এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দেবোত্তম চক্রবর্তী | 11.39.39.95 | ২০ মার্চ ২০১৬ ২১:০৩704647
  • শব্দের পাশাপাশি শব্দগুচ্ছের বিশিষ্টার্থে প্রয়োগের ক্ষেত্রেও অন্য সব পাখিকে টেক্কা দিয়েছে কাক। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় — দুই বস্তুর মধ্যে ভেদজ্ঞান বোঝাতে ‘কাক কাঁকুড় জ্ঞান’; গোপনীয়তা রক্ষা করা অর্থে ‘কাকপক্ষীতে টের না পাওয়া’; ভালোমন্দের প্রভেদ ব্যাখ্যা করতে ‘কাক কোকিলের একদর’; কুৎসিত হস্তাক্ষরের তুলনা ‘কাকের ছা বকের ছা’; শান্ত প্রকৃতির লোকের বিপর্যস্ত অবস্থার জুতসই বিবরণ ‘ঝড়ো কাক’ অথবা পরানুগ্রহপ্রত্যাশী লোভী ব্যক্তি সম্বন্ধে ‘তীর্থের কাক’ হল যথাযথ বিশেষণ। কাকের এক শত্রু পেঁচা হলে অন্য শত্রু হল ফিঙে। কাক দেখলেই ফিঙে তার পিছু লেগে উত্যক্ত করে ছাড়ে। তাই কাউকে ক্রমাগত বিরক্ত করা হল ‘কাকের পিছে ফিঙে লাগা’। এলোমেলো, অবিন্যস্ত কেশরাজি বোঝাতে ‘কাকের বাসা’ কিংবা অগোছালোভাবে খাবলে খাওয়াকে ‘কাগা-বগা করে খাওয়া’ তো আমরা হামেশাই বলি। কাক কোনও খাবার নিয়ে এমন জায়গায় লুকিয়ে রাখে যে একটু পরে সে নিজেই তা আর খুঁজে পায় না। কাকের এই স্বভাবই স্থান পেয়েছে ‘কাকের লুকানো’-য়। আর সম্মানজনক পদে অযোগ্য ব্যক্তির মনোনয়ন কিংবা নির্বাচন সুন্দর (বি) শ্লেষিত হয়েছে ‘সোনার দাঁড়ে কাক বসানো’ বাগ্‌ধারাটিতে।

    তবে শব্দ বা শব্দবন্ধকে ছাপিয়ে কাকের প্রবল দাপট লক্ষ্য করা যায় বাংলা প্রবাদ-প্রবচনে। সুশীলকুমার দে’র ‘বাংলা প্রবাদ’-এর পাতায় পাতায় ডানা ঝাপটাচ্ছে এরকমই অন্তত সত্তরটি কাক সম্বন্ধীয় প্রবাদ। লৌকিক জনজীবন থেকে সৃষ্ট এই প্রবাদগুলিতে কাক স্বাভাবিকভাবেই বিদ্রুপ, তাচ্ছিল্য এবং শ্লেষের শিকার। আমরা কাককে যেরকম তুচ্ছাতিতুচ্ছ জ্ঞান করি, প্রবাদগুলিতেও তার স্বতঃস্ফুর্ত বহিঃপ্রকাশ। একঘেয়ে লাগতে পারে ভেবে সমস্ত প্রবাদের উল্লেখ এখানে করা সম্ভব নয়, তবে বাছাই করা কয়েকটা প্রবাদের মধ্যে অবশ্যই স্থান পাবে — অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করলে আমরা বলব ‘কাকে নিয়ে গেল কান, কাকের পিছে ধাবমান’। যা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব তা প্রকৃতপক্ষে সম্ভব হতেই পারে এমন বোঝাতে ‘কাকেরও ডিম সাদা হয়, বিদ্বানেরও ছেলে গাধা হয়’। ভণ্ড তপস্বী তো আমাদের চারপাশেই। তাদের উদ্দেশে বলাই যায় ‘এ কি বিধির লীলাখেলা, কাকের গলায় তুলসিমালা’। অধ্ম ব্যক্তির সংস্পর্শে উত্তম ব্যক্তির অধঃপতনের চমৎকার উদাহরণ ‘কাকের সঙ্গে গিয়ে হাতিও পাঁকে পড়ে’। যোগ্য ব্যক্তিকে সরিয়ে অযোগ্য ব্যক্তির পদদখলকে আমরা ব্যঙ্গের সুরে বলব ‘ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে, খাঁচায় পোষে কাক’। অমিতব্যয়িতার উদাহরণ হিসাবেও এটি প্রযোজ্য হতে পারে। আর মশা মারতে কামান দাগার মতই ‘কাকের ওপর কামানের চোট’ বা ‘কাক মারতে কামান পাতা’। তাছাড়া ‘বেল পাকলে কাকের কী’ অথবা ‘ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না’ জাতীয় প্রবাদ তো আমাদের সকলের জানা। সমধর্মীর অনিষ্ট কেউ করে না বোঝাতে ‘কাকের মাংস কাকে খায় না’। অবশ্য ‘কায়েতের মড়া কাকেও ঠোকরায় না’ কেননা প্রবাদে পাচ্ছি ‘কাক ধূর্ত আর কায়েত ধূর্ত’ অর্থাৎ সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি ! অকারণ আদিখ্যেতার উদাহরণ হিসাবে ‘কামরূপেতে কাক মরেছে, কাশীধামে হাহাকার’ প্রবাদটিও চমৎকার। কাক থাকলেই বক থাকবে, তাই প্রবাদে একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো বোঝাতে দেখছি ‘কাকে খায় কাঁঠাল, বকের মুখে আঠা’। মন্দ স্বভাবের লোক শতচেষ্টায় ভালো হতে পারেনা তাই ‘সাত বার করে সিনান, কাক নয় বকের সমান’। কাক-পেঁচার বৈরিতার সূত্রে পেয়ে যাই ‘চুলের শত্রু টাক, পেঁচার শত্রু কাক’ বা ‘কাক মরল ঝড়ে, / পেঁচা বলে – আমার শাপ লাগল হাড়ে-হাড়ে’। তবে বাংলা প্রবাদ সোনা ফলিয়েছে কাক-কোকিল সম্পর্কিত প্রবাদমালায়। দুই পাখিরই গায়ের রং কালো অথচ কণ্ঠস্বর আলাদা, সুতরাং বৈপরীত্য বোঝাতে এদের জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া বাংলা প্রবাদ তার কাঙ্ক্ষিত অনুপ্রাসও পেয়ে যায় এই দুটি পাখিতে। তার প্রতিফলন ‘কাক কোকিল একই বর্ণ, কিন্তু স্বরে ভিন্ন ভিন্ন’ বা ‘কাক হয়ে কোকিলের মত ডাকতে করে আশা / বামন হয়ে চাঁদে হাত, ছার কপালের দশা’। কাকের বাসায় কোকিলের জন্ম এবং বড় হয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে ‘কাকের বাসায় কোকিল হল, দিন পেয়ে সে উড়ে গেল’ ইত্যাদি প্রবচনে।

    শব্দ, বাগ্‌ধারা বা প্রবাদের আঙিনায় যথেষ্ট কেরামতি দেখালেও ছেলেভোলানো ছড়ায় কাক কিন্তু সত্যিই কাত হয়েছে। হয়তো কাকের কুচকুচে কালো রং কিংবা কর্কশ কণ্ঠস্বর শিশুর নিজস্ব জগৎ থেকে কাককে দূরে ঠেলে দিয়েছে, হয়তো ছোঁ মেরে খাবার কেড়ে নেওয়ার ভীতিপ্রদ অভিজ্ঞতা লাভ করার জন্য শিশুর কাছে কাক যথেষ্ট কাছের পাখি হয়ে উঠতে পারেনি। খোকনকে সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়িয়ে দিতেই মা ডেকে ওঠেন “ খোকন খোকন ডাক পাড়ি / খোকন মোদের কার বাড়ি ? / আয়রে খোকন ঘরে আয়, / দুধ মাখা ভাত কাকে খায় ”। শিশুকে ঘরে ফিরে আসার আকুল অনুরোধের সময়ও ফিরে আসে কাক-প্রসঙ্গ “ খোকন খোকন করে মায় / খোকন গেল কাদের নায় ? / সাতটা কাকে দাঁড় বায়, / খোকন রে তুই ঘরে আয় ”। শুধু সামান্য স্বস্তি এই যে যোগীন্দ্রনাথ সরকার তাঁর ‘হাসিখুসি’র প্রথম ভাগে যে ছড়াটির মাধ্যমে শিশুদের বর্ণের সাথে প্রথম পরিচয় ঘটিয়ে দেন সেখানে স্থান দেন কাককে “ কাক ডাকে কা কা, / আগে অ পরে আ ”।

    তবে ছেলেভোলানো ছড়ায় সামান্য ছেতরে পড়ে ঈশপের গল্পে আবার বীরদর্পে উঠে দাঁড়ায় কাকবাবাজি ! নীতিকথামুলক এই গল্পগুলিতে কখনও সে ধীমান ও ধৈর্যশীল, কখনও সে অন্যের প্রশংসায় ভুলে নিজের বিপদ ডেকে আনে। নুড়ি ফেলে কলসি থেকে জলপান, ময়ূরপুচ্ছধারী দাঁড়কাক কিংবা মুখে মাংসের টুকরো নিয়ে শিয়ালের ছদ্ম প্রশংসায় বিগলিত কাকের গল্প এতই জনপ্রিয় যে বিদ্যাসাগর মহাশয় যে অল্প কয়েকটি গল্প অনুবাদ করে ‘কথামালা’ প্রকাশ করেছিলেন তাতে এই তিনটি কাককাহিনিই ছিল। ঈশপের গল্পের মতো পঞ্চতন্ত্রের গল্পেও কাকের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। ‘মিত্রপ্রাপ্তি’ নামক দ্বিতীয় তন্ত্রে যে চার বন্ধুর মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনের সূত্রে গল্প এগিয়ে চলে তারা হল লঘুপতনক নামে এক বিজ্ঞ কাক, হিরণ্যক ইঁদুর, মন্থরক কচ্ছপ আর চিত্রাঙ্গ হরিণ। আর তৃতীয় তন্ত্র ‘কাকোলূকীয়’-তে যথেষ্ট বিবেচক এবং বুদ্ধিমান কাক হিসাবে চিত্রিত কাকরাজ মেঘবর্ণর সঙ্গে পেচকরাজ অরিমর্দনের লড়াইকে কেন্দ্র করে গল্পগুলি আবর্তিত হতে থাকে।

    কাক আছে জাতকের গল্পেও। ‘বাবেরু জাতক’-এ পাচ্ছি যে বাবেরু রাজ্যে পাখি নেই। তাই বণিকরা যখন কাক নিয়ে প্রথমবার বাবেরু রাজ্যে উপস্থিত হন তখন সেখনকার অধিবাসীরা একশো মুদ্রার বিনিময়ে কাকটিকে কিনে নেন। খাঁচায় পোষেন, যত্নআত্তি করেন। পরবর্তী সময়ে বণিকরা ময়ূর নিয়ে গেলে বাবেরু-বাসিন্দারা এক হাজার মুদ্রা দিয়ে ময়ূরটি কেনেন এবং আগের কেনা কাক অযত্নে, অবহেলায় একসময় মারা যায়। গল্পটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝতে বুঝতে আমরা যে নতুন বিষয় সম্পর্কে অবহিত হই তা হল ‘দিশাকাক’। জানতে পারি সমুদ্রে নাবিকরা দিক হারিয়ে ফেললে সঙ্গে রাখা কাকটিকে উড়িয়ে দিত আর সেই কাক তার সহজাত ক্ষমতা অনুসারে ডাঙার দিকে উড়ে গিয়ে নাবিকদের সাহায্য করত। বাইবেলেও দেখি মহাপ্লাবনের চল্লিশ দিন পর সম্ভবত দিশা ঠিক করতেই নোয়া তাঁর তৈরি জাহাজের জানলা দিয়ে একটা দাঁড়কাক ছেড়ে দেন। ইংরেজিতে কাকের এই বৈশিষ্টের কথাই ব্যক্ত হয়েছে ‘as the crow flies’ বাগ্‌ধারাটিতে। এ কথা বলা হয়ত অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে ‘crow’s nest’ শব্দবন্ধের অর্থ হল জাহাজের মাস্তুলের উপরিস্থিত পাটাতন যেখান থেকে নাবিকরা স্থলভাগের দিকে লক্ষ্য রাখেন।

    চলবে...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন