এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৪:৫৫82582
  • সন্তান জন্ম দেওয়ার একটা খুব কেজো, অর্থনৈতিক কারণ আছে। নতুন প্রজন্ম না আসলে এজিং সোসাইটিতে প্রোডক্টিভিটি তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। জাপানে এটা একটা অ্যাকিউট প্রবলেম। বেশির্ভাগ ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতেই এই এজিং একটা বিশাল সমস্যা। জার্মানি যে লাখ লাখ সিরিয়ান রিফিউজি অ্যাক্সেপ্ট করেছে তার প্রধান কারণ ডিক্লাইনিং পপুলেশন। আর ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে সাধারণত ব্রড ওয়েলফেয়ার পলিসি থাকে। বৃদ্ধদের সোসাল সিকিওরিটি, মেডিক্যাল কেয়ার আর পেন্শন দিতে গেলে ইয়ং জেনেরেশনকে কাজ করতে হবে। সবাই রিটায়ার্ড হলে দেশের জিডিপির কি হবে? স্কুল, কলেজ ইউনিভার্সিটি কাদের নিয়ে চলবে?
    ভারতের কথা ভাবলে এটা কোনো সমস্যা নয়। আমেরিকাতেও ইমিগ্রেশান পলিসির জন্যে এখনো পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয় নি। তবে অনেক উন্নত দেশেই পপুলেশন গ্রোথ কমে যাওয়া চিন্তার বিষয় আর এই নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা চলছে। কারণ এই সমস্যার কোনো শর্ট টার্ম সলিউশান নেই। মানুষের জন্মের পর কর্মক্ষম হতে অন্তত কুড়ি একুশ বছর সময় লাগে।
  • sm | 57.15.13.96 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৫:১৬82583
  • SS ,আমার মনে হয় না এজিং পপুলেশন এর সমস্যার জন্য উন্নত কোনো দেশ রিফুজি নেবে।এর অন্য দাওয়াই আছে।
    সব থেকে চট জলদি সমাধান হলো যৌবন কিনে নেওয়া।
    যেটা অলরেডি চালু সিস্টেম।ধরুন প্রচুর স্টুডেন্ট ভিসা দিলাম।তারা পড়া করুক বা না করুক তাদের দিয়ে পার্ট টাইম কাজ যেমন পেট্রল পাম্প চালানো ,কার ওয়াশ,দোকান দারি করিয়ে নিলাম। পড়ার পর ভালো চাকরি দিলাম না।সেখানে নিজের দেশের লোক কে অগ্রাধিকার দিলাম।
    মেয়াদ শেষে বললাম বাড়ি যাও।
    কিংবা আরব দেশের মতো ব্যবস্থা।প্রচুর চাকরি দিলাম,কাজ করলাম কিন্তু সে দেশের নাগরিকত্ব বা বসত বাড়ি কেনার অনুমতি দিলাম না।
    আর একটা হয় উন্নত যন্ত্র মানুষ তৈরী করা।যাতে কিনা মানুষের কায়িক শ্রমের বিকল্প মেলে।
    অথবা ,দেশের লোকের স্বাস্হ্য খুব উন্নত করা। যাতে কিনা ৭০ বছরের লোকের বায়োলজিক এজ ৪০ -৫০ এর মতন হয়।
    যারা কিনা এইলিং পিউপিল দের দেখভাল করতে পারে।
  • nane | 193.82.69.194 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৫:৩১82584
  • ঠিকই তো। vhemt.orgও অনেক দিন থেকেই বলে এসেছে এনিয়ে -- তাদের উদ্দেশ্য আলাদা হলেও সন্তানের জন্ম না দেওয়ার যুক্তিগুলো অনেকটা মেলে বোধহয়।
  • Arpan | 24.195.225.0 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৫:৩৪82585
  • স্টুডেন্টরা যে পার্ট টাইম কাজ করে তাতে এনাফ ট্যাক্স অ্যাকুমুলেট হয়?
  • sm | 233.223.142.115 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৫:৪৬82586
  • ওরা তো সর্বনিন্ম ওয়েজে কাজ করে। ট্যাক্স দেবার মতো অবস্থায় থাকলে তবে তো!ধরো,ব্রিটেনে একটা বড়ো সুপার মার্কেট চালাবে। তো কিছু বাংলা দেশি, শ্রীলংকান স্টুডেন্ট থাকলে সমস্যা বেশ হালকা হয়ে যায়। ওরা অড আওয়ার্স এ সেল্ফ গোছানো, মালপত্র নামানো কাজ গুলো করে দেবে।
    হসপিটালে নার্স হিসাবে কিছু ফিলিপিনো থাকলেই হলো।
    ইউকে অনেক ভালো দেশ বলে নাগরিকত্ব বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি দেয়; অনেক দেশ তাও দেয় না।ভবিষ্যতে আরো কড়া হবে।
    মেইন উদ্দেশ্য ; ২০ -৪০ এই বয়সে আমাদের দেশে কাজ করো ,কিছু রোজগার পাতি করো,তারপর নিজের দেশে ফিরে যাও ।অর্থাৎ তোমার যৌবন বিক্রি করো আর তোমার বৃদ্ধ কাল দেশে কাটাও।
  • Arpan | 24.195.235.60 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৫:৫৬82587
  • আরে আসল প্রশ্নটারই তো উত্তর পেলাম না। এনাফ ট্যাক্স না আসলে পেনশন ভরবে কী প্রকারে?
  • Ekak | 53.224.129.57 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৬:২৭82589
  • রিফিউজি প্ল্যান্টেশন করা একটা ভালো রাস্তা । কিন্তু এর বিপদ ও আছে । পাশের দেশের লোক হলে একরকম , সম্পূর্ণ আলাদা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের মানুষজন পালে পালে এনে প্ল্যান্টেশন করলে তারপর দেশের লোকের সঙ্গে ঝামেলা লেগে যাবে । ধর্মীয় সমস্যা ছাড়াও নারী নিগ্রহ একটা বড় সমস্যা ।ইউরোপ এই নিয়ে সমস্যায় ভুগছে অলরেডি । এরকম সমস্যা চলতে থাকলেই কিন্তু কিছুদিন বাদে ন্যাশনালিস্ট পলিটিক্স এর উত্থান ঘটবে এবং সাধের ইমিগ্রেশন উদারনীতি ছাগলে মুড়িয়ে খাবে । কাজেই ইমিগ্রেশন ওয়েলকাম কিন্তু সেই সঙ্গে লোকালাইসেশন -ইম্যুনাইজেশন এসবের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে । শুধু এনে ঢোকালেই হবে না ।

    আরেকটা রাস্তা হতে পারে ডিজাইনার বেবি ফার্মিং । জেনেটিক রোগ বিহীন ডিজাইনার বেবি কুড়ি বছরের মধ্যে বড় হয়ে রোজগেরে হবে , ট্যাক্স দেবে । এতে সরকারি এডুকেশন ইনফ্রা কাজে লাগবে । দেশের কালচার -ভ্যালুজ ও থাকবে । এতো অসম্ভব কিছু নয় , বৈজ্ঞানিকভাবে ফিসিবল । সরকার উদ্যোগ নিলেই হয় ।

    মোদ্দা কথা দেশের লোককে এন্ডি গেন্ডি পয়দা করার জন্যে চাপ দেওয়া অমূলক । সে রাষ্ট্র হোক বা পরিবার । দুটো তো একই পিরামিডের অংশ ।
  • sm | 233.223.142.115 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৬:৩৮82590
  • পেনশন সমস্যা সমাধানের অন্য উপায় আছে।পেনশনেবল এজ বাড়িয়ে দাও।চাপ কমবে। ভ্যাট বাড়িয়ে দাও।
    মুদ্রার অবমূল্যায়ন করো।ইত্যাদি প্রভৃতি।
    সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিপুল সংখ্যক মাইগ্রেন্ট জনতা কে বিফোর ৫০ দেশে ফেরত পাঠানো।
  • de | 192.57.72.23 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৬:৪২82591
  • ভালো এবং সময়োপযোগী লেখা!

    কিছু প্রশ্ন -

    ১) সোশ্যাল প্রেসারের কথা বাদ্দিলে বাকিটা "সন্তানহীনতার সিদ্ধান্ত" । "অধিকার" টার্মটা কি ঠিক? দুটো মানুষের নিজস্ব সিদ্ধান্ত কোন চাপের কারণেই বদলানোর কারণ দেখিনা। কারো যদি মনে হয় সে সন্তানহীন থাকবে, তা নিয়ে কোন জাস্টিফিকেশন দিতে সে কেন বাধ্য থাকবে? কেন সম্ভাব্য যুদ্ধ, খাদ্যাভাব ইঃ প্রসঙ্গের আমদানি করতে হয়?
    ২) আরেকটা প্রশ্ন, নিজের জিন ইঃ না ভেবে একটি শিশুকে দত্তক নিয়েও তো সন্তানরূপে মানুষ করা যায়। সেটাতে বরং খারাপ পরিস্থিতি থেকে একটি শিশুকে সুস্থ পরিবেশ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই নিজের জিনগত সন্তানের পরিবর্তে দত্তক নিয়ে থাকেন। তাঁদের সম্বন্ধে কি বক্তব্য?
    ৩) কিছু মানুষ এমনও আছেন, যাঁরা সন্তান ভালোবেসেই পৃথিবীতে আনেন আর বড়ো করেন। জিন-টিন ইঃ না ভেবেই করেন। তাঁদের সেই অধিকারটুকুও থাকুক। মোদ্দা কথা, যাঁর যা ভালো লাগবে, ঠিক মনে হবে, সে তাই করুক। তা নিয়ে জাস্টিফিকেশনের যেমন দরকার নেই, তেমনি অন্যের ডিসিশন নিয়ে প্রশ্ন তোলারও কিছু নেই।
    ৪) এই অব্দি সব আমাদের মতো আলোকিত অংশের কথা হোলো। এই বাইরে যে অসংখ্য মেয়েদের ট্রিমেন্ডাস সোশ্যাল প্রেসারের সম্মুখীন হতে হয়, আলোচনাটা খানিকটা সেদিকে ঘোরানো উচিত। এই যে মেয়েটির কথা আবাপয় পড়লাম, মিসক্যারেজ হবার জন্য পেটে বালিশ বেঁধে ঘুরতেন, ছেলের জন্ম দেবার প্রবল ইচ্ছেয় যাঁকে অন্যের বাচ্চা চুরি করতে হয়, তাঁকে শাস্তি দেবার আগে সমাজের দিকে আঙুল তোলা উচিত। ওনার সাথে ওনার স্বামী আর শ্বাশুড়ীকেও জেলে ঢোকানো উচিত। মেয়ের জন্ম দিয়ে ট্রেনের কামরায় ফেলে যেতে বাধ্য হন যে মা, সদ্যোজাতা কন্যাকে নিজের হাতে হত্যা করেন যে মা, তাঁদের সন্তানহীনতার অধিকার নিয়ে কথা বলা উচিত। আলোকিত অংশের কাছে এটা "সিদ্ধান্ত", ছুটকো-ছাটকা চারিপাশের মন্তব্যগুলোকে ঝেড়ে ফেলতে পারলে তাঁদের অধিকার অলরেডি স্বীকৃত!
  • Du | 182.58.104.171 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৭:২০82592
  • জিনের জন্য বল্ল লোকে? হ্যা হ্যা --- বলে দিও জিনের বাচ্চা হয় না আর। এখন সবার বাবা গুগল টুইটার আর টিভি ঃ) ঃ)
  • Ekak | 53.224.129.57 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৭:৩৩82593
  • জীন ফ্যালনা কেনো ? ইন্টেলিজেন্স গুলি মারুন , স্বাস্থ্য -ডিফর্মিটি -জেনেটিক ডিসিস এগুলোর জন্যেই তো জিনের গুরুত্ব ।
  • bip | 223.19.193.30 (*) | ১৮ মার্চ ২০১৭ ০৬:২৪82594
  • 1. Life doesn't have aNY absolute purpose but it does have definition and that is reproduction.

    2. Reason to think we have freedom not to have kids is rooted on idea that model of human being is individual and not collective. That's wrong. You can't survive if someone refuses to be farmer. Likewise if women refuse to bear kids, which is the most important function of a state that state and society will be dying.

    3. Childless of choice is no new idea. First evidence of it can be found in Bronze age in city of Carthage. So their solution was to allow more events that allow sexual intercourse with women. It was known even then child bearing is risky and women don't want it. Society responded two way. Allowed them to have sex with their choice and some.societies simply forced them via religion. This may sound inhuman but it was a time when child mortality rate was 5. A woman needed to bear at least 7 plus kids on average to keep a healthy demography.

    4. Modern childless by choice movement is result of improbed medical care which reduced mortality rate to nothing.

    5. When there will be artificial womb, Childless by choice will automatically be accepted. I think that is another 50 years.

    6. Before that such thinking is more dangerous than Islamic radicalism.

    7. Nations which forwarded such liberal ideas like Italy France, they are all drying. Their country is taken over by immigrants who have higher birth rate. Russia reverted that by massively bribing women to be mom. In Russia if you give birth to 3 kids, you get SUV aND your tax is zero. Russia improved it's fertility rate from 0.9 to 1.4

    8. All European countries plugged by childless by choice disease is taking actions ..basically offering bounty to women to be mom.
  • সিকি | 132.177.243.64 (*) | ১৮ মার্চ ২০১৭ ০৬:৩৬82595
  • দার্শনিক মানস নন্দী এলেন।
  • চহার মগজ শিকন | 147.59.159.3 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৭ ০২:২৬82596
  • plugged? সিওর?
  • Socket | 205.154.10.130 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪২82597
  • শুওর!
  • Hermione Granger | 192.57.71.142 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৭ ০৬:২৩82598
  • Looks like u hve refused to be a farmer...still everybody is surviving...so anybody can refuse to do anything....as long as it is within the limits of civilised society...still society will survive grandly...
    and dont bother about European countries...look closer home...we are "plugged" by too many chidren...so its perfectly alright to decide not to add upto that...and the most dangerous disease of all times is the the overconfidence of the unintelligent...that is what gives rise to all sorts of radicalism...so please "plug" that plague first...here is a cue for you.
  • চহার মগজ শিকন | 127.194.233.224 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৭ ০৭:১৭82599
  • S | 184.45.155.75 (*) | ২১ মার্চ ২০১৭ ০৯:৩২82600
  • হঠাত এই একই টপিকের উপরে অনেকগুলো টই একসাথে।
  • S | 184.45.155.75 (*) | ২১ মার্চ ২০১৭ ০৯:৪৫82601
  • তুল্লাম।
  • pi | 57.8.0.94 (*) | ২১ মার্চ ২০১৭ ১২:০৩82602
  • আরে এস। টই না তো। এবারে তো এই টপিকে চারটে বুলবুলভাজা বেরিয়েছে। এটা তারই একটা।
  • Anindya | 233.176.72.134 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৭ ০৩:১১82603
  • Eto jobabdihi korar kono proyojon chilona, santan nei bole ekta akkhep apnar subconscious mind e ache
  • শুভ্র সান্যাল | 37.63.151.206 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৭ ০৪:৩৭82604
  • সন্তান উৎপাদন করা যে কোন জীবের সহজাত প্রবৃত্তি । মানুষ এই পৃথিবীতে অন্যান্য সমস্ত জীবের মতনই একটা জীব মাত্র । এই রকম চিন্তাধারা আজকের দিনে অনেক মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে । এর ফলে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে । এই পৃথিবী যদি আগত শিশুর জন্য নিরাপদ না হয় তাহলে তার জন্য দায়ী কিন্তু এই মানব নামক জীব নিজে । আর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার ভয়ে এই চাপ, হ্যাঁ তাই, কিন্তু তার জন্যেও মানুষ নিজে দায়ী নয় । প্রকৃতি সবসময় জীবের অনুকূলে থাকার চেষ্টা করেছে । মানুষ নামক প্রজাতি নিজের স্বার্থে যতবার প্রকৃতিকে পাল্টানোর চেষ্টা করেছে প্রকৃতি ততবার জীবকে টিকে থাকবার জন্য তার মধ্যে পরিবর্তন করেছে । সেখানে দাঁড়িয়ে মানুষ যদি নিজেই নিজের অস্তিত্ব কে শেষ করে দিতে চায় তাহলে সেটাকে মুৰ্খামী ছাড়া আর কিছু বলা যাবে না । মানুষের জীবন ধরনের পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন আনতে হবে । আধুনিক সভ্যতা যেমন অনেক কিছু আমাদের দিচ্ছে তেমনই অনেক কিছু কেড়ে নিচ্ছে । দেওয়াটা যতটা তারাতারি আমরা অনুভব করছি, কেড়ে নেওয়ার সামগ্রিক ছবিটা ততটা তারাতারি দেখা যাচ্ছে না । মানুষ নামক জীব যদি নিজের জীবনধারণের পদ্ধতি না বদলায় তাহলে সে শুধু নিজের নয় সমগ্র জীব কুলের বিলুপ্তির কারন হবে একদিন । এবং আপনি নিজেও একজন মানুষ হয়ে এই ধ্বংসের দায় কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না ।

    মেয়েদের ওপরে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক চাপ, এর জন্যেও মানুষ নিজে দায়ী । পরিবর্তন তাকেই আনতে হবে । প্রকৃতিকে এর জন্য কোন ভাবেই দায়ী করা যাবে না । এবার কিভাবে সেই পরিবর্তন আনা সম্ভব সেটা ভিন্ন ইস্যু ।

    এই ধরনের আলোচনাতে নিজেকে একটা ইনডিভিজুয়াল সত্বা না ভেবে একটা প্রজাতির (এখানে মানুষ) প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে হবে ।
  • একক | 53.224.129.46 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৭ ০৬:৩৮82605
  • সমষ্টির পুটকি জ্যাম করা প্রতিটি একক মানুষের কর্তব্য ।
  • একক | 53.224.129.63 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৫82606
  • অন আ সিরিয়াস নোট্ , এত সত্বা ফত্তা ভাবার দরকার নেই । মানুষ যা করবে নিজের জায়গা থেকে । হিউম্যান ক্যাপিটাল এর নেচার আর পাঁচটা ক্যাপিটালের মতই । দেশসুদ্ধু হিউম্যান ক্যাপিটাল যথেষ্ট বেড়ে গ্যাছে , অতএব এখন ডিভিডেন্ড হিসেবে কোনো ব্যক্তি মানুষ যদি বাচ্চা না চান সেটা একশো ভাগ জায়েজ এবং তাতে টোটাল হিউম্যান ক্যাপিটালের কোনো ক্ষতি নেই বরং লাভ আছে । যাঁরা এত ডারউইন -ক্যাপিটাল -প্রোডাক্ট সাত -সতেরো এত কিছু বোঝেন তাঁরা এইটুকু বোঝেন না যে , মার্কেটে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রিসোর্স পুশ করে পার ইউনিট ভ্যালু কমে যাচ্ছে !

    সমস্যা টা অন্যজায়গায় । সেটা কজন বাচ্চা জন্ম নিল তা দিয়ে ঠিক হয়না । প্রব্লেমটাকে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট না । বাচ্চা খুব ফ্যাসিনেটিং ব্যাপার এনিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । একটা ছোট বাচ্চা যেভাবে ল্যাঙ্গুয়েজ পিকআপ করে , যেভাবে বডি ব্যালান্স গ্রো করে বা যেভাবে নিজের ডিসিশন মেক করে এগুলো পাশ থেকে লক্ষ্য করা হাইলি ফ্যাসিনেটিং। একটা রক্ত মাংসের কমপ্লেক্স লার্নিং ইউনিট যেন :):) নিজের ভাগ্নে ভাগ্নিদের ক্ষেত্রে ব্যাপক এনজয় করেছি । আমার মনে হয় মানুষের মধ্যে একটা খিদে আছে বাচ্চাদের সঙ্গে মেশবার , বড় হতে দেখার ইত্যাদি । তো সেটা ফুলফিল করা জরুরি ।

    ধরুন এমনকি পাশের বাড়ির উঠোনেও যদি একটা টগর চারা হয় , আপনি কি আসা-যাওয়ার পথে খেয়াল করেন না গাছটা কতটা বাড়লো -কবে ফুল ফুটলো । এগুলো খুব স্বাভাবিক ইন্সটিঙ্কট ।

    ভার্চুয়াল এপ্স দিয়ে বাচ্চা ও ন্যানীদের কানেক্ট করানো যায় । বেবি সিটার হিসেবে স্কুল কলেজের মেয়েরা কাজ করুক । বেবি আপব্রিঙগিং এর হ্যাপা ও আনন্দ দুটোই কমিউনিটিতে ভাগ হোক । আমার ধারণা ভার্চুয়াল এপ্স -ফিজিক্যাল কমিউনিটি কন্ট্যাক্ট এগুলো বাড়িয়ে দিলে পার্সোনাল লাইফে তার পসিটিভ প্রভাব পর্বে , ইমোশনাল ব্যাকাপ এর জায়গা তৈরী হবে আবার নিজের ক্ষেত্রে বেবি নেওয়ার বা না নেওয়ার ডিসিশান আরও স্ট্রং হবে ।

    যাঁরা বাচ্চা ভালোবাসেন বা অন্যদের বাচ্চা নিতে বলেন তাঁদের ডিমোনাইজ করাটা ঠিক রাস্তা না । আল-বাল যুক্তি দিতে এলে ঝড় খাবে সে আলাদা কথা । বাট দ্য ডিসায়ার ম্যাটার্স । ওটা সল্ভ করতে হবে ।
  • একক | 53.224.129.63 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৭ ০২:০২82607
  • * স্কুলের ছেলেরাও বেবি সিটার হতে পারে "একটিভিটিজ" এর পার্ট হিসেবে । নরম্যালি প্রাইভেট বেবি সিটার হিসেবে ছেলেদের জায়গা করে নেওয়া কঠিন । তাই স্কুল একটিভিটিজ এ রাখা ভালো ।
  • অভিষিক্তা রায়চৌধুরী | 37.63.181.150 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৪82608
  • বাচ্চা মানুষ করায় কষ্ট আছে ঠিকই বিশেষতঃ দুজনেই কর্মরত হলে কিন্তু পাহাড়ে চড়াও তো কষ্টের তবু তো আমরা উঠি কারণ সে পথের বাঁকে বাঁকে আনন্দ। শিশুদের মত সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ আনন্দ আর কে দিতে পা?
  • অভিষিক্তা রায়চৌধুরী | 37.63.181.150 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৪82609
  • বাচ্চা মানুষ করায় কষ্ট আছে ঠিকই বিশেষতঃ দুজনেই কর্মরত হলে কিন্তু পাহাড়ে চড়াও তো কষ্টের তবু তো আমরা উঠি কারণ সে পথের বাঁকে বাঁকে আনন্দ। শিশুদের মত সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ আনন্দ আর কে দিতে পা?
  • সায়নী ঘটক | 113.51.151.234 (*) | ১৭ মে ২০১৭ ০৯:২৬82610
  • মাতৃত্ব নারীকে পূর্ণতা দেয় ,এ কথা একেবারেই ঠিক নয়। কে কিসে পূর্ণ হবে ,সে একমাত্র নিজেই বলতে পারে। তার মানে যারা স্বেচ্ছায় সন্তান নেয়নি বা যাদের সন্তান ধারণের সমস্যা রয়েছে , তারা পূর্ণ নয় ? বহু মাকেই দেখেছি শুধু নিজের সন্তানের টাই বোঝেন , পৃথিবীর সব টুকু ,সব ভালো টুকু বাকিদের বঞ্চিত করে যাতে নিজের সন্তানের থাকে সেই ব্যাপারতা সুনিশ্চিত করেন।
    সন্তানের জন্ম গরু ছাগল ভেঁড়া সাপ কুমীর সবাই দেয় ,তারাও সন্তানকে আগলে রাখে ,তারাও সন্তানের খাবার নিজেরাও অনেক সময় না খেয়ে খাওয়ায় ,যে বিড়ালটি নিজে না খেয়ে তার ছানাগুলোকে খাওয়ার সুযোগ দেয়, সেই মুরুগীটি যে নিজে ঠক ঠক শব্দ করে নিজে না খেয়ে তার ছোট্ট ছোট্ট ছানাগুলোকে খাওয়ানো শেখায় কিংবা যে পশুটি তার সন্তানটি সিংহের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর নিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সিংহের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সন্তানকে উদ্ধার করে- আমাদের অভিধানে এরা কি সবাই পূর্ণতা পেয়েছে ?
    ৪ বছর আগে নিজে মা হয়েছিলাম , যবে থেকে সন্তানের উপস্থিতি জানতে পেরেছিলাম , ৯ টা মাস নিজেকে আগলে রেখেছি। লোভনীয় খাবার থেকে নিজেকে বঞ্চিত রেখেছি -আমার শারীরিক কষ্ট হলে আমার তো হবেই ,ওর ও হবে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তানের জন্ম দিয়েছি - জানি কি পরিমান কষ্ট হয়। সন্তান জন্মানোর আগেই চাকরি ছেড়েছিলাম , ঠিক করেছিলাম শুধু আয়ার হাতে ছাড়বোনা। রাতের পর রাত জেগে হয়েছি , শীর্ণকায়া। কার জন্য ? নিজের সন্তানের জন্য -কে আমাকে পূর্ণ বা অপূর্ণ বলবে তার জন্য নয়। কেউ আমাকে পূর্ণ ,অপূর্ণ , খারাপ মা বলুক ,আমি জানি আমি নিজে কি। নিজে মা হওয়ার পর ,মনে হয়েছে কোনো এক সময় সন্তান আমার শরীরের অংশ ছিল ,ঠিক এটা ভেবেই বোধ হয় সারাজীবন ধরেই ভাববো ওর খাওয়া মানে আমার খাওয়া , ওর কষ্ট মানে আমার কষ্ট।
    কিন্তু যদি এই আশা করে বাঁচি , আমি কি পরিমান কষ্ট করেছি , সে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের জীবনটা ওর আমার পায়ে সপেঁ দেবে , এটা ভাবলে আমি ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হবো , ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমার সন্তান , ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের সম্পর্ক। মায়ের সঙ্গে কারোর তুলনা হয়না , জীবনসঙ্গীর সঙ্গেও মার তুলনা হয়না। মা জীবনসঙ্গী নয় -এটা যত শিগগিরই মেনে নিতে পারবো -আমার ভালো।
    সন্তানের জন্ম প্রাকৃতিক নিয়মে সবাই দিতে পারে , কিন্তু সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করাই সবথেকে কঠিন কাজ। আজকে আমাদের সময় এতো প্রলোভন , চারিদিকে এতো পয়সার ঝনঝনানি উপেক্ষা করে ,যারা সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন তারাই পূর্ণ।
    যাদের সন্তান নেই , যারা সন্তান চান না তাদের ব্যাপারটা ব্যক্তিগত।
  • dibyendu dutta | 125.187.32.159 (*) | ১৮ মে ২০১৭ ০৫:৪৬82611
  • ami biyer por child chai na. sudhu ami r amar life partner mile ektu onno rokom bhabe life ta ke chai. but amar biswas biyer por child chaina ekotha sonar por kono meyei amar life partner hote chaibe na.
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন