এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দুটি মৃত্যু একটি আবাল এবং অসংখ্য আবালপোনা

    শঙ্খ
    অন্যান্য | ২৯ জুলাই ২০১৬ | ৬০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শঙ্খ | 55.124.6.219 | ২৯ জুলাই ২০১৬ ২৩:৩৩716798
  • তালে আজ দিনের শেষে কি দাঁড়ালো? পেনসিল নাকি রাবার নাকি আধ চিবোনো পেন কি পরে রইলো হাতে? আচ্ছা তবে হিসেব মেলানো যাক। আজকের বিশেষ বিশেষ খবরের প্রথমেই আবেশের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহের বাতাবরণ, ফাউন্ড ফুটেজের জায়গায় মিসিং ফুটেজের ভুতের হানা, দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত খুন? আবেগ আর যুক্তির কুস্তি। চান করতে করতে চোখ বুলোনো খবরের কাগজ আর দাঁড়ি কামাতে কামাতে কিংবা বউ শ্বাশুরির ঝগড়ার বিজেতা বা বাংলা সিরিয়ালে ডিনারের আইসক্রিম রাখা ফ্রিজের প্লাগ খুলে কে কাকে দোষ দেবে জাতীয় জরুরি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার ফাঁকে ভুল করে কান যাওয়া এক্সক্লুসিভের কল্যানে যুক্তি প্রথম রাউন্ডেই নক আউট। মদ খাওয়া হেব্বি খারাপ, বন্ধ করতেই এদিকে বিহার আর ওদিকে গুজরাট পুরো অমরাবতী হয়ে গ্যাছে। সোমরস যোগ, বিয়ো্‌ গুন, ভাগ না জেনে খেলেই নিজে মরবে বা লোককে মারবে/তারপর সাতেরো বছরের বাচ্ছা ছেলে, তাকে কেনো ভিড়ের মধ্যে ভোটার আই ডি দ্যাখেনি? অবশ্যি ভোটার কার্ড তো আজকাল আঠেরোতেই মেলে, ধুত্তোরি মদের দোকানি দেখলেই কেলাও। বত্রিশ বছরে দাঁড়িয়ে নিজের টাকা মায়ের থেকে নিতে কতখানি মাথা নিচু করে বাতাসের সুরে কথা বলতে হয়, রাস্তায় দাঁড় করিয়ে উদম কেলিয়ে, নাম বদলে পাঁঠা রেখে মানুষ করা শিক্ষককে সুলভ কমপ্লেক্সে দেখলেই কতটা ঝুঁকে পেন্নাম ঠুকতে হয়, বড় মাত্রেই চোখ বুঁজে উসেইন বোল্ট আর স্টেফি গ্রাফের কম্বো প্যাক জেনে বেদান্তের পিডিএফ খুঁজতে হয় সেসবের মেড ইসি ফেসবুকে থই থই। সতেরো তো ছার সাতাত্তোরেও তুমি বাচ্ছা তুমি কিচ্ছু জানো না, জানতে হবেও না, তুমি আবার নিজের দায়িত্ব কি শিখবে হে ছোকরা? এতে মন না ভরলে একলব্যকে দেখতে পারেন। পুরো সোনার টুকরো রোজ এক ঘটি দুধ খাওয়া ছেলে মশাই, পড়াশোনায় মুজতাবা আলি, গায়ত্রি স্পিভাক পাত্তা পাবেন না। মাধুরী থেকে ক্যাটরিনা হয়ে সোফি টারনার কোথায় বাড়ির সামনে তাবু খাটিয়ে দিন রাত হত্যে দেবে তা না, কটা বখে যাওয়া মেয়ে শালা একসাথে সড় করে টিসিংয়ের অভিযোগ?? ছি ছি এই জন্যই বলে কিছু না থাকলে আর ওই জন্যই কাউকে না জুটলে মেয়েরা ফেমিনিস্ট হয়ে যায়। শালা একে যেমন দেখতে তারপর আঁতেল, ওদিকে একগাদা মদ বিড়ি ফুঁকে যার তার সাথে শুয়ে ছ্যা ছ্যা বাকি আছে আর কিছু? জানেন দাদা ওদের কলেজের গেটের সামনে হাঁটাও যায় না, এত্ত ধোঁয়া, আগের দিন আসছিলুম দেখতে না পেয়ে কলার খোসায় পা উলটে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা খেয়ে সে কি কান্ড। খোসাটা সাইডেই ফেলেছিলুম নিশ্চয়ই ওরা শালা কেউ একটা পায়ের কাছে সরিয়ে দিয়েছিলো। এখনো কালো প্যাকেটে মুরে ওইসব বউএর জন্য আনি বুঝলেন, বাপ মরাতে মেয়ে পাড়ার ওষুধের দোকানে বসে আজকাল, লজ্জা লাগে, সেদিন প্যাকেট ছাড়া দিতে হেব্বি ঝাড় দিয়েছি, মামনি তুমি জামা খুলে ঘুড়লে কেমন লাগবে? পুরো চুপ! আরে ওর বাপের বয়সি আমি। তা হ্যাঁ যা বলছিলুম সিনেমায় দ্যাখেন না? মেয়ে না বললেই তার পেছনে গান গেয়ে কি রেলা নিয়ে ঘুরতে হয়, যেচে ঝামেলা বাঁধাতে হয়, একটু আধটু মার ধরও করতে হয় আদর করেই আর কি। আহা মায়ের জাত ওরা আর কতটুকু জানে? নিজেদেরই বোঝেনা নিজেরা। একলব্য তো ওইটেই করেছিল পুরো সলমন এর মত। ফেসবুক ঠিক করছে কেউ ওকে কিছু বললেই প্রোফাইল উড়িয়ে দাও। বাসে ট্রামে গ্রুপের দেওয়ালে, রাস্তায় হিসি করতে করতে এই সব আড্ডা সেরে যদি সময় মেলে তালে আমরা দুপুরের আজকের স্রেফ আজকের ব্লকব্লাস্টার খবর টা দেখে নেব।
    দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ ধরুন আমরা টিফিন বাক্স সাফ কর্‌ ছাদে গিয়ে একটু ফুঁকে, টেবিলে মাথা রেখে খানিকক্ষণ ঝিমিয়ে ফেসবুক খুলেছি। কুছ তো গরবড় হুয়া, নোটির জায়গায় লালে জ্বলজ্বল করছে বেশ মোটাসোটা একটা অঙ্ক। ওদিকে নিউস ফিডে চাকতি ঘুরছে ঘুরেই চলেছে,গুগলেরও একই দশা। কিন্তু কুছ পরোয়া নেহি, ততক্ষণে আপনি হোয়াটসয়াপের কল্যানে জেনে গ্যাছেন মহাশ্বেতা দেবী মারা গ্যাছেন। ভদ্রমহিলাকে হাল্কা চেনেন, একুশের মঞ্চে ওঁনার সুবিধার্থে আলাদা সিঁড়ি বানানো হয় শুনেছেন, নন্দিগ্রামে নাকি সিঙ্গুরে কি একটা করেছিলেন, বোধহয় টাটার দেওয়ালে ইঁট ছুঁড়ে ফল অফ বার্লিন ওয়ালের রিমেক করতে চেয়েছিলেন, অশিক্ষিত পাবলিক বোঝেনি। মহামান্য মুখ্যমন্ত্রীর টুইট নিয়ম করে দ্যাখেন আপনি, জেনেছেন উনি নাকি শুধু লিখতেন তাই না মাও ছিলেন। কার বা কাদের মা সে বিষয়ে ১৪০ শব্দে কিছু লেখা যায়নি। এতক্ষনে ফেসবুক গুগলের মাথাঘোরা থেমেছে, ফোন প্যান্টের পকেটে ক্রমাগত কেঁপে চলছে (মৃদু অস্বস্তি), প্রতি সেকেন্ডে গড়ে তিনটে করে আপডেট আসছে। "মহাশ্বেতা!!", "মহাশ্বেতা চলে গেলেন", "রেস্ট ইন পিস মহাশ্বেতা ", "মা! মা!! মাগো!! তুমি নেই, বাংলা সাহিত্য অনাথ হয়ে গেলো গো" ইত্যাদি ইত্যাদি। উইকিতে মহাশ্বেতার পেজ ক্রাশ করেছে কাজেই ভরসা ফেসবুক, কিছু একটা না লিখলে মান থাকবে না, বাড়োটা গ্রুপের মেম্বার আপনি, একটায় আবার আডমিন, বুদ্ধিজীবী হিসেবে সুনাম বা দুর্নাম আছে, কাজেই শুধু লেখা না জম্পেশ লেখা চাই। তা চাপ নেই একটু পোস্টগুলো চোখ বোলালেই হবে, যা চান যেভাবে চান সব মিলবে। কপাল ঠুকে লেগে পরা যাক।
    হ্যাঁ ঠিক মহাশ্বেতা মা ছিলেন, একটা ছেলে কনফার্ম, ওই খিস্তী আওড়ানো বামপন্থাকে খিল্লি করা বেঁটে রোগা শুকনো বুড়োটা (কি একটা নাম নবারুণ না কি), তার সাথে আবার হেব্বি খার ছিলো, মরে যেতে অবশ্য একটা কলাম লিখেছিলেন। এক কৌতূহলি জানতে চেয়েছেন ওঁনারা স্বর্গে দ্যাখা করলে পৃথিবীতে ঠিক কি কি কেলো হবে। মানে কটা বাজ পরবে, ক রিখটার স্কেলে মাটি কাঁপবে ইত্যাদি জরুরি তথ্য। কবির সুমন আর অর্ণব গোস্বামী ছাড়া এই মহামিলনের মুহূর্ত লাইভ বাঙালির টয়লেটে পৌছে দেবার সাহস আর কারোর নেই বলে এ বিষয়ে আর তথ্য নেই। ওদিকে এই রত্নটি ছাড়া ওনার নাকি আরও ১০৮৩ টি সন্তান ছিল, নিজের কি দত্তক পরিষ্কার না। মতান্তরে ১০৮৩ একটি রোবোটের নাম, ওঁনার ঘরের কাজ করে দিত, উনি শুধু মানুষ না যন্ত্রকেও সমান ভালোবাসতেন বলে ১০৮৩ কে সন্তানের মর্যাদা দ্যান। এই মতটা আপনার বেশ লাগে, একে ইঞ্জিনিয়ার, তায় আর২ডি২ আর সি৩পিও কে হেব্বি ভালবাসেন, স্টর্মট্রুপার দের নিয়েও একটু ফেটিশ আছে। এই বিতর্ক ছাড়া বাকি তথ্য মুলত এক ঘেঁয়ে ওই মহাশ্বেতা হাত বাড়ালেই বন্ধু কথাটা অক্ষরে অক্ষরে মানতেন, এবং যার তার ধোয়া না ধোয়া হাত নির্দ্বিধায় আঁকড়ে স্কুলের বাথরুম, পাম্প ঘর, পঞ্চায়েতের নতুন এলইডি টিভি, স্বরস্বতি পুজোর খুঁটি সব উদ্বোধন করতে চলে যেতেন। যারা নিয়ে গ্যাছেন তারা স্বীকার করেছেন এর পর তারা দীর্ঘদিন হাত ধোননি, এবং তাদের বর্তমান স্বাস্থ্য মহাশ্বেতার সাম্ভাব্য অলৌকিক ঈশ্বরীক শক্তির ইঙ্গিত। ওনার মাছের আর সব্জির ব্যাপারি, রিকশাওয়ালা বা ডাক্তারের খোঁজ চলছে, মিললেই আপডেট হবে।
    মহাশ্বেতা মুলত সাহিত্য চর্চা করতেন। প্রথম জীবনে বামপন্থার কুট চক্রান্তে উনি বিপথগামী হন অবশ্য পরবর্তীককালে সুমনের মতই ওনার বোধোদয় হয় এবং উনি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মাতৃসমা উপদেষ্টা হিসাবে খ্যাতি পান। ওনার সাহিত্য কীর্তি নিয়ে জানতে গেলে কিঞ্চিত সমস্যায় পরবেন। একদল আপনাকে বুক ঠুকে জানাবেন উনি মহিলা লেখক ছিলেন। পুরুষ লেখিকাদের মেয়েলি বুদ্ধিহীনতা এবং শক্তিহীনতা দিয়ে ওনাকে বিচার করা যাবে না। আশা করা যায় নিন্দুকদের সমালোচনা না মেনে এই মতালম্বিরা কোনোদিন মহাশ্বেতার লেখা থেকে এর স্বপক্ষে বক্তব্য রাখবেন, যে তথ্য একইসাথে পুরুষদের পুরুষত্ব ও নারীদের নারীত্ব নিয়ে কবির সুমনের যুগান্তকারী ভাবনার প্রাথমিক ভিত্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবে। আরো জানা যায় মহাশ্বেতা বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্য্‌ সমাজে, শিক্ষায়, দর্শনে, অর্থনীতিতে, এমনকি ফ্যাসনেও অপরিসীম অবদান রেখে গ্যাছেন। বিভীন্ন ব্যাক্তির জ্ঞ্যানগর্ভ রচনা ও ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা এ বিষয়ে আপনাকে আলোকিত করবে। শুধু এটুকুই না বক্তব্য ছাড়া শুধু লাইক কি লাভ কি স্যাড স্মাইলি দিলে আপনি যে মহাশ্বেতার ভক্ত না হয়ে মৃত্যদিনে তাকে চুড়ান্ত অসম্মান করলেন এবং সেটা করলে আপনাকে গুছিয়ে মেপে শ্যামবাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে গড়িয়া চেনানোর আন্তরিক আহ্বান জানানো খুবই স্বাভাবিক। তবে উল্টোদিকে আপনাকে ঘেঁটে দেবার জন্য মহাশ্বেতা কার মা, কার ব্‌ কার ঠাকুমা, সেসবের লিস্ট দিয়ে শেষে উনিও একটু কলম ধরতে পারতেন জাতীয় স্রোতের বিপরীত পর্যবেক্ষণও দ্যাখা যায়। ওহ হ্যাঁ ভুলেই গেছিলুম ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এবং গুপ্তচর বাহিনীর গোপন গবেষণায় জানা গ্যাছে মহাশ্বেতার ছদ্মনাম আশাপূর্ণা দেবী।
    নাহ এবার আমি ব্যাসদেবের শিষ্য হবার তাল করছি। মহাভারত নেমে গ্যাছে, মানে মানে একটা কনক্লুসনের ঝ্যাম মিটিয়ে থামা যাক। আপনি কি লিখবেন তালে? ছোট্টোর উপর মহাশ্বেতা খুবই ভালো লোক ছিলেন, ওনাকে ছাড়া বাংলা ভাস্কর পন্ডিত লুটে নিত, নবান্নে গরু চড়ত, ইডেনে বাঘ কলেজ স্কোয়ারে কুমির, দেশে তালিবান আসত কি চাইনিজরা (চিনেপাড়ার ভালো লোকগুলো না), রবীন্দ্রনাথ কালির দোকান মাথায় ঠুকে বিড়ি বেচতেন, জীবনানন্দ নিজেই নিজের সাইকেল চাপা পড়তেন, সুনিল আর শক্তি ইঁটভাটায় শালবন কেটে সাফ করে জ্বালান যোগান দিতেন ইত্যাদি। ব্যাস খেল খতম, পয়সা শুদ্ধু পার্স হারিয়েছে, এবার দাদুর দাঁড়ি শো কেসে না সাজানো হলেই বাঁচি।
    বি.দ্র.: মদ খেলে কি হয় আর না হয় সেটা না জেনে বা তৈরি না থেকে ওসব না খাওয়াই ভালো, নিজেকে হারাতে হলে বন্ধুদের মাঝে সেটা করাই মঙ্গল, হ্যাঁ বন্ধু, যারা আপনি টাল খেলে গ্লাসটা আর মাটিতে রাখা কাঁচের জিনিসগুলো সরিয়ে নেবে। এর বাইরে যার দায়িত্ব তার নিজের, সতেরো বিশেষ কম বয়স না। আর মদ খেলে যারা অপরাধ করেন, তারা ওটা না খেয়েও সেগুলো যে কোনদিন করে ফেলতে পারে্‌ করেনও, হয়ত কম মাত্রায়। একলব্য একটি অ-নামানুষ, গুছিয়ে ক্যাল খেলে শোধোন যোগ্য। আর মহাশ্বেতা সমাজকর্মী, নারীবাদি, বামপন্থি এবং লেখিকা হিসাবে যথেশষ্ট খ্যাতিমান ছিলেন। নিম্ন অর্থনীতিতে বাস করা এবং আদিবাসী মহিলাদের নিয়ে ওনার কাজ প্রশংসনীয়, এই বর্গের মানুষ বিশেষত মহিলাদের কাছে মা ডাকটা শোনার যোগ্য ব্যাক্তিত্ব। লেখার বিষয় খুবই ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ হলেও লিখনশৈলী আমার ব্যাক্তিগত ভাবে একদমই পছন্দের না। ফলে ক্ষতি হচ্ছে জেনেও বিশেষ পড়বার উৎসাহ পাইনি। রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও রাজনীতি সচেতন ছিলেন এবং টাটার কারখানা বা কেমিক্যাল হাবের দূষণ প্রসঙ্গে ওনার বক্তব্য মনোগ্রাহী, রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের বুদ্ধিজীবী মুখ হিসাবেও ওনার উপস্থিতি প্রথম সারিতে। ওনার একটিই ছেলে, হাজার চুরাশীর মা একটি লেখা বিশেষ, তবে প্রথম প্রতিশ্রুতি সিরিজ উনি লেখেননি, এবং আশাপূর্ণা বাস্তবে ছিলেন, তিনিই কষ্ট করে ওসব লেখেন।আর মহাশ্বেতার আত্মার শান্তি কামনার আগে ওনার পরলোক সংক্রান্ত ভাবনা সম্মন্ধে অবহিত থাকা দরকার, ভালো থাকুন বা শান্তিতে থাকুন বললে এই জন্যই ঝামেলা বাড়ে না। এবং বানানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
  • dc | 233.187.126.130 | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০২:৩২716807
  • ছোটবেলায় R2D2 আমার বেশী প্রিয় ছিল, কারন ওটার সেন্স অফ হিউমার আমার ভাল্লাগতো। এছাড়া আর কিছু বলার নেই। মহাশ্বেতা দেবীর লেখা পড়িনি, তাই ওনাকে নিয়ে কোন বক্তব্য নেই।
  • | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৯:৩৬716808
  • উফ! হাঁপিয়ের গেলাম। মাঝেমধ্যে এক আধটাএন্টার দিলে একটু পড়তে সুবিধে হয়।
  • শঙ্খ | 113.242.197.70 | ৩০ জুলাই ২০১৬ ২২:৫২716809
  • ইসে, বলছিলুম কি, শঙ্খ নামে আমি অনেক দিন আগে কিছুমিছু গুরুতে লিখেছি, মাঝখানে বেশ কিছুদিন সময়াভাবে লেখা আসেনি। হঠাৎ করে দু একজন অফলাইনে জানতে চাইলেন আমি কি আবার লিখতে শুরু করেছি? আমি জানতুম না,এসে দেখলুম এই নিকে সত্যিই লেখা এসেছে। নিক টা নিয়ে কনফিউশান হচ্ছে। খুবই কিন্তু কিন্তু করে জিগগেস করছি, আপনার পক্ষে কি অন্য কোন নিক নেওয়া সম্ভব?

    - শঙ্খ
  • aranya | 83.197.98.233 | ৩০ জুলাই ২০১৬ ২৩:৫৯716810
  • কলেজে বন্ধু ছিল, সূর্যপাতর মুন্ডা, বীরসার গ্রামের কাছে বাড়ি। কথায় কথায় বলে বীরসা ভগবান ছিলেন। বাংলা বই পড়ত। 'অরণ্যের অধিকার' পড়তে দিলাম, আর বললাম, দেখ সূর্য, বীরসা মানুষই ছিলেন, ভগবান নন, তবে খুব বিরল এক মানুষ। বইটা পড়ে ফেরত দিতে এসে অনেকক্ষণ কিছু বলে নি, চোখে জল চিকচিক করছিল। যাওয়ার সময় শুধু বলল - সব মুন্ডারা যদি এটা পড়তে পারত, সব মানুষ যদি পড়তে পারত ..

    মহাশ্বেতা তেমন কিছু বড় লেখক নন, শিশু সাহিত্যিক হিসাবে ভাল - সোশাল মিডিয়ায় এমন কিছু পোস্ট দেখে এটা মনে পড়ল।

    'হাজার চুরাশির মা' আর 'অরণ্যের অধিকার' এই দুটো বই এখনও হন্ট করে। জ্ঞানপীঠ খুব কম সাহিত্যিক-ই পেয়েছেন। বাংলা থেকে আশাপূর্ণা আর মহাশ্বেতা ছাড়া আর কেউ পেয়েছেন কি?

    দিনের শেষে, কারও লেখা ভাল লাগার ব্যাপারটা অবশ্য একেবারেই ব্যক্তিগত, বিভিন্ন পাঠকের অভিজ্ঞতা আলাদা হবে।
  • aranya | 83.197.98.233 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০০:০৭716811
  • আরও একটা মত দেখছি -মহাশ্বেতার সোশাল কমিটমেন্ট তর্কযোগ্য, কারণ উনি শেষ জীবনে তৃণমূল-কে সমর্থন করেছিলেন।
    সারা জীবনে প্রান্তিক মানুষ, আদিবাসীদের জন্য - লোধা, শবর দের জন্য যা করে গেছেন, তার ভগ্নাংশ-ও যদি অন্যরা করত..
    রাজনীতির রঙ না দেখে থাকতে পারেন না অনেকেই
  • Ekak | 53.224.129.60 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০০:১১716812
  • তারাশঙ্কর , বিষ্ণু দে আর সুভাষ মুখো বাবু পেয়েছেন । তথ্যের খাতিরে জানালুম । বাকি বিষয়ে আগ্রহ নেই ।
  • aranya | 83.197.98.233 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০০:১২716813
  • থ্যাংকস একক। গুগল করতে ইচ্ছে হচ্ছিল না, জানতাম কেউ লিখে দেবে
  • PT | 213.110.242.5 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩১716814
  • ছোটগল্প "দ্রৌপদী"-র কথা কেউ বললেন না.....
  • শঙ্খ শুভ্র | 113.219.44.253 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ২০:০৪716799
  • @দ হ্যাঁ ঠিক, প্যারাগ্রাফ গুলো একটু বেশি বড় হয়ে গ্যাছে। আসলে তিনটে বিষয় নিয়ে তিনটে আলাদা ভাবে আলোচোনা প্রয়োজোন ছিল, যেটা আমি ল্যাদ খেয়েই হোক কি বাংলা কী বোর্ড নিয়ে কুস্তি লড়তে গিয়েই হোক ঠিক সচেতন হইনি। :( আসুবিধার জন্য সত্যি দুঃখিত, কটা বানানও খুবি চোখে লাগছে, কিছু ঠিক করতে গিয়ে দায়িত্ব নিয়ে আরো কটা ভুল করে এসেছি :P

    @অরণ্য একদম। রাজনিতীর বাইরে ওনার কাজ গুলো দেখলেই ভালো তবে রাজনিতীতে ওনার ভূমিকা যাই হোক সেটাও দ্যাখা দরকার। মহাস্বেতা বড় কি ছোটো লেখক তার চেয়ে বড় তার লেখার বিষয়, তবে পাঠক হিসাবে মনে করি বিষয় কে শৈলী দিয়ে সাহায্য না করলে সেটাকে পৌছে দিতে সমস্যা হয়ে থাকে (উদাহরন স্বপ্নময়ের হলদে গোলাপ)।

    @শঙ্খ আমি সাধারণত আমার মিডিল নেম ব্যাবহার করি না তবে আসুবিধা এড়াতে সেটা করাই যায় !! শঙ্খশুভ্র চলুক তালে ??
  • Robu | 11.39.38.254 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ২২:৩১716800
  • বাহ, আপনি বেশ স্পোর্টিঙ্গ লোক। আরো লিখুন।
  • ranjan roy | 192.69.124.80 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ২৩:২০716801
  • মায়ের মূর্তি, স্তনদায়িনী এবং অবশ্যই পিটি যেটা বললেন--দ্রৌপদী।
    আর দ্রৌপদী নাটকে বি সাবিত্রীর পাগল করা অভিনয় যদি কেউ দেখে থাকেন তো এখানে সেই অভিজ্ঞতার কথা লিখুন।
    "চোট্টি মুন্ডার তীর" মন্দ লাগে নি।
    আর আদিবাসীদের নিজস্ব লেখা ছাপিয়ে বর্তিকা বলে পত্রিকাটির সম্পাদনা? বঙ্গের কোন লেখক পদ্মবিভুষণ পেয়েছেন কি?
    বিশেষ সময়ে কোন বিশেষ দলের সমর্থনে দাঁড়ানো দিয়ে কোন লেখকের সাহিত্যকীর্তির বিচার হবে?
    তারাশংকর আজীবন কংগ্রেসি, বুদ্ধদেব বসুর কথা সবাই জানেন।সুভাষ মুখো শেষজীবনে কংগ্রেস সমর্থক হয়ে গেলেন। ভুপেন হাজারিকা শেষজীবনে বিজেপির এমপি পদপ্রার্থী হলেন।নবারুণ নকশাল সমর্থক রইলেন। মহাশ্বেতা নন্দীগ্রামের সময় থেকে মমতাকে সমর্থন করেছেন আবার একবার মমতাকে ফ্যাশিস্ত বলায় দিদি ওকে চোখ রাঙিয়ে ছিলেন।
    কিন্তু যার সারাজীবনের কাজকম্ম রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুলিশের দাঁত নখের বিরুদ্ধে মুখর তাঁর শেষযাত্রায় রাষ্ট্রীয় সম্মান ও পুলিশের গান স্যালুট!
    এটা ওনাকে সম্মান না অসম্মান? ধন্দে আছি।
  • aranya | 83.197.98.233 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২১716802
  • দ্রৌপদী আর স্তনদায়িনী ক্লাসিক। আর একটা উপন্যাস খুব ছুঁয়ে গেছিল - অপারেশন বসাই টুডু।

    শঙ্খশুভ্র, আপনার লেখা ভাল লাগছে। নিয়মিত লিখবেন কিন্তু এখানে
  • d | 144.159.168.72 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৫৫716803
  • কিন্তু শুভ্র কি মিডল নেম? কেমন করে? 'শঙ্খশুভ্র' একটাই নাম না? শঙ্খের ন্যায় শুব হ্র যিনি --- শঙ্খশুভ্র।

    যাই হোক লিখুন আরো।
  • d | 144.159.168.72 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৫৬716804
  • * শঙ্খের ন্যায় শুভ্র যিনি -- শঙ্খশুভ্র
  • শঙ্খশুভ্র | 24.139.222.72 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১৫:৪০716805
  • বাংলায় তাই হয় বটে, ইংরাজি তে মিডিল নেম হিসাবেই হয়ে যায়, কেউ আর অত্ত বড় নামটা ডাকেও না। শঙ্খই হয়ে গ্যাছে বহুদিন :) বাংলাতে অবশ্যই দুটো মিলিয়ে সুন্দর মানে দাঁড়ায়, আমার দিদাও ওইটে ভেবেই নামটি রেখেছিলেন :P
  • পুপে | 120.5.74.2 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১৮:৫২716806
  • হুম্মম, রঙ মিলিয়ে দেখতে হবে একদিন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন