এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছোটলোক

    π লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ২৬৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:২১723393
  • গ্রুপে আলোচনা চলছে। এখানেও থাকলো। কথা হোক।

    Saikat Bandyopadhyay
    13 hrs
    দিলাশি হেমানানিরা পুরো লেখাটা এইমাত্র পড়লাম। সমস্যাটা ধরেছেন ঠিকই। এই প্যারাগ্রাফটা একেবারে মোক্ষমঃ "To Mocambo staff and restraunt at Park Street Kolkata Which doesn't consider human as human and differentiates, discriminates and stratifies them into classes just because he doesn't fit into your description of a perfect customer . ( doesn't own a iPhone maybe doesn't talk in English ) I m sorry you don't deserve a fine human like Manish bhaiya sitting and eating in your racist restraunt ."
    নতুন কিছু না। ভদ্রলোক আর ছোটোলোক শ্রেণী তো খুব স্পষ্ট করেই রয়েছে আমাদের দেশে। যেমন আছে ইন্ডিয়া আর ভারত। যেমন আছে ক্যালকাটা আর কলকাতা। শহর আর মফঃস্বল। ইংরিজি আর বাংলা। পোশাকের তফাত, ভাষার তফাত দেখে আমরা ঝপ করে বুঝে নিই, কারা আসলে "আমরা" আর কারা "ওরা"। কারা ইংরিজিতে কথা বলতে পারে, পোটেনশিয়ালি স্মার্টফোন রাখতে পারে, কারা চাষিভুষি, মূর্খ,মজুর, দেহাতি কিংবা গেঁয়ো বাঙালি। এই ভদ্রলোক-ছোটোলোক বিভেদটা বুঝতে, দেখবেন, আমাদের পাঁচ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগেনা। এবং বেশিরভাগ সময়েই আমরা ঠিকই বুঝি। যদি কখনও ভুল হয়, সেটা নিয়ে খিল্লি হয়। যেমন ধরুন, আমাকে যদি কোনো যুবতী যদি জেঠু বলে ডাকে, তাহলে যেমন আমার বন্ধুবান্ধবরা খিল্লি করবে ("এ বাবা বুড়ো-হাবড়া" বলে), একই ভাবে কেউ যদি ভুল করে দোকানের কর্মচারী ভেবে ফেলেন, তাহলেও খিল্লি হবে। "এ বাবা তোমাকে/ তোকে দোকান/মল এর লোক ভেবেছে? হা হা হি হি।" এরকম হয়, হয়েছে। এখানে অনুচ্চারিত যে বিষয়টি থাকে, তা হল "ওরে তোকে ছোটোলোক ভেবেছে"।
    তা, এসবের মধ্যেই আমরা বাঁচি। এরপরেও রিকশাচালককে আপনি বলি অনেকেই, কাজের মাসিকেও আপনি বলি কেউ কেউ, ভালই করি। কিন্তু "ছোটোলোক" চেনার চোখটা আমাদের থেকেই যায়। সেটা আমাদেরও থাকে, "ছোটোলোক"দেরও থাকে। চলন-বলন-ভঙ্গী, এসবে মিশে থাকে। এবং এই ভাবেই দুনিয়াটাকে দুই ভাগ করে আমরাও দেখি, "ছোটোলোক"রাও দেখে। নারীবাদীরা অনুরূপ একটি ক্ষেত্রে একটি কথা বলেন, "মেল গেজ"। কিন্তু এই এই ক্ষেত্রে আমাদের সার্বজনীন চাউনির কোনো নাম নেই। যদিও সেটা আছে। থাকে। এই রেস্তোরা চোখে আঙুল দিয়ে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে।
    কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কি আদৌ কিছু দেখব? এই প্রশ্নটার জন্যই এতটা টাইপ করলাম, কারণ, বাকিটা অনেকেই লিখেছেন, বা লিখবেন। আমরা মানে ধরুন, আমি, বেশ সেন্সিটিভ লোক, বা এই মহিলা, যিনি পোস্টটা করেছেন, তিনি,এইসব ভদ্রলোকরা মাঝে মাঝে এসবে শকড হব, কিন্তু বুঝব কি? আমার সন্দেহ আছে। কোনো একটা জিনিসকে বোঝার প্রথম শর্ত হল, সমস্যাটাকে চিহ্নিত এবং ক্যাটেগরাইজ করা। ধরুন, পশ্চিমী সভ্যতা নানা সমস্যাকে ইদানিং নানা ভাবে চিহ্নিত করেছে, যেগুলো আগে ভাষার রেডারে ছিলনা। যেমন রেসিজম, যেমন বুলি করা। এগুলো নতুন নতুন সব সমস্যা, চিহ্নিত করার পর, যাদের মোকাবিলা করার রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। "বুলি" শব্দটাই না থাকলে সমস্যাটাকে বর্ণনাও করা যেতনা, মোকাবিলা তো দূরের কথা।
    মজা হচ্ছে, এখানে আমাদের সমস্যাটা কি আমরা জানিনা। ক্যাটেগরাইজই করিনি। এই যে "মেল গেজ"এর প্রতিতুলনা দিয়ে একটা চাউনির কথা বললাম, সেটার কোনো নাম নেই। কেন নেই? না আমরা যে "ছোটোলোক"দের "ছোটোলোক" হিসেবে চিহ্নিত করি, সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষেই করি, সেটা আমরা স্বীকার করিনা। এটা তো প্রথম ধাপ। পরের ধাপে, "ছোটোলোকদের নানা ভাবে নিচু নজরে দেখা হয়" -- এই বয়ানটাকেও আমরা অস্বীকার করি। কারণ ওটারও কোনো নাম নেই। কোনো জাতির লোককে নিচু নজরে দেখলে আমরা তাকে রেসিজম বলি। লক্ষ্য করে দেখবেন, ওই মহিলা তাঁর পোস্টে অন্য শব্দের অভাবে সেই শব্দটাই লিখেছেন। কিন্তু এটা রেসিজম নয়।কাস্টিজম নয়। "ছোটোলোকদের নিচু নজরে দেখা"। যার কোনো নাম নেই। আর যার নামই নেই, যাকে আইডেন্টিফাইই করা যায়না, তার সঙ্গে লড়াইটা হবে কিকরে? ভূতের সঙ্গে কি যুদ্ধ হয়?
    আমি এর একটা নাম দিতে পারি। ধরুন "ছোটোলোকবিদ্বেষ"। পাতি বাংলা নাম। কিন্তু দিলেই পন্ডিতরা আপত্তি করবেন। সাধারণ মনুষ্যরাও। "কি ভাই, তুমি ছোটোলোক শব্দটা ব্যবহার করছ? তুমি মানো ছোটোলোক বলে একটা ব্যাপার আছে?" বোঝানো ভারি মুশকিল, যে, আমি মানি বা না মানি, রেসিজম যেমন আছে, "ছোটোলোকবিদ্বেষ" ও তেমনই আছে। এবং "ছোটোলোকবিচারের চাউনি" ভরপুর বিরাজমান। কিন্তু সেটা কেউ মেনে নেবেননা। তর্কের খাতিরে মেনে নিলেও এইটা বা এর কোনো প্রতিশব্দ কোথাও মান্যতা পাবেনা। কেন? সে আরেক রাজনীতির কথা। "রেসিজম" শব্দটা পশ্চিম থেকে এসেছে, কাজেই ওটা ভারি শব্দ। গ্ড়ণযোগ্যও। কিন্তু ওখানে তো "ছোটোলোক" নেই, কাজেই "ছোটোলোকবিদ্বেষ" শব্দটা ওখানে জন্মায়নি। কাজেই ওটার অস্তিত্বই নেই। মজা হল, "ছোটোলোক" বর্গটার অস্তিত্বের এর চেয়ে বড়ো প্রমাণ আর হয়না। এই দুনিয়াদারিতে, কে না জানে, পশ্চিম হল শিক্ষিত ও বাবু। তারা বলেছে, রেসিজম আছে, তাই আছে। বাবু "ছোটোলোকবিদ্বেষ" নিয়ে তো কিছু বলেননি।আমরা কি আর ছোটোমুখে অমন বড় বর্গ বানাতে পারি?
    এইটাই হল সেই বিশুদ্ধ ছোটোলোক চৈতন্য, যেখানে গ্লোবালি আমরা বাস করি। আমাদের কেউ বাবু আছেন। আবার আমাদের তুলনায় কেউ ছোটোলোক। কিন্তু সবই চলছে, যেন বিষয়টা নেই, এরকম একটা ভাব করে।তাই বলছিলাম কি, হইচই হচ্ছে, খুবই ভালো। কিন্তু বিষয়টাকে চিহ্নিত না করলে ফাইটটা দেবেন কিকরে? একটা ফ্যাশান ফ্যাড হয়েই যথাপূর্বং তথাপরং হয়ে যাবে। তন্ত্র কিংবা সামপ্লেস এলসে (এগুলো নিশ্চয়ই এখনও আছে), কোনোদিনই ছোটোলোকরা ঢুকতে পাবেনা।
    Like
    Like
    Love
    Haha
    Wow
    Sad
    Angry
    Comment
    55 You, Sakyajit Bhattacharya, Rouhin Banerjee and 52 others
    22 Comments
    1 share
    Comments
    Kuntal Deb Barman
    Kuntal Deb Barman " কিন্তু এটা রেসিজম নয়।কাস্টিজম নয়। "ছোটোলোকদের নিচু নজরে দেখা"। যার কোনো নাম নেই। "

    রেসিজম কিন্তু আপেক্ষিক ন​য়, কিন্তু ছোটোলোকবিদ্বেষ আপেক্ষিক ... আমি যেমন সাউথসিটি তে ছোটলোক তেমনি কারিগরপট্টির কেউ আমার পাড়ায় ছোটলোক..
    Like · Reply · 3 · 13 hrs
    Arijit Mondal
    Arijit Mondal ক্লাসিজম
    Like · Reply · 1 · 12 hrs
    Dibyajyoti Jana
    Dibyajyoti Jana তা হলে তো নতুন পরিভাষা আর‌ও বেশি করে দরকার।
    Like · Reply · 11 hrs
    Ipsita Pal

    Write a reply...

    Choose File
    Sayan Bhattacharyya
    Sayan Bhattacharyya https://www.facebook.com/groups/guruchandali/permalink/1344093665608576/

    ‎Prakalpa Bhattacharya‎ to গুরুচন্ডা৯ guruchandali
    13 hrs ·
    টুয়েলভ-এ পড়াকালীন আমি কলকাতায় থাকতাম। প্রায়ই নন্দন বা আকাদেমী যেতাম ৭৮সি/১ চড়ে। ফিরতাম হেঁটে। পার্ক স্ট্রীটের মোড়ে একটা রোল-এর দোকান ছিল, হট কাটি রোল। বিরাট রো...
    See More
    Like · Reply · Remove Preview · 1 · 13 hrs
    Indranil Basu
    Indranil Basu mohila ki "restaurant" spelling janen na? dubaar eki bhul korechhen dekhlaam.
    Like · Reply · 12 hrs
    Sekhar Sengupta
    Sekhar Sengupta সৈকত লিখেছে-"আমাদের কেউ বাবু আছেন | আবার আমাদের তুলনায় কেউ ছোটোলোক | কিন্তু সবই চলছে, যেন বিষয়টা নেই, এরকম একটা ভাব করে |"
    "ছোটোলোক" বিদ্বেষের আপেক্ষিকতার কথা সৈকতের লেখায় স্পষ্ট ভাবে উচ্চারিত | পশ্চিমের কথা বলতে পারব না, তবে এই বিদ্বেষ বা অবজ্ঞার ব্যা...See More
    Like · Reply · 4 · 12 hrs · Edited
    Sakyajit Bhattacharya
    Sakyajit Bhattacharya ছোটলোক শব্দটার একটা নির্দিষ্ট সামাজিক অ্যাসপেক্ট আছে। ছোট জাত এস্পেসালি নমঃশুদ্রদের এই সম্বোধন করা হত। সেখান থেকে শব্দটা পরে বিস্তারলাভ করেছে। কেউ ছোটলোক শব্দটা ইউজ করলে আমি আজকাল আগে তার পদবীটা দেখে নিই। তার মানে এই নয় যে নিজে ব্যবহার করি না, আমি নিজেও তো ভদ্রলোক
    Like · Reply · 2 · 12 hrs
    1 Reply
    Indranil Basu
    Indranil Basu গত সপ্তাহে মোক্যাম্বো গিয়েছিলাম, ৪ জন ছিলাম। এঁদের মধ্যে আমি সবচেয়ে খারাপ ড্রেস সেন্স ও ফ্যাশন সেন্সের অধিকারী। ককটেল তথা কন্টিনেন্টাল লাঞ্চ মোটামুটি আমিই অর্ডার করলাম এবং পাতি বাংলায়। কোনো অসুবিধা হল না কিন্তু। ও হ্যাঁ, আমি বেশির ভাগ সময়ে হাত দিয়ে খেতে ভালোবাসি, মোকাম্বোতেও আলাদা কিছু করিনি।

    আমার মনে হয়, ব্যাপারটা যত বেশি প্রচার পাচ্ছে তত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।
    Like · Reply · 1 · 12 hrs
    1 Reply
    Arijit Mondal
    Arijit Mondal শ্রেণিবিদ্বেশ
    Like · Reply · 1 · 12 hrs
    স্মৃতিলেখা চক্রবর্ত্তী
    স্মৃতিলেখা চক্রবর্ত্তী Dekhun, restaurant kimba club-er 1ta daay achhe, nijeder customer-der surokkhito rakhar. Tai, tara eta kortei pare. Mane, ainoto r ki..

    Tantra/Someplace Else niye plz samyobadi tanatani korben na. Sekhane ''chhotolok''-der dhukte dile, mohila-der osu...See More
    Like · Reply · 1 · 12 hrs
    4 Replies · 11 hrs
    Sayan Bhattacharyya
    Sayan Bhattacharyya Sekhar wrote: "এই বিদ্বেষ বা অবজ্ঞার ব্যাপারগুলো আমাদের চেতনায় ভয়ংকর ভাবে উপস্হিত"

    "Why... has the sheer pressure of the famished masses, who apparently hold an electoral whip-hand, not exploded in demands for social reparation incompatible with the c...See More

    LRB · Perry Anderson · After Nehru
    To hallow the solemn occasion, Nehru and his colleagues sat cross-legged around a sacred fire in…
    LRB.CO.UK
    Like · Reply · Remove Preview · 1 · 12 hrs
    Suvajit Chakraborty
    Suvajit Chakraborty eta to poriskaar open and shut case of discrimination. I'm regretting that I dined in this restaurant just few days ago.
    Like · Reply · 11 hrs
    Arpan Indu
    Arpan Indu এটাকে Classism তো বলাই যায়, যায়না??
    Like · Reply · 11 hrs
    Soumya Kanti Guha
    Soumya Kanti Guha "ওখানে তো "ছোটোলোক" নেই, কাজেই "ছোটোলোকবিদ্বেষ" শব্দটা ওখানে জন্মায়নি। " -" - Titanic movie ta dekhe mone hoechilo poschimeo "chotolok" concept ta ache ebong sathe sathe biddesho ache.
    Like · Reply · 2 · 11 hrs
    Sayan Bhattacharyya
    Sayan Bhattacharyya Arpan Indu wrote: "এটাকে Classism তো বলাই যায়, যায়না?"

    Yes, I think so. But the interesting thing (as Saikat is, I think, pointing out) is that in Bengali, there is no clear, distinct word for "classism". We have words for "class hatred" (shreneebidwe...See More
    Like · Reply · 6 hrs · Edited
    Arpan Indu
    Arpan Indu Word nei to ki hyechhe, toiri Kore nilei holo, r etake srenibidwesh o bola jaay to some extent
    Like · Reply · 6 hrs
    Sayan Bhattacharyya
    Sayan Bhattacharyya Actually the word "shreneebidwesh", too, does not exist, when I come to think of it. I have never heard it used.
    Like · Reply · 6 hrs
    Sayan Bhattacharyya
    Sayan Bhattacharyya "Word nei to ki hyechhe"

    This is why it matters:...See More

    Linguistic relativity - Wikipedia, the free encyclopedia
    EN.WIKIPEDIA.ORG
    Like · Reply · Remove Preview · 6 hrs
    Arijit Mondal
    Arijit Mondal Sayan Bhattacharyya wrote :"Actually the word "shreneebidwesh", too, does not exist, when I come to think of it. I have never heard it used." https://www.google.co.in/webhp?sourceid=chrome-instant...

    Google
    GOOGLE.CO.IN
    Like · Reply · Remove Preview · 6 hrs · Edited
    Sayan Bhattacharyya
    Sayan Bhattacharyya Only four or five instances, Arijit. A statistically insignificant number!
    Like · Reply · 6 hrs
    I
    Like · Reply · 3 hrs
    Rouhin Banerjee
    Rouhin Banerjee অনেক রকমের প্রতিবাদের প্রস্তাব পাচ্ছি। আবার উলটো কথাও অনেকে বলেছেন। যাই হোক আসল কথা হল এই ধরণের রেস্টুরেন্ট বা ক্লাবগুলো এই অদ্ভুত নিয়মগুলো দীর্ঘদিন চালিয়ে আসছে। প্রশ্নটা হল এরা কি অটোনমাস বডি? যদি তা না হয় (বা যদি হয়ও) - তাহলে এরকম বেসিক সংবিধান বিরোধী নিয়ম চালু রাখার অধিকার এদের আছে কি? না থাকলে এটা নিয়ে সামগ্রীকভাবে একটা জনস্বার্থ মামলা কেন করা যায় না? শুধু মোকাম্বো নয়, এরকম নিয়মযুক্ত সব রেস্টুরেন্ট, ক্লাব ইত্যাদিকে পার্টি করে। মোকাম্বোর মত যাদের লিখিত নিয়ম নেই তাদেরও এক্ষেত্রে কড়া বার্তা দেওয়া দরকার
    Unlike · Reply · 3 · 2 hrs
    Abhishek Sarkar
    Abhishek Sarkar বিদ্বেষের রকমফেরগুলো চিহ্নিত হতে গেলে মোকাম্বো জাতীয় ঘটনা খুব দরকারি। চালকটি যদি এই দয়ালু মহিলার সাথে ভেতরে ঢুকে তার বদান্যতায় খেয়েদেয়ে বাড়ি ফিরতেন, তাহলে কি এই রকমভাবে ফেবুগামী জনতার সামনে এই আয়নাটা উঠে আসত! বস্তুত মোকাম্বোর অভিব্যাক্তির প্রতিটি অনুরণনে কি শহরেরই 'ভদ্রলোক' গোষ্ঠীর স্বর নেই!! আমরা যাকে বা যাদের ভালো করে পড়ে ফেলতে পারিনা,তাদেরকেই পাই ভয়।সেটাই বোধহয় ঘৃণার আদগুরু। টাই পরা মানুষও লিমিট ছাপিয়ে মাতলামো করতেই পারেন। মোকাম্বো(বা এই গোত্রের সমস্ত ঘাটির) ম্যানেজমেন্ট এই জাতীয় ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে প্রস্তুত। কিন্তু অটোচালক,বাসের হেল্পার,হিজড়ে,ফুটপাথবাসি,খালপাড়বাসি কিম্বা এই ড্রাইভারদের মতন 'ক্লাস' নিয়ে তো ড্যামেজ কন্ট্রোল ট্রেনিং দেওয়া হয়নি। তাই সবচেয়ে সহজ হল এদের ঢুকতে না দিয়েই সব আশু সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া। তবু দেখুন মোকাম্বো অন্ত্যত ঢুকতে দেবে না এটা বলতে পারে। সত্যি করে তাতে এইসব মানুষদের খুব কিছু এসে যায়না। কিন্তু যে সব প্রতিষ্ঠানকে খাতায় কলমে সবাইকে নিয়ে চলতে হয়- তাদের দ্বিচারণ আরও প্রকট নয় কি! থানা,আদালত কিম্বা হাসপাতালে এই সব লোকেদের সাথে গড়পড়তা কেমন ব্যাবহার করা হয় - সেটাই বলছি। সে সব তো আর মোকাম্বো নয় যে না হলেও বিকল্প থাকে! খুব তোত্তোচানের কথা মনে পড়ছে জানেন! সেই যেখানে এক চাষিকে ক্লাস নিতে ডাকা হয়। অন্য শ্রেণি বা ধাঁচের মানুষ মাত্রেই যে ভিনগ্রহী গুবরেপোকা নয়,এটা ছোট্ট থেকে সবার যত্ন নিয়ে বুঝতে বোধহয় এটাই প্রথম ধাপ...তারপরেও অবশ্য আরও অনেক কিছু করা বাকি।কিন্তু শুরুটা এই মডেলে হলে মন্দ হবেনা হয়ত!
    Like · Reply · 1 · 1 hr
    Saikat Bandyopadhyay
    Saikat Bandyopadhyay "কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বড়লোকেরা গরীব লোকেদের উপর গরীব লোকেদের দিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিইয়ে আসছে বহুদিন ধরে। এতে বড়লোকেদের ফায়দা হল এর ফলে তাদের ঝাঁ-চকচকে জায়গায় নোংরা নোংরা গরীব লোকেদের দেখতে হয় না এবং সেই সব ঝাঁ-চকচকে জায়গার শোভা ও সম্পদ বৃদ্ধি করার জন্য আসা অনান্য বড়লোকেরা সুরক্ষিত বোধ করে। মোক্যাম্বো সহ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে সেণ্ট জেভিয়ার্স অব্ধি পুরো পার্কস্ট্রীটের দুইদিকের সব ফুর্তিশালারই এক দশা। বেঙ্গল, টলি, ক্যালকাটা, আর-সি-জি-সি সহ ‘প্রাইভেট ক্লাব’নাম্নী মহাফুর্তিশালা-গুলিরও অনুরূপ দশা। শালাদের ফুর্তিতে একটু রাশ টানা প্রয়োজন। মোক্যাম্বো জানিয়েছে যে ওরা রাস্তার লোকেদের জায়গা দেয় না। মোক্যাম্বোদের জানানো যাক, যে, জায়গাগুলো ওদের হতে পারে, কিন্তু সেই সব জায়গায় যাওয়ার রাস্তাগুলো মানুষদের। "

    একটা প্রতিবাদী ইভেন্টে আমাকে ডেকেছিলেন কেউ। Atindriyo Chakraborty অন্যতম হোস্ট দেখলাম। এটা তার বয়ান। দেখবেন, রেসিজমের বদলে এখানে একটা ধনী-গরীব দৃষ্টিভঙ্গী আনা হয়েছে। কিন্তু এটা যেমন রেসিজম না, তেমনই কেবলমাত্র ধনী-গরীব বৈষম্যও না। ব্যক্তিগত উদাহরণই দিই।আমার পৈতৃক বাড়ি গ্রামে । যদি সেখানকার কিছু পরিচিত এমনকি আত্মীয়সজনকেও এই সিচুয়েশনে বসাই, এইসব ঝা চকচকে জায়গায় তাঁদেরও আটকানো হবে, এবং তাঁরা নিজেরাও অস্বস্তি বোধ করবেন। যদিও, ট্র‌্যাডিশনাল অর্থে এঁরা কেউ গরীব না। একজন নাপিতকে চিনতাম। আমার শ্বশুরবাড়ির ওখানে। বহুকাল আগে ঝাড়খন্ড থেকে এসেছিলেন। এখন হেবি ডিম্যান্ড, এলাকায়। তাঁর নিজের মুখেই শুনেছি, গ্রামে বড়ো বাড়ি বানিয়েছেন, এমনকি মাওবাদীরা 'বড়লোক' বলে চাঁদাও চায়। তিনি এখনও খাটো ধুতি পরেন, উবু হয়ে বসেন। ছ্হোটো করে ছাঁটা চুল এবং মুখে "অপরিশীলিত" বুলি। এই লোকটিরও কোনো জায়গা নেই ঝা চকচকে কলকাতায়। আমার আছে। আমি অটো থেকে নেমে ফাইভ স্টারে ঢুকলেও কেউ আটকাবেনা। ইনি টয়োটা থেকে নেমে ঢুকলেও সিকিউরিটি গার্ডরা ভুরু কোঁচকাবে।

    তাই বলছিলাম, রেসিজম না। স্রেফ গরীবিও না। "ছোটোলোক" চিহ্নায়নের একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে আমাদের। সেটা পোশাকে আছে, ইংরিজি বুলিতে আছে, বাংলা উচ্চারণে আছে। সেটাকে কীকরে আক্রমণ করা যায় ভাবুন।এটা শ্রেণী-লিঙ্গ-জাতি বৈষম্যের বাঁধা ছক না।
  • lcm | 179.229.10.212 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:১২723394
  • কনফিউজ করে দিন।

    থ্রি-পিস স্যুট, পাশ্চাত্য পোষাকে গিয়ে বাংলায় কথা বলুন, হাই-এর উত্তরে ধন্যবাদ বলুন। হ্যান্ডশেক করত এলে নমস্কার করুন।

    আবার - ধুতি, লুঙ্গি, পাজামা, মলিন/অমলিন যেমন খুশি দেশি পোষাকে গিয়ে গড়গড়িয়ে ইংরেজি বলুন -- 'ইয়াহা কেয়া চাহিয়ে' এর উত্তরে বলুন 'এক্সকিউজ মি, ক্যান আই গেট অ রিজার্ভেশন ফর টু প্লিজ...'- পারলে একটু অ্যাকসেন্ট জুড়ে দিন, খুব এফেক্ট হয়।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২১723395
  • মোকাম্বোর মত ঘটনার অভজ্ঞতা একবার হয়েছিল গোলপার্কের বেদুইনে। আমাকে বসতে দেয় নি। আমার পোশাকে আশাক দেখে গরীব বোঝা যেত। বের করে দিয়েছিল। ১৯৯৬।
    এর পরে দামি জামা পরে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ফাইভস্টারে ঢুকেছি, আপ্যায়িত হয়েছি অথচ কোনো কিছু অর্ডার না দিয়ে উঠেও এসেছি। রেস্টুরেন্টের ওয়েটররা সশ্রদ্ধ বিনয়ের সঙ্গে ইয়েস ম্যাডাম, প্লিজ ম্যাডাম করেছে।
    না। কেউ পদবী জানতে চায় নি। শুধু পোশাক এখানে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর ছিল।
    মোকাম্বোর ঘটনা/পরিস্থিতি চাক্ষুষ না দেখলেও বুঝতে অসুবিধে হয় না।
    এবার এই ছোটোলোকবিদ্বেষকে কেন রেসিজম বলব না, সে নিয়ে আমার আপত্তি আছে। ছোটোলোক একটা বিশেষ রেস বা জাত, যাদের পোশাক গরীবের মত। আমি ইয়োরোপের বাসিন্দা। আমি যে দেশে থাকি সেখানে রেসিজম খুব বেশি। খুবই বেশি। বাট উই নেভার ডিসকাস ইট। ডিসকাস করবার চল নেই। এদেশেও আমাকে একাধিকবার কিছু রেস্টুরেন্টে ঢুকতে দেয় নি। ফাঁকা টেবল ছিল, তবু বলেছে জায়গা নেই। পরে সাদা চামড়ার লোককে ঢুকিয়ে সেখানে জায়গা পেয়েছি। মোভেনপিক রেস্টুরেন্ট শহরের মধ্যিখানে। মারাত্মক কিছু উপচে পড়া খদ্দেরের ভিড় তাদের হতো না যে জায়গা ছিল না আমাদেরকে ঢুকতে দেবার, কারণ এ ঘটনার বছর খানেকের মধ্যে সেই বিশেষ রেস্টুরেন্টটা ঐখান থেকে উঠে যায়, এখন সেখানে অন্য একটা দোকান আছে। এরকম আরো অভিজ্ঞতা আমার এক সাদা চামড়ার কোলিগের হয়েছিল। সে একজন কালো চামড়ার বন্ধুকে সঙ্গে করে লাঞ্চ খেতে রেস্টুরেন্টে ঢুকতে গেলে তাকে বলত, জায়গা নেই। এরকম কয়েকবার হবার পরে একবার সে বন্ধুকে দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে একা ঢোকে। জায়গা পায়। তারপরে বন্ধুকে নিয়ে আসে। সে আমাকে এই গল্প বলেছিল।
    রেস্টুরেন্টে আমার সবাই খদ্দের, সবার পরিষ্কার জামা, ভালো পোশাক। এক্ষেত্রে তারা তাড়িয়ে দেয় অন্য কারণে। ভয় পায় যে, কালো লোকে খেতে আসছে দেখে অন্য সাদা খদ্দেররা যদি পরে আর না আসে। এরকমটিই এরা ভাবে। তবে খুব বড়ো একটা গ্রুপ আগে থেকে টেবল বুক করে খেতে এলে তাদের সঙ্গে একজন কালো চামড়া থাকলে আপত্তি করবে না। কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে এরকম অলিখিত নিয়ম আছে। এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আমি নিজে গেছি, এবং সেই কারণেই মোকাম্বো হোক কি মোভেনপিক, ব্যাপারটা একই বলে মনে হচ্ছে। মোকাম্বোয় যে "ক্লাসের" লোকেরা আসে তাদের অহংকার ক্ষুন্ন হয় গরীব ড্রাইভার তাদের পাশের টেবলে বসলে। মোভেনপিকেও তাই। সম্পূর্ণ নিদাগ সাদা পরিবেশে এক ছিটে কালোও যেন না থাকে। আইনত পারে না, কিন্তু চেষ্টা করে ঠেকিয়ে রাখতে।
  • Abhyu | 126.202.97.179 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৩723396
  • একবার নরেন্দ্রপুরে রিইউনিয়নে গিয়েছিলাম। আমি, দাদা-বৌদি (তিন NRI), আমাদের সঙ্গে ছিল ড্রাইভার। খাবার সময় আমি গিয়ে বসেছি একটা বেঞ্চে। দাদা আমাকে উঠে এসে অন্য পাশে বসতে বলল, তা না হলে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টটা এমন হচ্ছিল যে বৌদির পাশে ড্রাইভার বসে পড়ছিল। এই তো অবস্থা।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৯723397
  • বিয়েবাড়ির সিস্টেমও আগে ওরকম ছিল, সেই পাত পেড়ে খাওয়াত যখন। বাড়ির ঝি ও আমন্ত্রিত থাকত নেমন্তন্নে। তবে ঝি চাকরদের খাবার ব্যবস্থা অন্য ঘরে। তাদের খাবার পদ কীরকম থাকত জানি না। কতটা আপ্যায়ন করে খাওয়ানো হতো সেসবও জানি না।
    একবার চাকরির জায়গায় এক কোলিগের ছেলের অন্নপ্রাশনের নেমন্তন্নেও অনুরূপ ব্যবহার পেয়েছি। বালিগঞ্জ প্লেস ১৯৯৮/৯৯। বড়ো বড়ো বস লোকেদের বসবার জায়গা অন্য ঘরে। চাকর বাকর বেয়ারা ড্রাইভার এদের খাবার জায়গা অন্য ঘরে। সেঘরে রিসেপশানিস্ট মেয়েটিকে এবং আমাকেও পাঠানো হয়েছিল। সে গল্পও সম্ভবত এই গুরুর পাতাতেই আগে লিখেছি।
    কোনো কিছুই নতুন নয়।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩২723398
  • name: কুমড়ো mail: country:

    IP Address : 198.155.168.109 (*) Date:14 Sep 2016 -- 12:22 AM

    এবং এটা আমার অভিজ্ঞতায় একেবারেই নতুন নয়। ১৯৯৬ তে ঘটেছিল। কুড়ি বছর তো কম সময় নয়। কাজেই এটাকে নতুন ফেনোমেনন বলতেও বাধছে। এই ঘটনা আজ আমি ঐ ড্রাইভারের ঘটনার পরে নতুন কিছু বানিয়েও বলছি না। প্রায় দেড় দু বছর আগে এই গুরুর পাতাতেই সেই অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছি। ছোটোলোক হিসেবে চিহ্নিত হবার পরে নিজেকে কেমন লাগে, তা কেবল ছোটোলোক অবস্থাতেই বোঝা যায়। দূর থেকে বোঝা জাস্ট অসম্ভব।

    name: কুমড়ো mail: country:

    IP Address : 198.155.168.109 (*) Date:14 Sep 2016 -- 12:17 AM

    আকা,
    এই ঘটনাগুলো "বিচ্ছিন্ন"ভাবে হয়। সবসময় না ও হতে পারে। তবে হয়। সবাই রিপোর্ট করে না। এক্ষেত্রে এই মহিলাটি রিপোর্ট করেছেন। আমার ওপরে যখন হয়েছিল আমি রিপোর্ট করিনি। সে সময়ে অত সময় ধৈর্য ইচ্ছে কোনোটাই ছিল না। উপায়ও জানতাম না। কিন্তু সংখ্যায় কম হলেই যে জিনিসটা হয় না তা তো নয়। হয়। আগেও হয়েছে। যাদের ওপর হয় নি, তারা বলতেই পারেন হয় না।
    যেমন রেপ। পঞ্চাশজন মেয়ে একটা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যান কোনোদিনো কিছু হয় নি, একান্ন নম্বরের ওপর হঠাৎই একদিন রেপ হলো। তাহলে কি সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা? মে বী। কিন্তু ঘটনাটা ঘটেছে বা ঘটে থাকে। ফ্রিকোয়েন্সি কম হলেও তাকে আমরা উড়িয়ে দিতে পারি কি?
  • কুমড়ো | 198.155.168.109 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৪723399
  • আসলে আমরা অনেকেই ব্যাপারটা রেকগনাইজ করতে চাইছি না।
    সেটা আরো ভয়ঙ্কর।
  • কুমড়ো | 198.155.168.109 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৮723400
  • ২০০১ সালে আমার বাড়িতে দুপুরের নেমন্তন্ন খেতে এসছিলেন সস্ত্রীক এক সরকারি আমলা। নাম নেব না। তাঁকে সবাই চেনে। যাইহোক, তাঁর ড্রাইৰারকে ডেকে এনে খেতে দেবো, তো তাঁরা বাধা দিলেন। ড্রাইভার আসবে না। তারপর বললাম, বেশ তবে গাড়িতে খাবার দিয়ে আসি?
    তাতেও বাধা।
    খুব খারাপ লেগেছিল।
  • Sayantani | 11.39.56.76 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:২১723401
  • আমার অনেকটা এই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বাড়ির ছাদে পিকনিক হবে, বন্ধুরা রান্না করে খাব। এক বন্ধুর ড্রাইভার অপেক্ষা করবে পুরো সময়। ন্যাচারালি আমরা তাকেও খাবার দিতে চাইলাম। বন্ধুটি রাজি হলোনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন