এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নীলাঞ্জন সৈয়দ | 113.196.3.78 | ০২ অক্টোবর ২০১৬ ১৫:১৮721546
  • আমেরিকার ভেতরেই আছে যেমন অন্য আমেরিকা।ভারতের ভেতরেই আছে অন্য ভারত বর্ষ।যে খবর ভারতবর্ষের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মানুষ পাননি।টিপিকাল ধারণা নিয়ে বাগবিতণ্ডা করেন।
    নাম টা ধরুন তাঁর তনুজা বেগম।বাস করেন এক জংলা গ্রামে।স্বামী বাইরে থাকেন ,সেনাবাহিনীতে কাজ করেন।
    শ্বশুর মশাই ধর্মপ্রান মানুষ।
    তনুজা কিন্তু জিনস পরেন যখন বাজারে যান।ভাবছেন স্কুটি করে বাজার যান?উঁহু বাইক নিয়ে বাজার বেরোন।শ্বশুর মশাই তাঁকে কিচ্ছুটি বলেন না।
    বলুন এই তনুজার খবর জানতেন আপনারা?
    আপনার মনে হচ্ছে না তনুজার উচিত ছিল বোরখা পরা?
    আরেকজনের নাম ঐ ধরা যাক জারিনা খাতুন।সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে।বুঝলেন সে প্রেমে পড়ল শ্যামল মুখুজ্যের সাথে।গভীর প্রেম।ভাবছেন বুঝি এবার দাঙ্গা লাগল ,বুঝি।বাপরে কি সব্বনেশে ব্যাপার।
    ইয়ে না।শ্যামলের বন্ধুরা যেমন শফিক,আবুল সবাই সাহায্য করছে চিঠি চালাচালি তে।
    দুই পরিবারের কানে উঠে গেল।
    শ্যামলের বাবা তো চিন্তিত হয়ে পড়লেন।জারিনার বাবাও চিন্তিত হলেন।
    কিন্তু প্রেম কিন্তু বন্ধ হল না।শ্যামল তো ঠিক করে নিয়েছে সে জারিনাকে 'বিবাহ করিবেই করিবে।'
    কিন্তু 'তা হইল না।ভাল পাত্রর সহিত জারিনার বিবাহ হইয়া গেল ।'
    তারপরেও কিন্তু গল্প শেষ হয়নি।
    জারিনা বিয়ের প্রথম দিনই সমস্ত প্রেম পত্র স্বামী কে দেখিয়ে দিল।তৎক্ষনাৎ স্বামী 'তাহাকে বাড়ি পাঠাইয়া দিলেন।''তাহার পর জারিনার কি হইয়াছিল সে অন্য গল্প।'অন্য দিন অন্য সময় বলব।এই পোষ্টের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।
    'বিমল প্রেমে পড়িয়াছে ছাত্রী ইন্নি খাতুনের।'মুখ খানি ভারি মিষ্টি।এক চাইলে দৃষ্টি ফেরানো যায়না।''পড়ানোর বদলে খালি চাহিয়া থাকিত।'সদ্য সে চাকরি পেয়েছে।বয়স খুব অল্প।দেখলে আরো অল্প মনে হয়।একবার ইন্সপেকটর 'সরিজমিনে'এসে ওকে ছাত্র ঠাউরেছিলেন।বলেছিলেন,'খোকা এদিকে এস তো।'
    ইন্নি খাতুনও 'প্রেমে পড়িয়া'গেল।
    বিমলের মা তো শুনে আতঙ্কে দিশাহারা।কাঁদ কাঁদ স্বরে বললেন,'বাবা অমন কাজ করিসনি।ওরা সাংঘাতিক।'
    ওরা সত্যিই সাংঘাতিক ছিল।
    আর বিশদে যাবনা।উপসংহারে চলে আসি।ওদের প্রেম বাস্তবায়িত হয়েছিল।ইন্নি খাতুন আর বিমল সুখে 'সংসার করিতেছে।'কোন বাধা আসেনি।
    ইন্নির বান্ধবী আমায় বলল 'ইন্নি এখন হিন্দু হইয়া গিয়াছে।সিঁথিতে লাল টকটকে সিঁদুর,হাতে শাঁখা। '
    আমার কাছে একটি মেয়ে পড়ত।সেও এই ভাবে বিয়ে করল একটি হিন্দু ছেলেকে।মেয়েটির বাবা 'জামাতি'করত।এত দূর পড়ে মনে হচ্ছেনা একেবারে বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসা?
    আসলে জামাতি বাবাটা পরের দিন অক্কা পেয়ে গেলেন।কোন বাধাবিঘ্নর সম্মুখিন হতে হয়নি।
    গ্রাম গঞ্জ সম্পর্কে বাবু সম্প্রদায়ের আজব ধারণা আছে।'তাঁহারা মনে করেন গ্রামের মানুষেরা দাওয়ায় বসে ভুড় ভুড় করিয়া হঁকো টানেন।'
    মণ্ডপ বসে।এত দূর পর্যন্ত পড়ে আমার নিজেরই 'লজ্জা লাগিতেছে।'
    ইউরোপ আমেরিকা গ্রামের লোকের কাছে আর দূর নয় জানেন?
    বেশ কিছু ছেলে একেবারে ধেদ্ধেড়ে গোবিন্দপুর থেকে বেরিয়ে একেবারে সোজা আমেরিকা।আগে থেকে হিন্দু উদাহরণ ছিল এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু মুসলমান ছাত্র।
    নতুন প্রজন্মের প্রায়ই সব ছেলেমেয়েরা ক্রিকেটে ভারতকে সমর্থন করে।(এবিষয়ে আমার সঙ্গে কেউ তর্ক করতে আসবেন না।আমি যে ভাবে ওদের সাথে ঘনিষ্ট ভাবে থাকি ,আমি ভালভাবে জানি।)
    পাকিস্তান কে জঙ্গি রাষ্ট্র বলে চেনে।প্রতিদিন টিভিতে খবরের কাগজে পড়ে আপনা থেকেই এই প্রভাব এসে যেতে পারে।বরং উলটোটা হওয়া একটু কঠিন ব্যাপার।।।।
  • avi | 233.191.51.25 | ০২ অক্টোবর ২০১৬ ১৮:৫৮721547
  • হুঁ। কোনো কিছুই হোমোজেনাস নয়। শহরের সব মানুষই গ্রাম বলতে একরকম ভাবেন তাও না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার দেখেছি, অনেক মানুষ গ্রামে জীবনের একটা বড় অংশ কাটানোর পরেও একইরকম স্টিরিওটাইপিং করেন। আমি নিজে নয়ের দশকে কলকাতার আড়াইশো কিলোমিটার দূরের গ্রামে দেখেছি লোকজন দিব্যি পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জেতা, সীতারাম কেশরীর কংগ্রেস, টি এন শেষন, গণেশের দুধ নিয়ে আলোচনা করতো। শরৎচন্দ্রের পল্লীসমাজ তখন পড়ে মনে হত একশো বছর আগে গ্রামের লোকেরা কিছুই খোঁজ রাখত না। আবার পরে নীরদচন্দ্রের লেখায় দেখছি সেটাও হোমোজেনাস না, অনেকেই অনেক খবরই রাখত।
  • Robu | 11.39.39.127 | ০২ অক্টোবর ২০১৬ ১৯:১০721548
  • কিন্তু হোমোজেনাস করে ফেলার প্রচেষ্টাটিকে আইডেন্টিফাই করা জরুরী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন