এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • বৃত্তের মধ্যে বৃত্ত

    রফিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ মে ২০১৮ | ৫১৬ বার পঠিত
  • প্রথম বৃত্ত

    আমার নাম রফিক। পশ্চিমবঙ্গের একটা প্রত্যন্ত গ্রামে আমার বাড়ি। গ্রামের নাম আর দিলাম না কেন না সেটা আপনারা এমনিতেও চিনবেন না।

    আমার গ্রামটা মুসলিম অধ্যুষিত। ফলে, সত্যি কথা বলতে কি আমার গ্রামে বা স্কুলে আমি কখনোই সংখ্যালঘু ছিলাম না বরং সংখ্যাগুরুই ছিলাম। তাই ধর্মীয় সংখ্যালঘুর যন্ত্রণা কিন্তু আমি টের পাই নি। আমার সংখ্যালঘুত্ব ছিল অন্য জায়গায়। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।

    আমার ছোটবেলার সংকটের কারণ ছিল বরং আমার আব্বার ধর্মচেতনা। আমার ছবি আঁকতে ভালো লাগত। ওই ছোটরা যেরকম ছবি আঁকে আর কি। বাড়ি, পাহাড়, সূর্য, গাছ। একবার স্কুলের কম্পিটিশনে প্রাইজ পেলাম। বাড়ি ফেরার পর আব্বু আমায় খুব বকল। বলল, ছবি আঁকা না কি শয়তানের কাজ। আব্বু আমার রং-তুলি সব ফেলে দিল। সেই প্রথম আমার স্বাভাবিক প্রকাশের সাথে আব্বুর ধর্মবিশ্বাসের সংঘাত শুরু হল। পরবর্তীকালে সেই সংঘাত আরও বেড়েছে বই কমে নি।

    আব্বু আমায় ভালো স্কুলেই পড়িয়েছিল। সেই স্কুলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজকর্ম হত। আমাদের সপ্তাহে দু দিন গানের ক্লাস হত। আমার গান করতে খুব ভালো লাগত। কিন্তু আব্বু বলল, ইসলামে গান গাওয়াও না কি হারাম। আমাকে গান গাইতে বারণ করা হল। দুটো মাত্র ক্লাস করতে পেরেছিলাম। তারপর বাড়িতে খবর চলে আসে। খুব অশান্তি হয়েছিল। তারপর থেকে চার বছর গানের ক্লাসে আমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। বুঝলাম আমার প্রকৃতির সঙ্গে আব্বুর এই সংঘাত চলতেই থাকবে।

    আমি প্রথম আব্বুর ওপর গলা তুলে কথা বলি যখন আমার পনেরো বছর বয়স। আমি লাইব্রেরি থেকে এনে গল্পের বই পড়তে ভালোবাসতাম। একদিন আব্বু তা দেখতে পেয়ে আমার বই ছিঁড়ে ফেলে দিল। অনেক আজেবাজে কথা বলল। আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।

    নিজের স্বতঃস্ফূর্ত স্বভাবের সাথে এই ক্রমাগত সংঘাতে আমি আস্তে আস্তে ডিপ্রেশানে চলে যাচ্ছিলাম। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পর এর সাথে যোগ হল অন্য অ্যালিনিয়েশন। আমি বুঝলাম আমি আমার সমবয়স্ক অন্য ছেলেদের থেকে আলাদা। আমার স্বপ্নে যারা আসে, তারা নারী নয়, পুরুষ। আমি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে প্রানপণ চেষ্টা করতাম। এই নিজের ভেতরের টানাপোড়েনে আমি পড়াশুনো করতে পারছিলাম না। বারবার ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিলাম। ক্লাস ইলেভেনে একেবারে শেষের দিকে র‌্যাংক হলো। সেই সময় আমার জীবনে এল আমার প্রথম প্রেমিক। আমারই ক্লাসের সহপাঠী। যেন নতুন করে জীবনের মানে খুঁজে পেলাম। নিজেকে ভালবাসতে পারলাম। পড়াশুনোয় মন ফিরে এল। ক্লাসে অনেক ভালো রেজাল্ট করলাম। এমনকি আমার প্রেমিকের থেকেও অনেকটা ভাল। সেই অল্প বয়সে আমার প্রেমিক সেটা মেনে নিতে পারল না। ও আমাকে ডাম্প করে দিল।

    প্রথম প্রেম ঘুচে যাওয়ার কষ্ট সবাই জানেন, নতুন করে বলবার কিছু নেই। বলার কথা এইটাই যে আমি আক্ষরিক অর্থেই আহার নিদ্রা ত্যাগ করলাম। সাতদিন টানা কিছু খাই নি, জল পর্যন্ত না। শেষমেশ আমাকে হসপিটালে ভর্তি করতে হল। অবস্থা খুব সিরিয়াস হয়ে যাওয়ায় আমাকে সাইকিয়াট্রি ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হল। সেখানকার ডাক্তাররা আমায় বললেন আমার মনের সব কথা খুলে বলতে। তাঁরা আমাকে গোপনীয়তার আশ্বাস দিলেন। আমি আমার সমস্ত যন্ত্রণার কথা খুলে বললাম। কিন্তু তাঁরা তাঁদের কথা না রেখে আমার বাড়িতে সব জানিয়ে দিলেন। আমি আমার ধর্মীয় রক্ষণশীল বাড়িতে নিজের ইচ্ছার বিরূদ্ধেই আউট হয়ে গেলাম।

    দ্বিতীয় বৃত্ত

    যতটা ভয় পেয়েছিলাম আব্বুর প্রতিক্রিয়া কিন্তু তেমন হল না। আব্বু খুব শান্তভাবেই ব্যাপারটা নিলেন। বললেন, আল্লাহকে ডাকো, তিনিই তোমাকে পাল্টিয়ে দেবেন। আমি মনপ্রাণে প্রার্থনা শুরু করলাম। প্রচুর চেষ্টা করলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না দেখে আস্তে আস্তে ফ্রাস্টেটেড হয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর ইন্টারনেট ঘেঁটে পড়াশুনো শুরু করলাম। দেখলাম আর বুঝলাম, সমকামিতা একটা স্বাভাবিক অভিব্যক্তি। তাতে লজ্জা পাওয়ার বা লোকানোর কিছু নেই।

    ভাবলাম, আব্বুকে এইসব দেখিয়ে বোঝালে কাজে দেবে। কিন্তু হিতে বিপরীত হল। আব্বুর এতদিনের শান্তভাব চলে গেল। আব্বু আমাকে নোংরাভাবে অ্যাটাক করল। বলল, আমার ওপর শয়তান ভর করেছে। আমার যাবতীয় বন্ধুদের নিয়ে সন্দেহ করা শুরু করল। কথায় কথায়, ছোটখাটো ভুলে আমার যৌনতা নিয়ে আমায় খোঁটা দেওয়া শুরু করল।

    আমি এর মধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিলাম। আমার কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল। একটা র‌্যাংকও এল। কিন্তু আব্বু আবার তাঁর ইচ্ছে আমার ওপর চাপিয়ে দিল। নিজের অনিচ্ছায় এবং আব্বুর ইচ্ছেয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলাম।

    এইখানেই প্রথম বুঝলাম আমি শুধু যৌন সংখ্যালঘুই নই, আমি ধর্মীয় সংখ্যালঘুও বটে। এক কাঁটাতারের বাইরে আরেকটা কাঁটাতারের গন্ডী তৈরি হল। বাইরে না ভেতরে? কে জানে।

    তৃতীয় বৃত্ত

    কলেজ হস্টেলে একদিন আমাকে আমার রুমমেটরা জিজ্ঞেস করল আমি বিফ খাই কি না। আমি যথারীতি উত্তর দিলাম, হ্যাঁ খাই। তারপর বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন। কেন খাই, কিভাবে খাই, না খেলে কি হয়, ইত্যাদি। না, আমি বলছি না যে তারা আমাকে কোনও মারধোর করেছিল বা কোনও খারাপ কথা বলেছিল। কিন্তু এইসব খুঁটিয়ে করা প্রশ্নগুলো তাদেরকে আমার থেকে কেমন যেন দূরে সরিয়ে দিল। আমি প্রথমবার বুঝতে পারলাম আদারাইজেশন কাকে বলে। এইসব আপাতনিরীহ প্রশ্নগুলো যেন আন্ডারলাইন করে দিল, আমি ওদের থেকে আলাদা। এর বাইরে ওইসব খুব কমন কথাবার্তা তো আছেই। যেমন, "তোমায় দেখে বোঝাই যায় না যে তুমি মুসলিম" অথবা "ও, তুমি বাঙালি, তাহলে তোমার নাম এরকম মুসলিম মুসলিম কেন?" ইত্যাদি।

    এই আদারাইজেশন আমি এলজিবিটি সমাজের ভেতরেও দেখেছি। অনেক সময় সেটা অকারন প্রশংসা সূচকও হয়। তার একটা অত্যন্ত বিদঘুটে উদাহরন দেই। আমি মুসলিম এটা জানার পর যেমন একজন বলেছিল, "ওয়াও, তুমি মুসলিম। মুসলিমরা শুনেছি ভীষন ভালো সেক্স করে।" হাসবেন না, এমন কথা আপনার চারপাশে অনেকেই বলেন, হয়তো আপনিও। যেমন, "মুসলিমরা খুব অপরিচ্ছন্ন হয়", "গে-রা পার্ভার্ট হয়" ইত্যাদি। আবার প্রশংসাসূচক জেনেরালাইজেশনও আছে। যেমন "গে-রা খুব ভালো ঘর সাজায়" বা "ও, তুমি তো মুসলিম, কবে বিরিয়ানি খাওয়াবে বল।" এগুলোও কিন্তু দূরে ঠেলে দেওয়ার প্রকরণ।

    এইসবের মাঝে জীবনে আরও অনেক ওঠাপড়া হল। এক ওঝা-পীরের কথায় আব্বু আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। বিয়ে হলে না কি আমি "ঠিক" হয়ে যাব। আমি মাকে অনেক বোঝালাম। বললাম, যদি আমার বোনের বিয়ে আমার মত এরকম কোনও ছেলের সাথে হত তবে তোমার কেমন লাগত? মা একটু একটু করে বুঝতে শুরু করল কিন্তু আব্বু আরও রেগে যেতে লাগল। বলতে লাগল, আমি না কি বেশি শিক্ষিত হয়ে গিয়েছি। এখানে একটা কথা বোঝা দরকার। আমাদের গ্রামে আমিই প্রথম যে সায়েন্স নিয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো জনা দশেক গ্র্যাজুয়েট পাওয়া যাবে। তাই আব্বুর মুখের এই কথাগুলোর প্রেক্ষাপটটা বুঝতে পারতাম। আচ্ছা, শিক্ষাও কি কাউকে সংখ্যালঘু করে দেয়?

    আর এই ক্রমাগত চাপ সহ্য করতে পারছিলাম না। একসময় বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে পালালাম। কোথায় যাব জানি না। কিভাবে যেন গিয়ে পৌঁছলাম মুম্বাই। কন্সট্রাকশন ওয়ার্কারের কাজ নিলাম বেঁচে থাকার জন্য। সেখানে খুব কাছ থেকে দেখলাম শোষণের আরেক রূপ। তবে সেইসব গল্প তোলা থাক অন্য আরেকদিনের জন্য।

    সুপ্রিম কোর্ট হোমোসেক্সুয়ালদের বলেছিল মিনিস্কিউল মাইনরিটি। আমাদের মত মানুষদের জন্য কি বলবে জানি না। ন্যানোস্কেল মাইনরিটি? সংখ্যালঘুতর? ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ?

    জানি না। এখন এইসব কথা ভাবতে গেলে মাথায় খুব চাপ পড়ে। পুরোনো কথা মনে করতে গেলে মাথায় এতটাই চাপ লাগে যে মনে হয় মাথাটা যেন প্রেশার কুকার হয়ে গেছে, এক্ষুনি সিটি দেবে। তাই আজ এখানেই থামলাম।

    ভালো থাকবেন।


    (ঘটনাক্রম অপরিবর্তিত কিন্তু নাম পরিবর্তিত। রফিকের সাথে কথোপকথনের ভিত্তিতে অভিজিৎ মজুমদার দ্বারা অনুলিখিত)
    এই লেখাটি গুরুচণ্ডা৯'র মুদ্রিত সংখ্যা 'এখানে তুমি সংখ্যালঘু'-তে প্রকাশিত হয়েছিল।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ মে ২০১৮ | ৫১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ২৪ মে ২০১৮ ১০:৩৬83837
  • মুসলিম গে, গ্রামের হাতে গোনা শিক্ষিত-দের একজন, ন্যানোস্কেল মাইনরিটি-ই বটে।

    খারাপ লাগল পড়ে - এত চাপ নিয়ে বাঁচা সত্যিই মুশকিল
  • সুতপা | 113.52.254.185 (*) | ২৫ মে ২০১৮ ১০:৩২83838
  • পরবর্তী অংশের অপেক্ষায়। বৃত্তের ভেতরে না বাইরে বৃত্ত তা নির্ধারন করা সত্যিই বেজায় জটিল।
  • Du | 57.184.19.64 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৩:১৬83839
  • কিন্তু ডাক্তারীটা পুরো করলে তো একটু বেটার পজিশন হত লোককে বোঝাতে।
  • Ramiz Ahamed | 233.176.124.9 (*) | ২৭ মে ২০১৮ ১০:১২83840
  • একজন সংখ্যালঘু বৃত্তে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতার কিছু সময় থেকে বিষয়টাকে মনেপ্রাণে আত্মস্থ করতে পারি।
  • Prativa Sarker | 213.212.241.127 (*) | ২৭ মে ২০১৮ ১১:৫৬83841
  • এতোগুলো বৃত্ত টেনে দিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাঁচা অসম্ভব হয়ে পড়ে। লেখাটা আরো চলুক।
  • Dibyendu Singha Roy | 57.11.241.23 (*) | ২৮ মে ২০১৮ ০৪:৩৮83842
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্ত লেখা যা পড়ি তা লেখা হিসাবে নি। অর্থাৎ ভালো লাগলো অথবা খারাপ লাগলো নাকি মাঝারি কন্টেন্ট। খুউব ভাল লেখাও অনেক সময় কন্টেন্ট ছাড়া আর কিছুই না যা ভীষণ ভাল লেগে গিয়েছে।
    কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপার আছে(লেখা বলছি না ইচ্ছাকৃত ভাবেই) যা এই ভাল লাগা মন্দ লাগার বাইরে । এটা পড়ে আপনার ভেতরের ঝড় অনুভব করতে পারলাম।
    আমি মনে মনে বিশ্বাস করি একদিন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেদিন কোনো সংখ্যালঘু গুরু গে লেসবিয়ান স্ট্রেট গরিব বড়লোক বা ধর্মের ভেদাভেদ থাকবে না। মানুষই ভাঙবে সব । সাথে আছি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন