল পেল। এরপর B, C উতরে D গ্রুপ আসতে আসতে সাড়ে বারোটা-পৌনে একটা হবে নিশ্চিতভাবে। মোহর বলছে, "মামমাম, খিদে পেয়েছে।" আমি বলছি, "এই তো ফোন আসবে। এই ফোন এসে গেল বলে।" পৌনে একটার পর ফোন এলো। সব বাচ্চা অস্থির হয়ে গেছে ততক্ষণে। চোখ ডলছে কেউ কেউ। ম্যাম বলছেন, "good afternoon, class", "what day is today", "tell me today's date"। বাচ্চারা মায়েদের খোঁচা খেয়ে গিলতে বাধ্য হচ্ছে ম্যামের কথা। ওদের পেটজোড়া খিদে আর চোখভরা ঘুম তখন। ক্লাস শেষ হতে হতে দেড়টা। তারপর খাওয়া। তারও পর ঘুম।

    শুনেছি, শাহরুখ খান নাকি শুটিংয়ের সেট বা অনুষ্ঠান কক্ষণো কোথাও সময়ে পৌঁছোন না। সেটা নাকি তার স্টারডমের একটা অংশ। মনে হয় মোহরের ক্লাসটিচারও সময়ে ক্লাস শুরু না করাটাকে স্টারডমের অংশ মনে করেন। কখনো কোনো গ্রুপকে নির্ধারিত সময়ে ক্লাস নেন না। প্রথম দল কখন শুরু হবে সেটা মনে রেখে অঙ্ক কষে ঠিক করি মোহরের গ্রুপ কখন শুরু হবে। সেই অনুযায়ী ওকে খাবারদাবার খাইয়ে তৈরী করে রাখি। প্রথম কয়েকদিন হোয়াটসঅ্যাপে ক্লাস নিয়ে ঠিক করলেন এবার গুগল ডুওতে ক্লাস হবে গ্রুপগুলোর। ভাবলাম, হয়তো সময়টা এবার ঠিক হবে। কোথায় কি? যথা পূর্বং, তথা পরং। মাঝে একদিন বললেন সব বাচ্চাকে একসঙ্গে গুগল মিটে ক্লাস নেবেন। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর একসময় ক্লাস শুরু করলেন। পঞ্চাশটা বাচ্চা একসঙ্গে কিচিরমিচির করে 'গুড মর্ণিং' বলে চেঁচিয়ে উঠলো। তার পেছন পেছন পঞ্চাশজন গার্জিয়ানের কেউ বাচ্চাকে চুপটি করে বসতে বলছে, কেউ বানান ঠিক করতে বলছে, কেউ গৃহ সহায়িকার উদ্দেশ্য চিৎকার করে বলছে, "মেঝের ওই জায়গাটায় পোঁচ পড়েনি। ডলা দে ন্যাতা দিয়ে।" সে এক অবর্ণনীয় বিভীষিকা! কাঁইক্যাঁচরের চোটে কানে হেডফোন দিয়ে বসা অসম্ভব। কেউ বলা সত্ত্বেও মিউট করছে না বলে স্ক্রিণ শিফ্ট করছে মুহূর্মুহু! ওরে বাবা! কোনোক্রমে ক্লাস শেষে মিটিং লিভ করে বাঁচি। এরপর থেকে ভদ্রমহিলা দীর্ঘদিন আর গুগল মিটে ক্লাস করান নি। ডুওতেই করিয়েছেন ক্লাস। ইদানীং আবার মিটে ক্লাস করাচ্ছেন। আসলে এখন ঐ অ্যাপটা ব্যবহার করতে শিখেছেন।

    হাফইয়ার্লির আগে অবধি সকালে ক্লাস করিয়ে বিকেলে গ্রুপে হোমওয়ার্ক পোস্ট করতেন উনি। সেই হোমওয়ার্ক বাচ্চাকে ডিক্টেট করবার আগে লাল কালি দিয়ে কারেকশন করতে হতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। তাতে ভুল বানান, ভুল বাক্যের অন্ত নেই। একবার সমস্যা হলো একটু বাড়াবাড়ি। উনি বাচ্চাদের root vegetables এর লিস্ট দিয়েছেন। অবাক হয়ে দেখলাম, তাতে এমন সব সবজির নাম আছে, যেগুলো root vegetable হতেই পারে না। মেসেজ করে বললাম। সাথে একটা পৃষ্ঠার ছবি পাঠালাম আমার বক্তব্যের সপক্ষে। রাত প্রায় এগারোটায় ফোন বেজে উঠলো। অচেনা নম্বর।' হ্যালো' বলতেই কড়া গলায় এক মহিলাকন্ঠ বলে উঠলো, "তুমি কি পাঠিয়েছো আমায়?" আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম, "কে বলছেন?"

    -"আমি ম্যাম বলছি। কি পাঠিয়েছো এটা?" যা পাঠিয়েছি, সেটা মুখে বলতে হলো। স্মার্টলি উত্তর এলো, "না,তুমি ভুল জানো। আমি ঠিকই দিয়েছি। উঁচু ক্লাসে পড়লে বোঝা যায়, আমারটাই ঠিক।" উঁচু ক্লাসে পড়াশুনো করি নি। তবে বুঝলাম, পাগলের সাঁকো নাড়িয়ে লাভ নেই। কনফ্লিক্টেড এরিয়া বাদ দিয়ে বাচ্চাকে শেখাতে হবে এবার থেকে যাতে কম শিখলেও ঠিকটা শেখে।

    বাঙালী হলেও বাংলা-ইংরেজী মিশিয়ে অদ্ভুত হিন্দী টানে কথা বলেন ভদ্রমহিলা। খোঁজ নিয়ে জানলাম,আগে স্কুলের মিউজিক টিচার ছিলেন। এখন কেজি ক্লাসের বাচ্চাদের পড়াবার জন্য অ্যাপয়েন্টেড হয়েছেন। বয়স তিরিশের এপাশ ওপাশ কোথাও একটা। কিন্তু অবলীলায় সমস্ত বয়সের সমস্ত গার্জিয়ানদের 'তুমি' সম্বোধন করেন। নিজের দোষ ঢাকতে যেকোনো গার্জিয়ানকে ফোন করে উদোম ঝাঁড় দেন। বেচারা গার্জিয়ানরা কিছুটা ভদ্রতার খাতিরে, কিছুটা ওনার পদের খাতিরে, কিছুটা বাচ্চার হ্যারাসমেন্টের ভয়ে চুপ করে ওনার বাক্যবাণ শোনেন। আগের ক্লাসে মোহরদের যিনি ক্লাস টিচার ছিলেন, ওনার মতো সুদিং পার্সোনালিটি আমি কম দেখেছি। তার হাত থেকে বাচ্চারা এর হাতে পড়ে হাবুডুবু খায়।কিভাবে কোনো বিষয় বাচ্চার মন অবধি পৌঁছে দিতে হয়, ইনি জানেন না। কোনোরকমে একটা থোড়বড়িখাড়া লেকচার দিয়ে গার্জিয়ানদের উদ্দেশ্যে বলেন, "এটা ওদের বুঝিয়ে দিও কেমন?"

    খেয়াল করে দেখলাম, ওনার বিবমিষা আছে বাংলা মিডিয়াম সম্পর্কে। নানা সময়ে ওনার নানা আচরণে সে বিষয়টা স্পষ্ট। একবার এক বাচ্চা ক্লাসে 'কিউকাম্বার'কে 'কুকুম্বার' উচ্চারণ করেছে।টিচার সংশোধন করবার জন্য বললেন," 'কুকুম্বার' নয়,বলো 'কিউকাম্বার'।" এই অবধি বিষয়টা শিক্ষকসুলভ ছিল। সঠিক ছিল। কিন্তু ফট্ করে বলে দিলেন, "ওসব কুকুম্বার টুকুম্বার বাংলা মিডিয়ামে পড়ায়। তুমি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ো। তাই ফলো মাই প্রোনান্সিয়েশন।" গায়ের মধ্যে কটকট করতে লাগলো কথাটা শুনে। বাচ্চাদের সামনে শিক্ষককে কখনো ছোট করতে নেই, আমার মা শিখিয়েছিল। সুতরাং গিলে নিলাম কথাটা। আরেকবার বাচ্চাদের যোগ শেখাচ্ছেন আঙুল গুণে গুণে। পরীক্ষা তখন শিয়রে বাচ্চাদের। অনেক মা আগেই যোগ অঙ্ক শিখিয়ে দিয়েছেন বাচ্চাদেরকে। তেমনি এক মা ক্লাসের মাঝে ওনাকে বললেন, "আপনি তো আঙুল গুণে শেখাচ্ছেন। আমার বাচ্চাকে আমি আগেই শিখিয়েছি হাতের কর গুণে। কোনো সমস্যা নেই তো?" মহিলা ঝগড়ার গলায় বলে উঠলেন, "আগে কেন শিখিয়েছেন? তাও কর গুণে? এবার আমি কিভাবে শেখাবো? ওসব কর গোনা টোনা বাংলা মিডিয়ামে হয়। ইংলিশ মিডিয়ামে ফিঙ্গার কাউন্টিং করে অ্যাডিশন শেখানো হয়।" ঠোঁটের ডগায় চলে এসেছিল, "তাতে কি দুইয়ের সঙ্গে পাঁচ যোগ করলে যোগফল আলাদা হয়?" বলি নি। ঐ যে মা বলেছিল, ছাত্রদের সামনে শিক্ষককে ছোট করতে নেই!

    গতকাল মোহরের হাফইয়ার্লির রেজাল্ট বেরোলো। অ্যানুয়ালের আগে রেজাল্ট হাতে দেবে না। ছবি তুলে নিতে হবে মার্কশিটের। তখন ভাল করে খেয়াল করিনি মার্কশিটের ছবি। বাড়ি এসে ছবিটা এনলার্জ করে দেখতে গিয়ে দেখলাম, teacher's remark কলামে ক্লাস টিচার লিখেছেন, "Incourage her to speak." একবার ভাবলাম ওনাকে মেসেজ করি, "শব্দটা 'encourage' হবে, 'incourage' নয়। "তারপর ভাবলাম, আমার বাংলা মিডিয়ামে তো শিখিয়েছিল, 'thou', 'art', 'incourage', 'agone', 'afore' এগুলো archaic words। এখন ব্যবহৃত না হলেও আগে তো হতো! উনি নিশ্চিতভাবে ভুল লিখেছেন। সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রাখে না আমার অতীত অভিজ্ঞতা। মানে, গলতি সে মিসটেক করে ফেলেছেন, আর কি। তা বলে আমার শেখাটা তো মিথ্যে হয়ে যায় না। 'Incourage' 'encourage' এর obsolete form । আমার শিক্ষকরা আমাকে সেরকমই শিখিয়েছিলেন। ঠিক যেমনভাবে শিখিয়েছিলেন, মানুষকে অর্থনৈতিক ভিত্তিতে, ভাষার ভিত্তিতে, ধর্ম বা শিক্ষার ভিত্তিতে ছোট না করতে। অযথা জাজমেন্টাল না হতে। হতে পারে, আমি কম জানি। তা বলে, ভুল তো শিখি নি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন