এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গৌতম দত্ত | 113.252.166.37 | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ২১:৪৩723728
  • https://postimg.org/image/oz0r0fo79/

    ১৯৭১। জয়শ্রী’তে দেখতে গেছিলাম ‘ধন্যি মেয়ে’। যতদূর মনে পড়ে নিঃসন্দেহে দিনটা ছিল শনিবার। জাষ্ট আগের দিনই রিলিজ করেছে গুরু’র এই বই-টা। ‘বই’ শুনে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা একটু হেঁচকি তুলতেই পারে। এখন এরা বলে ‘মুভি’। আমরা তখন সিনেমাকে ‘বই’ বলতেই অভ্যস্ত ছিলাম। জয়শ্রী’তে সাধারণত শোটাইম ছিল ২টো, ৫টা আর ৮টা। ম্যাটিনি, ইভিনিং আর নাইট। নিউতরুনেও মনে হচ্ছে তাই-ই ছিল। যাই হোক গুরু মানে উত্তমকুমারের নতুন বই দেখার জন্য উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।

    তখন আমাদের বরানগরের বুকে পুরোপুরি নকশাল আন্দোলন চালু। আগের বছর নাইন থেকে এমনি এমনিই ক্লাসে উঠে গেছি পরীক্ষা ছাড়াই। এর মধ্যেই আমাদের প্রাইমারি সেকশনের মাষ্টারমশাই নন্দ’দা একদিন খুন হয়ে গেলেন নকশালদের হাতে। রোজই বোমা, গুলি, ধরপাকড়, পুলিশের রেড এসব দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছিলাম। এই সব কিছুর মধ্যেই চলত আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। তখন আমার ক্লাস টেন। আর তাই স্কুলের নিয়মকানুন একটু শিথিল ছিল আমাদের জন্যে। যেমন টিফিন পিরিয়ডে আমরা স্কুলের গেটের বাইরে আসার ছাড়পত্র পেয়েছিলাম এই ক্লাসে উঠে। স্কুলের কোনো অনুষ্ঠান হলেই আমাদের ডাক পড়াটা ছিল অবশ্যম্ভাবী। সোজা কথায় পাখনা গজানোর শুরু সেটা।

    জয়শ্রী সিনেমা হলটা এক্কেবার আমাদের স্কুলের উলটো পারেই। সুতরাং কবে কখন কি সিনেমা চলছে তা দুবেলাই স্কুলে যাতায়াতের পথে চোখে পড়তোই। আর তাই আগেই টিকিট কেটে রাখা ছিল। ধন্যি মেয়ের পোষ্টার পড়ে গেছে দেওয়ালে দেওয়ালে। কি দারুণ কাস্টিং !

    সাহিত্যিক ‘বনফুল’—এর ভাই শ্রী অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের একটা মিষ্টি বই। জমিদার গোবর্ধন চৌধুরী’র ভূমিকায় জহর রায়। মূল নায়ক নায়িকা পার্থ চ্যাটার্জি আর জয়া ভাদুড়ি হলে কি হবে ? আসল তো উত্তম—সাবিত্রী জুটি। বগলা’র দাদা বৌদি। ফুটবল নিয়ে একটা জমজমাটি বাংলা ছবি। কলকাতার কাছাকাছি জগৎবল্লভপুরে তোলা হয়েছিল এই সিনেমার প্রায় অধিকাংশই বহির্দৃশ্য। হারিয়ে যাওয়া হাওড়ার “মার্টিন রেল” কে এখনো জ্যান্ত দেখা যায় এই সিনেমাটা দেখলে পরে।

    আর অভিনয়ের কথা তো মার-কাটারি ! এখনো যদি ধন্যি মেয়ে টিভিতে হঠাৎ চোখে পড়ে যায় তাহলে রিমোট হাত থেকে ফেলে দিতে হবে এমনই আকর্ষণ এই সিনেমাটার। বগলার দাদার চরিত্রে একটা ষ্টিরিও টাইপ অভিনয় করে গেলেন গুরু আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে সাবিত্রী। অবশ্য কেউই কম যান না এ ছবিতে। গ্রামের পুরোহিত ভট্‌চায্‌ এর সেই টিকি মাথা চরিত্র যখন ফুটবল ম্যাচের রেফারি হয়ে যান জমিদার গোবর্ধন চৌধুরী’র আদেশে, তার ব্যথা—বেদনা—আনন্দ সব কিছু মিলিয়ে এক অসাধারন সৃষ্টি রবি ঘোষের এই চরিত্রটি। জয়া ভাদুড়িকে আমি প্রথম দেখি বাংলা সিনেমায় এই ছবিতে ‘মনসা’ চরিত্রে। বাপ—মা হারা গ্রামের এই প্রানোচ্ছল মেয়েটি জমিদার মামার কাছে মানুষ হলে কি হবে, মেজাজ মার্জিতে এক্কেবারে ঝাঁসির রানী ! কি সব অভিনেতা অভিনেত্রী ছিলেন আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে ! আমরা খুব ভাগ্যবান যে বাংলা সিনেমার সুবর্ণ যুগের অভিনয় আমরা প্রাণ ভরে দেখতে পেয়েছি। এই ছবিতে একটা ছোট্ট রোল মনি শ্রীমানি’র ‘কামাখ্যা’। একটা কানে কম শোনা মানুষ যিনি কিনা মাইক ইত্যাদির দোকানদার। কি অসামান্য অভিব্যক্তি ঐটুকু ছোট্ট সময়ের অভিনয়ে !

    তা এমন একটা দুর্দান্ত সিনেমা শেষ হয়েছে সবে। মাথার মধ্যে ঝিমঝিম। হল থেকে বেরোনোর পালা। মনের আনাচে কানাচে ‘মনসা’—র মত একটা নায়িকার অনুরনণ। ‘এ ব্যথা কি যে ব্যাথা’ যেন আমারই মনেরই ব্যথা হয়ে গুনগুন করেই যাচ্ছিল সারাটা ক্ষণ। জয়শ্রী হল—এর কাঠের দরজা থেকে বেরিয়েই সব ছন্দ সব অনুরণন উধাও হয়ে গেল। সিনেমা হলের মূল কোলাপসিপল গেট বন্ধ। হাউসফুল দর্শক এর ভীড়ে ওই টুকু জায়গায় নিঃশ্বাস ফেলা যাচ্ছে না।

    ওই কোলাপসিপল গেট অল্প ফাঁক করে একজন একজন করে বার করছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অজস্র পুলিশের কয়েকজন। সামনেই দাঁড়িয়ে পুলিশ ভ্যান। মেয়েদের বাচ্চাদের বয়স্কদের ছাড় দিয়ে আমাদের থেকে আরও বড় যারা তাদেরকেই কি যেন জিজ্ঞেস করে করে যাকে ভাল লাগছে ওই পুলিশ গুলোর তাকেই ভ্যানে তোলা হচ্ছে। আতঙ্কে আমি তখন দিশেহারা। লুকিয়ে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরব শনিবারের বারবেলায়, এই ইচ্ছের একেবারে ডাঁটাচচ্চড়ি ! বাড়িতে জানে এক্স্ট্রা বাংলা ক্লাস করে বাড়ি ফিরবে ছেলে।

    ওই বয়সে আমরা যে কত আতা ছিলাম এখন তা বুঝতে পারি। আমার ঠিক আগের এক দাদা’কে পুলিশ জিজ্ঞেস করল ‘কোথায় বাড়ি’। দাদা বলল নৈনান পাড়া। তাকে ছেড়ে দিল। এর পর আমার পালা। কোথায় থাকিস ? জোরালো আওয়াজে তো আমার ফুল প্যান্টুল ভিজে যায় আর কি ! বললাম টবিন রোড।

    ওমা ! টবিন রোড শুনেই আদেশ হল ভ্যানে ওঠার। নারকেল গাছে না পড়ে বাজ পড়লে ঢ্যাঙা আমারই মাথায়। ভ্যানে ওঠার মধ্যেই দু-এক লাঠির ঘা পড়ে গেছে পেছনে।

    প্রায় জনা ত্রিশেক বাছা বাছা ক্রিমিনাল নিয়ে পুলিশ ভ্যান রওনা দিল বরানগর থানার দিকে। তখন বরানগর থানা ছিল গঙ্গার ধারে কুঠিঘাটে। ওখানে নিয়ে গিয়ে ভ্যান থেকে নামিয়ে সামনের বটগাছটার চারধারে আমাদের দাঁড় করিয়ে রেখে কয়েকটি পুলিশ থাকলো পাহারায়। মোটামুটি আদ্ধেক ক্রিমিনালই আমার বয়সী। এর পরে যে কি হবে সে কথা আজো ভাবলে ঘাম আসে শরীলে।

    খবর চাপা থাকে না। এই থানার আশে পাশেই কার যে চোখ পড়েছিল আমার ওপর তা আজ অব্দি আমি জানি না, কিন্তু এটুকু জানি যে আমার এই ক্রিমিনাল হয়ে ধরা পড়ার খবর প্রথমে স্কুলে এবং সেখান থেকে বাড়িতে পৌঁছে গেছিল ঘন্টা খানেকের মধ্যেই। স্কুলে ভাল ছেলে হিসেবে মোটামুটি একটা পরিচয় ছিলই। সেই সময়ে আমাদের প্রধান শিক্ষক ছিলেন রমানন্দ মহারাজ। ও বলাই হয়নি, আমি ছিলাম বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের ছাত্র। আর কি জানি কি কারনে মহারাজের খুব প্রিয়পাত্র। সেই আমি— এক মুহূর্তে, কি করে যে ক্রিমিনাল হয়ে পুলিশের কালো প্রিজন ভ্যানে চেপে থানায় চালান হয়ে গেলাম সে আর জানার উপায়ও নেই। ঠিক যেমন জানার আর বোধহয় উপায় ও নেই বরানগর—কাশীপুরের সেই গণহত্যার নির্মম ইতিহাস। কোথায় আর কি করে এবং কাদের দ্বারা সেই ইতিহাসের সমস্ত দলিল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল তাও জানিনা। অবশ্যই এ আমার শোনা কথা। পরবর্তী কালে বড় হয়ে জানতে পেরেছি যে সেই ইতিহাস এখনো অব্দি কারোর দ্বারাই উদ্ঘাটিত হয় নি। নকশাল আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর হতে আর বোধহয় খুব দেরী নেই।

    সন্ধ্যে নামল গঙ্গার পাড়ে। উলটো দিকেই বেলুর মঠের প্রার্থনার আওয়াজ তখনো হয়ত ভেসে আসত কুঠিঘাটের দিকে। কিন্তু সে সব আর কিছু মনেই নেই। শুধু মনে আছে আস্তে আস্তে রাস্তার ডুম্‌গুলো জ্বলে উঠতে লাগল। থানার ভেতরেও সেই লাল লাল ডুম্‌ একটা গোল শেডের মধ্যে গঙ্গার হাওয়ায় হাওয়ায় অল্প অল্প দুলে উঠল। তখনো অব্দি সরকারি দপ্তরে ওই ষাট বা একশো ওয়াটের ডুমের আলোই জ্বলতো। সাদা টিউবলাইট এসেছে তারও অনেক পরে।

    শুরু হল এক এক করে ডাক। সেই প্রথম জানলাম থানার ওসি কে বড়বাবু বলেই ডাকে সবাই অন্ততঃ আড়ালে। আর তাঁর অধস্তন পুলিশের কাছে তিনি শুধুই ‘স্যার’। ব্রিটিশ শাসনকর্তাদের আর একটি মগজ ধোলাই এই সম্বোধনটি এখনো স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও বহাল তবিয়তে বিদ্যমান। বাঙালীর সম্বোধনেও আজ বেশ গেড়ে বসেছে এই ‘স্যার’ শব্দটা আমাদের সেই পুরোনো ‘মহাশয়—মশাই—মশায়—মহাই’ এর পরিবর্তে। কত আধুনিক হয়ে যাচ্ছি আমরা বাঙালি আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য হারিয়ে !

    সন্ধ্যে সাড়ে সাত কি আটটা নাগাদ আমায় যেতে হল সেই বড়বাবুর টেবিলের সামনে। সেই টেবিলের দুপাশে আরো দুই পুলিশ। আমি সামনে যেতেই পর পর প্রশ্ন ধেয়ে এল। কি নাম, কোথায় থা হয়, কি করা হয়, কেন সিনেমা দেখতে গেছিলাম, নকশাল পার্টি করি কিনা ইত্যাদি অসংখ্য অসংখ্য জিজ্ঞাস্য। আর আমার উত্তরগুলো সবই একজন লিখছিলেন একটা কাগজে। এর মধ্যেই দেখা গেল আমার বড় কাকা এসে আমার পিছনেই দাঁড়িয়ে গেছেন। আমি তো তখন ফাঁসীর সময় গুনছি। মাথা নীচু।

    এই সব মূল্যবান জবাব লেখার পরে আমাকে মুক্তি দেওয়া হল অনেক হম্বিতম্বি করার পর। ক্রিমিনাল জগত থেকে আবার ফিরলাম আমার জগতে। কাকা গম্ভীর। একটা রিক্সা ডেকে আমি আর কাকা রওনা দিলাম বাড়ির দিকে। মনের মধ্যে অসংখ্য জোনাকির জ্বলা নেভা। কি কি প্রশ্ন আমার দিকে আসবে আর তার কি কি বানানো উত্তর দেব সেই ভাবনায়। বাড়ি এবং স্কুল দুজায়গায়ই। মিথ্যে কথা বলে সিনেমা দেখা ! ১৯৭১ সালে ! তখনো রাস্তার আলো জ্বলে গেলে বাড়ি ঢুকতেই হত আমাদের বয়সী সব ছেলেদেরই। অলিখিত এই সিষ্টেমকে আমরা কেউ কখনোই প্রশ্ন করতে শিখিনি বা পারিনি।

    আমার আদরের দিদিভাই মানে আমার ঠাকুমা তখনো বেঁচে। এতটা রাস্তা রিক্সায় কাকা সেই ফেলুদার মত সিরিয়াস। আমিও তথৈবচ। ক্ষিধেয় পেটে ছুঁচোর কেত্তন কিন্তু ক্ষিধে পাচ্ছে না ভয়ে। বাড়ি ঢুকতেই ফুলঝুরির ফুলের মত আবারো প্রশ্নমালা ! খুঁজছি দিদিভাইকে। হঠাৎ ওই গর্জনের মধ্যেই যেন ভেসে এল পাহাড়ের ওপর থেকে বুদ্ধ মন্দিরের ঘন্টাধ্বনির আওয়াজ। মিষ্টি। সুরেলা। বিশ্বাসের।

    ‘ভাই, কি হয়েছিল ? এসো আমার কাছে। খুব ক্ষিধে পেয়েছে তোমার, তাই না ?’

    দিদিভাই আমাকে চিরটাকাল ভাই বলেই ডাকতেন। আজকের দিনে ভাইফোঁটাও দিতেন আমায়।

    @গৌতম দত্ত
    ১লা নভেম্বর, ২০১৬।
    ভাইফোঁটা।
    কলকাতা।
  • Ranjan Roy | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:১৭723729
  • @গৌতম দত্ত,
    আচ্ছা , ওই প্রাইমারি স্কুলের টিচার নন্দবাবু কি মিশনের ৬০ এর দশকের শেষের দিকের ওয়ার্ডেন আমাদের নন্দদা? ছোটখাট, সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরা , গালে কালো চাপদাড়ি?
    [এছাড়া একজন কেমিস্ট্রির নন্দদা ছিলেন, জয়শ্রী সিনেমার পাশে ইলেক্ট্রিকের দোকানে সন্ধ্যে বেলায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে আসতেন। বেশ রাশভারি।]
    হোস্টেলের নন্দদার সঙ্গে অনেক গল্প হত, তর্ক করেছি, বাঁদরামো করে জ্বালিয়েছি। আবার প্রশ্রয়ও পেয়েছি।
    সাদামাটা সরল জীবনের মানুষ; ওঁকে মেরে ফেলার মতন পাগলামি ও মূর্খতা হয় না, যদিও সব মৃত্যুই নিন্দনীয়।( যদি উনি আমাদের নন্দদা হন!)
  • Du | 57.184.54.93 | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:০৭723730
  • ভালো লাগলো
  • Kaushik R Ray | 2409:4060:2e98:6787:694b:9542:686c:2eaf | ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৫739285
  • ভালো লেখা। গৌতম দত্তের যোগাযোগ চাই।
    আমি অধুনা টবিন রোডইয় ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন