এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পরিযায়ী শ্রমিক - নামহীনতা থেকে পরিচয়

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
    অন্যান্য | ২৭ মে ২০২০ | ২০৯৫ বার পঠিত
  • মানতেই হবে, পরিযায়ী শ্রমিক দের নিয়ে যে রসিকতা সরকারগুলি করলো এবং করে চলেছে, গণমাধ্যম গুলি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় প্রায় বিরামহীন ভাবে তাঁদের দুরদশার কথা তুলে ধরেছে। কিন্তু মৃত ১৬ বা আহত ৮ , বা গায়ে ডিসইনফেকটান্ট এর স্প্রে খাওয়া বা পুলিশের কাছে কান ধরে উঠবোস করা নামহীন দের নাম ছেড়ে দিন, সংখ্যা ও সম্পূর্ণ পরিষ্কার ভাবে খবরে আসে না, স্ট্র‌্যান্ডেড শ্রমিক দের বাড়ির ফোন নং তাঁদের ফোন নম্বর শেয়ার করতে কি অসুবিধে বুঝি না, খবরের মধ্যেই, তবু কিছু কাগজ অন্তত চিঠি আকারে ছেপেছে। তাহলে তো মানুষের সাহায্য করতে সুবিধে হয়। সোনু সুদ যে দৃষ্টান্ত মূলক কাজ করলেন, আমরা তার কাছা কাছি না গেলেও, সে ই দিকে অন্তত পা বাড়াতে পারতাম। আর ভবিষ্যতে কেউ ফলো আপ স্টোরি করতে চাইলে, মামলা করতে চাইলে কোন অনাচারের বিচার চেয়ে, এই তালিকা (যদি গড়ে ওঠে) হয়তো কাজে লাগবে। খবর পড়ার সময় একটু ডেট সর্ট করে পড়ুন, মানে পুরোনো খবর নতুন করে দেখুন, আর অ্যাফেকটেড শ্রমিক দের নাম পেলে লিখে রাখুন। ফোন পেলে নিজের কাছে রাখুন। সবটাই ঐচ্ছিক, ভবিষয়তে কোন সংস্থা বা ব্যক্তি সাহায্য করতে চাইলে বা তাঁদের হয়ে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন করতে চাইলে সাহায্য করতে পারবে, ক্ষেত্র বিশেশে কনসেন্ট এর ভিত্তিতে। এতে গুরুচন্ডালির সংস্থা হিসেবে ইনভল্ভড হবার কোন ব্যাপার আশা কিসু করা হচ্ছে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 103.195.203.31 | ২৭ মে ২০২০ ১৭:৫১731710
  • খ দা, পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকের ডিটেলই জোগাড় করা হয়েছে। বিশেষ করে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে টিকিট কাটার জন্য অনেক ডিটেল দিতে হচ্ছে, নানান সংস্থা আর পলিটিকাল পার্টি এই কাজ করছে (চেন্নাইতে)। কিন্তু এইসব ডিটেল প্রকাশ করা বোধায় ঠিক হবেনা, বিশেষ করে ওঁদের অনুমতি ছাড়া।
  • b | 14.139.196.11 | ২৭ মে ২০২০ ১৮:৪০731711
  • আমি এটাই ভাবছিলাম। ইয়ে, মানে, পরিযায়ী শ্রমিক কোথায়, কত, সে ব্যাপারে সব সরকারই হাত তুলে দিয়েছে। গরু চোরের মতো মুখ করে মাইরি আমরা নাম্বার জানি না বলছে। এই ট্রেনগুলো, তার অকুপেন্সি, ডেস্টিনেশন ইত্যাদি থেকে একটা আধাখ্যাঁচড়া এস্টিমেট হতে পারে। কানা ইজ বেটার দ্যান নেই।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:a1a:dfc6:d998:9a8b:3533:2348 | ২৭ মে ২০২০ ২০:১৮731712
  • এটা ঠিক বলেছেন, তাহলে প্রোজেক্ট বাতিল। আসলে আমি সিরিয়াসলি বলছি, সংখ্যা দেখতে আমার ভালো লাগে না। ফোন ডিটেল দেবার কথা বলিও নি। কিন্তু নাম, ধরো যে মায়েরা জন্ম দিলেন রাস্তায়, তাদের নাম, যেন কখনো না ভুলি, যে ছেলে গুলো, আমার ছোটো ভাইপোর থেকেও ছোটো , আমার সন্তানের থেকে অল্প বড়, আস্তে করে দেড় হাজার কিলোমিটার সাইকেল চালালো, বাড়ি তে পৌছতে পারলো না, মৃতদেহর সংগে যেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লো, বন্ধুর কোলে মাথা রেখে মরেই গেল। তার অনেক খবর কোন নাম থাকে না। বা শুধু নাম থাকলো গ্রুপের একজনের। এটা আমার অসহ্য লাগে। এই নাম হীনতা, শুধু সংখ্যায় হিসেব, আমার অসহ্য লাগে। একেকটা ট্রেন এ খাবার জল কিছুই নেই। হাজার হাজার টাকা প্লেন এর জন্য গরু জমি বেচে দিয়েছে, নো রিফান্ড ফ্লাইট ক্যানসেল্ড হয়ে গেছে। সহ্য করা যাছে না।

    কিন্তু আমি মেনে নিলাম, এতে পুরো নিয়ন্ত্রন রাখা মুশকিল হবে। আপনারা প্র‌্য্যকটিকাল কথা বলেছেন, এতে হয়তো কারো কিছুই কাজে লাগবে হবে না। টই রিপারপাস হোক। মানুষের অনুমতি না নিয়ে নাম ও হয়তো ছাপা উচিত না। কিন্তু স্পেসিফিকালি, পরিযায়ী শ্রমিক দের সাহায্য করছেন, এরকম সরকারী বেসরকারী নেটওয়ার্ক, রিসোর্স সেন্টার এর খবর কিসু পেলে এখানে থাকুক।
    এগ্রিড, থ্যাংক্স।

    হ্যা শালা এই বাস আর ট্রেন গুলো যা ঢুকেছে, আর জেলা অ্যাডমিনিস্ত্রেশনে, আর টি আই করে ওভার অল নাম্বার্স, ধরুন আমাদের রাজ্যের প্রতিটা জেলায় একটা আর টি আই ফাইল করলাম, ডি এম এর কাছে, যে গিভ মি নাম্বার্স, আর তাদের ব্যাপারে রোজগার , রিহ্যাব, স্বাস্থ্যর ডেটা দিন।

    বাংলা কথা যে যেখানে ফিরে এলো, যে যেখানে থেকে গেলো, তারা যেন ভুলে না যায়, যে কি কান্ড ঘটলো তাদের সংগে।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • dc | 103.195.203.31 | ২৭ মে ২০২০ ২১:২৫731713
  • চেন্নাইতে এরকম কাজ যারা করছেন সেরকম কয়েকজনের নাম ফোন নং ইত্যাদি জানি, কারুর লাগলে দেবো। আগের সপ্তাহেই বোধায়, চেন্নাই থেকে কয়েক বাস ভর্তি যাত্রী কলকাতার দিকে রওনা হয়েছিলেন, বাসগুলো গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। এখন ওনারা ফিরতি পথে আছেন। অর্গানাইজারের নাম আর ফোন নং বোধায় টইতে দিয়েছিলাম।

    আর ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা এখানে এরকমভাবে হচ্ছেঃ একেকটা শেল্টারে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে কারা কারা একই রাহ্যের (সম্ভব হলে একই শহরের) সেটা আগে লিস্ট বানানো হচ্ছে। এবার একেকটা দলের মধ্যে থেকে এক বা দুজনকে স্টেশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ওনার কাছে বাকি সবার ডিটেল থাকছে, উনি সেই ডিটেল জমা দিয়ে টিকিট কাটছেন (নাম, বাড়ির ঠিকানা, আধার, ফোন নং লাগছে বোধায়)। যাত্রার দিন টেম্পো বা বাসে ওনাদের স্টেশানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

    আমাদের পাড়ার আটজন শ্রমিকের একটা দল ইউপিতে তাঁদের গ্রামে পৌঁছে গেছেন (এখনো কোয়ারান্টাইনে আছেন)। ওনাদের ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছিল, খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল, টিকিটের পয়সা লাগেনি। বেশ ভালোভাবেই বাড়ি ফিরেছেন। এটাও টইতে লিখেছিলাম।
  • Amit | 203.0.3.2 | ২৮ মে ২০২০ ১২:১০731726
  • রোজ এসব খারাপ খবর পড়ে পড়ে এখন জাস্ট ঘেন্না লাগছে.. এই সরকারটা যেখানে হাত দিয়েছে, সেখানে ই লোকেদের দুর্ভোগে ফেলেছে. সবরকম পাবলিক সার্ভিস এ চরম অপদার্থতার একটা বেঞ্চমার্ক হয়ে থাকবে এই মোদী সরকার. গালাগালির ও অধম.
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 42.110.130.68 | ২৮ মে ২০২০ ১৩:২১731727
  • বি , হ্যাঁ একদম সহ্য করা যাচ্ছে না।
    অমিত, বি, ডিসি -
    আরেকটা খবর খেয়াল করেছেন, কোথাও থেকে একটা ট্রেন আসছিল। ট্রেনে বাচ্চা একটা কেস এ, আর দুজন অ্যাডাল্ট আরেকটা কেস এ মারা গেছেন। দ্বিতীয় ঘটনার, আনবিলিভেবল ইনহিউম্যান না হলে এই জিনিস হতে পারে না, নিজেদের রাজ্যের শ্রমিক না বলে, কোনো রাজ্য , সম্ভবত উড়িষ্যা, মৃতদেহ র দায়িত্তঅ নেয় নি, এখানে ফাঁকা কামরা থেকে মৃতদেহ বার করা হয়েছে।
    দেশে কাজ নেই, কাজ করতে গেলো দুটো লোক। যেখানে গেল, সেখানে লক ডাউনের সংগে কাজ বন্ধ ও ছাঁটাই, ন্যুনতম সামাজিক সুরক্ষা ছেড়ে দিন, খাওয়া দাওয়ার নিশ্চয়তা, বাসস্থানের নিশ্চয়তা নাই, হোস্ট রাজ্য সরকার আর কেন্দ্র সরকার মুখে বলেই খালাস , চাকরি খাবেন না, তার পরে ন্যক্কার জনক বিহেভিয়র ট্রেনের টিকেট , বাসের ব্যবস্থার নামে, আর হোম স্টেট গুলো বলে যাচ্ছে এতো কেনো পাঠাচ্ছেন, শুধু রোগের নেচার টার জন্য, সকলে দায়িত্তঅ না নিতে পারলে বান্চে, সবাই সবার নাম্বার্স সামলাচ্ছে।
    আমার সত্যি ই মনে হচ্ছিলো, দেশের তো কোনো উপকর করতে পারি নি , এই বালের ওয়ার্থলেস পঞ্চাশ বছরের জীবনে, এ জিনিস দেখার জন্য কেন বেঁচে আছি, লোকে কীট পতংগ কে এর চেয়ে বেশি সম্মান করে। আগলে রাখে।
    এমন ভাবে বলা হচ্ছে এটা প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেশন এর সমস্যা। আদৌ না , এটা স্ট্রেইট ক্লাস বায়াস আর ওয়ার্কার রাইট্স না থাকার সমস্যা। কাজ করাবো, মানুষকে থাকতে দেবো না, চিকিত্সা দেবো না, ছোটো এম্প্লয়ার দের সাহায্য করবো না , ন্যুনতম স্ট্যান্ডার্ড রাখতে বাধ্য ও করব না, আর ক্রাইসিস হলে, স্মল ইন্ডাস্ট্রি র ডেফিনিশন বদলে। লেবার ল র বারোটা বাজিয়ে, মিনিমাম ফুড আর হাউজিং সিকিউরিটির ব্যবস্থা না করে , একটা অর্ধ ভুক্ত মৃতপ্রায় জনতা কে দিয়ে ক্যাপিটালিজম চলছে। উই আর ব্যাক টু নাইন্টীন্থ সেন্চুরি টেক্স্টাইল মিল্স, ইন মোস্ট কেসেস, উই ওয়ার নেভার আউট।
    চ্যাঙ্গড়ামোর কোন লিমিট নেই।

    আমরা এতো বেচে গেছি, কিছুই করি না। আর পরিযায়ী শ্রমিক রাও কিছুই বলবে না, আবার দেশে কাজের অভাব হলে, যে কোনো শর্তে ফিরে যাবে।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত।
  • Amit | 110.175.8.52 | ২৮ মে ২০২০ ১৪:৫৯731728
  • এই শু বা মোদী সরকার মিগ্রান্ট লেবার দের সাথে যা নোংরামি দেখালো পুরো দুনিয়াকে, কিছু বলার নেই. জাস্ট এটা ই বলার যে সভ্য দেশগুলোতে মানুষ ছেড়ে দ্যান , ইভেন পশু পাখি দের কেও এর থেকে অনেক অনেক বেশি সেন্সিবিলি ট্রিট করে.
  • dc | 103.195.203.187 | ২৮ মে ২০২০ ১৬:০১731729
  • b এর খবরটা চোখে গেছে, পড়িনি। এইসব খবর পড়িনা, পাগল হয়ে যাব নাতো আত্মহত্যা করবো সেই ভয়ে।
  • sm | 2402:3a80:a7b:e66b:0:62:8ae9:ce01 | ২৮ মে ২০২০ ১৮:১৪731731
  • ও, এব্রোখেব্রো বাবু।বাংলায় একটা গুছিয়ে সারাৎসার লিখেন না কেন?একটু এবড়ো খেবড়ো হলেও চলবে।

  • এবড়োখেবড়ো | ২৮ মে ২০২০ ২১:৪৪731733
  • এসেম, কী করিতে হইবে? আনন্দবাজারের লেখাটি এখানে টুকসাঁটাই করিতে হইবে? কিন্তু ইহা খ-এর সুতো। তাঁহার অনুমতি না নইলে তাহা করা বিলক্ষণ খারাপ কাজ হইবে। খ রাগিয়া যাইতে পারেন। খ আমার বড় প্রিয় মানুষ। তাঁহাকে আমি রাগাইতে চাহি না।

  • !@#$%^&* | 49.37.12.149 | ২৮ মে ২০২০ ২১:৪৬731734
  • অন্য লোকের শুরু করা টইয়ে পোস্ট করতে গেলে আজকাল অনুমতি নিতে হচ্ছে নাকি?
  • sm | 42.110.166.22 | ২৮ মে ২০২০ ২২:১২731735
  • আমি সাময়িক ভাবে খ কে রেড কার্ড দেখাইয়া মাঠের বাহির করিলাম।আপুনি নিশ্চিন্ত মনে লিখিতে থাকুন।

    খ,ততক্ষণে,  'ভারতের অর্থনৈতিক দুর্নীতির দরুন,ব্রিটেনের করোনা সঙ্কট' বিষয়ে নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ লিখে ফেলুক।

  • বোধিসত্ত্ব | 2402:3a80:aa7:94b:e583:e632:6f7f:4d2f | ২৯ মে ২০২০ ০১:১৪731736
  • এবড়ো খেবড়ো, টই কারো বাপের না, আমার ও না। আপনি লিখুন না। খুব রিসেন্টলি আমাকে বলা হয়েছে আমি নাকি নিজের নাম দেখতে ভালো বাসি বলে বেশি টই খুলি। সেটা গায়ে না মেখে আমার কিসু মাথায় এলে টা ই খুলি। গুরু ইজ মাই সাউন্ডিং বোর্ড। তবে হ্যাঁ সত্যিই পরিযায়ী বলাটা ঠিক না। ট ই য়ের মালিকানা কারো নেই গুরু ছাড়া। আমরা অসভ্যতা না করলে বা রিকোয়েস্ট না করলে তারা নর্মালি ইন্টারভেন করেন না, ব্যকতিগত ভাবে কন্ট্রিবিউট করাটা আনরিলেটেড। সম্ভাবনা নেই এক্ষেত্রে।
    লিখুন, এস এম দা এমনিতে খুব ই তৃণমূল টাইপস খারাপ লোক
  • বোধিসত্ত্ব | 2402:3a80:aa7:94b:e583:e632:6f7f:4d2f | ২৯ মে ২০২০ ০১:১৯731737
  • লিখুন, এস এম দা এমনিতে খুব ই তৃণমূল টাইপস খারাপ লোক
  • বোদাগু | 2402:3a80:aa7:94b:e583:e632:6f7f:4d2f | ২৯ মে ২০২০ ০১:২২731738
  • লিখুন, এস এম দা এমনিতে খুব ই তৃণমূল টাইপস খারাপ লোক :--))))))) তবে রেশনাল লোক কিসু শুনতে চাইতেছেন মনে হয়:-)

    কোন ট ই ই কারো না, তবে আগে আমি একটা জিনিস করতাম এখন করিনা , কম্প্লিটনেস বেশি থাকলেও গিয়ে নানান প্যাচাল পাড়তাম এই করে লেখকদের ও পাঠকদের ডিসটারবান্স হত। তার থেকে আমার নিন্দে ও শিক্ষা দুটোই হয়েছে। এই টা য় সেরকম কম্প্লিটনেস কিসু নাই।
    কি রে ভাই অকুস্থলে উড়ে গেল, কি কেচ্ছা।
  • এবড়োখেবড়ো | ২৯ মে ২০২০ ০১:৪৬731739
  • আসলে আমি এলেবেলে, আপুনার একনিষ্ঠ ভক্ত। এর আগে এখানে কে একজন আবাজ দিয়েছিলেন যে আপনি নাকি আমার মধ্যে কীসব খুঁজে পেয়ে আমাকে ভালো বলেছেন, তাপ্পর থেকে আমি সামান্য সিঁটিয়ে থাকি আজকাল। আরে টই যে কারও একার না সে আমিও জানি। শুধু ভাবছিলাম লেখাটা এখানে দেওয়া প্রাসঙ্গিক হবে কি না। এসেমকে দীর্ঘদিন ধরেই চিনি। তাতে তিনি তিনো কি মুলো ওসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই, তবে লোক খারাপ নন একেবারেই। বেশ আজ রাত হয়েছে। কাল লিখব এখানে।

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:a05:c9e:f233:79e1:1e96:ff3a | ২৯ মে ২০২০ ০৮:৫৭731745
  • ও তাই কই :--))) আরে এস এম দা গুরুদেব লোক। :-)))) একদম লিখুন, আর ভক্তি টক্তি পত্রপাট ছুঁড়ে ফেলে দিন। আমি একেবারেই একেবারে, মামুর কলে বকবক করি ঠিক ই, কিন্তু জীবনে কিসু ই পারিনি। মন দিয়ে লেখালিখি র নিন্দে করবেন, আমিও করে থাকি ও করব। এটা মোটামুটি গুরুর ঐতিহ্য , আমরা কেউ ই সিনিয়র জুনিয়র কারোর লেখাকে (প্রধানত মজা করে) পুরো সহ্য করিনা:--)))) দিস ইজ ফান অ্যন্ড হাউ ইট ইজ সাপোজড টু বি::---)))))
  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:8301 | ২৯ মে ২০২০ ০৯:৫৯731748
  • খ, কে আরো দু একটি ফরমায়েশি প্রবন্ধ লিখতে অনুরোধ করা হলো।

    চৈনিক পঙ্গপালের, দৈনিক অগ্রগতি।

    করবিন ও তাঁর দূরবীন।

    ট্রাম্পের কেচ্ছা ও ব্রিটেন এর অভিবাসন নীতি।

  • এবড়োখেবড়ো | ২৯ মে ২০২০ ১৬:২২731753
  • [মুলত এসেম-এর অনুরোধে এবং -এর প্রশ্রয়ে গত ২৩ ও ২৪ মার্চ আনন্দবাজারে প্রকাশিত উত্তর-সম্পাদকীয়টি এখানে রাখলাম। লেখাটিকে সাম্প্রতিক করার জন্য কেবলমাত্র মৃত্যুজনিত তথ্য হালনাগাদ করা ছাড়া আর কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। আনন্দবাজারীয় বানানকে অযথা গুরুত্ব না দিলেও চলবে। তবে ইদানীং পোক্ত হওয়ার সুবাদে বিভাগীয় সম্পাদককে আনন্দবাজারীয় বানানও সংশোধন করার সুযোগ দিই না!]

    গত ৯ মে আনন্দবাজারের প্রথম পাতায় ছিল শিউরে ওঠার মতো অথচ এক আশ্চর্য তাৎপর্যবাহী ছবি। একটা সমান্তরাল রেললাইন, সেই লাইন থেকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে এক শ্রমিকের দেহ বস্তায় করে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কতিপয় উদ্ধারকর্মী। রেললাইনকে যদি সভ্যতার সমার্থক ভাবি আর মৃত শ্রমিকের দেহকে তার অমোঘ পরিণতি, তা হলে সভ্যতার করাল থাবা গ্রাস করেছে এই শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে।

    গত ২৫ মার্চ অগণিত দেশবাসীকে কোনও রকম পূর্ব প্রস্তুতির বিন্দুমাত্র সুযোগ না দিয়ে, মাত্র চার ঘন্টার নোটিসে দেশজোড়া লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ। লকডাউনের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ অভিবাসী (‘পরিযায়ী’ নয়, কারণ একই দেশে মানুষ কর্মসূত্রে স্থানান্তরিত হলে আলাদা হয়ে যান না) শ্রমিক। কলকারখানা, নির্মাণকর্ম, ব্যবসাবাণিজ্য, গৃহসহায়ক-সহায়িকার কাজ দুম করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে, তাঁরাই পড়েছেন সবচেয়ে আতান্তরে। এত দিন যাঁদের শ্রমের বিনিময়ে তিল তিল করে জমে উঠেছে যে বিশাল পুঁজির পাহাড়, সেই পুঁজির মালিকেরাই সবার আগে তাঁদের বেতন বন্ধ করেছেন।

    কাজ বন্ধ, রোজগার বন্ধ, মালিক বা ঠিকাদার এই দুঃসময়ে তাঁদের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না; ফলে তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই সীমিত সঞ্চিত অর্থ ফুরিয়েছে। শহরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনও রকমে দিন গুজরান করতে বাধ্য হওয়া এই অসহায় মানুষগুলো, বাড়িওয়ালাদের বকেয়া ভাড়া মেটানোর অসামর্থ্যের কারণে মাথার উপর ছাদের ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকুও হারিয়েছেন এক ঝটকায়। নিজের গ্রাম-মফস্‌সল থেকে দূরে কর্মস্থল, মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা এবং প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের হাতের কাছে রেশন কার্ড না থাকার ফলে বেশির ভাগ শ্রমিকেরই সামান্য সরকারি খুদকুঁড়োটুকুও জোটেনি দীর্ঘ দিন।

    যদিও সরকারি ভাবে এই অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে কোনও তথ্য নেই, তবুও গত ১২ মে ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে যে, ভারতে ভিন্‌ রাজ্যে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি এবং এই শ্রমিকদের যথাক্রমে ২৫ ও ১৪ শতাংশ মানুষ আসেন উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে। এছাড়াও, অভিবাসী শ্রমিকের নিরিখে উল্লেখযোগ্য রাজ্যগুলি হল রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা।

    পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ,  হুগলি ও মালদহ থেকে লাখ লাখ শ্রমিক ভিন্‌ রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজে যান। কেউ যান কেরল ও চেন্নাইয়ে নির্মাণ কাজে, অনেকে হিরে কাটার কাজ করেন মুম্বই ও গুজরাতে। এমনকি গুজরাতে মার্বেল নির্মাণের সঙ্গেও যুক্ত মুর্শিদাবাদের অনেক শ্রমিক। নিজের রাজ্যে কাজের অনিশ্চয়তা, যৎসামান্য পারিশ্রমিক, সারা বছর চাষের কাজের উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব ইত্যাদি নানাবিধ কারণে নিতান্ত পেটের দায়েই অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। বছরের পর বছর কেরল, মুম্বই, গুজরাত বা চেন্নাইয়ে কাটিয়ে দেন যা হোক ভাবে।

    দেশ জুড়ে চলতে থাকা এই দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের আশায় অবশেষে তাঁরা কয়েকশো এমনকি হাজারখানেক কিলোমিটার দূরে পাড়ি জমিয়েছেন নিজেদের ফেলে আসা ভিটেমাটির টানে। কেউ একা, কেউ বা সপরিবার। এই ভরসায় যে, কোনও ক্রমে যদি নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন, তবে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু মিলবে। দুবেলা দু’মুঠো খেয়েও বেঁচে থাকা যাবে। তাই শুরু হয়েছে অনন্ত হাঁটার মিছিল, আসলে অগণন মৃত্যুমিছিল।

    ২৫ মার্চ গোটা দেশে লকডাউন জারির আগেই ২২ মার্চ মধ্যরাত থেকে যাত্রিবাহী ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছিল রেল। লকডাউনে ট্রেন চলছে না ভেবে গত ৮ মে সন্ধ্যায় ঔরঙ্গাবাদের জলনার একটি ইস্পাত কারখানার জনা কুড়ি শ্রমিক জলনা থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের ভুসাবলের পথে রেললাইন ধরে হাঁটা দিয়েছিলেন। পথশ্রমে ক্লান্ত হয়ে জলনা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে করমাড এলাকায় রেললাইনের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি পৌঁছনোর আগেই তাঁরা চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে। মনমাডগামী মালগাড়ির চাকায় পিষে গেলেন ১৬ জন। রেললাইনে ইতস্তত পড়ে রইল কয়েকটা শুকনো রুটি, ছেঁড়া চটি, গামছা এমনকি মাস্কও। 

    মহারাষ্ট্রের ওই দুঃখজনক ঘটনার মাত্র দু’দিন পরে গত ১০ মে ফের অভিবাসী শ্রমিকেরা মারা গিয়েছেন মধ্যপ্রদেশে। হায়দরাবাদ থেকে আসা আম-বোঝাই ট্রাকটির গন্তব্য ছিল ঝাঁসি হয়ে উত্তরপ্রদেশের আগরা। ওই ট্রাকের উপরেই বসেছিলেন শ্রমিকেরা। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় ভোপাল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে মুঙ্গওয়ানিতে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাকটি উল্টে যায়। মারা যান আট হতভাগ্য অভিবাসী শ্রমিক।

    এ ছাড়াও, দিল্লি থেকে সাইকেল চালিয়ে বিহারের পূর্ব চম্পারণের বাড়িতে ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন সাগির আনসারি নামে এক শ্রমিক। দিল্লি থেকে বিহারেরর খাগারিয়া পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা সাইকেলে পাড়ি জমানো সাত জন শ্রমিকের মধ্যে ধরমবীর নামক একজন মারা গেছেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। এই রকমই সাইকেলে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডি থেকে উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দেওয়ার পথে মধ্যপ্রদেশের বারাবনিতে মারা গিয়েছেন তাবারক আনসারি নামে অন্য এক জন শ্রমিক।

            আসলে এই বিপুল সংখ্যক প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষ যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন এবং এই হঠাৎ ডাকা লকডাউনের প্রেক্ষিতে তাঁরা যে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বাধ্য হবেন, সে কথা কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তাভাবনার মধ্যেই ছিল না। ফলে, খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা অভিবাসী শ্রমিক তাঁদের নিজেদের ভিটেমাটিতে কী ভাবে নিরাপদে ও নীরোগ অবস্থায় পৌঁছবেন, তা নিয়ে গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও সমন্বয় চোখে পড়েনি। তবুও এরই মধ্যে ২০ এপ্রিল লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে, বাসে চেপে ফেরার ব্যবস্থা করেছে কিছু কিছু রাজ্য। তেমন ভাবেই রাজস্থানের কোটা থেকে বাসে এ রাজ্যে ফিরেছেন পড়ুয়ারা; কেরলের কোচি ও রাজস্থানের অজমের শরিফ থেকে বিশেষ ট্রেনে ফিরেছেন প্রায় আড়াই হাজারের বেশি শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পড়ুয়া এবং রোগী ও তাঁদের পরিজন।

                 অবশেষে বিস্তর টালবাহানার পরে গত ৩ মে অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের শেষ দিনে, ভারতীয় রেল নানা রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করে। যে রাষ্ট্র চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের অভিনন্দন জানানোর জন্য কোটি কোটি টাকা অপচয় করে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করতে পারে, বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের বিনা পয়সায় বিশেষ বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারে, সেই একই রাষ্ট্র প্রায় নিঃস্ব, সর্বস্বান্ত শ্রমিকদের থেকে চড়া ভাড়া আদায় করেছে নির্মম ভাবে। ভিন্‌ রাজ্যের শ্রমিকদের চরম দুর্দশা ও একের পর এক মৃত্যু দেখেও কেন্দ্র অভিবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য কেন পিএম-কেয়ারসের টাকা খরচ করবে না, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন অসংখ্য মানুষের মনে সেই প্রশ্ন উঠেছে সঙ্গত ভাবেই।

    শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে বিতর্কও কম দানা বাঁধেনি। ৪০ দিন আটকে থাকা কয়েক হাজার শ্রমিক যখন বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষ ট্রেনে ঘরে ফেরার প্রত্যাশায় মুখিয়ে ছিলেন, তখনই কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার ট্রেন স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় রেলের কাছে। সরকারের দাবি ছিল, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ফের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় সেই কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে গেলে নির্মাণকাজে বিঘ্ন ঘটবে। অর্থাৎ শ্রমিকদের খাদ্য-বাসস্থানের নিরাপত্তার চাইতেও নির্মাণ সংস্থার স্বার্থ দেখাই সরকারের কাছে বেশি জরুরি! যদিও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে কর্নাটক সরকার। অন্য দিকে, নিজ নিজ রাজ্যে ফিরতে না-পারার ক্ষোভে সুরতে পথে নেমেছেন বস্ত্র, হিরে ও নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন রাজ্যের হাজার হাজার শ্রমিক।

    যখন লক্ষ-লক্ষ শ্রমিক প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যে কোনও ভাবে নিজেদের রাজ্যে ফিরতে মরিয়া, ঠিক তখনই অর্থনীতিতে করোনার ধাক্কা সামলানোর ‘অজুহাত’ দেখিয়ে একের পর এক শ্রমিকবিরোধী পদক্ষেপ করছে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্য। উত্তরপ্রদেশ সরকার আগামী তিন বছরের জন্য রাজ্যে শ্রম আইন শিথিল করেছে। বলা হয়েছে দিনে কাজের সময় ৮ ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘন্টা করার কথাও।

    অথচ, এ দেশে শিল্পের ৯০% ক্ষেত্রই অসংগঠিত, যেখানে শ্রমআইন হয় ঢিলেঢালা নতুবা কার্যত নেই। এমনকি, সংগঠিত ক্ষেত্রেও অনেক স্বল্পমেয়াদি ঠিকাকর্মী আছেন, যাঁরা বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কাজেই, এই অবস্থায় শ্রমআইন আরও শিথিল করার অর্থই হল দেওয়ালে পিঠ ঠেকে থাকা কর্মীদের নামমাত্র টাকায় যথাসম্ভব নিঙড়ে নেওয়ার বন্দোবস্ত আরও পাকা করা। দিল্লি স্কুল অব ইকনোমিক্সের অধ্যাপক দিব্যেন্দু মাইতির মতে, “শ্রম আইন শিথিল হলে কর্মীদের বিপত্তি বাড়বে। সহজ হবে ছাঁটাই। আরও বেশি হাত পড়বে ন্যূনতম বেতন, পিএফে।”

    চলছে গৃহবন্দিত্বের তৃতীয় দফা। অথচ, করোনার দাপট কমেনি। কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে, তারও ঠিক নেই। ২৯ মে দুপুর ৩টে অবধি ভারতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫০ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭১ হাজার ৩৬৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৭ জনের। পাশাপাশি, এ দেশে প্রতি বছর যক্ষায় মারা যান প্রায় ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার জন। ফলে মৃত্যুর নিরিখে করোনার ভয়াবহতা অনেকানেক রোগের তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে প্রায় দেড় মাস দেশের আর্থিক কার্যকলাপ বন্ধ ছিল। তাতেই চারদিকে ‘ত্রাহি রব’ উঠেছে। লকডাউনের প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকট হয়েছে বেকারত্ব বৃদ্ধির ছবি। সরকার ও মানুষের কাছে স্পষ্ট যে, করোনার প্রকোপ এখনই কমবে না। ঘর করতে হবে একে নিয়েই।

    এ কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড চালুর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। টানা প্রায় ছ’সপ্তাহ বন্ধ থাকার পরে মঙ্গলবার ১১ মে থেকে ধাপে ধাপে যাত্রিবাহী ট্রেন চালু করেছে রেল মন্ত্রক। ১৮ মে থেকেই যাতে সীমিত সংখ্যক ঘরোয়া উড়ান চালানো যায়, তারও পরিকল্পনা চলছে পুরোদমে। তৃতীয় দফার লকডাউন ১৭ মে শেষ হওয়ার আগে থেকেই রেল যে ভাবে ট্রেন পরিষেবা চালু করে দিয়েছে, যে ভাবে ঘরোয়া উড়ানও চালু হতে চলেছে, তা থেকে স্পষ্ট, কেন্দ্র সরকার এ বার করোনার জন্য সাবধানতা বজায় রেখেই দেশে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে চাইছে। গত ১২ মে দেশবাসীর প্রতি তাঁর পঞ্চম বার্তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ দফার লকডাউন সম্পূর্ণ অন্যরকম হবে বলে যে ঘোষণা করেছেন, তাতে এই পদক্ষেপ স্পষ্টতর হয়েছে। 

    ২৯ মে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫০ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৯৫ হাজার ৩৫৩ জন মাত্র সাতটি শহরের বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, সারা ভারত জুড়ে যে ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার প্রায় অধিকাংশই এই শহরগুলোর অন্তর্গত। এই শহরগুলি হল মুম্বই (৩৫,৪৮৫), দিল্লি (১৭,৩৮৭), চেন্নাই (১২,৭৬১), আমদাবাদ (১১,৩৪৪), থানে (৮,২২০), পুণে (৬,৮৯৬) এবং ইনদওর (৩,২৬০)। মাত্র সাতটি শহরের জন্য জনজীবনকে এভাবে বন্ধ করার সার্থকতা কতটা, সেই নিয়েও সঙ্গত কারণেই মানুষের মনে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে শুরু করেছে।

    অন্য দিকে, তেজেশ জি এন, কণিকা শর্মা এবং আমনের সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ থেকে ২২ মে পর্যন্ত লকডাউনের কারণে মারা গেছেন মোট ৬৬৭ জন। এঁদের মধ্যে অনাহার এবং আর্থিক বিপর্যয়ে মারা গেছেন ১১৪ জন, হাঁটা ও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর ক্লান্তিজনিত পরিশ্রমের কারণে ৪২ জন, পুলিশি বর্বরতার কারণে ১২ জন, চিকিৎসায় সহায়তা না পাওয়ার জন্য বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ মারা গেছেন ৫৪ জন, সংক্রমণের আতঙ্ক ও নানাবিধ কারণে এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ১২০ জন, নিজের রাজ্যে ফেরার সময়ে সড়ক বা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন ২০৫ জন, অ্যালকোহল-উইথড্রয়ালের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জন ব্যক্তির এবং  অন্যান্য নানা কারণে মারা গেছেন ৭০ জন।

    টানা ৬৬ দিন দেশ জুড়ে লকডাউন চালু করলেই যে করোনাকে মোকাবিলা করা যাবে না, থালা বাজিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে কিংবা পুষ্পবৃষ্টি করেও যে সংক্রমণ আটকানো যায় না– এ বাস্তব সত্য সরকার নিজেই উপলব্ধি করেছে এতদিনে। তাই সময় এসেছে দাবি তোলার, করোনা সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা যে ভাবে নিয়মিত প্রকাশ করা হয়, লকডাউনের ফলে মৃত শ্রমিকদের সংখ্যাও সে ভাবে প্রকাশ করা হোক। তাঁদের অসহায় পরিবারবর্গকে দেওয়া হোক উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প রোজগারের নিশ্চয়তা। রাষ্ট্রের অবিমৃষ্যকারিতা ও উদাসীনতার খেসারত যাঁরা প্রাণের বিনিময়ে দিলেন, তাঁদের হয়ে আমরা অন্তত এই সামান্য দাবিটুকু সরকারের কাছে করতেই পারি।

  • সাহায্য চাই | 2402:3a80:a6a:7e04:0:2e:d425:f301 | ৩১ মে ২০২০ ১৮:২৭731766
  • কাজের জন্য পুণেতে এসেছিলাম আমরা বেশ কয়েক জন। কিন্তু এমন পরিস্থিতির শিকার হব স্বপ্নেও ভাবিনি। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে এখানকার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হারিয়ে ফুটপাতে দিন কাটছে আমাদের। দুর্গাপুর ও আশেপাশের এলাকা থেকে ন’জন আছি আমরা। রয়েছেন বাঁকুড়ার তিন জনও। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকশো মানুষ এখানে আটকে আছি এ ভাবে।

    বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার আমাদের সকলকে বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কোথায় কখন যেতে হবে বা কী করতে হবে তা আমাদের জানানো হয়।

    তালেগাঁও থানায় যাওয়ার জন্য গত ২৮ মে স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানানো হয় আমাদের। সেই সঙ্গে বলা হয়, আমরা যেন সকাল ৬টার মধ্যে থানায় হাজির হই। নির্ধারিত সময়েই আমরা সকলে তালেগাঁও থানায় পৌঁছই। সেখান থেকে আমাদের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। তার পর সেখান থেকে বাসে করে পুণে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক আশার আলো দেখেছিলাম, এ বার হয়তো বাড়ি ফিরতে পারব। স্টেশনে ৬ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম ট্রেন ধরার জন্য। কিন্তু উঠতে পারিনি। হতোদ্যম হয়ে ফের বাসে করে তালেগাঁও থানায় ফিরে আসতে হয়েছিল আমাদের। কোনও উপায় না পেয়ে যে এলাকায় থাকি সেখানেই রওনা হলাম।

    এখানেও বিপত্তি। আমাদের ঢুকতে দেখেই পাড়ার লোকেরা প্রায় রে রে করে তেড়ে আসেন। আমাদের তাঁরা বলেন, ‘পাড়ায় ঢুকতে দেওয়া যাবে না।’ সে সময় কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সব যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হই আমরা। সব ঘটনা খুলে বলি তাদের। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও রকম সহযোগিতাই করেনি। থানা থেকে ফের পাড়ায় ফিরে আসি। এ বার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে কাকুতি-মিনতি করে, প্রায় হাত-পা ধরে থাকতে দেওয়ার জন্য রাজি করাই। কিন্তু পাড়া-পড়শিরা হুমকির সুরে জানিয়ে দেন, দ্বিতীয় বার এ রকম ঘটনা ঘটলে পাড়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।

    অপেক্ষায় ছিলাম কবে আবার ডাক পড়বে! শনিবার (৩০/০৫/২০২০) আবার থানা থেকে ডাক পড়ল। এ বার আর তালেগাঁও নয়, এ বার যেতে বলা হল বদগাঁও থানায়। এবং সেই একই সময়ের মধ্যে। অর্থাত্ সকাল ৬টায়। এ বারও নির্ধারিত সময়ে সবাই হাজির হয়েছিলাম থানায়। এ বারও প্রত্যেককে অনুমতিপত্র হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফের বাসে চেপে পুণে স্টেশনে পৌঁছই। কিন্তু এ বার যে আরও হয়রানি অপেক্ষা করছে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি। আগের বার ৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল ট্রেন ধরার জন্য। এ বার সেই অপেক্ষার সময় ছাপিয়ে ১০ ঘণ্টা হয়ে গেল। কিন্তু এ বারও ট্রেন ধরতে পারলাম না। আমরা যখন হতাশ হয়ে স্টেশনের সামনে অপেক্ষা করছিলাম, ঠিক তখনই পুলিশ এসে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করা শুরু করল। বলা হল, স্টেশনের সামনে দাঁড়ানো যাবে না।

    এ দিকে পাড়ায় ফেরারও আর উপায় নেই। কারণ তাঁরা আগে থেকেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন, দ্বিতীয় বার এমন ঘটনা ঘটলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

    স্টেশনের সামনেও অপেক্ষা করতে দেওয়া হচ্ছে না, আবার পাড়াতেও ফিরতে পারছি না। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা! কোনও উপায় না পেয়ে আমরা রাতভর ফুটপাতেই শুয়ে কাটাচ্ছি। কিন্তু এ ভাবে কত দিন চলবে? কবে বাড়ি ফিরতে পারব তাও জানি না। আমাদের খুবই অসহায় লাগছে।

    বিপ্লব সাহা, গৌরবাজার, পশ্চিম বর্ধমান

    ফোন- ৭৫৫৯২৭০৮৬৪

    কেউ কি আছেন যিনি পুনে তে থাকে?? অথবা এরকম কোন বাঙালিদের সংগঠন যাদের পুনেতে সংগঠন আছে? দয়া করে এদের পাশে দাঁড়ান। এরা অবর্ণনীয় অবস্তার মধ্যে আছে। সকল বাঙালিকে অনুরোধ এদের পাশে দাঁড়ান। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ এদের দেখুন।
  • b | 14.139.196.11 | ০১ জুন ২০২০ ১২:৪১731767
  • আমার এক দাদা, মহিন্দ্র জেনারেটর সংক্রান্ত মেশিন-্পার্ট্স বিক্রি, সার্ভিস, এসব করে। ওদের হাওড়া অঞ্চলে প্রচুর কাস্টোমার। ছোটো থেকে মাঝারি কারখানা এরকম। লকডাউন ওঠার পর থেকে অল্পবিস্তর বেরোচ্ছে। আজ বলল, একটা কারখানায় (দস্তা গলানো) ৩৫০ জন মজুর কাজ করতো। এখন ১৩ জন আছে। প্রায় ৪২ টা কারখানার মধ্যে ৪০ টাই বন্ধ। মজুরেরা সবাই বিহার ইউ পির। লকডাউন হবার পরে কোনো রকমে দেশে চলে গেছে, কবে আসবে, কিভাবে আসবে, স্থিরতা নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন