এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্রেক্সিট, অ্যামেরিকান ইলেকশান আর নোটবন্দী

    dc
    অন্যান্য | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ | ১১৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.164.216.166 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:২৬727410
  • 2016 র তিনটে বড়ো ঘটনা ব্রেক্সিট, অ্যামেরিকার ইলেক্শান আর আমাদের নোটবন্দী। তিনটেরই সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু তার থেকেও বড়ো কথা, তিনটে ইভেন্টেই কিছু কিছু মিল আর একটা অমিল আছে।

    প্রথম মিল হলো, অনেকের মতে এই তিনটে ইভেন্ট পোস্ট-ট্রুথ যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনটে ইভেন্টেই মানুষের মনোভাব বা মানুষের রিঅ্যাকশান যেমন হওয়ার কথা ছিল তেমন হয়নি, কারন ডিস্টরটেড (মিথ্যে বা অর্ধসত্য) ইনফরমেশান এতো বেশী ছড়ানো হয়েছে যে মানুষ "দিশেহারা" হয়েছেন, তাঁরা "সঠিক" ডিসিশান নিতে পারেন নি। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠেছে, "সঠিক" পথ কোনটা ছিল? আর এখানেই দ্বিতীয় মিল।

    দ্বিতীয় মিল হলো, বুদ্ধিজীবীগন বা মেন্স্ট্রিম মিডিয়া এই তিনটে ইভেন্টে মানুষের চয়েস বা রিয়াকশান প্রেডিক্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে্ন, প্রথম দুটো ইভেন্টে পোলিং এজেন্সিগুলোও শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এভাবেও বলা যায়, তাঁরা যেমনটি চেয়েছিলেন রেজাল্ট সেরকম হয়নি। অর্থাত সাধারন মানুষের পাল্স আগে থেকে কেউ বুঝতে পারেননি, একমাত্র কিছু রাজনীতিক ছাড়া। যাঁরা বুঝেছেন তাঁরা তিনটে ইভেন্টেই ঝুড়ি ভর্তি করে ফসল তুলেছেন, কিন্তু তাঁদের কেউই বুদ্ধিজীবী বা মেনস্ট্রিম মিডিয়ার খুব একটা প্রিয় পাত্র নন।

    এবার অমিলটা দেখা যাক। বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট আর ট্রাম্পের জয়, এই দুটোতেই সোশ্যাল মিডিয়ার, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো মিথ্যে, গুজব ইত্যাদির বড়ো ভূমিকা ছিল (সেখান থেকেই পোস্ট-ট্রুথ কথাটাও জনপ্রিয় হয়েছে)। এমনকি ভারতেও নোটবন্দীর পর সোশ্যাল মিডিয়া হাইপারঅ্যাক্টিভ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখানে অমিল হলো, ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার রিচ কতোটুকু? গ্রামাঞ্চলে বা এমনকি শহরেও কতো পার্সেন্ট মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অংশগ্রহন করেন বা এমনকি এর কথা জানেন? অথচ মোটামুটিভাবে ভারতের এক বিশাল অংশের জনতার যদিও প্রচুর অসুবিধে হচ্ছে, তবুও বড়ো কোন গন্ডগোলের খবর নেই (কয়েকটা ছোটখাটো অশান্তি ছাড়া, সেগুলোও ছড়িয়ে পড়েনি)। বেশীরভাগ মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, একদিন টাকা না পেলে পরের দিন আবার আসছেন।

    এই মিল আর অমিল দেখে একটা কথা মাথায় এলো। আগে যেমন প্রায় সব দেশেই আন্দোলন হতো, শহর ভর্তি করে মিছিল হতো, মাঝেমাঝে ভাঙচুরও হতো, এখন কি প্রায় কোন দেশেই সেরকম হয়না? (ভেনিজুয়েলার মতো দুয়েকটা দেশ অবশ্য এর ব্যতিক্রম) পৃথিবীর বেশীর ভাগ দেশে কি মানুষ চুপচাপ ভোটে ছাপ নীতি নিচ্ছেন? আর এই জায়গাটা প্রায় কোন বুদ্ধিজীবি বা মিডিয়া ধরতে পারছেনা? ভারতে ডিমনির বিরুদ্ধে তেমন কোন আন্দোলন দেখা গেল না, কিন্তু হয়তো দেখা যাবে ইউপিতে বিজেপি ধুয়ে গেল। এরকম হবে কিনা অবশ্য জানিনা, কিন্তু যদি হয় তাহলে কি ধরে নেওয়া হবে সাধারন মানুষ আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে গিয়ে নিজের মনোমতো ভোট দেওয়াকেই পছন্দ করছেন?
  • avi | 57.11.26.220 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৩০727419
  • প্রচুর ফ্যাক্টর মিলেমিশে গেছে। মিডিয়া আর গুণীজনদের প্রতি একটা অবিশ্বাস আছে, ভোট দিয়ে, অর্থাৎ নিজে ঝামেলায় না জড়িয়ে শোধ নেওয়ায় আস্থা বাড়ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়ারকুলের সামনের ব্যবহার ও মতামত নিজের সত্যিকারের মতের থেকে আলাদা হওয়ার পরিমাণও বাড়ছে। আর এই বিহেভিয়ার যত বেশি প্রেডিক্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তত বেশি এটা প্রেডিকশনের প্রতি রিয়্যাক্ট করছে, এবং ঠিক প্রেডিক্ট করার সম্ভাবনা আরো কমে যাচ্ছে।
  • dc | 132.164.216.166 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৩:০৪727420
  • "নিজে ঝামেলায় না জড়িয়ে শোধ নেওয়ায় আস্থা বাড়ছে" এটা একটা কারন হতে পারে, অর্থাত ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক বিহেভিয়ার বাড়ছে। কিন্তু এটা তো বলা হয় বিশেষ করে উচ্চ আর মধ্যবিত্তের মধ্যে দেখা যায়। এই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক বিহেভিয়ার কি সব শ্রেণীর মধ্যেই ছড়াচ্ছে?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় বিহেভিয়ার আর সত্যিকারের বিহেভিয়ার সবসময়ে এক হয়না এরকম কিছু স্টাডি বেরিয়েছে, এটা একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। আবার রোজকার বিহেভিয়ারই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিফলিত হয় এর স্বপক্ষেও কিছু এভিডেন্স আছে। যেমন ধরুন কোন আড্ডায় যদি আপনি বিরুদ্ধমত দেন তাহলে অন্য সবাই মিলে আপনাকে যেভাবে চেপে ধরবে কিছুটা সেভাবেই অনলাইনেও তো ট্রোলিং হয় (পেড ট্রোলিং বাদ দিলাম)। আরেকটা রিপোর্ট পড়ছিলাম যে মেয়েরা রাস্তাঘাটে চলাফেরায় যেরকমভাবে থ্রেটেনড হন বা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের শিকার হন, অনলাইনেও প্রায় সেভাবেই হ্যারসড হন। অনলাইন বুলিইং তো আছেই। এসব ক্ষেত্রে অনলাইন আর অফলাইন প্রেডেটরি বিহেভিয়ারের প্যাটার্ন বোধায় প্রায় একই।

    আর বিহেভিয়ার প্রেডিকশান - প্রায় পুরো কনসিউমার ইন্ডাস্ট্রিতেই তো প্রেডিকটিভ অ্যানালিটিক্স তুমুলভাবে চলছে। অ্যামাজন থেকে ওয়ালমার্ট থেকে গুগল সব্বাই কোটি কোটি ডেটা পয়েন্ট কালেক্ট করে চলেছে কনসিউমার বিহেভিয়ার প্রেডিক্ট করতে পারবে এই আশায়। তাহলে কি বাইং বিহেভিয়ার যেভাবে প্রেডিক্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, পলিটিকাল বা সোশ্যাল বিহেভিয়ার সেভাবে হচ্ছে না বা করা যাচ্ছে না?
  • সিকি | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৯:০৮727421
  • মন দিয়ে পড়ছি।
  • Rit | 213.110.242.20 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:২৪727422
  • অভির পয়েন্ট টা খুব ঠিকঠাক।
  • * | 192.65.239.178 | ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ২১:১০727423
  • এ বিষয়ে আজকের হিন্দুতে যোগেন্দ্র যাদবের কথাটা ঠিক লাগলো পোস্ট ট্রুথ কেও মেন ডিসকোর্স এর মধ্যে আনতে হবে পলিটিক্সের মাধ্যমে
  • Pinaki | 95.229.73.124 | ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:২২727424
  • ভালো টপিক। কিন্তু রাস্তাজোড়া আন্দোলন হচ্ছে না - এটা কি ঠিক অবসার্ভেশন? কদিন আগেই ফ্রান্সে তুলকালাম হয়ে গেল। আমেরিকাতেও ইদানিংকালে প্রচুর রাস্তাজোড়া আন্দোলন হয়েছে। তারও আগে দেখলে তাহরির স্কোয়ার, শাহবাগ, অকুপাই - কম কি?
  • dc | 132.174.107.16 | ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:২৬727425
  • পিনাকি বাবুকে ধন্যবাদ। অকুপাই মুভমেন্টের কথা মাথায় ছিল, ইন ফ্যাক্ট এই টইটা খোলার আরেকটা উদ্দেশ্য অকুপাই মুভমেন্ট নিয়েও একটু আলোচনা করা। অকুপাই যেভাবে সাড়া জাগিয়ে শুরু হয়েছিল, তার তো কোন এফেক্টই এলো না! বিশেষ করে যদি অ্যামেরিকার ইলেকশান দেখি, তাহলে কি অকুপাইয়ের জন্য কোন ডিফারেন্স হয়েছে বলা যাবে? হয়তো বলতে পারেন যে হিলারি ক্লিন্টন নির্বাচিত হননি, সেটা এক ধরনের সাফল্য। কিন্তু সেটাও বেশ ডাউটফুল। একে তো হিলারির ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক ইমেল লিক ওনার বিরুদ্ধে বেশ কাজে দিয়েছে (বিশেষ করে ইলেকশানের তিন-চার সপ্তাহ আগে এফবিআইএর আবার ইনভেস্টিগেশান শুরু করা)। আর তার থেকেও বড়ো কথা, অকুপাই মুভমেন্টের কিছুমাত্র এফেক্ট থাকলেও কি ট্রাম্পের মতো রেসিস্ট, সেক্সিস্ট আর ডিভিসিভ একজন ব্যক্তিত্ব জিততে পারতেন? একইভাবে, ইউরোপের বেশ কিছু দেশে যেরকম জেনোফোবিয়া, অ্যান্টি-ইমিগ্র্যান্ট এবং রাইট উইং জনমত গড়ে উঠছে, তাতে কি অকুপাই এর কোন পজিটিভ ইমপ্যাক্ট হয়েছে বলা যেতে পারে?

    বাংলাদেশে শাহবাগ নিয়েও কিছুটা এরকমই মনে হয় - ভালো শুরু হয়েছিল, কিন্তু তার পর আর কিছু তো হলোই না, বরং ব্লগার হত্যার কেসগুলো দেখলে মনে হতে পারে যে অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। আমাদের দেশেও লোকপাল আন্দোলন থেকে খুব একটা লাভ হলো না, বা লং টার্ম কোন ইমপ্যাক্ট হলো না। তবে হ্যাঁ, ব্ল্যাক লাইভস মুভমেন্ট এখনো ইতস্তত চলছে। আমার প্রশ্ন হলো, ইমপ্যাক্টফুল, তীব্র আন্দোলন কি আগের থেকে এখন কমে এসেছে? আর সেজন্যই কি "অপ্রত্যাশিত" ফলাফল হচ্ছে?
  • pi | 37.63.170.69 | ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:২৮727426
  • যোগেন্দ্র যাদবের লেখাটা দেবেন ?
  • Pinaki | 95.229.73.124 | ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:০১727414
  • আমার অবজার্ভেশন যদি বলেন গ্লোবালি সবচেয়ে কম আন্দোলনের সময়কাল বোধহয় আশির দশক থেকে ২০০৪/৫। ইম্প্যাক্ট নিয়ে আপনি যা বললেন তার সাথে কিছুটা একমত। আমি পুরোটাকে এভাবে দেখছি - লোকজনের মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে। সেটা কখনো পজিটিভ আন্দোলনের শেপ নিচ্ছে। কখনো নেগেটিভ রেজাল্ট দিচ্ছে। গত দশ/বারো বছরের মধ্যে শুরুর দিকটায় ওভারঅল আন্দোলনগুলো পজিটিভ দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ দিকটায় আবার এক্সট্রীম রাইটে সুইং করছে। কিন্তু দোলাচলটা স্পষ্ট।
  • dc | 132.174.91.33 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:১৮727415
  • আশির দশক থেকে ২০০৪/৫ না তার থেকে আরেকটু কম সময়? আশির দশক নিয়ে কিছু বলতে পারব না, তবে নব্বুইয়ের দশকেও আমাদের দেশে তো বেশ বড়ো বড়ো আন্দোলন হয়েছে বলে মনে পড়ছে। অন্তত দুহাজারের শুরু অবধি ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, রাস্তা রোকো, সারা ভারত ব্যাপি অ্যাজিটেশান ইত্যাদি অনেক হতো মনে পড়ছে, আর এইসব আন্দোলনের জেরে অনেক সময় সরকার অনেক সিদ্ধান্ত পাল্টাতেও বাধ্য হতো। মানে এখন যেভাবে ডিমনেটাইজেশানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আর দু মাস ধরে ইমপ্লিমেন্টেশান হলো, আমার মনে হয় নব্বুই বা দু হাজারের প্রথমার্ধ অবধিও এরকম সিদ্ধান্ত নিলে আর সাধারন মানুষের এই লেভেলে অসুবিধে হলে এর থেকে অনেক বেশী আন্দোলন, মিটিং মিছিল ইত্যাদি হতো। এটা ঠিক লিখছি কিনা জানিনা, তবে এখন ট্রেড ইউনিয়ন মুভমেন্ট একেবারে থেমে গেছে, সেটা হয়তো একটা কারন হতে পারে।

    আর গ্লোবালি দেখতে গেলে সেকেন্ড গাল্ফ ওয়ার এর আগে বোধায় পৃথিবীর প্রায় সব দেশে, বা সব বড়ো শহরে প্রচুর আন্দোলন-মিছিল ইত্যাদি হয়েছিল। বোধায় ২০০১-২০০২ নাগাদ। কিন্তু হ্যাঁ, সেটাও হয়তো ব্যার্থ হয়েছিল বলা যায় কারন ছেলে বুশ আর তার লেজুড়ের অভিযান থামানো যায়নি।
  • motamot | 165.136.184.7 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৯:০৬727416
  • লিবেরল আইডিওলোজি এবঙ্গ দল গুলোর প্রতি লোকের ভরসা উঠে গেছে, ফেবু র কল্যানে সবাই নিজের মতামত এর দিকে প্রচুর যুক্তি পাচ্ছে , কাজেই আন্দোলন এর ঝামেলায় কেউ যাচ্ছে না
  • dc | 132.174.108.230 | ১৩ মার্চ ২০১৭ ১০:২৬727417
  • এই প্রশ্নটা নভেম্বরের শেষ থেকেই মনে আসতে শুরু করেছিলঃ ডিমনির বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছেনা কেন? আগে মনে হয়েছিল যে মানুষ হয়তো আন্দোলন আর চাইছে না, ভোট দিয়ে প্রোটেস্ট করার রাস্তা বেছে নিচ্ছে। কিন্তু মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব ইত্যাদি অনেকগুলো ইলেক্শানের পর এখন বোঝা যাচ্ছে যে কারনেই হোক, প্রথম থেকেই মানুষ মেনে নিয়েছিল বলেই আন্দোলন হয়নি।

    There is no question that the poor suffered economic hardship, at least in the short-run. Early indications that this may not be politically very costly for Modi came from the fact that in a country used to strikes and rallies over anything perceived to be against the economic interest of ordinary citizens, such as increases in bus fares, there were very few anti-demonetisation protests across the country. As the proverbial dog that did not bark, this should have caused everyone to stop and think, where is the outrage?

    https://thewire.in/116124/demonetisation-bad-economics-clever-politics-modi/
  • S | 184.45.155.75 | ১৩ মার্চ ২০১৭ ১১:৩০727418
  • অগামীর অবয়ব স্টাইলে ভাবলে একটাই কথা মনে হচ্ছে।
    তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসছে। কে কোন পক্ষে থাকবে জানিনা। তবে আসছে। বিভিন্ন দিকে চরম দক্ষিন পন্থা, ফ্যাসিবাদ, আর মৌলবাদের রম রমা অবস্থা। মডারেট চিন্তা ভাবনা সব জানলার বাইরে। ফ্রি প্রেস আর ফ্রি স্পিচের উপরে খাঁড়া ঝুলছে। ট্রেড, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে গন্ডগোল বাঁধতে চলেছে। আর সেসব মেটাতে যুদ্ধু হবে। অলরেডি বড় শক্তিগুলো নিজেদের মাসল বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। শন্তি বৈঠক সব চৌপাট হয়ে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন