এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কংসবধ পালা এবং কিছু জ্ঞাতব্য বিষয়

    রঞ্জন রায়
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ নভেম্বর ২০০৭ | ৬৭৩ বার পঠিত
  • সম্ভবত: পালাটার নাম ছিলো "কারামুক্ত'' বা ওরকম কিছু। বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের হোস্টেলে থাকার সময় বার্ষিক উৎসবে দেখি। তখন মিশনের অলিখিত নিয়মে স্টেজের উপর নারীচরিত্র করতো শুধু পুরুষেরা। তবু চোখে পড়তো--স্টেজে নটীজাতীয় কোন চরিত্রের আবির্ভাব হলে অনিলমহারাজ( জুনিয়র স্বামীজি) হাতের পাতায় চোখ ঢাকতেন। পেছন থেকে কোন দুষ্টুছেলের গলা শোনা যেত,--দ্যাখ, দ্যাখ, মহারাজ হাতের ফাঁক দিয়ে দেখছেন। যাহোক, এই পালাটি আমি ভুলিনি। এটি আমার ক্লাস-সেভেনে-পড়া-সদ্য-পানামা-সিগ্রেট-খেতে-শেখা চেতনায় বিষম ঝাঁকুনি দিয়েছিলো। একটা সিকোয়েন্স: বন্দী উগ্রসেন কংসের কছে অনুযোগ করছেন, নীতির প্রশ্ন তুলছেন- পিতাশ্রীর সঙ্গে এমন ব্যাভার?
    চওড়া কাঁধের কংস সেন্টার স্টেজে এসে দু'হাত ছড়িয়ে নাটকীয় ভাবে জানালেন যে উনি আদৌ উগ্রসেনের পুত্র ন'ন, কোন এক দৈত্যের অবৈধ সন্তান।
    --- বসুদেবের স্ত্রী একা উদ্যানে ছিলেন, তখন কোন দৈত্য (নামটা ভুলে গেছি) "আমার মাতারে ধরি দিলা আলিঙ্গন, সেইক্ষণে এই জন্ম হইলো আমার''।
    উগ্রসেন হতভম্ব, কপালে আঁকা বলিরেখায় আরো ক'টা ভাঁজ পড়লো। হতভম্ব ঐ যাত্রা দেখা কিশোর! সে বিপর্যস্ত ""আলিঙ্গন'' শব্দটির এমন গূঢ়ার্থে প্রয়োগ দেখে। জোর কা ঝট্‌কা এমন ধীরে সে লাগলো যে আর সারাজীবন কারো আলিঙ্গনই ( স্ত্রী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলিম) সে সহজ ভাবে নিতে পারলো না। হতভম্ব এই সম্ভাবনার কথা জেনে যে আমাদের কারো নিজের পিতৃপরিচয় নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া সাজে না। তখন কোথায় ছিলো DNA TEST?
    তাহলে? বংশপরিচয়? গোত্র? জাতি? --হা-হা-হা-হা।

    মাধ্যমিকের সময় নাকতলার জোড়াবাগান পাড়ায়। নতুন তৈরী বাড়িতে এসেছি। পড়শি প্রৌঢ় জেলের ডাক্তার রাস্তায় জড়িয়ে নাম-পদবি জানতে চাইলেন। ""রায়'' শুনে বললেন- আসলে সাহা-রায়। বল্লাম- না, সাহা নই, কায়স্থ রায়।
    ---তুমি জান না। তোমার দাদুকে জিজ্ঞেস কর। এপাড়ায় কেউ কায়স্থ নেই। আমরা সবাই সাহা।
    ---হ্যাঁ,হ্যাঁ, আমরাও সাহা, এবার ছাড়ুন তো,।
    ওনার জাদুই-ঝপ্পি থেকে ছাড়া পেলাম। তারপর মনে হলো কেন এত রূঢ় হলাম? সেইযে কংস বলেছিলো--।
    কি করে নিশ্চিত হই যে আমি বা আমার পূর্বপুরুষরা কায়স্থ বটেক! হা-হা-হা-হা।

    সেদিন আমার ভাই রজত বলছিলো- যে আমরা সম্ভবত: বীরভূম অঞ্চলের উগ্রক্ষত্রিয় বা আগুরি। কারণ আমার প্রপিতামহ উকিল গগনচন্দ্র রায়( রাসবিহারী ঘোষের জুনিয়র ছিলেন) মশায়ের হাতেলেখা আত্মজীবনীর পাঠোদ্ধার হয়েছে, দেখা যাচ্ছে যে বর্গীর হাঙ্গামার সময় আমাদের পূর্বপুরুষ বীরভূম থেকে পালিয়ে ময়মনসিংহ জেলার আঠারোবাড়িয়া গ্রামে এসে ডেরা বাঁধেন। আর রাঢ়বাঙ্গলায় সেযুগে কায়স্থ কোথায়? কাজেই হয়তো উগ্র- বা পৌন্ড্রক্ষত্রিয়, মানে হয় আগুরি, নয় পোঁদ। হা-হা-হা-হা।
    কাজেই জাতি নিয়ে গর্ব, বংশ নিয়ে গর্ব? হা-হা-হা-হা।

    এইটুকু জানি সবাই আদম-ইভের সন্তান। আর ঈভ না ঈশ্বরের বুকের পাঁজরের থেকে জন্মেছেন! তবে কি এর ভাইবোন? যেমন যম ও যমী? বা দশরথজাতকে যেমন রাম পন্ডিত, লক্ষ্মণ পন্ডিত ও সীতা পন্ডিত--সবাই ভাইবোন। গুলিয়ে যায়, আমার কেবলি গুলিয়ে যায়? এলেম আমি কোথা থেকে? জানিনে, কেউ জানিনা। ফলে বংশ মর্যাদা? রক্তের বিশুদ্ধতা? হা-হা-হা-হা।

    গর্ব্‌ সে-কহো-হাম-হিন্দু-হায়! আমি তো আমার ইচ্ছেয় এই দুনিয়ায় আসিনি। তালে যে গোকুলে জন্মেছি, বা যে বাড়িতে বড় হয়েছি -কোনটাতেই আমার হাত নেই। তবে এইনিয়ে অহংকার কিসের? আরো বাকি ছিলো। গতবছর আমার আরেকভাই দীপন একটি স্টেট্‌সম্যান পত্রিকার সান্ডে বা পূজা সাপ্লিমেন্ট দেখালো। তাতে একটি গল্প বেরিয়েছে। ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পাবে এক প্রাক্তন আইরিশ সৈনিকের সঙ্গে আলাপ। সে কোলকাতা থেকে আসাছাত্র শুনে অনেক খাওয়ালো-দাওয়ালো। তারপর পার্কসার্কাস- কড়েয়া রোড শুনে উল্লসিত। বললো-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমরা কড়েয়া রোডের ছাউনিতে থাকতাম। সন্ধেবেলা বাজারের কোনায় সার্কাস মার্কেট প্লেস আর ঐ রোডের সংলগ্ন দোতলা বাড়ির সামনে দাঁড়াতাম। দোতলার লম্বা জাফরিকাটা বারন্দায় লাইন দিয়ে মুখে রং মাখা নেটিভ গার্লরা দাঁড়াতো। আমদের উল্ফ-হুইসল শুনে হাত নাড়তো। তারপর দরদাম। ওরা অল্পেতেই খুশি হোতো। আহা! সে যে কি দিন গেছে!
    আমার মাথায় টিউবলাইট জ্বলে ওঠে। ভাই হেসে মাথা নাড়ে।
    ---ঠিক ধরেছিস দাদা! তোর-আমার ছোটবেলা কেটেছে এককালীন বেশ্যাবাড়িতে! আহা, আমাদের কি সুমহান ঐতিহ্য! হা-হা-হা-হা।

    কংসবধ পালা :: আর একটি এপিসোড:

    ক্লাস সেভেন-এইটের মন অভ্যস্ত থাকে যেকোন যাত্রাপালা বা কাহিনীর শেষে ধর্মের জয়, অধর্মের পরাজয় দেখতে। আমারও ছিলো, যেমন প্রথম যৌবনে অভ্যস্ত ছিলাম শেষদৃশ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাতের সারির ওপর লাল স্পট দেখতে। কিন্তু খটকা লাগলো। ঐ যাত্রাপালার টেক্সট বেশ সাবভার্সিভ ছিলো। কংসের দাদাগিরিতে যখন বুকের ভেতরে হাঁসফাঁস করছে তখন এলো এক প্রতিবাদি চরিত্র কঙ্কণ। খাঁটি বিপ্লবীর মতই সে ও তার স্ত্রী বন্দনা " আন্ডারগ্রাউন্ড' হল। চেষ্টা করতে লাগলো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। এবং ধরা পড়ে গেলো। আর কংস তুলে নিলো বন্দনাকে। এর পরই আবার ঝট্‌কা! কংস বন্দনাকে ধর্ষণ করলো না! অশোকবনে সীতার সঙ্গে রাবণ? না, ঠিক তা নয়, বরং ""রাজসিংহ'' উপন্যাসে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে মাণিকলালের স্ত্রী নির্মলা না নিমলি বেগমের মত বেশ witty কথাবার্তা বলতে লাগলো। আশ্চর্য্যের পর আশ্চর্য্য!! কিছুদিন পর কংসের অনুমতি নিয়ে বন্দনা এল কারাগারে বিদ্রোহী কঙ্কণের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু বন্দনাকে চেনা যাচ্ছে না! নাকে বেশর,চোখে সুর্মা। হতভম্ব কঙ্কণ ভাবলো যে বন্দনার এই নতুন রূপ নির্ঘাৎ কংসের বিশ্বাস অর্জন করে অভ্যুত্থানের পথ সুগম করতে। কিন্তু খানিকক্ষণ কথাবার্তা বলার পর ওর আক্কেলগুড়ুম। বন্দনা বুঝে গেছে অভ্যুত্থানের পথ আত্মঘাতী। উল্টে কঙ্কণকে জ্ঞান দিলো যে কংস তত খারাপ নয়। ওর ছোটবেলা, ওর পরিবেশ এর জন্যে দায়ী। বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ কঙ্কণ প্রায় হাহাকার করে উঠলো ---""তবে কি বুঝবো বন্দনা তুমি কংসের প্রেমে মুগ্ধ?'' কঙ্কণের চাইতে হাইটে কিছু বড় বন্দনা আঁকা ভুরু নাচিয়ে বলে উঠলো--""প্রেমে নয়, মহত্ত্বে''। আমার বুকের মধ্যে পাথর, আমার চোখে কান্না শুকিয়ে যাচ্ছে।
    সে যাকগে, শেষমেশ অভ্যুত্থানের ফলে কঙ্কণ আদি বিপ্লবীর তলোয়ারবাজিতে মৃত্যু ও কংসবধ।

    কংসবধের অভিঘাত শিগ্গিরই ফিকে হয়ে গেল। ভুলিনি কঙ্কণ আর বন্দনাকে। বয়েসকালে আমার এক বন্ধু বোঝালো--- কঙ্কণদের এই নিয়তি। এরা প্রাণ দেবে, এদের শরীর নিয়ে শেয়াল-কুকুরে টানা-হেঁচড়া করবে। ইতিহাসের পাতায় নামও উঠবেনা। এদের পরিবার পেন্সন তাম্রপত্র এসব নাও পেতে পারে। আর বিজয়উৎসবের পর রাজত্ব করবে অন্যেরা। আমি বললাম--- এটা কি irony বা ইতিহাসের একচোখোমি নয়?
    ----আদৌ নয়। যে মানসিকতা নিয়ে বিপ্লব করা হয়,সিস্টেমকে ভাঙ্গা হয়, তা' দিয়ে দেশ চালানো যায় না। কারণ, দেশ চালাতে গেলে অনেক কম্প্রোমাইজ করতে হয়। তাই জেরজিনস্কিরা বিপ্লবের আগে নিহত হন, লেনিনেরা বিপ্লব করেন এবং নিহত হন আর ব্রেজনেভের বৌরা মুক্তোর নেকলেস পরে পার্টিতে যান। ভগত সিং, রাজগুরু শুকদেবরা ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েন। নেহরুরা দেশ চালান।
    --আর বাংলাদেশে?
    ---সেই একই ব্যাপার। গণেশ ঘোষ, সতীশ পাকড়াশিরা ষাটের দশকে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে খাদ্য আন্দোলন, বন্দীমুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন, সাংগঠনিক কাঠামো গড়েন। আর ভারতরক্ষা আইনে বন্দী জ্যোতিবাবুরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মন্ত্রী হয়ে যান। প্রাক্তন ছাত্রনেতা সুভাষবাবু মন্ত্রী হয়ে মুটিয়ে গিয়ে সল্টলেক স্টেডিয়াম বানানোর বরাত পাওয়া ঠিকেদারদের পদ্মশ্রী পাওয়ানোর সুপারিশ করেন।
    ---আর বন্দনা?
    ---বন্দনারা সর্বকালেই ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। কিছুদিন প্রতিবাদী আন্দোলনের পর কংসরাজার মধ্যে মানবিক্‌গুণ খুঁজে বার করবেন। তারপর power that be র সংগে থাকাই যে আজকের সময় কি পুকার সেটা সুন্দর করে সব কঙ্কণদের বোঝাতে লেগে যাবেন। একটু মনদিয়ে নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর-রিজবানুর পালাটা দ্যাখ, অনেকগুলো বন্দনাকে খুঁজে পাবি।

    নভেম্বর ২৫, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ নভেম্বর ২০০৭ | ৬৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন