এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গান-ফাইট

    pi
    অন্যান্য | ১৩ মার্চ ২০১৬ | ১৯১১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.209.3 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১২:২৮698059
  • ভাট থেকে।

    name: ঈশান mail: country:

    IP Address : 183.17.193.253 (*) Date:13 Mar 2016 -- 02:15 AM

    অভ্যুকুমারকে লেখা হয়নি কাল। কিশোরকুমারের সব নোট মোটেই বেসুরো না। জায়গায় জায়গায় লাগত। বিশেষ করে একটু কঠিন জায়গা হলে। এমনিতেই আমি হিন্দি গান দুচোখে দেখতে পারিনা, কোথায় বলা মুশকিল। তবে একটা গান মনে আছে। মেরে নয়না সাওন কী একটা যেন। আমার মাসতুতো দাদার খুব প্রিয় গান ছিল। তাতে একটা লাইন আছে, বাত পুরানি হ্যায়। সেটা কিশোরকুমার কিছুতেই গলাতে লাগাতে পারেননি (আমাদের পাশের বাড়ির টুকটুকি ও পারত)। একটু কঠিন ছিল তো, তাই। :-)

    তবে বেসুরো গাওয়া খারাপ জিনিস না। ডিলানের তো প্রায় সব নোটই বেসুরো। তাতেও আমি তাঁর প্রচন্ড ভক্ত। কিন্তু সেই হিসেবেও কিশোরের ভক্ত হওয়া কঠিন। ওর চেয়ে ওঁচাটে থ্রোয়িং আমি কারো শুনিনি। আমি অবশ্য কিশোরের মেরেকেটে কুড়িটার বেশি গান শুনতে পাইনি, এত খারাপ, তাই গান ধরে ধরে বিশ্লেষণ করতে পারবনা। কিন্তু যেকটা শুনেছি, তার থ্রোয়িং হল শব্দের প্রথম সিলেবলে জোর দিয়ে সব গানকেই পাড়ার রকের মস্তানদের ভঙ্গীতে গাওয়া। "ন্নয়ন স্সরস্সী ক্কেনব্ভরেছে জ্জলে।" টোট্টাল ফ্ল্যাট। একে এক কথায় বলে ভারতীয় সঙ্গীতের গুষ্টির তুষ্টি সাধন।

    অবশ্য উনি একা নন, আরেকজনও ভারতীয় সংগীতের ষষ্ঠীপুজো করে ছেড়েছেন। তিনি কোকিলকন্ঠী, গলা খুবই সুরেলা। তাঁর নাম লতা মুঞ্গেশকর। সেও খুব কিছু শুনিনি, কিন্তু যা শুনেছি, তাতে প্রতিটা সুর চমৎকার নোটে, গলার কাজ এবং আওয়াজ অতীব চমৎকার, কিন্তু কোনো মডিউলেশএর বালাই নেই। সবই একই জোরে ফ্ল্যাট করে গাওয়া। উনি, মডিউলেশন পারতেন কিনা জানিনা, পারতেন হতেই পারে, কিন্তু সব গানই একই রকম ফ্ল্যাট করে গাইতেন। ফলে, সব গানই যেন তিরিশ-তিরিশ-তিরিশ ফিগারের। কোনো খাঁজ, ওঠানামা, গমক, ঠমক, গর্জন, ফিসফিসানির কোনো বালাই নেই। ওনার গলায় ঠুংরি শুনলে বাইজিরা আত্মহত্যা করতেন, রবীন্দ্রসংগীত শুনলে কণিকা বন্দ্যো গান ছেড়ে দিতেন, ইত্যাদি। যদিও সব গানই উনি নিখুঁত সুরে গাইতেন।

    তা এঁরা দুজনে মিলে ভারতীয় সম্গীতের যে বলিউডি স্টাইলটা চালু করেছেন, সেটা ভারতীয় সংগীতকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছু না। এই ঘরানা শুনে যারা বড়ো হয়েছে, তারা টেরও পাবেনা, পায়ও না, কী জিনিস হারিয়েছে। এদের কাছে গান মানে একই টোনে গোলগোল করে (দরদ কিংবা জোর দিয়ে) একটা বস্তু গেয়ে চলা। ভারতীয় সংগীত যে সিংহনাদ থেকে ফিসফিসানি পর্যন্ত মডিউলেশনে চলে, তার সঙ্গে একদিকে গমক তান থেকে অন্যদিকে নরম মীড় বা মুড়কি কীভাবে লেগে থাকে, এই লতা-কিশোরের ধারার শিক্ষিত কান সেটা কোনোদিন বুঝতে পারলনা।

    name: ঈশান mail: country:

    IP Address : 183.17.193.253 (*) Date:13 Mar 2016 -- 06:57 AM

    এই কিশোর-লতার উত্থান প্রকৃত অর্থেই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। শুধু ফিল্মি ইতিহাস নয়, ভারত রাষ্ট্রের ইতিহাসেও। আমি হিন্দি গান একটু বেশি শুনলে ভালো করে লিখতে পারতাম। আপাতত যেটুকু পারি সেটুকুই লেখা যাক।

    স্বাধীনতাকালে ভারতবর্ষের সিনেমা এককেন্দ্রিক ছিলনা। দুটো বড়ো কেন্দ্র ছিল। একটা মুম্বাই একটা কলকাতা। হিন্দির বাজারটা বড়ো ছিল তুলনায়, কিন্তু অবিভক্ত ভারতবর্ষে বাংলা বাজারও খুব ছোটো কিছু ছিলনা। স্বাধীনতার পরে-পরেই, ঋত্বিকের লেখায় পাই, তখনও মূল কেন্দ্র দুটোই। যদিও মুম্বইএর অর্থের জোর বেশি। দেশবিভাগ অবশ্যই তার একটা কারণ। কারণ অর্থনীতির কারণেই বড়ো বাজারে লগ্নী করতে আগ্রহী লোক বেশি পাওয়া যায়।

    উল্টোদিকে কলকাতার সিনেমা এবং বিশেষ করে সঙ্গীতের মূল জোরটা ছিল দক্ষতায়। স্বাধীনতার আগে বাজার বড়ো ছিল, স্বাধীনতার পরে মূল সম্বল ছিল দক্ষতা। এ নয়, যে হিন্দি বলয় হিন্দুস্তানী সংগীতে কিছু পিছিয়ে ছিল (এগিয়েই ছিল বলা যায়), কিন্তু বাংলা গানের বিবর্তনের যে একটা ধারা ছিল, রবীন্দ্রনাথ, অতুলপ্রসাদ, নজরুল, সলিল চৌধুরি (এর মধ্যে শেষ দুজন সরাসরি সিনেমায় কাজ করেছেন), এর সমতুল্য জিনিস হিন্দি বলয়ে হয়নি। শুধু সিনেমা না, হিন্দি ভাষাতেই হয়নি -- হিন্দিতে কোনো জীবনানন্দ জন্মাননি।

    তো, প্রতিযোগিতাটা দেশভাগের পর অসম হয়ে দাঁড়ায়। বিষয়টা হয়ে দক্ষতা বনাম অর্থ। সদ্যগঠিত রাষ্ট্র কিছুদিনের মধ্যেই হিন্দিকে বস্তুত রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়ে প্রোমোট করতে থাকে। ফলে অসম শুধু না, জিনিসটা হয়ে দাঁড়ায় সরকারি উদ্যোগ এবং অর্থ বনাম দক্ষতা। এই অসম যুদ্ধে বাংলা সিনেমা এবং গান দীর্ঘদিন লড়াই করে। বস্তুত ষাটের দশকে এবং সত্তরেও খানিক বাংলা পপুলার সিনেমা এবং গান যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল, একটা কেবল আঞ্চলিক ভাষার পক্ষে সেটা অকল্পনীয়। পথের পাঁচালি তো পঞ্চাশের দশকের ঘটনা, যেটা পপুলার সিনেমা হিসেবে দীর্ঘদিন চলেছিল। পরের দিকেও দীর্ঘদিন এই ধারা চলেছিল। একটা সিনেমার কথা মনে করতে পারি, সাত পাকে বাঁধা, যা একই সঙ্গে হলেও হিট, এবং বিদেশের ফেস্টিভ্যাল থেকেও প্রাইজ এনেছ্হিল। বাকি অনেক সিনেমা বিদেশে প্রাইজ পায়নি, কিন্তু তাদের মান সমকালীন হিন্দি ছবির চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল সন্দেহ নেই।

    কিন্তু সবাই জানে, যে, বাজর এবং সরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে শুধু দক্ষতা দিয়ে অসম যুদ্ধ চলেনা। অতএব, এই বালির বাঁধ ভাঙা অবধারিতই ছিল। সেটা ভাঙে দূরদর্শন চালু হবার পর। হিন্দি ভাষায় এবং হিন্দি সিনেমার কালচারকে প্রোমোট করাটা দৃষ্টিকটু মাত্রা নেয় এবং বাংলা সিনেমা অস্তাচলে যায়।

    তা,সিনেমার কথা না, আমরা সিনেমার গানের কথা কইছি। এই যুদ্ধে জেতার জন্য হিন্দি সিনেমার্নিজস্ব কোনো কালচার হাতের কাছে ছিলনা। তাদের দরকার ছিল একটা ওয়ান সাইজ ফিটস অল টাইপের গোলগাপ্পা একটা ব্যাপার। অর্থ ও সরকারি উদ্যোগের স্টিম রোলার চাইলে যেটা দেশের সমস্ত প্রান্তে গুঁজে দেওয়া যাবে। সায়গল টায়গলের জমানা পেরিয়ে একটা সময়ে এই গোলগাপ্পা গানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন ওই দুজন। লতা এবং কিশোর। এঁদের দুজনেরই যে সময়ে উত্থান, তখন বাংলা কাঁপাচ্ছেন যে শিল্পীরা, দক্ষতায় এঁরা তাদের কাছাকাছিও যেতেন না। বস্তুত চান্স পেতেন কিনাই সন্দেহ। তবুও হিন্দি সিনেমা যে এঁদের বেছে নেয়, তার পিছনে কারণ একটাই। যে, ওই গোলগাপ্পা একটি প্যাকেজ তৈরি করতে হবে, যেটা অমিতাভ বচ্চন (এবং অন্যান্য নায়ক নায়িকাদের) চড়া দাগের স্ক্রিন প্রেজেন্সের সঙ্গে ম্যাচ করে যাবে। সিনেমা নামক একটি খিচুড়ি ও তৎসহ সংগীত নামক একটি প্রহসনকে ইনজেক্ট করা হবে ভারত জুড়ে, যেটা আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যকে ধ্বংস করবে, সঙ্গীতের সূক্ষ্মতাকে নষ্ট করবে।

    ওই দুজন, এই প্রোজেক্টেরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এখানে কোনো ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার কম্পিটিশন নেই, স্বতঃস্ফূর্ততা নেই, এটা ভারত সরকারের উদ্যোগে এবং বেসরকারি স্বার্থে জনরুচি তৈরির একটা প্রোজেক্ট। একেই আজকাল আমরা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বলি।

    ---

    যুদ্ধু শুরু হোক ! ঃ)
  • রোবু | 233.29.204.178 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১২:৪২698170
  • "তা,সিনেমার কথা না, আমরা সিনেমার গানের কথা কইছি। এই যুদ্ধে জেতার জন্য হিন্দি সিনেমার্নিজস্ব কোনো কালচার হাতের কাছে ছিলনা। তাদের দরকার ছিল একটা ওয়ান সাইজ ফিটস অল টাইপের গোলগাপ্পা একটা ব্যাপার। অর্থ ও সরকারি উদ্যোগের স্টিম রোলার চাইলে যেটা দেশের সমস্ত প্রান্তে গুঁজে দেওয়া যাবে। সায়গল টায়গলের জমানা পেরিয়ে একটা সময়ে এই গোলগাপ্পা গানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন ওই দুজন। লতা এবং কিশোর। এঁদের দুজনেরই যে সময়ে উত্থান, তখন বাংলা কাঁপাচ্ছেন যে শিল্পীরা, দক্ষতায় এঁরা তাদের কাছাকাছিও যেতেন না। বস্তুত চান্স পেতেন কিনাই সন্দেহ। তবুও হিন্দি সিনেমা যে এঁদের বেছে নেয়, তার পিছনে কারণ একটাই। যে, ওই গোলগাপ্পা একটি প্যাকেজ তৈরি করতে হবে, যেটা অমিতাভ বচ্চন (এবং অন্যান্য নায়ক নায়িকাদের) চড়া দাগের স্ক্রিন প্রেজেন্সের সঙ্গে ম্যাচ করে যাবে। সিনেমা নামক একটি খিচুড়ি ও তৎসহ সংগীত নামক একটি প্রহসনকে ইনজেক্ট করা হবে ভারত জুড়ে, যেটা আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যকে ধ্বংস করবে, সঙ্গীতের সূক্ষ্মতাকে নষ্ট করবে।"

    - Our Films, Their Films এর একটা লেখা যেন অনেকটা এরকম ছিল।
  • | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১৩:০৮698281
  • আচ্ছা এইটইটায় এবারে কল্লোল শিবাংশু আর ন্যাড়াদা'কে ধরে আনো পাই। দারুণ জমে যাবে।
    পিটি কি ভোটের বাজারে এটার দিকে আর নজর দেবেন!। দিলে ভালই হত মনে হয়।
  • sinfaut | 74.233.173.185 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১৩:৪৪698392
  • ইসে, কিশোর কুমার আর লতা দুজনেই ভীষন প্রতিভাধর শুনেছি। কিন্তু দুজনের গানই ( খুব অল্প কয়েকটা) বাদ দিলে আমারও একইরকম অখাদ্য লাগে। হতে পারে আমি টিন বয়স পর্যন্ত পুরোটা শুধু ভারতীয় রাগসঙ্গীত আর রবীন্দ্রগান শুনে বড় হয়েছি বলে। কিন্তু পরে যখন শুনেছি লতার গান নিঁখুত সুরের প্রানহীন পদার্থ মনে হয়েছে। আর কিশোরের ক্ষেত্রে সুর কেমন লাগাচ্ছেন বোঝার আগেই ঐ একটা হাওহাও ইমোশনাল উচ্চারণ আমাকে আর এগোতে প্রবলভাবে বাধা দিয়েচে। এখন শুধুমাত্র ঐ কমেডি গানগুলো শুনতে পারি কিশোরের।
  • | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১৪:০৯698503
  • এহ সিঁফোঁটা এক্কেরে কাঠ আঁতেল
  • গৌতম মিস্ত্রী | 11.39.36.125 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১৪:৩৩698571
  • গানের সমালোচনা সিনেমার চেয়ে কঠিন। বেশ কিছু অমাত্রিক অনুষঙ্গ আছে - যেমন উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি, accent, গায়কী। ঘটনাক্রমে কিশোর লতা এনাদের চেয়ে সন্ধ্যা আরতি মান্না শ্যামল তরুন এরা বেশি ঢেউ তোলে।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১৪:৫৩698582
  • নাহ্‌, ঈশান-সিঁফোদের কান তৈরী হয় নি। আমজনতার কানের মতন তো নয়ই, এমনকি সত্যজিৎ রায় বা অজয় চক্রবর্তীদের কানের মতন নয়।
  • pi | 24.139.209.3 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১৫:৩৩698593
  • কিশোর-লতা আমারও সেরকম ভাল লাগেনা। বিশেষ করে কিশোর, কয়েকটি গান বাদ দিলে ( সিং নেই তবু কি ঐ চলতি কা নাম গাড়ির গানগুলোর মত কমেডি গানগুলোতে কিশোরকে ব্যাপক লাগে)।
    কিন্তু হিন্দি গান নিয়ে ইন জেনেরাল মামুর থিয়োরি নিয়ে কিছু কিন্তু আছে। এখানে রফি, আশাকে কোথায় ফিট করাবে মামু ? বা মান্না ডে ?
    এসডি, সলিল চৌধুরী, ও পি নাইয়ার, শংকর জয়কিষেণ কি আর ডি দের সুরকে ? সেগুলো কি গোলগাপ্পা প্যাকেজের মধ্যে পড়ে, পড়লে কেন ?
    লতা-কিশোরের অনেক গান শুনি এঁদের কম্পোজিশনের জন্যই হয়তো।
    আবার এঁদের মধ্যে তিনজনের বেশিরভাগ গানেরই বাংলা কাউণ্টারপার্ট আছে, যেগুলো খুব ভাল বাংলা গান বলে স্বীকৃতি পেতেই পারে। তাহলে ?
    হ্যাঁ, সত্তরের শেষ কি আশির দশক থেকে ( এ আর রহমানের আগে অব্দি) হিন্দি গানকে এই গোলগাপ্প্পা প্যাকেজের স্টিমরোলারের থিয়োরিতে ফিট করাতে আপত্তি নাই।
  • Blank | 24.99.127.56 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ২১:৪০698604
  • মামুর প্রথম পোস্টে ভয়ানক ক।
  • kc | 132.163.62.210 | ১৩ মার্চ ২০১৬ ২৩:১৬698060
  • ল্যাদোশদা হেই তো আছি। আরডি- কিশোর, মদনমোহন-লতা, সলিল-লতা এই কম্বিনেশন আজও লাউঘন্ট করে দ্যায়।
  • ঈশান | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০০:০১698071
  • লসাগু। না না কানের সমস্যা না। পিটুলি গোলা জল অ্যাবসলিউট সেন্সে খেতে খুব মন্দ না। সে নিয়ে সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে, দুধের তুলনায় উহা যে নেহাৎই জোলো সেটা না মানলে। এইটা হইল কানের সমস্যা।

    পাইয়ের প্রশ্নের উত্তরে। আমি কিচ্ছু থিয়োরিই করছিনা। থিয়োরি করতে গেলে জিনিসটা ভালো জানতে হয়, আর সেটা করতে গেলে আমাকে ওই কিশোরের হিন্দি গান শুনতে হবে, ওরে বাবা। আমি সেরেফ আমার অনুভূতি লিখছি। সলিল চৌধুরি রফি ইত্যাদিদের নিয়ে যা অনুভূতি, মানে যেকটা শুনেছি তার উপর, সে সব না লেখার কিচ্ছু নেই। পরে লিখব।

    এছাড়াও রোবু একটা বড়ো ফ্রেমে ঢুকতে প্ররোচিত করছে। কিন্তু সেখানে মোটেও পা দেবনা। :-)
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০০:১১698082
  • দ্যাখো, কিশোরকুমারের গান বা লতা মঙ্গেশকরের গান তত ভালো লাগে না, এটা কোনো ব্যাপারই না। এটা তো হতেই পারে।

    কিন্তু, বম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মিডিওক্রেসি কে তোল্লা দিয়েছে - উচ্চ মানের বাঙালি/আঞ্চলিক প্রতিভার সঙ্গে পাল্ল দিতে না পেরে -- এবং তাই কিশোর/লতা উঠে এসেছে ---- এই থিওরি.. ইয়ে মানে...
  • ঈশান | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২১:৩২698093
  • না না মিডিওক্রেসি না। বলিউডি গোলগাপ্পা। বিদেশে ভারতের মুখ ছিল বলিউড। দেশের ঐক্যসূত্র বলিউড। এর জন্য কোয়ালিটি/আঞ্চলিক উৎকর্ষ তো বিসর্জন দিতেই হবে। দক্ষিণ খানিক রুখেছে জিনিসটা, নিজেদের রক্ষণশীলতার কারণে, বাকিরা পারেনি।

    কিন্তু মজা সেখানে না। মজা হল, যারা বলিউডি গোলগপ্পা গিলেছে, তারা আর কেসটা ধরতে পারেনা। বাঙালি সবেতে অ্যানালিটিকাল। শ্যামা-শাপমোচনের অশ্রুমোচন পর্যন্ত। কিন্তু বঙ্গীয় ফিলম ইন্ডাস্ট্রি কেন উঠে গেল, এইটা নিয়ে ভাবতে গেলেই এমন ভাব করেন, যেন ওটা একটা ফুসকুড়ি, মিলিয়ে যাবারই ছিল। কিশোর-লতা নিয়ে তো এত নালেঝোলে যেন ওসব যেকোনো অ্যানালিসিসের ঊর্ধ্বে।

    এরকম তো হয়না। সবেরই কার্যকারণ পূর্বাপর এসব থাকে।
  • T | 24.100.134.239 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২১:৩৫698104
  • অনুভূতির ব্যাপারটা ঈশানদা কানহাইয়ার স্পীচ থেকে ঝেড়ে দিল। আজ ম্যাঁয় আপকো স্রেফ মেরা অনুভব বাতাউঙ্গা।
  • lcm | 60.242.74.27 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২১:৩৭698115
  • দক্ষিণের অথেন্টিক গোলগাপ্পা আছে, হাই কোয়ালিটির - মাঝে মাঝেই বলিউড ওখান থেকে টুকলি করত।
  • Arpan | 24.195.228.64 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২২:০৮698126
  • উঠে যাবার কারণটা তো মূলত অর্থনৈতিক।
  • ঈশান | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২২:১৭698137
  • যাইহোক, সলিল চৌধুরি, আড্ডিকে নিয়ে কথা হচ্ছিল। প্রথমে নিজের বিদ্যেটা বলে নিই। আমি সলিল চৌধুরির বাংলা গান মোটামুটি সবই শুনেছি, মানে আমজনতা যা যা শুনেছে আর কি। হিন্দি গান দুচাট্টে। পরদেশী, ইত্যদি। আড্ডি যা শুনেছি সবই মাইকে। নিজে চালিয়ে কক্ষনো শুনিনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আড্ডি সম্পর্কে আমার কিচ্ছু বলার নেই। :-)

    তা, সলিল চৌধুরি, আগেই লিখেছি, বাংলা ভাষায় বেশ কজন প্রবাদ প্রতিম সুরকারের উত্তরাধিকারী। রবিবাবু, অতুলপ্রসাদ, নজরুল। প্রথম দুজনের উচ্চতায় উনি ওঠেননি, বলার কোনো দরকার নেই। তৃতীয়জন, অর্থাৎ নজরুল হেবি ইন্টারেস্টিং লোক ছিলেন। মোটের উপর প্রথাগত বিদ্যেয় কোনো ট্রেনিং ছিলনা। গান, বিশেষ করে তার কথা শুনে মাঝে মধ্যেই মনে হয় কিরকম বিটকেল সব শব্দ ঢুকে পড়েছে। সুরও মাঝে মধ্যেই খলবলিয়ে ওঠে। কিন্তু যেটা আমরা ভুলে যাই, আজকের নজরুলগীতি হিসেবে যেগুলো শুনি, তার অনেকগুলোই পপুলার এবং সিনেমার গান। সে হিসেবে সে সময় নজরুল অতুলনীয় ছিলেন। সুরকার হিসেবে সলিল সে উচ্চতায় কখনও ওঠেননি।

    নিন্দে করছি ভাববেন না। সলিল চৌধুরি কিছু ভালো সুর দিয়েছেন। সংখ্যায় কম, কিন্তু ভালো। যেমন আমার খুব প্রিয় গান, "দে দোল দোল তোল" বা "ও আলোর পথযাত্রী"। এই পরের গানটার বাঁধুনি অসম্ভব ভালো। সাতমাত্রায় গাওয়া হত আগে। কিন্তু শিল্পীরা পেরে ওঠেনা বলে ওটাকে এখন আটমাত্রায় গাওয়া হয়। এমনকি দেবজ্যোতি মিশ্রের কনসার্টেও তাইই শুনে এলাম এ বছর। কিন্তু এগুলো বাংলা গানে সলিল চৌধুরির মূল অবদান বলে আমার মনে হয়না। ওনার মূল অবদান হল ভারতীয় গানে পাশ্চাত্যের অ্যারেঞ্জমেন্ট ব্যবহার করা। ওই "ও আলোর পথযাত্রী" ই ধরুন, শুনলেই বোঝা যায় থ্রি পার্ট হারমোনির জন্য বানানো। সলিলের গান বললেই মনে পড়ে তীব্র অ্যাকর্ডিয়ান, হারমোনিকা আর কখনও সমবেত ভায়োলিন। আর গানের সঙ্গে কখনও টু বা থ্রি পার্ট হারমোনির ব্যবহার। আর মনে পড়ে পাশ্চাত্য ক্লাসিকাল স্টাইলে দুমদাম স্কেল চেঞ্জ হয়ে যাওয়া, বহু ক্ষেত্রেই সাইকল অফ ফিফথ ধরে। এইগুলো সলিলের সিগনেচার। এবং বাংলা গানে তাঁর অবদান। মৌলিক বলবনা, কারণ, রবীন্দনাথের গানেও বিলক্ষণ পাশ্চাত্য হারমনির উপকরম দেখা যায়। অতি পপুলার গান, যেমন ধরুন, 'বড়ো আশা করে' শুনলেও পরিষ্কার বোঝা যায় ওটা থ্রি পার্ট হারমনির জন্য লেখা। রবিবাবু কোনো কারণে কখনও হারমনি ব্যবহার করেননি, ভগবান জানে কেন, ওয়েস্টার্ন অ্যারেঞ্জমেন্টও না, কিন্তু চাইলেই পারতেন, সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়। তা, উনি যে কারণেই এই কান্ডটি ঘটিয়ে থাকুন, সলিল ই প্র্যাকটিকালি ভারতীয় সংগীতে প্রথম, আজকে যাকে মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট বলি আমরা, সেটার প্রবর্তন করেন। অ্যারেঞ্জমেন্টে এখন যে শোনেন, শিল্পী একসুরে গান গাইছে, আর পিছনে বাজনা আরেক সুরে বাজছে, এটা, সলিল চৌধুরির আগে ভারতীয় সঙ্গীতে হয়্হনি। হয়েও থাকতে পারে, মানে পপুলার কেউ করেছেন বলে জানিনা।

    সলিল চৌধুরিকে যে বম্বে মাথায় তুলে নিয়ে যায়, এবং উনি ওখানে যা প্রচলন করেন, তা হল মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট। তার অংশ হিসেবে দু-একটা ভালো সুরও চলে যায়। সে হল কো ল্যাটারাল ড্যামেজ। বলিউডের নিজের গানের প্যাকেজের জন্য এই এই অ্যারেঞ্জমনেট বস্তুটা দরকার ছিল। যাতে করে নিজের গোলগাপ্পা গানগুলিকে সে মনোহারি করে চালাতে পারে। এবং সলিল সুরকার হিসেবে যা, তার চেয়ে অ্যারেঞ্জার হিসেবে অনেক ভালো। সে সময় তো আন প্যারালাল ছিলেন।এই তো গপ্পো।
  • ঈশান | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২২:২০698148
  • ন্যাশানাল টেলিভিশন, চিত্রহার, হিন্দি সিরিয়াল, হপ্তায় একটা করে হিন্দি সিনেমা, এ কবে থেকে অর্থনৈতিক হল?
  • Arpan | 24.195.234.203 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২২:৩৩698159
  • তার অনেক আগে থেকেই অর্থনৈতিক ভরকেন্দ্র বম্বেতে চলে গেছে। সিনেমা মানে তো ব্যক্তিগত কিছু সৃষ্টি নয়, একটা ইন্ডাস্ট্রি, প্রযুক্তির ব্যবহার, এসব চালাতে গেলে তো অর্থনীতির ইঞ্জিন লাগে।

    দেশভাগের জন্য ঢাকা তথা বাংলাদেশের একটা বিশাল মার্কেট পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমা হারায়। এটাও পড়েছিলাম পূর্ব পাকিস্তানের সাথে বহুদিন পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বন্ধ ছিল। এটা ঈশানের পোস্টেও আছে।

    কিন্তু স্বীকার করছি এই টইয়ের মূল প্রতিপাদ্য কী সেটা বুঝিনি। বাংলা সিনেমা বনাম হিন্দি সিনেমার উৎকর্ষের বিচার, নাকি সিনেমার গানের টেকনিকাল আলোচনা শুধু। দ্বিতীয়টা হলে অর্থনীতির পরোক্ষ প্রভাব আছে, প্রত্যক্ষ নেই।
  • ঈশান | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২২:৩৭698171
  • টইয়ের কোনো প্রতিপাদ্য নাই। সির্ফ মেরা অনুভব। :-)
  • Arpan | 24.195.234.203 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২২:৩৮698182
  • তালে তো ঠিক আছে। ঃ)

    আমার পড়ে কেমন মনে হচ্ছিল সিনেমার ৯০% উপাদান হল গান, ১০% অন্য কিছু।
  • :-P | 127.194.200.183 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২২:৪১698193
  • মহীন আসছে, সঙ্গে থাকুন। :)
  • ঈশান | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২৩:৩৫698204
  • তো যাই হোক, যে কথা হচ্ছিল। এই অ্যারেঞ্জার আর সুরকার গপ্পোটা একটু আলাদা করে বলে নেওয়া দরকার। এইটা নিয়ে পশ্চিম আর প্রচ্যের ধারণার একটু তফাত আছে। ভারতীয় গানে, ট্র্যাডিশনালি, গানের্ সঙ্গে একটা সারেঙ্গী বা এসরাজ (পরবর্তীতে হারমোনিয়াম) , পিছনে তানপুরো আর সঙ্গে তবলা, এই হল অ্যারেঞ্জমেন্ট। এর মধ্যে তানপুরোটা ছাড়তে হয় শুধু, আর অন্য যন্ত্রগুলো গানের সুরের সঙ্গে চলে। ফলে গান কম্পোজ করতে হলে শুধু গানের সুরই কম্পোজ করতে হয়, আর কিছু না। তাই ওয়াজিদ আলি যখন 'বাবুল মোরা' বাঁধেন, বা বড়ে গুলাম 'বাজুবন্ধ খুল খুল যায়' কম্পোজ করেন, তাঁরা শুধু গানেই সুর দেন। আর কিছুই করেননা। বাকি যা করবে শিল্পী, বাকি সবই ইমপ্রোভাইজেশন। চাইলে ওনারা গেয়ে দেখিয়ে দেবেন সেটা।

    উল্টোদিকে পশ্চিমী কম্পোজাররা গান গাননা, বস্তুত শোনেনও না, সুর লেখেন। বিটোভেন যখন নাইনথ সিম্ফনি লিখছেন, তখন তিনি লিখছেনই, কারণ তখন তিনি বদ্ধ বধির। এবং সেই সুরে 'মূল যন্ত্র' কিছু নেই। একটা একটা করে যন্ত্র সামনে এবং পিছনে যোগ হচ্ছে ঝরণার সঙ্গে, এবং বেটোভেন তাদের আসা যাওয়ার গপ্পো লিখছেন মূলত। এই হল পশ্চিমী ঘরানা, যে ঘরানা আজকের পশ্চিমী সিনেমাতেও অনুসরণ করা হয়। একটা গানের সঙ্গে তেরো রকম বাজনা, যখন গান নেই, তখনও আবহের স্কোর, সবই কম্পোজারের কাজ। শুধু সুর দিয়ে দিলেই গপ্পো শেষ না।

    তা, সলিল হলেন ভারতীয় গানের প্রথম কম্পোজার। বা অ্যারেঞ্জার। যা খুশি বলুন। তাঁর আগের ভারতীয় সুরকাররা সুরকার ছিলেন। সলিল সুরকার না, কম্পোজার। সুরকার হিসেবে নজরুল বা অতুলপ্রসাদের সঙ্গে তাঁর কোনো তুলনাই হবেনা, তাঁরা অনেক অনেক এগিয়ে। আবার কম্পোজার হিসেবে ওই দুজন কখনও কিছুই করেননি, ফলে তুলনা হওয়াই সম্ভব না।

    এই অ্যারেঞ্জার কম্পোজার বস্তুটা, যাঁরা মূলত সুরকার নন, সঙ্গীতের কারিগর, এটা হিন্দি সিনেমায় চালু হবে সলিলের পর। এত শিবের গীত গাইলাম, এই কারণে, যে, এর পরে যে যে সুরকার এসেছেন, হিন্দি সিনেমায়, তাঁরা মূলত অ্যারেঞ্জার। সুরকার নন। সুরটা তাঁরা বহুলাংশেই নানা জায়গা থেকে টুকেছেন। এবং যা অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন, বলা বাহুল্য তাও খুব মোটা দাগে টোকা। বেটোভেন তো নয়ই, এমনকি সলিলের পর্যায়েও পৌঁছয়নি। আড্ডি, যে কটি গান শুনেছি, এর কোনো ব্যতিক্রম মনে হয়নি। (এ বিষয়ে আমার ফান্ডা সীমিত, কেউ ব্যতিক্রম দেখিয়ে দিলে খুশি হব)। গান ধরে ধরে বলতে পারবনা, তবে এক আধটা উদাহরণ দিতে পারি। ওই আমার মাসতুতো দাদার প্রিয় গান, "মেরে নয়না"। সুরটা একটু শিবরঞ্জনী ছুঁয়ে যায়, কিন্তু নেহাৎই মামুলী। কেন মামুলি বলছি, শিবরঞ্জনীতে নজরুলের বহু বছর আগের একটি কম্পোজিশন শুনলেই টের পাবেন। গানটা হল ' হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ' (যদি টের না পান, তো এ নিয়ে আলোচনা বৃথা)। কিন্তু শুধু সুর না, এর অ্যারেঞ্জমেন্ট শুনলে শুরুতেই যেটা শোনা যায়, ১-২-৩-৪ ছন্দে গিটার বাজছে। ছন্দটা মামুলি, ওই গিটার স্ট্রামিং হাজার হাজার জায়গায় হয়েছে, টোকা বলা যাবেনা এক্ষেত্রে, কিন্তু ওতে কোনো মৌলিকত্ব নাই। ওই গিটারের বিট আর ড্রাম (ড্রাম না ইলেকট্রনিক বিট মনে নেই), গানের সঙ্গে যোগ করে যেটা হয়েছে, অচেনা ভারতীয় কানে একটা মধ্যমানের গানকে 'উফ কী দিলাম' টাইপের একটা ভাব দেওয়া হয়েছে। ট্র‌্যাডিশনাল ভারতীয় অ্যারেঞ্জমেন্টে শুনলে যে গান এই সাধারণ লোকেরাই ছ্যা ছ্যা করত, সেটাই, 'ক্কী করেছে দেকেচো?' হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    এবং এই 'ক্কী করেচে দেকেচো' টা আরডি এবং সেই সময়ের হিন্দি গানের সিগনেচর। গোলগাপ্পা কিছু জিনিসকে অজানা কিছু অ্যারেঞ্জমেন্টের সঙ্গে প্যাকেজ করে গুঁজে দেওয়া। এবং চমকে দেওয়া। এইটা আড্ডি শুরু করেছেন কিনা জানিনা। তবে তিনি খুব সাকসেসফুলি করেছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ফলে হিন্দি গান জাজ করার সময় শ্রোতাদের একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড অনবধানেই এসে গেছে, বা যেত। একই গান, অন্য অ্যারেঞ্জমেন্টে, অন্য প্রেক্ষিতে শুনলে তাঁরা ছ্যা ছ্যা করতেন, কিন্তু এই 'গুরু কি করেছে' ভাবটা আসার ফলে তাঁরা রিলেট করতে শুরু করেন। এবং এখনও করেন, কারণ এর সঙ্গে তৈরি হয়ে গেছে নানা মিথ। কিশোরকে নিয়েই হোক আর আড্ডিকে নিয়েই হোক।

    এই হল আমার সংক্ষিপ্ত অনুভব।
  • S | 108.127.180.11 | ১৪ মার্চ ২০১৬ ২৩:৫২698215
  • গান তো বুঝিনা। কিন্তু সিনেমার দিক থেকে বললে বলিউড মিডিওক্র্যাসির তীর্থস্থান। বরন্চ গান শুনে মনে হয় সেখানে অনেক বেশি এক্সপেরিমেন্ট হয়/হচ্ছে ইত্যাদি। সিনেমায় সেইটা বিরল। বেশিরভাগ সিনেমার প্লট প্রায় একই মনে হয়। ২০০৫ এর আশপাশ থেকে কিছু হঠকে সিনেমা তৈরী হতে শুরু করে - অনুরাগ কাশ্যপ, বিশাল ভরদ্বাজ, কিছুটা আখতারও ইত্যাদিদের সিনেমা দেখে মনে হতো যে শেষে হয়তো বলিউড স্ক্রিপ্ট বেস্ড সিনেমা শুরু করলো। কিন্তু দাবাঙ্গের সাফল্য সেই ট্রেন্ডে ভাঁটা ফেললো। শুরু হলো সাউথের ঐ যে বললেন গোলগাপ্পা সিনেমার আদলে তৈরী সিনেমার ভীড়। এইসব সিনেমাতে বলিউডের একনম্বর হিরোরা খুব মানানসই - অভিনয়ের চাপ নেই।

    আসলে মাস জনগণ এরকম গোলগাপ্পা সিনেমাই পছন্দ করে - লোকের দিল ধড়াকনে দো বোরিঙ্গ লেগেছে অথচ প্রেম রতন ধন পায়ো খুব ভালো সিনেমা লেগেছে।
  • ঈশান | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০০:০১698226
  • না না আমি ২০০০ এর পরবর্তী সময় নিয়ে লিখিনি। ইন ফ্যাক্ট নব্বই থেকেই সিন বদলাতে শুরু করেছে। এসব তার আগের গপ্পো।
  • S | 108.127.180.11 | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০০:১০698237
  • আর বলিউড আজকের বলিউড হয়েছে মানে পয়সা, খ্যাতি ইত্যাদি ৭০ এর দশকে।

    আর বলিউডে দুটো লবি কাজ কারেছে অনেক আগে থেকেই - বাঙ্গলা আর পান্জাব। এই ৭০ এর দশক থেকেই পান্জাব লবি ক্রমশঃ শক্তিশালী হতে থাকে। ফলে সিনেমার রকম চেন্জ হতে থাকে। ৭০ এর দশকে চলে আসে অ্যাকশন। ৯০ এর দশক নিয়ে আর কি বলবো? ঐ দশকের সবথেকে জনপ্রিয় সিনেমা হলো ডিডিএলজে আর কুচ কুচ হোতা হ্যায়। ন্যান এইবারে লেখেন।

    আর গান বলতে ৯০ এর দশকে আরেক মহারথীর (ইনিই মনে হয় বলিউডে বাঙ্গলার শেষ সম্রাট ছিলেন) আবির্ভাব হয় - কুমার শানু।
  • sinfaut | 127.195.46.155 | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০০:১১698259
  • সলিল আর আরডি সম্পর্কে ঈশানদার এই অনুভব ক'টা আন্দাজ গান শুনে?
  • sinfaut | 127.195.46.155 | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০০:১১698248
  • সলিল আর আরডি সম্পর্কে ঈশানদার এই অনুভব ক'টা আন্দাজ গান শুনে?
  • ঈশান | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০০:১৫698270
  • আমার এক্সপোজার কী, সে তো লেখাতেই লেখা আছে। অন্যরকম কিছু থাকলে, সে গান বললেই শুনে নেব।
  • pi | 24.139.209.3 | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০০:১৮698282
  • আর এস ডি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন