এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  উৎসব ২০১৪

  • সোনার কৌটো রূপোর খিল

    গুলে বকা চৌধুরানী লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | উৎসব ২০১৪ | ১৯ অক্টোবর ২০১৪ | ৭৮৭ বার পঠিত
  • ছোটোবেলায়,আমাদের স্কুল ছুটি হত রবিবারে। আর, সানডে মানেই ছিল ফান ডে! সকাল থেকেই একে একে পিলপিল করে বাড়িতে এসে জুটত বড়ো ভাইয়ের বন্ধুরা। আমার বন্ধুরাও বাদ যেত না। শুরু হত আম্মার রাজকীয়-রান্নার সেশান! চুলোর গনগনে আগুনে স্যাঁকা হত শিক-কাবাব। গোরুর গোসত ভুনা আর পাঁচ রকমের ডাল দিয়ে রান্না করা আম্মার সেই স্পেশাল ভুনা খিচুড়ি। ঘ্রাণে সারা বাড়ী ম-ম করত। মানুষকে আপ্যায়নের মধ্যে একটা আনন্দ আছে। সেটা আম্মাকে দেখে শিখেছি। রান্না করে মানুষকে খাওয়ানো তাঁর প্যাশান ছিল। মানুষের সঙ্গ,মানুষের কোলাহল-কলরব তাঁকে আনন্দ দিত। আত্মীয়-স্বজনেরা বলতেন,আমাদের বাড়ির লোকজন নাকি খেয়েদেয়েই সব অর্থ কড়ি শেষ করে ফেলেছে। তা-না হলে,ঢাকা শহরে নিদেনপক্ষে একটা প্রাসাদোপম বাড়ি থাকত আমাদের (আহা! সে দৃশ্যটা কল্পনা করে,গায়ে আমার পুলক লাগে চোখে লাগে ঘোর) !

    তাঁদের এ ধরণের কথা বলার পেছনে অবশ্য যুক্তি আছে প্রচুর। দেশে মানুষের হাতে সে সময় ক্যাশ টাকা থাকত খুব কম। আশির দশকের আগ পর্যন্ত বড়ো ভাইয়ের বিদেশি দূতাবাসের চাকরির কারণে আমাদের বাড়ীতে ক্যাশ ইনফ্লো ছিল সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি। ক্যাশ ইনফ্লো জীবনে এক ধরণের স্বাচ্ছন্দ্য ও সাচ্ছল্য এনে দেয়। অবশ্য, সেই সঙ্গে খরচ করার মানসিকতাটাও থাকতে হয়! সেই মানসিকতার কারণেই,হাই ডায়েবেটিস-হাই ব্লাডপ্রেশার নিয়েও কী মহা উৎসাহে আম্মা সারাদিন রান্নাঘরে বসে নানা পদের খাবার তৈরি করতেন! আমার বন্ধুরা ঠাট্টা করে প্রায়ই একটা কথা বলত, আমাদের বাড়ির পুডিং ছুঁড়ে মেরে নাকি মানুষ পর্যন্ত ঘায়েল করা যাবে! আম্মা দেখতে ছিলেন, রূপকথার রাজকন্যার মতো সুন্দর। চুলার আঁচে,তাঁর নাক-গাল-চিবুক টম্যাটোর মতো লাল হয়ে যেত তবু তাঁকে কখনো ক্লান্ত-বিরক্ত হতে দেখিনি! মুখের হাসিটি ছিল, সদা অমলিন। রাজধানীতে তখনো প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ শুরু হয়নি। কেরোসিন তেলের চুলো বা পাম্প দেওয়া স্টোভেই রান্না সারতে হত। কী যে দুর্বিষহ ছিল সেই প্রক্রিয়া! প্রায়ই রান্নার মাঝপথে কেরোসিন  যেত ফুরিয়ে কিংবা চুলোর ফিতে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যেত। আর,সে রকম মুহূর্তে আমার কদর যেত বেড়ে। আমার খোঁজে দিগ্বিদিকে দূত বেরিয়ে পড়ত! তারের মধ্যে সুতো গেঁথে, সেই সুতো দ্রুততম সময়ে চুলোয় ঢোকানোতে আমি ছিলাম একজন এক্সপার্ট। স্কুলে,সুঁইতে সুতো ঢোকানোর খেলায় আমি বরাবর প্রথম হতাম!  

    ঢাকায় তখন প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। রাস্তায় হর-হামেশা পাওয়া যেত ‘মরিস মাইনর’ বা ঢাউস-মিটারওয়ালা গাব্দা সাইজের ইয়ালো-ট্যাক্সি ক্যাব। ভাইয়ের বন্ধুরা সবাই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। কেউ ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কেউ বা ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশানের ১৬ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান! এঁরা প্রত্যেকেই গাড়ির মালিক ছিলেন। রবিবার দুপুর হতে না হতেই বাড়ীর সামনের সবুজ লন ভরে যেত জাপানীজ টয়োটা গাড়ীতে। তারপর,দিনভর খাওয়া-দাওয়া-আড্ডা-ফুর্তি!

    আমরা ছোটোরা ব্যস্ত থাকতাম এক্কাদোক্কা, ছি-কিত্‌ কিত্‌, স্কীপিং-কেরম-বাগাডুলি নিয়ে। আর, বসার ঘরের দরোজা ভেজিয়ে দিয়ে ভাই এবং তাঁর বাহিনী কাগজ-কলম নিয়ে বসে যেতেন ‘কন্ট্যাক্ট ব্রীজ’ খেলতে। রান্নাঘর থেকে আসা নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই-চেইন অব্যাহত রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতেন আমাদের সকল কাজের কাজি ড্রাইভার কাম শেফ আলী ভাই। সে আর এক মহান ক্যারেকটার! ওয়ান এ্যান্ড ওনলি পিস ইন দিস ওয়র্ল্ড! কেবল এই রেয়ার স্পেসিমেনটাকে নিয়েই একটা ঢাউস উপন্যাস লেখা যায়। বয়সে বড়ো হওয়ার কারণে আমাদের উপর কী যে মারাত্মক দাদাগিরি ফলাতেন তিনি! যা কিছু করতে যেতাম সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঐশী বাণী নাযেল হত আমাদের উপর ‘নোওও’! স্কুল গেইটে ফেরিওয়ালার তেঁতুল দেখে কতবার জিভে পানি এসেছে কিন্তু কখনও তাঁর জন্য খেতে পারিনি! এমন হিটলার  ছিলেন (আসলেই কি তাই ছিলেন? আহা)!  

    ভাইয়ের অতিথিদের মধ্যে বিদেশি দূতাবাস-কর্মীরাও থাকতেন। তাঁদের এন্টারটেইনমেন্টের জন্য তাঁকে বিয়ার-ভোড্‌কা-হুইস্কি-শ্যাম্পেই-কনিয়াক ইত্যাদির আয়োজনও রাখতে হত। মেহ্‌মান চলে গেলে,খালি বোতলগুলো ধুয়ে সাফসুতরো করে তাতে আমরা পানি ভরে ফ্রিজে রাখতাম। ঢাকার নাগরিক জীবনে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবহার তখনও শুরু হয়নি। আম্মা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন কিন্তু এক ধরণের উদারতা ছিল তাঁর মধ্যে। ফলে,আমাদের বাড়ীর জর্মন মেড জিসিআই কোম্পানীর ফ্রিজে চিজ-বাটার-পনিরের সাথে পীসফুল কো-এগজিসটেন্স ছিল নানা দেশিয় এ্যালকোহলের। আম্মা,বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছিলেন তাঁর আধুনিক প্রজ্ঞা ও মনন দিয়ে। 

    এরই মাঝে পালটে যাওয়া রাজনীতির সাথে আমরাও পালটে যেতে শুরু করি। প্রকৃতির নিয়মে আমি এবং আমার বন্ধুরা বেড়ে উঠছিলাম। আমাদের মধ্যে অদম্য কৌতুহল ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। যা কিছু নতুন দেখি, তাতেই আমাদের কৌতুহল। এই কৌতুহলের বশবর্তী হয়েই আমি একদিন খালি বোতলের তলানিতে ঠেকে থাকা কয়েক ফোঁটা হুইস্কি চালান করে দিই গলার ভেতর,চেখে দেখার জন্য। উফ্‌!! কী বিচ্ছিরি তেতো স্বাদ! কী উৎকট,ঝাঁঝালো গন্ধ! জিভ পুড়ে গিয়েছিল প্রায়। সেদিনই এই দ্রব্যের প্রতি আমার কৌতুহল ফুরিয়ে গিয়েছিল! এই নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আমার আর কোনো কালেই কোনো আগ্রহ বা কৌতুহল সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আমার বন্ধুদের ছিল অপার কৌতুহল। তারা আমার উপর এক ধরণের স্নায়বিক চাপ সৃষ্টি করা শুরু করে। যে করেই হোক, একদিন ওদের এই ছাঁইপাশ গেলাতে হবে। আমার ত্রিশঙ্কু অবস্থা। একদিকে বন্ধুদের আব্দার অন্যদিকে ভাই এবং আম্মার ভয়। বিশেষ করে আম্মা যদি জানতে পারেন তাহলে মাথার একটি চুলও অবশিষ্ট রাখবেন না!

    আমার ফ্রেন্ড-সার্কেলে কয়েকজন সিনিয়র ফ্রেন্ড ছিল। আমার থেকে বয়সে ২/৩ বছরের বড়ো। এদেরই একজন,একদিন সেই অসম্ভব কাজটি করে বসে। ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা পানি খেতে গিয়ে একটা ইন্‌ট্যাক্ট জনি ওয়কারের বোতলের ঘাড় ধরে আমার রুমে এনে হাজির করে! ভূত দেখার মতো চমকে উঠি আমি। ভয়ে, চোখ কপাল ছেড়ে মাথার তালুতে গিয়ে ঠেকে। হুড়োহুড়ি করে বোতলের মুখ খোলার সময় হুস করে কিছু হুইস্কি ছিঁটকে মেঝেতে পড়ে যায়। তারপর, ক্রমান্বয়ে বোতলে চুমুক দিয়ে শুরু হয় হুইস্কি পান। রাউন্ড শেষ হলে দেখি,বোতলের এক তৃতীয়াংশই সাবাড় করে দিয়েছে ওরা! আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে! ভাইয়ের কাছে নির্ঘাত ধরা পড়ে যাবো। কি করবো, কি জবাব দেবো তাঁকে! ভয়ে, বুক ফেটে কান্না আসে আমার। বন্ধুদের মধ্যেই এক উর্বর মস্তিষ্ক চট্‌ জলদি সমাধান বের করে ফেলে। বলে, চল্‌ বোতলে পানি ভরে দিই! যেই কথা সেই কাজ। এই অতীব সহজ সমাধান খুঁজে পেয়ে আমার ধড়ে প্রাণ আসল ফিরে। আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। 

    বাড়িতে,বড়ো ভাইয়ের এক নম্বর স্যাঙাত বা বিশ্বস্ত অনুচর ছিলাম আমি। সারাদিন বাড়িতে কে-কী অপকর্ম করেছে সেসব দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলনসহ তাঁকে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট করার দায়িত্ব ছিল আমার। প্রতি সন্ধ্যায় বাসায় বসে এডিটরিয়াল-পোস্ট লেখার সময় বা অনুবাদের কাজ করার সময় ভাই নিয়মিত ড্রিংক করতেন। ওই দিন সন্ধ্যায়, জনি ওয়কারের সেই বোতলটি নিয়ে তিনি আমার রুমে এসে উপস্থিত। ভয়ে আমি রুদ্ধবাক। খুব কনফিউজড গলায় ভাই আমার কাছে জানতে চাইলেন,বোতলের মুখটা কে খুলেছে জানিস কিছু? তারপর,স্বগতোক্তির মতো বললেন-পানিই বা মিশালো কে! যেন, জীবনে এই প্রথম আমি এমন অসম্ভব কথা শুনছি কারো কাছে,সেরকম মুখ করে আমি তাঁর দিকে চেয়ে থাকি। দুপাশে যতদূর ঘাড় ঘোরানো সম্ভব ততদূর ঘাড় নাড়িয়ে বলি, আমি কিছু জানি না! আমার চেয়েও বিস্ময়ভরা চেহারা নিয়ে সেইদিন তিনি আমার রুম থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর কপাল পোড়ে,বেচারা আলী ভাইয়ের। সন্দেহের তালিকায় এক নম্বর আসামী শ্রীমান মোহাম্মদ আলী। আলী ভাইকে এতোদিনে টোঁটা দিয়ে চেপে ধরতে পেরে সেদিন আমি গোপনে তৃপ্তির হাসি হেসেছিলাম।  

    আমার ভাইয়ের সেন্স অফ হিউমার ছিল খুব রিচ। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তিনি আমাদের সঙ্গে দুষ্টুমি করতে ভুলতেন না। তাঁর দুষ্টুমি দেখে হেসে গড়াগড়ি খেতাম আমরা। আমাদের পরিবারের সকলেই কমবেশি পশুপ্রেমী। আমাদের বাড়ীতে দীর্ঘদিন থেকেই কুকুর পোষা হয়। তখন,একসঙ্গে ১০টি স্নো-হোয়াইট পুড্‌ল্‌ ছিল আমাদের। ঘরময় ওদের দর্পিত বিচরণ। কাউকে কিছু খেতে দেখলেই ওরা দল বেঁধে এসে জুটত। জিভ চাটত আর কুঁই কুঁই আওয়াজ করত! আমি যা কিছু খেতাম তাই (খাট্টা তেঁতুল হলেও) ওদের চাখা চাই! একদিন উৎপাত থামানোর জন্য ভাই ওদের খাওয়ার বাটিতে হুইস্কি ঢেলে দিয়েছিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে নিমেষে চুক চুক করে পুরোটাই সাবাড় করে দিয়েছিল ওরা! আমরা তো তাজ্জব! কুকুর মদ খায়! এরপর যা ঘটেছিল তা মনে রাখবার মতো ঘটনা বটে! ধরাশায়ী হয়ে, ডাইনে-বাঁয়ে চারিদিকে কাত-চিৎ হয়ে সারমেয়কুল টেনে ঘুম দিয়েছিল। ধাক্কা দিয়েও কাউকে জাগানো যায় নি। পরদিনও ওদের টালমাটাল অবস্থা ছিল। হ্যাংওভার-ভাব কাটেনি,ঢুলু ঢুলু চোখে লম্বা লম্বা হাই তুলেছিল।  

    শুনেছি,ড্রিংক করলে মানুষ মাতাল হয়ে যায়। আরো শুনেছি যে,মাতাল হওয়াটা একটা জঘন্য ব্যাপার। কিন্তু আমার ভাইকে কখনও মাতাল হতে দেখিনি! তবে খুব টিপসি-মুডে থাকতেন, যাকে বলে দিলদরিয়া মেজাজে। অসামান্য স্টোরি-টেলার ছিলেন তিনি। সামান্য অনুরোধেই তাঁর পেন্ডোরার ঝাঁপি খুলে ধরতেন আমাদের কাছে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল, মাতাল হয়ে মানুষ কি কি করে তা জানার,দেখার। কিন্তু দুর্ভাগ্য,সেই সুযোগটা কখনও হয়নি আমার। বড়ো হয়ে ভাইকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ড্রিংক করলে মানুষ নাকি মাতাল হয়ে যায়! কই,আপনি যে মাতাল হন না? নিঃস্পৃহ কন্ঠে ভাই জবাব দিয়েছিলেন, মাতাল তো হয় অশিক্ষিত-মুর্খরা! আমি যে, সে দলে পড়ি না!  


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৯ অক্টোবর ২০১৪ | ৭৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • purono matal | 233.176.10.63 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:০৭88909
  • অদ্ভুত কিছু ছবি পেলাম। আপ্নার খাবার্দাবার নিয়ে খানদানী লেখা গুরুতে চাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন