এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রাজনীতির নেতাদের ক্রমবর্ধ্মান মহিলা বিদ্বেষ নিয়ে কিছু কথা

    Dipankar Patra লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৫ মে ২০১৬ | ২৯৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipankar Patra | ১৫ মে ২০১৬ ২১:৩৬706849
  • যাদবপুরের ছাত্রীদের কে নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে কি খুব বিস্ময়ের কিছু আছে? আমার তো মনে হয় এটা আমাদের দেশের এক বিশাল সংখ্যক পুরুষের মন কেই মেলে ধরেছে। সেই পুরুষেরা, যারা মনে করে যে তারাই শ্রেষ্ঠ, প্রভু এবং সমগ্র নারী প্রজাতি তাদের প্রভুত্বের অনুগ্রহ ভাজন ক্রীতদাসী মাত্র। যারা মনে করে নারীর প্রকৃত স্থান অন্দরে, পর্দার আড়ালে থেকে তাদের ফাইফরমাশ খাটা, তাদের জন্য রান্নাবান্না করা, খাবার বেড়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা, সন্তানাদির জন্ম দেওয়া, প্রতিপালন করা, হাত ধরে স্কুলে, কোচিং ক্লাশে নিয়ে যাওয়া বাচ্ছা দের, রাত্রে তিনি ফিরলে সঙ্গে সঙ্গে হাত থেকে ব্যাগপত্র নিয়ে ঠান্ডা শরবতের গ্লাশ বা গরম চায়ের পেয়ালা এগিয়ে দেওয়া। এই নারী কখনো মা, কখনো বোন, কখনো স্ত্রী, কখনো কন্যা - কিন্তু মনের গভীরে তাদের সম্মন্ধে এক বিরাট অংশের পুরুষ সমাজের চিন্তা ভাবনা কি সেই রাজা রামমোহনের সময়ের থেকে কিছু এগিয়েছে?
    কয়েক বছর আগেই সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের কিছু উক্তি নিয়ে খুব হইচই হয়েছিল। বিবাহিত নারী-পুরুষের কর্তব্য নিয়ে তিনি কিছু বাণী বিতরন করেছিলেন।। নারীর স্থান ঘরের ভিতরে, কাজ ঘরকন্না সামলানো, পুরুষ এবং শিশু ও বয়স্কদের দেখভাল করা। নারী যদি এই কাজ ঠিক মত করে, তবে পুরুষও তার কর্তব্য পালন করবে, অর্থাৎ নারীর খাওয়াপরা র দায়িত্ব পালন করবে। এটাই নাকি ভারতবর্ষ। এই ভারতে নারীকে মাতৃরূপে আরাধনা করা হয়, এই ভারতে কোন ধর্ষন হয় না। ধর্ষন হয় আধুনিক ইন্ডিয়া তে। এটা না কি পশ্চিমা অসভ্যতার অবদান!
    মোহন ভাগবত বলে ফেলেছেন। যেমন বলে ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। মন আর মুখের তফাৎ রাখেন নি। যেমন বলেন সাক্ষী মহারাজ বা স্বাধ্বী প্রাচী রা। এরা যদি না বলতেন, তাতে কি হত? এদের মনের ভাব কি কারো জানা নেই? না কি এদের মনের কথা মনে থেকে গেলে এই চিন্তাধারা ছড়াতো না?
    ট্রামে বাসে প্রতিদিন যাতায়াতের সময় খেয়াল করে দেখবেন এক শ্রেণীর মানুষের আলোচনা। সাধারন মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ এরা। কথায় বার্তায়, আচার আচরনে ফুটে উঠছে প্রভুত্ববাদী নারী বিদ্বেষ। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে আরও প্রকট এই ধরনের বৈষম্যবাদ। আজ শিক্ষা, প্রতিভা এবং শ্রমের জোরে অনেক নারীই স্বক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে পৌছেছেন। তবু অফিসে কান পাতুন। শুনতে পাবেন এক শ্রেণীর তথাকথিত শিক্ষিত পুরুষের মহিলা সহকর্মী সম্মন্ধে বিকৃত রুচির মন্তব্য। অনেকের মনেই এই ধারনা বধ্যমূল যে এই মহিলা কর্মীরা যে উপার্জন করেন তা তো সংসারের কাজে লাগেনা, তাদের সাজগোজ আমোদআহ্লাদেই ব্যয় হয়। আশ্চর্য এই যে এই পুরুষ টিই কিন্তু তার মেয়েকে কিভাবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার করা যায় সে কর্তব্যে ত্রুটি রাখেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও মহিলা সহকর্মীটি সম্মন্ধে তার ধ্যান ধারনা বদলায় না।
    এরা কি সবাই দক্ষিনপন্থী? ভোট দিয়ে সমর্থন কাকে করছেন, তা যদি রাজনৈতিক মতামত বিচারের মানদন্ড হয়, তবে তো দেখি এদের অনেকেই বামফ্রন্টকে ভোট দিয়ে এসেছেন, বা গান্ধী-নেহেরুর সমর্থক। কিন্তু মনের মধ্যে রয়ে গেছে প্রভুত্ববাদী পুরুষতন্ত্রের বীজ।
    আমার এক বান্ধবীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি। এই বান্ধবী এবং তার শাশুড়ি এক বিকেলে কোথাও একটা গেছিল। ফিরে আসতে দেরী হয়। ততক্ষণে তার শ্বশুর মশায় অফিস থেকে ফিরে এসেছেন। এসে দুজনেই ঘরে নেই দেখে তিনি রাগে অগ্নীশর্মা। এত সাহস! তাঁর অনুমতি না নিয়ে এত রাত অব্ধি ঘরের বাইরে! দুজনকে সারা রাত তিনি আর ঘরে ঢুকতেই দিলেন না। অনেক অনুনয়-বিনয়, অনেক কান্নাকাটি করেও কোন লাভ হয় নি। এমন কি বান্ধবীর বরেরও সাহস হয়নি বাবা কে অগ্রাহ্য করে দরজা খুলে মা-বউ কে ঢোকায়!
    এই শ্বশুর কিন্তু কোন জমিদারনন্দন ন'ন। সামান্য সরকারী চাকুরে। কিন্তু নিজের প্রভুত্বের কোন অবমাননা ইনি সহ্য করবেন না। আর হ্যাঁ, ইনি ইন্দিরা গান্ধীর একনিষ্ঠ ভক্ত এবং দেবী দূর্গার উপাসক।
    আর এক বন্ধুর কাহিনী। ইনি আমার অফিস কলিগ ছিলেন কর্মজীবনের শুরুর দিকে। এনার স্ত্রী দূর্গাপুজোর সময় বাপের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে ছিলেন। তাকে শুনতে হয়েছিল, দূর্গাপূজাতে বাড়ির বৌ বাড়িতে থাকবেনা এ হতেই পারে না। এই ঘরের বৌ টি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন যে তিনি বিয়ের পরে মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য পড়াশুনা করবেন। সে অনুমতিও মেলেনি। অফিসে আলোচনার সময় কলিগটি আমাদের কাছে বেশ গর্ব ভরেই বলেছিলেন যে বাড়ির বৌ ভিড় বাসে করে কলেজ যাওয়াআসা করলে না কি তাদের পরিবারের মানসম্মান থাকবে না। ইনিও কিন্তু কোন জমিদার বংশের উত্তারিধিকারী ন'ন। কিন্তু মনের মধ্যে সেই সপ্তদশ শতাব্দীর ধারা বহন করছেন। এবং এরা, সপরিবারে সি পি এম কে ভোট দিতেন। ভোট দেওয়ার আগে বাড়ির বৌকেও শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হত, কোথায় ছাপ দিতে হবে!
    কে জানে, আজ হয়তো ভোট দিতে হলে এনারা সবাই বি জে পি র মধ্যেই তাঁদের মনের সায় খুঁজে পেতেন।
    এ তো গেল সাধারণ মানুষের কথা। মজার ব্যাপার হল এইটাই যে, রাজনীতির ক্ষমতা যখন কোন মহিলার হাতে, তখনও কিন্তু সেই রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে যে খুব প্রগতিশীলতা দেখা যাচ্ছে তা নয়। ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেসেও সেটা হয় নি, মমতা ব্যানার্জী বা জয়ললিতা বা মায়াবতীর দলেও না।
    রাবড়ি দেবী যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন তাঁর গোয়ালের সদ্যজাত গোবৎসটিও জানে রাবড়ি দেবীর ক্ষমতা কতটুকু? এবং তাতে রাবড়ি দেবী খুসী, বলা বাহুল্য। কারন আমাদের দেশে রাবড়ি দেবী দের জন্ম থেকে সেই শিক্ষাই দেওয়া হয়। তাই রেজ্জাক মোল্লা যখন রুপা গাঙ্গুলি কে নিয়ে অশ্লীলতার সীমা ছাড়ান, তখন মমতা দিদির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় না, আবার দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের কোনও প্রতিবাদ রূপা করেছেন, তা ও শুনতে পেলাম না।
    আসলে ব্যাপারটা আমাদের মনের ভিতরেই। অনিল বসু যখন মমতাকে নিয়ে কিছু বলেন, তখন মুখে প্রতিবাদ করলেও নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেন অনেকেই। আবার দিলীপ ঘোষের বক্তব্যেও কাগজে টিভিতে কড়া বক্তব্য রাখলেও অনেকেই ঘরোয়া আলোচনায় যাদবপুরের মেয়েদের পোষাক আসাক নিয়ে, বা প্রকাশ্যে সিগারেট খাওয়া নিয়ে বা "হোক চুম্বন" আন্দোলন নিয়ে বাঁকা কথা বলতে ছাড়েন না।
    কাজেই, এ সব চলতেই থাকবে। রেজ্জাক মোল্লা, দিলীপ ঘোষেরা সংখ্যায় বাড়বেন, বেড়ে চলবে এই ধরনের বক্তব্য, কারন তাতে প্রচারের আলোয় আসা যায়। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলবে মহিলাদের প্রতি অন্যায়, অপমান। যতদিন না আমরা প্রকৃত সভ্যতায় উন্নীত হতে পারছি। যতদিন না আমরা সমাজ থেকে সমূলে উপড়ে ফেলতে পারছি এই ক্যান্সারের বীজ।
  • | ১৫ মে ২০১৬ ২১:৫৩706860
  • আর মাঝে মাঝে বনগাঁ লাইনের মহিলা ট্রেনের মত ঘটনা ঘটবে।
  • PT | 213.110.242.20 | ১৫ মে ২০১৬ ২২:৪৩706864
  • অনুমতি দেন তো এট্টু পলিটিকালি ইন্কারেক্ট বক্তব্য রাখি।
    এর মধ্যে "ক্রমবর্ধমান" মহিলা বিদ্বেষ কোথায় পেলেন? বিরোধী দলের মহিলা হলে গাল দিচ্ছে আর পুরুষ হলে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে। অবিশ্যি আজকাল মহিলা বা শিশুদেরকেও মারতে রেয়াত করছে না।

    তবে অনেকেই ভুলে গেছে যে এক নেত্রী জনৈক মুখ্যমন্ত্রীর ধুতি খুলে দেবে বলেছিলেন আর নরসিম্হা রাও সম্পর্কেও অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। শাসক দলের এত তুর্কী নেত্রী এক পুলিশ অফিসারকে কোন চারপেয়ের বাচ্চা ও আরো কি কি যেন সব বলেছিল ক্যামেরার সামনে।

    ও আরো মনে পড়ে গেল। সেই বিপ্লবের ঋতুতে কাক বাবুর বাড়ি থেকে মিটিন সেরে বেড়িয়ে একটি চ্যানেলের এক মহিলা সাংবাদিককে এক প্রাক্তন নকশালীনি "রেপ করিয়ে" দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন অবিশ্যি এসব কথাকে বিপ্লবের পদ্ধতি হিসেবে ধরা হত-অসইব্য কথা বলে ধরা হত না। তাই কেউ রেকড করে রাখেনি।

    অশালীনতার কোন লিঙ্গভেদ নেই। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি রূপার সম্পর্কে রেজ্জাকের অশালীন কথার প্রতিবাদ জানিয়েছেন? স্মৃতি-ঊমা-বসুন্ধরা-রূপা-লকেট কি দিলীপ ঘোষের কথার কোন প্রতিবাদ জানিয়েছেন?
  • ঈশান | ১৫ মে ২০১৬ ২২:৫৫706865
  • দুই দলের দুই মুখ তো দুই দিদি। মমতাদি আর রূপা দি। :-)
  • pi | 24.139.209.3 | ১৫ মে ২০১৬ ২৩:৪০706866
  • এই ধরণের মানসিকতা মেয়েদের মধ্যেও প্রচুর আছে। পিতৃতন্ত্র সবার মধ্যেই গেঁড়ে বসে থাকতে পারে।

    ঐ পার্ক স্ট্রীট কাণ্ডের সময় বেশ কিছু মহিলাদের কাছে শুনেছি পোশাক আশাক, রাতে বাইরে থাকা নিয়ে, বাজে মেয়ে, এসব নিয়ে মন্তব্য। তৃণ দলের মহিলাদের কথা তো বাদই দিলাম।

    মেয়েদের পোশাক আশাক নিয়ে, সবচে নিষেধাজ্ঞা বোধহয় প্রয়োগ করেন মা শাশুড়িরা। বাইরে কাজ করা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে যে আপত্তি আসে, তার বহুলাংশ শাশুড়িদেরও থেকেও আসে।। মেয়েকে বেশি পড়া শিখিয়ে কী হবে, মেয়েদের চাকরি করে কী হবে, বিয়েই মোক্ষ, আর বিয়ের জন্য, নিপুণভ্ভাবে গৃহকর্ম সংসার করার জন্য জন্ম হইতেই বলিপ্রদত্ত করে তৈরি করা যেসব পরিবারে, সেখানে মায়েদের ভূমিকাও কম থাকেনা।
    ঐ বেহায়া মেয়ে ইত্যাদি নিয়ে মহিলা মহলে কম পি এন পি সি হয়না। চুম্বন, ন্যাপকিন আন্দোলন তো অনেক পরের ব্যাপার , ও নিয়ে তো হয়েইছে। একদম আমাদের ঘরের, আশেপাশের মহিলারাই করেছেন। এবার এগুলো হয়তো তাঁরা নিজেরা যা ফেস করেছে, ছোট থেকে যেভাবে বড় হয়েছেন, সেই যাপনেরি অঙ্গ। তো, যাপনেই পিতৃতন্ত্র বাসা বেঁধে আছে, এই আর কি।
  • পিতৃতন্ত্র | 190.179.40.13 | ১৬ মে ২০১৬ ১৬:৩৭706867
  • দিলীপ এর কুরুচিকর ভাষার উত্তরে সিপিএম এর বিধায়ক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি দিলীপ কে ইতরযোনির সন্তান বলল ।
    http://epaper.ebela.in/details/826-62318807.html
  • sm | 53.251.89.88 | ১৬ মে ২০১৬ ১৬:৪১706868
  • এরকম গালি (ভাষা) আমার জিন্দেগীতে শুনিনি।
  • d | 144.159.168.72 | ১৬ মে ২০১৬ ১৭:০৪706869
  • সত্যি নাকি? তাহলে খুউউউবই বাজে হবে তো :-(

  • T | 165.69.195.179 | ১৬ মে ২০১৬ ১৭:২৮706870
  • দ দি, এইরম হওয়ার চান্স কম। লাস্ট পুরভোটের সময়, যেটা ২০১৫ তে হয়েছে, তৃণমূলের ভোট ছিল পঁয়তাল্লিশ হাজার মতো, বিজেপির ছিল একত্রিশ হাজার, এবং জোটের ভোট একাত্তর হাজার। এরা বিজেপিকে হাইলাইট করছে সে ঠিক আছে, কিন্তু ওখানে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে উল্লেখযোগ্য ভাবে সংগঠন বাড়িয়ে তৃণমূল।
  • d | 144.159.168.72 | ১৬ মে ২০১৬ ১৭:৩৩706850
  • হুমম
    আচ্ছা।
  • Robu | 11.39.36.165 | ১৬ মে ২০১৬ ১৯:৪৯706851
  • খড়গপুরে এত হাই তেলুগু পপুলেশনের কারণ কী? বা কোন্নগরে তামিল কম্যুনিটি কীভাবে সেটল করল? কেন? বাজিকর ও বেদেদের আজকাল প্রায় দেখাই যায় না কেন? এসব প্রশ্ন পায়। এদের নিয়ে ফোটোস্টোরি করারও ইচ্ছে হয়।
  • sinfaut | 74.233.173.185 | ১৬ মে ২০১৬ ১৯:৫২706852
  • খড়্গপুর এ সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের হে কো। রেলের চাকরির সূত্রেই এসেছে নিশ্চয়।
  • avi | 125.187.34.163 | ১৬ মে ২০১৬ ১৯:৫৪706853
  • হেড কোয়ার্টার হাওড়াতেই মনে হচ্ছে। তবে খড়গপুর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাংশন ঠিক।
  • দীপঙ্কর | 127.194.84.188 | ১৬ মে ২০১৬ ২২:৩৬706856
  • মহিলা রা যে পুরুষতন্ত্রের হাতের পুতুল হয়ে মহিলাদের প্রতি অত্যাচারের ব্যাপারে অগ্রণী ভুমিকা নেয় এটা বারংবার দেখা যায়। প্রায় সমস্ত বধুহত্যাতেই শাশুড়ি দের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ছেলের বউ বাড়িতে আসার পর থেকেই তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তার অধীকার এবং কর্তব্যের সীমা। আমি গ্রামের দিকের এক গরীব মহিলার কথা জানি। তার ডান পা, হাঁটুর নীচ থেকে পুরো কালো। কারন জানতে চেয়েছিলাম। শিউরে উঠেছিলাম শুনে। ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে শ্বশুরঘর করতে এসেছিল। বিয়ের ৬ মাসের মাথায় শাশুরির কোন একটা কথা না শুনতে পাওয়ার কারনে শাশুরি তার পা টেনে ধরে গরুর খাবার সেদ্ধ করার যে বড় মাটির উনুন, তাতে পা ঢুকিয়ে দেয়। বাড়ির বাকি লোকেরা তাড়াতাড়ি টেনে আনায় সে যাত্রা প্রাণে বেঁচে যায়। এ নিয়ে এমন কি তার বাপের বাড়ির লোকেরাও কোনদিন প্রতিবাদ করেনি। আজও অগনিত গৃহে এটাই খুব স্বাভাবিক।
  • ঈশান | ১৬ মে ২০১৬ ২২:৪২706857
  • এই 'হাতের পুতুল' শুনলেই একটু ক্যামন ক্যামন লাগে। কে কার হাতের পুতুল এটা এইভাবে এত সহজে বোঝা যায় ক্যামনে?

    অজ গ্রামের একটি ছোট্টো মেয়ে আমাকে একদা একটি ছড়া শেখায়।
    মামা ধামা বাজাবো
    কাঠের পুতুল দিয়ে আমি শাউড়ি নাচাবো।

    এর মানে, মাক্কালি অমি তখন বুঝতে পারিনি। হাতের পুতুল শুনে মনে পড়ল।
  • cm | 127.247.98.211 | ১৬ মে ২০১৬ ২২:৫৯706858
  • এখন বুঝে থাকলে বাকিদের আলোকিত করা হোক।
  • ঈশান | ১৬ মে ২০১৬ ২৩:১৩706859
  • সত্যি বোঝেননি?

    কাঠের পুতুল = বর।
  • cm | 127.247.98.211 | ১৬ মে ২০১৬ ২৩:২০706861
  • প্রথম লাইনটার মানে কি?
  • Ekak | 53.224.129.47 | ১৬ মে ২০১৬ ২৩:২৩706862
  • ধামা নাচের তাল টা ধরে রাখবে :)
  • sm | 53.251.91.132 | ১৭ মে ২০১৬ ০০:১০706863
  • cm , কি অপু! এত প্রশ্ন করে কেন?
    --
    কিন্তু দীপঙ্কর বাবু কি করতে হবে বলেন? কত স্বামী আর শশুর শাশুড়ি যে বিনা/স্বল্প দোষে জেল খাটল আর আত্মহত্যা করলো, সে খবর জানেন?সৌজন্য ৪৯৮ এ। এই ল কতটা এমেন্দ করা উচিত, সে নিয়ে বরঞ্চ দু পয়সা দিন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন