এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • খোলা চিঠি

    দুর্গা ঠাকুর লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৬০০ বার পঠিত
  • আমার বাঙালী কন্যাগণ,

    গভীর দু:খে এই চিঠি লিখিতেছি। আজ সহস্র বৎসর ধরিয়া তোমরা আমার পূজা করিতেছ। আমাকে মা বলিয়া মান, ভক্তিতে গদগদ হইয়া মাটিতে লুটাইয়া পড়িতেও কসুর কর না। কিন্তু মাতা কি কেবল ভক্তিই চাহে? ভাবিয়া দেখ, মানুষ সহ সকল প্রাণীই চায় নিজের বিশেষ গুণাগুণ সন্তানের মধ্যে বিকশিত করিয়া তুলিতে। দেবী হইলেও আমি ব্যতিক্রম নহি। আমার বিশেষ আকাঙ্খা ছিল আমার তেজ, বীরত্ব, সাহস, বাহুবল ইত্যাদি তোমাদিগের মধ্যে বিকশিত হইতে দেখিব, যাহাতে তোমরাও আমার মতন দুর্বৃত্ত অসুর দমনে নিজেরাই সক্ষম হও। বহু সহস্র বৎসর নীরবে অপেক্ষা করিলাম। জানি, পুরুষশাসিত সমাজের রক্তচক্ষু অতিক্রম করিয়া নিজেদের স্থান প্রতিষ্ঠা করিতে সময় প্রয়োজন। একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবী পা রাখিবার পর চারিদিকে যখন বিষম পরিবর্তনের হাওয়া দেখিলাম, শিক্ষা ও স্বাধীনতায় তোমাদিগকে অনেকখানি অগ্রসর হইতে দেখিলাম, আশা করিয়াছিলাম এইবার আমার স্বপ্ন পূর্ণ হইবে। হায়! এখনও হইল না।

    দু:খের কারণগুলি আরো খুলিয়াই বলি তাহলে। এত বৎসর ধরিয়া বাঙালী আমার পূজা করিতেছে, অথচ মেয়েদের আশীর্বাদ করিয়া কেহ কখোনো বলে না "মা দুগ্গার মতন তেজী হও,সাহসী হও, শক্তিশালী হও'! পুরুষ যে বলিবে না ইহাতে বিস্ময়ের কিছু নাই। মেয়েরা দলে দলে শক্তিশালী হইলে তাহাদের ঘোর বিপদ, বলাই বাহুল্য। কিন্তু মায়েরাও যে মেয়েদের বলে না ইহাতেই বড় দু:খ আমার। "সতী সাবিত্রী হও, শাঁখা সিঁদুর বজায় থাক' - যুগে যুগে ইহাই তোমরা মানিয়া লইয়াছ। এত বৎসর ধরিয়া তোমাদের এই শিখাইয়াছি আমি? মানি, আমার অন্নপূর্ণা রূপটি আদর্শ হিসাবে বহুকাল অনুমোদিত। কিন্তু নির্বোধ তোমরা, এও বোঝ নাই যে ইহা তোমাদিগকে বিনা পারিশ্রমিকে খাটাইয়া লইবার একখানি পুরুষতান্ত্রিক চাল মাত্র? তোমরা কেবল আমার রূপ আর সেবাই দেখিলে, আমার যাহা প্রধান সম্পদ সেই শক্তি, সেই সাহস দেখিলে না। প্রতি বৎসর "দশপ্রহরণধারিণী', "দুর্গতিনাশিনী', "শক্তিরূপিণী' ইত্যাদি বিশেষণ লইয়া কাব্য করিতে বাঙালীর কোনো ক্লান্তি দেখি না। অথচ কোনো বাঙালী মেয়ের তেজ কিম্বা সাহস দেখিলেই কি বলা হয়? "বাপ রে মেয়ে তো নয়, যেন চণ্ডী'! অর্থাৎ চণ্ডী যেন ঠিক মেয়ে নন, আর খাঁটি মেয়েদের স্বভাব চণ্ডীর মতন হইতে পারে না, হওয়া উচিত নয়! ভুলিয়া যাও কি করিয়া যিনি অন্নপূর্ণা, তিনিই চণ্ডী? যে বাঙালী ধুমধাম করিয়া আমার পূজা করে, সেই বাঙালীই কি করিয়া উচ্চারণ করে - "মেয়েমানুষের এত তেজ ভালো নয়'? মূর্খের দল! ভাবিয়াও দেখে না "মেয়েমানুষের' তেজ না থাকিলে অসুর এতদিনে পৃথিবী ছারখার করিয়া দিত! এতো গেল স্বভাব। আর আমার গায়ের জোর? সে কথা তো তোমরা আরই ভাবিয়া দেখ না। অসুরের সঙ্গে অমন লড়াইটা করিলাম, দশ হাতে অতগুলা ভারি ভারি অস্ত্র ধরিয়া, সিংহের পিঠে চড়িয়া পুরো শরীরের ভারসাম্য রাখিয়া - সে কি সহজে হইয়াছিল মনে কর? হতভাগা পুরুষগুলা হীনমন্যতায় ভুগিয়া প্রচার করে আমার শক্তি দেবতাদের দান। আর তোমরাও তাহা বিশ্বাস কর! আমার মাথার উপর শিবের ছবি ঝুলাইয়া রাখ! শিব তো ভয়েই সেবার মর্ত্যে আসে নাই। আর আসিলেও সে নেশাখোর উদরে চর্বির বোঝা লইয়া কীইবা যুদ্ধ করিত! জান কি আমি কত বৎসর ধরিয়া শরীর চর্চা, প্যাঁচ কসরৎ শিখিয়া তবে যুদ্ধে জিতিয়াছিলাম? আজকাল বিশ্বায়নের কল্যাণে, মিডিয়ার কল্যাণে তোমরা দলে দলে জিমে দৌড়াও ক্ষীণ হইবার আশায়। ইহা মন্দ নহে, গোলগাল আলুর পুতুল অপেক্ষা ঢের ভালো। কিন্তু মনে রাখিও শুধু রোগা হইলেই যুদ্ধে জেতা যায় না। চাহি শক্তি। চাহি আত্মবিশ্বাস। এদিক ওদিক দুই চারিটি সাহসিকার দেখা মিলিলেও তোমাদিগের জাতীয় চরিত্রে এইসকল গুণাবলী নাই। শত স্বনির্ভর হইলেও এখনও তোমরা একজন রক্ষাকর্ত্তা পুরুষের ছত্রছায়ায় থাকিতে না পারিলে স্বস্তিবোধ কর না। ভাবিতে অবাক লাগে, তোমাদের পরমারাধ্যা দেবী কি সত্যই আমি?

    এই তো, এই বৎসরই, মহাষষ্ঠীর ঠিক আগের দিন, শুনিলাম কাগজে বাহির হইয়াছে - "দেখেও বাঁচালো না রেল পুলিশ, ক্ষোভ ছাত্রীদের'। খবর জানিয়া আশ্চর্য্য হইলাম। যোগমায়া দেবী কালেজের আটান্নটি মেয়ে, তিনজন শিক্ষিকার সহিত শিক্ষামূলক ভ্রমণ সারিয়া ফিরিতেছিল। ট্রেনে তাহাদের কামরায় আট নটি মদ্যপ বীরপুঙ্গব তাহাদের স্থান দখল করিয়া বসিয়াছিল। আশ্চর্য্যের কিছু নহে, মহিষাসুরের বংশধরেরা তো আর সকলেই নির্মূল হয় নাই! কিন্তু অবাক হইলাম, ব্যাটারা মেয়েদের মাটিতে ফেলিয়া দিব্য মারধোর করিল। মেয়েরা চেন টানিয়া ট্রেন থামাইয়া আরো কতগুলা অসুরের (রেলপুলিশের) কাছে ছুটিল সাহায্য ভিক্ষা করিতে! কিন্তু একষট্টি জন মেয়ে আট ন'টা মাতালকে শায়েস্ত করিতে পারিল না? সকলে মিলিয়া ঝাঁপাইয়া পড়িলেই তো অপোগণ্ডগুলা পালাইতে পথ পাইত না! কিন্তু মেয়েরা সেই সাহসই করিল না। মা হইয়া এই লজ্জা আমি রাখি কোথায়? অসুরের বংশধর কোথায়ই বা নাই? অপরিচিত, অর্ধপরিচিত দুর্জন তো আছেই, স্বামী কিম্বা অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়স্বজনই বা অসুরপনায় কম যায় কোথায়? সরস্বতী আমাকে কয়েক বৎসর আগে রিংকি ভট্টাচার্য্যের চলচ্চিত্র "চার দিওয়ারি' দেখাইয়াছিল। দেখিয়া আমি বিস্ময়ে নির্বাক। শিক্ষিতা, স্বাধীন মহিলারাও মুখ বুজিয়া স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে কি করিয়া? আসল কথা, পুরুষ সাহস পায় কেননা জানে মেয়েরা সত্যিই কিছু আর চণ্ডী নহে। প্রতিরোধ করিবে না। নেহাত বাধ্য না হইলে প্রতিবাদও সেভাবে করিবে না। কাহারো পরনির্ভরশীলতা, কাহারো সামাজিক লজ্জা, কাহারো সন্তান, কাহারো বা নিছক ভয় - মেয়েদের বহু প্রতিবন্ধকতা।

    ইহা আমি অস্বীকার করি না যে পুরুষের শারীরিক শক্তি সাধারণত: নারীর চাইতে বেশি। কিন্তু ইহাই যদি সব হইবে তাহা হইলে আমি যুদ্ধে জিতিলাম কি করিয়া? আবারও মনে করাইয়া দিই, স্বর্গ হইতে দেবতাদিগের সাহায্য টাহায্য পুরুষতন্ত্রের ভাঁওতাবাজি। যুদ্ধে জিতিতে কিছু ব্রুস লি কিম্বা শাওলিনের মত মার্শাল আর্ট জানিতে হয় না। নিয়মিত শরীরচর্চা, কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য, কিছু সহজ শারীরিক কসরৎ এবং আত্মবিশ্বাস - এইটুকুই শুধু দরকার। মনে রাখিও অসুর জাতীয় দুর্বৃত্তেরা আসলে কাপুরুষ। সাধারণত ইহারা নারীর দিক হইতে কোনোরকম প্রতিরোধ আশাই করে না। তাই আচমকা রুখিয়া দাঁড়াইলেই ঘাবড়াইয়া যায়। মহিষাসুর যেমন ভাবিয়াছিল যে সে কেবলমাত্র স্ত্রীলোকের বধ্য, পুরুষের বধ্য নহে, এই বর পাইলেই কেল্লা ফতে, অমরত্ব হাতের মুঠায় আসিয়া পড়িবে। স্ত্রীলোক তো আর অস্ত্র ধরিয়া যুদ্ধ করিতে আসিবে না! হাস্যকর!

    এই অবসরে তোমাদিগে বলি, পুরুষের বাহু যতই শক্তিশালী হউক, নারীর পদদ্বয় পুরুষের অপেক্ষা বেশী শক্তিসম্পন্ন। আরও জানিয়া রাখ, ক্ষীণকটি নারীর গুরুনিতম্ব শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় অধিক সাহায্য করে। পুরুষের শরীরের বিশেষ বিশেষ স্থানে (যথা যৌনাঙ্গে) আঘাত করিলে তাহাদিগে সহজে কাবু করা যায়। আর নিজে কিছু বিশেষ ভঙ্গীতে দাঁড়াইয়া আঘাত করিলে প্রত্যাঘাত হইতেও নিজেকে সহজেই রক্ষা করিতে পারিবে। আরো বলি, আঘাত যখন করিবে, দুর্জনের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাইও না। আত্মরক্ষার কারণে অপরকে আঘাত করা সকল দেশে সকল যুগেই ন্যায্য বলিয়া গণ্য করা হয়। তোমাদিগের জানা প্রয়োজন - প্রতিরোধ শুধু যে সম্ভব তাহাই নহে, ইহা রীতিমতন সহজও বটে। নিজের শক্তিতে বিশ্বাস আনিতে হইবে তোমাদের।

    শুনিয়াছি, পশ্চিমের কিছু দেশে মেয়েদের আত্মরক্ষা করিবার শিক্ষা দিবার বিশেষ ব্যবস্থা আছে। সেখানে এই সকল প্রয়োজনীয় নিদানের সহিত নাকি কিছু সহজ যুযুৎসু প্যাঁচও শেখানো হয়। এই বিশ্বায়নের যুগে পশ্চিম হইতে তোমরা বিভিন্ন খাদ্যাখাদ্য, পোষাক হইতে শুরু করিয়া অখাদ্য "রিয়ালিটি শো' গুলা পর্যন্ত আমদানী করিতেছ। নারী স্বাধীনতার নামে স্বয়ম্বর হইতে শুরু করিয়া সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতা সবই চলিতেছে। অথচ সত্যিকারের প্রয়োজনীয় জিনিষগুলা আমদানী করিতে কিম্বা অনুসরণ করিতে তোমাদিগের উৎসাহ দেখি না। আর কবে তোমাদের চেতনা হইবে?

    প্রতি বৎসর আমার পূজা তোমাদের নিকট কেবলমাত্র অলস উৎসবে পরিণত হইয়াছে। পূজার মন্ত্র কি পড় নিজেরা তাহার অর্থ এতটুকুও অনুধাবন করিতে পার কি? কোনোমতে আমার পায়ে দুটা ফুল ছুঁড়িয়া দিতে পারিলেই তোমাদের অভীষ্ট সিদ্ধি হয়। অনেক বৎসর এই অত্যাচার সহ্য করিয়া আজ এই খোলা চিঠি লিখিতে বসিয়াছি। পরিষ্কার করিয়া বলি, এত আয়োজনের এত উপকরণের পূজা আমি চাহি না। সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণেও আমার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নাই। আমি শুনিতে চাই নতুন মন্ত্র, নতুন প্রার্থনা - "ভক্তি নয়, শক্তি চাই; বৈরাগ্য নয়, তেজ চাই; ত্যাগ নয়, চাই সাহস'। দেখিতে চাই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইতে তোমরা আমার নাম লইয়া সামিল হইয়াছ। তবেই আমার প্রতি বৎসর বাংলায় আসা সার্থক হইবে।

    ইতি
    ঁদুর্গা

    ২৭শে ডিসেম্বর, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৬০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন