এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • অরণ্যের অধিকার, এবার পেরু

    সোমনাথ রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৪ জুন ২০০৯ | ৯১০ বার পঠিত
  • ৫ ই জুন,২০০৯। বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হল পৃথিবী জুড়ে আর ঐ দিনই আমাজন অরণ্য সাক্ষী হলো এক নারকীয় ঘটনার। পেরুতে বিক্ষোভরত পরিবেশপুত্র আদিবাসীদের তীর-ধনুকের সঙ্গে পুলিশের তুমুল লড়াই হল, এবং দুদিক মিলিয়ে সরকারী হিসেবে মৃত্যু হল ৩২ জনের (১)। অবশ্য সরকারী হিসেবের বাইরে আন্দোলনকারীরা বলছেন তাঁদের হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি এবং তাঁদের পক্ষের মোট ৬১ জন নিখোঁজ (২)। আদিবাসী ও পুলিশের লড়াই-এর খবরের সঙ্গে আমরা মোটামুটি ভাবে পরিচিত, তবে সেটা ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে, এবং লক্ষ্যণীয়, গোলকের অন্যার্ধেও ঘটনার কার্যকারণ বিশ্লেষণ প্রায় এক-ই রকম ; লড়াই অরণ্যের অধিকার নিয়ে।

    ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে আমাজন অরণ্যের মা-মাটি-মানুষ নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টায় একটা বেশ পরিচিত ইতিহাস-ভাষ্য খুঁজে পাওয়া গেল। বিস্তীর্ণ আমাজন অববাহিকার বৃষ্টিঅরণ্যে হাজার বছরের ওপর সময় ধরে বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির বসবাস। পরম পরিক্রমশালী ইঙ্কা নরেশদের রাজত্বকালে কিম্বা স্প্যানিশ আক্রমণের মুখেও এঁরা অরণ্যের ভিতর নিজেদের জীবন জীবিকা পুরুষানুক্রমে অক্ষত রেখেছিলেন। এদের মধ্যে অনেকগুলি জনজাতি-ই ইউরোপীয় ও মিশ্রসভ্যতার থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে, বহির্জগতের সঙ্গে সংযোগ আদিবাসীদের পক্ষে ভয়ংকর হয়ে উঠছে। ১৯৮৪ সালে চোরাশিকারিরা ' নাহুয়া ' উপজাতির চারজন-কে অপহরণ করে। চোরাশিকারিদের সংস্পর্শে এসে এরা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়, এরপর, ঐ চারজন মুক্তি পেয়ে নিজেদের অঞ্চলে ফিরে যাওয়ার পর, তাদের থেকে ঐ ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত উপজাতির ভিতর এবং এক বছরের মধ্যে তাদের জনসংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। এইরকম বিভিন্ন ঘটনা থেকে এদের অনেকেই বেছে নিয়েছেন ' সভ্যতা ' -র থেকে বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীজীবন। জনজাতিগুলির অধিকার রক্ষার জন্যে the Inter - Ethnic Development Association of the Peruvian Jungle বা সংক্ষেপে AIDESEP নামে যে সংগঠনটি গড়ে ওঠে তার প্রাক্তন জেনারেল সেক্রেটারী জ্যাসিন্টোর মতে ’People in voluntary isolation have a right to be free’ (৩)। আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির চাপে পেরু সরকার আমাজন জঙ্গলের মধ্যে এদের বসবাসক্ষেত্রগুলিকে বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে, যেখানে জমি ও জঙ্গলের অধিকার থাকে সংশ্লিষ্ট জনজাতিগুলির হাতেই। যদিও সংরক্ষিত এলাকার আইনি নিষেধ সত্ত্বেও চোরাশিকারী ও কাঠব্যবসায়ীরা নিয়মিত ভাবে উপদ্রব চালিয়ে গেছে এবং এ যাব্‌ৎকাল উপেক্ষিত থেকে গেছে আমাজন অরণ্যের মানুষের সুরক্ষা-স্বাস্থ্য-শিক্ষার প্রশ্নগুলি।

    ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের জন্যে পেরুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন অ্যালেন গার্সিয়া পেরেজ। অ্যালেন গার্সিয়ার প্রথম শাসনপর্বে (১৯৮৫-৯২) পেরু দেখেছিলো চরমতম অর্থনৈতিক সংকট, অরাজকতা এবং এ সবই প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিলো অতিবাম গেরিলা গ্রুপ 'শাইনিং পাথ'-এর উত্থানের। অ্যালেন গার্সিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল টার্মের শেষে তিনি নির্বাসিত হন ফ্রান্সে। পেরুতে ফিরে এসে আবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর-ই গার্সিয়া যেটা করেন তা হ ’ লো আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি বা Free Trade Agreement ( FTA ) (৪)। প্রসঙ্গত: FTA নিয়ে প্রশ্ন ওঠে অ্যামেরিকার ভেতরেই, পেরুর মতো অনুন্নত দেশের সঙ্গে সত্যিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অবাধ বাণিজ্য সম্ভব কিনা এবং পেরুর শিথিল শ্রম-আইন ও পরিবেশ-আইনের সুযোগ নিয়ে প্রকৃত অর্থে এই চুক্তি সে দেশের মানুষকে শোষণ করার পথ প্রশস্ত করবে কিনা এই প্রশ্নে। তবে সব বিরোধিতা অতিক্রম করে বুশ প্রশাসন এবং গার্সিয়া এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন এবং গার্সিয়া ঘোষণা করেন যে পেরু প্রকৃতই নিওলিবারেল অর্থনীতি-তে প্রবেশ করছে এবং সে দেশের দারিদ্‌র্‌যসমস্যার সমাধান আগতপ্রায়। দক্ষিণ অ্যামেরিকার অনেকগুলি দেশ যখন হুগো স্যাভেজ-মোরালেস-লুলার পথে মার্কিন-বিরোধী এক ভিন্ন উন্নয়নের মডেল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে FTA নি:সন্দেহে আমেরিকার বৈদেশিক নীতির রূপায়নে এক বড়ো সাফল্য ছিলো।

    FTA অনুসারে মার্কিন বহুজাতিকগুলি পেরু সরকারকে চাপ দিতে থাকে আমাজন অববাহিকার খনিজ তেল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকাগুলি তাদের ব্যবসার জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়ার। ২০০৮-এর অগস্টে অসংখ্য প্রেসিডেন্সীয়াল ডিক্রী জারি করে গার্সিয়া পেরুর অরণ্যসম্পদকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্যে খুলে দেন এবং আদিবাসীদের জন্যে সংরক্ষিত ৬৪ টি অঞ্চলের ৫৮-টিতে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে অবাধ যাতায়াত ও মালিকানা স্থাপনের অধিকার দেওয়া হয়। প্রাকৃতিক সম্পদের বিনিময়ে তিনি পেরুর দারিদ্‌র্‌যমোচন করতে পারবেন, এরকমই বক্তব্য ছিলো গার্সিয়ার। এর মধ্যে দুটি ডিক্রীকে সে দেশের সংসদ অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। বাকি রাজনৈতিক দলগুলির দিক থেকে অভিযোগ ওঠে যে পুরো প্রক্রিয়াতেই আদিবাসীদের নিজস্ব মতামত নেওয়ার কোনও অবকাশ রাখা হয়নি ( http://www.reuters.com/article/latestCrisis/idUSN09374943 )। এই পরিস্থিতিতে AIDESEP -এর নেতৃত্বে আসিবাসীরা বিদ্রোহ করে। এবছরের এপ্রিল মাস থেকে বনজ সম্পদের ওপর বহুজাতিকগুলির অধিকার কায়েম হতে শুরু করলে বিদ্রোহ ঘনীভূত হয়। আদিবাসীরা সড়কপথ অবরোধ করেন, তেলের পাইপলাইনগুলিকে আক্রমণ করতে থাকেন (নন্দীগ্রাম, কলিঙ্গনগর, কিছু চেনা চেনা লাগে কি ?)

    এই অসন্তোষেরই চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটলো গত ৫ই জুনের ঘটনায়। মানবাধিকার সংগঠন Amazon Watch -এর মতে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপর বিনা প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে (৫) এর আগেও বিভিন্ন পর্যায়ে এই আন্দোলনের অপর পুলিশি অত্যাচার চলে এসেছে। ৫-ই জুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পেরুর সংসদ প্রেসিডেন্সীয়াল ডিক্রীকে সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে, যদিও AIDESEP -এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ডিক্রীগুলির সার্বিক প্রত্যাহার অবধি তাদের আন্দোলন চলবে এবং এখনো অবধি সে দেশের সরকার AIDESEP – এর অনেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়েছে AIDESEP – এর প্রেসিডেন্ট অ্যালবার্টো পিজাংগো-র বিরুদ্ধে, যিনি বর্তমানে নিকারাগুয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন।

    পুরো ঘটনাটার সাথে আমাদের দেশের বর্তমান উন্নয়ন প্রচেষ্টার বেশ কিছু সাযুজ্য নজর কাড়ে এবং আলোচনার দাবী রাখে। যদি ৫-ই জুনের ঘটনার পরে প্রেসিডেন্ট গার্সিয়ার বক্তব্যগুলি দেখি, তিনি খুব জোর দিয়ে বলছেন যে, সেখানকার মানুষ নিজের ভালো বুঝতে পারছেনা আর, পেরুর উন্নয়নের একমাত্র পথ এটিই। বহিরাগতদের মদতাদানের অভিযোগ এখানেও। আঙুল উঠেছে বলিভিয়া-ভেনেজুয়ালার দিকে। একথা অনস্বীকার্য, যে পেরু প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি দরিদ্র দেশ, পেরুর প্রায় ৬০ শতাংশ অঞ্চল জুড়ে আমাজন বৃষ্টি-অরণ্য এবং সেখানে এই আদিবাসীদের বাস, গত কয়েক শতাব্দী জুড়ে যাঁদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যের প্রশ্নটি উপেক্ষিত। লক্ষ্যণীয় এটাও যে গার্সিয়ার মাধ্যমে মার্কিন-নির্দেশিত নগর-কেন্দ্রিক সভ্যতা তাদের উন্নয়নের প্রশ্ন তখন-ই তুলেছে যখন বনজ সম্পদের উপর বহুজাতিক কোম্পানীগুলির অধিকার কায়েম করার সুযোগ তৈরী হচ্ছে, অথচ পুরো প্রক্রিয়াটিতেই সেই আদিবাসীদের সঙ্গে কথা আলোচনা চালানোর কোনও প্রয়াস দেখা যায় নি। আর নিজেদের জীবনের বিনিময়ে আদিবাসীরা তাঁদের জীবন 'উন্নত' করার এই বিশেষ প্রচেষ্টাটিকে প্রত্যাখ্যান করছেন।

    এই গল্প শুধু পেরুর নয় ; এই গল্প ছত্তিশগড়েরও, কলিঙ্গনগরেরও এমনকী শালবনী লালগড় নন্দীগ্রামেরও । বহুজাতিকের ব্যবসার পার্শ্ব-উৎপাদন হিসেবে নিজের জীবন জীবিকার বিনিময়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি যেখানে মানুষ গ্রহণ করছেন না। যদিও গত দুই শতাব্দী ধরে উন্নয়ন এভাবেই হয়তো হয়ে এসেছে সারা পৃথিবীতে, কোথাও রাজার সৈন্য এসে গ্রামকে গ্রাম উচ্ছেদ করে গেছে শিল্পের জমি বানাতে, কোথাও বিদেশী ঔপনিবেশিকরা বাইবেল আর বন্দুক হাতে নিয়ে এসে ' অসভ্য ' জনজাতির জমি জঙ্গল সাফ করে বাজার নির্মাণ করেছে। সভ্যতা তার নিজের সূত্রে রচনা করেছে অন্ত্যেবাসীর উন্নয়নের ইতিহাস। আজকের গণতন্ত্রে সেই অন্ত্যেবাসীরাও কোনোএকটা স্বর খুঁজে পেয়েছে যেখানে মেক্সিকো বিজয়ের মতন বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনের মতন করে তাঁদের বশ্যতায় আনতে পারছেনা সভ্য শাসকরা। ফলত: পুরুলিয়া থেকে পেরু সর্বত্র চ্যালেঞ্জড হচ্ছে উন্নয়নের মডেলটি।

    সূত্র :
    ১। http://www.time.com/time/world/article/0,8599,1903707,00.html
    ২। http://www.laht.com/article.asp?ArticleId=337134&CategoryId=14095
    ৩। http://www.villageearth.org/pages/Projects/Peru/perublog/2006/10/perus-hidden-people-at-risk.htm
    ৪। http://www.washingtonpost.com/wp-dyn/content/article/2005/12/07/AR2005120702791.html
    ৫। http://www.amazonwatch.org/newsroom/view_news.php?id=1837

    জুন ১৪, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৪ জুন ২০০৯ | ৯১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন